12/04/2020
#হোমিওপ্যাথি_প্রচারের_স্বার্থে_সবাইকে_পড়ার_জন্য_অনুরোধ_করা_হলো
এমুহূর্তে সারা বিশ্বে ভয়াল প্রাণসংহারী থাবা বিস্তার করে গোটা মানবজাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে করোনাভাইরাস নামের যে জীবাণু, তাকে নির্মূল করতে সক্ষম কোন ওষুধ এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি বলে অ্যালোপ্যাথি এর কাছে নাস্তানাবুদ। তাছাড়া এ ভাইরাসের দ্বারা কারও আক্রান্ত হবার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্যে যে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, সেটা আমাদের দেশে সুলভ নয়।
অন্যদিকে হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক রোগির চিকিৎসায় চমৎকার সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের নয়, বরং রোগির চিকিৎসা করা হয়; লক্ষণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা ওষুধ সংশ্লিষ্ট রোগিকে শারীরিক এবং/অথবা মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত হতে সক্ষম করে তোলে। তাই কোন জীবাণুঘটিত রোগ নিরাময়ের জন্যে একে দায়ী জীবাণুর দিকে নজর দিতে হয় না এবং সেজন্যে উপরিউক্ত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ঝামেলাও পোহাতে হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতিও মানুষের একটা সমস্যা বলে এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় তা পূরণ করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
তাই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের মহামারী দমন করতে বিস্ময়কর চিকিৎসাব্যবস্থা হোমিওপ্যাথি রাখতে পারে স্বস্তিকর অবদান। এক্ষেত্রে এর কার্যক্রম হতে পারে দুই ধরনের: এখনও করোনাভাইরাসের কারণে অসুস্থ না হওয়া যেসব লোকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, সে ক্ষমতা বাড়িয়ে তাদেরকে এ ভাইরাসের আক্রমণ মোকাবিলার যোগ্য করে তোলা এবং ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকেদেরকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা। ব্যাপকভাবে উভয় ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাংলাদেশে এ মহামুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার অভিযান পাবে পরম সাফল্য। এদেশের সফলতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্য দেশগুলোকেও একই উপায় অবলম্বনে উৎসাহিত করবে এবং সারা বিশ্বই বেরিয়ে আসতে পারবে ভয়ঙ্কর দুরবস্থার নাগপাশ থেকে।
যদিও অ্যালোপ্যাথিতে করোনাভাইরাসের নিরাময়ী ওষুধ নেই বলে সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও এ চিকিৎসা পদ্ধতির চিকিৎসকগণ জীবাণুটিতে আক্রান্তদের কার্যকরী চিকিৎসা প্রদানে অপারগ (এবং তাঁদের অনেকে এধরনের রোগির চিকিৎসা করার ব্যাপারে যৌক্তিকভাবেই অত্যন্ত অনিচ্ছুক), তবুও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেবল তাঁদেরকেই এ কাজে নিযুক্ত করতে আগ্রহী। অন্যদিকে সক্ষমতা থাকায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ করোনাভাইরাসের রোগিদের চিকিৎসা করার সুযোগ পেতে বারবার আবেদন-নিবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথায় কোন কর্ণপাতই করছে না। করেনাভাইরাসের চিকিৎসাভার হোমিওপ্যাথদের ওপর ন্যস্ত করলে কেবল এর দ্বারা আক্রান্তদেরই উপকার হবে না, বরং আমাদের অ্যালোপ্যাথগণ মুক্তি পাবেন এক চরম সঙ্কট থেকে এবং বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চলমান অচলাবস্থারও হবে অবসান। যদি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সবগুলো হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন শহরে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বেসরকারী ক্লিনিককেও করোনাক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সরকারী ও বেসরকারী অন্য সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তারগণ আবারও জনসাধারণকে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দিতে পারবেন।
তাই এমুহূর্তে জাতির বৃহত্তর কল্যাণের লক্ষ্যে করোনাভাইরাস নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাপকভাবে প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্যে কেবল অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং তা মেনে চললে আক্রান্তদেরকে সরকারীভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান সম্ভব না হয়, তাহলে মানবজাতির এ ক্রান্তিকালে সে অন্যায্য নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করে জনগণকে রক্ষা করাই মানবতার দাবী। আমাদের সাহসী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা ভালভাবেই পারেন। বিশ্বব্যাংককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে বঙ্গবন্ধুকন্যা পদ্মা সেতু নির্মাণ করে চলেছেন, তিনি তাঁর জনগণের স্বার্থে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখাতে পারবেন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, কিছু লোক হোমিওপ্যাথির বিস্ময়কর নিরাময়ী শক্তিকে প্লেসিবো ইফেক্ট হিসেবে অভিহিত করে এবং সিউডোসায়েন্স নাম দিয়ে এ বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতিকে খারিজ করে দিতে চায়। তাদের কথাকে ফালতু তথা হোমিওপ্যাথিকে কার্যকরী প্রমাণ করার জন্যে প্রয়োজনে আমি নিজের ওপর করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার্য হোমিও ওষুধের পরীক্ষা করাব। এজন্যে স্বেচ্ছায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়ে কোয়ারান্টাইনে যাব এবং যখন জীবাণুটিতে আক্রান্ত হবার লক্ষণগুলো আমার মধ্যে দেখা দেবে, তখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করব। সংক্রমিত হওয়া থেকে সেরে ওঠা পর্যন্ত পুরো ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে। এর ফলে কেবল বাংলাদেশই নয়, বরং সারা বিশ্ব হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচারের সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হবে এবং করোনাভাইরাস নির্মূলে হোমিওপ্যাথির জাদুকরী ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে।
আমার এ কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্যে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।