31/05/2025
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র পরজীবীর সংক্রমণে হয়। এটি ত্বকের নিচে বাসা বাঁধে এবং ডিম পাড়ে, যার ফলে শরীরে তীব্র চুলকানি ও লালচে গুটি দেখা দেয়। বিশেষ করে রাতে এই চুলকানি অসহ্য পর্যায়ে পৌঁছায়, যা রোগীর দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত করে তোলে।
হোমিওপ্যাথি মতে, স্ক্যাবিস কেবল ত্বকের একটি সমস্যা নয়—এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যের বিচ্যুতির একটি বহিঃপ্রকাশ। একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক রোগীর শরীরের লক্ষণ, মানসিক অবস্থা, জীবনধারা ও পূর্ব ইতিহাস বিশ্লেষণ করে সার্বিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন, যার ফলে কেবল চুলকানি বা গুটি কমে না, বরং রোগের মূল কারণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
স্ক্যাবিস সাধারণত শীতকাল বা বর্ষাকালে বেশি দেখা দেয়, যখন শরীর কম গোসল করা হয় বা ঘাম জমে থাকে। অতিরিক্ত জনবসতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাবেও এটি সহজে ছড়ায়।
যেসব লক্ষণ দেখা দিলে হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি হতে পারে:
১. তীব্র চুলকানি, যা বিশেষত রাতে বেড়ে যায়।
২. আঙুলের ফাঁকে, কনুই, বগল, কোমর বা যৌনাঙ্গের আশেপাশে লালচে গুটি।
৩. গুটি ঘষে ঘষে ঘা হয়ে যাওয়া বা ইনফেকশন হওয়া।
৪. পরিবারের একাধিক সদস্যের মধ্যে একই লক্ষণ দেখা দেওয়া।
৫. দীর্ঘদিন ধরে চুলকানি চলতে থাকা, যদিও চর্মরোগের মলম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা হয়েছে।
৬. শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ, মাথা বা হাত-পায়ের তালুতে চুলকানি ও ফুসকুড়ি।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্রুত আরাম নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী ও স্বাভাবিক নিরাময়ের পথ খুঁজে দেয়। এজন্য স্ক্যাবিসে শুধু বাহ্যিক মালিশ বা অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরতা না বাড়িয়ে, মূল কারণ চিহ্নিত করে দেহের ভেতর থেকে চিকিৎসা শুরু করাই উত্তম।
পরিশেষে, যদি আপনি বা পরিবারের কেউ উপরোক্ত লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তবে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা আপনাকে শুধু রোগমুক্তিই দেবে না, ভবিষ্যতের জটিলতা থেকেও রক্ষা করবে।
#স্ক্যাভিস #চুলকানি