Dr.Tanvir Ahmed

05/12/2025

🟪শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:

১) চিনি নয় এক বছর বয়সের আগে:
চিনি শিশুর দাঁতের ক্ষয় (early childhood caries), স্থূলতা ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এক বছরের আগে শিশুর কিডনি ও হজম প্রক্রিয়া এখনো অপরিণত থাকে, তাই অতিরিক্ত চিনি ক্ষতিকর। মিষ্টি স্বাদের জন্য কলা বা খেজুরের মতো প্রাকৃতিক উৎস বেছে নিন।

২) ৮+ মাসে দুগ্ধজাত খাবার:
এই বয়সে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D দরকার হয় হাড় শক্ত করার জন্য। তাই সামান্য চিজ, টক দই, ঘি—পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি হলে নিরাপদ। কাঁচা দুধজাত খাবার দিলে সংক্রমণ (যেমন ব্রুসেলোসিস, সালমোনেলোসিস) হতে পারে।

৩) ডিমের সময়:
৭ মাসে কুসুম দিয়ে শুরু করুন, কারণ এতে আয়রন ও ফ্যাট আছে যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। সাদা অংশ ৮-৯ মাসের আগে না দেওয়া ভালো, কারণ এতে অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি।

৪) ১৮ মাসের আগে গরুর দুধ নয়:
গরুর দুধে আয়রন কম ও প্রোটিন বেশি থাকে, যা রক্তস্বল্পতা ও কিডনি লোডের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে দুধজাত খাবার (যেমন দই বা পনির) দেয়া নিরাপদ, কারণ সেগুলোতে প্রোটিন আংশিক ভেঙে যায়।

৫) সাইট্রাস ফল:
লেবু, কমলা, মাল্টা—এগুলোতে ভিটামিন C থাকে, যা আয়রন শোষণে সাহায্য করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বয়স অনুযায়ী অল্প করে দিন যাতে অম্লতার সমস্যা না হয়।

৬) সবুজ ও রঙিন সবজি:
বিভিন্ন রঙের সবজিতে ভিটামিন A, C, ফলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে—যা শিশুর চোখ, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।

৭) প্রোটিন উৎস:
মাছ ও ডিমে উচ্চমানের প্রোটিন, DHA ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিহার্য। চিকেন দিতে পারেন, তবে লাল মাংস (রেড মিট) সপ্তাহে ১–২ বারের বেশি না।

৮) তাজা খাবার:
রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার বেশি রাখলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা খাদ্যবিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই প্রতিবার নতুন তৈরি করে দিন। কোনো খাবারে অ্যালার্জি বা ডায়রিয়া হলে তা বন্ধ রাখুন।

৯) পানি:
পর্যাপ্ত পানি কিডনি কার্যকারিতা বজায় রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। তবে অতিরিক্ত পানি দিলে বুকভরা দুধ খাওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে।

১০) খেলা ও শারীরিক নড়াচড়া:
মুভমেন্ট শিশুর হাড়, পেশি ও মোটর স্কিলের বিকাশে সাহায্য করে। দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সক্রিয় খেলাধুলার সময় দিন।

Dr.Tanvir Ahmed
Child Disease & Surgical Care - BD

05/12/2025

05/12/2025

Proboscis lateralis একটি অত্যন্ত বিরল জন্মগত ত্রুটি, যেখানে স্বাভাবিক নাকের পরিবর্তে চোখের ভেতরের কোণ (medial canthus) থেকে একটি নরম, নলাকার, মাংসল অংশ বা অস্বাভাবিক অঙ্গ বৃদ্ধি পায়। মুখমণ্ডলের গঠন ও সংযোজন সঠিকভাবে না হওয়ার ফলেই এ সমস্যা দেখা দেয়।

এটি সাধারণত nasal dysplasia-এর অন্তর্ভুক্ত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একপাশে (unilateral) দেখা গেলেও বিরল ক্ষেত্রে দুই পাশেও (bilateral) হতে পারে। এ ধরনের ত্রুটির সঙ্গে অনেক সময় আরও কিছু জটিল অস্বাভাবিকতাও থাকে, যেমন—
• নাসারন্ধ্র বা nasal cavity অনুপস্থিত থাকা
• সাইনাসের জন্মগত সমস্যা
• মস্তিষ্কের কিছু গঠনগত ত্রুটি বা malformation

সঠিকভাবে সমস্যা নির্ণয় ও পরিকল্পনা করার জন্য CT বা MRI ইমেজিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা সাধারণত জটিল শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে মুখমণ্ডল ও নাকের পুনর্গঠন করে করা হয়, যা ধাপে ধাপে সম্পন্ন হতে পারে।

05/12/2025

04/12/2025

টমেটো, অ্যাভোকাডো, বেগুন, বাটার মিল্ক, আচার, গাঁজানো খাবার এবং কৃত্রিমভাবে সংরক্ষণকৃত খাবারে অধিক পরিমাণে হিস্টামিন পাওয়া যায়।হিস্টামিন সমৃদ্ধ খাবার শীতের মৌসুমে শিশুদের অতিরিক্ত কফ সৃষ্টি করে।

04/12/2025

সুস্থ সন্তান অনকে বড় নিয়ামত।

04/12/2025

📌কেন শিশুদের ড্রুলিং বেশি হয়?

১) মুখের মাংসপেশির অপরিপক্বতা

০–২৪ মাস বয়সে শিশুর মুখ, জিভ, ঠোঁট ও চোয়ালের মাংসপেশি পুরোপুরি বিকশিত হয় না।
ফলে—

ঠোঁট শক্তভাবে বন্ধ রাখতে পারে না
গিলতে দেরি হয়
জিভ নিয়ন্ত্রণ অপরিপক্ব থাকে
এগুলো ড্রুলিং বাড়ায়।

২) দাঁত ওঠা (Teething)

দাঁত ওঠার সময়ে মাড়িতে চাপ সৃষ্টি হয় → salivary gland বেশি উত্তেজিত হয় → লালা উৎপাদন বাড়ে।

৩) ৩–৬ মাস বয়সে স্বাভাবিক লালা বৃদ্ধি

এই বয়সে লালাগ্রন্থি সবচেয়ে সক্রিয় থাকে।
এই সময় আবার শিশুরা মুখে হাত ও খেলনা বেশি দেয় → লালা গড়িয়ে পড়া বাড়ে।

৪) মুখে ক্ষত, মুখে খা, বা ইনফেকশন

গিলতে ব্যথা হওয়ায় শিশুটি লালা গিলতে চায় না → মুখে জমে → বাইরে পড়ে।

📌কখন ড্রুলিং স্বাভাবিক?

৩–৬ মাস সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, স্বাভাবিক
৬–২৪ মাস দাঁত ওঠার সময় বেশি হয়, স্বাভাবিক
২ বছর পর্যন্ত অন্য সমস্যা না থাকলে স্বাভাবিক

📌কখন ড্রুলিং উদ্বেগের কারণ?

যদি ড্রুলিং-এর পাশাপাশি নিচের যেকোন লক্ষণ থাকে—

কথা বলার বিলম্ব
গিলতে সমস্যা
খাবারের সময় বারবার শ্বাস রোধ হওয়া
মুখ সবসময় খোলা থাকা
জিভ বা মুখ নাড়াতে অসুবিধা
শিশুর স্নায়বিক বিকাশে সমস্যা
সেরিব্রাল পালসি
মাংসপেশির দুর্বলতা
developmental delay

তাহলে শিশুকে নিউরোলজিস্ট, ENT বা স্পিচ থেরাপিস্ট (SLP) দেখানো প্রয়োজন।

📌ড্রুলিং কমানোর ব্যায়াম
(এক বছর বা তার বেশি বয়সে উপযোগী)

১) লিপ ক্লোজার ব্যায়াম

স্ট্র দিয়ে পানি খাওয়ানো

বুদবুদ ফোলানোর খেলা

বাতাস ফুঁ দিয়ে বের করার অনুশীলন

২) জিভ নিয়ন্ত্রণ ব্যায়াম

জিভ ওপরে-নিচে, ডানে-বামে নড়ানোর খেলা

খাবার বা আইসক্রিম দিয়ে জিভ বের করার অনুশীলন

৩) চিবানোর ব্যায়াম

বয়স অনুযায়ী একটু শক্ত খাবার

৪) মুখ বন্ধ রাখার অভ্যাস

“পপ” বা “বু-বু” ধ্বনির খেলা

কাপাস বা কাগজের বল ফুঁ দিয়ে সরানোর খেলা

📌বাসায় করণীয়

মুখ সবসময় শুকনো রাখা

নরম কাপড় দিয়ে লালা মুছা

শিশুকে সোজা হয়ে বসানোর অভ্যাস

দাঁত ওঠার সময় ঠান্ডা টিথার দেওয়া

মুখে অতিরিক্ত খেলনা/আঙুল দেওয়া কমানো

📌রেফারেন্স

১. American Academy of Pediatrics (AAP) – Normal developmental drooling
২. UpToDate – “Drooling in infants and children”
৩. Nelson Textbook of Pediatrics – Oral motor development
৪. Journal of Speech, Language, and Hearing Research – Oral motor therapy evidence
৫. Cincinnati Children’s Hospital – Drooling management guidelines
৬. Mayo Clinic – Excessive salivation and teething

04/12/2025

ছোট বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যায় Flacol Paediatric Drop দেয়া যায়। ডোজ-প্রতি কেজিতে ২ ফোঁটা করে-৩ থেকে ৪ বেলা।

03/12/2025

03/12/2025

মূত্রনালীর সংক্রমণের সাথে শিশুদের বেড়ে না ওঠা, প্রস্রাবের গন্ডগোল, সেপটিসেমিয়া, রেনাল ফেইলিউর প্রভৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিশুদের মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়ঃ

✅ শিশুকে পর্যাপ্ত পানি খেতে দিন।
✅ শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার দিন।
✅ কোষ্ঠকাঠিন্য পরিহার করুন।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম করতে শেখান।
✅ শিশুকে ৩-৬ ঘন্টা পরপর ধীরস্থির ভাবে প্রস্রাব করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
✅ প্রতিবার প্রস্রাব করার পর ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করে আবার প্রস্রাব করতে বলুন। একে Double micturation বলে।
✅ রাতে শোবার আগে অবশ্যই প্রস্রাব করতে বলবেন।
✅ মেয়েদের মলমূত্র ত্যাগের পর শৌচকার্য করার সময় সামনে থেকে পেছনে হাত, কাপড় বা টয়লেট পেপার চালিয়ে পরিস্কার করতে শেখান।
✅ প্রস্রাব জনিত যেকোনো জটিলতায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এন্টিবায়োটিক নিলে অবশ্যই তার ডোজ পূর্ণ করুন।

Dr.Tanvir Ahmed

03/12/2025

ফোলিক অ্যাসিড গর্ভধারণের আগে খাওয়ার কারণ:

1️⃣ শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের ত্রুটি (NTD) প্রতিরোধ করে।
2️⃣ গর্ভধারণের প্রথম দিকে ভ্রূণের দ্রুত কোষ গঠনে সাহায্য করে।
3️⃣ গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়।
4️⃣ মায়ের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।

ডোজ: প্রতিদিন 400 mcg
সময়: গর্ভধারণের কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকে শুরু।

25/10/2025

অনলাইন কনসালটেশন এর জন্য এপয়েন্টমেন্ট নিন 01974-088128 (whats app) নাম্বারে।