25/11/2025
মানুষের শরীরে যে সমস্ত জ্বীন সক্রিয় হয় আমার ধারণা, এরা প্রত্যেকেই শয়তানের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য। কারণ সাধারণ জ্বীনেরা জানে, আমরা যখন কোনো মানুষের ওপর রুকইয়াহ করি, তখন তারা সেই মুহূর্তে বিচলিত হয়ে পড়ে এবং দ্রুত মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে।
তাই সাধারণ জ্বীনেরা মানুষের আশেপাশে থাকলেও সরাসরি আসর করে না। কিন্তু যারা প্রশিক্ষিত শয়তান তারা প্রতিরক্ষা কৌশল শিখে আসে, তারপরই মানুষের ওপর আক্রমণ করে।
ছবিতে যে বোনটিকে দেখতে পাচ্ছেন তাঁর গার্ডিয়ান নাটোর থেকে আমাদের খুলনা রুকইয়াহ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। বোনটি কেবলমাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে অধ্যায়নরত, মাশাআল্লাহ খুবই দ্বীনদার। ভোটার আইডি কার্ড করতে গেলে ছবি তুলতে হয় এই কারণে এখনো তিনি আইডি কার্ডই করেননি। আজকে তৃতীয় সেশন ছিলো।
১)প্রথম সেশন.....রুকইয়াহ শুরু করার দুই মিনিটের মধ্যেই শয়তান সক্রিয় হয়ে উঠল। জোরে জোরে হাসতে লাগল। বললআমিও মুসলিম! তুই রুকইয়াহ কর, আমার কোনো সমস্যা নেই।তারপর সে আমার সঙ্গে জোরে জোরে রুকইয়াহ পাঠ করতেও শুরু করল।
আমার রুকইয়াহ যাতে তার কানে না পৌঁছায় সে উচ্চস্বরে গজল গাইতে লাগল। তখন আমি তাকে মুনাফিক ও কাফের মনে করে নিয়ত শক্ত করলাম এবং লানত করতে করতে রুকইয়াহ আরও জোরালো করলাম। আল্লাহর রহমতে শয়তান পরাস্ত হলো আলহামদুলিল্লাহ।
২)দ্বিতীয় সেশন......রুকইয়াহ শুরু হতেই আবার শয়তান সক্রিয় হলো হাসি, চিৎকার, কান্না একসাথে করতে লাগল। বুঝলাম, সে পেশেন্টের শরীরের ডান পাশে উকদ (গিঁট) তৈরি করছে। সঙ্গে দুলাভাই ও দাদী ছিলেন। আমি দাদীকে বললাম ডান পাশে চাপ দিতে। সঙ্গে সঙ্গে শয়তান কাপড়ের নিচে সেই হাতটি গুটিয়ে ফেলল।
এরপর কোমর, ডান পা সব জায়গায় তাদমীর চলতে থাকল।এক পর্যায়ে সে নিজেই বলে উঠল আমি তার বিয়ে বন্ধ করে রেখেছি। আমি তাকে খুব ভালোবাসি!”
তারপর প্রচুর কান্নাকাটি করে পিছু হটল।
৩)তৃতীয় সেশন.....রুকইয়াহ শুরু হতেই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল। “রাম রাম” বলতে লাগল, ইলুমিনাতির সাইন দেখাতে লাগল।তারপর বলতে লাগল.....
ফাতেমা (ছদ্মনাম) এত ভালো কেন? এত আমল করে কেন? আমাকে শয়তান পাঠিয়েছে তাকে ধ্বংস করতে, কিন্তু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!”
স্পষ্ট বুঝলাম এটি সাধারণ জ্বীন নয়, জাদুকর শয়তান, এবং সাপ আকৃতির জ্বীন।আমি লানত জোরালো করলাম। সে শয়তানদের কাছে সাহায্য চাইতে লাগল, কিন্তু ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছিল।এক পর্যায়ে তার আসল রূপ বেরিয়ে এলো সাপের মতো ফোঁসফোঁস করতে লাগল, জিহ্বা বের করতে লাগল।
শেষদিকে সে কান্নাকাটি করতে করতে শয়তানদের গালিগালাজ শুরু করল। শেষ পর্যায়ে পেশেন্টের ব্রেনের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেল।
সকলের কাছে আন্তরিক অনুরোধ.......
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন এই বোনটিকে সম্পূর্ণ শিফা দান করেন। আল্লাহুম্মা আমীন।
সংগৃহীত ও ঈষৎ মার্জিত।
🕒 চিকিৎসার সময়সূচি.......
প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
📌 আমাদের লোকেশন
Holy Healing Ruqyah & Hijama Center
House 12, Road 11, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229, Bangladesh (Ground Floor)
01928104339
Raqi Ibn Foyez