Omega Point Drug Addiction Treatment Center

Omega Point Drug Addiction Treatment Center The best Addiction Treatment Center in Dhaka,Bangladesh.We have Certified Addiction Professionals... We have Doctors and Psychiatrist for our patient .

Are u tense with your Blood relatives,Neighbors,siblings,children or someone very close to you? Simply forget to worry about and come to our recovery center!!!! We handle with care of all kind of Mental Problems,Stress,Depression,Drug Addiction and so on. Its a 4 Month program:
1st month (Detoxification),
2nd & 3rd Month (Rehabilitation) And Last but not the least Family Counseling. Trust on us we will solve your problem. Warm wishes with Best regards,
Razib Shah
01711159828
01613203103
Mirpur,Dhaka

নিঃশব্দ উপলব্ধি — এক ধনী মানুষের মৃত্যুশয্যার বাণী 💔  (বয়স ৫৬, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত)তার শেষ কথাগুলো ছিল "আ...
28/11/2025

নিঃশব্দ উপলব্ধি — এক ধনী মানুষের মৃত্যুশয্যার বাণী 💔
(বয়স ৫৬, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত)

তার শেষ কথাগুলো ছিল
"আমি ব্যবসায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছি।
অন্যদের চোখে আমার জীবন সফলতার প্রতীক।
তবু কাজ ছাড়া আমার জীবনে আনন্দের জায়গা খুব কম।
শেষে, ধন-সম্পদ কেবল একটি অভ্যাস—একটি তথ্য, যার সঙ্গে আমি অভ্যস্ত।"

এই মুহূর্তে, অসুস্থ শরীরে শুয়ে, জীবন ফিরে তাকিয়ে বুঝি—
যে প্রশংসা আর সম্পদের গর্বে আমি ভরেছিলাম,
তা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে একেবারে তুচ্ছ হয়ে গেছে।

তুমি কাউকে গাড়ি চালাতে ভাড়া করতে পারো,
তোমার জন্য আয় করতে পারো,
কিন্তু কেউ তোমার রোগ বহন করতে পারবে না।

হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া যায়,
কিন্তু "জীবন" হারালে তা আর কখনও ফিরে পাওয়া যায় না।

যখন কেউ অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে,
তখন সে বুঝতে পারে—
একটি বই আছে, যা সে এখনও শেষ করেনি:
সুস্থ জীবনের পাঠ"।

আমরা জীবনের যে পর্যায়েই থাকি না কেন,
একদিন পর্দা নামবে—এটাই সত্য।

স্নেহ:
পরিবারের প্রতি ভালোবাসা,
জীবনসঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা,
বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা...
নিজেকে ভালোবাসো।
অন্যকে সম্মান করো।

বয়স বাড়লে, জ্ঞানও বাড়ে—তখন বুঝি:
$৩০০ ডলারের ঘড়ি হোক বা $৩০ ডলারের,
সময় একটাই বলে।

$৩০০ ডলারের ওয়ালেট হোক বা $৩০ ডলারের,
ভেতরের টাকা একই।

$১৫০,০০০ ডলারের গাড়ি হোক বা $৩০,০০০ ডলারের,
গন্তব্য একটাই।

$৩০০ ডলারের ওয়াইন হোক বা $১০ ডলারের,
মাথাব্যথা একটাই।

তুমি যে বাড়িতেই থাকো—৩০০ স্কয়ার মিটার বা ৩,০০০ স্কয়ার মিটার—
একাকিত্ব একই রকম।

আসল সুখ আসে না বস্তু থেকে, আসে হৃদয় থেকে।
তুমি ফার্স্ট ক্লাসে উড়ো বা ইকোনমিতে—
যদি প্লেন ভেঙে পড়ে, সবাই একসঙ্গেই পড়ে।

তাই…
যখন তোমার পাশে থাকে সঙ্গী, বন্ধু, ভাইবোন,
যাদের সঙ্গে তুমি হাসো, গল্প করো, গান গাও,
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম বা স্বর্গ-নরক নিয়ে কথা বলো—
তখনই জীবন উপভোগ করো।
বস্তুবাদে নয়, সম্পর্কেই খুঁজে নাও জীবনের অর্থ।

চর্বি  ভাল না খারাপ.....আমরা যারা চল্লিশ  বা চল্লিশ  ছুই..ছুই....ছবিটা আমার রোগীরযার TG LEVEL 5000ডায়েট সিরিজ: Transfat/...
18/11/2025

চর্বি ভাল না খারাপ.....আমরা যারা চল্লিশ বা চল্লিশ ছুই..ছুই....

ছবিটা আমার রোগীর
যার TG LEVEL 5000

ডায়েট সিরিজ: Transfat/ট্রান্সফ্যাট
গোরুর মাংস/চর্বি? সয়াবিন তেল? কতটুকু খারাপ ? নাকি ভালো? নাকিদুটোই ভালো?
=================
চর্বির কারণে বুকে কি ব্লক হয়? নাকি হয় না? কতটুকু পর্যন্ত এলাউড? আসুন ডিটেইলস এ যাই।
=================
চর্বির অনেক প্রকারভেদ আছে। চর্বি মানেই খারাপ না। চর্বি বা তেল একটা ন্যাচারাল খাদ্য। মানুষ হাজার বছর ধরে খেয়ে আসছে, এটা সাদা চিনির মত না। তখন কিন্তু কারো বুকে ব্লক হয়নি কিন্তু গত ১০০ বছর ধরে হচ্ছে। কারণ কী?
=============

১. প্রথমে আসি কোলেস্টেরল প্রসঙ্গে। কোলেস্টেরল হলো চর্বি/তেলের সেই অংশ, যা বুকের আর্টারিতে জমে ব্লক হয় কিন্তু কোলেস্টেরলের প্রকারভেদ আছে। শুধুমাত্র এলডিএল কোলেস্টেরলটা খারাপ যেটা যেটা বুকে জমে কিন্তু অন্য কোলেস্টেরল (যেমন: এইচডিএল) কিন্তু খারাপ না, ওগুলো বুকে জমে না। এইচডিএল কোলেস্টেরল তো ভালো কোলেস্টেরল, যেটা খারাপটাকে ধ্বংস করে।

তাহলে, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যে আপনি যেন খারাপ কোলেস্টেরলটা (এলডিএল) লিমিট করতে পারেন, মানে কম খান। আর কিছু না।

২. তেল বা চর্বির দুই নাম্বার কনসার্নড জিনিস হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। মানে ফ্যাট পরমানুটার কার্বন লিংকে হাইড্রোজেন বসে এটা স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে, কোনো জায়গা খালি নাই তার। এই স্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটা ছোট অংশ 'খারাপ কোলেস্টেরল' এ পরিণত হয়, হজমের পর। তাই এটা কম খেতে হবে। লিমিটটা পরে বলছি।

৩. এবার আসে সবচেয়ে বিষাক্ত ফ্যাট এ। যেটা ন্যাচারাল না। যেটা সমগ্র পৃথিবীতে বুকে ব্লকের অন্যতম প্রধান কারণ। সেটা হলো ট্রান্সফ্যাট।
দুটো স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনু যুক্ত হয়ে এই ট্রান্সফ্যাট হয়। মানে এটা ডাবল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটা ন্যাচারালি কোনো তেলেই সেভাবে থাকে না। ট্রেস এমাউন্ট থাকে, যেটুকু মানুষের ক্ষতি করে না।

কিন্তু এই ফ্যাট ডাইরেক্ট বুকের ভিতরে গিয়ে জমে ব্লক হয়। সামান্য একটু খেলেই ব্লক। এটা একই সাথে 'খারাপ কোলেস্টেরল'কে বৃদ্ধি করে, আবার ভালো কোলেস্টেরলকে কমিয়ে দেয়। একই সাথে এই ট্রান্সফ্যাট ইনফ্ল্যামেটরি। মানে যেখানে জমে , সেই জায়গাটা ফুলে যায়।

মানে সামান্য একটু ট্রান্সফ্যাট মনে করেন বুকের আর্টারিতে গিয়ে জমলো। মনে করেন ১০% ব্লক হবার কথা কিন্তু এটা ফুলে গিয়ে (ভলিউম এক্সপ্যানশন) ৩০% হয়ে যাবে আরকি।

তার মানে নরমালি ৬০% কে সে ফুলিয়ে ১০০% ব্লক করে আপনাকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দিবে।

তার মানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাট , হলো ট্রান্সফ্যাট। অন্যগুলো কম ঝুঁকিপূর্ণ। ওকে?

আগে সাদা চিনিকে বিষ বলছিলাম। হ্যাঁ, তা বিষ, কিন্তু যখন বেশি হয়, ২ - ৩ চামচ ওকে, WHO বলছে ৬ চামচ পর্যন্ত ওকে। সাদা চিনি হলো স্বল্প মাত্রার বিষ: বিষ এ ধুতুরা।

সেই তুলনায় ট্রান্স ফ্যাট হলো: বিষ এ সায়ানাইড। জাগাত খাইবেন, জাগাত বুকে ব্লক।
=============

তো, USDA/FDA এর লিমিট অনুযায়ী ট্রান্সফ্যাট এর দৈনিক লিমিট হলো মাত্র ২.০ গ্রাম। মানে এর বেশি খেলেই বুকে ব্লক হবার সম্ভাবনা তৈরী হবে।

=============
কিন্তু আমরা কতটুকু খাচ্ছি? আর কতটুকু গোরু থেকে খাচ্ছি? কতটুকু সয়াবিন থেকে খাচ্ছি? আর এই ট্রান্সফ্যাট কেন আমাদের ফুড সাইকেল এ আসলো? এটা তো সায়ানাইড। উচ্চ মাত্রার বিষ। এমনটা তো হবার কথা না, তাই না?
=============
ঘটনা হলো এই: গত শতাব্দীতে সয়াবিনসহ সকল ভোজ্য তেল ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড প্রডাকশনে যায়। তো ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু তেল তৈরী করে মেশিনে, ঘানি ভাঙ্গা তেলের মত না ওইটা।

ইন্ডাস্ট্রি তেলকে সুন্দর, ঘন এবং বহুদিন স্বাদ গন্ধ অপরিবর্তীত রাখার জন্য এর সাথে হাইড্রোজেন গ্যাস মিশায়।

'যেকোনো তেল + ক্যাটালিস্ট + বায়বীয় হাইড্রোজেন' = ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড ভোজ্য সয়াবিন/ক্যানোলা/ সানফ্লাওয়ার তেল, যেটা আমরা খাই এখন।

তা সয়াবিন হোক বা ক্যানোলাই হোক বা সানফ্লাওয়ারই হোক। তারা কিন্তু হাইড্রোজেন মিশিয়ে এটাকে বিষাক্ত করে। কারণ প্রসেসটায় গেলে ব্যাপক লাভ হয়, মাস প্রডাকশনে যাওয়া যায়, মানুষ কিনেও। ঘানিভাঙ্গা তেল মাত্রাতিরিক্ত তরল (সান্দ্রতা কম) হয়, বেশি দিন থাকে না, তাই ইন্ডাস্ট্রি সেটা পছন্দ করে না। ইন্ডাস্ট্রি বাহির থেকে এক্সট্রা হাইড্রোজেন মিশায়। মনে করেন, ওই হাইড্রোজেন হলো বায়বীয় ফরমেটের ফরমালিন আরকি।

ইন্ডাস্ট্রির উদ্দেশ্য, হয়তো খারাপ না, একটু বেশি টাকা কামানো। কিন্তু .....

কিন্তু যখন নরমাল আনস্যাচুরেটেড তেলের সাথে আপনি হাইড্রোজেন মিশাবেন, তখন ওই তেলের একটা বড় অংশ ট্রান্সফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়ে যায়। ওই হাইড্রোজেন পরমানু, কার্বন লিংকের ফাঁকা জায়গায় বসে গিয়ে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট একটু খারাপ কিন্তু ট্রান্সফ্যাট তো পুরা সায়ানাইড, রাইট?

প্রতি দশ গ্রাম তেলে ৪ - ৫ - ৬ গ্রামই ট্রান্সফ্যাট হয়ে যেতে পারে, ডিপেন্ড করে, আপনি কী পরিমাণ হাইড্রোজেন গ্যাস মিশালেন, তার উপর।

ট্রান্সফ্যাট আরও এক ভাবে হয়, সেটা হলো বাহিরে দোকানে যখন একই তেলে দিনের পর দিন সিঙ্গারা -সামুচাসহ সব কিছু ভাজা হয়। যেটাকে আমরা পোড়া তেল বলি। তেল বেশি পুড়লে, বাতাসের হাইড্রোজেন এর সাথে বিক্রিয়া করে তা ট্রান্সফ্যাট হয়ে যায়। কাজেই বাহিরের ভাজা - পোড়া খাবার যাবে না। না পারলে, বাসায় বানিয়ে খান।

============

২০০৬ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ লোক বিনা কারণে হার্ট এটাক হয়ে মারা যাবার মূল কারণ হিসেবে ভোজ্য তেলে এই ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতিকে দায়ী করা হয়। বিজ্ঞানীরা এটাকে বের করেন এবং আমেরিকান সরকারকে ব্যাপক চাপ দেন।

পরে আমেরিকান সরকার চাপে পড়ে ২০০৬ সালে নতুন আইন করে, সেটা হলো, ভোজ্য তেলকে হাইড্রেজেনেটেড করতে গেলে খুব কম করতে হবে, বা করা যাবে না। প্রতি তেলের ডিব্বায় ট্রান্সফ্যাটের এমাউন্ট উল্লেখ করে দিতে হবে। না হলে একশন। তেল ব্যবসা লাটে উঠেনো হবে, এফডিএ একশনে যাবে।

সরকারি চাপে পড়ে তেল কোম্পানিগুলো ডিল করে, যে তারা প্রতি সার্ভিং তেলে ০.৫ গ্রামের কম ট্রান্সফ্যাট দিবে এবং ০.৫ গ্রামকে রাউন্ডিং করে তারা লিখবে ০.০ গ্রাম। হোয়াট আ ফান? প্রতি সার্ভিং তেল মানে মাত্র ১৫ গ্রাম তেল। মানে আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত তেলগুলোতে প্রতি ১৫ গ্রামে ০.৫ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট থাকে। মানে ১০০ গ্রামে ৩.৫ গ্রাম । চিন্তা করেন, শতকরা ৩.৫ % ট্রান্সফ্যাট আছে, তেলে কিন্তু লেখে ০ গ্রাম। কত বড় বাটপারি? হায় আমেরিকান লবি।

আমেরিকা তাও ভালো , আগে হয়তো ২০-৩০% ট্রান্সফ্যাট ছিল, ওইটা কমিয়ে ৩.৫% করছে।

কিন্তু বাংলাদেশ কী করছে? বাংলাদেশে তো কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই সরকারের, কোনো আইন বা তার প্রয়োগও নাই।

তার মানে বাংলাদেশে যখন আমরা বাহিরের খোলা তেল খাচ্ছি, সামান্য একটু তেল থেকেই দিনে হয় ৮ - ১০ - ১২ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট খাচ্ছি, যেখানে দৈনিক লিমিট হলো ২ গ্রাম। তার মানে কোনো গোরু না খেয়েই , জাস্ট তেলতেলা সবজি - তেল - পরোটা - সিঙ্গারা - সামুচা খেয়েই আমাদের অল্পবয়সে বুকে ব্লক হচ্ছে, সয়াবিন তেলে থাকা এই ট্রান্সফ্যাট এর জন্য। বাই দ্যা ওয়ে, আমেরিকানদের ডেটা অনুযায়ী একজন এভারেজ আমেরিকান, ১৯৯৬ - ২০০৬ সালে দিনে ৬ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট খেয়েছেন এবং লাখে লাখে লোক হার্ট এটাক হয়ে মারা গেছেন। এখন অবশ্য সবাই ব্যাপারটা জানে, সরকারও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন।

কিন্তু বাংলাদেশে আমরা কিন্তু সব দোষ ওই নিরীহ গোরু - খাসিকেই দিচ্ছে। নিরীহ অবলা এই প্রাণীটির একটু চর্বি আছে, তাতে কিছুটা কোলেস্টেরল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ট্রান্সফ্যাটও আছে কিন্তু এত বেশি না কিন্তু, একটু কম।

আর মানুষ কিন্তু গোরু - খাসি প্রতিদিন খায় না কিন্তু ভোজ্য তেল কিন্তু প্রতিদিন খায়। USDA এর রেকমেন্ডেশন হলো সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম গোরু/খাসও খেলে কোনো সমস্যা নাই। শর্ত হলো, এই গরুতে অতিরিক্ত ফ্যাট (যেটা সিনার মাংস, ৩০% ফ্যাট) হতে পারবে না। নরমাল লিন মাংস (যেমন রানের মাংস, ১০% ফ্যাট) হতে হবে।

মানে গোরু যদি সপ্তাহে একদিন, ২ বেলা মিলে ৩৫০ গ্রাম খান, চর্বির দলাগুলো না খান, তাহলে তাতে হার্টে ব্লক হবার সম্ভাবনা নেই। মানে প্রায় ১০ টুকরা, মাঝারি পিছ, প্রতি বেলা ৫ পিছ। এর বেশি খেলে ব্লক হবার ঝুঁকিতে পড়বেন। এভাবে আজীবন খেলেও কোনো ব্লক হবার কথা নয় (ইউ এস হার্ট এসোসিয়েশন)। যদি চর্বি বেশি ওয়ালা মাংস খান, তাহলে পরিমাণ ১৫০ গ্রাম খাবেন, সপ্তাহে একবার।(৪ - ৫ পিছ)

আমি দেখি না, এভারেজে সবাই এত গোরু/খাসি খায়। খেয়াল করলে দেখবেন, বুকে ব্লক এখন লোকজনের খুব বেশি হচ্ছে। সেসব মানুষেরও হচ্ছে, যাঁরা তেমন গোরু কিন্তু খায় না কিন্তু ওই ভোজ্য তেল, ওই ভাজা পোড়া, ওই সিঙ্গারা - সামুচা, তেল সমৃদ্ধ তরকারী তারা খায়। খুব সম্ভবত: তেলে থাকা ট্রান্সফ্যাট থেকেই, যারা গোরু খায় না, তাদেরও বুকে ব্লক হচ্ছে।

এনিওয়ে, ব্রান্ডের কোম্পানির সয়াবিন তেলে ট্রান্সফ্যাট কতটুকু থাকে, বাংলাদেশে? আমি জানি না। একটু কম হওয়ার কথা। যদি লেখা থাকে, প্রতি সার্ভিং এ ট্রান্সফ্যাট ০ গ্রাম, তাহলে সর্বনিম্ন পরিমাণ আছে, মানে ০.৫ গ্রাম আছে। কিছুটা সেইফ কিন্তু তাও বেশি খেতে পারবেন না। দিনে ৪০ গ্রামের বেশি ওই তেল পেটে গেলে প্রবলেম। তবে বাহিরের ভাজা পোড়া থেকে অনেক ভালো হবে আশা করি।

=======

এবার ডাইরেক্ট ভ্যালু দিচ্ছি। USDA/Canada রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী, দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেলে তা সেইফ, মানে সপ্তাহে ২১০০ মিলিগ্রাম। দিনে ১২ গ্রাম (সপ্তাহে ৮০ গ্রাম) স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে তা সেইফ। আর ট্রান্সফ্যাট? দিনে মাত্র ২ গ্রাম (মানে সপ্তাহে ১৪ গ্রাম) এর বেশি খেলেই বুকে ব্লক। যদি দীর্ঘকাল খেতে থাকেন। তবে কোনো কোনো এজেন্সি বলেছে, ট্রান্সফ্যাট সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিতে কিন্তু এটা সম্ভব না। কারণ বাণিজ্যিক ভোজ্য তেলে একটু থাকেই, ট্রেস এমাউন্ট।

=========

এখন গোরু - খাসি যদি সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম খান, তাহলে এই লিমিট ক্রস করবে না। আপনি ইন শা আল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবেন কিন্তু সপ্তাহে এর বেশি খান, তাহলে ঝুঁকিতে পড়বেন। এখন আপনি একদিনেই ৩৫০ গ্রাম খাবেন, নাকি ২ - ৩ দিন মিলে ৩৫০ গ্রাম খাবেন , তা আপনার ব্যাপার, ওকে?

গোরু-খাসির মাংস আসলে রেড মিট, খুব পুষ্টিকর খাদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ, জিংক, ফসফরাস, লিপয়িক থাকে। শরীর খুব সুস্থ থাকবে, ব্রেনে - মাসলে শক্তি পাবেন, যদি এই লিমিটে খেতে পারেন। সুন্নাহ তো। খালি বেশি খেলে প্রবলেম হবে। বেশি খাবেন না কিন্তু বাদ দিবেন না, দুর্বল হয়ে যাবেন কিন্তু।

গরুর দুধ: যদিও এটাতে যথেষ্ট ফ্যাট থাকে কিন্তু ট্রান্সফ্যাট নেই, স্যাচুরেটেড ফ্যাটও কম। দিনে এক কাপ পর্যন্ত অসুবিধা নেই। দুধে আছে ক্যালসিয়াম, অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন ডি। মাঝে মধ্যে হলে নো প্রবলেম। দুধ থেকে আসা চিজ খেতে চান? দিনে একটা স্লাইস (৩০ গ্রাম) হলে, নো প্রবলেম।

ঘি: খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসলে ট্রান্সফ্যাট থাকবে। তেল যত ঘন বা সলিড হবে, তত খারাপ হবার সম্ভাবনা।

=========
তার মানে বাংলাদেশের হার্ট এটাকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো আসলে ভোজ্য তেল, সয়াবিন/অন্যান্য তেল এ থাকা মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেটা সামান্য খাবার কারণেই দৈনিক লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে এবং মানুষ হার্ট এটাকের শিকার হচ্ছে মাত্র ৩০ - ৪০ - ৫০ বছর বয়সেই।

আর দোষ হচ্ছে, সব ওই নিরীহ অবলা গোরুর উপর। যদিও গোরু কিছুটা দায়ী। কারণ অনেকে বেশি গোরু খায়, আর খালি চর্বি খায়, ঝোল খায়। গোরুর সাথে যে ঝোল থাকে সেটা কিন্তু আবার সয়াবিন তেলে ভরা, গোরুর চর্বি থেকে ওইটা বেশি খারাপ।

কাচ্চি কেমন খারাপ? কাচ্চিতে তো মাংস কম থাকে কিন্তু যেই তেলটা পোলাউয়ের সাথে থাকে ওইটা খারাপ। ওইটার মধ্যে খালি ট্রান্সফ্যাট আর ট্রান্সফ্যাট, যদি বাহিরে হয়। একবার বাহিরে কাচ্চি খাইছেন মানে আগামী ১ মাস: নো মাংস।
=========

তাহলে এখন কীভাবে চলতে হবে?

এক. গোরু - খাসি'র রানের মাংস বা অন্য অঞ্চলের চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়া যাবে কিন্তু লিমিট হলো সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম পার পার্সন। একটু আধটু চর্বি আসলে সমস্যা নাই। খালি চর্বির দলাগুলো বা মাংস - চর্বির ৫০ - ৫০ মিক্স পিসগুলো ফেলে দিবেন।

দুই. আমরা প্রচুর ঝোল খাই। সমস্যা হলো ঝোলে তো ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ তেল থাকে। ওই তেলের ট্রান্সফ্যাট হল বিশাল প্রবলেম। কাজেই ঝোল খাবার হবে খুব কম, জাস্ট কোনোরকম ভাতকে ভিজানো। পানি বেশি দিয়ে ঝোল বেশি করতে পারেন কিন্তু তেলের পরিমাণ হবে, প্রতি লিটারে ৫০ - ৬০ মিলি লিটার। তেল কমিয়ে, মসলা একটু বেশি দিয়ে হলেও তরকারী রাঁধতে হবে।

তিন. যিনি রাঁধবেন, তাকে বলে দিবেন যেন গোরু - খাসি'র মাংসে খুব কম তেল দেয়। প্রতি কেজিতে মাত্র ৫০ - ৬০ এম এল এনাফ। এরপর যখন রান্না হয়ে যাবে, তখন তেলটা উপরে ভেসে উঠে কিন্তু, ভেসে উঠলে ফেলে দিবেন। ডালে, তরকারীতেও তেল কম দিতে হবে, প্রতি লিটারে ৫০ - ৬০ এম এল

চার. বাহিরের ভাজা পোড়া খাবেন না। সিঙ্গারা - সমুচা - পরোটা এসব যদি খেতেই হয়, প্রয়োজনে বাসায় করে খাবেন, মাসে ১ - ২ বার কিন্তু বাহিরে না। বাহিরে খোলা তেল দেয়, ওতে ট্রান্সফ্যাট মাত্রাতিরিক্ত বেশি। আর তেলকে পোড়ালে সেটা বাতাসের সাথে বিক্রিয়া করে নিজে নিজে ট্রান্সফ্যাট হয়ে যায়। কাজেই যখন বাহিরে পোড়া তেল খাচ্ছেন, ডাইরেক্ট সায়ানাইড খাচ্ছেন।

পাঁচ. ফাস্ট ফুডে কিন্তু খারাপ ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ তেল দিয়েই ভাজে সব কিছু। কাজেই ফাস্ট ফুড থেকে চিকেন ও খাবেন না, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও খাবেন না। বাসায় করে খান, দরকার পড়লে। কারণ, বাসায় তো আপনি ব্র্যান্ডের তেল খাচ্ছেন, যেটাতে ট্রান্সফ্যাট লিমিটেড।

ছয়. বাহিরে যদি খেতেই হয়, তাহলে রুটি - ভাত - রান্না করা মাছ মাংস এইসব খাবেন কিন্তু ভুলেও তেলে ভাজা কিছু খাবেন না। সাধারণভাবে ঘরে খাবেন। কাচ্চি - পোলাউ - গোরু - মুরগি খেতে ইচ্ছে করছে? বাসায় নিজে রান্না করে খান।

সাত. চিংড়ি মাছে, গোরু - খাসি'র ডাবল কোলেস্টেরল থাকে। কাজেই চিংড়ি মাছ খেতে পারবেন 200 গ্রাম, প্রতি সপ্তাহে। এর বেশি নয়। তেলাপিয়া মাছে মার্কারি - লেড - ক্রোমিয়াম জমে, বিষাক্ত, বাদ। সামুদ্রিক মাছ খেলে খুব ভালো। সামুদ্রিক মাছের তেল ব্লক খুলে দিবে, তাই বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ খান, চিটাগাং এ থাকার সুবিধা। নদী - পুকুরের মাছও ভালো। মাছের তেল হলো ভালো তেল, এইচডিএল থাকে।

=========

যদি এমন কোনো উৎস থেকে সয়াবিন তেল সংগ্রহ করতে পারেন, যিনি হাইড্রোজেনেটেড করেন না, জাস্ট নরমাল ঘানিভাঙ্গা, তাহলে সেই তেল বেশি একটু খেলেও প্রবলেম নেই, বড়জোর ভুঁড়ি হবে কিন্তু বুকে ব্লক হবে না। ওতে ট্রান্সফ্যাট থাকে না। তবে ওই তেল একটু পাতলা, সংরক্ষণ অসুবিধা। মানুষ কিনতে চায় না।

সরিষা? সরিষা যদি হাইড্রোজেনেটেড না করে, নরমাল ঘান ভাঙ্গা না হয়, কিছুটা সেইফ। প্রমাণ: বাপ - দাদারা সব সরিষাই খেতো। তবে সমস্যা হলো, সরিষায় আবার মাটিতে থাকা মার্কারি - লেড এইসব শোষণ করে। বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ায় এখন যেখানে সেখানে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে, যেখান থেকে মার্কারি - লেড মাটিতে চলে যাচ্ছে। যদি সরিষা এমন মাটিতে হয়, তাহলে সেটা সেইফ না; এটা বের করা সম্ভব না, যে সরিষা কোন মাটিতে হচ্ছে। । কাজেই আমি রিকমেন্ড করি না। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিষা আসলে ওইটাও হাইড্রোজেনেটেড হবে।

হাইড্রোজেনেটেড না হলে, সরিষা বা সয়াবিন, দুইটাই এক।
আমেরিকান তেল, যেখানে ৩.৫% ট্রান্সফ্যাট থাকে, সেখানে দিনে মাত্র ৩০ গ্রাম সয়াবিন বা ভোজ্য তেল সেইফ । বাংলাদেশে এর থেকে কম হবে, কারণ ট্রান্সফ্যাট বেশি, কত বেশি জানি না, তাই লিমিট দিতে পারছি না। কাজেই জাস্ট তরকারীর তেল বেশ কম খেতে হবে।

=======

প্রসঙ্গত, মেজবানী খাবার: চট্টগ্রামের ভাইরা:

মেজবানীতে অনেক জায়গায় (হোটেলের) গোরুর কোনো কিছু ফেলা হয় না, পুরো গোরু সব চর্বি সহ পাক করে ফেলে, খেতে চরম স্বাদ হয়। তার উপর আছে, গোরুর কলিজা, যেটাতে লেড - মার্কারিসহ সব বিষ জমা হয়। এতে আরও আছে, বাজারের ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ সয়াবিন তেল, কাজেই একটা ব্যাপক বিষাক্ত। কাজেই হোটেলের মেজবানী কিন্তু পিউর সায়ানাইড, বাদ দিবেন। খাবেন না, খাওয়াবেন না।

গ্রামীণ মেজবানী, তেল পরিমিত হলে, ঝুঁকি কম।

=========
শেষকথা: যদি ভাজাপোড়া বেশি খান, বেশ তেল সমৃদ্ধ খাবার খান, তাহলে কিন্তু সিক্সপ্যাক নিয়েও আপনার ব্লক হতে পারে। ট্রান্সফ্যাটের কারণে, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে। কারণ আপনি ক্যালরি মেইন্টেইন করেই খাচ্ছেন কিন্তু ট্রান্সফ্যাট গিয়ে সব জমছে হার্টের আর্টারির মধ্যে।

তার মানে বাংলাদেশের জন্য কিটো ডায়েট কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ, চিকন হবেন, বাট বুকে ব্লক হবে। যদিও বাংলাদেশে ট্রান্সফ্যাট মেন্টেন করে না সরকার। শুধু দুধ দিয়ে করলে ঝুঁকি কম।

=========
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুকে ব্লক হওয়া থেকে বাঁচাক। আমিন।

জাযাকাল্লাহু খায়রান

বি. দ্র. পোস্টটি ঈষৎ পরিমার্জিত

সংগৃহীত

যদি তোমার বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হয়দেরি হওয়ার আগে শেখা জরুরি১. সময়মতো নামাজ পড়ো এটা তোমার দিনের কেন্দ্রবিন্দু এবং বর...
17/11/2025

যদি তোমার বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হয়

দেরি হওয়ার আগে শেখা জরুরি

১. সময়মতো নামাজ পড়ো এটা তোমার দিনের কেন্দ্রবিন্দু এবং বরকতের চাবিকাঠি। (সূরা আনকাবুত 29:45)

২. নিজেকে শৃঙ্খলিত করো- আত্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়া স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যায়। (সূরা আল-হাশর 59:18)

৩. গোপনে হারাম থেকে বাঁচো একা থাকলে যা করো, সেটাই তোমার আসল পরিচয়। (সূরা আল-মুলক 67:12)

৪. সঠিক বন্ধুর সঙ্গ নাও তারা তোমাকে জান্নাতের দিকে টানতে পারে, বা জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিতে পারে। (আবু দাউদ 4833)
৫. অযথা বিয়েতে দেরি করো না "পারফেক্ট টাইম" এর পিছনে ছোটা অনেক সময় ফিতনার দিকে নিয়ে যায়। (বুখারি 5065, মুসলিম 1400)

৬. বেসিক ফিকহ ও আকীদা শিখো- জ্ঞান ছাড়া আল্লাহর ইবাদত সঠিকভাবে করা যায় না। জ্ঞান ঈমান বাড়ায়। (সুনান ইবনে মাজাহ 224)

৭. জবান নিয়ন্ত্রণ করো জিহ্বা এমন ক্ষত করে, যা হাতের আঘাতের থেকেও দ্রুত ধ্বংস করে। (তিরমিযি 2616)

৮. দৃষ্টি হেফাজত করো- এটা তোমার হৃদয়কে অযাচিত বাসনা ও আফসোস থেকে রক্ষা করে। (সূরা আন-নূর 24:30-31)

৯. নিয়মিত দান করো দান কখনো সম্পদ কমায় না, বরং বাড়ায়। (মুসলিম 2588)

১০. ঋণ থেকে দূরে থাকো এটা স্বাধীনতা ও বরকত কেড়ে নেয়। (বুখারি 2397)

১১. শরীরকে শক্ত রাখো- স্বাস্থ্য একটি আমানত; শক্তি ইবাদত ও কাজে সহায়তা করে। (বুখারি 18)

১২. মূল্যবান কোনো দক্ষতা অর্জন করো যাতে তুমি হালাল উপার্জন করতে পারো, কারো চাকরির উপর নির্ভর না করে। (তিরমিযি 1130)
১৩. প্রতিদিন কুরআন পড়ো এক পৃষ্ঠা হলেও আল্লাহর সাথে সংযোগ তৈরি হয়। (সূরা ফাতির 35:29)

১৪. সফর করো আল্লাহর সৃষ্টি দেখো, জ্ঞান অর্জন করো, আর স্বাচ্ছন্দ্যের গণ্ডি ভাঙো। (সূরা আল-আনকাবুত 29:20)

১৫. মৃত্যুকে স্মরণ করো- এটা তোমার অগ্রাধিকার ঠিক রাখে। (তিরমিযি 2307

জাপানে দম্পতিদের আলাদা বিছানায় ঘুমানোর সংস্কৃতি।। বিশ্বের নানা দেশে দাম্পত্যজীবনকে সুখী ও দীর্ঘস্থায়ী রাখার জন্য ভিন্ন ভ...
16/09/2025

জাপানে দম্পতিদের আলাদা বিছানায় ঘুমানোর সংস্কৃতি।।

বিশ্বের নানা দেশে দাম্পত্যজীবনকে সুখী ও দীর্ঘস্থায়ী রাখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রথা ও অভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে জাপানের একটি বিশেষ সংস্কৃতি এখন আলোচনায়—দম্পতিরা আলাদা বিছানায় ঘুমান। প্রথমে শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে গভীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ।

🔸ঘুমকে সম্পর্কের ভিত্তি ধরা হয়

জাপানি সমাজে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত—ভালো ঘুম মানেই ভালো সম্পর্ক।

ঘুম ভেঙে গেলে বা বারবার বিরক্তি ঘটলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতে পারে।

তাই তারা বিশ্বাস করেন, মানসিক শান্তি ও শারীরিক বিশ্রাম অটুট সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়ক।

🔸ঐতিহ্য ও বাসস্থানের প্রভাব

জাপানে ঐতিহ্যগতভাবে ফুতন (ফ্লোরে বিছানো পাতলা গদি) ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।

একে সহজে ভাঁজ করে রাখা যায়, ফলে সীমিত জায়গায় আলাদা করে বিছানা দেওয়া সুবিধাজনক।

ছোট ছোট বাসস্থানে থেকেও তারা নিজেদের ঘুমের জন্য ব্যক্তিগত জায়গা তৈরি করে নেন।

🔸স্বাস্থ্য ও আরামের দিক

অনেক দম্পতির ঘুমের অভ্যাস ভিন্ন হয়—কেউ নাক ডাকেন, কেউ আবার ঘুমের মধ্যে অনেক নড়াচড়া করেন।

একসাথে ঘুমালে এই অভ্যাস অপরজনের ঘুম নষ্ট করে।

আলাদা বিছানা নেওয়া মানে উভয়েরই গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের নিশ্চয়তা।

🔸বৈবাহিক সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব

গবেষণায় দেখা গেছে, জাপানে বিবাহবিচ্ছেদের হার তুলনামূলকভাবে কম।

এর একটি বড় কারণ হলো ঘুমজনিত সমস্যা থেকে সম্পর্ক নষ্ট না হওয়া।

তারা মনে করেন, “দিনের পর দিন বিরক্তির চেয়ে আলাদা ঘুমিয়ে সুখী থাকা অনেক ভালো।”

আলাদা বিছানা নেওয়া মানেই সম্পর্ক দুর্বল নয়—বরং সম্পর্কের প্রতি পরস্পরের সম্মান প্রকাশ।

🔸পাশ্চাত্যের সঙ্গে তুলনা

পশ্চিমা দেশে সাধারণত একই বিছানায় ঘুমানোই দাম্পত্য ভালোবাসার প্রতীক ধরা হয়।
কিন্তু জাপানে বিষয়টি উল্টো—

তারা আলাদা ঘুমকেও ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার অংশ মনে করেন।

এটি সম্পর্কের দূরত্ব নয়, বরং দীর্ঘস্থায়িত্বের কৌশল।

🔸জাপানের এই প্রথা আমাদের শেখায় যে, ভালোবাসা মানেই সবকিছু একসাথে ভাগ করে নেওয়া নয়, বরং পরস্পরের প্রয়োজনকে সম্মান করা।
যেখানে ভালো ঘুম মানসিক শান্তি এনে দেয়, সেখানে দাম্পত্য সম্পর্কও স্বাভাবিকভাবে দৃঢ় হয়। তাই জাপানি দম্পতিদের আলাদা বিছানায় ঘুমানোর এই অভ্যাস আসলে এক ধরনের সচেতনতা—যা তাদের সম্পর্ককে দীর্ঘ ও মজবুত রাখে। ❤️✨

Geography zone- ভূগোল বলয়


অভাবের মর্যাদারাতে অন্ধকার ঘনিয়েছে। মাটির ঘরে ছোট্ট প্রদীপটা টিমটিম করে জ্বলছে। বাইরে হালকা বৃষ্টি, টিনের চাল থেকে টুপটা...
09/09/2025

অভাবের মর্যাদা

রাতে অন্ধকার ঘনিয়েছে। মাটির ঘরে ছোট্ট প্রদীপটা টিমটিম করে জ্বলছে। বাইরে হালকা বৃষ্টি, টিনের চাল থেকে টুপটাপ শব্দ হচ্ছে। শীতের রাত, কিন্তু সেই ঘরে নেই কোনো মোটা কম্বল, নেই নরম বিছানা। একটি পুরনো খেজুরপাতার মাদুর আর তার ওপর পাতলা চাদর।

গরীব পিতা আবদুল মালেক নিজের সন্তান রাফিকে কাছে টেনে নিয়ে বললেন—

“বাবা, আজ তোকে একটা গল্প শোনাবো। এটা কোনো রূপকথা নয়, একেবারে সত্যি গল্প। এই গল্প শুনে তুই বুঝবি, অভাব কষ্টের হলেও এর ভেতরেই মর্যাদা লুকিয়ে আছে।”

রাফি অবাক চোখে বাবার দিকে তাকালো।

---

গল্পের শুরু

“অনেক বছর আগে, আমার বয়স তখন তোর চেয়েও কম। আমাদের বাড়িতে একদিন ভাত রান্না করার মতোও চাল ছিল না। মা চুপচাপ আমাদের জন্য ভাতের বদলে লাল লবণ দিয়ে গরম পানি খাওয়াতেন। আমরা ভেবেই নিতাম এটা নাকি এক ধরনের স্যুপ। পেট ভরে যেত না, কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা কোনো অভিযোগ করতাম না।

আমার বাবার হাতে কোনো কাজ থাকত না। সকাল থেকে সন্ধ্যা তিনি খেতমজুরের খোঁজে ঘুরতেন। অনেক সময় ফেরত আসতেন খালি হাতে। তখন মা আমাদের বলতেন—
‘অভাব লজ্জার নয়, চুরি করলে লজ্জা। অভাব সহ্য করতে পারলে তোর মাথা কখনো নিচু হবে না।’

সেই কথা আজও আমার মনে গেঁথে আছে।

একদিন এক ধনী লোক আমাদের বাড়িতে এলেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘তুই আমার বাগানে কাজ করবি, কিন্তু শর্ত হলো, বাগানের ফল যদি তোর চোখে পড়ে, তুই চুরি করে খেতে পারবি না।’

আমি তখন ক্ষুধায় কাতর, দুইদিন ভাত খাইনি। তবু বাবার শিক্ষা মনে রেখে ফলের দিকে তাকিয়েও খাইনি। ধনী লোকটা দেখে অবাক হলো। পরে সে আমাকে ডেকে বলল,
‘তুই অভাবী হলেও সততা ধরে রেখেছিস। আমি তোকে আমার দোকানে কাজ দেবো।’

সেই সততার কারণেই আমি ধীরে ধীরে একটু দাঁড়াতে পেরেছিলাম।”

---

সন্তানের চোখ ভিজে যায়

মালেক থেমে গিয়ে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বললেন—

“বাবা, আমরা গরীব, এটা ঠিক। আমাদের ঘরে হয়তো বিলাসিতা নেই। কিন্তু এই অভাব আমাদের শিখিয়েছে মানুষ কিভাবে সৎ থাকতে হয়, কিভাবে অল্পতে খুশি থাকতে হয়। মনে রাখিস, বিলাসিতা মানুষকে অলস আর অকৃতজ্ঞ করে দেয়। কিন্তু অভাব মানুষকে পরিশ্রমী, ধৈর্যশীল আর মর্যাদাবান বানায়।

তুই যখন বড় হবি, তখন হয়তো ধনী হবি। কিন্তু যেন কোনোদিন অভাবের মর্যাদা ভুলে না যাস। অল্প খাবার থাকলেও যদি তা ঘামের টাকায় আসে, তবে সেটা রাজকীয় ভোজের চেয়েও বেশি সম্মানের।”

রাফির চোখে পানি জমে গেল। সে বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলল—

“বাবা, আমি বুঝেছি। আমি কোনোদিন বিলাসিতার লোভ করব না। আমি অভাবকে মর্যাদা হিসেবে দেখব।”

---

গল্পের শেষ

বাইরে বৃষ্টি তখনো ঝরছে, কিন্তু ঘরের ভেতরে আলোটা যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। অভাবের ভেতরেও সেই পরিবারের হৃদয়ে জন্ম নিল এক অমূল্য সম্পদ— সততা, পরিশ্রম আর মর্যাদার শিক্ষা।

---

এই গল্প পড়লে বোঝা যায়, অভাব কখনো অভিশাপ নয়, বরং মানুষের চরিত্রকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে গড়ে তোলে।

 fans
08/09/2025

fans

1. ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয় – বারবার ভয় দেখালে শিশু ছোট ছোট বিষয়েও ভয় পেতে শুরু করে।2. আত্মবিশ্বাস কমে যায় – বাচ্চা ভাবে সে সব...
03/09/2025

1. ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয় – বারবার ভয় দেখালে শিশু ছোট ছোট বিষয়েও ভয় পেতে শুরু করে।

2. আত্মবিশ্বাস কমে যায় – বাচ্চা ভাবে সে সবসময় ভুল করছে, ফলে নিজের ওপর ভরসা হারায়।

3. মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ে – শাস্তি বা মার খাওয়ার ভয়ে বাচ্চা সত্যি লুকাতে শুরু করে।

4. মনের ভেতর রাগ জমে – শিশুর মনে অভিমান ও ক্ষোভ জমতে থাকে, যা পরবর্তীতে বিদ্রোহী স্বভাব তৈরি করতে পারে।

5. পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় – ভয় পেলে শেখার ইচ্ছা ও আগ্রহ নষ্ট হয়।

6. সম্পর্ক দুর্বল হয় – বাবা-মায়ের প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসার জায়গায় ভয়ের দেয়াল তৈরি হয়।

7. সামাজিক দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় – সবসময় ভয় পাওয়া শিশুরা অন্যদের সঙ্গে সহজে মেলামেশা করতে পারে না।

8. মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে – দীর্ঘমেয়াদে উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা আত্মসম্মানহীনতা তৈরি হতে পারে।

9. শিশু আক্রমণাত্মক হতে পারে – ভয় থেকে শেখা আচরণ হিসেবে সে-ও অন্যকে ভয় দেখানো বা মারধর করা শুরু করতে পারে।

10. শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট হয় – ভয় পেলে নতুন কিছু ভাবা বা চেষ্টা করার সাহস কমে যায়।

সন্তানকে ভয় দেখানোর পরিবর্তে ভালোবাসা, যুক্তি দিয়ে বোঝানো, ছোটখাটো পুরস্কার বা ইতিবাচক প্রশংসা ব্যবহার করলে তার মানসিক বৃদ্ধি ও চরিত্র অনেক সুন্দর হয়।
fans
Everyone Active

অ্যাথলেট: আমি কি মদ খেতে পারি?কোচ: পারো।অ্যাথলেট: ধূমপান করতে পারি?কোচ: সেটাও পারো।অ্যাথলেট: পার্টি করতে, রাত জাগতে, একট...
16/08/2025

অ্যাথলেট: আমি কি মদ খেতে পারি?
কোচ: পারো।

অ্যাথলেট: ধূমপান করতে পারি?
কোচ: সেটাও পারো।

অ্যাথলেট: পার্টি করতে, রাত জাগতে, একটু জীবন উপভোগ করতে পারি?
কোচ: তোমাকে কেউ থামাচ্ছে না।

অ্যাথলেট: মাঝে মাঝে নেশা করতে পারি?
কোচ: যদি সেই পথই বেছে নাও, পারো।

অ্যাথলেট: তাহলে আমি কী করতে পারব না?
কোচ: ত্যাগ ছাড়া শীর্ষ পারফরম্যান্স আশা করতে পারবে না। সাধারণ অভ্যাস রেখে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া যায় না।

সবকিছুই অনুমতিপ্রাপ্ত—কিন্তু সবকিছুই জেতার পথে সাহায্য করে না।

পছন্দ তোমার: ক্ষণিকের আনন্দ নাকি দীর্ঘমেয়াদি মহত্ত্ব।

প্রতিটি সিদ্ধান্ত তোমার পরিণতি গড়ে দেয়। ভবিষ্যৎ কাকতালীয় নয়—এটা অর্জিত হয়।

আলজেরিয়ায় একজন ব্যবসায়ীর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়, যেখানে তিনি তার সারা জীবনের সঞ্চয় হারান। তবে, লোকদের অবাক করে দি...
08/08/2025

আলজেরিয়ায় একজন ব্যবসায়ীর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়, যেখানে তিনি তার সারা জীবনের সঞ্চয় হারান। তবে, লোকদের অবাক করে দিয়ে, ক্ষতির জন্য চিৎকার করার বদলে তিনি পানি চাইলেন, ওযু করলেন এবং ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করলেন।

পরবর্তীতে তিনি বললেন, "আমি যদি কাঁদতেই চাই, তাহলে আল্লাহর সামনেই কাঁদব—যিনি আমার হারানো সম্পদের চেয়েও বেশি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম।"

➡️"এবং ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই এটি বিনয়ী ছাড়া সবার জন্য কঠিন।" — সূরা আল-বাকারা ২:৪৫

➡️"নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে যখনই কোনো বিষয় চিন্তিত করত, তিনি নামাজে মগ্ন হতেন।" — সুনান আবু দাউদ ১৩১৯

কপি

🛑 সন্তানকে সবসময় “আমাদের সামর্থ্য নেই”, “এটা পারব না”, “তুমি এটা চিন্তাও কোরো না”— এমন কথা বলবেন না।🔆 বরং শেখান: “মানুষ ...
08/08/2025

🛑 সন্তানকে সবসময় “আমাদের সামর্থ্য নেই”, “এটা পারব না”, “তুমি এটা চিন্তাও কোরো না”— এমন কথা বলবেন না।
🔆 বরং শেখান: “মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হয়।”

✅ সন্তানকে শেখান:
– বড় করে চিন্তা করতে
– নিজের মানসিকতা বড় রাখতে
– পৃথিবীকে জানতে ও দেখতে চাওয়া স্বপ্ন দেখতে

🎁 সাধ্য অনুযায়ী ভালো জিনিস কিনে দিন।
📚 জন্মদিনে গিফট করুন এডগার এলেন পো বা আইজ্যাক বশেভিস সিঙ্গারের বই।
🌍 বলুন, পৃথিবীতে শুধু এই দেশই শ্রেষ্ঠ নয়— আরো অনেক দেশ, মানুষ ও সভ্যতা আছে জানার জন্য।

🧠 "চেয়ারে বসাই পড়ালেখার লক্ষ্য না" – এটা বোঝান।
💡 চিন্তার মুক্তি ছাড়া জ্ঞান অর্থহীন।
🧭 তাকে শেখান সৎ ও বিবেকবান মানুষ হতে।

🌄 ছোটবেলা থেকেই তার হৃদয়ে জন্ম দিন সুইজারল্যান্ডের ইন্টারলেকেন বা কাশ্মীরের সকালের জন্য আকর্ষণ।
📖 প্রচুর ভ্রমণ কাহিনী পড়তে দিন।

⚠️ মনে রাখবেন:

> অভাব শেখালে, সন্তান শুধু বাঁচে।
স্বপ্ন শেখালে, সে গড়তে পারে পৃথিবাকেও।

💣 গরিব হওয়া অপরাধ না,
অপরাধ হলো— নিজের ভাবনাকেই গরিব করে রাখা।

🚫 যে কেউ আপনার সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ছোট করে দেখে—
তাকে এড়িয়ে চলুন, অন্তত ৫০০ হাত দূরে থাকুন।

আপনার সন্তানকে "সীমা" নয়, "সম্ভাবনার" গল্প বলুন।
তবেই সে একদিন আপনাকেও ছাপিয়ে যাবে। ❤️

সন্তানকে বদলাতে চাইলে আগে নিজের আচরণ বদলান।কারণ, আপনি যেমন, সেও একদিন ঠিক তেমনই হবেশিশুকে ডিসিপ্লিন করার ক্ষেত্রে আপনি ন...
07/08/2025

সন্তানকে বদলাতে চাইলে আগে নিজের আচরণ বদলান।
কারণ, আপনি যেমন, সেও একদিন ঠিক তেমনই হবে
শিশুকে ডিসিপ্লিন করার ক্ষেত্রে আপনি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, আপনার সন্তান একজন ঠান্ডা মাথার আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে উঠবে।
আর আপনি যদি চিৎকার করেন, গায়ে হাত তোলেন —
আপনার সন্তান একজন দুর্বল, ভীতু, আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ হবে।
এবং সেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাথা ঠান্ডা রাখার বদলে
এংজাইটিতে ভুগবে, চিৎকার করবে, মারামারি করবে।
মনে রাখবেন — ভয় কখনো কাউকে সাহসী বানায় না,
ভয় ভীতুই বানায়।”

একটা প্রশ্ন করি— আপনার সন্তান যখন ভয় পায়, তখন সে আপনাকে কি বন্ধু ভাবে,
নাকি একজন শাস্তিদাতা?

আপনার মুখের ভাষা নয়, আপনার রাগ, আপনার ভঙ্গি, আপনার চোখের চাহনি—
এগুলোই আপনার সন্তানকে শেখায়, "আমি নিরাপদ কি না… আমি ভালোবাসার যোগ্য কি না…"

আপনি যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন,
তাহলে সে কেন পারবে?

শিশু ভুল করবেই—এইটাই শেখার বয়স।
আপনার রাগ নয়, আপনার ধৈর্য তার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

আজ আপনি যদি তাকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেন,
কাল সে অন্য কাউকে ভয় দেখিয়ে তার কথা জোর করে বলবে।

আর যদি আপনি তাকে ভালোবেসে বোঝান,
তাহলে সে শিখবে কিভাবে শান্ত থেকে, ভালোবাসা দিয়ে জীবন চালাতে হয়।

সন্তানকে বদলাতে চাইলে আগে নিজের আচরণ বদলান।
কারণ, আপনি যেমন, সেও একদিন ঠিক তেমনই হবে।



Collected

অলসতা — এটা যেন এক নিঃশব্দ মাদক।শরীরে ক্ষতি করে না, তাই আমরা ভয় পাই না।কিন্তু ঠিক যেভাবে নেশা ধীরে ধীরে একজন মানুষকে ভেত...
01/08/2025

অলসতা — এটা যেন এক নিঃশব্দ মাদক।
শরীরে ক্ষতি করে না, তাই আমরা ভয় পাই না।
কিন্তু ঠিক যেভাবে নেশা ধীরে ধীরে একজন মানুষকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে,
অলসতাও তেমনই — নিঃশব্দে আমাদের স্বপ্ন, সময় আর সামর্থ্য গিলে নেয়।

প্রথমে মনে হয় “আজ একটু বিশ্রাম নিই”,
তারপর দিন চলে যায় “পরেও করা যাবে” ভেবে।
এক সময় দেখি, দিন নয়, মাস চলে গেছে…
আর আমরা এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে — কিছুই শুরু করিনি।

অলসতা কখনো একসাথে আঘাত করে না,
বরং একটু একটু করে আপনাকে পিছনে টেনে নেয়,
যেন আপনি বুঝতেই না পারেন — আপনি আসলে হারিয়ে যাচ্ছেন।

তাই মনে রাখবেন —
যেমন নেশা মানুষকে ধ্বংস করে,
ঠিক তেমন অলসতাও ধ্বংস করে দেয় জীবনের সম্ভাবনা।

নিজেকে রক্ষা করতে হলে শুধু মাদক নয়,
অলসতার দিকেও চোখ রাখতে হবে।
কারণ দুটোই মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেয়…

তফাৎ একটাই — একটাকে আমরা ভয় পাই, আরেকটাকে আমরা গুরুত্বই দিই না।

Address

House : 04, Road : 2, Block G, Mirpur 1
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Omega Point Drug Addiction Treatment Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Omega Point Drug Addiction Treatment Center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Our Story

Are u tense with your Blood relatives,Neighbours,siblings,children or someone very close to you? Simply forget to worry about and come to our recovery center!!!! We handle with care of all kind of Mental Problems,Stress,Depression,Drug Addiction and so on. We have Doctors and Psychiatrist for our patient . Its a 4 Month program: 1st month (Detoxification), 2nd & 3rd Month (Rehabilitation) And Last but not the least Family Counselling. Trust on us we will solve your problem. Warm wishes with Best regards, Razib Shah 01711159828 01613203103

01778553063

Mirpur,Dhaka

House 4,Road 2,Block G,Mirpur 1(Besides OGSB hospital)