AMAR Home Drug Addiction Treatment Center

AMAR Home Drug Addiction Treatment Center Inpatients | Outdoor Counseling | Aftercare

24/7 Confidential Helpline:
+880 1966186618 If you or a loved one is seeking help, don't hesitate to reach out.

We are a dedicated and compassionate team of professionals committed to providing comprehensive and evidence-based care to individuals struggling with drug addiction. Our goal is to empower our clients on their journey towards lasting recovery, and to help them rebuild healthier, more fulfilling lives. Here you'll find valuable resources, inspiring stories, and practical tips for overcoming addiction. We'll share updates about our programs and services, as well as news and research in the addiction treatment field. We encourage you to engage with our community, ask questions, and share your own experiences. Together, we can make a difference in the lives of those affected by drug addiction. 💙

📞 Contact us: +8801966186618
🌐 Visit our website: www.amarhome.org

📍 Location: House 46, Road 02, Sector 09, Uttara, Dhaka-1230, Bangladesh.

মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যায় 'বাসায় বন্দী করে রাখলেই সেরে যাবে' কিংবা নিজে নিজে চেষ্টা করার বিষয়টি প্রচলিত হলেও এটি মারা...
18/11/2025

মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যায় 'বাসায় বন্দী করে রাখলেই সেরে যাবে' কিংবা নিজে নিজে চেষ্টা করার বিষয়টি প্রচলিত হলেও এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ! যেকোনো মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তি হুট করে মাদক ছেড়ে দেয়ার পর কিছু শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়- যা কেবলমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সাইকিয়াট্রিস্ট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স এবং এডিকশন প্রফেশনালবৃন্দের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে প্রশমন করা আবশ্যক।

আবার, আপনার প্রিয়জন/সন্তান হয়তো আপনার কথানুযায়ী বাসায় থেকে 'ড্রাগস ফ্রি' থাকার চেষ্টা করছেন। একদিন, দুইদিন, তিনদিন পর তিনি চা খাওয়া কিংবা হেঁটে আসার উদ্দেশ্যে সামান্য সময়ের জন্য বের হতে চাইতে পারেন। প্রিয়জন কিংবা মা/বাবা হিসাবে আপনি নিষেধ করার যেমন কোনো কারণ নেই এতে, ঠিক তেমনি এই সামান্য সময়ের মাঝে একজন ব্যাড কম্প্যানির সংস্পর্শে এসে কিংবা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এমনকি স্বেচ্ছায়ই তিনি আবার মাদক সেবন করে ফেলতে পারেন।

এছাড়াও মাদকাসক্তি এবং মানসিক সমস্যা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে অবশ্যই রোগীর জন্য ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং রিকভারিং কোচ আবশ্যক। তাই, মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যায় গোপনীয়তা কোনো সমাধান নয়। বরং, কথা বলুন রোগীর সাথে। তাঁকে নিয়ে ভিজিট করুন নির্ভরযোগ্য ড্রাগ এডিকশন ট্রিটমেন্ট সেন্টারে।

মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যা ও সহযোগিতার জন্য
Confidential Helpline:📞01966-186618
ওয়েবসাইট: www.amarhome.org

সরাসরি ভিজিট করতে আমাদের ঠিকানা:
আমার হোম মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
বাড়ি ৪৬, রোড ০২, সেক্টর ০৯, উত্তরা, ঢাকা।

... কলটা এসেছে হুট করেই।ঢাকার অদূরের একজন ক্লায়েন্ট, যিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে, তাঁর বাসা থ...
17/11/2025

... কলটা এসেছে হুট করেই।

ঢাকার অদূরের একজন ক্লায়েন্ট, যিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে, তাঁর বাসা থেকে। ফোনের ওপাশ থেকে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দে আমাদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের কর্মী কিছুটা চমকে উঠলেও সামলে নিয়ে জানা গেল- তাঁর সন্তান সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাশ করেছে!

আর, এতে বাবার অবদান সবচাইতে বেশি বলে খুশির এই খবরটা জানানো চাই তখনই... তথাস্তু, বাবাকে তো আমরা জানিয়ে দিয়েছিই - সেইসঙ্গে শুভকামনা এমন গর্বিত সব বাবা-মা এবং তাঁদের সন্তানদের জন্যও 🙂

সেন্টার থেকে সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে যাবার পর শুরু হয় একজন মাদক নির্ভরশীল মানুষের আসল যুদ্ধ। চার মাসের রুটিন মাফিক জীবন যাপ...
16/11/2025

সেন্টার থেকে সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে যাবার পর শুরু হয় একজন মাদক নির্ভরশীল মানুষের আসল যুদ্ধ। চার মাসের রুটিন মাফিক জীবন যাপন এবং একটু একটু করে নিজেকে সুস্থ করার চেষ্টা করে যাওয়া মানুষটি এই প্রথম আবার তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। যেখানে তিনি বাদে আর কোনো কিছুই পরিবর্তীত হয় না।

তার পুরানো বন্ধু বান্ধব, চেনা পরিবেশ, চায়ের দোকান, গলি-ঘুপচি এই সবই আবার তার সামনে নিজেদের সমস্ত ভয়াবহতা নিয়ে হাজির হয়। তার মাথায় থাকে সেই সব স্মৃতি যখন এই সব জায়গা গুলোতে তার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। এই চারমাসে তার পরিবর্তন হলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি এই সব স্থানের। তারা যে কোনো অসতর্ক মুহূর্তে আবার গিলে ফেলার ক্ষমতা রাখে তাকে।

পরিবার এবং আশেপাশের মানুষেরাও পরিবর্তীত হয় নি। যেভাবে আগে জীবন চলত এখনো সেইভাবে চলে প্রতিদিনকার জীবন। তাই সদ্য সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে যাওয়া একজন প্রাক্তন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির জন্য এই সিচ্যুয়েশন খুবই ভয়ংকর এবং কষ্টকর। প্রতি পদে পা ফসকানোর বিপদ। যতটুকু অগ্রগতি এই কয়েকমাসে একটু একটু করে অর্জিত হয়েছে এক মুহূর্তে তার সব টুকু হারিয়ে যাবার ঝুঁকি থাকে প্রতিদিন।

“আমার হোম” জানে এই কঠিন সময়ের কথা। তাই “আমার হোম” কখনই তার সেন্টার থেকে সুস্থ হয়ে বের হওয়া মানুষদের একা ছাড়ে না। এই কঠিন সময়ে সাহায্যের জন্য আমার হোমের রয়েছে “আফটার কেয়ার” সিস্টেম। যেখানে আছে প্রাত্যহিক, সাপ্তাহিক, মাসিক বিভিন্ন মিটিং এবং কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা। যে কোনো রিকভারি চাইলেই এই সব মিটিংএ অংশগ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে থাকলেও কেউ যেনো এই সেবা থেকে বঞ্চিত না হন সেই জন্য আমাদের অনলাইন মিটিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

যত কঠিনই হোক, “আমার হোম” জানে একসাথে কাজ করলে যে কোনো লক্ষ্যই অর্জন করা সম্ভব।

#মাদকাসক্তি_চিকিৎসা_কেন্দ্র
#মাদকাসক্তি_থেকে_মুক্তির_উপায়
#মাদকাসক্তি_চিকিৎসা_এবং_পরামর্শ
#আমার_হোম

মাদকাসক্তি- ভয়ংকর ভয়াবহতামাদকের নেশা এখন আলো ঝলমলে নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত প্রামেও এখন এর অবাধ বিচরণ।...
10/11/2025

মাদকাসক্তি- ভয়ংকর ভয়াবহতা
মাদকের নেশা এখন আলো ঝলমলে নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত প্রামেও এখন এর অবাধ বিচরণ। সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা করে। আরও একটি ভংঙ্কর চিত্র হচ্ছে যে, সারাদেশের ছড়িয়ে পড়া ইয়াবার শতকরা ৮৫ ভাগই ভেজাল। যার ফলে এসব ইয়াবা গ্রহণকারী মাদকাসক্তরা নানান ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।তার মধ্যে কিডনি, লিভার ছাড়াও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ, ১৬ ভাগ নারী। সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নারী ও শিশু-কিশোররাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ নানাভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা ১৫ শতাংশ। তবে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, অবৈধ মাদকদ্রব্য আমদানির জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার কোটিরও বেশী টাকার মুদ্রা বিদেশ পাচার হচ্ছে।
আমাদের দেশে কিশোর সন্ত্রাসীর ক্রমবর্ধমান দাপটের যে তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তার মূল কারণ সম্ভবত নিহিত রয়েছে এখানেই। দেশের সর্বত্র স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা গুলি বা ছুরিকাঘাতে হত্যা করা কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার আধিক্যের পেছনেও মাদকাসক্তির ভূমিকা অন্যতম।
সিগারেট থেকে নেশা শুরু করলেও মাদকের প্রতি আসক্তি ধীরে ধীরে শুরু হয়। বেশীর ভাগই শুরু হয় বন্ধুবান্ধবের সাথে।মূলত মাদক কেনার অর্থ জোগাড় করতে গিয়েই কিশোর-তরুনরা ব্যাপকভাবে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এ সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী, সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা কাজে তাদের ব্যবহার করে থাকে। মাদকের এই নেশার জালে একবার জাড়িয়ে পড়লে কেউ আর সহজে এ জাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে মাদক সেবীরা দিনে দিনে আরোও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সুচিকিৎসা, পারিবারিক সচেতনতা, সামাজিক সমর্থন এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সবার এক হতে হবে। এই একটি ক্ষেত্রে আমরা সবাই দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই হাতে হাত ধরে কাজ করি।

যেকোনো নেশা বা আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসাটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়!এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে নিজেকে সহযোগিতা না করেন তাহলে আর ক...
09/11/2025

যেকোনো নেশা বা আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসাটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়!

এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে নিজেকে সহযোগিতা না করেন তাহলে আর কেউই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে না... তাই আপনাকেই আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত হতে চান কি না?

মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যা ও সহযোগিতার জন্য
Confidential Helpline:📞01966-186618
ওয়েবসাইট: www.amarhome.org

সরাসরি ভিজিট করতে আমাদের ঠিকানা:
আমার হোম মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
বাড়ি ৪৬, রোড ০২, সেক্টর ০৯, উত্তরা, ঢাকা।

বেশিরভাগ মানুষের জীবনে পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ মাদকাসক্তির চিকিৎসায়, এই কঠিন সময়ে পুনরুদ্ধারের জন্য পরিবারের ভুমিকা ...
07/11/2025

বেশিরভাগ মানুষের জীবনে পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ মাদকাসক্তির চিকিৎসায়, এই কঠিন সময়ে পুনরুদ্ধারের জন্য পরিবারের ভুমিকা অনেক তাৎপর্যপুর্ণ। আসক্তি শুধুমাত্র ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করে না বরং পুরো পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিন্তাভাবনা এবং আচরণ পরিবারে ভীতি এবং অবিশ্বাস সৃষ্টি করে। তারপরও, পরিবারের যত্ন এবং ভালোবাসা আসক্ত ব্যক্তিকে পুনরুদ্ধার ও সুস্থ করতে অনেকাংশে সহায়তা করে।

মাদকাসক্তির মুক্তিতে ভালোবাসা হোক শক্তিপৃথিবীর শুরুলগ্ন থেকে আজ অব্দি ভালোবাসার অনেক নিদর্শন দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র ভালো...
06/11/2025

মাদকাসক্তির মুক্তিতে ভালোবাসা হোক শক্তি

পৃথিবীর শুরুলগ্ন থেকে আজ অব্দি ভালোবাসার অনেক নিদর্শন দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র ভালোবাসার কারনে পৃথিবীর অনেক বরেণ্য ব্যক্তিগণ তাদের কাজের মাধ্যমে কালজয়ী উদাহরন রেখে গিয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম শিরি ফরহাদ, রোমিও জুলিয়েট রয়েছে, যাদের ভালোবাসার উদাহরন মানুষ পৃথিবীর শেষলগ্ন পর্যন্ত দিয়ে যাবে। কেন এই ব্যক্তিদের কথা বললাম জানেন? কারন হচ্ছে এই ব্যক্তিগুলো ভালোবাসা পেয়ে ও ভালোবাসার জন্য জীবনের অনেককিছুই ত্যাগ করেছেন,পরিবর্তন করেছে নিজেদের অনেক কিছুই।

আমাদের সমাজে যারা ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে মাদকের সাথে যুক্ত আছেন তাঁদের আমরা খুবই তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অপমান করে থাকি। আমরা ভেবেই নেই যে তারা কখনই আর সুস্থ পথে ফিরে আসবে না। কিন্তু পারিবারিক, শিক্ষাঙ্গন ও অন্যান্য পরিসর থেকে একটু পথ নির্দেশিকা পারে তাঁদের জীবনকে বদলে দিতে। আর এই পথ নির্দেশিকার ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে ভালোবাসা। ভালোবাসা এমন এক মায়া যার কারনে যে কোন কিছু মানুষ চাইলে ত্যাগ করতে পারে। তবে মাদকাসক্তি কেন নয়? আমরা অনেক ক্ষেত্রেই শুনে এসেছি যে সকল ক্ষেত্রে কঠোরতা কার্যকর হয় না। ক্ষেত্র বিশেষে হতে হয় নমনীয়।

মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের মাদক হতে পরিত্রাণ দিতে ও তাঁদের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও হতে হবে নমনীয়। কেননা মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের মস্তিস্ক জনিত পরিবর্তনের কারনে তাঁদের বুঝার ক্ষমতা ও সহ্য ক্ষমতা অনেক কমে যায়। সহ্য ক্ষমতা বলতে বুঝানো হচ্ছে যে তাঁদের কোন কিছু জোর দিয়ে বা বাধ্য করা হলে তারা সে ব্যাপারটি সহজে গ্রহন করতে পারে না। খুব তাড়াতাড়ি রেগে জান এবং বিষয়টি সম্পর্কে ইতিবাচক দিকটি তো বুঝেই না বরং নেতিবাচক ভাবে বিষয়টিকে মনস্থির করে। কিন্তু সঠিক ও সু-চিকিৎসা পদ্ধতি বলছে এই ধরনের মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের সুস্থতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ করে নমনীয়তা ও ভালোবাসা।

মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিরা তাঁদের পরিবার, সমাজ ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে যদি পরিবর্তনের উপদেশগুলো ভালোবাসার মাধ্যমে পায় তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এক সময় আসবেই। যে ছেলেটি তার মা কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তার পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে তার মা নিজেই। আর এই ধরনের সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার গুলো নিয়ে “আমার হোম” পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সাথে কাওউন্সিলিং প্রোগ্রাম করে থাকেন। আমার হোম তাঁদের রোগীদের নমনীয়তা ও ভালোবাসার মধ্যমে কাওউন্সিলিং করে থাকেন এবং তাঁদের মধ্যে নিজের জন্য, পরিবার জন্য ও সমাজের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ গড়ে তুলেন। একটি সময় মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিগুলো মাদকের নেতিবাচক দিকগুলো বুঝে উঠেন ও সুস্থতার পথে অগ্রসর হন। তাই আমরা মনস্থির করি যে ভালোবাসা অটুট থাকুক সকলের জন্য, আর এই ভালোবাসাই হোক মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির পথ।

শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে। বয়স তখন ২০। সদ্য কৈশোরে পা রেখে নেহাত আগ্রহের বসেই হয়তো এই গল্পের শুরু। প্রথমবার মাদক গ্রহণের পর ...
05/11/2025

শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে। বয়স তখন ২০। সদ্য কৈশোরে পা রেখে নেহাত আগ্রহের বসেই হয়তো এই গল্পের শুরু। প্রথমবার মাদক গ্রহণের পর থেকেই তা ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিনত হয়ে যায়। এর মাঝে কলেজের পাঠ শেষ করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠে পা রাখলাম। শুরু হল এক ভিন্ন স্বাধীন জীবন। তাই পূর্বের তুলনায় নেশা যেন আরও জেঁকে বসলো। চলতে চলতে শেষ হল এই স্বাধীন জীবনও। তাই এবার উচ্চ শিক্ষার জন্য পারি জমালাম অস্ট্রেলিয়া। এবার আসক্ত হলাম অ্যালকোহলে। ফিরে এলাম ৩ বছর পর। চাকরিতে যোগ দিলাম। বিয়ে করলাম। সন্তান হল। এরপরও ছাড়তে পারলাম না এই মরণ নেশাকে।
অবশেষে ২০০৮ সালে পরিবারের সকলে এক প্রকার জোর করেই এক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেয়। সেখানে ছিলাম প্রায় ৫ মাস এবং সত্যি বলতে নিজেকে পরিবর্তন করার বদলে নিজের নেশাকে বাড়িয়ে তোলার একটা জেদ চেপে বসলো। তা অবশ্য নিতান্তই সেখানের পরিবেশের কারণে। নিজে একজন রোগী হয়েও কেন আমাকে সকল ধরণের কাজ করতে হচ্ছে তার কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। টয়লেট পরিষ্কার থেকে সকল ছোট বড় কাজ করাতো সেখানে। যেন তাদের চাকর আমি এবং বাকি সব রোগীরা। তাই পন করেছিলাম এই আবাসন থেকে বের হয়েই আবার মাদক নেয়া শুরু করব। পরিকল্পনা মতো তাই করেছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়েই আগের মতো মাদক নেয়া শুরু করলাম।
এর মাঝে কেটে গেল আরও বেশ কয়েকটা বছর। ছেলে বড় হয়েছে। তখন প্রায় ২৭ বছর ধরে মাদকের সাথে যুক্ত আমি। মাদকের নেশা ছেড়ে দেয়ার কথা যেন স্বপ্নের ন্যায়। সময়টা ২০২০ এর ফেব্রুয়ারী মাস। মা আর স্ত্রীর কথায় এক প্রকার জোর করেই ‘আমার হোম’ এ আসা হল। এখানে এসে আগের অভিজ্ঞতার সাথে কিছুই যেন মেলাতে পারলাম না। অন্যান্য পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতো এখানে রোগীর উপর কোন প্রকার অত্যাচার করা হয় না। জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়া হয় না। এখানকার চিকিৎসাসেবা, সকল কর্মীর ব্যবহার সব কিছুতেই মুগ্ধ হলাম। নিজের মধ্যেই সুস্থ হওয়ার এক আগ্রহ জন্ম নিল। এমনকি মনোরঞ্জনের জন্য বিনোদনেরও ব্যবস্থা আছে। আমার হোমের সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হল এখানকার ‘লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম’। অগোছালো জীবনকে নতুন করে যেন গুছিয়ে দেয়া হয়। সকলের আন্তরিকতা, নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলাম। সত্যি বলতে ‘আমার হোম’ পালটে দিল আমার দীর্ঘ দিনের এই মরণ নেশা। বিশৃঙ্খল জীবনকে আবার নতুন করে সাজাতে শুরু করলাম। আজ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। যুক্ত আছি ‘আমার হোম’ এর সাথেই। স্বপ্নই আজ সত্যি হল। শুরু হল এক স্বাভাবিক পথচলা। ‘আমার হোম’ কে তাই মন থেকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই। সফল হোক তাদের এই প্রচেষ্টা।


প্রায়ই, আমরা আমাদের বন্ধু বা পরিবারের মানুষ যারা মাদকাসক্ত, তাদের চিনতে ভুল করে থাকি। যারা মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেন, তারা...
04/11/2025

প্রায়ই, আমরা আমাদের বন্ধু বা পরিবারের মানুষ যারা মাদকাসক্ত, তাদের চিনতে ভুল করে থাকি। যারা মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেন, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্বীকার করেন কিন্তু তার পরিবার বা বন্ধুরাই তার পরিবর্তিত আচরণ লক্ষ্য করে থাকেন। সঠিক সময়ে মাদকদ্রব্য পরিহারে ব্যবস্থাপনা নিলে নেশা থেকে মুক্তি অনেকাংশেই সম্ভব হয়।

মাদকের প্রভাবে ব্যক্তির আচরণের পরিবর্তন হয়। যেমন বিষণ্ণতা, অমনোযোগিতা, আচরণে অস্থিরতা দেখা দেয়, স্মৃতিশক্তি কমে যায়। মেজ...
03/11/2025

মাদকের প্রভাবে ব্যক্তির আচরণের পরিবর্তন হয়। যেমন বিষণ্ণতা, অমনোযোগিতা, আচরণে অস্থিরতা দেখা দেয়, স্মৃতিশক্তি কমে যায়। মেজাজ খিটখিটে হয়। উত্তেজনা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখা দেয়। মিথ্যা বলার অভ্যাস তৈরি হয়। হতাশা ও অবসাদ পেয়ে বসে। ঠিকমতো ঘুম হয় না। স্বজনদের প্রতি মায়া-মমতা কমে যায়। নৈতিকতা, মূল্যবোধ, বিবেচনা বোধ হ্রাস পায়। ব্যক্তি আত্মহত্যা করার মতো হতাশ হয়ে পড়ে। মনোযোগ বা একাগ্রতা কমে যায়। কথা ও আচরণে ভারসম্যহীনতা দেখা দেয়। সমস্যার সমধানের আগ্রহ কমে যায়। হিতাহিত জ্ঞান কমে যায়।

মাদকাসক্তিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানসিক রোগের সাথে সম্পর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে আগেই এবং এর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন বলে সুপারিশ করেছে।

মাদকাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যা ও সহযোগিতার জন্য
Confidential Helpline:📞01966-186618
ওয়েবসাইট: www.amarhome.org

সরাসরি ভিজিট করতে আমাদের ঠিকানা:
আমার হোম মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
বাড়ি ৪৬, রোড ০২, সেক্টর ০৯, উত্তরা, ঢাকা।

 #মাদকাসক্তি_কি_একটি_রোগমাদকাসক্তি শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে বিরূপ প্রতক্রিয়ার সৃষ...
02/11/2025

#মাদকাসক্তি_কি_একটি_রোগ

মাদকাসক্তি শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে বিরূপ প্রতক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মাদকাসক্ত ব্যাক্তিও আমাদের কাছে ঘৃণিত। আমাদের কঞ্জারভেটিভ সমাজব্যাবস্থার কারণেই হয়ত আমরা এমনটি চিন্তা করি। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি আমাদের এই চিন্তাধারা কতটা যৌক্তিক? বা আমরা কতটা জানি মাদক ও মাদকাসক্তি সম্পর্কে?

আসুন আজ একটু নতুন কিছু জানি।

মাদকাসক্তি একটি ভয়াবহ রোগ। জ্বি আপনি ঠিকই পড়েছেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন মাদকাসক্তি Substance Abuse Disorder নামক রোগে আখ্যায়িত করেছে।

মাদকাসক্তি একটি জটিল নিউরোবোলজিক্যাল রোগ যা থেকে মুক্তি পেতে মন, শরীর এবং আত্মার জন্য সমন্বিত চিকিৎসা প্রয়োজন। এটি মস্তিষ্কের রোগ হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ মাদক মস্তিষ্ক পরিবর্তন করে। তারা মস্তিষ্কের কাঠামো পরিবর্তন করে যার ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চিকিৎসা ছাড়া, মস্তিষ্কের পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আসক্তি দীর্ঘস্থায়ী, এটি প্রগতিশীল এবং যদি চিকিৎসা না করা যায় তবে এটি মারাত্মক হতে পারে।

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও মাদক গ্রহণের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে মাদকাসক্তরা মানসিক রোগীতে পরিনত হয়, মাদক ব্যক্তিকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে শারীরিক ক্ষতির পরিমানের চাইতে মানসিক ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি, ফলে তাদের জন্য শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসা অপরিহার্য হয়ে উঠে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাদক জনিত মস্তিষ্কের রোগটি অন্যান্য রোগের চাইতে অনেক জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী, তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, এ রোগের পূনরাক্রমনের প্রবনতা থাকলেও নিয়ন্ত্রন যোগ্য। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ রোগ যেমন সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মকানুন মেনে চললে সুস্থ থাকা যায়, মাদক জনিত মস্তিষ্কের রোগটিও তেমন, সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মকানুন মেনে চললে আজীবন সুস্থ থাকা যায়।

আশা করি এই লেখাটি থেকে মাদকাসক্তির বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি একটু হলেও চেঞ্জ করতে পেরেছি। আমাদের উচিৎ মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে ঘৃণার চোখে না দেখে তাদেরকে অন্যান্য আর দশটা সাধারণ রোগীর মত ট্রিট করা।

পরিবারকেও নানা রকম সমস্যার মধ্যে ফেলে। এছাড়াও মাদকাসক্ত ব্যাক্তি নানা রকমের অপরাধ মুলক কর্ম কান্ডের সাথে জড়িত থাকার ফলে ...
31/10/2025

পরিবারকেও নানা রকম সমস্যার মধ্যে ফেলে। এছাড়াও মাদকাসক্ত ব্যাক্তি নানা রকমের অপরাধ মুলক কর্ম কান্ডের সাথে জড়িত থাকার ফলে ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যায়।

তবে একটু পদক্ষেপ এবং একটু সুচিকিৎসা মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে সুস্থ করে তুলতে পারে। ফিরিয়ে দিতে পারে তার স্বাভাবিক জীবন। তাই হেল না ছেড়ে তাকে সুস্থ করার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপটা আমরাই নিতে পারি।

Address

House 46, Road 02, Sector 09, Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AMAR Home Drug Addiction Treatment Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to AMAR Home Drug Addiction Treatment Center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram