Super Specialized Hospital-BMU

Super Specialized Hospital-BMU ★অনানুষ্ঠানিক পেজ★
অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল-বিএমইউ

বিএমইউ-তে ইভিডেন্স বেইসড প্রোটোকলস বিষয়ক কর্মশালা ও হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরপ্রমাণভিত্তিক ...
27/10/2025

বিএমইউ-তে ইভিডেন্স বেইসড প্রোটোকলস বিষয়ক কর্মশালা ও হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসার চর্চা প্রেসক্রিপশনের ভিন্নতা ও চিকিৎসা ব্যয় অবশ্যই কমাবে — অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম

‘ডেভেলপমেন্ট অফ ইভিডেন্স বেইসড প্রোটোকলস ফর গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালা আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইউ-এর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমইউ-এর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন।

গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মশালায় বিজ্ঞ বক্তা হিসেবে —

‘ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন: ট্রান্সফরমিং এডুকেশন, প্র্যাকটিস অ্যান্ড পলিসি’ বিষয়ে বিএমইউ-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম,

‘ইমপ্লিকেশনস অফ ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন ইন গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. অ্যান ক্যাথরিন গুডম্যান,

‘ইভিডেন্স বেইসড অনকোলজি ইন অ্যাডজুভান্ট ট্রিটমেন্ট অফ গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সারস: ট্রান্সলেটিং ট্রায়ালস ইনটু প্র্যাকটিস’ বিষয়ে বিএমইউ-এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন,

এবং ‘ওভারভিউ অন ইভিডেন্স বেইসড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) ডা. মোঃ আহসান হাবিব বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিএমইউ-এর গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুল এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সভাপতিত্ব করেন বিএমইউ-এর গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফৌজিয়া হোসেন।

কর্মশালায় ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন প্র্যাকটিস কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিএমইউ-এর গাইনী অনকোলজি বিভাগ ও ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগ এবং হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুল ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়।
এই চুক্তির লক্ষ্য হলো গাইনী ক্যান্সার চিকিৎসা উন্নয়ন, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের বিনিময় কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এই সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে গাইনী ক্যান্সার চিকিৎসা ও প্রিসিশন অনকোলজির ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, ‘স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রমাণভিত্তিক প্রোটোকলের উন্নয়ন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও পেশাদার সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সারে স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মশালা প্রমাণভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রোটোকল চূড়ান্ত করাসহ ক্যান্সার রোগীদের যত্ন ও ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমইউ-এর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন,

“বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাসেবার গুরুত্ব অপরিসীম। এই কার্যক্রমকে অবশ্যই এগিয়ে নিতে হবে। যেখানে একজন চিকিৎসক গবেষণালব্ধ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক রোগীর জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।”

তিনি আরও বলেন,

“বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগে প্রিসিশন মেডিসিন একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে একজন রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো প্রতিটি রোগীর জন্য সঠিক ডোজ, সঠিক সময়ে দেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা—বিশেষ করে ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।”

বিএমইউ-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম তার উপস্থাপিত প্রবন্ধে উল্লেখ করেন,

“প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাসেবা চর্চা প্রেসক্রিপশনের ভিন্নতা ও চিকিৎসা ব্যয় অবশ্যই কমাবে। গবেষণার প্রমাণ, বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও রোগীর অধিকার বিবেচনায় যথার্থ চিকিৎসা প্রদান করা গেলে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, প্রেসক্রিপশনের ভিন্নতা এমনকি মৃত্যুহারও কমানো সম্ভব।”

তিনি আরও জানান,

“বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ২০২৫ সালের জন্য World Evidence-Based Healthcare Day কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে Evidence Ambassador হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিএমইউ-এর গবেষণা, চিকিৎসা উৎকর্ষতা ও তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন,

“ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন প্র্যাকটিস বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও প্রমাণিত একটি পদ্ধতি, যা সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, যথার্থ ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং চিকিৎসাসেবায় গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।”

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন বলেন,

“ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন বিষয়ক কর্মশালা দেশে অনেক আগে থেকেই শুরু করার প্রয়োজন ছিল। এই ধরণের কর্মশালা সকল মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভাগে হওয়া উচিত। ইভিডেন্স বেইসড মেডিসিন প্র্যাকটিস ও এর উন্নয়ন সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।”

ডা. নূর-ই ফেরদৌস ও ডা. ফারজানা শারমিন-এর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ডা. মেহের নিগার ও ডা. মওয়া পারভিন।

বিএমইউ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২৫:বাংলা...
22/10/2025

বিএমইউ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২৫:
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (Infection Prevention and Control – IPC) কার্যক্রমে কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিএমইউ’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলমের কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বিএমইউ’র পক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিএমইউ-কে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান ভাগাভাগি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করবে। লক্ষ্য হলো মাল্টিমোডাল আইপিসি কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা-সম্পর্কিত সংক্রমণ হ্রাস করা এবং রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানে বিএমইউ’র ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন,

“সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিএমইউ ইতোমধ্যেই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে এ খাতে আলাদা বরাদ্দ রয়েছে এবং আমরা দেশব্যাপী একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার লক্ষ্যে প্রস্তুত।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিএমইউ চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ বলেন,

“বিএমইউকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি বিএমইউকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেও ডব্লিউএইচও সহযোগিতা করতে আগ্রহী।”

চুক্তির ফলে বিএমইউ বিশ্বমানের আইপিসি মানদণ্ডে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, যা দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য অনুসরণযোগ্য মডেল হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ও ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক, ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটির সদস্য সচিব ডা. কাজী আলী আফতাব এবং আইপিসি কোর কমিটির সদস্যবৃন্দ।

চুক্তির ফলে বিএমইউ ইনফেকশন প্রিভেনশন ও কন্ট্রোল কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে পারবে, যা দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য অনুসরণযোগ্য মডেল হিসেবে কাজ করবে।

বিএমইউ-তে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস ২০২৫ উদযাপিত“মজবুত হাড়, সক্রিয় জীবন—এখনই হোন সচেতন!” এই প্রতিপাদ্যে সচেতনতা কর্মসূচি ...
21/10/2025

বিএমইউ-তে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস ২০২৫ উদযাপিত

“মজবুত হাড়, সক্রিয় জীবন—এখনই হোন সচেতন!” এই প্রতিপাদ্যে সচেতনতা কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-তে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল “মজবুত হাড়, সক্রিয় জীবন—এখনই হোন সচেতন!”।

অস্টিওপোরোসিস হলো অস্থি ক্ষয়জনিত একটি নীরব রোগ, যা বয়স, জীবনযাত্রার ধরণ, খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে হতে পারে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর)-এর উদ্যোগে বিএমইউ প্রাঙ্গণে একটি আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজ্জাফর আহমেদ। তিনি বলেন,

“বাংলাদেশে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বয়সজনিত অস্থি ক্ষয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এখনই আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. এম.এ. শাকুর, চেয়ারম্যান, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, বিএমইউ এবং সহ-সভাপতি, বিএসপিএমআর। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন,

“অস্টিওপোরোসিস কেবলমাত্র একটি চিকিৎসাজনিত সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক চ্যালেঞ্জও। সময়মতো সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা এই দুর্বলতা থেকে রক্ষা করতে পারব।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসপিএমআর-এর সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম.এ.কে. আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম নবি, এবং অধ্যাপক ডা. তাসলিম উদ্দিন, কার্যনির্বাহী সভাপতি, বিএসপিএমআর। তাঁরা সকলেই অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাদিম কামাল। তিনি বলেন,

“অস্থি ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব রোগ, যা প্রতিরোধ করা সম্ভব সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যসচেতনতার মাধ্যমে।”

আলোচনা শেষে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতামূলক ভিডিও ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

20/10/2025

বিএমইউতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠানে
সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।

ভিডিওতে দেখুন—
তিনি কীভাবে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা প্র্যাকটিসের মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন—

“সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতে হবে, কারণ প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাই স্বাস্থ্যসেবাকে বিজ্ঞাননির্ভর ও স্বচ্ছ করে।”

অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমের নেতৃত্বে বিএমইউ আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ‘Evidence Ambassador’ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্যখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

20/10/2025

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)
World Evidence-Based Healthcare Day 2025

বিএমইউতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠানে

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান।

ভিডিওতে দেখুন—
তিনি কীভাবে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চাকে স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং বিএমইউকে ভবিষ্যতের “ইভিডেন্স-জেনারেটিং ইউনিভার্সিটি” হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

“ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫” উদযাপন করল বিএমইউঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫:অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহয...
20/10/2025

“ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫” উদযাপন করল বিএমইউ

ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫:
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো “ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫”। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, ই-পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও নানাবিধ একাডেমিক কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ই-পোস্টার প্রেজেন্টেশন, মাস্টার প্রেজেন্টেশন ও ফেলো প্রেজেন্টেশন। মাস্টার প্রেজেন্টেশনে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইউ বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মোজাম্মেল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবীব।

তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় “Evidence-Based Healthcare Practice in Bangladesh: Hopes and Despair” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এ পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এস.এম.এ. ফায়েজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

বিতর্কে টিম ‘এ’-এর নেতৃত্ব দেন বিএমইউর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন এবং টিম ‘বি’-এর নেতৃত্ব দেন ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মোঃ আহসান হাবীব। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর এবং অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ।

অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের প্রফেসর ব্রেইন অংগুস “Evidence-Based Medicine and Clinical Audit” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দিনব্যাপী কার্যক্রম শেষে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন।

20/10/2025

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাচর্চায় রোগীর অধিকার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তনের আহ্বান

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় বিএমইউতে প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫ উদযাপিতপ্রমাণভিত্তিক...
20/10/2025

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় বিএমইউতে প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫ উদযাপিত

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাচর্চায় রোগীর অধিকার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তনের আহ্বান

ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫:
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো “ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫”।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, ই-পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাচর্চা রোগীর অধিকার নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তন আনা, চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস ও বিজ্ঞাননির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে আস্থা পুনঃস্থাপন, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় মানোন্নয়ন এবং জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থায় স্থায়িত্ব আনতে সহায়ক হবে বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

এবারের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল—
“Collaborative Knowledge Communication Reflects the Very Essence of Modern Healthcare and Education: Collaborative, Inclusive and Built on Trust.”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,

“মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিএমইউ পথ দেখাবে। বিএমইউর গবেষণা হবে এমন যা প্রমাণ তৈরি করবে, সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই তৈরি হবে চিকিৎসা গাইডলাইন। বিএমইউর শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের প্রজ্ঞার উচ্চস্তরে উন্নীত হতে হবে, যা বিএমইউকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করবে। বর্তমান সরকার বিজ্ঞানমুখী, কল্যাণমুখী ও মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএমইউ এবং এর সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ সেই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে।”

সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন,

“সত্য ও ন্যায়ের পথে যারা থাকেন, তারা সংখ্যায় কম হলেও তাঁদেরকেই এগিয়ে থাকতে হয়। অধিকাংশ রোগী চায় চিকিৎসা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবায় একপাশে থাকে রোগী, অন্যপাশে বিজ্ঞান। চিকিৎসককে নিজের প্রজ্ঞা, তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদান করতে হয়। এটি প্রমাণিত যে, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা কমে এবং মৃত্যুহার হ্রাস পায়।”

তিনি আরও বলেন,

“প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাচর্চা রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে আস্থার সেতুবন্ধন গড়ে তোলে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, কোন রোগীকে কোন অবস্থায় কী ওষুধ বা পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে—সেটি সবাই জানতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপকের চিকিৎসা সিদ্ধান্তের যুক্তি বুঝতে পারে, যা জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চিকিৎসকদের কাজ হলো নিত্যনতুন জ্ঞান অর্জন ও সেই জ্ঞানের প্রসার ঘটানো।”

অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম আরও জানান,

“বাংলাদেশে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন সম্পন্ন হয়েছে—বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) ২০২৫ সালের জন্য ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে কর্তৃক ‘ইভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বিএমইউর গবেষণা উৎকর্ষতা, তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা প্রচারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”

বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। তিনি বলেন,

“টেকসই ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা অপরিহার্য।”

এছাড়া বক্তৃতা করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এবং প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের পেশাগত সততা বজায় রেখে প্রেসক্রিপশনে এমন ওষুধ লেখা উচিত নয় যা পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। রোগীরা যেন বঞ্চনা, প্রতারণা ও অবহেলার শিকার না হন, সে বিষয়ে সকল চিকিৎসককে সতর্ক থাকতে হবে। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চার অঙ্গীকার হলো—যথাযথ জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান, রোগীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসক সমাজের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার খানম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীন-ই-মুজাহিদ মোহাম্মদ ফারুক ওসমানী।

সেমিনার, পোস্টার ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ই-পোস্টার প্রেজেন্টেশন, মাস্টার প্রেজেন্টেশন ও ফেলো প্রেজেন্টেশন।
মাস্টার প্রেজেন্টেশনে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মোজাম্মেল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবীব।

তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় “Evidence-Based Healthcare Practice in Bangladesh: Hopes and Despair” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
এই পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এস.এম.এ. ফায়েজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

বিতর্কের টিম ‘এ’-এর নেতৃত্ব দেন বিএমইউর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন এবং টিম ‘বি’-এর নেতৃত্ব দেন ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মোঃ আহসান হাবীব।
বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর ও অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ।

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের প্রফেসর ব্রেইন অংগুস “Evidence-Based Medicine and Clinical Audit” বিষয়ে কী-নোট উপস্থাপন করেন।
সবশেষে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন।

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাচর্চার পথে বিএমইউ

বিশিষ্ট লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ও বিএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইভিডেন্স-বেইসড মেডিসিন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।
বিএমইউসহ অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দেড় শতাধিক শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা প্র্যাকটিস চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, চিকিৎসায় বৈচিত্র্য কমানো এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
একই সঙ্গে মেডিক্যাল অডিট ও ক্লিনিক্যাল অডিটের জ্ঞান বিস্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত পরিবর্তন সাধন সম্ভব হবে।
এই বাস্তবতায় ওয়ার্ল্ড ইভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার ডে ২০২৫ উদযাপন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে এক বিশেষ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে “Precision Oncology in Ovarian Cancer” বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিতপ্রিসিশন অনকোলজি ...
18/10/2025

বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে “Precision Oncology in Ovarian Cancer” বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রিসিশন অনকোলজি ক্যান্সার চিকিৎসায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে — বিশেষজ্ঞদের অভিমত

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫:
বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ)–এর গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগ আয়োজিত “Precision Oncology in Ovarian Cancer: Molecular Profiling & Targeted Therapy” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সেমিনার আজ শনিবার শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞগণ বলেন, প্রিসিশন অনকোলজি আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। মলিকুলার প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে, যা ক্যান্সার চিকিৎসার সাফল্য ও রোগীর বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করছে। টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির সংযোজন ইতোমধ্যেই ওভারিয়ান ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রিসিশন অনকোলজির গুরুত্ব, ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এর অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমইউ–এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সৈয়দ মো. হোসেন। তিনি আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসায় টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ও মলিকুলার প্রোফাইলিংয়ের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. ফাওজিয়া হোসেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিডারস–সিনাই মেডিকেল সেন্টার (লস অ্যাঞ্জেলেস) এবং CHLA (Center for Cancer & Blood Disease)–এর সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ও পেডিয়াট্রিক সার্জন প্রফেসর ডা. তাসনিম আরা। তিনি ওভারিয়ান ক্যান্সারের মলিকুলার প্রোফাইলিং, টার্গেটেড থেরাপি ও প্রিসিশন অনকোলজির সাম্প্রতিক অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান (গাইনী অনকোলজি) অধ্যাপক ডা. বেগম রোকেয়া আনোয়ার।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. রিফাত রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ) ও সহকারী প্রক্টর, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি।

বিএমইউ প্রশাসনের সাথে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সভা অনুষ্ঠিতবাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আ...
18/10/2025

বিএমইউ প্রশাসনের সাথে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আজ শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডীনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমইউ-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। সভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম।

সভায় বিএমইউ-এর শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রমের মানোন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমকে আরও জোরদার ও সুনিশ্চিত করা, বেতার ভবনের সঠিক ও কার্যকর ব্যবহার, অনলাইন সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, নৈতিক চর্চা ও ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি) সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রশাসন ও বিভাগীয় পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিএমইউতে ‘ইসলামী চিকিৎসা শিক্ষার বিবর্তন ও নৈতিক অনুশীলন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিতঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫:বাংলাদেশ মেডিকেল ...
18/10/2025

বিএমইউতে ‘ইসলামী চিকিৎসা শিক্ষার বিবর্তন ও নৈতিক অনুশীলন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫:
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর উদ্যোগে আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে “ইসলামী চিকিৎসা শিক্ষার বিবর্তন ও নৈতিক অনুশীলন (Evolution of Islamic Medical Education & Ethical Practice)” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিকিৎসা শিক্ষাবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (International Institute of Islamic Thought - IIIT)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ও কিং ফাহাদ মেডিক্যাল সিটি-র ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. ওমর হাসান কাসুলে। তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন “Evolution of Islamic Medical Education & Ethical Practice” শীর্ষক বিষয়ে।

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর কাসুলে চিকিৎসা শিক্ষায় ইসলামী নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ ও আধুনিক বিজ্ঞানের সংমিশ্রণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আলোচনার পর তিনি উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন,

“মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আমাদের পৃথিবীতে খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। ধর্মকে জনকল্যাণে ও চিকিৎসা সেবায় প্রয়োগ করতে হবে। চিকিৎসকদের নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে রোগীর কষ্ট অনুধাবন করে মানবিক সেবা প্রদানই ইসলামী চিকিৎসা শিক্ষার মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, ইসলামী নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা পরিচালিত হলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং গবেষণাক্ষেত্রেও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।

সেমিনারটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়, যা পাঠ করেন হেপাটোলজি বিভাগের ফেজ-বি রেসিডেন্ট ডা. আল মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, এবং অধ্যাপক ডা. আবু খুলদুন আল মাহমুদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিউম্যাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শোয়েব মোমেন মজুমদার।

সেমিনারের শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BMU) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (IIIT, USA)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়, যা ভবিষ্যতে গবেষণা ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিএমইউতে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ২০২৫ উদযাপিতআর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সচেতনতা, ফিজিওথেরাপি ও জীবনযাপনের পরিবর্তনের ওপর জোরবা...
12/10/2025

বিএমইউতে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ২০২৫ উদযাপিত

আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সচেতনতা, ফিজিওথেরাপি ও জীবনযাপনের পরিবর্তনের ওপর জোর

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ আজ রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লক ‘সি’-তে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল — “প্রতিটি সুস্থ পদক্ষেপে, আমরা আছি তোমার সাথে।”

অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে আর্থ্রাইটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগীর জীবনমান উন্নত করা।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম. এ. শাকুর। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আর্থ্রাইটিস সমস্যার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “সময়মতো চিকিৎসা, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি এবং জয়েন্টের যত্ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথা ও অক্ষমতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।”

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৫৭টি রোবট, যার মধ্যে ১০টি রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সমৃদ্ধ। এসব রোবটের মাধ্যমে রিউমাটোলজিক্যাল, অর্থোপেডিক ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম. এ. কে. আজাদ, জেনারেল সেক্রেটারি, ইঝচগজ, এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম নবী। তারা বলেন, “আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি।”

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাদিম কামাল, সেক্রেটারি, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন, ইঝচগজ, তার বক্তব্যে বলেন, “আর্থ্রাইটিস ব্যবস্থাপনায় শুধু ওষুধ নয়, রোগীর জীবনধারা পরিবর্তন ও সামাজিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”

অনুষ্ঠানের শেষাংশে সচেতনতামূলক র‌্যালি ও তথ্যবহুল লিফলেট বিতরণের আয়োজন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

সহায়তায়: ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

Address

Shahbag
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Super Specialized Hospital-BMU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Super Specialized Hospital-BMU:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category