31/10/2025
প্রতি বছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে ভারতে! স্থাপন হচ্ছে না নতুন সাবমেরিন কেবল, দেশের ইন্টারনেট ভারতের হাতের মুঠোয়! কোটি কোটি ডলার চলে যাচ্ছে ভারতে!
দেশের প্রায় ৫০ % ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে হয় যার বড় অংশ ভারত থেকে আসে।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বাবদ ২০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা গেছে, ভারতের ব্যাবসায়ীদের পকেটে।
বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা, ৭হাজার ২০০ জিবিপিএস।২০২৭ সালে বাংলাদেশ ব্যান্ডউইথের চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে, ২৫০০০ জিবিপিএসের কাছাকাছি।
এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের জীবন কাল শেষ। আর এই ক্যাবল থেকে প্রাপ্ত ৪২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সরবরাহ, যেকোনো সময় বন্ধ হবে।
আর এই ঝুঁকি বাদেও ২০২৬-২৭ সালে ব্যান্ডউইথের ঘাটতি হবে ১৮ হাজার জিবিপিএস প্রায়।
আর এই ঘাটতি পূরন করতে আমদানি করতে হলে, ২০২৭ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত, ভারত কে আমরা দেবো ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!
আর এর অর্ধেকের কম দামে, নতুন একটি সাবমেরিন ক্যাবল নির্মান সম্ভব। সুযোগ থাকা স্বত্বেও, নিজস্ব সাবমেরিন ক্যাবলের পূর্ন সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে, চড়া মাসূল দিতে হবে। আর নিশ্চিত করা যাবেনা নিরাপদ ইন্টারনেট।
একজন প্রযুক্তিবিদ জানান আমরা যে পরিমাণ টাকা ভারত কে দিয়েছি, তা দিয়ে ৮-১০ টি সাবমেরিন ক্যাবল হতো বাংলাদেশের।
এদিকে আইসিটির অপারেটর এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হয়। আইসিটির এক প্রান্তের একটিভ ডিভাইস বাংলাদেশে থাকলেও, অপরপ্রান্তের ডিভাইস ভারতে যার উপর বাংলাদেশের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আর এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকি, এই প্রক্রিয়ায় ই-মেইল হেডার,বডি ও অন্যান্য অনেক কিছু ট্র্যাক করা সম্ভব।
ভারতের আইন অনুযায়ী, ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ এলে তারা ১০০ শতাংশ ইন্টারসেপ্ট করার ক্ষমতা রাখে, আইন তাদের সহায়তা দেয়। জাতীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে দেশ একটি বড় হুমকির সম্মুখীন।
আর ব্যান্ডউইথের ঘাটতি পূরন করতে চায় সরকার, নিজস্ব সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়।
এ লক্ষ্যে, বেসরকারি খাতের উদ্যোগে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে, দেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হওয়ার কাজ চলমান। সিঙ্গাপুর থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত জলসীমায় ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ হলেও, রহস্যজনক কারনে বাংলাদেশের জলসীমায় ক্যাবল স্থাপনের জন্য জাহাজ প্রবেশের অনুমতি মিলছে না অনেক আগ থেকে!
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করা হলেও, এখন ও মিলছে না সে অনুমতি। কোস্টগার্ড ও এনএসআই নো অবজেকশন নিয়ে কাজ করতে হয়। অনুমতি পেয়ে গেলে ২০২৬ এর এপ্রিলের মধ্যে ক্যাবলটি ইন সার্ভিসে চলে আসবে।
আর বাংলাদেশের নিরাপত্তায় নিজস্ব সাবমেরিন ক্যাবলের উপর নির্ভরতা জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের ইন্টারনেট অন্য কারো হাতে দেয়া মানে, তৃতীয় পক্ষ দেশকে নিয়ে ছেলেখেলা করা।
(Collected)