Delta Medical College & Hospital-DLMCH

Delta Medical College & Hospital-DLMCH Delta Medical College & Hospital -DLMCH

It's not goodbye, it's 'see you later'! ❤️❤️Your time as trainee doctors may be over, but ur journey as skilled doctor i...
01/10/2023

It's not goodbye, it's 'see you later'! ❤️❤️
Your time as trainee doctors may be over, but ur journey as skilled doctor is just beginning. Keep pushing boundaries and saving lives. 🏥💪
Keep Smiling.....

All the blessing from is with You....
(The official farewell from our mentor Prof.Dr.Tapesh Sir...)

এই বোকাসোকা মানুষটা জীবনের সব যুদ্ধে জিতে এসে অবশেষে হার মানলেন মৃত্যুুর কাছে। জীবনের একেবারে অন্তিম সময়ে পর্যন্ত উনাকে ...
13/04/2023

এই বোকাসোকা মানুষটা জীবনের সব যুদ্ধে জিতে এসে অবশেষে হার মানলেন মৃত্যুুর কাছে। জীবনের একেবারে অন্তিম সময়ে পর্যন্ত উনাকে বলা হয়েছিলো চিকিৎসার
জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে, কিন্তু উনি রাজি হননি। অভাগা
এই দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার ব্রত তিনি নিয়েছিলেন,
ঠিক ওই মুহূর্তেও সেটা ভুলে যেতে চাননি উনি।
এত বোকাও একজন মানুষ হতে পারে?
নক্ষত্রেরও পতন হয়, মহাকালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সব রথীমহারথীরাও। সেই অমোঘ যাত্রায় এবার সামিল হয়ে গেলেন এই বোকা মানুষটাও।
এই বোকাসোকা মানুষটা কে ছিলেন জানেন?
চট্টগ্রামের ছেলে জাফরুলাহ ইন্টারমিডিয়েট শেষে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখান থেকেই ওই
যে শুরু হল মানবসেবার, সেটা চালু ছিল একেবারে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করার পর পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না হতেই
দেশে শুরু হয়ে গেলো যুদ্ধ। ডিগ্রির চিন্তাভাবনা ঝেড়ে ফেলে দেশে ফিরে আসলেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে পাকিস্থানি বাহিনী যে নির্মমতা চালিয়েছিলো, সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল লন্ডনে। এর প্রতিবাদে লন্ডনের হাইডপার্কে যে কয়জন বাঙ্গালী তাদের পাকিস্তানের পাসপোর্ট ছিড়ে আগুন ধরিয়ে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিল,তাদের ভেতর একজন ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। এরপর নানা কৌশলে শেষমেশ ফিরে আসলেন দেশে। লক্ষ্য একটাই— মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডা. জাফরুল্লাহ ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের সহযোগিতায় আগরতলার এক আনারস বাগানের ভেতর গড়ে তুলেছিলেন ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল। নাম দিয়েছিলেন—বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল।
হাসপাতাল না হয় চালু হল, কিন্তু নেই পর্যাপ্ত নার্স, বিঘ্ন ঘটছে সেবাপ্রদানে। শেষমেশ ডা. জাফরুল্লাহ নিজেই নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করে নিলেন একটি নার্সের টিম।
দেশ স্বাধীন হল। কিন্তু অভাগা এই দেশকে ফেলে নিজের চাকচিক্যময় জীবনে আর ফেরত যাননি ডা. জাফরুল্লাহ।
গ্রামে গিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্যযুদ্ধ। ফিল্ড হাসপাতালটিকেই কুমিল্লাতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুললেন। পরবর্তীতে ঢাকার ইস্কাটনে ঘুরে শেষমেশ হাসপাতালটি ঢাকার অদূরে সাভারে স্থানান্তর করা হয়।
এবার এর নাম হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
সম্পূর্ণ অলাভজনকভাবে চলতে থাকে এই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। নিজেকে এই হাসপাতালের পেছনে একেবারে উজাড় করে দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। যা অব্যাহত ছিলো একেবারে
মৃত্যুর অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত।
মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অফিসিয়াল খাতায় নিজের নাম তোলার কোন চেষ্টাই তিনি করেন নি কোনদিন। বহুবছর তার নামই ছিলোনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধাদি পাওয়ার
গ্রহীতার তালিকায়। পরে অন্যদের চেষ্টায় তার নাম উঠানো হয় তালিকায়। সেখানকার ভাতাও ব্যয় করতেন তার নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে তার নিজের ডায়ালাইসিসের খরচ বাবদ।
ডা. জাফরুল্লাহ বাকশালে যোগ দিতে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধ যেমন উপেক্ষা করেছিলেন, তেমনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের দেয়া মন্ত্রীত্বের প্রস্তাবও। এরশাদের আমলে মন্ত্রীত্বের অফারও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ক্ষমতার মসনদে বসাটা তার পছন্দনীয় ছিলোনা, তার জীবনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিলো কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়।
১৯৭৯ সাল থেকেই তিনি রাষ্ট্রীয় কমিটির একজন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় শিক্ষা কমিটির
ও নারী কমিটির। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বাংলাদেশে শিক্ষা ও নারী-নীতি প্রণয়নে।
তার আরেকটা বড় অবদান হল ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা দেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে। তাঁর প্রচেষ্টায় আমদানি ওষুধের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে এই মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশি।
দেশ বিদেশের নানা পদক-সম্মাননা জুটেছে তার, কিন্তু কোনদিনই সেই সম্মাননার ঝলকে আলোকিত হয়ে থাকতে চাননি তিনি। বিলেতের গ্ল্যামারাস লাইফ ফেলে এসে এখানে আমৃত্যু কাটিয়ে দিলেন আটপৌরে জীবনের অতি সাধারণ জামাকাপড় পরে, তার শার্টে কখনও থাকতো না আইরন; ছেঁড়াফাঁটা, জোড়াতালি দেওয়া প্যান্টশার্টেই দিব্যি চলে যেতো তার। বিলেতে থাকতে ব্যক্তিগত গাড়ি তো বটেই,
ছিল পাইলট এরও লাইসেন্স। তার স্যুট বানাতেন সবচেয়ে দামি টেইলার্স থেকে, যেখান থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের লোকজনও স্যুট বানাতো। অথচ সেই মানুষটাই মারা যাওয়ার বছর দুই আগে দেওয়া একটা ইন্টারভিউতে দেখিয়েছিলেন তার পরনের ওই শার্টটি ছিলো দীর্ঘ ৩০ বছরের পুরোনো। তাতেও দিব্যি চলে গেছে তার!
দেশে-বিদেশে কোথাও তার একটি ফ্ল্যাট পর্যন্ত নেই। বোনকে দান করে দিয়েছেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সব জমিজমা।
নিজের সহায় সম্পদ বলতে কিছুই ছিলোনা তার।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যার জর্জরিত ছিলেন তিনি। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করে চলতে হতো তাকে। শরীরের হাজারটা ধকল নিয়েও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে সাড়া দিয়েছেন একজন টগবগে তরুণের মতোই। দেশের সুশীল সমাজের সবাই যখন চাটুকারিতার তেলতেেলে বয়ান কিংবা
একদম মুখে তালা এঁটে নিরাপদ জীবন বেছে নিয়েছে, তখনও একজন জাফরুল্লাহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বানে, নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভগ্নদশা শরীর নিয়ে নেমে গেছেন রাজপথে।
কোথাও কেউ নির্যাতনের শিকার হলে, হামলা-মামলা, জেল জুলুমের শিকার হলে হুইল চেয়ারে করেই ছুটে গেছেন
তাদের পক্ষে কথা বলতে। মৃত্যুশয্যা থেকে উঠে চলে গেছেন
নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে। মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক
অত্যাচারের শিকার কেউ হলে, সেই প্রতিবাদসভায় আর কেউ থাকুক চাই না থাকুক, এই মৃত্যুপথযাত্রী অসুস্থ বোকাসোকা লোকটা ঠিকই হাজির হতেন রাজপথের প্রতিবাদ সভায়।
সারাটা জীবন শুধু দিয়েই গেলেন অভাগা এই দেশটাকে।
বিনিময়ে দেশ থেকে পেলেন কী, জানেন? যিনি নিজের ঝকমকে ক্যারিয়ার ফেলে রেখে দেশের টানে ছুটে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে, যে তার সারাটা জীবন উজাড় করে দিলো দেশের জন্য, যার নিজের নামে কোনদিন এক ছটাক জায়গা-জমি, গাড়ি-বাড়ি করার চেষ্টাটা পর্যন্ত করেননি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য মরণোত্তর দেহ প্রদানের ঘোষণা দেওয়ায় যার কবরের জন্যও লাগবেনা এক ছটাক পরিমাণ জমি, সেই ডা. জাফরুল্লাহকে দেওয়া হয়েছিল
জমি দখলের, ফল চুরির, পুকুরের মাছ চুরির মামলা।
তার কী দোষ ছিলো জানেন?২০১৮ সালে যোগ দিয়েছিলেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্টে। ব্যস!
তাতেই তার নামে জুটে গেলো পুকুরের মাছ চুরির মামলা। যাদের অবদান ছাড়া এইদেশের মাটি হতো না স্বাধীন, যার সারাটা জীবন উৎসর্গ করে গেলো এই দেশের মাটি ও মানুষের সেবায়, সেই মানুষটাকে ফাঁসানো হয়েছে জমি
দখল আর পুকুরের মাছ চুরির মামলায়!
ছিঃ, এই লজ্জা কোথায় রাখি!
কত বড় বোকা তিনি। কতকিছুই তো করে ফেলতে পারতেন।
রাস্তাঘাটের চ্যালাপ্যালারা পর্যন্ত তোষামোদি আর শোষণ করে কতকিছু কামায়ে ফেললো, কত পদ পদবী জুটায়ে ফেললো, কত হোমরাচোমরা হয়ে গেলো, অথচ একজন জাফরুল্লাহ-র দিকে তাকান। সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন ছেঁড়াফাঁড়া কাপড়চোপড়ে, সবাইকে দিয়ে গেলেন নিজের সবটুকু উজাড় করে, কিন্তু নিজের জন্য কী করলেন তিনি সারাটা জীবন ধরে? নাথিং, একেবারেই শূন্য!
কত বোকা তিনি! এত বোকাও মানুষ হয়?
সবাই দেখি শোকে বিহ্বল হয়ে যাচ্ছে। ডা. জাফরুল্লাহ নাকি মারা গেছেন। কই? তিনি মারা গেলেন কীভাবে?
যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীর কোন না কোন এক কোণে বাংলাদেশ নামক দেশটার অস্তিত্ব থাকবে, যতদিন পর্যন্ত একজনও
বাংলাদেশি বেঁচে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের হৃদয়ে পরম শ্রদ্ধায় বেঁচে থাকবেন ডা. জাফরুলাহ।
সারাটা জীবন গর্ব করে বলতে পারবো আমি নিজ চোখে এমন একজন মানুষকে দেখতে পেরেছিলাম, এমন একজন মানুষের কণ্ঠস্বর নিজ কানে শুনেছিলাম।
আমার কাছে ডা. জাফরুল্লাহ মানেই বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন ডা. জাফরুল্লাহ
এর মৃত্যু হতে পারেনা, অন্তত আমাদের হৃদয়ে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইড পার্কে যে কয়েকজন বাঙালি পাসপোর্ট ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে ...
11/04/2023

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইড পার্কে যে কয়েকজন বাঙালি পাসপোর্ট ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে 'রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে' পরিণত হয়েছিলেন, তাদের একজন হলেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরপর বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে ‘রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের’ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে সংগ্রহ করেন ভারতীয় ভিসা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে
ইংল্যান্ডে চার বছরের জন্য হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে এফআরসিএস পড়তে যাওয়া মানুষটি ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়েই চলে এলেন দেশে। কারণ এফআরসিএস পরীক্ষার মাত্র এক সপ্তাহ পরেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ২ নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ ও ভারতের জিবি হাসপাতালের প্রধান সার্জন ডা. রথিন দত্তের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ডা. এমএ মবিনকে নিয়ে
সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়। হাসপাতালটির কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডা. সিতারা বেগম বীরপ্রতীক। সে হাসপাতালের দুই স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও তার বোন সাঈদা কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতালটি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে গড়ে তুলেন কুমিল্লায়। পরে সেটা স্থানান্তর করেন ঢাকার অদূরে সাভারে। ‘গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ নামটি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়াও কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রায় ৩১ একর জমি সরকারিভাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল পেডিয়াটিক্স টেক্সট বইয়ের একটা চ্যাপ্টার ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখতেন অনেক বছর ধরে। দেশে-বিদেশে তার লেখা বই ও পেপারের সংখ্যা প্রচুর। প্রাইমারি কেয়ার নিয়ে লেখা তার সম্পাদিত ও প্রকাশিত একটি বই ‘যেখানে ডাক্তার নেই’-একসময় অবশ্য পাঠ্য ছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।

গণস্বাস্থ্যের পর ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সবচেয়ে বড় ভূমিকা হচ্ছে, ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে। তার প্রচেষ্টায় আমদানি ওষুধের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২৫ এ। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশে। অথচ জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ১৯৯২ সালে তার সদস্যপদ বাতিল করেছিল বিএমএ। বিনা বিচারে তার ফাঁসি চেয়ে পোস্টারও সাঁটিয়েছিল। কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এত সহজে থামানো যায়?

স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারের সময়ে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার পরামর্শে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের পক্ষে পাসপোর্ট ইস্যু করে বিলেতের এক লাখ বাঙালির কাছ থেকে আবু সাইয়িদ চৌধুরী সংগ্রহ করেছিলেন ১০ লাখ পাউন্ড চাঁদা। বঙ্গবন্ধুকে বহুজাতিক কোম্পানির দুর্নীতির বিষয়ে অবহিত করে সমাজতান্ত্রিক দেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। বাকশালে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করেছিলেন।

জিয়াউর রহমান মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিলে বিএনপিতে স্বাধীনতাবিরোধীরা থাকায় চার পৃষ্ঠার চিঠি লিখে নিজের মনোভাব প্রকাশ করে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়াকে সহজলভ্য ও নিশ্চিত করেছিলেন। ১৯৮০ সালে জিয়ার গড়া প্রথম জাতীয় মহিলা উন্নয়ন কমিটির দুই পুরুষ সদস্যের একজন হিসেবে প্রাথমিকে ৫০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাত্রী নেয়ার সুযোগ করেছিলেন, যা কার্যকর হয়েছিল এরশাদ আমলে। জিয়াউর রহমানের আমলে পুলিশে মহিলা নিয়োগ দেয়া শুরু হলে দেশের প্রথম দুই নারী পুলিশ হিসেবে নিয়োগ পান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী হোসনে আরা ও চামেলী বেগম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে উপেক্ষা করেছিলেন এরশাদের প্রস্তাব। তার পরামর্শেই এরশাদ আমলে পোস্টার, বিলবোর্ড বাংলায় লেখা ও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন, উপজেলাব্যবস্থা ও সফল জাতীয় ঔষুধনীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি করেছিলেন।

১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার পর সেদিন দুপুরে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৃটিশ সাংবাদিকদের বলেছিলেন- ‘তিনি নিজের রক্ত দিয়ে জাতির ঋণ পরিশোধ করে গেলেন।’

সাধারণ মানুষকে কমদামে ওষুধ সরবরাহ করতে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দামি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বদলে ট্যাবলেট তিনি প্যাকেট করার প্রচলন করেন সাধারণ কাগজে। তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মাত্র ১২০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করতে পারেন দরিদ্র মানুষ। তার প্রতিষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী প্রয়াত বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, জেন্ডার ইস্যু, নীতিবিদ্যা ও সমাজ, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি এবং বাংলা অবশ্যই পড়তে হয়।

জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাদের মধ্যে একজন।

আজ তিনি মৃত্যুবরণ করলেন৷ দেহত্যাগ করলেও তার কর্মজীবন, তার আদর্শ, তার দেশপ্রেম আরও অনেকবছর অনেকের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

লেখার বেশিরভাগ ইনফরমেশন নেয়া হয়েছে মানজমিনের এই আর্টিকেল থেকে-

https://mzamin.com/article.php?mzamin=144793

পোস্ট - নাজমুস সাকিব ভাই

02/02/2023

#বাবা মানে চাহিদা পূরণের হাতিয়ার
দেশের আদালতের রায়ে বাবা হেরে গেলেন৷ তিন সন্তানের তিনজনকেই পেলেন মা৷ বাবারা সবসময় হেরেই যান৷ সেটা ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় কিংবা বাস্তবতার বিবেচনায়৷ আমি একজন বাবা৷ তবুও ঘুম থেকে উঠে আমার মেয়ে প্রথমে তার মাকে খোঁজে৷ কোথাও ব্যথা পেলে কিংবা অসুস্থ হলে বাবা নয়, মা বলেই কাঁদে৷ তার মায়ের সঙ্গে আমার যখন উচ্চবাচ্য হয়, পরিস্থিতি বিবেচনার প্রয়োজন নেই, মেয়ে সবসময়ই মায়ের পক্ষে৷ মুসলিম আইন বলে, বাবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক হলেও মা হবেন তত্ত্বাবধায়ক। সব থেকেও বাবারা সবসময়ই ভারপ্রাপ্ত৷
অথচ মধ্যরাতে যখন ঘুম ভেঙে যায়, আবছায়া আলোয় যখন মেয়ের মুখটার দিকে তাকাই, মনে হয় জীবনটা মন্দ নয়৷ মেয়ে একটা অনাকাঙ্খিত হাঁচি দিলেও চোখের কোনে জমে মেঘ, দুনিয়া আমার অন্ধকার৷ মা ৯ মাস তাকে বহন করেছে৷ তবে এই নয় মাসের প্রতিটা দিন আমি কয় ঘণ্টা ঘুমিয়েছি হিসেব করে বলে দিতে পারবো৷ আমৃত্যু আমার মেয়েকে আমি বহন করবো ইন-শা-আল্লাহ৷ তবে কোন দায়বদ্ধতায় নয় 'শর্তহীন ভালোবাসায়'৷ তবে আমি জানি, আমি সবসময়ই ভারপ্রাপ্ত৷
সন্তানরা ফোনের ওপাশে প্রথমে মায়ের কণ্ঠই প্রত্যাশা করেন৷ ঘরোয়া আড্ডাতে মা মধ্যমণি, বাবার সঙ্গে কথা বলাতে আরামের অভাব৷ বাবা মানে প্রত্যাশা, বাবা মানে চাহিদা পূরণের হাতিয়ার৷ বাবা মানে গাধার মতোন খেটে যাওয়া৷ তাতে অবশ্য কোন বাবাই ক্লান্ত নন৷ কারণ বাবাদের ক্লান্তি ছুঁতে মানা৷ কিন্তু যখন স্বীকৃতির কথা আসে, কেন জানি বাবারা সবসময়ই পিছিয়ে৷ বাবারা যে হিমালয়, বাবারা বড্ড অসহায়৷
লিখা: Mahabub Rimon

Bapuram@ Delta Medical College & Hospital-DLMCH
10/01/2023

Bapuram@ Delta Medical College & Hospital-DLMCH

25 seconds · Clipped by Dr. Sazzad Shahriar Siam · Original video "cultural week 2022" by Dr. Sazzad Shahriar Siam

Today's CME (Continuing Medical Education) program by Dept.of Surgery @ DHL  (U-l)  Topic : 1) Etiquettes of Medical  Ph...
07/01/2023

Today's CME (Continuing Medical Education) program by Dept.of Surgery @ DHL (U-l)
Topic :
1) Etiquettes of Medical Photography -Dr.Adib
2)WHO Surgical Safety Checklist -Dr.Zico

The program is chaired by -
Prof.Dr.Paresh Chandra Sarkar,HOD of Anaesthesia
Professor Dr.Tapesh Kumar Paul -HOD of Surgery

A well discussed Q&A session followed by a light breakfast party was also arranged by HOD of Orthopaedics Dr.Shoriful Islam .

If Morning shows the day !!! A good day indeed :-D

our heros....❤
25/06/2020

our heros....❤

Thank You BMA !!
20/06/2020

Thank You BMA !!

১) আর কোনদিন যাকে আর বেতন এর জন্য ডেল্টা মেডিকেল এ আসতে হবে না।  ২) আর কোন দিন রোদ ঝড় উপেক্ষা করে যাকে আর ডেল্টায় আসতে হ...
10/06/2020

১) আর কোনদিন যাকে আর বেতন এর জন্য ডেল্টা মেডিকেল এ আসতে হবে না।

২) আর কোন দিন রোদ ঝড় উপেক্ষা করে যাকে আর ডেল্টায় আসতে হবে না

৩) আর কোনদিন মাউসের ব্যাটারি কিংবা মাইকের ব্যাটারি পরিবর্তন এর জন্য যাকে ডাকা হবে না।

৪) আর কোনদিন লেকচার গ্যালারি তে কেউ বলবে না আস্তে শব্দ করেন।

৫) আর কোনদিন কেউ সালাম দিয়ে বলবে না কেমন আছেন???

৬) আর কোনদিন কেউ দেখা হইলেই পরম আদরে বুকে জড়িয়ে ধরবে না।

৭) আর কোনদিন কেউ বলবে না, " কই পাশ কইরা ত ভুলেই গেছেন " 😥

৮) আর কোনদিন -লেকচার গ্যালারি তে দামী ফোন থেকে শুরু করে ৩ টাকার কলম ফেলে আসলেও কেউ পরম মমতায় তুলে রাখবে না।

৯) আর কোনদিন কেউ বলবে না "ভাল করে পড়েন, ভাল ডাক্তার হইতে হবে"

১০) আর কোনদিন ডেলটার সেই সব কর্মকর্তা চামার খালেক দাদুর বেতন কাটতে পারবে না, যে মানুষটা এত কস্ট করে এত দুর থেকে এসে কাজ করত, যখন ক্লাস ছিল না তখনো সে এসে সব ঠিক ঠাক রাখত তাকে কেউ আর অপমান করতে পারবে না।

আর কোনদিনো এই দুচোখ কোন গ্যালারি অপারেটর /স্টাফ এর জন্য কাদবে না।

খালেক দাদু/চাচা/ভাই কোন গ্যালারি অপারেটর ছিলেন না, তিনি আমাদের দাদু ছিলেন। আমাদের আদরের পরম শ্রদ্ধার দাদু যে আমাদের অপারেটর। ডাক্তার হবার অপারেটর।

ভাল থাকবেন দাদু, স্রস্টা জানি আপনাকে সর্গে/জান্নাত এ রাখেন। আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন।


Congratulations  to our New Doctors.... And those who failed please don't be upset, Work Harder...All the Best.....
31/05/2020

Congratulations to our New Doctors....

And those who failed please
don't be upset, Work Harder...
All the Best.....

Address

Dar-Us-Salam Road, Mirpur/1
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Delta Medical College & Hospital-DLMCH posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Delta Medical College & Hospital-DLMCH:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category