Dr. Bose's Care

Dr. Bose's Care Bachelor of Homoeopathic Medicine and Surgery (DU)

⚕️  ডিসক্যালকুলিয়া  / Dyscalculiaডিসক্যালকুলিয়া হলো সংখ্যাসূচক ভাষা প্রক্রিয়াকরণকারী স্নায়ু সংযোগের কর্মহীনতা , যার ফল...
08/12/2025

⚕️ ডিসক্যালকুলিয়া / Dyscalculia
ডিসক্যালকুলিয়া হলো সংখ্যাসূচক ভাষা প্রক্রিয়াকরণকারী স্নায়ু সংযোগের কর্মহীনতা , যার ফলে সংখ্যাসূচক তথ্য অ্যাক্সেস এবং প্রক্রিয়াকরণ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ডিসক্যালকুলিয়ায় আক্রান্ত একটি শিশু সংখ্যা এবং চিহ্নগুলিতে বিভ্রান্ত হয় এবং মানসিক গণিত করতে বা বিমূর্ত ধারণা নিয়ে কাজ করতে পারে না। এই শিশুদের অ্যাসাইনমেন্ট এবং হোমওয়ার্ক সম্পন্ন করতে অসুবিধা হয়।
🔸 স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডিসক্যালকুলিয়া ডিসঅর্ডারের প্রাদুর্ভাব প্রায় ৩% থেকে ৬%, ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে একই রকম।

✅ লক্ষণঃ-
🔸 গণনা শিখতে অসুবিধা।
🔸 গণনার সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সংখ্যার বোধগম্যতা না থাকা।
🔸 শ্রেণীবদ্ধকরণ এবং পরিমাপে অক্ষমতা: বাস্তব জীবনের পরিস্থিতির সাথে একটি সংখ্যাকে যুক্ত করা কঠিন, উদাহরণস্বরূপ, "২" সংখ্যাটিকে ২টি ক্যান্ডি, ২টি বই, ২টি প্লেট ইত্যাদি থাকার সম্ভাবনার সাথে সংযুক্ত করা।
🔸 সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত প্রতীকগুলি চিনতে সমস্যা উদাহরণস্বরূপ, "চার" ধারণার সাথে "৪" যুক্ত করতে অক্ষমতা।
🔸 একই রকম দেখতে সংখ্যার মধ্যে বিভ্রান্তি হওয়া। উদাহরণস্বরূপ, 9 কে 6 এর সাথে গুলিয়ে ফেলা, অথবা 3 কে 8 এর সাথে গুলিয়ে ফেলা।
🔸 একই রকম উচ্চারণের সংখ্যায় বিভ্রাট।। যেমন: "দুই" এবং "তিন" এর মতো একই রকম শোনায় এমন সংখ্যাগুলির মধ্যে বিভ্রান্ত হওয়া।
🔸 সংখ্যা ক্রমের মধ্যে বিভ্রান্তি: একটি সংখ্যা দুই বা ততোধিক বার পুনরাবৃত্তি করা।
🔸 সংখ্যার সিরিজের এক বা একাধিক সংখ্যা ভুলে যাওয়া।
🔸 একটি শিশুকে উদাহরণসরুপ ৫ থেকে গণনা শুরু করতে বললে, শিশুটি এই সংখ্যাটি দিয়ে শুরু করতে সক্ষম হয় না, এবং পরিবর্তে তাকে এটি লিখে বা পূর্ববর্তী সংখ্যাগুলি নিজেই বলে সম্পূর্ণ ক্রমটি বলতে হয়।
🔸 আকৃতি এবং আকার অনুসারে বস্তুর শ্রেণীবিন্যাস করতে সমস্যা হয়।

✅ কারণঃ-
🔸 জেনেটিক এবং নিউরোলজিক্যাল ফ্যাক্টর:
ডিসক্যালকুলিয়া প্রায়শই বংশগত হয়, অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অনেকের মধ্যে হয়ে থাকে। স্নায়বিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিসক্যালকুলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের অংশে পার্থক্য থাকতে পারে যা সংখ্যাগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী, বিশেষ করে প্যারিটাল লোবে।

🔸 পরিবেশগত প্রভাব:
যদিও জেনেটিক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে পরিবেশগত কারণগুলি যেমন শিক্ষার পদ্ধতি, শিক্ষাগত এক্সপোজার এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থাও ডিসক্যালকুলিয়ার তীব্রতা এবং প্রকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে ডিসক্যালকুলিয়া রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই রোগ থেকে আরোগ্য পাওয়া সম্ভব।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল।  আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দে...
08/12/2025

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 দাগহীন ত্বকের জন্য করণীয়ঃ-
ত্বকে কোনও ধরনের দাগ বা অসমতা যেন না থাকে সেজন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার খুবই উপকারী। যেমন:

🔸 কুমড়ার বীজঃ
জিঙ্ক-সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।

🔸 সবুজ শাক-সবজিঃ
সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন এ, সি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো পরিষ্কার ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

🔸 দইঃ
প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার দই আমাদের হজমে সহায়তা করে, যা অন্ত্র ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

🔸 অ্যাপল সিডার ভিনেগারঃ
অ্যাপল সিডার ভিনেগার আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল কমায় সেই সাথে ব্লাড পিউরিফাই করে, যা ত্বক ব্রণ ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
07/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 রক্তে দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোজ এর মাত্রা বেশি থাকলে জটিলতাঃ-

🔸 কোলেস্টেরল বৃদ্ধি:
ব্লাড সুগার বেশি থাকলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। এতে রক্তনালির দেওয়ালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রদাহ তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে জমতে থাকে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল, যাকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। এতে বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর ও স্ট্রোকের ঝুঁকি।

🔸 রেটিনোপ্যাথি:
উচ্চ শর্করা চোখের রেটিনার ক্ষুদ্র রক্তনালি দুর্বল করে দেয়। এগুলো ফুটো হয়ে রক্তপাত ঘটাতে পারে। চিকিৎসা না করলে রেটিনোপ্যাথি থেকে দৃষ্টিক্ষীণতা ও স্থায়ী অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে।

🔸 ফ্যাটি লিভার:
ডায়াবেটিসের সঙ্গে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ। রক্তে শর্করা বেশি থাকলে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে। এটি পরে লিভার ইনফেকশন তৈরি করে। চিকিৎসা না নিলে লিভার সিরোসিস পর্যন্তও হতে পারে।

🔸 কিডনির অক্ষমতা:
দীর্ঘদিন অতিরিক্ত শর্করা কিডনির ক্ষুদ্র ফিল্টার (গ্লোমেরুলাস) নষ্ট করতে থাকে। এ কারণে রক্ত থেকে বর্জ্য বের করতে কিডনির বাড়তি চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে তৈরি হয় ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি। এবং প্যারেনকাইমাল ডিজিজ এর সাথে শেষ পর্যন্ত কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

🔸 স্নায়ুবিক দূর্বলতা:
শর্করা বেশি থাকলে স্নায়ু ও স্নায়ুর আশেপাশের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে স্নায়ুতে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় কম। এতে হাতে-পায়ে ঝিনঝিনি, জ্বালা, অসাড়তা শুরু হয় — যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। সময় গেলে এসব স্নায়ু স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে যায়।

🔸 রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া:
উচ্চ শর্করা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল করে, এর ফলে ক্ষত শুকাতে দেরি হয়, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস সংক্রমণ বাড়ে। ত্বক শুষ্ক ও স্পর্শে ব্যথা লাগার প্রবণতাও দেখা যায়। এ কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে রোগীর পা।

🔸 মাংশপেশী ক্ষয়:
অতিরিক্ত শর্করা শরীরের মাংশপেশী কে দূর্বল ও ক্ষয় করে। প্রস্রাবের সাথে অ্যালবুমিন এর আকারে প্রোটিন নির্গত হয়। এতে শরীরের পেশী ধিরে ধিরে ক্ষয় প্রাপ্ত হয় ও শুকিয়ে যায়।

🔸 নিদ্রাহীনতা:
অতিরিক্ত শর্করার কারণে ব্রেইনে নিউরন সব সময় এক্টিভেট থাকে। উচ্চ শর্করা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়ায় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, আবার রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে গেলে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) অস্থিরতা, ঘাম বা দ্রুত হৃদস্পন্দন হতে পারে যা ঘুম নষ্ট করে।

❇️ বি. দ্র: আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
06/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 গ্লুকোজ লেভেল কমে যাওয়া বা Hypoglycemia/হাইপোগ্লাইসেমিয়াঃ-
হঠাৎ করে শরীরে গ্লুকোজ এর মাত্রা কমে যেতে পারে। এতে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তা দেখে নির্ণয় করা যায় গ্লুকোজ লেভেল কমে গেছে।
✅ লক্ষণঃ-
🔸 হাত-পা কাঁপা বা শরীর কাঁপা শুরু হয়।
🔸 দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব হয়।
🔸 শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় ও ঘাম হতে থাকে।
🔸 মাথা ঘোরা বা হালকা লাগা
🔸 বুক ধড়ফড় করে।
🔸 গুরুতর ক্ষেত্রে কথা জড়িয়ে যায়।
🔸 অস্থিরতা বা বিরক্তি দেখা যায়।
🔸 মনোযোগ দিতে সমস্যা বা বিভ্রান্তি হয়।

♦️ গুরুতর ক্ষেত্রে লক্ষণ (অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন):
🔸 অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
🔸 খিঁচুনি (seizures) হওয়া।
🔸 শরীরের ভারসাম্য না থাকা।

✅ করণীয়ঃ-
🔸 উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্লুকোজ বাড়ানোর জন্য চিনি, গ্লুকোজ ট্যাবলেট, বা মিষ্টি খাবার (যেমন জুস) খেতে হবে।
🔸 ডায়াবেটিস থাকলে এবং ঘন ঘন এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
05/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 তারুণ্যময় টানটান, মসৃণ ও বলিরেখামুক্ত ত্বকঃ-
কিছু খাবার খেলে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক টানটান, মসৃণ ও বলিরেখামুক্ত থাকে। সেই সাথে ত্বকে বয়সের সাথে যে পোর(Pore) বা ছোট গর্ত দেখা যায় তা পূরণ হয়।
🔸 বোন ব্রথ(Bone broth) বা হাড়ের স্যুপ: কোলাজেন (Collagen) এবং জিলেটিনের (Gelatin) একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করতে পারে।

🔸 ডিমের সাদা অংশ: এতে থাকা প্রোলিন ও গ্লাইসিন কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বক টানটান রাখে।

🔸 ফিশ অয়েল : ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের কোলাজেনকে রক্ষা করে এবং ত্বককে আর্দ্র ও স্থিতিস্থাপক রাখতে সাহায্য করে। যেমন: কড লিভার অয়েল।

🔸 মাছ এবং ঝিনুক - মসৃণ ত্বকের জন্য সামুদ্রিক কোলাজেন সমৃদ্ধ মাছ যেমন: স্যামন (চামড়া সহ), টুনা, ম্যাকরল, চিংড়ি এবং ঝিনুক। এগুলো কোলাজেন এর সাথে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা প্রদাহ এবং শুষ্কতা কমায়।

🔸 কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া, আপনার শরীর সঠিকভাবে কোলাজেন গঠন বা সংরক্ষণ করতে পারে না। তাই কমলালেবু, লেবু, গ্রাপেফ্রুইতস, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরি যেগুলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল তা নিয়মিত খেতে হবে। এবং এগুলো তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সাহায্যে ত্বকের বার্ধক্য রোধ হয়, বলিরেখা পড়ে না, ত্বকের রঙ সমান রাখতে সাহায্য করে। UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

🔸 বাদাম, আখরোট, তিসির বীজ এবং চিয়া বীজে জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা কোলাজেন রক্ষা করে এবং ত্বকের পুনর্জন্মকে সমর্থন করে। ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে নরম, মসৃণ এবং কোমল রাখে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন -

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

04/12/2025

⚕️ ডিসলেক্সিয়া/ Dyslexia

ডিসলেক্সিয়া হল একটি শেখার ব্যাধি যা মানুষের বিশেষত বাচ্চাদের শেখার, পড়া, কথা বলা, বানান এবং লেখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। মস্তিষ্কের কিছু অংশ যা ভাষা নিয়ন্ত্রণ করে এর প্রতিবন্ধকতার কারণে ঘটে থাকে। শিশু একটি বাক্য থেকে শব্দ সনাক্ত করতে এবং বাক্য থেকে শব্দগুলি ডিকোড করতে এবং সংযোগগুলি খুঁজে পেতে ব্যহত হয়।
🔸 ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা সমবয়সীদের মতোই স্মার্ট বা বুদ্ধিমান এবং স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন। ডিসলেক্সিয়া সাধারণত শিশুদের মধ্যে পাওয়া যায়, তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রভাবিত করতে পারে। ডিসলেক্সিয়া একটি শিশুর জীবনের প্রথম দিকে নির্ণয় করা যেতে পারে কিন্তু কখনও কখনও জীবনের শেষ পর্যন্ত মিস হতে পারে।
🔸 মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে ডিসলেক্সিয়া তিনগুণ বেশি দেখা যায়। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১০% মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

✅ লক্ষণঃ-
🔸 শেখা এবং যোগাযোগের অসুবিধা : দ্রুত নির্দেশাবলী বোঝার ক্ষমতা হ্রাস, অথবা এমন রসিকতা বা অভিব্যক্তি বোঝার ক্ষমতা হ্রাস যার অর্থ নির্দিষ্ট শব্দ (বাগধারা) থেকে সহজে বুঝতে পারে না।
🔸 নতুন শব্দ শিখতে এবং সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে অক্ষমতা।
🔸 কথা বলার সময় বা ধারণা প্রকাশ করার সময় ধারাবাহিকতা ব্যহত হয়।
🔸 পড়ার সমস্যা : যেকনো ভাষার কোড বা প্রতীক ডিক্রিপ্ট করা এবং মনে রাখার ক্ষেত্রসুবিধা, যা পড়া কঠিন করে তোলে। ডিসলেশুরা প্রায়শই শব্দের উচ্চারণ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এবং তারা যা পড়ে তা প্রক্রিয়াকরণ এবং বুঝতে সমস্যা হয়। তাই, তারা প্রায়শই বইয়ের প্রতি খুব বেশি আগ্রহী হয় না।
🔸 ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুদের সময়ের সাথে সাথে বানান শব্দ মনে রাখতে এবং বানানের নিয়ম প্রয়োগ করতে সমস্যা হয়, তাই তারা প্রায়শই বানান ভুল করে। তাদের ধারণাগুলি লেখায় প্রকাশ করতে সমস্যা হয়। কখনও কখনও তারা শিক্ষকের কথা পুরোপুরি বুঝতে পারলেও, নোট নিতে তাদের অসুবিধা হয়। তাদের পেন্সিলের গ্রিপ সাধারণত অস্বাভাবিক, যার ফলে তাদের হাতের লেখা অনিয়মিত, খুব কমই পড়া যায়, হয় খুব বড় বা খুব ছোট।
🔸 মোটর সমন্বয় এবং স্থানিক অভিযোজনের লক্ষণগুলি : ডান থেকে বাম, উপরে থেকে নীচে, সামনে থেকে পিছনে, ভেতরে থেকে বাইরে ইত্যাদি পার্থক্য করতে অসুবিধা। তারা অন্যান্য শিশুদের তুলনায় বেশি অগোছালো এবং প্রায়শই হারিয়ে যায়। তারা সাধারণত সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় এমন খেলাধুলায় ভালো হয় না, যেমন: সাইক্লিং বা ফুটবলের মতো যেকোনো দলগত খেলা।
🔸 অক্ষর, সংখ্যা এবং রং মনে রাখতে পারে না বা ভুল করে বা নামকরণে সমস্যা হয়। এই রকম দেখতে শব্দ শনাক্ত করতে সমস্যা। যেমন- লাল কে নীল, হলুদ কে সবুজ, গোলাপি কে লাল ইত্যাদি বলে থাকে অথবা ৭ কে ৩, ৪ কে ৮, ২ কে ৫ অথবা p কে q, c কে e, b কে d ইত্যাদি বলে থাকে।
🔸 সময় অনুমানের বিকৃতি : সময় পরিচালনা করতে অসুবিধা এবং দিনের তারিখ সম্পর্কে বিভ্রান্তি।
🔸 গণিত সমস্যা নিয়ে জটিলতা : যেহেতু তাদের প্রতীক চিনতে সমস্যা হয়, তাই পাটিগণিত করা কঠিন কারণ এতে যোগ, বিয়োগ, গুণ ইত্যাদি প্রতীক জড়িত। ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুদের গুণের টেবিল মুখস্থ করতেও সমস্যা হয়।
🔸 সামাজিক এবং মানসিক সম্পৃক্ততার সমস্যা : ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুরা ক্লাস জোকার, ঝামেলা সৃষ্টিকারী, অথবা খুব বেশি চুপচাপ হতে পারে। তারা অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল বা বাধ্যতামূলকভাবে সুশৃঙ্খল। প্রতিটি শিশু আলাদা, এবং আমরা বিদ্রোহ এবং অসহিষ্ণুতা উভয়েরই উদাহরণ দেখতে পাই, তবে বশ্যতারও উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।

✅ কারণঃ-
🔸 মস্তিষ্কের যে অংশগুলি লেখাপড়া সাথে সম্পর্কিত সেখানে সমস্যার কারণে ডিসলেক্সিয়া হতে পারে।
🔸 পরিবারে অন্য কারো ডিসলেক্সিয়া থাকলে পরবর্তী বংশধের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
🔸 সময়ের পূর্বে জন্ম বা কম জন্ম ওজন সহ জন্মের কারণে ব্রেইনের ডেভেলপমেন্ট ঠিক ভাবে না হওয়ার কারণে হতে পারে।
🔸 ডিসলেক্সিয়া কিছু জিনের সাথে যুক্ত বলে মনে হয় যা ব্রেনের পড়া এবং ভাষা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
🔸 গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল, নিকোটিন, সিস্টেমিক সংক্রমণের এক্সপোজার হলে হতে পারে।
🔸 হতাশা, রাগ বা কম আত্মসম্মান, উদ্বেগ, হতাশা, সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে অবহেলার কারণে মানসিক চাপের কারণে হতে পারে।
🔸 প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিসলেক্সিয়া হতাশা, নিম্ন কর্মক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস হ্রাস এবং আর্থিক সংকটের কারণে হতে পারে।

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে ডিসলেক্সিয়ার চিকিৎসা সম্ভব। বাচ্চাদের লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে আরোগ্য পাওয়া যায়।
ঔষধের সাথে নিন্মলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাহলে বাচ্চার লার্নিং এর অনেক উন্নতি সাধন হবে।
🔸 বহু-সংবেদনশীল পদ্ধতির:
মাল্টি-সেন্সরি লার্নিং অ্যাপ্রোচ বিভিন্ন ইনপুট যেমন স্পর্শ, শব্দ, গন্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে একাডেমিক কাজগুলিকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করতে সাহায্য করে।
🔸 শিক্ষক বা পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন:
ডিসলেক্সিয়া মানে এই নয় যে পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব রয়েছে। তাই বাচ্চাকে শেখার জন্য এবং ভালভাবে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে শিক্ষকদের এবং কাউন্সেলরের কাছ থেকে সহায়তার প্রয়োজন।
🔸 অধ্যয়নে ডিজিটাল শেখার সরঞ্জাম ব্যবহার:
তাদের অধ্যয়নে বিভিন্ন সহায়ক শেখার সরঞ্জাম ও পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন:
★ পেন্সিল এবং কাগজের পরিবর্তে তাদের লিখতে কম্পিউটার কীবোর্ড সরবরাহ করা
★ তাদের পাঠ্য, শব্দ, বাক্য, রং, বস্তু, কবিতা ইত্যাদি শেখানোর জন্য অ্যাপ্লিকেশন ডিভাইস শেখা
★ তাদের দৈনন্দিন কাজ করার জন্য পড়ার কলম, ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল অভিধানের মতো শেখার ডিভাইস দেওয়া

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন -

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715520220(WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
04/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক খাবারঃ-
🔸 সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, কেল, ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি, লেটুস, টমেটো, গাজর, বীটরুট, বেল পেপার, অ্যাসপেরাগাস, বকচয়, এবং সুইস চার্ডের মতো গাঢ় সবুজ ও রঙিন শাকসবজিতে ক্যালরি কম এবং আঁশ বেশি থাকে, যা গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
🔸 বাদাম ও বিভিন্ন বীজ: বিভিন্ন প্রকারের বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ যেমন: চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, লাউয়ের বীজ ইত্যাদি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
🔸 আস্ত শস্যদানা: ওটস, ব্রাউন রাইস, মিলেট এর মতো আস্ত শস্যদানায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করে।
🔸 কম গ্লুকোজ সমৃদ্ধ ফল: আপেল, পেয়ারা, নাসপাতি, বাংগী, পেশন ফ্রুট, অলিভ বা জলপাই এবং পেঁপের মতো ফলগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
🔸 ডাল ও legumes: মসুর ডাল, মুগ ডাল, রাজমা, সিমের বীজ, ছোলা, এবং মটরশুঁটি আঁশ ও প্রোটিনের ভালো উৎস। যা রক্তে গ্লুকোজ কমাতে সহায়ক।
🔸 ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, আংগুরসহ অন্যান্য বেরি জাতীয় ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভালো উৎস। যা রক্তে শর্করা শোষণ কমায়।
🔸 মিষ্টি আলু, পেস্তা আলু, শিমুল আলু গ্লুকোজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। কারণ এগুলো গ্লুকোজ কম, কিন্তু প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️  অস্টিওপোরোসিস/ Osteoporosisঅস্টিওপোরোসিস হল এমন অবস্থা যেখানে হাড়গুলি পাতলা, ভঙ্গুর এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে পড়ে। ...
03/12/2025

⚕️ অস্টিওপোরোসিস/ Osteoporosis

অস্টিওপোরোসিস হল এমন অবস্থা যেখানে হাড়গুলি পাতলা, ভঙ্গুর এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে পড়ে। হালকা চাপ বা চাপ তীব্র এবং গুরুতর ফ্র্যাকচারের কারণ হতে পারে। এই ফ্র্যাকচারগুলি প্রাথমিকভাবে মেরুদণ্ড, কব্জি, হাটু, নিতম্বে ঘটে। শরীরের অন্যান্য হাড়গুলিতেও ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। সহজ ভাষায় অস্টিওপরোসিস মানে স্পঞ্জি হাড়।

🔸 হাড় খনিজ পদার্থ দ্বারা গঠিত, প্রধানত ক্যালসিয়াম যা কোলাজেন ফাইবার দ্বারা একসাথে আবদ্ধ থাকে। হাড়গুলির একটি পুরু শক্ত খোল (কর্টিক্যাল হাড়) থাকে যার নীচে হাড়ের একটি নরম মধুচক্র জাল (ট্র্যাবেকুলার হাড়) থাকে।

🔸 হাড়ের পুনর্নির্মাণ হল পুরানো হাড়ের টিস্যুকে নতুন দিয়ে প্রতিস্থাপন করার একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় একটু ঘনত্ব হারাতে শুরু করে। যাইহোক, অস্টিওপোরোসিস রোগীদের ক্ষেত্রে, হাড়ের ক্ষয় তীব্র হয় (ঘনত্ব হ্রাস) এবং মৌচাকের জালের গর্তগুলি বড় (ছিদ্রযুক্ত) হয়ে যায়, এইভাবে হাড়গুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আঘাতের প্রবণতা থাকে।

✅ প্রকারভেদঃ-
🔸 বার্ধক্যজনিত অস্টিওপোরোসিস:
বয়স-সম্পর্কিত অস্টিওপরোসিস যা সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি নিতম্ব এবং মেরুদণ্ডের হাড়ের ফ্র্যাকচারের সাথে সম্পর্কিত।

🔸 মেনোপজ-পরবর্তী অস্টিওপরোসিস:
এটি মেনোপজের পরে মহিলাদের মধ্যে ঘটে।

✅ লক্ষণঃ-
🔸 ভার্টিব্রা ভেঙে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পিঠে ব্যথা
🔸 ভার্টেব্রাল ক্রাশ এবং সংক্ষিপ্তকরণ; উচ্চতা হ্রাস
🔸 শ্বাস কষ্ট
🔸 সময়ের সাথে সাথে উচ্চতা কমেছে
🔸 ভঙ্গিতে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া

✅ কারণঃ-
🔸 বডি মাস ইনডেক্স 18.5 এর কম। শরীরের ফ্রেমের আকার ছোট ও পাতলা।
🔸 পারিবারিক ইতিহাস। অর্থাৎ পরিবারে কেউ অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে।
🔸 খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ না করা।
🔸 মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যামেনোরিয়ার ইতিহাস। অর্থাৎ মহিলাদের পিরিয়ডের অনিয়ম। সেই সাথে পোস্টমেনোপজাল মহিলাদের, আরও বেশি ঝুঁকি থাকে যাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়।
🔸স্টেরয়েডের মতো ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার। যেমন:- হাঁপানি, লুপাস, থাইরয়েডের ঘাটতি, খিঁচুনি ইত্যাদি চিকিৎসার জন্য ওষুধ।
🔸 অন্যান্য শারীরিক অবস্থা বা রোগ যেমন: ওভারঅ্যাকটিভ থাইরয়েড, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রোনস ডিজিজ, টাইপ 1 ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ক্রনিক লিভার ডিজিজ, মাল্টিপল মাইলোমা উল্লেখযোগ্যভাবে অস্টিওপরোসিস এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
🔸 হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
- থাইরয়েড হরমোন এর ভারসাম্যহীনতা
- কম সেক্স হরমোন
- অতি সক্রিয় প্যারাথাইরয়েড এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি
🔸 দীর্ঘদিন ধরে কোনো রোগের ওষুধ খাওয়ার কারণে হতে পারে। যেমন: হৃদরোগের, ক্যান্সার, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, এবং গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
🔸 ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি।
🔸 অ্যাম্বুলেটরি নয়; বিছানায় শুয়ে থাকা, হুইলচেয়ারে সীমাবদ্ধ থাকলে দীর্ঘদিন ধরে।

✅ ডায়াগনোসিস/ পরীক্ষাঃ-
ইমেজিং পরীক্ষা:
- হাড়ের খনিজ ঘনত্ব পরিমাপের জন্য ডুয়াল-এনার্জি এক্স-রে অ্যাবসর্পটিওমেট্রি (DEXA)
- ডিজিটাল এক্স-রে রেডিওগ্রামমেট্রি (DXR)
- আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির লক্ষণগুলো কমানো সেই সাথে হাড়ের ক্ষয় ও ব্যাথা কিছুটা কমানো সম্ভব। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত তারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

02/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে করণীয়ঃ-
🔹 চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে যেসকল খাবার খেতে হবে: গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, স্যামন, টুনা, বাদাম, এবং সাইট্রাস ফল-এর মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। এই খাবারগুলোতে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং সূর্যমুখীর বীজ: ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস, যা চোখের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
🔸 স্যামন, টুনা, দেশি ছোট মাছ, তিসির বীজ এবং চিয়া বীজ: এইগুলোতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
🔸 কমলা, আংঙুর, আম এবং সাইট্রাস ফল: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
🔸 ডিম এবং দই সহ কিছু দুগ্ধজাত পণ্য: ভিটামিন এ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের উৎস।
🔸 বেল মরিচ, ক্যাপসিকাম এবং কুমড়া: ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস।
🔹 কম পাওয়ার বা অতিরিক্ত পাওয়ারের লাইট ব্যবহার করা যাবে না। এতে দেখার জন্য চোখের উপর অনেক চাপ পড়ে। যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।
🔹 প্রচন্ড রোদে খালি চোখে তাকানো যাবে না। অতিবেগুনী রশ্মি চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
🔹 চোখে ল্যান্স ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। ল্যান্স ব্যবহার করে আগুন বা উচ্চতাপমাত্রার কাছে যাওয়া যাবে না।
🔹 ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের দিকে একটানা অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত বিরতি নিতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস চোখ থেকে যথেষ্ট দূরে রেখে কাজ করতে হবে।
🔹 প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা চোখের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
🔹 ধূমপান চোখের গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
🔹 বাইরে সময় কাটানো এবং নিয়মিত হাঁটাচলা চোখের জন্য ভালো। চোখের মণি ঘোরানোর মতো ব্যায়ামও করা যেতে পারে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715520220(WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল। আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়...
01/12/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়ঃ-
🔸 শান্ত থাকতে হবে, গভীর শ্বাস নিন, এবং নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ গ্রহণ করুন।
🔸 ১ গ্লাস পানিতে ১ টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
🔸 শান্ত ভাবে শুয়ে থাকতে হবে।
🔸 লবণ ও তেলমশলা যুক্ত খাবার এই সময়ে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
🔸 ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
🔸 ডাবের পানি পান করুন।

🔹 জরুরি অবস্থায় করণীয়ঃ-
🔸 রক্তচাপ (180/120) বা তার বেশি হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান অথবা জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করুন।
🔸চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন।
🔸 অস্থির না হয়ে শান্তভাবে বসুন বা শুয়ে থাকুন।
🔸 গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং ধীর গতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।

❇️ বি দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No:H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

⚕️  এক্রোমেগালি/ Acromegalyঅ্যাক্রোমেগালি এমন একটি অবস্থা যেখানে পিটুইটারি গ্রন্থি অতিরিক্ত বৃদ্ধির হরমোন(Growth Hormone...
30/11/2025

⚕️ এক্রোমেগালি/ Acromegaly

অ্যাক্রোমেগালি এমন একটি অবস্থা যেখানে পিটুইটারি গ্রন্থি অতিরিক্ত বৃদ্ধির হরমোন(Growth Hormone-GH) তৈরি করে যা শরীরের অনেক অংশকে প্রভাবিত করে। এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ।
🔹 পিটুইটারি গ্রন্থি মস্তিষ্কের গোড়ায় অবস্থিত এবং এটি GH নিঃসরণের জন্য দায়ী। যখন গ্রন্থিটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই হরমোনটি খুব বেশি নিঃসরণ করে, তখন এটি শরীরের হাড়, তরুণাস্থি, অঙ্গ এবং অন্যান্য টিস্যু বর্ধিত হতে পারে।
🔹 অ্যাক্রোমেগালির প্রায় 90% ক্ষেত্রে, গ্রোথ হরমোন-GH অত্যধিক নিঃসরণ পিটুইটারি গ্রন্থিতে একটি বিনাইন টিউমারের(নন ক্যান্সারাস) উপস্থিতির কারণে ঘটে। এই ধরনের টিউমার পিটুইটারি অ্যাডেনোমা নামে পরিচিত।

✅ লক্ষণঃ-
🔸 ঘন, মোটা এবং তৈলাক্ত ত্বক
🔸 গভীর কণ্ঠস্বর
🔸 আরও বিশিষ্ট নাক, ঠোঁট এবং জিহ্বা
🔸 হাত পা বড় হয়ে যায়।
🔸 শরীরের গন্ধ এবং ঘাম বৃদ্ধি
🔸 আরও বিস্তৃত এবং গাঢ় ত্বকের ট্যাগ
🔸 কপালের হাড় বা চোয়াল বেরিয়ে যেতে পারে।
🔸 দাঁতের মধ্যে ব্যবধান বৃদ্ধি
🔸 পেশী দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
🔸 উপরের শ্বাসনালীতে বাধার কারণে গুরুতর নাক ডাকার সমস্যা
🔸 মাথাব্যাথা
🔸 প্রতিবন্ধী দৃষ্টি
🔸 ব্যথা এবং সীমিত জয়েন্টের গতিশীলতা
🔸 মহিলাদের মাসিক চক্রের অনিয়ম
🔸 ইরেক্টাইল ডিসফাংশন পুরুষদের মধ্যে, যৌনতার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া
🔸 জয়েন্টে ব্যথা
🔸 দৃষ্টি সমস্যা
🔸 মাথাব্যথা

✅ জটিলতাঃ-
🔸 উচ্চ রক্তচাপ
🔸 টাইপ 2 ডায়াবেটিস
🔸 বাত
🔸 কারপাল টানেল সিন্ড্রোম
🔸 হৃদরোগ
🔸 স্লিপ অ্যাপনিয়া
🔸 মেরুদণ্ডের কম্প্রেশন
🔸 গলগন্ড
🔸 বৃহদন্ত্রে প্রাক-ক্যান্সার বৃদ্ধি

✅ কারণঃ-
পিটুইটারি অ্যাডেনোমা অর্থাৎ পিটুইটারি গ্রন্থি অত্যধিক বৃদ্ধির হরমোন(Growth Hormone-GH) নিঃসরণ করে, যা অ্যাক্রোমেগালি এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এটি GH উৎপাদনের পাশাপাশি অন্যান্য হরমোনের জন্য দায়ী। শারীরিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে GH গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অত্যধিক GH উৎপাদনের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল টিউমার:
🔸 পিটুইটারি টিউমার: অ্যাক্রোমেগালির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি ননক্যান্সারাস (বিনাইন) পিটুইটারি গ্রন্থি টিউমার (এডেনোমা) দ্বারা সৃষ্ট হয়। কিছু অ্যাক্রোমেগালি উপসর্গ, যেমন মাথাব্যথা এবং ঝাপসা দৃষ্টি, টিউমার কাছাকাছি মস্তিষ্কের টিস্যুতে চাপ দেওয়ার কারণে ঘটে।
🔸 নন পিটুইটারি টিউমার: শরীরের অন্যান্য অংশে টিউমার, যেমন অগ্ন্যাশয় বা ফুসফুসে,কিছু মানুষের মধ্যে অ্যাক্রোমেগালি হয়। এই টিউমারগুলি মাঝে মাঝে GH প্রকাশ করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, টিউমারগুলি একটি গ্রোথ হরমোন-রিলিজিং হরমোন (GH-RH) নিঃসরণ করে, যা পিটুইটারি গ্রন্থিকে আরও GH উত্পাদন করতে বলে।

✅ চিকিৎসাঃ- হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক করা সম্ভব। সেই সাথে এডেনোমার ও চিকিৎসা সম্ভব। তাই যারা এক্রোমেগালি তে আক্রান্ত তারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile Bo: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

☘️ শুভ সকাল।  আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দে...
30/11/2025

☘️ শুভ সকাল।
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন। আপনাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।

🔰 ভিটামিন কেঃ-
হাড় সুস্থ রাখতে ও ক্ষয় রোধে, রক্ত জমাট বাধতে বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ভিটামিন ‘কে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ১৩৮ মাইক্রোগ্রাম এবং মহিলার ১২২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘কে’ প্রয়োজন।

✅ যে সকল খাবারে পাওয়া যায়ঃ-
লাল লঙ্কা, কলা, সবুজ শাক-সবজি, টম্যাটো, শিম, বেদানা, শালগম, মিষ্টি কুমড়া, শসা, ফুলকপি, ধনেপাতা, ব্রকলি, বাঁধাকপি, পালং শাক, বাদাম, ডিমের কুসুম, দই, ফর্টিফায়েড দুধ, পনিরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘কে’ পাওয়া যায়।

✅ প্রকারভেদঃ-
ভিটামিন ‘কে’ দুই ধরণের হয়।
🔸 ভিটামিন ‘কে১’ - সবুজ শাক-সবজি, পালং শাক, শিম, কলা, বেদানা, মিষ্টি কুমড়া, ডাল, সয়াবিন, ভুট্টা, শালগমে ভিটামিন ‘কে১’ আছে।
🔸 ভিটামিন ‘কে২' - মাখন, পনির, ডিমের কুসুমে, বাদাম, দই, ফর্টিফায়েড দুধে আছে ভিটামিন ‘কে২’।

✅ ভিটামিন কে- এর ঘাটতি কেন হয়ঃ-
🔸 ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’না থাকলে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়।
🔸 পাশাপাশি রক্ত পাতলা করার ওষুধ, দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এবং কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খাওয়ার ফলেও শরীরে ভিটামিন ‘কে’-এর ঘাটতি হতে পারে।

✅ ভিটামিন ‘কে’ এর কাজ বা প্রয়োজনীয়তাঃ-
🔸 রক্তক্ষরণের সময় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
🔸 হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। K2 হাড়ের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। ভিটামিন কে অস্টিওক্যালসিন প্রোটিনকে সক্রিয় করে, যা হাড়ের ম্যাট্রিক্সের সাথে ক্যালসিয়ামকে আবদ্ধ করতে সাহায্য করে।
🔸 ভিটামিন কে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, ধমনী বা নরম টিস্যুতে নয় বরং হাড়ে জমা করে।
🔸 শরীরে আয়রন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
🔸 গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে এই ভিটামিন।
🔸 মানবদেহে অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন হিসেবে যকৃতে জমা রাখতে সহায়তা করে।
🔸 ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা দেয়।

✅ ভিটামিন কে-এর অভাবে যে সমস্যা দেখা যায়ঃ-
🔸 সামান্য আঘাতে বা এমনকি কোনো আঘাত ছাড়াই ত্বকে কালশিটে দাগ দেখা যায়।
🔸 অস্টিওপরোসিস বা হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং সহজে ভেঙে যেতে পারে।
🔸 কেটে গেলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে রক্তপাত অব্যাহত থাকে।
🔸 দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে বা নাক দিয়ে বারবার রক্ত পড়ে।
🔸 ধমনী এবং অন্যান্য নরম টিস্যুতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
🔸 অনেক সময় ত্বকের নিচে ছোট ছোট লাল বা বেগুনি রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।
🔸 পরিপাকতন্ত্রে অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন এর কারণে রক্তপাতে মলের রঙ কালচে হতে পারে।
🔸 ভিটামিন কে-এর অভাবে আক্রান্ত নবজাতক শিশুদের নাভির গোড়া থেকে রক্তপাত বা মস্তিষ্কে বিপজ্জনক রক্তক্ষরণ হতে পারে, যা একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি।
🔸 হজমে সমস্যা দেখা যায়।
🔸 দীর্ঘদিন ধরে মাসিকের সময় রক্তপাত হওয়া।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

Address

Dr. Bose's Care, House No-646(ground Floor), Road No : 9 Avenue: 3, Mirpur DOHS
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Friday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801715520220

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Bose's Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category