Major Dr. Abdul Wahab Minar (Rtd)

Major Dr. Abdul Wahab Minar (Rtd) Professor, Dept of Psychiatry,
Kumudini Women's Medical College, Tangail, Dhaka.

29/11/2025

আসসালামুয়ালাইকুম।
সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক মানুষ বান্ধব প্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিন - প্রার্থী যে দলেরই হোক না কেন।

সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করছি।
05/02/2023

সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করছি।

মাদকাসক্ত ও মানসিক রোগীদের সেবাদানকারী অনন্য প্রতিষ্ঠান।
05/02/2023

মাদকাসক্ত ও মানসিক রোগীদের
সেবাদানকারী অনন্য প্রতিষ্ঠান।

28/04/2022

# যাকাত_সাদাকা_অতপর:

আল্লাহ পাক ধনীদের যাকাত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

ধনীদের সম্পদে গরীবের হক রয়েছে।
অভাবীদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন- সাদাকা আদায়ের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ - ধনীদের মধ্যে যাকাত আদায়ের প্রবনতা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারী তহবিলের পরিবর্তে বেসরকারি পর্যায়ে, ব্যক্তিগতভাবে আদায় হচ্ছে বেশি। বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এ কাজে এগিয়ে এসেছে, কাজ করছে। একটা দু'টা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোর কার্যকারিতা এখনো লোকসুমুখে সুস্পষ্ট নয়।

হারাম উপার্জনের টাকায় আবার যাকাত কি?
যারা সূরা তাওবার রেফারেন্স দিয়ে যাকাত আদায়ের তাগিদ দেন তাদের অবশ্যই বিষয়টা পরিষ্কার করা প্রয়োজন যে হারাম উপার্জনে কোন যাকাত আদায় হবে না। তখন ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেবে যে সে হারাম উপার্জন করবে কিনা ! হারাম উপার্জনের প্রবনতা কমবে। বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে যাকাত আদায়কারীদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।

যাকাত আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের সম্পদকে পরিশুদ্ধ করার চিন্তা যারা করছেন, যাকাত আদায় করছেন - আল্লাহ তাদের এই কাজকে কবুল করুন।

আমার কাছে এর পাশাপাশি আরেকটা বিষয় প্রনিধানযোগ্য । যারা সমাজের অবহেলিত, প্রবঞ্চিত, অভাবী মানুষ যাকাত পাবার অধিকারী তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দিনরাত চিন্তা ভাবনা করেন, গবেষণা করেন, ব্যাকুল থাকেন, উৎকণ্ঠায় রাত পার করেন তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। সমাজের সাম্য শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত এই মুজাহিদদের আল্লাহ কবুল করুন।

আল্লাহপ্রেমী যাকাত আদায়কারি সকল ভাই-বোনদের কাছে তাই আমার আকুল আবেদন -
১) হালাল উপার্জনের সম্পদের যাকাত আদায়ের চেষ্টা করুন
২) পাশাপাশি এই সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন প্রণালীর
স্থায়ী পরিবর্তন আনতে চিন্তা ভাবনা করুন, গবেষণা করুন

আল্লাহ আমাদের প্রতিক্ষণের সুচিন্তাকে কবুল করুন।
পরিচ্ছন্ন ও বৃহৎ হৃদয়ের অধিকারী করুন।
আল্লাহর জমিনে বিচরণকারী সকল সৃষ্টির প্রতি সংবেদনশীল হবার তৌফিক দিন।
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে এনে
সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করার সুযোগ দেন।
দেশ মাটি মানুষ নিয়ে চিন্তামগ্ন থাকার সুযোগ দেন।

 #যোগ_বিয়োগজরুরী ভিত্তিতে আরিফ আফিফাকে নিয়ে যায় নদীতীরে কফিশপে। পুরো বিকেলটা জুড়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব সবকিছু এলোমেলো ক...
22/04/2022

#যোগ_বিয়োগ

জরুরী ভিত্তিতে আরিফ আফিফাকে নিয়ে যায় নদীতীরে কফিশপে।
পুরো বিকেলটা জুড়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে যায়। ঝড়ো বাতাস থেমে গেলেও
আকাশে মেঘ ও ফোটা ফোটা বৃষ্টি সন্ধ্যার পর থেকেও আছে। ছাত্রাবাসের সামনে পুকুরের চারদিকে কৃষ্ণচূড়া গাছ সারি সারি। মফস্বলের এই মেডিকেল কলেজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিখ্যাত।
কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি পিচঢালা রাস্তায় পড়ে আছে। এই পথ আরিফের সুপরিচিত। কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি, বর্ষা বাদল আর রবীন্দ্র সংগীতের সুর সব একাকার হয়ে তার মেমোরিতে এনকোডিং হয়ে স্টোরে জমা হয়ে আছে।
রিকশা নিয়ে ইন্টার্নি হোস্টেলের দিকে যেতে যেতে বিগত বছরগুলোর কথা তার মনে পড়ে যায়।

মানুষের জীবনে ছাত্রাবস্থাটা নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
এই বয়সে প্রেম আসে, কারো প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
জীবন নৌকা আদর্শের জোয়ারে যখন ছলাৎ ছলাৎ চলতে থাকে মানবপ্রেম তখন পালের মতো সে গতিকে বাড়িয়ে দেয়। আর সে মানবপ্রেম যদি হয় কোন নারী প্রেম তাহলে গতিশীল জীবনটা হয় অর্থবহ এবং সর্বৈব রঙ্গিন।
তার ছাত্রাবস্থা এবং ইন্টার্ণশিপ ছিল নানা কারণে রঙিন।

হালকা শীত লাগছে। ‌ আশেপাশে ব্যাঙের সুর ধরে ডাকাডাকি। এ পরিবেশ তার পূর্ব পরিচিত। বন্ধুদের সবাই বলতে গেলে ক্যাম্পাস ছেড়ে ঢাকামুখী হয়েছে আরিফ যায়নি দুটো কারণে। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে তার পছন্দের মেডিসিনের প্রফেসরের অধীনে অনারারি প্রশিক্ষণ নেয়া।
প্রধান কারন হচ্ছে আফিফা।
আফিফার প্রতি তার কমিটমেন্ট ও কেয়ারের কোন কমতি নেই তারপরও এই বালিকার ইদানিংকালের অর্বাচীন সমেত আচরণ আরিফের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে।
কথাগুলো ঠান্ডা মাথায় আফিফাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে আজ এই জরুরি তলব। এর আগেও কয়েকবার আফিফাকে ডেকে কথা বলতে চেয়েছে। বসা হয়েছে, কথা হয়েছে কিন্তু আরিফ প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইন্টার্নি হোস্টেলের সামনে রিক্সা দাঁড়ায়।
নাইট ডিউটি করতে যারা হাসপাতালে যাচ্ছে তারা ছাতা মাথায় দ্রুত চলে যাচ্ছে।
আফিফা এসে রিকশায় বসে।
- এই অসময়ে হঠাৎ ডাকাডাকি কেন!
- এমন সময় কি আমরা কখনও বের হইনি?
দু'কানের পাশ থেকে চুলটা সরিয়ে দুই হাতের তালু ঘষতে ঘষতে আফিফা বলে- না ঠিক তেমনটা না। বের হয়েছি বহুবার কিন্তু এমন হঠাৎ করে খুব একটা ডাকনিতো তাই!
বল কি এমন জরুরী কথা?
- বলব।‌ শরীর কেমন তোমার?
- আমার শরীর বেশ ভালো। গতকালই তো দেখা হলো।
রাতে কথা হল, দুপুরে টেক্সটিং হল।
খারাপ হলে তো তোমাকে বলতাম- জানতেই।
তোমার কি হয়েছে বলোতো! তোমার কন্ঠ এরকম কেন?
এরপর আরিফের কন্ঠ থেকে আর কোন কথা বের হয় না।
অতি স্পর্শকাতর ও আবেগি মা মরা এই ছেলেটি কোনদিন মেয়েদের সাথে সখ্যতা করেনি। প্রেম ভালোবাসার কোন কিছু তার জীবনে ছিল না।
আফিফা যখন ফিফথ ইয়ারে উঠে তখন এক বছরের সিনিয়র আরিফ ভাইকে সে তার ভালোলাগার কথা জানায়। এই প্রপোজাল রিসিভ করতে আরিফের চার মাস সময় লেগে যায়।
"এমন একটা অস্থির সময় তোমার সাথে দেখা হল"
কসুর সিনেমার এই গানটি প্রতিদিন আফিফা আরিফকে পাঠাতো।

বৃষ্টি পুরো থেমে গেছে।
নদী পাড়ে অসাধারণ দৃশ্য। পূব আকাশে লাল চাঁদ উঠেছে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে এই কাফেটি ভর্তি থাকে।
রিভারভিউ সিটগুলো কখনো খালি পাওয়া যায় না।
আজ নিচতলা উপর তলা প্রায় শূন্য।
পেঁচানো পেঁচানো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে আরিফ খেয়াল করল নিচতলার জুটিটা তর্কাতর্কি করছে।
তারা রিভারভিউ একটা টেবিলে গিয়ে বসে।
- বাহ চমৎকার ওয়েদার। কি খাবে বলো।
- আমি তোমাকে ডেকেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়।
এতক্ষণ পর আফিফা নিশ্চিত হয়ে যায় কোন কারনে আরিফের মন খারাপ এবং সত্যি সত্যি সে আসিফাকে কিছু বলতে চায়।
- ওকে ঠিক আছে। দুটো কফির অর্ডার দাও।
আচ্ছা বলো তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো শুনি।

- জীবন কি যোগ বিয়োগ দিয়ে চলে?
- শুধু যোগ-বিয়োগ নয় পূরন ভাগও বসাতে হয় জীবনকে কাটাকুটি করে সঠিক পথে রাখার জন্য, গতিশীল করার জন্য।
- বটে। কিন্তু তুমি যেভাবে প্রতিটা প্রসঙ্গে হিসেব নিকেশ করো সেটা আমার জন্য অসহনীয় কষ্টের এবং অত্যন্ত বেদনার।
- যেমন?
- যেমন গতকাল আমি ওয়ার্ডের কাজ ফাঁকি দিয়ে তোমায় নিয়ে নদীর পাড়ে যাব বলে রিক্সা নিয়ে বের হলাম। আমার কেন দেরি হচ্ছে এই প্রশ্ন করে তুমি আর নেই।
রিক্সা নিয়ে অপেক্ষা। ফোন করেও পাইনা। মেসেজের কোন রিপ্লাই দিচ্ছ না।
তোমার টেলিফোন পেয়ে পরে যখন আমি এই কথাগুলোই তোমাকে বললাম তুমি তখন কিছু বলোনি।
তোমাকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরে এলাম।
তুমি হাসি খুশি হোস্টেলে চলে গেলে।
তারপর তোমার মেসেজ এলো। সে মেসেজ নিয়ে আমার কথা।
টেলিফোনে কেন আমি তোমাকে কর্কশ ভাবে জবাব দিয়েছি সেই কৈফিয়ত চাওয়া।
আউটডোরে মানুষের সামনে তোমাকে যেন না ছুঁই, কাছে না টানি- সেই সতর্ক সংকেত।
আমি সম্পর্কের গোড়ার দিকে যে কথাগুলো বলেছিলাম আজও সেই কথাই বলছি। রিচ আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর উপর একটা সুস্থ সম্পর্ক টিকে থাকে। এখানে ঘাটতি হলে সবকিছু অন্য খাতে প্রবাহিত হয়। তোমাকে কোন অপবাদ বা অভিযোগ না করে আমি আমার অনুভূতির কথা বলছি। তুমি অপেক্ষায় থাকলে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করো আমি তার কানা কড়ি ব্যক্ত না করেও তোমার আক্রমণের শিকার হই। আউটডোরে আমরা আর পাঁচটা যুগলের মত কাছাকাছি হয়েছি।
হঠাৎ করে এসব ব্যাপারে তোমার আপত্তি আমাকে যথেষ্ট কষ্ট দিয়েছে এবং এখন আমি কথাগুলো তোমার সামনে বলতে বিব্রত বোধ করছি।
- আমি এরকম। আমার পরিচয়তো তুমি খুব ভালো করে জানো। আমাকে তোমার অসহ্য মনে হলে ইউ ক্যান কুইট।

প্রচন্ড কষ্ট পেল আরিফ।
ভেবেছিলো আফিফা তার হাত ধরে বলবে সরি, সারাদিন কাজের চাপে থাকি- কখন কি বলেছি তুমি আবার এগুলো মনে রেখেছো। আস্ত পাগল একটা।
দুজন কিছুক্ষন চুপচাপ থাকলো। চাঁদের আলো এসে কাফের ভিতরটা উজ্জ্বল আলোয় ভরিয়ে দিয়ে গেল।

আরিফ কফি খাচ্ছে আর আফিফার গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ অর্থবহ টেক্সট গুলোর স্ক্রীনশট বের করে পড়ছে।

সেই প্রথম থেকেই আরিফের শরীর খারাপ হলে ছুটে আসতো। দেখার মত ব্যাকুলতা নিয়ে তার পাশে থাকতো।
দূরে গেলে টেক্সট দিতো- আমার প্রতিদিনের শ্বাস-প্রশ্বাসে তুমি, আমার জন্যই তোমাকে সুস্থ থাকতে হবে- বেঁচে থাকতে হবে বহুদিন।
অন্য কোন দিন হত লিখেছে- তুমি আমার এসএ নোড।
অন্য একটা এসএমএস লিখেছে- তুমি আমার সোল।
এতো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হয়তো আমি অন্য কোন মানুষকে প্রশ্রয় দেইনি।

আরিফ তার গ্রামের বাড়িতে ঘুরে এলে আফিফা তার বাবা-মা ও ছোটবোনের কথা আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস করত।
এমন অজস্র স্ক্রীনশট যা তার সেভ করা আছে সে দ্রুত দেখে নেয়।
আফিফা তার বিচলতা লক্ষ্য করে।
চেয়ার টেনে আরিফের পাশে গিয়ে বসে।
কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে বলে আরিফের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তার সেদিকে খেয়াল নেই।
আফিফা তার বাম হাতটা আরিফের হাত ও মোবাইলে রাখে। দুজনে মিলেই পড়তে থাকে।
অফিফার চোখে পড়ে আরিফের লেখা - রিচ আন্ডারস্ট্যান্ডিং, ত্যাগ ও এমপ্যাথি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে।
আরিফ পাথর হয়ে যায়। তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
সে আর কিছু পড়তে পারে না।
তার চোখে অশ্রুর বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
সে ভাবে - এই মেয়েটা আমাকে কত ভালবাসে অথচ মাঝে মাঝে এমন ছি কেন করে!
আফিফা আরিফের অভিমান ঠিকই বুঝতে পারে।
সে ব্যথিত হয়। পরোপকারী আরিফের উদারতা ও মহানুভবতা এতদিনে অফিফার মধ্যে এক ধরনের গর্বের সৃষ্টি করেছে। এসব ভেবে আফিফা লজ্জিত হয়।

মোবাইলটা নিচে নামিয়ে রেখে আফিফা তার মুখমন্ডল নিজের দিকে টেনে কানে কানে ফিসফিস করে বলে- আই এম সরি ড্রিম।
নদীতে জ্যোৎস্নালো রুপালি মুক্তার মত ঝিলিক দিচ্ছে।
বাতাস বাতাস। আকাশে সাদা কালো মেঘের দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি, ব্যস্ততা।
আফিফাকে কাছে টেনে আরিফ বলে- আমার যে অনেক কষ্ট লাভ!
- আই নো। তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না।
তোমাকে কষ্ট দিয়েছি-জেনে আমিও কষ্ট পাচ্ছি।

#আব্দুল _ওহাব _মিনার
#মনোরোগ বিশেষজ্ঞ,
#শেবাচিমে _একাদশ

New chamber
11/04/2022

New chamber

আরণ্যক, রাঙ্গামাটি।
11/04/2022

আরণ্যক, রাঙ্গামাটি।

04/04/2022

দৃঢ়তার সাথে বৃদ্ধ ভদ্রলোক বললেন - নদীর মধ্যে যার জমি আছে সে ই জমি ভরাট করেছে তাতে দোষের কি?
পরক্ষনেই বললেন-সরকার চাইলে ভেঙ্গে ফেলুক, কেটে ফেলুক।
আমি হতভম্ব হয়ে টুপি পরা পাশের ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। তিনি গোবেচারা একটা চেহারা করে ব্ল্যাংক লুক দিলেন।

আমি দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকা প্যারালাইজড রোগীদের মতো বলহীন শুকিয়ে যাওয়া নোংরা পানির নদীর দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকলাম।
কেরানীগঞ্জের আটি বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর কথা বলছিলাম।

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা মুসল্লিদের এই অভিব্যক্তি শোনার পর কিছুদূর এগিয়ে এক যুবককে দেখলাম নদীর মধ্যে ট্রাক দিয়ে মাটি ও পাথর ফেলছে।
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে কেউ কেউ নদীর মধ্যে বিল্ডিং তৈরি করে ফেলছে।

একই দৃশ্য সেদিন শুক্রবার বগুড়ার করোতোয়া নদীতে দেখতে হলো। সেখানের চিত্র আরো ভয়াবহ। আমরা যে বিনোদন পার্কে সম্মেলন করেছি সেটা নাকি করতোয়া নদীর অংশ।
অত্যন্ত প্রভাবশালী মানুষের কর্মকান্ড বিধায় প্রশাসন এখানে নাক গলায় না।

আমাদের বিচক্ষণ সাংবাদিক ভাইরা কোথায় আছেন?
আমাদের দেশ প্রেমিক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সাংসদরা কি এসব দেখেন না?
সচেতন এলাকাবাসীদের কি কোন দায়িত্ব নেই?

নীতি-নৈতিকতায় মুসলমানদের যেখানে পথপ্রদর্শক হওয়ার কথা ছিল সেখানে একশ্রেণীর মানুষের অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দূষিত ও অপরিচ্ছন্ন চিন্তা সত্যিই আমাদের ভাবিয়ে তোলে।

অজস্র উদাহরণ দিয়ে অনেক অসঙ্গতির কথা আলোকপাত করা যায় যা পাঠক সহজেই অনুমান করতে পারেন।

রমজান মাস, কুরআন-তারাবিহ -তাহাজ্জুদ, এতেকাফ যাকাত, অনলাইন কুরান ক্লাস-ধর্মীয় আলোচনা- এসব কি আমাদের চিন্তা চেতনা, আচার-আচরণে ন্যূনতম প্রভাব ফেলবে না?

তাহলে সময় নষ্ট করে আমার এসব করার তাৎপর্য কি?

08/11/2021
02/11/2021

আমি:
পৃথিবীর বহুল ব্যবহৃত শব্দের মধ্যে আমি শব্দটি অন্যতম।
পৃথিবীর তাবৎ রূপ-রস-গন্ধ সৌন্দর্য এই আমিকে কেন্দ্র করেই। আমির অস্তিত্ব না থাকলে পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর কাছে নিষ্ফল, অর্থহীন। কাজেই আমার চলন-বলন ভাষণ তোষণ গতি প্রকৃতি যা কিছুই প্রবাহমান তার সবকিছুর সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে লেপ্টে আছে আমি শব্দটি।

ভালোবাসা শব্দটি যেমন প্রচুর উচ্চারিত শব্দ তদ্রূপ আমি'র ব্যবহারেও আমরা প্রতিদিন ধন্য হই।
আমিকে বাদ দিয়ে একজন ব্যক্তি শুধু শূন্যই হয় না বরং অস্তিত্বহীন হয়ে যায়।

আমিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হবে, এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টির জন্য - গড়ার জন্য, পৃথিবীকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমিত্ব জরুরী।
প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ সবসময়ই আমিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে চলতেন। তারা তাদের নিজস্ব শক্তি বা সম্ভাবনা কতটা টের পেতেন তা সব সময় মাপা যেত না। তবে তারা তাদের নিজস্ব দর্শন ও বক্তব্য প্রকাশ্যে ছিলেন অকুতোভয় ।
নিঃসন্দেহে এই সমস্ত কালজয়ী পুরুষ মহিলাদের নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে কিন্তু দিনশেষে তাদের গুণাবলী ও সৃষ্টিশীলতার কাছে মানুষ হার মানে। মানুষ তাদের আমিত্বের অন্তর্নিহিত শক্তিকে মেনে নেয়।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সক্রেটিস প্লেটো উদাহরণ।
উদাহরণ নেলসন ম্যান্ডেলা।

প্রতিটা মানুষ এই আমি'র আবরণে আচ্ছাদিত।
তাদের সকলের প্রচুর শক্তি। এই শক্তি অনেকে টের পায়, অনেকে পায় না। আর সেই স্থিতি শক্তিটাকে গতিশীল করবে আমিত্ব। আমি পারি, আমাকে পারতে হবে-আর দশজন পারলে আমি কেন পারব না! এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তখন ব্যক্তি অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যায়। সেখানেই আমিত্বের মূল খেলাটা।

আমি শব্দটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুভাবেই ব্যবহার করা চলে। যখন আমিত্ব অহংকারের প্রতিনিধিত্ব করে তখন তা অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসে, ধ্বংস সেখানে অনিবার্য। কোন সার্থকতা বা কৃতিত্বের বিপরীতে সন্তুষ্টি প্রকাশ, আত্মতুষ্টি ,গৌরব ও অহংকার পরিমিত আকারে থাকাটা দোষের কিছু নয়।

সক্রেটিসের ‘আমি’।
গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। তার বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে : ‘নো দাইসেলফ’। যার মানে করলে দাঁড়ায় ‘নিজেকে জানো’। এই কথাটির মূল নির্যাস হচ্ছে সবকিছ্রু আগে নিজের ‘আমিত্ব’-কে জানো। এই জানাটা এ জন্য জরুরি যে যদি নিজেকেই কেউ না জানে তাহলে সে কখনো ‘আমরা’-কেই জানতে পারবে না।
নিজেকে জানলে গর্ব অহংকার দম্ভের তীব্র ধ্বংসাত্মক গতি নিমিষেই ক্ষমাশীল বিনয়ী ও মানবিক গতিতে রূপ নেয়।

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদসমূহে ‘আমি’।
আমিত্ব ফুটে উঠে রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাষন বচনে। রাষ্ট্র স্বীকৃত এই আমিত্ব অনেকটাই গ্রহনযোগ্য।
আমাদের সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের ১৪৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, প্রধান বিচারপতি, সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্যদের শপথ ও ঘোষণার নির্দিষ্ট ধরন সন্নিবেশিত আছে। অর্থাৎ সংবিধানে উল্লেখিত উক্ত ফরম্যাট অনুসারে সর্বোচ্চ পদসমূহের দায়িত্ব নেবার প্রাক্কালে সকলকেই নিজের আমিত্ব’র ঘোষণা দিয়েই উপরোক্ত পদের শপথ নিতে হয়।

রবীন্দ্রনাথের আমিত্বের মধ্যে একটি বিনয়ী ভাব আছে। রবীন্দ্রনাথের আমিত্বের প্রকাশ তাঁর কবিতায় এবং গানে কেমনভাবে এসেছে এখানে দু’একটি উদাহরণ তুলে ধরছি।

ক. আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার/চরণধুলোর তলে।

খ. বিপদে মোরে রক্ষা করো/এ নহে মোর প্রার্থনা/বিপদে আমি না যেন করি ভয়।

গ. আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালবাসি।

রবীন্দ্রনাথের আমিত্বের মধ্যেই বিরাজ করছে রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব। নিজের চিন্তা-ভাবনা, নিজের আবেগ-অনুভূতিকে অত্যন্ত শৈল্পিক উপায়ে বিশ্বের সকল মানুষের আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরেছেন বলেই তিনি বিশ্বকবি। আমিত্বকে যাঁরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে বিচার করতে আগ্রহী, আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মূল্যায়নে তাঁরা কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবেন। গানটির শুরুই হয়েছে আমিত্ব দিয়ে, যেমন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।’

কবি নজরুল ইসলামের কবিতায় আমিত্বের প্রকাশ যেভাবে ঘটেছে সে দিকে দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি নজরুলের শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসেবে স্বীকৃত। বিদ্রোহী কবিতায় নজরুল ইসলাম গভীর আত্মপ্রত্যয় নিয়ে উল্লেখ করেছেন-

ক. আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস/আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।

খ. আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন/আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।

গ. আমি চির বিদ্রোহী বীর/বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা- চির উন্নত শির।

নজরুলের বিদ্রোহী কবিতায় আমিত্ব চেতনার যে প্রকাশ ঘটেছে, তাকে নেতিবাচক বলে অভিহিত করার কোন সুযোগ নেই। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের কবি, নজরুলকে আমরা বলে থাকি জাতীয় কবি। তাঁদের যে সমস্ত কবিতায় আমিত্বের প্রকাশ ঘটেছে, সে কবিতাগুলোই কালজয়ী হয়ে উঠেছে।

আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
আমিত্বকে ইতিবাচকভাবে জাগিয়ে তুলতে পারলে সকল নাগরিককে দিয়ে জাতীয়ভাবে বিস্ময়কর কিছু করা সম্ভব। যে ব্যক্তি নিজের সম্ভাবনার খোঁজ পায় না তাকে দিয়ে তার যেমন কোনো লাভ হয়না তেমনিভাবে সমাজ বা রাষ্ট্রী তেমন উপকার পায় না।

নিজেকে চেনা জানা যেমন প্রয়োজন তেমনি আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে নিজস্ব দর্শন চিন্তা-চেতনাকে মানবকল্যাণে, নাগরিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে নিবেদিত করা অতীব জরুরী।
এ ছাড়া যে এই শিক্ষার এই জীবনের কোন মূল্যই অবশিষ্ট থাকে না।

Address

ঠিকানা
Dhaka

Telephone

+8801730333789

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Major Dr. Abdul Wahab Minar (Rtd) posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Major Dr. Abdul Wahab Minar (Rtd):

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category