Assistant Professor Dr Md Safiul islam

Assistant Professor Dr Md Safiul islam ডাঃ মোঃ শফিউল ইসলাম
চেম্বার

10/02/2024

ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন

প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাটুন ।সুস্থ্য থাকুন ।
06/02/2024

প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাটুন ।সুস্থ্য থাকুন ।

04/02/2024
অ্যাজমা বা হাঁপানি রুগীগন শীতে সতর্ক থাকুন ।
01/02/2024

অ্যাজমা বা হাঁপানি রুগীগন শীতে সতর্ক থাকুন ।

 #শীতে_শ্বাসকষ্ট_বাড়ে_কেন_কী_করবেন?বাংলায় প্রচলিত হাঁপানি রোগই অ্যাজমা।  এটি শ্বাসনালির একটি দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক প্রদা...
19/11/2022

#শীতে_শ্বাসকষ্ট_বাড়ে_কেন_কী_করবেন?

বাংলায় প্রচলিত হাঁপানি রোগই অ্যাজমা। এটি শ্বাসনালির একটি দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক প্রদাহজনিত সমস্যা। অ্যাজমার কারণে শ্বাসনালিতে বিভিন্ন কোষ বিশেষত ইয়োসিনোফিল ও অন্যান্য কোষের উপাদান জমা হয় এবং শ্বাসনালিকে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলে। পরিবেশের সাধারণ বস্তুগুলোর প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয় বলে অ্যাজমা রোগীর শ্বাসনালির পথও সংকীর্ণ হয়। তখন রোগী শ্বাসকষ্ট, শুকনা কাশি, বুক জ্যাম হওয়া, বুকে বাঁশির মতো শব্দ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে থাকে।
কারণ : অ্যাজমার কারণ এখনও অজানা। কিছু উপাদান অ্যাজমা রোগের উৎপত্তি, আক্রমণ, স্থায়িত্বকে বেশ প্রভাবিত করে, যাদের বলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উপাদান।
এসব কারণ বংশগত ও পরিবেশগত, এটা দু’ধরনের হয়।
বংশগত : অ্যাজমা রোগটি অনেকটা জেনেটিক বা বংশগত। যদি বংশে কারও অ্যাজমা থাকে, তবে আরেকজনের থাকার আশঙ্কা বেশি।
পরিবেশগত : কিছু পরিবেশগত কারণে অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে। যেমন- অ্যালার্জি, শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামজনিত, ভাইরাস সংক্রমণ, পেশাগত কারণ বা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত থাকা, আবহাওয়া, আবেগপ্রবণতা, দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত বা অনিয়মিতভাবে অপর্যাপ্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি।
লক্ষণ : কারও অ্যাজমা হয়েছে কিনা তা কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। যেমন-
* অ্যাজমা হলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে শ্বাসকষ্ট হয়।
* বুকে চাপ অনুভূত হয়।
* কাশি থাকে, বুকে বাঁশির মতো শব্দ হয় ইত্যাদি।
এ লক্ষণগুলো সব রোগীর ক্ষেত্রে একইভাবে থাকে না। কারোর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বেশি হয়, কারোর বুকে চাপ লাগা বেশি হয়। আবার অনেকের শুধু শুকনা কাশি হয়। নিচের লক্ষণগুলো কারোর থাকলে কালক্ষেপণ না করে চিকিৎসক দেখানো উচিত।
যেমন-
* রোগীর বুকে বাঁশির মতো শব্দ।
* রাতে তীব্র কাশি থাকা।
* ব্যায়ামের পর কাশি বা শ্বাসকষ্ট।
* বায়ুবাহিত অ্যালার্জেন বা উত্তেজকের সংস্পর্শে কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে।
* রোগীর কখনও ঠাণ্ডা লাগলে এবং তা ভালো হতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগলে।
* অ্যাজমার ওষুধে রোগীর লক্ষণ ভালো হয়ে গেলে ইত্যাদি।
পরীক্ষা : বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই অ্যাজমা নির্ণয়ে তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। অ্যাজমা রোগের তীব্রতা জেনে তার যথাযথ চিকিৎসার জন্য কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। যেমন-
* অ্যাজমা রোগীর শ্বাসনালির বাধা পরীক্ষায় স্পাইরোমেট্রি বা পিক ফ্লো পরীক্ষা করা হয়।
* ‘কফ ভ্যারিয়ান্ট’ অ্যাজমার ক্ষেত্রে ‘মেথাকলিন চ্যালেঞ্জ টেস্ট’ করা হয়, যাতে শ্বাসনালির অতি প্রতিক্রিয়াশীলতা দেখা যায়।
* ‘কাশিপ্রধান’ অ্যাজমার ক্ষেত্রে কফ পরীক্ষায় ইয়োসিনোফিল পাওয়া যায়।
* সিরাম ওমঊ পরীক্ষা দিয়ে এটোপি নির্ণয় করা যায় ইত্যাদি।
চিকিৎসা
ওষুধবিহীন ও ওষুধ ব্যবহার করে, এ দু’ধরনের অ্যাজমার চিকিৎসা রয়েছে। ওষুধবিহীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে সতর্কতাই মূল উপায়।
ওষুধবিহীন চিকিৎসা
* অ্যাজমার প্রধান কারণ অ্যালার্জি। কোনো জিনিসে বা খাদ্যে কারও অ্যালার্জি হয়, তা জেনে যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত।
* ধূমপান পরিহার।
* অ্যালার্জেন নয়, অথচ শ্বাসকষ্ট বাড়ায় এমন জিনিস পরিহার।
* ধুলাবালি, ময়লা, গন্ধ ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।
* যথাসম্ভব মানসিক চাপ কমানো।
* ঘুমের ওষুধ, তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা।
ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা : ওষুধের মাধ্যমে অ্যাজমা নির্মূল করা যায় না, নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অ্যাজমার ওষুধ দু’ধরনের- উপশমকারী ও প্রতিরোধককারী। সালবিউটামলজাতীয় ওষুধ উপশমকারী ওষুধ, যা তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথকে প্রসারিত করে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা কমিয়ে দেয়। তবে এর কার্যকাল খুবই কম। ইনহেল স্টেরয়েড, ক্রোমোগ্লাইকেট, মন্টিলুকাস্ট ইত্যাদি হল প্রতিরোধক ওষুধ, যা ধীরে ধীরে কাজ করে।
অ্যাজমার এসব ওষুধ নানাভাবে প্রয়োগ করা যায়। যেমন-
ইনহেলার পদ্ধতি : এটি সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওষুধ নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসনালিতে কাজ করে।
ট্যাবলেট অথবা সিরাপ : এ পদ্ধতিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি। কারণ অধিক মাত্রার ওষুধ রোগীর রক্তে প্রবেশ করে।
নেবুলাইজার : তীব্র অ্যাজমার আক্রমণে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
ইনজেকশন : অ্যাজমার মারাত্মক আক্রমণে স্টেরয়েড ইনজেকশন শিরায় দেয়া হয়।
জটিলতা : অ্যাজমা কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে কি না তা কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। এ সময় উপশমকারী ওষুধের পরিমাণ বেশি লাগে এবং ইনহেলার দ্বারা ৩-৪ ঘণ্টার বেশি শ্বাসকষ্টের উপশম থাকে না। তা ছাড়া রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যাওয়া, স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট হওয়া, পিক ফ্লো ধীরে ধীরে কমাও জটিলতার লক্ষণ। তখন বিশেষ সতর্ক হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
অ্যাজমা প্রতিরোধে কী করবেন
* সব রকমের ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীর শোবার ঘরটি সব সময় শুষ্ক, ধুলা ও মাইটমুক্ত হতে হবে।
* ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে সে ব্যবস্থা করুন। রাতে ঘুমানোর সময় পর্যাপ্ত উষ্ণতায় থাকুন।
* সকালে প্রস্রাব-পায়খানার সময় মুখে কাপড় বা মাস্ক ব্যবহার করুন।
* সকালে ও রাতে চলাফেরার সময় নাকে কাপড় বা মাস্ক ব্যবহার করা।
* দিনে বা রাতে কুয়াশায় চলাফেরার সময় নাক ঢেকে রাখুন (গায়ে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় থাকলেও)।
* ঠাণ্ডা বাতাস, ঠাণ্ডা পানি ও ঠাণ্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন।
* স্যাঁতসেঁতে বা ঘিঞ্জি পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা পরিবেশ নয়।
* পুরনো জামাকাপড় ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
* ডাস্ট মাইট কমানোর জন্য ব্যবহৃত বালিশ, তোশক, ম্যাট্রেস ইত্যাদির ধুলাবালি নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং রোদে দিন।
* মশার কয়েল বা স্প্রে, চুলার আগুনের ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
* হাত-মুখ নিয়মিত ধৌত করুন। কারোর সঙ্গে করমর্দন করলেও হাত ধুয়ে ফেলুন।

 #শীতের_শুরুতেই_শ্বাসকষ্ট_বাড়লে_যা_করবেনশ্বাসকষ্টের সমস্যায় ছোট-বড় অনেকেই ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাসকষ্ট আসলে কোনো রো...
23/09/2022

#শীতের_শুরুতেই_শ্বাসকষ্ট_বাড়লে_যা_করবেন

শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ছোট-বড় অনেকেই ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাসকষ্ট আসলে কোনো রোগ নয়। এটি অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। নাক বন্ধভাব থেকে শুরু করে সর্দি, চোখে চুলকানি ও পানি পড়া, বুকে চাপ বোধ, কাশি, হাঁচি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি সমস্যা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত।
বছরের অন্যান্য সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলেও এটি বেড়ে যায় শীতে। এর কারণ হলো ঠান্ডা আবহাওয়া। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। ফলে ধুলাবালির পরিমাণ বাড়ে।
শীতে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ। শ্বাসকষ্ট সাধারণত ২ রকমের- অ্যাকিউট বা তীব্র ধরনের, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তীব্র শ্বাসকষ্টে রূপান্তরিত হয়। এতে অতি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
দ্বিতীয়টি ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, যার তীব্রতা প্রথমে কম থাকে, পরে বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে শীতে দুটি কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ সময় তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই সঙ্গে পরিবেশের শুষ্কতার কারণে বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার বা আর্দ্রতা কমে যায়।
এ কারণে জীবাণু সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে প্রদাহ ঘটায়। তবে শরীর থেকে তা সহজে বের হয় না। তখন জীবাণুরা বংশ বিস্তার করে ও শ্বাসতন্ত্র আক্রমণ করে।
তাই এমনিতেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের ঠিক একই কারণে রোগের প্রকোপ বাড়ে। আবার যারা সারা বছর শ্বাসকষ্টে ভোগেন না, তাদের ক্ষেত্রেও শীত আসলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রদেখা দিতে পারে।
এ সময় শ্বাসকষ্ট হলে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-

>> দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগলে তা সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস, টিবি বা যক্ষ্মা, অ্যাজমা, অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> ছোটবেলা থেকেই যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে তা অ্যাজমা বা হাঁপানির জন্য হয়। এ ধরনের রোগীর বয়স বাড়লে তীব্র ধরনের অ্যাজমায় আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে।

>> অ্যাজমা বা হাঁপানিজনিত কারণে রাতে বা ভোরে বেশি শ্বাসকষ্ট হয়। আবার কাশিও বাড়তে থাকে রাত হলে।

>> শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, বুকে ব্যথা হয়, শ্বাস নিতে শোঁ শোঁ শব্দ হয়, তা সাধারণত নিউমোনিয়ার জন্য হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখলেই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

>> যাদের কিডনি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ কিডনির অসুখে রক্তে এসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শ্বাসকষ্ট মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

>> এ সময় যেহেতু বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

>> ঘরের ভেতরও পরিষ্কার রাখুন। না হলে ঘরের ধুলোও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সম্ভব হলে এয়ার পিউরিফাইয়ার রাখতে পারেন ঘরে।

>> এ সময় অবশ্যই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে যদি ধূমপান করেন, তাহলে ফুসফুসের উপর চাপ বেশি পড়ে।

 #বক্ষব্যাধি_মেডিসিন_বিশেষজ্ঞ #ডাঃ_মোঃ_শফিউল_ইসলাম_স্যারের চিকিৎসা সমূহঃ-১।এলার্জির তীব্রতা বাড়ার পরে এ্যাজমা আক্রান্ত হ...
18/09/2022

#বক্ষব্যাধি_মেডিসিন_বিশেষজ্ঞ
#ডাঃ_মোঃ_শফিউল_ইসলাম_স্যারের চিকিৎসা সমূহঃ-

১।এলার্জির তীব্রতা বাড়ার পরে এ্যাজমা আক্রান্ত হলে এবং কাশি হলে।
২।শ্বাস কষ্টের সাথে বুকে প্রচুর ব্যথা অনুভব হলে।
৩।ভয়, হতাশা ও চিন্তাগ্রস্থ হলে হাপানি চলে আসলে।
৪।শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পর বুকের ভেতরে বাঁশির মতো শব্দ হলে এবং সঙ্গে কাশি ও বুকের ভেতর শ্বাস বন্ধ ভাব অনুভূত হলে।
৫।কয়েক মাস চলে যাবার পরেও গলায় কি জানি আটকে আছে মনে হলে।
৬।রাতে ঘুমের সময় নাক-মুখ বন্ধ হয়ে আসলে।
৭।কাশি ছাড়াও ফুসফুসে বাশির মতো চিচি শব্দ হলে।
০৮।ঘন ঘন কাশি সেই সাথে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ বা দম নিতে কষ্ট হলে।
৯।অল্প একটু কাজ করে বা ঘুরেফিরে ঘন ঘন সাঁসাঁ শব্দে নিঃশ্বাস ফেললে।
১০।তামাক সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদা পাতা সেবন করে প্রাণঘাতিতে চলে আসলে।
এই সকল সমস্যার জন্য আছেন----
--------------------------------------.
#বক্ষব্যাধি_বাত_ব্যথা_ও_মেডিসিন_বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোঃ শফিউল ইসলাম
এমবিবিএস ( ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন), এফসিসিপি (আমেরিকা), এফসিপিএস (বক্ষব্যাধি)

#সহকারি_অধ্যাপক
জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল,মহাখালী,ঢাকা।

#রোগী_দেখার_চেম্বার: জে ডি প্যাথলজি সেন্টার
আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন ,সদর রোড নরসিংদী। ( নরসিংদী পৌরসভা থেকে 100 গজ উত্তর পাশে )

দেখার সময় : প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ।

#সিরিয়ালের জন্য:
01324-419770
01780-401026
01711-698756

WhatsApp 01711-698756
Imo 01711-698756
Facebook Messenger
&
Comment
website: www.jdpathology.com
email: jdpathologycenter@gmail.com

অ্যাজমা বা হাঁপানি কতটা মারাত্মকঅ্যাজমা বা হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের অ্যালার্জিজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ। বিভিন্ন অ্যালার্জেন, শ্...
04/09/2022

অ্যাজমা বা হাঁপানি কতটা মারাত্মক

অ্যাজমা বা হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের অ্যালার্জিজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ। বিভিন্ন অ্যালার্জেন, শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা এবং ফুসফুসের প্রদাহের জন্য শ্বাসনালিতে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, ফলে স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা শ্বাসকষ্ট হয়। একই সঙ্গে নিশ্বাসে সাঁই সাঁই শব্দ শোনা যায়। অ্যাজমা আক্রমণের সময় শ্বাসনালির আস্তরণ ফুলে যায়, ফলে শ্বাসনালি সংকীর্ণ বা চিকন হয়ে যায়। এর ফলে প্রশ্বাস ও নিশ্বাসে বাতাস চলাচলের গতি কমে যায় ও কষ্টসাধ্য হয়।

অ্যাজমা রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা না গেলেও প্রধানত ২টি কারণ চিহ্নিত করা হয়-

১. বংশগত ‘এটোপি’-পরিবেশগত বিভিন্ন উপাদানে অ্যালার্জি।
২. শ্বাসনালির অতি-সংবেদনশীলতা।

শিশুসহ যে কোনো বয়সের নারী-পুরুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়াতে সুচিকিৎসার অভাবে রোগী বেশ কষ্ট পায়। অ্যাজমা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়, কিন্তু যত্নবান হলে এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
লক্ষণ : এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়-
কাশি, শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শব্দ হওয়া, হাঁচি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, বুকে ভার অনুভব করা বা বুকের চাপা ব্যথা, জ্বর।
চিকিৎসা (ওষুধের মাধ্যমে)
ওষুধের মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই ওষুধ খেয়ে রোগের প্রকোপ কমিয়ে রাখতে হয়। অ্যাজমার ওষুধ দুই ধরনের উপশমকারী ও প্রতিরোধককারী।
* শ্বাসনালির সংকোচন বন্ধ করতে উপশমকারী ওষুধ ব্রংকোডাইলেটর যেমন, সালবিউটামল, টারবিউটালিন, থিউফাইলিন, ব্যামবুটারল ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহৃত হয়। উপশমকারী ওষুধ তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথকে প্রসারিত করে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাঁধা কমিয়ে দেয়। তবে এর কার্যকাল খুবই কম।
* প্রতিরোধককারী বা প্রদাহ নিরাময়ের ওষুধ, যেমন- কার্টিকোস্টেরয়েড (বেকলোমেথাসন, ট্রাইএমসিনোলোন, ফ্লোটিকাসন ওষুধ হচ্ছে স্টেরয়েড, ক্রোমোগ্লাইকেট ইত্যাদি, যা ধীরে ধীরে কাজ করে এবং লিউকোট্রাইন নিয়ন্ত্রক মন্টিলুকাস্ট, জেফিরলুকাস্ট ব্যবহার করা।
* প্রাথমিক পর্যায়ে উপশমকারী ব্রংকোডাইলেটর জাতীয় ওষুধের মাধ্যমেও কিছু নিয়ম মেনে অ্যাজমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি
অ্যাজমার এসব ওষুধ নানাভাবে প্রয়োগ করা যায়। যেমন-
* ইনহেলার পদ্ধতি : এটি সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওষুধ নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসনালিতে কাজ করে। এগুলো ইনহেলার, রোটাহেলার, একুহেলার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
* ট্যাবলেট অথবা সিরাপ : ওষুধ রোগীর রক্তে প্রবেশ করে ফুসফুসে গিয়ে কাজ করে।
* নেবুলাইজার : তীব্র অ্যাজমার আক্রমণে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
* ইনজেকশন : অ্যাজমার মারাত্মক আক্রমণে স্টেরয়েড ইনজেকশন শিরায় দেওয়া হয়।
প্রতিরোধ (ওষুধবিহীন চিকিৎসা)
* অ্যাজমার অন্যতম প্রধান কারণ অ্যালার্জি। কোনো জিনিসে বা খাদ্যে কারও অ্যালার্জি থাকলে, তা যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত।
* কিছু কিছু বিষয়ে সচেতন হয়ে হাঁপানি থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। অ্যালার্জেন নয়, অথচ শ্বাসকষ্ট বাড়ায় এমন জিনিস পরিহার। যেমন- মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা কমানো।
* অ্যালাজেন পরিহার : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা অ্যাজমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা অর্থাৎ যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।
* ধুলাবালি, ধোঁয়া, গন্ধ, ঘরের ঝুল ইত্যাদি এড়িয়ে চলা। ঘরের ভেতর কয়েল, ধূপ, সব রকমের ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীর শোবার ঘরটি সব সময় শুষ্ক, ধুলা ও মাইটমুক্ত হতে হবে।
ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে সে ব্যবস্থা করুন। রাতে ঘুমানোর সময় পর্যাপ্ত উষ্ণতায় থাকুন।
* ঘর-বাড়িকে ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এজন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে।
* ঘরে কার্পেট না রাখা।
* বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা।
* আতর, সেন্ট, পারফিউম ব্যবহার না করাই উত্তম।
* যেসব খাবার অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা পরিহার করা বা এড়িয়ে চলা।
* ধূমপান না করা।
* ফুলের রেণু পরিহার করতে হবে, সকাল কিংবা সন্ধ্যায় বাগান এলাকায় কিংবা শস্য ক্ষেতের কাছে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
* কুকুর, বিড়াল, কবুতর ও পশু-পাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
অ্যালার্জি হয় এমন পরিবেশ পরিহার করা
* দিনে বা রাতে কুয়াশায় চলাফেরার সময় নাক ঢেকে রাখুন (গায়ে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় থাকলেও)।
* স্যাঁতসেঁতে বা ঘিঞ্জি পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশ ক্ষতিকর।
* রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় সম্ভব হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
হাঁপানির (অ্যাজমা) আকস্মিক টান বা শ্বাসকষ্ট
হাঁপানি রোগীদের আকস্মিক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে ধুলাবালি ও ধোঁয়া, ঘর ঝাড়মোছ করলে বা ফুলের রেণুর সংস্পর্শে এলে, কুয়াশা ও বদ্ধ গুমোট পরিবেশ, হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়া, ঠান্ডা-শুষ্ক বাতাস রোগীর হাঁপানির টান বা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণ, সর্দিকাশি হলেও এ ধরনের সমস্যা হয়। এসবই শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় এবং শ্বাসনালিগুলোকে সংকুচিত করে, ফলে হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
মনে রাখবেন, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে শুরুতেই কথা বলতে কষ্ট হলে বা জিব, নখ বা আঙুল নীল হয়ে এলে অথবা চেতনা হারিয়ে যেতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে নেবুলাইজারের পাশাপাশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
জটিলতা : অ্যাজমা কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে কি-না তা কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। এ সময় উপশমকারী ওষুধের পরিমাণ বেশি লাগে এবং ইনহেলার দ্বারা ৩-৪ ঘণ্টার বেশি শ্বাসকষ্টের উপশম থাকে না। তাছাড়া রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যাওয়া, স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট হওয়া, পিক ফ্লো ধীরে ধীরে কমাও জটিলতার লক্ষণ। তখন বিশেষ সতর্ক হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
শ্বাসকষ্টে তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় কী করবেন
* ছোট শিশুকে মাথা উঁচু করে শোয়াতে হবে এবং বড়দের সোজা হয়ে বসিয়ে জামা-কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
* উপশমকারী সালবিউটামল বা ইপরাট্রোপিয়াম ইনহেলার স্পেসারের সাহায্যে ধীরে ধীরে চাপ দিতে হবে।
* স্পেসারের মধ্যে প্রতিবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পাঁচবার চাপ দিন।
* পাঁচ মিনিট বিশ্রাম দিন। তারপরও শ্বাসকষ্ট না কমলে আবার পাঁচ চাপ নিন। এভাবে মোট পাঁচবার (মোট ২৫ চাপ) নেওয়া যেতে পারে।
* এরপরও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির টান না কমলে বাসায় নেবুলাইজার যন্ত্র থাকলে ব্যবহার করতে হবে বা রোগীকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছার আগ পর্যন্ত পাঁচ চাপ করে ইনহেলার নেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
সাবধানতা : শীতল আবহাওয়া, সর্দি-কাশি-ফ্লু বা ঠান্ডাজ্বরে হাঁপানির টান বা শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বেড়ে যায়।
* ইনহেলার সর্বদা হাতের কাছে রাখুন।
* নাক বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা অনেক সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। মুখ দিয়ে নেওয়া শ্বাস শুষ্ক এবং শ্বাসতন্ত্র আরও সংকুচিত করে তোলে। অন্যদিকে নাক দিয়ে নেওয়া শ্বাস উষ্ণ এবং আর্দ্র, ধোঁয়া-ধুলা ইত্যাদি ফিল্টার হয়ে আসে। তাই শিশুদের বন্ধ নাক সব সময় স্যালাইন ড্রপ দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।

Address

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল
Dhaka
1212

Telephone

+8801324419770

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Assistant Professor Dr Md Safiul islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Assistant Professor Dr Md Safiul islam:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category