11/07/2025
রাজধানীর একসময় জনপ্রিয় বইয়ের দোকানগুলো এখন হারিয়ে গেছে ঝাঁ–চকচকে অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। অমর একুশে বইমেলায়ও বিক্রির হার আগের তুলনায় কমে গেছে, ফলে অনেক প্রকাশনী নতুন বই প্রকাশে আগ্রহ হারাচ্ছে। পাঠাগারগুলোতেও দেখা যাচ্ছে বইপড়ুয়া মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
💡 কারণসমূহ
প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও বিনোদনের ধরন বদলে যাওয়ায় পাঠের অভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এখন সাহিত্যকর্মের বদলে তথ্যভিত্তিক বইয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। অন্যদিকে, প্রকাশকেরা মনে করেন মানসম্পন্ন বই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে না পারায় আগ্রহ কমছে।
📉 বিক্রির তথ্য
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের বইমেলায় বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮২ কোটি টাকার বই, আর ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকায়—অর্থাৎ বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। যদিও অংশগ্রহণকারী প্রকাশনীর সংখ্যা বেড়েছে, বিক্রির এই পতন পাঠকবিমুখতার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
🌍 আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে, ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বইপড়ায় ৯৭তম। গড়ে একজন মানুষ বছরে তিনটিরও কম বই পড়েন।
🧠 সম্ভাব্য প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঠের এই হ্রাস কেবল সাহিত্যপ্রেমে নয়, বরং সমাজের সংবেদনশীলতা, চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলতে পারে।