18/11/2025
⚕️ ওজন বৃদ্ধির উপায়সমূহঃ-
শরীর যতটা ক্যালোরি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা জরুরি। যারা বিভিন্ন কারণে স্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে পারছেন না, তাদের জন্য ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা জরুরি। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করতে হবে। ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায় হলো-
🔸 ক্যালোরি গ্রহন বাড়াতে হবে:-
শরীর যতটা ক্যালোরি ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় ৫০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করলে দ্রুত ওজন বাড়ে। ভাত, রুটি, আলু, বাদাম, চকলেট, মাখন ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি পরিমাণে খেলে ক্যালোরি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
🔸 উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে:-
ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রোটিন ও ফ্যাটজাতীয় খাবার গ্রহণ করা। মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, দই, ছানা, বাদাম, বাটার, পনির, ঘী এবং টফু, ছোলা নিয়মিত খেলে পেশি বৃদ্ধি পায় এবং শরীর দ্রুত মোটা হয়।
🔸 উচ্চ পুষ্টিগুন জাতীয় পানীয় পান:-
কলা, দুধ, মধু ও বাদাম দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। সকালে নাস্তার পর আর বিকালে নিয়ম করে এই পানীয় পান করলে ওজন বাড়বে।
🔸 বার বার খাবার গ্রহণ:-
প্রতিদিন ৩ বেলার পরিবর্তে ৫-৬ বার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ছোট ছোট মিল গ্রহণ করলে শরীর সহজে পুষ্টি শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত ওজন বাড়ে।
🔸 ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করতে হবে:-
খাবার গ্রহনের সাথে শরীরের আকৃতি সুন্দর করতে ব্যায়াম করতে হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য ওজন তোলা (Weight lifting), স্কোয়াট, পুশ-আপ, লেগ প্রেস এবং যোগব্যায়াম করতে হবে।
🔸 পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে:-
ওজন বাড়ানোর জন্য পানি পান করা জরুরি, তবে খাবারের সঙ্গে বেশি পানি পান করলে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার অন্তত ১০/১৫ মিনিট পর পানি পান করতে হবে।
🔸 পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে:-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে শরীর ক্যালোরি সংরক্ষণ করতে পারে না, ফলে ওজন কমে যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
🔸 মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে:-
সকল প্রকার মানসিক চাপ ও বিষন্নতা থেকে দূরে থাকতে হবে। কোনো সমস্যায় পড়লে দুশ্চিন্তা না করে মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধান করতে হবে। দুশ্চিন্তার কারণে রুচির পরিবর্তন হয়ে ওজন কমতে পারে।
🔸 হরমোনজনিত সমস্যা বা ডায়বেটিস এর ঔষধ সেবন:-
বিভিন্ন রোগ যেমন- থাইরয়েড হরমোন ইমব্যালেন্স বা ডায়াবেটিসের কারণে ওজন কমে যায়। যদি কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে, ও সেই অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান করতে হবে।
🌿 পরবর্তীতে ওজন কমার কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই এ সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন আমাদের এই পেইজে।
❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-
ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)