Dr. Bose's Care

Dr. Bose's Care Bachelor of Homoeopathic Medicine and Surgery (DU)

⚕️  ওজন বৃদ্ধির উপায়সমূহঃ-শরীর যতটা ক্যালোরি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা জরুরি। যারা বিভিন্ন কারণে স্ব...
18/11/2025

⚕️ ওজন বৃদ্ধির উপায়সমূহঃ-
শরীর যতটা ক্যালোরি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা জরুরি। যারা বিভিন্ন কারণে স্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারছেন না, তাদের জন্য ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা জরুরি। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করতে হবে। ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায় হলো-

🔸 ক্যালোরি গ্রহন বাড়াতে হবে:-
শরীর যতটা ক্যালোরি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় ৫০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করলে দ্রুত ওজন বাড়ে। ভাত, রুটি, আলু, বাদাম, চকলেট, মাখন ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি পরিমাণে খেলে ক্যালোরি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
🔸 উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে:-
ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রোটিন ও ফ্যাটজাতীয় খাবার গ্রহণ করা। মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, দই, ছানা, বাদাম, বাটার, পনির, ঘী এবং টফু, ছোলা নিয়মিত খেলে পেশি বৃদ্ধি পায় এবং শরীর দ্রুত মোটা হয়।
🔸 উচ্চ পুষ্টিগুন জাতীয় পানীয় পান:-
কলা, দুধ, মধু ও বাদাম দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। সকালে নাস্তার পর আর বিকালে নিয়ম করে এই পানীয় পান করলে ওজন বাড়বে।
🔸 বার বার খাবার গ্রহণ:-
প্রতিদিন ৩ বেলার পরিবর্তে ৫-৬ বার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ছোট ছোট মিল গ্রহণ করলে শরীর সহজে পুষ্টি শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত ওজন বাড়ে।
🔸 ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করতে হবে:-
খাবার গ্রহনের সাথে শরীরের আকৃতি সুন্দর করতে ব্যায়াম করতে হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য ওজন তোলা (Weight lifting), স্কোয়াট, পুশ-আপ, লেগ প্রেস এবং যোগব্যায়াম করতে হবে।
🔸 পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে:-
ওজন বাড়ানোর জন্য পানি পান করা জরুরি, তবে খাবারের সঙ্গে বেশি পানি পান করলে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার অন্তত ১০/১৫ মিনিট পর পানি পান করতে হবে।
🔸 পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে:-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে শরীর ক্যালোরি সংরক্ষণ করতে পারে না, ফলে ওজন কমে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
🔸 মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে:-
সকল প্রকার মানসিক চাপ ও বিষন্নতা থেকে দূরে থাকতে হবে। কোনো সমস্যায় পড়লে দুশ্চিন্তা না করে মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধান করতে হবে। দুশ্চিন্তার কারণে রুচির পরিবর্তন হয়ে ওজন কমতে পারে।
🔸 হরমোনজনিত সমস্যা বা ডায়বেটিস এর ঔষধ সেবন:-
বিভিন্ন রোগ যেমন- থাইরয়েড হরমোন ইমব্যালেন্স বা ডায়াবেটিসের কারণে ওজন কমে যায়। যদি কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে, ও সেই অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান করতে হবে।

🌿 পরবর্তীতে ওজন কমার কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই এ সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️  আয়রন এর অভাবজনিত অ্যানিমিয়া/ Iron deficiency anaemia( আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া)আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া ব...
18/11/2025

⚕️ আয়রন এর অভাবজনিত অ্যানিমিয়া/ Iron deficiency anaemia( আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া)

আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া বা আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকার কারণে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত হৃদস্পন্দন এর মতো লক্ষণ দেখা যায়।

✅ লক্ষণঃ-
১) অত্যন্ত শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা যায়।
২) শ্বাসকষ্ট বা ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ আয়রন রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ফুসফুসে নিয়ে যায়। তাই আয়রনের অভাবে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
৩) মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করে, চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
৪) দ্রুত হৃদস্পন্দন অর্থাৎ বুক ধড়ফড় করতে পারে।
৫) ত্বক, হাতের তালু, পায়ের তালু, চোখের পাতার ভেতরের অংশ, হাত পায়ের নখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
৬) হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, সব সময় শীতল অনুভূতি হতে পারে।
৭) জিহ্বা ফোলা বা ব্যথা হতে পারে।
৮) নখ ভংগুর, ফ্যাকাসে ও নৌকা আকৃতির হয়ে যেতে পারে।
৯) আয়রনের অভাবে শিশুদের ডেলিভারি সময়ের আগে হতে পারে, সেই সাথে শিশুদের ওজন কম এবং শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ বিলম্বিত হতে পারে।
১০) শিশুরা মাটি, বরফ বা অন্যান্য অস্বাভাবিক জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা দেখাতে পারে।
১১) রক্তাল্পতার জটিলতা গুরুতর এবং মারাত্মক হতে পারে। শরীরে আয়রনের অভাবের কারণে হৃদরোগের সমস্যা (দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে)

✅ কারণঃ-
১) খাদ্যে অপর্যাপ্ত আয়রনের গ্রহণ।
২) মাসিকের সময় মহিলাদের অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ দীর্ঘস্থায়ী অ্যানিমিক অবস্থার দিকে ধাবিত করতে পারে।
৩) অকালে জন্ম নেওয়া শিশু এবং যারা পর্যাপ্ত বুকের দুধ পায় না তাদের আয়রনের ঘাটতির ঝুঁকি থাকে।
৪) গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার, অন্ত্রের ক্যান্সারে সার্ভিক্সের ক্যান্সার সহ অন্যান্য আরও রোগের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত পায়খানার সাথে, বমির সাথে, জরায়ু থেকে হলে।
৫) আয়রন শোষণ করার ক্ষমতার অভাব, যা সিলিয়াক ডিজিজ নামক অন্ত্রের ব্যাধির কারণে হয়ে থাকে।
৬) গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়, যখন ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের কারণে শরীরে আয়রনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তখন আয়রন ও ফলিক এসিড গ্রহণ না করলে অ্যানিমিয়া হতে পারে।
৭) গর্ভাবস্থায় যে সকল মায়েরা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন তাদের বাচ্চারা বুকের দুধ কম পায়। সেই সাথে বাচ্চারাও অ্যানিমিয়ায় ভুগতে পারে।
৮) যারা ঘন ঘন রক্ত ​​দেন তাদেরও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকতে দেখা যায়।
৯) নিরামিষাশীদের আয়রনের ঘাটতির ঝুঁকি থাকে।

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ার খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে রক্তে আয়রন ও হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ সঠিক মাত্রায় আনা সম্ভব।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
18/11/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমাদের হজমশক্তি উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
🔸 কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হলো-
বিভিন্ন শাকসবজি, গোটা শস্য, ডাল এবং মটরশুঁটি, আপেল, কলা, অ্যাভোকাডো, বেরি, ব্রোকলি, গাজর, মসুর ডাল, ওটস, বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমন- কুমড়ার বীজ, চালকুমড়ার বীজ, লাউয়ের বীজ ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি।
🔸 তাই আপনারা চেষ্টা করবেন অন্তত যে কোন একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করার।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️  জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস/ Juvenile dermatomyositisজুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস (জেডিএম)/ JDM একটি বিরল এবং জটিল অ...
17/11/2025

⚕️ জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস/ Juvenile dermatomyositis

জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস (জেডিএম)/ JDM একটি বিরল এবং জটিল অটোইমিউন রোগ যা প্রাথমিকভাবে শিশুদের প্রভাবিত করে। এই অবস্থাটি পেশী দুর্বলতা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে, যা সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে উল্লেখযোগ্য অস্বস্তি এবং সম্ভাব্য জটিলতার দিকে পরিচালিত করে।
🔸এই রোগটি 18 বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে এবং ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। যদিও JDM এর সঠিক কারণ অজানা, এটি জেনেটিক, পরিবেশগত এবং ইমিউন সিস্টেমের কারণগুলির সংমিশ্রণ জড়িত বলে ধারণা করা হয়।

✅ লক্ষণঃ-
১) JDM এর ক্ষেত্রে পেশী দুর্বলতা হলো প্রধান লক্ষণ। এটি সাধারণত পোঁদ, উরু, কাঁধ এবং ঘাড়ের মতো ট্রাঙ্কের সবচেয়ে কাছের পেশীগুলিকে প্রভাবিত করে। বাচ্চাদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে, বসা অবস্থান থেকে উঠতে বা তাদের হাত তুলতে অসুবিধা হতে পারে।
২) JDM-এর আরেকটি অন্যতম লক্ষণ হল চামড়ার ফুসকুড়ি। ফুসকুড়ি চোখের পাতা, কনুই, হাঁটু এবং সূর্যের সংস্পর্শে থাকা অন্যান্য স্থানে লাল বা বেগুনি ছোপ হিসাবে দেখা দিতে পারে। এই ফুসকুড়িটিকে হেলিওট্রপ ফুসকুড়ি বলা হয় যখন এটি চোখের পাতায় দেখা দেয় এবং গটট্রনের প্যাপিউলে যখন এটি নাকে দেখা যায়।
৩) JDM সহ শিশুরা প্রায়ই চরম ক্লান্তি অনুভব করে।
৪) কিছু শিশুর ক্ষেত্রে নিম্ন-গ্রেডের জ্বর হতে পারে।
৫) জয়েন্ট এবং পেশীতে swelling বা ফোলা ভাব দেখা যায়।
৬) কিছু ক্ষেত্রে, ত্বকের নীচে বা পেশীতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে।
৭) পেশীর দূর্বলতা গলাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে যে কোন কিছু গিলতে অসুবিধা হয়।
৮) দুর্বল গলা বা ডায়াফ্রাম পেশীর কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়
৯) ওজন হ্রাস

✅ কারণঃ-
১) এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার এর মানে হল যে ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে শরীরের নিজস্ব টিস্যু আক্রমণ করে।
২) কিছু জেনেটিক কারণ জেডিএম হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অর্থাৎ অটোইমিউন রোগের পারিবারিক ইতিহাস সহ শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।
৩) পরিবেশগত কারণগুলি যেমন সংক্রমণ, ওষুধ এবং অতিবেগুনী (UV) আলোর এক্সপোজার জেনেটিকালি প্রবণ শিশুদের মধ্যে JDM এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

✅ ডায়াগনোসিস/ পরীক্ষাঃ-
১) রক্ত পরীক্ষা:-
i) রক্ত ​​পরীক্ষায় পেশীর এনজাইমের উচ্চ মাত্রা সনাক্ত করতে পারে, যেমন ক্রিয়েটাইন কিনেস (CK) এবং অ্যালডোলেস, যা পেশীর ক্ষতি নির্দেশ করে।
ii)প্রদাহ চিহ্নিতকারীর জন্য পরীক্ষা, যেমন এরিথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট (ESR), সি-প্রতিক্রিয়াশীল প্রোটিন(CRP)
২) MRI
৩) CT Scan
৪) ইলেক্ট্রোমাইগ্রাফি (EMG)
৫) Muscle Biopsy

✅ চিকিৎসাঃ-
JDM এর লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত বাচ্চারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
17/11/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে-

🔰 প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি খেয়ে ১০ মিনিট হাটুন। ১ গ্লাস পানি ও হাটার কারণে পেটে চাপ তৈরি হবে এতে করে সহজে পায়খানা ক্লিয়ার হবে। যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি এই কাজটি করলে বিশেষ উপকার পাবেন।

❇️ বি.দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

14/11/2025

প্রস্রাব অনেকক্ষণ ধরে রাখায় সৃষ্ট অসুবিধা

☘️ শুভ সন্ধ্যা। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ...
14/11/2025

☘️ শুভ সন্ধ্যা।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে-

🔰 প্রস্রাব অনেকক্ষণ ধরে রাখলে অসুবিধা বা সমস্যাঃ-

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে মূত্রাশয় ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পর্যন্ত মূত্র ধরে রাখতে পারে। এর চেয়ে আরও কিছুটা বেশি মূত্র ধরে রাখতে হলে মূত্রথলি তার পেশিকে প্রসারিত করে। আর এই অবস্থা অনেক বেশি সময় ধরে হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
🔸 মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary Tract Infection - UTI) হতে পারে।
🔸 কিডনির ক্ষতি, কিডনিতে পাথর এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
🔸 মুত্রাশয়ের ইনফেকশন (Cystitis) হতে পারে।
🔸 দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখার ফলে কিডনিতে স্থায়ীভাবে পানি জমে যেতে পারে, যা কিডনি নষ্ট করতে পারে।
🔸 প্রস্রাব আটকে থাকার কারণে শ্রোণিতল বা পেলভিক ফ্লোরের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। মূত্রনালীতে ও মুত্রাশয়ে চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে ভবিষ্যতে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। হাঁচি-কাশির সময় অজান্তেই কিছুটা প্রস্রাব বের হয়ে যেতে পারে।
🔸 যাদের মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) আছে, তারা প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালীর ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। যা পরবর্তীতে আরও জটিল হতে পারে।
🔸 বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে, প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং প্রস্রাব আটকে থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ কারণ।
🔸 দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রাশয় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কাজেই কিডনি ভালো রাখতে যেমন পর্যাপ্ত পানি পান করার সাথে সময় মতো প্রস্রাব করাও জরুরি।

🌿 তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৬ - ৮ বার প্রস্রাব করতে হবে। তাহলে উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️  গ্রেভস ডিজিজ/   Grave's disease গ্রেভস রোগ, যা টক্সিক ডিফিউজ গলগন্ড বা ফ্লাজানি-বেসেডো-গ্রেভস রোগ নামেও পরিচিত। থাইর...
14/11/2025

⚕️ গ্রেভস ডিজিজ/ Grave's disease

গ্রেভস রোগ, যা টক্সিক ডিফিউজ গলগন্ড বা ফ্লাজানি-বেসেডো-গ্রেভস রোগ নামেও পরিচিত। থাইরয়েড গ্রন্থি হল একটি ছোট, প্রজাপতি আকৃতির অঙ্গ যা আপনার ঘাড়ের সামনের দিকে অবস্থিত। এটি আপনার বিপাক, শক্তির মাত্রা, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন এবং আরও অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই গ্রেভস ডিজিজ একটি অটোইমিউন রোগ যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভুল করে থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে। এর ফলে থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত উৎপাদন হয়, যাকে বলা হয় hyperthyroidism.
গ্রেভস রোগের কারণে যখন থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়, তখন এটি অসংখ্য শারীরিক কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
🔸 যদিও এটি যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে গ্রেভস ডিজিজ এ আক্রান্ত হয় মূলত নারীরা, ৪০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা।

✅ লক্ষণঃ-
১) বিরক্তি এবং উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা
২) হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস
৩) অনিয়মিত বা দ্রুত হৃদস্পন্দন (ধড়ফড়)
৪) তাপ সংবেদনশীলতা, ঘাম বৃদ্ধি, এবং উষ্ণ, আর্দ্র ত্বক।
৫) গয়টার (থাইরয়েড গ্রন্থি বৃদ্ধি)
৬) বার বার মলত্যাগের চাপ
৭) শারীরিক দূর্বলতা
৮) অনিয়মিত ঋতুস্রাব/ মাসিক
৯) ইরেক্টাল ডিসফাংশন/ যৌন দূর্বলতা
১০) হাতে কম্পন
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। যেমন-
🔸 গ্রেভস চক্ষুরোগ:
গ্রেভস রোগে আক্রান্ত প্রায় ৩০% ব্যক্তির চোখের সাথে সম্পর্কিত এই জটিলতা দেখা দেয়। এটি তখন ঘটে যখন প্রদাহ চোখের চারপাশের পেশী এবং টিস্যুগুলিকে প্রভাবিত করে।উপসর্গগুলো হলো-
১) চোখ ফুলে ওঠা (এক্সোফথালমোস), সেই সাথে লাল ভাব
২) চোখের চাপ এবং ব্যথা
৩) আলোর সংস্পর্শে আসলে সংবেদনশীলতা
৪) চোখের পাতা পিছনে সরে যাওয়া বা ফোলা
৫) ডবল দৃষ্টি, গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
🔸 গ্রেভস ডার্মোপ্যাথি:
এটি গ্রেভস রোগের একটি বিরল ত্বক-সম্পর্কিত প্রকাশ। এটি সাধারণত পায়ের শিন বা উপরের অংশকে প্রভাবিত করে। উপসর্গগুলো হলো-
১) লাল, ফোলা ত্বক
২) কমলার খোসার মতো ঘন জমিন
৩) ত্বকে মিউকোপলিস্যাকারাইড (এক ধরণের কার্বোহাইড্রেট) জমা হওয়ার কারণে

✅ কারণঃ-
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস, রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস, অথবা সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
২) জিনগত প্রবণতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ পরিবারের কোন সদস্য যদি গ্রেভস রোগ বা অন্য কোন অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত থাকে, তাহলে তাদের ঝুঁকি বেশি থাকে।
৩) গর্ভাবস্থায় বা ডেলিভারির পরে হরমোনের পরিবর্তন জিনগতভাবে প্রবণ মহিলাদের মধ্যে গ্রেভস রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়াতে পারে।
৪) সিগারেট ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং গ্রেভস চক্ষুরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে, যা চোখের একটি গুরুতর জটিলতা।
৫) উচ্চ মাত্রার মানসিক বা শারীরিক চাপ জিনগত প্রবণতাযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে।

✅ জটিলতাঃ-
১) হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা: দীর্ঘস্থায়ী হাইপারথাইরয়েডিজমের কারণে হৃদপিণ্ড অতিরিক্ত কাজ করার কারণে গ্রেভস রোগের ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), কার্ডিওমায়োপ্যাথি (হৃদপিণ্ডের পেশীর রোগ), এমনকি হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতাও হতে পারে।
২) হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরোটক্সিক সংকট): থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে এটি একটি জীবন-হুমকিস্বরূপ জরুরি অবস্থা তৈরি করে। যেমন-
- জ্বর, দ্রুত হৃদস্পন্দন
- উত্তেজনা এবং বিভ্রান্তি
- স্ট্রোক এবং পরবর্তীতে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।
৩) গ্রেভস রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের ঝুঁকি বেশি থাকে।
- গর্ভস্রাব
- নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ডেলিভারি
- প্রিএকলাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ)
- ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি না হওয়া
৪) দীর্ঘমেয়াদী, চিকিৎসা না করা হাইপারথাইরয়েডিজম ক্যালসিয়াম এবং খনিজ শোষণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যার ফলে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে, যার ফলে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিতে গ্রেভস ডিজিজ এ যে সকল লক্ষণ বা শারীরিক জটিলতা দেখা যায়, সেই সকল লক্ষণের নিরাময় সম্ভব। তাই যারা গ্রেইভ ডিজিজ এ আক্রান্ত তারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️ Endometriosis (এন্ডোমেট্রিওসিস)এন্ডোমেট্রিওসিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী, বেদনাদায়ক, জটিল অবস্থা যেখানে জরায়ুর(Uterus) এ...
13/11/2025

⚕️ Endometriosis (এন্ডোমেট্রিওসিস)

এন্ডোমেট্রিওসিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী, বেদনাদায়ক, জটিল অবস্থা যেখানে জরায়ুর(Uterus) এন্ডোমেট্রিয়াম (জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ, যা একটি পুরু ও রক্তনালী সমৃদ্ধ টিস্যু স্তর, এটি মাসিক চক্রের সময় পরিবর্তিত হয় এবং গর্ভধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে) জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। যেমন ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব, বা পেলভিসের অন্যান্য অংশে বৃদ্ধি পায়।
এন্ডোমেট্রিওসিসের সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল ডিম্বাশয়ের এন্ডোমেট্রিওসিস এবং এটি ডিম্বাশয়ে একটি সিস্ট গঠন করে যাকে CHOCOLATE CYST বলা হয়। অন্যান্য সাইট জরায়ু হতে পারে (Adenomyosis), ফ্যালোপিয়ান টিউব, এবং পেলভিক পেরিটোনিয়াম, মলদ্বার, নাভি এবং অন্যান্য অনেক জায়গায়।

✅ আক্রান্ত স্থানঃ-
🔸 ডিম্বাশয়
🔸 ফ্যালোপিয়ান টিউব
🔸 লিগামেন্ট যা জরায়ুকে নির্দিষ্ট স্থানে ধরে রাখে (জরায়ুর লিগামেন্ট)।
🔸 জরায়ুর বাইরের পৃষ্ঠ
🔸 পেলভিক গহ্বরের আস্তরণ
🔸 পোস্টেরিয়র কুল-ডি-স্যাক যা জরায়ু এবং মলদ্বারের মধ্যবর্তী স্থান
🔸 অগ্রবর্তী Cul-de-sac যা জরায়ু এবং মূত্রাশয়ের মধ্যবর্তী স্থান
🔸 মলদ্বার, মূত্রাশয়
🔸 যোনিপথ/ভেজাইনা(Vagina)
🔸 সার্ভিক্স(cervix), ভালভা

✅ লক্ষণঃ-
১) মাসিকের আগে, চলাকালীন বা পরে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
২) এটি বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে, কারণ এটি ডিম্বাশয় ও ফ্যালোপিয়ান টিউবকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩) যৌন মিলনের সময় ব্যথা অনুভব হতে পারে।
৪) মাসিক এর সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে বা মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
৫) মলত্যাগ বা প্রস্রাবের সাথে ব্যথা বেশিরভাগই মাসিকের সময় ঘটতে পারে।
৬) পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID) হতে পারে।
৭) ডিম্বাশয়ের সিস্ট হতে পারে।
৮) IBS(Irritable bowl syndrome) হতে পারে। অর্থাৎ এমন একটি অবস্থা যা ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটে খিঁচুনি সৃষ্টি করে।
৯) খিটখিটে মেজাজ হতে পারে।
১০) মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, দূর্বলতা দেখা দিতে পারে।

✅ কারণঃ-
১) রেফারগেড মার্জ এর কারণে এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ ধারণকারী মাসিকের রক্ত ​​শরীরের বাইরে না গিয়ে পেলভিক গহ্বরে প্রবাহিত হয়। সেই কারণে এই কোষগুলি পেলভিক অঙ্গগুলির পেলভিক দেয়াল এবং পৃষ্ঠের সাথে লেগে থাকে, যেখানে কোষগুলি বৃদ্ধি পায় এবং ঘন হয় এবং প্রতিটি মাসিক চক্রের সময় রক্তপাত হয়।
২) জরায়ু তে অস্ত্রোপচার/ hysterectomy, সি-সেকশন(C section) এর সময় এন্ডোমেট্রিয়াল কোষগুলি অস্ত্রোপচারের ছিদ্রের সাথে সংযুক্ত হয়ে জরায়ুর বাহিরে অসাবধানতাবশত শরীরের অন্যান্য অংশে স্থানান্তরিত হলে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু গঠন করতে পারে।
৩) একটি ত্রুটিপূর্ণ ইমিউন সিস্টেম জরায়ুর বাইরে ক্রমবর্ধমান এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু সনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে ব্যর্থ হতে পারে।
৪) এন্ডোমেট্রিওসিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।
৫)
৬) মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত যা সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে।
৭) ইস্ট্রোজেনের হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জরায়ুর ভিতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
৮) অল্প বয়সে মাসিক শুরু হলে, বেশি বয়সে মেনোপজ শুরু হলে।
৯) মাসিক সাইকেল( Menstrual cycle) ২৮ দিনের আগেই শুরু হলে।

✅ ডায়াগনোসিস/রোগ নির্ণয়ঃ-
১) আল্ট্রাসনোগ্রাফি (USG)
২) ল্যাপারোস্কোপি (Leparscopy)
৩) সিটি স্ক্যান (CT Scan)
পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নির্ণয় করা হয়।
৪) এম আর আই (MRI)

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিতে এন্ডোমেট্রিওসিস এর খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত তারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হোন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. NO: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

13/11/2025
☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
13/11/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 প্রতিদিন সকালে ভোর ৬ থেকে ৭ টার মধ্যে অন্তত ১৫ মিনিট সুর্যের আলোর মধ্যে দাড়ান। এতে শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি তৈরি হবে। এই ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে ক্যালসিয়াম যতই খান না কেনো, তা শরীরে মজুত হবে না। তাই ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হওয়া জরুরী। ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে পারবে, এর ফলে ক্যালসিয়াম এর অভাবে সৃষ্ট হাড় সম্পর্কিত ব্যাধিসমূহ থেকে আপনারা নিরাপদে থাকতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220(WhatsApp, imo)

⚕️ টাক/ Alopecia areata(অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা)Alopecia একটি বহুল পরিচিত অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যার কারণে চুল পাতলা হয়, অত্যধি...
10/11/2025

⚕️ টাক/ Alopecia areata(অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা)

Alopecia একটি বহুল পরিচিত অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যার কারণে চুল পাতলা হয়, অত্যধিক চুল পড়ে, আকস্মিক চুলের ক্ষতি করে, মানসিক সমস্যা হয়। এটি সাধারণত মাথার ত্বকে বা দাড়িতে গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির মসৃণ টাকের ছোপ দিয়ে শুরু হয়। তবে চুল পরা ভ্রু, চোখের পাপড়ি এবং পা সহ শরীরের যে কোনও জায়গায় ঘটতে পারে। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।

✅ প্রকারভেদঃ-
১) অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা:
যা সবচেয়ে কমন প্রকারের। যার ফলে মাথার ত্বকে বা শরীরের অন্যান্য অংশে মুদ্রার আকারের, গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির টাক দাগ হয়।
২) অ্যালোপেসিয়া টোটালিস:
যার ফলে মাথার ত্বককে প্রভাবিত করে এবং প্রায় সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়।
৩) অ্যালোপেসিয়া ইউনিভার্সালিস:
যা বিরল, এর ফলে পুরো শরীরের সম্পূর্ণ চুল এমনকি ভ্রু এবং চোখের পাপড়ি সহ শরীরের প্রায় সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়।
🔸 অন্যান্য প্রকারের মধ্যে রয়েছে-
i) ওফিয়াসিস অ্যালোপেসিয়া- মাথার পাশে এবং পিছনের দিকে চুল পড়ার ব্যান্ডের মতো প্যাটার্ন তৈরি করে।
ii) ডিফিউজ অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা- যা পুরো মাথার ত্বকে হঠাৎ চুল পাতলা হয়ে যায়।

✅ লক্ষণঃ-
১) অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা সাধারণত মাথার ত্বকে ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার প্যাচগুলিতে আকস্মিক চুল পড়ার সাথে শুরু হয়।
যাইহোক, এটি পুরুষদের ভ্রু, চোখের পাপড়ি এবং দাড়ি সহ শরীরের যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে।
২) মহিলাদের মধ্যে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা সাধারণত চুল পাতলা হওয়া, বিভাজন প্রশস্ত করা এবং তাদের বিনুনের প্রস্থ হ্রাস হিসাবে প্রকাশ পায়।
৩) কিছু ব্যক্তি চুল পড়ার আগে চুলকানির অনুভূতি অনুভব করেন।
৪) খালি প্যাচগুলিতে সাধারণত কোনও জ্বালা, লালভাব বা দাগ দেখা যায় না।
৫) আরও গুরুতর ক্ষেত্রে, অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা পুরো মাথার চুল পড়া (অ্যালোপেসিয়া টোটালিস) বা সম্পূর্ণ শরীরের চুল পড়া (অ্যালোপেসিয়া ইউনিভার্সালিস) হতে পারে। ছোট গর্ত বা গর্তের মতো নখের পরিবর্তনগুলি প্রায়শই ব্যাপক চুল পড়ার সাথে থাকে।
৬) কিছু ক্ষেত্রে, অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা নখকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে নখগুলি গর্তযুক্ত বা খাঁজকাটা হয়ে যায়।
৭) অ্যালোপেসিয়ার উল্লেখযোগ্য মানসিক প্রভাব থাকতে পারে, যার ফলে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা আত্মসম্মান হ্রাস পেতে পারে।

✅ কারণঃ-
১) এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। তাই অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা এর ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে চুলের ফলিকলগুলিতে আক্রমণ করে, যার ফলে চুল পড়ে। এই অবস্থা যে কোনো শরীরের অংশকে প্রভাবিত করতে পারে।
২) জেনেটিক কারণগুলি অর্থাৎ পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
৩) স্ট্রেস বা নির্দিষ্ট ওষুধের মতো পরিবেশগত কারণগুলির কারণেও অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা হতে পারে।
৪) অন্যান্য অটোইমিউন রোগ, যেমন সোরিয়াসিস, vitiligo, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, লুপাস, বা থাইরয়েড রোগের মতো ব্যাধিগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে।
৫) মানসিক অশান্তি বা ডিপ্রেশন এর কারণে হতে পারে।
৬) নখের ফাংগাল ইনফেকশন বা রোগ এক বছরের বেশি হলে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৭) আয়রনের, জিংকের ঘাটতি, ভিটামিন বি এবং ডি এর অভাব, প্রোটিনের অভাব হলে হতে পারে।
৮) মাথায় খুশকি বা Seborrhic dermatitis এর কারণে হতে পারে।
৯) চুলের গোড়ায় ক্রমাগত টান বা টান লাগার কারণে চুল পড়া, প্রায়শই টাইট পনিটেল বা বেনীর মতো চুলের স্টাইলের কারণে।
১০) থাইরয়েড রোগ, লুপাস এবং ডায়াবেটিসের মতো কিছু রোগ অ্যালোপেসিয়া হতে পারে।
১১) ক্যান্সারের চিকিৎসা চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত করে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তবে চিকিৎসার পরে চুল আবার গজাতে পারে।
১২) গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন সময়, অথবা মেনোপজের মতো ভারসাম্যহীনতা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
১৩) দূষণকারী বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে চুলের বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সাথে নকল বা ক্ষতিকারক চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করলে হতে পারে।

✅ চিকিৎসাঃ-
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত তারা দ্রুত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হোন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Eeg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

Address

Dr. Bose's Care, House No-646(ground Floor), Road No : 9 Avenue: 3, Mirpur DOHS
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Friday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801715520220

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Bose's Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category