Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক

Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক, Doctor, Dr. Md. Faijul Huq, A-38/1, Islampur (Ambagan), Dhamrai, Dhaka.

01972859950 ও 01712859950 আমাদের মোবাইল নাম্বার । অন্য কোনো নাম্বার নাই।
প্রতারকরা ফেসবুকে আমার ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। সতর্ক থাকবেন।

07/11/2025

মটকু /মোটা, শুকনা, কালো, ফ্যাকাসে, বেঁটে, লম্বু, টাক, কাকের বাসা ইত্যাদি শব্দগুলোর নেতিবাচক ব্যবহার করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।

আমরাই সেই মানুষ, যারা নিজেদেরই পশুর সঙ্গে তুলনা করি। হাতির মতো মোটা, জলহস্তীর মতো চলে, গন্ডারের মতো মোটা চামড়া, জিরাফের মতো লম্বা, বানরের মতো দেখতে আরও কত-কি। 'তোমার মাথায় ফুটবল খেলা যাবে', 'এত শুকনা বাতাসে উড়ে যাবা', 'এত মোটা দুই দিন পর তো দরজা দিয়েই ঢুকবা না'- এই ধরনের কথাও শোনা যায় অহরহ।

এমনকি আমরা আমাদের যানবাহনের সঙ্গে তুলনা করতেও ভুলিনি। ট্রাক, বাস, টেম্পো এগুলোর সঙ্গেও তুলনা দেওয়া হচ্ছে মানুষের।

একটা মানুষের বাইরের সৌন্দর্যে তার হাত থাকে না। এটা সৃষ্টিকর্তার দান। তার আকৃতিও সব সময় তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অনেক অসুস্থতার জন্যও মানুষের স্থূলতা আসে, চুল কমে যায়। বংশগত বৈশিষ্ট্য অনেক ক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।

কিন্তু সমালোচনাকারীরা এর পেছনের কারণ জানতে চায় না কখনো। তারা দেখে না মোটা ব্যক্তির স্থূলতার পেছনে কোনো অসুখ কিংবা বংশগতির প্রভাব আছে কি না। আর মানুষের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার জন্য এই একটা সমালোচনাই যথেষ্ট। শুধু তা-ই নয়, মানুষকে মৃত্যুর মুখেও ঠেলে দিতে পারে এই সমালোচনা, যা আমরা দেখেছি।

আমরা বড়রা যা বিশ্বাস করি, ছোটদের তা-ই শেখাই। ছোটরা তাদের কথা ও আচরণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না অনেক সময়। তারা না বুঝেই খেলার ছলে অন্য একটি ছোট্ট হৃদয়ে সমালোচনার বাণ দিয়ে এমন আঘাত দিতে পারে, যা তার ব্যক্তিত্বে গভীর ক্ষত তৈরি করতে পারে। তাই আমাদের সচেতন হওয়া অনেক জরুরি।

07/11/2025

মোজাম্মেল সাহেব ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ছেলেটা কথা শুনে না, পড়ালেখা করে না, নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ায়, ভবিষ্যতের কথা ভাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েটিও ছন্নছাড়া। ইদানীং একটা বখাটে ছেলের সাথে ঘোরা-ফেরা করে।

সন্ধ্যা থেকেই মোজাম্মেল সাহেব দুশ্চিন্তায় আছেন। অস্থির লাগছে। ক্ষণে পায়চারি করেন, ক্ষণে বসেন, ক্ষণে দুশ্চিন্তায় আনমনা হয়ে পড়েন। হঠাৎ করেই মনে হলো তার মাথা ঘামছে, অস্থিরতা বেড়েই চলছে। মোজাম্মেল সাহেব অনুভব করছেন তার বুক ধড়ফড় করছে, শ্বাস নিতে পারছেন না, এই শীতেও তিনি ঘামছেন, বুক ভারী অনুভব করছেন, এত খোলামেলা পরিবেশেও তিনি যেন অক্সিজেন পাচ্ছেন না।

আর অপেক্ষা করা যায় না। স্ত্রী তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। সকলেই ভাবছেন নির্ঘাত তার হার্টের অসুখ হয়েছে। কিন্তু মোজাম্মেল সাহেবের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস ছিল না। তাড়াতাড়ি করে ইসিজি করা হলো, হৃদরোগের জন্য রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার ব্যবস্থা হলো। মোজাম্মেল সাহেবকে অক্সিজেন দেওয়া হলো, ঔষধ/ইঞ্জেকশন দেওয়া হলো। ইঞ্জেকশনের পর তিনি ঘুমালেন। বলতে গেলে সারা রাতই ঘুমালেন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর তার আরাম বোধ হতে লাগল। বুকে চাপ, ধড়ফড়, অস্থিরতা নাই। ডাক্তার বললেন ইসিজিসহ সকল পরীক্ষার ফলই ভালো। তিনি হৃদরোগে ভুগছেন না।

উপরের চিত্রটি একটি প্যানিক অ্যাটাক্ (Panic attack) রোগের। একটি প্যানিক অ্যাটাক এর এক মাসের মধ্যে অন্য একটি অ্যাটাক্ হলে অথবা রোগী আর একটি অ্যাটাকএর ভয়ে থাকলে/উদ্বিগ্ন থাকলে বা তার আচরণগত পরিবর্তন হলে তাকে প্যানিক ডিসঅর্ডার (Panic disorder) বলে।

প্যানিক ডিসঅর্ডার একটি তীব্র (Acute) ও আকস্মিক (Episodic) উদ্বিগ্নতা। সাধারণত এর উপসর্গসমূহ নিম্নরূপ হতে পারে-

* বুক ধরফর, হৃদপিণ্ড/বুকে নিষ্পেষণ (Pounding Heart) বা হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়া
* ঘাম/কপালে-শরীরে ঘাম
* হাত পা কাঁপা/ঝাঁকুনি
* শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট/শ্বাসরোধ
* বিষম বোধ
* বুকে ব্যথা বা বুকে অস্বস্তি বোধ
* বমি বমি ভাব/পেটে অস্বস্তি
* মাথা ঝিম ঝিম/অস্থির/টলটলায়মান
* মাথায় হালকা অনুভব
* মূর্ছা প্রবণ/নিস্তেজ
* নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হওয়া
* নিজের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়
* নিজেকে পাগল পাগল ভাবা
* মৃত্যু ভীতি/মরে যাচ্ছি এই ভয়
* হাত পা অবশ হওয়া
* হিম শীতল বোধ হওয়া ইত্যাদি

উপরের বর্ণনা থেকে বোঝাই যাচ্ছে, Panic Disorder-এর লক্ষণ/চিহ্নগুলো অনেকটা হৃদরোগের লক্ষণ/চিহ্নের মতো। তাই রোগী বা ব্যক্তি হৃদরোগে ভুগছেন মনে করে তড়িৎ ইর্মাজেন্সিতে যায় ।

চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনা

* প্রথমেই সহায়তা/সাহায্য করতে হবে ।
* জীবনের নির্দিষ্ট কোনো মানসিক চাপ থাকলে তা নিরাময় বা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
* রোগটি সম্বন্ধে জানলে জানতে হবে।
* অহেতুক ভীতি দূর করতে হবে।
* রিলাক্সেশন (শিথিলিকরণ), দীর্ঘ শ্বাস অনুশীলন (Deep breathing Exercise) ত্বরিত রোগের মাত্রা কমতে পারে।
* বারেবারে/প্রতিবারে ইর্মাজেন্সিতে টানাটানিতে রোগীর মনোবল অনেক সময় কমে যায়।

রিলাক্সেশন ট্রেনিং, নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক চাপ মুক্ত থাকাসহ অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যায়।হোমিও এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ এই সমস্যার জন্য খুব ভালো কাজ করে ।
-
ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক
সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডাক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে সাইকোথেরাপিউটিক কাউন্সিলিং এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ফর ডিপ্রেশনের উপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ।

আমেরিকার ওয়েস্টার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটি , ক্যালিফোর্নিয়া তে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে অধ্যায়নরত ।

⚠ সতর্কতা: কিছু প্রতারক আমার ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে প্রতারণা করছে!
✅ আমাদের মোবাইল নাম্বার:
01972-859950,
01712-859950
এই নাম্বার ছাড়া আমাদের কোন নাম্বার নাই। সতর্ক থাকবেন, সাবধান থাকবেন।

06/11/2025

একটি মজবুত সম্পর্কের ভিত তিনটি জিনিসের ওপর নির্ভরশীল।
১) বিশ্বাস,
২) ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতা এবং
৩) পারস্পরিক সম্মানবোধ।

06/11/2025

একটি বাচ্চার কখন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়গুলির জন্য সাহায্যের দরকার হয়?

এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ।
যখন শিশুদের মানসিক বা আচরণগত কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখনই এই ধরনের সাহায্যের দরকার পড়ে। সাধারণত যত আগে চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততই তাদের সাহায্য করাও সহজ হয়।

কিন্তু, অভিভাবক হিসেবে আপনি সবসময়েই চাইবেন অনাবশ্যক চিকিৎসা এড়াতে যাতে আপনার সময় এবং অর্থ উভয়ই বাঁচে। তবে, একটা কথা মনে রাখা খুব জরুরি-একটা বাচ্চার আচরণে একটু সমস্যা দেখা দিলেই তাকে নিয়ে টেনশন করবেন না, বা আগেভাগেই কাউন্সেলিংয়ের জন্য ছুটবেন না। আগে ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করুন, বাচ্চা যাতে বুঝতে না পারে এমনভাবে ওকে নজরে রাখুন। সবচেয়ে বড় কথা ওকে অনেকটা সময় দিন। কর্মরতা মা হলে সম্ভব হলে কিছুদিনের জন্য ছুটি নিন। মা হিসেবে আপনি নিজেই কিন্তু একজন খুব ভালো কাউন্সেলর হতে পারেন। নাহলে দুজনে মিলে সমস্যার সমাধান ভাবুন, চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে বাচ্চাকে নিয়ে একটু কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। বেশিরভাগ বাচ্চাদের 'আটেনটিভ বিহেভিয়েরাল প্রবলেমজনিত সমস্যা মা-বাবার একটু আদরযত্নে, নজরদারিতে আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়। বেশ কিছু সমস্যা দেখবেন নিজেরাই বেশ ঠিক করে ফেলেছেন বাচ্চাটার সমস্যা।
-
মো: ফাইজুল হক
সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডাক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে সাইকোথেরাপিউটিক কাউন্সিলিং এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ফর ডিপ্রেশনের উপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ।

আমেরিকার ওয়েস্টার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটি , ক্যালিফোর্নিয়া তে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে অধ্যায়নরত ।

⚠ সতর্কতা: কিছু প্রতারক আমার ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে প্রতারণা করছে!
✅ আমাদের মোবাইল নাম্বার:
01972-859950,
01712-859950
এই নাম্বার ছাড়া আমাদের কোন নাম্বার নাই। সতর্ক থাকবেন, সাবধান থাকবেন।

05/11/2025

একবার একটি শিশু, যে স্কুলে যেতে চাইত না, পড়াশোনায় তেমন মনোযোগ ছিল না, তার কাউন্সেলিংয়ের সময় কিছু ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। সে মা-বাবা আর ভাই মিলে এক পরিবারে থাকত। পরিবারে কোনো রকম সমস্যা ছিল না, মা-বাবার মধ্যেও ছিল সহজ-সুন্দর সম্পর্ক। বাচ্চাটি যে সব ছবি আঁকল, দেখা গেল বেশিরভাগ ছবিতে মা-বাবার মাঝখানে সে, আর ভাই রয়েছে অনেক দূরে। কিছুকিছু ছবিতে সে ভীষণ

লম্বা আর ভাই খুব ছোটো। বেশ কয়েকটি ছবিতে তার মা-বাবা আছে, বাড়ির পোষা বিড়াল আছে, গাছ-ফুল, আকাশ, সবই আছে, কিন্তু ভাই নেই। বোঝা গেল বাচ্চাটার 'এটেনশন বিহেভিয়েরাল প্রবলেম' আছে। তার মা-বাবার আদর ভালোবাসায় ভাই ভাগ বসাচ্ছে, এটা সে মেনে নিতে পারছে না। বাচ্চাটির মাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলাতে, সেই মা নিজেই বাচ্চাটির সঙ্গে সময় কাটিয়ে তাকে তার মানসিক সমস্যা থেকে বের করে আনতে পেরেছিলেন।

বাচ্চাকে যে পদ্ধতিতে সাহায্য করা হয়েছে তার নাম আর্ট থেরাপি ।

আর্ট থেরাপি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বা মানসিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া, যা নানা রকমের সাইকোথেরাপিউটিক কৌশলগুলোকে একত্রে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।

আমেরিকান আর্ট থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন মানসিক সুস্বাস্থ্যের একটি উপায় হিসেবে আর্ট থেরাপিকে ব্যবহার করে যা শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার উন্নতির জন্য খুব জরুরি। এখানে মুলত ক্লায়েন্টকে নানা রকমের ছবি আঁকতে বলা হয়। ছবি আঁকার মাধ্যমে ব্যক্তির মনের ভেতরে সুপ্ত শৈল্পিক চেতনা প্রকাশিত হয়, এতে মন ভালো থাকে। শিশুদের কাউন্সেলিংয়ের সময়ে কাউন্সেলর আর্ট থেরাপির অন্য রকম ব্যবহার করে থাকেন। শিশুদের মানসিক সমস্যা বুঝতে আর্ট থেরাপির সাহায্য নেয় তারা। একটি শিশু সবসময়ে তার সমস্যা ঠিক করে বলতে পারে না। পরিবারে শিশুটির অবস্থান কী, সে কার সম্বন্ধে কী ভাবছে বা তার অবচেতন মনে কী লুকিয়ে আছে, তা আর্ট থেরাপির মাধ্যমে খুব ভালো বোঝা যায়।

05/11/2025

দম্পতিরা নিচের অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চা শুরু করুন

মার্টিন লুথার কিং একবার বলেছিলেন, 'ঘৃণা বোঝা হিসেবে এতই বড় যে, তা বহন করা যায় না।' কারণ, আমরা জানি তখন বিবাহ ,অন্তরঙ্গতা ,বন্ধুত্ব কিছুই কাজ করে না, সোজা সম্পর্কটা গড়িয়ে নিচে হারিয়ে যায়। ঘৃণার এই বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের অভ্যাসগুলো চর্চা করুন।

১. নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন এই ঘটনাটি আমার সাথে ঘটল। এই ঘটনা ঘটাতে আমার অবদান কী ছিল?

২. আনন্দ পান এমন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

৩. কখনো কখনো রাগ আমাদের দৃষ্টিকে ঘোলা করে দেয়। কাজেই নিজের মনোভাব বদলাতে কী করতে পারেন, ঠান্ডা মাথায় সেটা ভেবে দেখুন।

৪. প্রত্যেকটি জিনিসেরই কিছু ইতিবাচক এবং কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আছে। যেই ঘটনাটি ঘৃণা তৈরি করছে সেটার ইতিবাচক প্রবাহ কী হতে পারে, খুঁজতে থাকুন।

৫. মন না চাইলেও কখনো কখনো আনন্দ খুঁজুন এবং নিজেকে তৃপ্তি দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হোন। এভাবে কোনো না কোনো সময় মন সত্যি আনন্দ খুঁজে নেবে।

৬. জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চর্চা করুন।

৭. মনের ভাব চিঠিতে লিখে প্রকাশ করুন। যদি প্রয়োজন মনে করেন, তবে চিঠি পাঠাবেন। অন্যথায় গোপন রাখবেন। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার মনের ভাব মৌখিক না হলেও অন্তত লিখে প্রকাশ করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বস্তি পাবেন না।

৮. ক্ষমা করতে শিখুন। ক্ষমা করতে শেখা প্রয়োজন অন্যের জন্য নয় বরং নিজের জন্য। না হলে ঘৃণার বোঝা বয়ে বেড়াতে বেড়াতে জীবন দুর্গন্ধময় হয়ে যাবে।
-
মো: ফাইজুল হক
সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডাক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে সাইকোথেরাপিউটিক কাউন্সিলিং এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ফর ডিপ্রেশনের উপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ।

আমেরিকার ওয়েস্টার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটি , ক্যালিফোর্নিয়া তে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে অধ্যায়নরত ।

⚠ সতর্কতা: কিছু প্রতারক আমার ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে প্রতারণা করছে!
✅ আমাদের মোবাইল নাম্বার:
01972-859950,
01712-859950
এই নাম্বার ছাড়া আমাদের কোন নাম্বার নাই। সতর্ক থাকবেন, সাবধান থাকবেন।

04/11/2025

কাউন্সিলিংয়ের কেস ষ্টাডি

বন্যা ২২ বছর বয়সি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রাজধানী শহরে পরিবারের সাথেই তার বসবাস। নিজের সম্পর্কে বন্যার প্রথম কথা ছিল, "আমাকে আমার ভালো লাগে না। আমার কোনোকিছুই আমার ভালো লাগে না"।

বন্যা নিজেকে অপছন্দ করে কারণ তার ধারণা সে তার বোনের মতো সুন্দর, মেধাবী, বিনয়ী, ও পরিশ্রমী নয়। আর তার নিজের সম্পর্কে এই সব ধারণা বা সমালোচনা মূলত তার মায়ের মস্তিষ্ক থেকে তার মস্তিষ্কে স্থানান্তরিত হয়েছে।

চেহারা, মেধা, আচার-আচরণ সমস্ত বিষয়ে মা তাকে তার বড়ো বোনের সাথে তুলনা করে আসছে শুরু থেকেই। একবার অঙ্কে বন্যা ১০০-তে ৭৪ পেয়েছিল, এ প্লাস পায়নি বলে মা তাকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে বের করে দেয়। সেদিন অপরাধীর মতো সে দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

বন্যা খুব ভালো গান গায়, গান গাইতে তার ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু পরীক্ষায় মায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল করতে পারছিল না বলে মা তার সংগীতচর্চা বন্ধ করে দেয়। অবশ্য মা যে সবসময় মুখেই সবকিছু বলত তা নয়, আচার-আচরণের মাধ্যমেও বোঝা যেত যে পড়ালেখায় ভালো হলে এবং মায়ের মনের মতো আচরণ করলেই সে ভালোবাসার যোগ্য, তা না হলে নয়। আর এখন সে নিজেও তাই মনে করে। নিজেকে প্রতিনিয়তই তার অলস, অকর্মণ্য, অযোগ্য ও মূল্যহীন মনে হয়।

এদিকে তার ক্লাসের একটি ছেলেকে তার খুব ভালো লাগে। বিষয়টি জানার পর ছেলেটি কিছুদিন খুব আগ্রহ দেখায়, তারপর কেমন যেন বদলে যেতে থাকে এবং একসময় কথা বলা বন্ধ করে দেয়। নিজেকে বন্যার অপরাধী মনে হতে থাকে যে কেন সে তার পছন্দের ব্যাপারটি ছেলেটিকে জানালো। ছেলেটির আচরণে তার কখনো রাগ হয়, কখনও কষ্ট হয় আবার কখনো লজ্জা ও অনুতাপ হয়। পরীক্ষার রেজাল্টও ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে বন্যার। সবকিছু মিলিয়ে নিজের সম্পর্কে তার ধারণা আরো খারাপ হতে থাকে। এখন মাঝে মাঝেই তার মরে যেতে ইচ্ছে করে।

উপরের কেসটিতে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে মূল অংশ ঠিক রেখে কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। কীভাবে কাউন্সেলর কাউন্সেলিং-প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে বন্যাকে সহায়তা দিয়েছিল তা আলোচনা করা হলো।

বন্যার উত্থাপিত বিষয়গুলো ছিল (তার ভাষায়)-

★ মন খারাপ লাগা, সারাক্ষণ কান্না পাওয়া, অল্পতে রেগে যাওয়া, বিরক্ত হওয়া এবং অপরাধবোধে ভোগা।
★ নিজের কোনোকিছুই ভালো না লাগা, নিজের প্রতি ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা।
★ নিজেকে ছোটো মনে হওয়া, আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।
★ কোনো কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা।
★ পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল।
★ বন্ধুত্ব বা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি ও রক্ষা করতে অসুবিধা।
★ সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগা।
★ ঘুমের সমস্যা।
★ নিজেকে ব্যর্থ ও অথর্ব মনে করা।
★ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ।
★ মায়ের প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা।
★ মরে গেলেই ভালো এমন চিন্তাধারা

বন্যার মধ্যে উপরের এই সমস্যা বা উপসর্গগুলো গত ছয় মাসে তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে প্রথম ১২ বছর বয়সে, যখন তার মা পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার জন্য মারতে মারতে তাকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়েছিল, সেসময়েও এই একই ধরনের উপসর্গ নিজের ভেতরে খেয়াল করেছিল সে। সেসময় ক্লান্তি ও শারীরিক কিছু উপসর্গের কারণে তার বাবা তাকে চিকিৎসকের (জেনারেল ফিজিশিয়ান) কাছে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোনো সচেতনতা বা চিকিৎসার পরিকল্পনা ছিল না। আজকাল এই উপসর্গগুলো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বর্তমানে তার কিছু করতে ভালো লাগে না, কারো সাথে মিশতেও ভালো লাগে না। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখায় এক বছরের বিরতি ও বিলম্ব হয়ে গেছে।

বন্যারা দুই বোন, বাবা একজন চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী। বন্যা বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ সন্তান। পরিবারের কারোর সাথেই তার বন্ধন নিরাপদ নয়, এবং কারোর প্রতি সে তেমন আবেগীয় টান অনুভব করে না। তবে সে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে মাকে। শৈশব-কৈশোরে বাবার সাথে তার খুব আনন্দ বা সুখের স্মৃতি না-থাকলেও ভয়াবহ কোনো স্মৃতিও নেই। বাবা বাবার মতো কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তবে মায়ের সাথে তার অধিকাংশ স্মৃতিই ভয়াবহ কষ্টের। সামান্য ভুলেই মা তাকে শারীরিকভাবে শান্তি দিতেন, অনেক বকাঝকা করতেন এবং অনবরত অন্যদের সাথে তুলনা করতেন। বাবা এবং মায়ের মধ্যেও সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। বাবা নিজের মতো বাইরে বাইরে থাকতেন আর মা এসব নিয়ে প্রায়ই বাবার সাথে ঝগড়াঝাঁটি করতেন। বোনের পরীক্ষার ফলাফলে মা মোটামুটি সন্তুষ্ট থাকলেও এবং বোন বন্যার চেয়ে কম শাস্তি পেলেও বন্যার আজকাল মনে হয় তার বোনও শিশু হিসেবে সুখী ছিল না। এবং তার বোন সমাজে মেধাবী ও সফল হিসেবে নাম কুড়ালেও বোনের কিছু আচরণ দেখে বন্যার মনে হয় তার বোনেরও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নয়।

বন্যা কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হয়েছে একটা সুপ্ত আশা নিয়ে, যদি তার কষ্টগুলো থেকে মুক্তি মেলে, যদি সে কাউন্সেলিংসেবা গ্রহণের মাধ্যমে নিজের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটাতে পারে।

গভীর অন্বেষণের এই ধাপে কাউন্সেলর সমানুভূতি দিয়ে বন্যাকে শুনেছিল এবং সেশন শেষে আবেগীয়ভাবে স্থির ও প্রশান্ত হতে রিল্যাক্সেশন চর্চা করিয়েছিল। সেশন শেষে বন্যা জানিয়েছিল নিজের কথাগুলো কাউন্সেলরকে মন খুলে বলতে পেরে সে অনেকখানি হালকা বোধ করছে এবং সেই সাথে কাউন্সেলিংয়ের ব্যাপারে সে আশাবাদী। গভীর অন্বেষণের এই ধাপে বন্যার জন্য দুটি কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজন হয়েছিল।

কাউন্সেলিং থেকে বন্যার প্রত্যাশা কী বা সে কী ধরনের পরিবর্তন চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে বন্যা বলেছিল আমি তীব্র মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি চাই, আমি একটা স্বাভাবিক জীবনযাপন চাই যেখানে আমি আমার কাজগুলো স্বাভাবিকভাবে করতে পারবো এবং আনন্দের ঘটনায় আনন্দ করতে পারবো। এই বিষয়ে আরো খানিকক্ষণ আলোচনার পর কাউন্সেলর এবং বন্যা সম্মিলিতভাবে কাউন্সেলিংয়ের নিম্নলিখিত লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করে।

★ আবেগীয় নিরাময় বা অতীতের কষ্টগুলো থেকে মুক্তি
★ দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি
★ ঘুমের সমস্যা মোকাবিলা
★ রাগ ও অন্যান্য কঠিন আবেগ সামলাতে দক্ষতা অর্জন
★ যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি
★ সম্পর্ক তৈরি ও পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি
★ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি
★ মায়ের সাথে বিষাক্ত সম্পর্কের সমাপ্তি/ মায়ের সাথে দ্বন্দ্ব নিরসন
★সামাজিক দক্ষতা ও সীমারেখা নির্ধারণের দক্ষতা বৃদ্ধি
★ নিজেকে জানা, নিজের অনুভূতি, চাহিদা, ও আচরণের দায়িত্ব নিতে পারা।

কাউন্সেলিং ইন্টারভেনশন
🟢 আবেগীয় নিরাময় বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে:
★ ক্লায়েন্ট-কাউন্সেলরের নিরাপদ বন্ধন, সাথে থাকা, সমানুভূতি ও আবেগীয় সহায়তা
★ রিল্যাকজেশন বা শিথিলায়ন চর্চা
★ মনোযোগিতার চর্চা (নিজের শরীর ও মনের ভেতরে কী ঘটছে সে ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি)
★ প্রাকৃতিকভাবে মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী কেমিকেলগুলোর ভারসাম্য আনতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কিছু প্রশিক্ষণ ও সুপারিশ যেমন, রোদ পোহানো, শরীর চর্চা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ঘুমের নিয়মকানুন, সুষম খাদ্যাভ্যাস গঠন ইত্যাদি ব্যাপারে চর্চা এবং সুপারিশ।
★ আত্মমমতার চর্চা নিজের জগতে প্রবেশ, নিজের বিভিন্ন সত্তাগুলোকে চেনা, নিজের সাথে সংলাপ, নিজের অনুভূতি ও চাহিদাকে শনাক্ত করা (মূলত অতীতের কষ্টকর ও অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে)
★ চেয়ার টেকনিক: নিজের এবং আরেকজনের (যার সাথে সংঘাত) সাথে কাল্পনিক সংলাপ ও আবেগ প্রকাশ
★ রাগ, লজ্জা, ও অপরাধবোধসহ কঠিন আবেগগুলোকে বোঝা ও মোকাবিলা করা
★ ক্ষমার চর্চা
★ কৃতজ্ঞতার চর্চা
★ আত্মত্মবিশ্লেষণ ও আত্মমতার জন্য ডায়েরি লেখা (বাড়ির কাজ)

🟢 আচরণগত ক্ষেত্রে:
★ আন্তরিক যোগাযোগের প্রশিক্ষণ (সমানুভূতির দক্ষতা, আত্মপ্রকাশের দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা)

🟢 চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতার ক্ষেত্রে:
★ নিজের সম্পর্কে সমালোচনা ও ক্ষতিকর ভাবনাগুলোকে শনাক্ত করা (বন্যার ক্ষেত্রে: আমি অযোগ্য, আমি পারদর্শী নই, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি একজন ব্যর্থ মানুষ, ভালো কিছু আমার প্রাপ্য নয়, আমি অনিরাপদ ইত্যাদি) এবং সেগুলোকে সহায়তামূলক ভাবনায় রূপান্তর
★ জীবন ও জগৎ সম্পর্কে ক্ষতিকর ভাবনা ও বিশ্বাসগুলোকে শনাক্ত করা এবং সেগুলোকে সহায়তামূলক ভাবনায় রূপান্তর।

🟢 আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে:
★ যোগাযোগের দক্ষতা চর্চা, নিয়মিত মহরা এবং ফিডব্যাক
★ সম্পর্কে সীমারেখার চর্চা, নিয়মিত মহরা এবং ফিডব্যাক
★ সামাজিক দক্ষতার চর্চা, মহরা এবং ফিডব্যাক
★ পারিবারিক সহায়তা বৃদ্ধি ও পরিবারের সদস্যাদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে মেডিয়েশন সেশন।

এই ধাপে বন্যার মোট ১৪টি সেশন প্রয়োজন হয়েছিল।

কাউন্সেলিং ইন্টারভেনশন ধাপের শুরু থেকেই বন্যা আবেগীয়ভাবে পূর্বের তুলনায় আরাম বোধ করতে শুরু করে। তার বিষণ্ণতার উপসর্গগুলো, যেমন, প্রচণ্ড মন খারাপ ভাব, মনোযোগ দিতে সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি ও শক্তিহীনতা কমতে শুরু করে এবং দৈনন্দিন কাজগুলো নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী সে সম্পন্ন করতে শুরু করে। সে নিজের যত্ন নিতে শুরু করে এবং শেষের দিকে সে কাউন্সেলরকে জানায়, নিজের সম্পর্কে সে এখন ভালো বোধ করে। আগের চেয়ে তার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে সে জানায়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজের আবেগ সামলে নিয়ে সমস্যা সমাধানেও সে আগের চেয়ে দক্ষ হয়ে ওঠে এবং সম্পর্কগুলো পরিচালনায় অনেকটাই পারদর্শী হয়ে ওঠে। বেশ কিছু বিশ্বস্ত বন্ধু তৈরি হয়েছে তার। মাকে সে ক্ষমা করতে পেরেছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে সে যথাযথ সীমারেখা নির্ধারণের মাধ্যমে আগের চেয়ে শান্তিতে আছে।

১৬তম সেশনে এসে কাউন্সেলর এবং বন্যা কাউন্সেলিং-প্রক্রিয়ার সমাপ্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী কালে ১ মাসের ব্যবধানে সে আরো দুটি সেশন নেয় এবং নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কাউন্সেলরকে তথ্য ও ফিডব্যাক দেয়। ১৮ তম সেশনে এসে কাউন্সেলিংয়ের সমাপ্তি হয়। পরবর্তী কালে কোনো কারণে কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজন হলে কাউন্সেলরের সেবার দরজা তার জন্য উন্মুক্ত এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে কাউন্সেলর তাকে বিদায় জানায়।

-
মো: ফাইজুল হক
সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডাক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে সাইকোথেরাপিউটিক কাউন্সিলিং এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ফর ডিপ্রেশনের উপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ।

আমেরিকার ওয়েস্টার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটি , ক্যালিফোর্নিয়া তে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে অধ্যায়নরত ।

⚠ সতর্কতা: কিছু প্রতারক আমার ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে প্রতারণা করছে!
✅ আমাদের মোবাইল নাম্বার:
01972-859950,
01712-859950
এই নাম্বার ছাড়া আমাদের কোন নাম্বার নাই। সতর্ক থাকবেন, সাবধান থাকবেন।

04/11/2025

নিচের অভ্যাসগুলোর নিয়মিত চর্চা শুরু করুন

১. স্বামী-স্ত্রী সন্তানের সামনে পরস্পরকে সমালোচনা বা অসম্মান করবেন না। কারণ, এতে সন্তান দুজনকেই অসম্মান করা শেখে।

২. দাম্পত্য কলহ থাকলেও সন্তানকে নিজের দলে টেনে বাবা অথবা মায়ের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে দল ভারী করবেন না।

৩. সন্তানের ভালো কাজগুলো উল্লেখ করে প্রশংসা করুন। যেমন-আপনার ছেলে চমৎকার ফুটবল খেলে, কিন্তু অঙ্কে গোল্লা পেয়েছে। এবার আপনি তাকে বলবেন, 'একটু ভেবে দেখো তো, তুমি ফুটবল খেলায় যে রকম ভালো, খেলার মাঠে সবাই যেমন হাততালি দেয় তোমার খেলা দেখে, সে রকম অঙ্কে একটু ভালো হলে কেমন হতো?'

04/11/2025

স্বামী বা স্ত্রীর প্রয়োজন ও মনোভাবকে সম্মান করুন ; তিনি কী বলছেন, কখন, কোথায়, কিভাবে, কতক্ষণ যৌনতায় লিপ্ত হতে চান সেটির প্রতি মনোযোগী হওয়া ও সেটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।

আপনি তাকে 'না' বলতে পারেন কিন্তু সেটি সম্মানজনক উপায়ে বলতে হবে। আসুন, এখন আমরা কীভাবে যৌনতার সীমারেখা রক্ষা করতে পারি সে সম্বন্ধে শিখি।

★ পূর্বানুমতি ব্যতিত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে যৌনক্রিয়া থেকে বিরত থাকুন

★ যখন আপনার স্বামী/স্ত্রী যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে 'না' বলে, তখন আর তাকে সেটার জন্য জোরাজুরি না করা

★ অনিরাপদ যৌনসংগম ( একের অধিক যৌনসঙ্গী থাকা ও যৌন ক্রিয়ার সময় মাদক বা অন্যান্য যৌন উত্তেজক দ্রব্যের ব্যবহার) থেকে সর্বদা বিরত থাকুন। এক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন।

★ আপনার স্বামী/স্ত্রীর পূর্বানুমতি ব্যতিত যৌনাঙ্গ, নিতম্ব ও স্তন প্রদর্শন, স্পর্শ করা ও যৌন আলাপ-আলোচনা থেকে বিরত থাকুন

★ আপনার সঙ্গীকে যৌনতা সম্বন্ধীয় লজ্জা প্রদান থেকে বিরত থাকুন

02/11/2025

‎হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার জন্য নিচের নিয়ম গুলো ফলো করতে পারেন ।
‎.
‎★সুযোগ থাকলে বিয়ে করে নিন । যদি বিয়ের সুযোগ না থাকে তাহলে নিম্নের পরামর্শ গুলো ফলো করতে পারেন ।
‎★ কোন সময় একাকী থাকবেন না ।
‎★ সবসময় লেখাপড়া , কাজকর্মে ব্যস্ত থাকুন ।
‎★ বহির্মুখী হোন ।
‎★ ভালো বন্ধুবান্ধবের সাথে মেশা উচিত
‎★ বৈধ খেলাধূলা ও বাইরের কাজ কর্মে উৎসাহী হোন ।
‎★ যৌন উত্তেজক বই , পত্রিকা , পর্নোগ্রাফি কিংবা অশ্লীল সাহিত্যপাঠ থেকে বিরত থাকুন ।
‎★ প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি পোষণ করতে হবে যে এই অভ্যাস আমি ত্যাগ করব ।
‎★ যখনই এই ইচ্ছা জাগ্রত হবে তখন মনকে আপনার কাছে পবিত্র মনে হয় এমন কোন দিকে নিবিষ্ট করুন ।
‎★ রুমে বা বাসায় একাকী বেশিক্ষণ থাকবেন না ।
‎অন্য কেউ বাসায় না থাকলে সে সময়টা আপনিও বাইরে কোন কাজে কাটিয়ে আসুন নতুবা বাসায় জরুরী কোন কাজে মনোনিবেশ করুন ।
‎★ সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখতে পারেন ।
‎★ শারিরীক ,মানসিক ও ধর্মীয় জ্ঞান আছে , এমন একজন শায়েখ/পরামর্শদাতা ঠিক করে নিন। সকল কিছু তার সাথে শেয়ার করে তার পরামর্শ মেনে চলুন ।
‎★ ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন ।
‎★ ইতিবাচক ও ধর্মীয় বই পড়ুন ।

01/11/2025

আজ শনিবার ও কাল রবিবার সাভার চেম্বারে থাকবো
🟩 সাভার চেম্বারের ঠিকানা:
(নিচের লেখাগুলো ভালোভাবে পড়ুন প্লিজ)

বাসা # সি - ৯৮ (দ্বিতীয় তলা ), ফ্ল্যাট # ডি , মজিদপুর রোড, সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ড , সাভার ,ঢাকা ।

🟩 বিস্তারিত ঠিকানা:

সাভার বাজার পুরাতন বাস স্ট্যান্ড ( অন্ধ মার্কেটের দক্ষিণ পাশে ) স্বপ্ন সুপার শপের সাথের ওভার ব্রিজের পাশের গলি (এই গলির মুখে রাজভোগ ভিআইপি মিষ্টান্ন ভান্ডার লেখা আছে ) মজিদপুর রোডে প্রবেশ করবেন ।

সামনে একটু হাঁটলেই হাতের ডান পাশে কমিশনারের কার্যালয় , আর একটু সামনে হাঁটলেই হাতের ডান পাশে আল বারাকা সুপার মার্কেট দেখতে পাবেন , এই মার্কেটের উল্টা পাশের বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায়, আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক লেখা সাইনবোর্ড আছে । দ্বিতীয় তলায় চলে আসবেন।

কোন রিক্সা নিতে হবে না হেটে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে আমার চেম্বারে আসতে পারবে।

ঠিকানা না চিনলে আমাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিবেন ।

🟥 সাভার চেম্বারে রোগী দেখার সময়:

★ শনিবার: সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত
★ রবিবার: সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত

🟢 বিশেষ দ্রষ্টব্য: সাক্ষাতের আগে অবশ্যই ফোন দিয়ে আসবেন ।

মোবাইল নাম্বার:
01712-859950
01972-859950
🔴 সতর্কতা:
আমি Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক ,
প্রতারকরা ফেসবুকে আমার ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে।

আমাদের মোবাইল নাম্বার হলো: 01972859950 ও 01712859950 , অন্য কোনো নাম্বার নাই। সতর্ক থাকবেন।

প্রয়োজনে আমার সাথে whatsapp এ ভিডিও কল করে ভিডিও কলে কথা বলে কনফার্ম হয় নিবেন ।

01712859950 নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ আছে ।

31/10/2025

উদ্বেগ , উৎকণ্ঠা ও মনখারাপ ?
ঠিক হয়ে যাবে এক মুহূর্তে

Address

Dr. Md. Faijul Huq, A-38/1, Islampur (Ambagan), Dhamrai
Dhaka
1350

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category