শরীফ হোমিও কেয়ার

শরীফ হোমিও কেয়ার মানবসেবা ই একমাত্র ব্রত...........

22/01/2019

Calendula Officinalis
পরিচয়ঃ ইহার অপর নাম মেরিগোল্ড বা গাদা।
মূল কথাঃ
হোমিওপ্যাথিতে ইহা সর্বশ্রেষ্ঠ এন্টিসেপটিক।
ক্যান্সার জনিত প্রবল রক্তস্রাব (জার্মানিতে ইহাকে ?
ক্যান্সার মিউর? নাম দেয়া হয়েছে।
আঘাতের ফলে শরীরের যে কোন স্থানের
চর্ম, মাংসপেশী থেঁতলাইয়া ছিন্ন ভিন্ন হইয়া ক্ষতস্থান
হতে প্রচুর রক্তস্রাব ও যন্ত্রণা।
পুড়িয়া যাওয়া বা অপারেশনের পর অতিরিক্ত পূঁজ জমিলে।
কাটিয়া যাওয়া বা ক্ষতস্থান হতে রক্তস্রাব।
ব্যবহারস্থলঃ প্রায় সকল প্রকার ক্ষতেই ব্যবহৃত হয়।
ক্যালেন্ডুলাকে হোমিওপ্যাথিক অ্যান্টিসেপটিক ঔষধ
বলা হয়। হঠাৎ কোন স্থান কাটিয়া গেলে বা ছিড়িয়া
গেলে ইহার লোশন লাগাইয়া বাধিয়া দিলে সঙ্গে
সঙ্গে রক্তপড়া এবং পুঁজোৎপত্তি বন্ধ হয়।
ক্যালেন্ডুলার ক্ষতাদি আরোগ্য করিবার ক্ষমতা
অসীম। ক্যালেন্ডুলার লোশন ও মলম পচা ঘায়ে
ব্যবহারে বিশষ ফল হয়।
দাঁত তুলিবার ফলে রক্তস্রাব হইতে থাকিলে ইহা জলে
মিশ্রিত করিয়া কুলকুচা করিলে রক্তস্রাব বন্ধ হয়। কোন
স্থান কাটিয়া গেলে, আঘাত লাগিয়া ছিন্নভিন্ন হইয়া
গেলে বা অন্য কোন প্রকারে ঘা হইলে জলের
সহিত ক্যালেন্ডুলা মূল অরিষ্ট বাহ্য প্রয়োগে উক্ত
স্থানে পুঁজ জন্মিতে পারে না এবং শীঘ্র আরোগ্য
হইয়া যায়।
বৃদ্ধিঃ মেঘাচ্ছন্ন্ ও ঝড়বৃষ্টির দিনে বৃদ্ধি।
ক্রিয়ানাশকঃহিপার
লক্ষণ সূত্রঃএম, ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-২১৭, এন, সি ঘোষ:
পৃষ্ঠা-১৯৭, উইলিয়াম বোরিক: পৃষ্ঠা-১১০, নরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-৪৭৫, অতুল কৃষ্ণ দত্ত:
পৃষ্ঠা-২৮৫, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-২২৬, এইচ. সি এলেন:
পৃষ্ঠা-৭৬, জন হেনরি ক্লার্ক: পৃষ্ঠা-৩৫৬ ।

08/08/2018

মেটেরিয়া মেডিকা আয়ত্বের কৌশল (পর্ব-১):
সুস্থদেহে ঔষধ পরীক্ষা করে প্রাপ্ত লক্ষণরাজিকে যে পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ,সে পুস্তককে মেটেরিয়া মেডিকা (মেডিসিনের বই) বলা হয়।
মেটিরিয়া মেডিকাতে অজস্র ঔষধ রয়েছে,যেগুলোর বর্ণনায় রয়েছে শ' থেকে শুরু করে হাজারো লক্ষণের সন্নিবেশ।হোমিওপ্যাথির ঔষধ ভান্ডারে প্রতিটি ঔষধের অজস্র লক্ষণ আয়ত্বের মাধ্যমে ঔষধ চরিত্র আয়ত্ব করতে গিয়ে নবীন শিক্ষণবীশরা অথৈ সাগরে হাবুডুবু খায়।আমি এমনও দেখেছি যে,অনেক শিক্ষার্থী হোমিওপ্যাথি পড়াই ছেড়ে দিয়েছে।অনেক শিক্ষার্থী আবার ঔষধের লক্ষণ মুখস্থ করতে গিয়ে একসময় ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ে দিয়ে থাকে।এক্ষেত্রে মেটেরিয়া মেডিকা আয়ত্ব সম্পর্কিত ডা.কেন্টের একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য।"It not can memorized but can understand"-অর্থাত্ এটি মুখস্থ করার বিষয় নয় ,উপলব্ধির বিষয়।মেটিরিয়া মেডিকা আয়ত্বের একটি কৌশল হল-"ঔষধের সোর্সের সাথে ঔষধের প্রুভিঙ সিম্পটনের সাদৃশ্য মিলিয়ে ঔষধের লক্ষণ মনে রাখা"।
আসুন এবার দেখে নিই ঔষধের সাথে মিলিয়ে কিভাবে ঔষধের লক্ষণ আয়ত্ব করব।
শুরু করছি Abrotenum (এব্রোটেনাম) দিয়ে।
লতানো উদ্ভিদ থেকে এ ঔষধটি তৈরি করা হয়।এ ঔষধের রোগীদের পা দু'টো অনেক চিকন (যেন লতার মত)।
Cocculus Indicus (ককুলাস ইন্ডিকাস) :
এটি উদ্ভিজ্জ ঔষধ।এ উদ্ভিদটিকে খাদ্যের সাথে মিশিয়ে জেলেরা নদীতে নিক্ষেপ করে,যা খেয়ে মাছ আর নড়াচড়া করতে পারে না ,প্যারালাইজড হয়ে যায়।সাদৃশ্যপৃর্ণ লক্ষণ হল : পক্ষাঘাত উত্পন্ন হওয়া অর্থাত্ ঔষধটি প্রুভিঙের সময় প্রুভারদের পক্ষাঘাত উত্পন্ন করেছিল।তাই এই ঔষধ দিয়ে আনুষাঙ্গিক লক্ষণ মিলিয়ে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা করা হয়।
Cedron (সিড্রণ) :
ডা: হেলবার্টকে একটি কোরাল সাপে কামড় দিয়েছিল।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর হার্ট ও গলার মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়।তাঁর কাঁধে ঝুলানো ব্যাগের মধ্যে সিড্রণ ছিল ; তিনি মটরদানার সমপরিমাণ সিড্রণ চিবান এবং ক্ষতে বাহ্যিক প্রয়োগ করেন। পরবর্তী সিকি ঘন্টার মধ্যে সামান্য শূল ব্যথা অনুভব করেন।যা সামান্য অংশ খাওয়ার পর সম্পূর্ণ ব্যথা চলে যায়।
সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাপার-
ক্লিনিক্যালক্ষেত্রে সর্পদংশনে এ ঔষধটি প্রথমশ্রেণির অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
Rhus Tox (রাসটক্স) :
রাসটক্স বা ছাই বিষ উদ্ভিদের পাতা থেকে রাত্রিকালে একধরণের Poisoness V***r (বিষাক্ত বাষ্প)-নির্গত হয়।আর রাতে কেউ যদি ঐ গাছের নিকটবর্তী হয় তাহলে বিষাক্ত বাষ্প কর্তৃক আক্রান্ত হয়।তাই Rhus Tox-এর রোগীদের ক্ষেত্রেও রাত্রিকালে বৃদ্ধি (Night Aggravation)-দেখতে পাওয়া যায়।
Thuja (থুজা):
একজন ধর্মযাজক হ্যানিম্যানের নিকট চিকিত্সার জন্য আসলেন।উক্ত যাজকের সমস্ত লক্ষণ ছিল গণোরিয়া রোগীর ন্যায়।ডাক্তার হ্যানিম্যান যাজকের এ রোগ সৃষ্টির পিছনে কোন উত্তেজক কারণ বা যৌনমিলনের ইতিহাস পেলেননা।একসময় তিনি জানতে পারলেন থুজা গাছের অংশবিশেষ চিবানোর পরবর্তীতে ঐ যাজক সাহেবের গণোরিয়ার ন্যায় লক্ষণ দেখা দিয়েছে।আর বর্তমানে থুজা ঔষধটি গণোরিয়ার ন্যায় লক্ষণযুক্ত রোগীদের চিকিত্সায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
Coca (কোকা) :
কোকা উদ্ভিদটি পর্বতের উপর জন্মায়।পর্বত আরোহন করে উক্ত উদ্ভিদটি সংগ্রহ করতে গেলে আপনি নিস্তেজ হয়ে পড়বেন ,আপনার বুক ধড়ফড় করতে থাকবে ও হাপাতে শুরু করে দিবেন।দেখা গেছে, হাপানীর মত অবস্থায় তথা শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড়ানিতে এ ঔষধটি অত্যন্ত কার্যকরী।
Conium (কোনিয়াম) :
প্রসঙ্গ : যেভাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিল কোনিয়াম।
------পৃথিবীর অন্যতম দার্শনিক সক্রেটিসকে হেমলক বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছিল।সক্রেটিসকে বন্দী করার পর জল্লাদ পেয়ালায় করে তাঁর জন্য হেমলক বিষ নিয়ে এলো; বললো-" পান করুন।"সক্রেটিস নির্ভীক চিত্তে পেয়ালাটি নিলেন এবং শান্ত কন্ঠে বললেন,"আমি কি এটা একেবারে গিলে খাব?নাকি মদ্যপানের মত ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খাব?"জল্লাদ উত্তর দিল-"আপনার যেভাবে খুশি আপনি খাবেন,কিন্তু অবশ্যই আমাদের দেয়া পরিমাণমত খাবেন।"-সক্রেটিস ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে "হেমলক"-পান করতে লাগলেন।প্রথম চুমুকের পড়েই তাঁর শিষ্যরা ডুকরে কেঁদে উঠলেন।বিষপান শেষ হলে জল্লাদ সক্রেটিসকে হাঁটার নির্দেশ দিলো;যাতে বিষ ক্রিয়াটা দ্রুত হয়।সক্রেটিস কিছুক্ষণ হাটার পর ডানে বামে টাল খেতে শুরু করলেন;পাশ্ববর্র্তী শিষ্যেরা তাকে ধরে ফেললেন।জল্লাদ এগিয়ে এসে সক্রেটিসের পায়ের পাতায় আঘাত করে জিজ্ঞাসা করল,"কিছু অনুভব করতে পারছেন কি?"সক্রেটিস জবাব দিলেন -"না।"জল্লাদ তার উরুতে আঘাত করে জিজ্ঞেস করলো,"এখানে কিছু অনুভব করতে পারছেন কি?"-তিনি বললেন বিষ যখন আমার হৃদপিন্ড আক্রমণ করবে কেবল তখনই আমি মৃতবরণ করব।"
সক্রেটিস পড়ে যাচ্ছেন দেখে এক শিষ্য তাঁকে ধীরে ধীরে শুইয়ে দিলেন,তাঁর মাথা তুলে নিলেন নিজের কোলে।সক্রেটিস ধীরে ধীরে বললেন-"ক্রিটো-,কুলোপিয়াস নামের এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি মুরগির দাম পাবে,তুমি তাকে দামটা দিয়ে দিও।"ক্রিটো জিজ্ঞেস করলেন,"আমার প্রতি আমার আর কোন নির্দেশ আছে কি?"
ক্রিটো তার জবাব পাননি;সক্রেটিস তার আগেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।
ঘটনাটি নিষ্ঠুর এবং দুঃখজনক হলেও কিন্তু হেমলক (কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম) বিষের একটি পরীক্ষা বা Proving -হয়ে গেছে।
যে গল্পটা আমি আপনাদের বললাম,এখান থেকে কোনিয়াম ম্যাকুলেটামের খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি লক্ষণ পাই।সে দু'টি হল-
১.আক্রমণের গতি নীচ থেকে উপরের দিকে।এবং ২.সর্বাঙ্গ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হলেও রোগীর বোধশক্তি,চিন্তাশক্তি খুব সুন্দর এবং সক্রিয় থাকে।
ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এই দু'টি লক্ষণ যে কত মূল্যবান তা কেবল জানা চিকিত্সকরাই জানেন।অথচ বেশ কিছু ম্যাটেরিয়া মেডিকা খুঁজে প্রথম লক্ষণটি পেলেও আমি দ্বিতীয় লক্ষণটি খুঁজে পাইনি।
Drosera (ড্রসেরা) :
ড্রসেরা উদ্ভিদটির বৈশিষ্ট্যের সাথে প্রুভিঙ এ প্রাপ্ত লক্ষণের সাদৃশ্যসমূহ:
ড্রসেরা উদ্ভিদ রাজ্য হতে প্রাপ্ত একটি এন্টিটিউবারকুলার ঔষধ।ডা.হ্যানিম্যান এই ঔষধটির বিশেষ প্রশংসা করেছেন।
ড্রসেরার দু'টো বৈশিষ্ট্য দিয়ে আজ আমি ড্রসেরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ তুলে ধরছি।
বৈশিষ্ট্য-১: ড্রসেরা পতঙ্গঙূক তথা মাংসাশী উদ্ভিদ।কীট পতঙ্গরা এই উদ্ভিদটির ফাঁদে আটকা পড়ে।
ড্রসেরা উদ্ভিটটিকে যখন প্রভিঙ করা হল তখন দেখা গেল প্রুভারদের মধ্যেও ফাঁদে আটকে যাওয়ার একটি অনুভূতি কাজ করছে।এর প্রতিক্রিয়ায় প্রুভাররা আগ্রাসী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পতঙ্গের ন্যায় ফাঁদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।ফাঁদে আটকে গেলে আরেকটি অনূভূতি সৃষ্টি হয় সেটি হল- সে প্রতারিত হয়েছে।এটা এক ধরনের Delusion বা ভ্রান্তি।

বৈশিষ্ট্য-২: ডা. টেস্টির মতে,ড্রসেরা উদ্ভিদটি আর্দ্র বৃক্ষহীন তৃণভূমিতে (Prairies)- জলাভূমির পাশে জন্মে এবং তৃণভোজী প্রাণীরা একে এড়িয়ে চলে।ডা. Barrich- বলেন, যদি কোন ভেড়া এটি খায়,তখন তারা মারাত্নক কাশিতে আক্রান্ত হয়। এবং কাশতে কাশতে মারা যায়।- এ উদ্ভিদ থেকে প্রভিঙকৃত ঔষধটির মধ্যেও প্রচন্ড কাশির লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
কুকুরের ডাকের মতো শব্দ করে ঘনঘন কাশি।প্রতিবার কাশিতে সামান্য কফ উঠে।কাশতে কাশতে বমি।ড্রসেরার কাশির পৌণঃপৌণিকতা ও তীব্রতা দেখে ডা. ফাটক এর কাশিকে- "হয়রানিমূলক কাশি"-বলে উল্লেখ করেছেন।

মনে রাখার সুবিধার্থে উপরোক্ত কথাগুলো আবারও ফ্লাসব্যাক করছি-
১.ড্রসেরার ফাঁদে পতঙ্গ আটকে যায়।প্রুভারদের মনেও ফাঁদে আটকে গেছে বা ফাঁদে পড়ার অনুভূতি কাজ করে।
২.ড্রসেরা উদ্ভিদটি খেলে ভেড়ারপাল নৈশকাশিতে আক্রান্ত হয়ে কাশতে কাশতে মারা যায়, ড্রসেরা ঔষধটিতে কাশির লক্ষণগুলো Striking Symptom-আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
Lathyrus Sativus (লেথাইরাস স্যাটাইভাস) :
এ ঔষধটি খেসারির ডাল থেকে প্রস্তুতকৃত।খেসারি ডাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। এর ইংরেজি নাম Grass pea বা Chikling vetch এবং বৈজ্ঞানিক নাম Lathyrus sativus L. পুষ্টিগুণ খেসারি ডাল-এ শতকরা প্রায় ২০-২৩ ভাগ আমিষ থাকে। দীর্ঘদিন একটানা খেসারি ডাল খেলে ল্যাথাইরিজম রোগ হয় ¡ কারণ এতে রয়েছে BOAA নামক আমিনো এসিড ¡ আমাদের খাদ্য তালিকায় ডাল একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বিশেষকরে পিয়াজু তৈরিতে এ ডালটি ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।ডালে আছে বেশ পরিমান শর্করা , তেল, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ । ডাল উৎপাদনকারী উদ্ভিদ Fabaceae পরিবারের Papilionaceae উপ-পরিবারের আর্ন্তগত। এসব উদ্ভিদ এর মুলে নাইট্রজেন স্তিতিকারক নডিউল ব্যাক্টেরিয়ার সমাবেশ ঘটে এবং নডিউল তৈরীর মাধ্যমে বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।যার কারনে জমির মাটি উর্বর হয়। ডালের শুধুমাত্র উপকারী দিক নাই কিছু অপকারী দিকও আছে। আমরা খেসারী নামে যে ডাল খাই তার বৈজ্ঞানিক নাম Lathyrus sativus. এই ডাল এ BOAA নামক এক প্রকার এমিনো এসিড তৈরী হয়। এই এমিনো এসিড "ল্যথাইরিজম" নামক পায়ের প্যারালাইসিসের জন্য দায়ী। অধিকদিন এই ডাল খেলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।
খেসারির ডাল থেকে প্রস্তুতকৃত এ ঔষধটি প্যারালাইসিসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ (রোগীর লক্ষণের সাথে মিললে)।
Colocynth (কলোসিন্থ) :
অত্যন্ত তিতা উদ্ভিদ।এ ঔষধের রোগীদের মন অত্যন্ত তিতায় (ঘৃণায়)-পরিপূর্ণ।মন এতটাই তিতা যে, সে সমস্ত কথা নিজের পেটে জমা রেখে দেয় এবং পেটের তীব্র শূলব্যথা বা কলিক পেইনে আক্রান্ত হয়।
আবার, উদরীরোগেও এ ঔষধের রোগীরা মুখে তিতা অনুভব করেন।
Arnica (আর্ণিকা) :
উদ্ভিজ্জ ঔষধ।উদ্ভিদটি পর্বতের উপর জন্মায়।
এ উদ্ভিদটি সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকেই পর্বতের উপর পড়ে গিয়ে ব্যথা পান।
সাদৃশ্যপূর্ণ লক্ষণ :
এ ঔষধটি আঘাতজনিত বা রোগজনিত থ্যাতলানো ব্যথায় ব্যবহার করা হয়।
Urtica Urens (আর্টিকা ইউরেন্স) :
বিশেষ ধরণের বিছুটি পাতা থেকে এ ঔষধটি তৈরি করা হয়।বিছুটি পাতা গায়ে লাগলে চুলকানি শুরু হয়।ছোটবেলায় রাঙামাটিতে থাকাকালীন সময়ে আমি এক ডাক্তারকে বিছুটি পাতা লাগিয়ে দিয়েছিলাম।বেচারা চুলকাতে চুলকাতে কান্না শুরু করে দিয়েছিল।উনার সহকর্মীরা পাউডারসহ অনেককিছু দিয়ে চুলকানি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি (দুঃখিত)।
আপনাদের ছোট একটা টিপস দিয়ে দিচ্ছি,কখনও বিছুটি পাতা চর্মে লাগলে লেবুপাতা কচলে আক্রান্তস্থানে ঘষে ঘষে লাগিয়ে দিবেন।সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি কমে যাবে ।(পরীক্ষিত)।-এটাতো গেল আমার বাস্তব জীবনের একটা ঘটনা।
এবার আর্টিকা ইউরেন্স নিয়ে ম্যাটেরিয়া মেডিকায় প্রাপ্ত আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করছি।ডা.পিয়ার্সের বর্ণনা মতে,একজন মহিলা ৩/৪ বছর বছর যাবত্ কোন সন্তান হয়নি।ঐ মহিলা একবার কোন কারণবশতঃ এই বিছুটি গাছ সিদ্ধ করে দুই আউন্স পরিমাণে খেয়ে ফেলে।এঘটনার পরেই মহিলার স্তন ফুলে একধরণের রস নির্গত হতে থাকে এবং এরপরপরই পরিষ্কার দুগ্ধ নির্গত হতে থাকে।
সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাপার হল-
১. এ ঔষধটি চুলকানিতে তথা চর্মরোগে ব্যবহার করা হয়
২.প্রসবের পর প্রসূতির স্থনে দুধ না আসলেও এ ঔষধটি ব্যবহার করা যায়।
China (চায়না) :
হোমিওপ্যাথি জগতের প্রথম ঔষধ এটি।ডা.হ্যানিম্যান এটি সেবনে কম্পজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন।বর্তমানে হোমিওপ্যাথরা আনুষাঙ্গিক লক্ষণ মিলিয়ে কম্পজ্বরে উক্ত ঔষধটি ব্যবহার করছেন।
Curare (কুরারী) :
তীরের মাথায় এ বিষটি মাখিয়ে শিকারীরা প্রাণী শিকার করেন।প্রবিষ্ট তীরের মাথায় মাখানো বিষ শিকারী প্রাণী যেমন- হরিণের দেহে যখন এ বিষটি প্রবেশ করে তখন হরিণ প্যারালাইজড হয়ে যায়।আর এ বিষটি থেকে প্রস্তুতকৃত ঔষধটিও প্যারালাইজড ,বিশেষতঃ G.B.S. বা গোলেন বেরিস সিনড্রোম নামক উপসর্গে আনুষাঙ্গিক লক্ষণ মিললে রোগীকে প্রয়োগ করে উপকার পাওয়া যায়।
Allium Cepa (এলিয়াম সিপা) :
পেয়াজ থেকে তৈরিকৃত ঔষধ।ঘরের দরজা জানালাবন্ধ করে কাউকে কতকগুলি পেয়াজের খোসা তুলে কুচিকুচি করে কাটতে বলে তার কাছে বসে থাকলেই এলিয়াম সিপার কিছু লক্ষণ পেয়ে যাবেন।যেমন-১.চোখ দিয়ে জল পড়া।
২.ঘরের মধ্যে থাকলে উপসর্গের বৃদ্ধি।
Durba (দুর্ব্বা) :
কোথাও কেটে গেলে দুর্ব্বাঘাস ছেঁচে লাগালে রক্তপাত বন্ধ হয়।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় হল-দুর্ব্বাকে যখন হোমিওপ্যাথিক মতে শক্তিকৃত করা হয় তখন তা রক্তস্রাব আরোগ্যে ব্যবহার করা হয়।
Cannabis Indica(ক্যানাবিস ইন্ডিকা) :
ঔষধটি গাঁজা থেকে তৈরি।অতিরিক্ত গাঁজা ও ভাঙ সেবনের উন্মত্ততায় ঔষধির নিম্নক্রম উপযোগীতার সাথে ব্যবহৃত হয়।একলোক গাঁজা সেবন করে রাতের বেলায় মসজিদের গায়ে পিঠ ঘষছিল।তা একজন পথিকের নজরে আসায় পথিক জিজ্ঞেস করেছিল-"ভাই,মসজিদের দেয়ালে পিঠ ঘষছেন কেন ?" গাঁজাখোরের উত্তর ছিল গাঁজাখুরি ধরণের।সে যা উত্তর দিয়েছিল তার সারমর্ম হল এই যে,দেয়ালটা রাস্তার উপর চলে এসেছে। সে ঐ দেয়ালটা পিঠ দিয়ে ঠেলে রাস্তার পাশে সরিয়ে দিচ্ছে।মূলতঃ গাঁজা সেবনের পরে অনেকের এ ধরণের উদ্ভট চিন্তা বা কল্পনা মাথায় চলে আসে।এগুলোকে ভ্রান্তি বা Delusion.
কেন্টের রেপার্টরী থেকে এ ধরণের কিছু Delusion-আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।-
এ ঔষধের ডেলুশনগুলো হল :
সে নিজেকে একজন রাজকর্মচারী মনে করে,কেউ কেউ নিজেকে রাণী ভাবে,কেউ মনে করে সে ঘোড়ার উপর বসে আছে বা দেয়ালগুলো সরে আসছে,অনেকে আবার নিজেকে করাত মনে করে,কেউ কেউ মনে করে তার উপর বৃষ্টি পড়ছে,অনেকে তার মেরুদন্ডকে ব্যারোমিটার মনে করে,কেউ কেউ নিজেকে প্রেতাত্না মনে করে,থালার মধ্যে তারা দেখে,মনে করে তার বন্ধুরা তাকে ঘিরে রয়েছে,যেন সে সাঁতার কাটছে বা ঘরের মধ্যে আছে,সময়কে অনেক দীর্ঘ মনে হয়,যেন সে অন্য জগতে চলে গেছে,নিজেকে স্বচ্ছ মনে করে,সবকিছুই অবাস্তব মনে হয়,নিজের বমিকে পোকা মনে করে,নিজেকে পয়গম্বর বা অতিমানব মনে করে।যেমন-কেউ নিজেকে যিশু বা কেউ কেউ নিজেকে মাতা মেরি মনে করে।
গাঁজা খেলে যা হয় আরকি !
(চলবে......)
collected

08/08/2018

মেটিরিয়া মেডিকা আয়ত্বের কৌশল :
মেটেরিয়া মেডিকা আয়ত্ব করা বেশ কঠিন।প্রতিটা ঔষধের শত সহস্র লক্ষণ মুখস্ত করা সম্ভব নয় কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করে মেডিসিনগুলোর স্বরূপ উপলব্ধি করা যেতে পারে।
যেমন-
উৎসভিত্তিক অধ্যয়ন।
স্ট্রাইকিং সিম্পটম ভিত্তিক অধ্যয়ন।
আনকমন লক্ষণভিত্তিক অধ্যয়ন।যেমন-একক লক্ষণ,বিরল লক্ষণ,অদ্ভূত লক্ষণ।
মানসিক লক্ষণভিত্তিক অধ্যয়ন।
কনিস্টিটিশনভিত্তিক অধ্যয়ন।
কজেশন এবং স্পেয়ার অব একশনভিত্তিক অধ্যয়ন।
কীনোটভিত্তিক অধ্যয়ন।
একটা ঔষধকে মূলত তিনভাগে ভাগ করে নিতে পারেন-
শারীরিক লক্ষণ
,মানসিক লক্ষণ,
সার্বদৈহিক লক্ষণ(যেমন-ঘাম,ঘুম,লালা,মল,মূত্র,ক্ষুধা,পিপাসা,কাতরতা,হ্রাস,বৃদ্ধি,খাদ্য-ইচ্ছা,অনিচ্ছা,অসহ্য,ঋতুস্রাব,ব্যথার ধরণ)।
---এভাবে ঔষধের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ বিভিন্ন মেটেরিয়া মেডিকা থেকে সংগ্রহ করে ব্যক্তিগত হ্যান্ডনোট তৈরি করে অধ্যয়ন করলে
সুফল পাওয়া যেতে পারে।
collected

04/08/2018

RHUS GLABRA
❄❄❄❄❄
=============

❄ Rhus glabra এনাকার্ডিয়াসি গ্রুপের একটি ওষুধ। এই বোটানিকাল গ্রুপে রয়েছে Rhus toxicodendron ও Anacardium orientale এর মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।
Rhus glabra ওষুধটিও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এ ওষুধের নতুন প্রুভিং হয়েছে। ওষুধটি ভালভাবে অধ্যয়ন ও ক্লিনিক্যালি বহুল ব্যবহার করা দরকার।

❄ নিচে Rhus glabra এর পুরাতন ও নতুন প্রুভিং থেকে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলঃ

-----------------------------------------------------

🌠 সামাজিকতার প্রতি বিতৃষ্ণা, কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না, কথার প্রতিউত্তর দিতেও ইচ্ছে হয় না। অনুভূতিগুলো আক্রান্ত হয়। স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দেখা দেয়। চারদিকের সবকিছুর প্রতি উদাসীনতা; নিজেকে নির্বোধ মনে করে।

🌠 নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয় (epistaxis), বিশেষ করে বাম নাক থেকে। নাকের ভিতর মামড়ী পড়ে। নাকের ভিতর গরম ও শুষ্ক।
=> মাথার পিছনভাগে (occiput) ব্যথা হয়। সকালে ঘুম থেকে মাথাব্যথা নিয়ে ওঠে মাথাব্যথা ব্যায়ামে/শারীরিক শ্রমে কমে।

🌠 দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নি:সরণ।
বলা হয়ে থাকে এই ওষুধ পেটের ভিতরের জীবানু ধ্বংস করে, সেকারনে মল ও বায়ু নিঃসরনে কোন গন্ধ থাকে না।

🌠 মুখে ঘা। সাদা ঘা, মুখের প্রদাহ। স্কারভি। ক্ষত স্পর্শকাতর। মুখে কোন কিছুর স্বাদ পায় না বা ক্ষারের মতো স্বাদ লাগে। ওষুধ খেলে ওষুধের স্বাদ মুখে অনেকক্ষণ লেগে থাকে। মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মুখের ক্ষত।

🌠 ক্ষত হওয়ার প্রবণতা এবং পচন ক্রিয়া শুরু হয়েছে এমন অবস্থায় এটি ভাল কাজ করে।
সকালে ঘুম থেকে জাগার পর গলা থেকে জমাট রক্তের টুকরা বের হয়।

🌠 রোগীর ক্ষুধা থাকে না। পেট ব্যথা যেকোন খাবার বা পানি পানে বৃদ্ধি পায়। নাভীর নিকট ব্যথা করে, ব্যথা চাপে বৃদ্ধি পায়।

🌠 উদরাময় বা আমাশয়ে খুব দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হয়। বিকালে উদরাময় দেখা দেয় এবং সন্ধ্যায় তা আরো বাড়ে। পরে পায়খানা শুষ্ক হয়, বা প্রথম অংশ শুষ্ক পরের অংশ নরম, এরপর পায়খানা স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং আবার ডায়রিয়া দেখা দেয়।

🌠 ঘুম ঠিক মত হয় না। প্রচুর স্বপ্নবহুল ঘুম, ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। স্বপ্ন দেখে আকাশে উড়ে যাচ্ছে।

🌠 দুর্বলতার কারনে প্রচুর ঘাম হয় (china)। ঘুমের সময় ঘাম হয়।

🌠 কোমর ব্যথা, পা ব্যথা এবং অত্যধিক দুর্বলতা, রোগী দুর্বলতায় দাড়াতেই পারে না।

🌠 রোগীর গায়ে জ্বর কিন্তু রোগী শীতবোধ করে, জ্বরে ত্বক শুষ্ক থাকে সাথে পিপাসা থাকে। এবং ঘুমের মধ্যে প্রচুর ঘাম হয়।

🌠 এটা পারদের দোষ নষ্ট করে। সিফিলিস রোগে যেখানে পারদের অপব্যবহার করা হয়েছে সেখানে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
---------------------------
উপরের লক্ষণগুলো বোরিক ও ক্লার্কের মেটেরিয়া মেডিকা থেকে নেয়া হয়েছে।

=================================

⛅⛅ এই ওষুধটি প্রথম প্রোভিং করেছিলেন V.A. Marshall মাদার টিংচার দিয়ে যা এলেনের এনসাইক্লোপিডিয়ায় পাওয়া যায়।
১৯৯৩ সালে ডাক্তার Peter L. Tumminello এর নেতৃত্বে ১২ জন প্রুভারের উপর নতুন করে প্রুভিং করা হয়, যার একজনকে দেয়া হয়েছিল প্লাসেবো। ৩০ শক্তিতে প্রুভিং করা হয়।

সে প্রুভিং থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণাবলী পাওয়া গেছে -

১. অবসন্নতাঃ অত্যন্ত দুর্বল অনুভব, সাথে ঘাম হওয়া। এটা মার্শালের প্রুভিং-এও পাওয়া গিয়েছিল। Chronic Fatigue Syndrome এর একটি ভাল ওষুধ।

২. সময়ঃ সময় জ্ঞানের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সবকিছুতে তাড়া অনুভব করে (যেমনটা রাস টক্স ওষুধে আছে)। দিন তার নিকট অনেক লম্বা মনে হয়।

৩. ফাঁকা অনুভব এবং পরীক্ষাভীতিঃ মন ফাঁকা লাগে, এবং চিন্তা করতে পারে না, কি বলতে হবে বুঝতে পারে না।

৪. ভীরুতাঃ দুর্বল কাপরুষতার অনুভূতি। জীবনের কোন অবস্থায় শক্ত অবস্থানে দাড়াতে পারে না। আত্ম-বিশ্বাসের দারুন অভাব।

৫. প্রচণ্ডতাঃ রোগীর অনুভূতি, চিন্তা, স্বপ্ন ও তাড়ানায় হিংস্রতার প্রকাশ পায়। রোগী একই সাথে নিজের সাথে নিষ্ঠুর কিছু হওয়ারও ভয় পায়।

৬. আত্মা যেন শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেছে এবং অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেছে।

৭. রোগী মনে করে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে, তাকে ঠকানো হয়েছে, তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, সে জন্য সে খুব মর্মাহত হয়। সে কারনে সে তার পেশার মধ্যে কর্তৃত্ব নিতে চায়, নিজেকে সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।

৮. উদাসীনতা। অফিসে যেতে ইচ্ছে করে না, মনে করে অফিসে গিয়ে কি হবে।

১০. পৃথিবীটা তার নিকট কঠিন ও বিপজ্জনক মনে হয়।

১১. মিষ্টি, কাঁচা পেয়াজ, লবন খেতে পছন্দ করে।

১৩. পুরুষের সহবাসে বীর্যস্খলন হয় না।
collected

10/07/2018

*********এব্রোটেনাম**********

১. ডা: কেন্ট বলেছেন “This valuable remedy should be more frequently used." কেন্টের নিকট এটা একটা মূল্যবান ওষুধ এবং এটার ব্যবহার আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত। অথচ এ ওষুধের প্রয়োগক্ষেত্র আমরা খুব কমই পাই।

২. কেন্ট বলেন যে ওষুধটি সাধারণত Bryonia ও Rhus tox যেসব অবস্থা আরোগ্য করে সেসব অবস্থাতেই এটি নির্দেশিত হয়, তবে এ ওষুধের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তিনি বলেন যে Pleurisy রোগে যখন ব্রায়োনিয়া সদৃশ্য মনে হয় এবং ব্রায়োনিয়া (Tyler একোনাইটের কথাও বলেছেন) ব্যর্থ হয় তখন Abrotanum তা আরোগ্য করে। Pleurisy হলো ফুসফুসের আবরনী - pleura এর প্রদাহ, যাকে pleuritis বলা হয়।
আবার Rhus tox এর লক্ষণযুক্ত কোমর ব্যথায় নির্দেশিত হয়। কেন্ট বলেন, “সে কোমর ব্যথায় ভোগে এবং তার লক্ষনাবলী রাতে বৃদ্ধি পায়।” এ লক্ষণটি রাস টক্সে বিদ্যমান।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হাত-পা খুব ব্যথা করে, রোগী হাত পা সঞ্চালনের পর আরাম পায়। (Vithoulkas)।

৩. এব্রোটেনাম শীতকাতর। ঠাণ্ডা বাতাস ও ঠাণ্ডা আদ্র আবহাওয়ার প্রতি সংবেদনশীল। এটাও রাস টক্সের লক্ষণ।

৪. Metastasis (স্থানান্তর) হলো এব্রোটেনামের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। তথাকথিত কোন রোগ দূরীভূত হয়ে (মূলত চাপা পরে) নতুন নামে ভিন্ন রোগ সৃষ্টি করা। যেমন -
- বাতরোগ চাপা পড়ে হার্ট ভয়ানকভাবে আক্রান্ত হয় (লিডাম, ক্যালমিয়া, অরাম মেট)।
- যদি রোগীর মধ্যে উদরাময়ের ইতিহাস পাওয়া যায় এবং অসদৃশ্য নীতিতে যদি উদরাময় বন্ধ করা হয়ে থাকে তবে রোগীর মধ্যে বাত, হার্টের সমস্যা, নাক থেকে রক্তক্ষরণ, রক্তপ্রস্রাব, উদ্বিগ্নতা ও কম্পণ দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের রোগাবস্থায় যদি উদরাময় চাপা পড়ার ইতিহাস পাওয়া যায় তবে এ ওষুধ বিশেষভাবে নির্দেশিত হয়।
- আমরা জানি মাম্পস বা লালাগ্রন্থির প্রদাহ সহজেই পুরুষের অন্ডকোষে স্থানান্তরিত হয় এবং নারীদের স্তনগ্রন্থি ও ডিম্বকোষ আক্রান্ত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে Carbo veg, Pulsatilla ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডাক্তার কেন্ট বলেছেন যে এসব ক্ষেত্রে যখন কার্বো ভেজ ও পালসেটিলা ব্যর্থ হয় তখন এব্রোটেনাম তা আরোগ্য করে।
- উদরাময় চাপা পড়ে অর্শ, তরুণ বাত দেখা দিলে এব্রোটেনাম নির্দেশিত হয় (কেন্ট)।
- বাতরোগ কমে গিয়ে অর্শ দেখা দেওয়া। ((ML Tyler) বারবার পায়খানার বেগ হয়, কিন্তু সামান্য পরিমানে পায়খানা হয় বা রক্ত যায়। (ML Tyler)
- বাতরোগ উদরাময়ের সাথে পর্যায়ক্রমে দেখা দেয়। (Nash)

জর্জ ভিথোলকাস বলেছেন: যখনই মেটাস্ট্যাসিস বা পর্যায়ক্রমে প্যাথলোজিক্যাল অবস্থা (pathological conditions) দেখা যাবে তখনই এব্রোটেনামের কথা প্রথমে চিন্তা করবেন। (Vithoulkas)

ডা: কেন্ট একটা কেস হিস্টরি দিয়েছেন - “একজন মহিলা শয্যাশায়ী ছিলেন, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, উদ্বিগ্নতা, ঠাণ্ডা ঘাম এবং হার্টে খুব ব্যথা হচ্ছিল। রোগীর বন্ধুরা চারপাশে ভীর করে আছেন; তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন। যখন জানা গেল মহিলা এ অবস্থার আগে বেশ কয়েকমাস ধরে এক হাটুতে বাতের ব্যথায় ভোগছিলেন, তখন তিনি ঘরের ভিতরে ক্রাচ নিয়ে হাটাচলা করতেন। বর্তমান কঠিন অবস্থার পূর্বে তিনি উগ্র মালিশ লাগিয়ে সেই হাটুর বাত থেকে আরোগ্য লাভ (?) করেছিলেন। তার স্বাস্থ্য খুব দ্রততার সাথে এব্রোটেনামের সাহায্যে পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল।”

৫. শিশুদের marasmus (মারত্মক অপুষ্টিজনিত রোগ, শিশু জীর্ণশীর্ন হয়ে পড়ে, ক্রনিক ডায়রিয়ায় ভোগে, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, মানসিক খর্বতা প্রকাশ পায়, এবং শিশু বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় না)
রোগে এটি খুব দরকারী। এর শীর্নতা পা থেকে শুরু হয়, ক্রমে উপরের দিকে উঠে এবং মুখমুণ্ডল সবার শেষে শীর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। (যা লাইকো, নেট্রাম মিউর ও সোরিনামের বিপরীত)। (কেন্ট)
ম্যারাসমাসে আক্রান্ত রোগীর ত্বক থলথলে এবং আলগা হয়ে ঝুলে পড়ে। (ML Tyler)।
পেট বড় থাকে। রোগী বেশ খায়, তবুও শুকায়।

৬. রোগীর উদরাময় দেখা দিলে রোগী সব দিক দিয়ে ভাল বোধ করে (সোরিনামের রোগী কোষ্ঠবদ্ধতায় সার্বিকভাবে উপশম বোধ করে)। বাতের সাথে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে। উদরাময় কোনভাবে চাপা পড়লেই রোগীর মধ্যে যন্ত্রনাময় অবস্থার সৃষ্টি হয়।

৭. বালকদের অণ্ডকোষে পানি জমে বৃদ্ধি পেলে (hydrocele) এটিতে আরোগ্য হয়। (কেন্ট)

৮. শিশুদের নাভী থেকে রক্ত গেলে এটি আরোগ্য করে। (কেন্ট)

নবজাতকের নাভী থেকে যখন স্বচ্ছ আঠালো স্রাব (serous) বা রক্তযুক্ত স্রাব বের হতে থাকে তখন Abrotanum প্রায়ই স্পেসিফিক ওষুধ হয়। (Vithoulkas)

৯. Dr. M.L Tyler বলেন এই মূল্যবান ওষুধের সাথে Aethusa cynapium এর কমন কিছু লক্ষণাবলী রয়েছে। দুটি ওষুধে অত্যধিক দুর্বলতা রয়েছে। এরা দাড়িয়ে থাকতে পারে না বা এরা মাথা সোজা করে রাখতে পারে না।
এব্রোটেনামের শিশুরা দুধে জাল দেয়া ব্রেড খেতে পছন্দ করে। আর এথুজায় দুধ সহ্য হয় না। এব্রোটেনামে ক্ষুধা বেশি। উভয় ওষুধেই রয়েছে চিন্তাভাবনা করার অসমর্থতা এবং কোন বিষয় সহজে অনুধাবন না করতে পারার লক্ষণ।”
এব্রোটেনামের রোগী প্রচুর খায় তারপরও শুকিয়া যায়। (তবে ক্ষুধাহীণতাও থাকতে পারে)। (ML Tyler)
এব্রোটেনাম মিষ্টি পছন্দ করে না। (Vithoulkas)

১০. এব্রোটেনাম অত্যন্ত খিটখিটে মেজাজের, বদমেজাজি; তার আচার ব্যবহার ভাল না; এমনকি উগ্র স্বভাবের এবং অমানুষ হয়ে থাকে। তার মধ্যে কোন মানবতা থাকে না। নিষ্ঠুরতা পছন্দ করে। (ML Tyler)

মেজাজের পরিবর্তনশীলতা। একসময় খিটখিটে, আলাপ আলোচনায় বিমুখ, আবার অন্য সময়ে আচরণ খুব ভদ্র, বিশেষ করে যাদের সে পছন্দ করে তাদের সাথে ভাল আচরণ করে। তারা হাসিখুশি, উৎফুল্ল ও বাঁচাল হতে পারে। (ভিথোলকাস)

উদ্বিগ্নতা, পূর্বানুমানজনিত ভয়, সে ভয় করে যে তার ব্রেইনের শক্তি হারিয়ে যাবে। বোকাটে হয়ে পড়ার ভয়। তারা এমন করে কারণ তারা তাদের মানসিক স্থবিরতা সম্পর্কে জানে। মনে করে তাদের দ্বারা কোন মানসিক পরিশ্রম হবে না, সেকারনে কোন মানসিক পরিশ্রমে আগ্রহী হয় না, সামান্য মানসিক শ্রম, এমনকি অপরের সাথে বাক্যালাপেও অবসন্ন হয়ে পড়ে। (Vithoulkas)

উদ্বিগ্নপূর্ণ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নে ভয় পেয়ে জেগে উঠে। ভয় ও উদ্বিগ্নতা তার ভিতরে কম্পন সৃষ্টি করে। (Vithoulkas)

১১. অত্যধিক দুর্বলতা এবং অবসন্নতার (prostration) সাথে hectic fever; শিশুরা ইনফ্লুয়েঞ্জার পর এ লক্ষনে আক্রান্ত হয়। [hectic fever: প্রতিদিন জ্বর দেখা দেয়, সাথে ঘাম, শীতার্ততা ও মুখমণ্ডলে রক্তিমতা থাকে] (ML Tyler)

১২. অত্যধিক চুলকানীযুক্ত chilblains (আদ্র ঠাণ্ডার সংস্পর্শে আসার কারনে প্রদাহ হয় এবং এর উক্ত স্থান চুলকায়। হাত, পা, কানে সাধারণত দেখা যায়)। (ML Tyler)

১৩. Gout (শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধিজনিত কারণে গেটে বাত); কব্জি ও পায়ের গোড়ালীর জয়েন্টে প্রদাহ হয় এবং ব্যথা দেখা দেয়। (ML Tyler)

১৪. এব্রোটেনামের রোগী দেহ থেকে কোন স্রাব বন্ধ হওয়া সহ্য করতে পারে না। যখনই কোন স্রাব বন্ধ হয় তখনই আরো গভীর থেকে গভীর আভ্যন্তরীন গোলযোগ দেখা দেয়। অর্শ চাপা পড়ার পর হার্টের লক্ষণ প্রকাশ পায় অথবা ulcerative colitis দেখা দেয়া শুরু করে। (Vithoulkas)

১৫. T.B vaccine দেয়ার পর anaphylactic reaction হলে এব্রোটেনাম বিবেচ্য। (ভিথোলকাস)

১৬. শিশুরা খিটখিটে, একগুয়ে ও বিষাদগ্রস্ত। সে অন্যদের পাশে চুপচাপ বসে থাকে কোন কাজে অংশগ্রহণ করে না। শিশুরা ভোতা, আলস্য অনুভব করে, এবং কোন কিছু সহজে বুঝতে পারে না। (Vithoulkas)
শিশুরা যখন জীর্ণশীর্ন হয়ে পড়ে তখন মনমরা ও হতাশ হয়ে পড়ে। প্রচুর খায় তবুও চিকন হয়ে যায়। চেহারা দেখতে বয়সের তুলনায় বুড়া দেখায়। (Vithoulkas)।

১৭. মুখের angioma, শিশুদের hemangioma রোগে এটি সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। (Vithoulkas)।

১৮. শেষে একটা অদ্ভুত লক্ষণ: যখন শুয়ে থাকে তখন সে শুনতে পায় যে দূরে কেউ কথা বলছে। কিন্তু যখন মনোযোগ দিয়ে কথা শুনতে চেষ্টা করে তখন আর এটা শুনতে পায় না। যখন মনোযোগ দূরে সরে যায় তখন তার এই ভ্রান্ত-বিশ্বাস আবার ফিরে আসে।

from Mohammad Mohshinuzzaman

08/05/2018

হোমিওপ্যাথিক - শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতব্য বিষয়

কোন চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি শিক্ষা করবার জন্য ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর কাছে আবেদন করলে, হ্যানিম্যান ঐ শিক্ষার্থীকে প্রথমে কোন কোন বিষয়ে যাচাই করে নিতেন তা তাঁর স্বহস্তে – লিখিত একটি পত্রে জানা যায় । পত্রটির অনুবাদ নীচে দেওয়া হলো –
প্রিয় ,
আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুশি হলাম । আপনার ইচ্ছামত কয়েকটি প্রশ্ন আপনাকে করি । আমার এই সকল প্রশ্নের উত্তরেই আমি বুঝতে পারবো আপনি হোমিওপ্যাথি মতে চিকিৎসা করতে এবং সকল প্রকার রোগ আরোগ্য করতে কতদূর সমর্থ হবেন ।
* প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, দেহে যে সকল বিকৃতি উপস্থিত হয়, অর্থাৎ রোগীকে যে সকল বিকৃতি থেকে মুক্ত করতে হবে, তা নির্ণয় করবার জন্যে কি উপায় অবলম্বন করবেন ?
* শুধু রোগের নাম শুনেই চিকিৎসক রোগ আরোগ্য করবার জন্যে কি করতে হবে বা হবে না তা বুঝতে পারেন না কেন ? যথা – জ্বর হয়েছে – বললেই তিনি রোগীকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকের মতো তৎক্ষণাৎ ( সিঙ্কোনাছাল ) কুইনাইন দেন না কেন ?
* কোন উপায়ে প্রকৃত চিকিৎসক প্রত্যেক ঔষধের উপকারিতা উপলব্ধি করেন – অর্থাৎ কিরুপ অবস্থায় উহা কার্যকরী ও উপশমকারী তা বুঝতে পারেন ?
* কেনই বা প্রকৃত চিকিৎসক একখানি ব্যবস্থাপত্রে বিবিধ গুন-বিশিষ্ট বহুবিধ ঔষধের সংমিশ্রণ দেখে বিস্মিত হন ?
* কেনই বা তিনি রোগীর দেহ থেকে, শিরা কেটেই হোক অথবা জোঁক, শিং বা কাচপাত্র বসিয়েই হোক, রক্ত- মোক্ষণ করতে দেখলে সিউরে ওঠেন ?
* সর্ব প্রকার বেদনা উপশমের জন্যে এবং উদরাময়ে ও অনিদ্রায় এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগনের অহিফেন প্রয়োগ ব্যবস্থা প্রকৃত চিকিৎসকের নিকট ঘৃনিত হয় কেন ?
* কি জন্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক স্বর্ণ, লৌহাঙ্গার, প্রচলিত লবণ প্রভৃতি অনেকক্ষণ পর্যন্ত চূর্ণ করে ঔষধ-গুন-বিরহিত দুগ্ধ শর্করার সঙ্গে মিশিয়ে দেন এবং ঐ মিশ্রণের অতি অল্প মাত্রা জল ও অ্যালকোহলে দ্রবীভূত করবার পর কিছুক্ষণ নেড়ে ( এরূপ করাকে ডাইনামাইজিন বা শক্তি বিকাশিনী ক্রিয়া বলে ) ঔষধ প্রস্তুত করেন ?
* রোগের শুদ্ধ একটি লক্ষণ দূর করবার জন্যে বিচক্ষণ চিকিৎসকের কেন ওষুধের ব্যবস্থা করা উচিত নয় ?
* ঔষধের লক্ষণের সঙ্গে রোগের বিশেষ লক্ষণগুলি মিলিয়ে ( অর্থাৎ সুস্থ শরীরে কোন ঔষধ ব্যবহার করলে যে সকল লক্ষণ উপস্থিত হয়, তদ্রুপ লক্ষণ সমূহ রোগীর দেহে প্রকাশ পেতে দেখলে, উক্ত ঔষধের দ্বারা সেগুলিকে উপশম হবে বুঝে ) চিকিৎসক ঔষধের অতি সামান্য মাত্রা প্রয়োগে যখন ফল প্রাপ্ত হন তখন তাঁর উক্ত ঔষধের দ্বিতীয় মাত্রা কখনও দেওয়া উচিত ? আর কেমন করেই বা কোন ঔষধ সে সময়ে ব্যবস্থায় তা তিনি বুঝতে পারেন ?
* জনসাধারণের ক্ষতি না করে কখনই ঔষধ-বিক্রেতা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করতে পারেন না কেন ?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেলে বুঝতে পারব, আপনি প্রকৃতপক্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কি না ।

- এস হ্যামিম্যান ।

17/01/2018

THANKS ALL FOR SEE ME

মানবসেবা ই একমাত্র ব্রত...........

20/12/2017

তরুণ তরুণীদের মাঝে দিন দিন যৌন অক্ষমতা ও যৌন বিকৃতি বাড়ছে !! কিন্তু কেন ?

আজকাল ইন্টারনেটে, ফেইসবুকে নানা প্রকার অশ্লীল বা চিত্তাকর্ষক যৌন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ( পুরুষাঙ্গ বড় করা, মিলনে সময় বৃদ্ধি করার ) লোভ দেখিয়ে মারাত্মক ক্ষতিকর ঔষধ বিক্রির মাধ্যমে কিছু প্রতারক তরুনদের যৌন বিকৃতি এবং দিন দিন যৌন ক্ষমতায় অক্ষম করে তুলছে ।

মনে রাখবেন এই সকল যৌন উত্তেজক ঔষধ পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোনো ভুমিকাই পালন করে না । কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে মাত্র । ……….যা আপনার মধ্যে যৌন বিকৃতি সৃষ্টি করবে এবং এক সময় আপনাকে যৌন ক্ষমতায় পুরুপুরি অক্ষম করে তুলবে ।

সাবধান !!!!!! ইন্টারনেটে, ফেইসবুকে যৌন রোগের ( পুরুষাঙ্গ বড় করা, মিলনে সময় বৃদ্ধি করার ) নাম করে বিজ্ঞাপন দেয়া এই সকল প্রতারকদের পাল্লায় পরবেন তো ধ্বংস হয়ে যাবেন । খুব অল্প বয়সেই আপনি আপনার যৌবন হারাবেন । একটি কথা মনে রাখবেন, ন্যাচারাল পুরুষাঙ্গ কখনোই বড় করা যায় না । যারা এই সকল বিজ্ঞাপন দেয় তারা আপনার দুর্বল মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে আপনার সাথে প্রতারণা করছে মাত্র । অথচ পুরু ক্ষতিটা আপনারই হচ্ছে । তাই, যে সকল প্রতারক কমলমতি তরুনদের লোভ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে তাদের থেকে সাবধান হোন ।

হারবাল, কবিরাজি, ইউনানী, ন্যাচারাল ইত্যাদির নাম দিয়ে যারাই আপনাকে যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়ার কথা বলবে, মনে রাখবেন আপনি প্রতারিত হচ্ছেন । আজকাল হারবাল, কবিরাজি, ইউনানী, ন্যাচারাল এই শব্দগুলি যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করার ক্ষেত্রে একটি ফেশন হয়ে দাড়িয়েছে । অথচ এই সকল উত্তেজক ঔষধগুলির অধিকাংশতেই মাদক মেশানো হয় যা কিছু সময়ের জন্য দ্রুত উত্তেজনার সৃষ্টি করে থাকে । কিন্তু এর সুদূর প্রসারী ফলাফল অনেক ভয়ানক । এক সময় আপনি দূরারোগ্য কিডনি এবং লিভার রোগে আক্রান্ত হবেন যা আপনার মৃত্যু ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট ।

মনে রাখবেন, যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই । একবার চিন্তা করুন, ছোট থেকে আপনি যৌবনে প্রদার্পন করলেন কোন সময় এই সকল ঔষধ খাওয়ার দরকার পড়ে নাই, আর তখন আপনার যৌন শক্তি ঠিকই ছিল, অথচ এই সকল প্রতারকদের বিজ্ঞাপন দেখেই আপনার যৌন শক্তির ঔষধ খেতে মন চাইল । কেন ?? সাবধান !!
তবে এটা ঠিক বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে মানুষের শরীরে নানা প্রকার রোগ বাসা বাধতে থাকে এবং তার সাথে সাথে মানুষের জীবনী শক্তিও কমতে থাকে যা মানুষকে যৌনতায় দুর্বল করে তুলে । কিন্তু এর জন্য যদি আপনি যৌন উত্তেজক ঔষধ খেতে থাকেন তাহলে আপনি আরো মরলেন । এটা আদৌ দরকার নেই । মনে রাখবেন যৌন শক্তিটাও আপনার শরীরেরই একটি অংশ । তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার শারীরিক ফিটনেস ঠিক আছে কিনা ? নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করেন কিনা ? সারাদিন কাজ করে শরীরের যে পরিমান ক্ষয় করেন সেই পরিমান শক্তি পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন কিনা ?
আপনি যদি নিয়মিত হাটেন এবং শরীরে কোনো প্রকার রোগকে বাসা বাধতে না দেন, নিয়মিত দুধ, ডিম, মধু এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি কখনই যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না । এটা প্রমানিত সত্য এবং বাস্তব কথা ।
সব শেষে একটি কথা….. যৌনতা নিয়ে এত চিন্তা করার দরকার নেই । আপনি আপনার কাজে কর্মে মনোযোগী হন । আপনার যৌন সংক্রান্ত কোন প্রকার সমস্যা হলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন । এক্ষেত্রে হোমিও হলে সবচেয়ে ভালো । কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পড়ে নিজে নিজে যৌন উত্তেজক ঔষধ কিনে খেয়ে খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না । কারণ এইগুলি খেতে থাকলে কিডনি, লিভার ইত্যাদি বিকল হতে থাকবে এবং এক সময় তা আপনার মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনবে ।

COLLECTED FROM NET

18/12/2017

কিভাবে সহজে মেটেরিয়া মেডিকা পড়বেন ( আমি যেভাবে পড়ি )
একদম প্রথম , দুইটি মেটেরিয়া মেডিকা নিন সাথে একটা নোটবুক/খাতা
(১) হোমিওপ্যাথিক পকেট মেটিরিয়া মেডিকা - ডাঃ রাধারমন বিশ্বাস ও
(২) ঔষধ পরিচয় - ডাঃ নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এবার এই বই থেকে যে মেডিসিন পড়বেন তা বের করুন । ১ নং বইতে পাবেন প্রদর্শক লক্ষন আর ২ নং বইয়ে পাবেন ঔষধ নিয়ে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় এভাবে কথা ( যা ওষুধের প্রধান লক্ষন ) । এই প্রদর্শক ও কথা গুলো লিখে ফেলুন আপনার নোটবুকে । দেখুন একটা ওষুধের মূল লক্ষন গুলো আপনি পেয়ে গেছেন । হয়তো ৪/৫ টি মূল কথা থাকবে যা দিয়ে আপনি ঐ ওষুধকে চিনতে পারবেন । এই মূল লক্ষন ( ৪/৫ টি ) মুখস্ত করে ফেলুন । এবার এই বই দুটি ৩/৪ বার বুজে বুজে পড়ুন ( মুখস্ত না ) , এর ফলে আপনার মুখস্ত করা লক্ষনের ব্যাখ্যা বুজতে পারবেন । ১ ম কাজ শেষ ।
এবার ২ য় কাজ । আরেকটি বই আপনার লাগবে এখন , নামঃ রোগী পর্যবেক্ষন , লেখকঃ ডাঃ এ আলী । যে ওষুধ প্রথম আগের দুইটা বই থেকে পড়ছেন এবার সেই ওষুধটি এই বই থেকে বের করুন । এবং ভালো করে পড়ুন ৩/৪ বার ( মুখস্ত না ) , এতে আপনার প্রাক্টিক্যাল একটা ধারনা এসে যাবে ।
আপনি একটা ওষুধের বেশ ভালো ধারনা পেলেন এবং রোগীদের ক্ষেত্রে কিভাবে প্রয়োগ করবেন তার প্রাক্টিক্যাল ধারনাও পেয়ে গেলেন রোগী পর্যবেক্ষন বইটা থেকে । আপনার প্রাইমারি লেভেল শেষ এবার সেকেন্ডারি লেভেলে যাবো আমরা ।
ভালো লেখকের একটা কম্পারেটিভ মেটিরিয়া মেডিকা নিন । কারন আপনি যে ওষুধের লক্ষন মুখস্ত করেছিলেন দেখা যাবে একই রকম লক্ষন আরো কিছু ওষুধে আছে যাতে আপনি মেডিসিন ঠিকভাবে সিলেক্ট করতে পারেন ও লক্ষনের তুলনা করা পারেন সে জন্য তুলনা মুলক বা কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা লাগবে । এখানে যে লেখক হোক সমস্যা নাই , হাতের কাছে ডাঃ আবু হোসেন সরকারের ' হোমিও কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা ' থাকলেও হবে । এই মেটেরিয়া মেডিকা থেকে আগের ওষুধ বের করে দেখুন আপনার পড়া লক্ষন গুলো পাবেন আরো পাবেন এই লক্ষন আর কোন ওষুধে আছে এবং আপনি অন্য ওষুধ কিভাবে চিহ্নিত করবেন ।
চলার মত জানা আপনার হয়ে গেছে । আরেকটা মেডিসিন আবার আগের নিয়মে পড়ুন ।
জানার শেষ নাই , আরো জানতে ভালো ভালো যত লেখক পান তাদের লেখা মেটেরিয়া মেডিকা গিলতে থাকুন । প্রতিদিন পড়া চালিয়ে যান ।
সবসময় হাতের কাছে রাখুন , ছোটোর মধ্যে এলেনের কিনোটস আর মহিমারন্জন মুখোপাধ্যায়ের ঔষধের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । একটু বড়র মধ্যে রাখুন কেন্টের ও বোরিকের মেটেরিয়া মেডিকা ।
শুভ কামনা আপনার জন্য ।
collected from Md. Faijul Huq

Address

ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা, বাদশা মিয়া স্কুল রোড, কামরাঙ্গীরচর
Dhaka

Opening Hours

Monday 17:30 - 22:00
Tuesday 17:30 - 22:00
Wednesday 17:30 - 22:00
Friday 16:00 - 22:00
Saturday 17:30 - 22:00
Sunday 17:30 - 22:00

Telephone

01933614669

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শরীফ হোমিও কেয়ার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শরীফ হোমিও কেয়ার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category