Tibb Hidaya

Tibb Hidaya Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tibb Hidaya, Alternative & holistic health service, House-1002, Road-07, Avenue-03, Mirpur DOHS, Dhaka.

TIBB HIDAYA একটি সুন্নাহভিত্তিক কাপিং থেরাপি সেন্টার, যা মিরপুর DOHS-এ অবস্থিত। এখানে অভিজ্ঞ পুরুষ ও মহিলা থেরাপিস্ট দ্বারা স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ এবং পর্দানুসারে হিজামা সেবা প্রদান করা হয়। ব্যথা উপশম, ডিটক্স এবং রোগ প্রতিরোধে হিজামা একটি কার্যকর পদ্ধতি।

মহিলাদেরকে কেন জিন বেশি প্রভাবিত করে সেটা নিয়ে অনেকেই জানতে চান।ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, জিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। কুর...
12/10/2025

মহিলাদেরকে কেন জিন বেশি প্রভাবিত করে সেটা নিয়ে অনেকেই জানতে চান।

ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, জিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে জিনও মানুষের মতোই বুদ্ধিসম্পন্ন এক সৃষ্টি, যারা ভালো কাজও করতে পারে, আবার খারাপ পথেও যেতে পারে। কিন্তু কেন যেন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মহিলাদের মধ্যে জিনের প্রভাব বা “possession” তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। এর পেছনে কিছু মনস্তাত্ত্বিক, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক কারণ রয়েছে।

১. আবেগপ্রবণতা ও সংবেদনশীলতা:
মহিলারা স্বভাবতই আবেগে কোমল ও সংবেদনশীল। তারা দ্রুত ভয় পায়, কষ্ট পেলে সহজে ভেঙে পড়ে, আবার অনেক সময় নিজের মনের দুঃখ প্রকাশ না করে অন্তরে জমিয়ে রাখে। এই মানসিক দুর্বলতা বা আবেগপ্রবণ অবস্থা আধ্যাত্মিকভাবে তাদের দুর্বল করে তোলে, যা শয়তান বা অশরীরী জিনদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সুযোগ তৈরি করে।

২. নির্জনতা ও মানসিক চাপ:
বাড়িতে একা থাকা, রাতে নির্জন স্থানে থাকা বা একাকিত্বে অতিরিক্ত চিন্তায় ডুবে থাকা অনেক সময় মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতিতেও জিনের প্রভাব সহজে পড়তে পারে, বিশেষত যদি মানুষ আল্লাহর স্মরণে অন্যমনস্ক থাকে।

৩. হিজাব ও শরিয়ত অনুসরণে অবহেলা:
ইসলামি দৃষ্টিতে হিজাব ও পর্দা শুধু সামাজিক রীতিই নয়, এটি একধরনের আত্মরক্ষা। কিছু হাদীসে উল্লেখ আছে, নারীরা যদি পোশাকে, আচরণে বা চলাফেরায় শালীনতা বজায় না রাখে, তবে তারা শয়তানের প্ররোচনার প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ফলে আত্মিক সুরক্ষা দুর্বল হলে জিনের প্রভাবও সহজে প্রবেশ করতে পারে।

৪. ঈমান ও জিকিরে দুর্বলতা:
যে নারী নিয়মিত নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে অবিচল থাকেন, তিনি আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী থাকেন। কিন্তু যখন এসব থেকে দূরে সরে যান, তখন তার রুহানিয় শক্তি কমে যায়, এবং জিনের প্রভাবের সম্ভাবনা বাড়ে।

৫. শারীরিক পরিবর্তনের সময় (যেমন ঋতুকাল, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি):
এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়। ইসলামি চিকিৎসাবিদরা বলেন, দুর্বল অবস্থায় জিনের প্রভাব দ্রুত হয়, কারণ তখন আত্মরক্ষার শক্তি কম থাকে।

আত্মরক্ষার কিছু উপায় যদি মেনে চলা যায় তবে আল্লাহ নিরাপত্তা অবশ্যই দিবেন।
১. নিয়মিত নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত করা।
২. প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন দোয়া ও আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।
৩. হিজাব ও পর্দা মেনে চলা।
৪. ঘুমানোর আগে সূরা আল-ইখলাস, আল-ফালাক ও আন-নাস পাঠ করা।
৫. অশুভ স্থানে একা থাকা থেকে বিরত থাকা।

জিনের প্রভাব কেবল নারীদের নয়, পুরুষদের উপরও হতে পারে। তবে নারীরা যেহেতু মানসিক ও আবেগিকভাবে বেশি সংবেদনশীল, তাই তাদের মধ্যে এই প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। আল্লাহর জিকির, নামাজ ও আত্মিক সংযমই হলো সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা।

একটা ঘটনা শেয়ার করি।
একদিন বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে আমার এক বান্ধবীর কল এল এবং আমি রিসিভ করি সাথে সাথে। আমি ড্রাইভ করছিলাম বলে, ফোনটা দ্রুতই রেখে দিতে চাইছিলাম কিন্তু কণ্ঠে ক্লান্তি, আর অস্থিরতা বুঝে, না রেখে কথা চালিয়ে গেলাম। হঠাৎ আমার বান্ধবী আমাকে বলল, “মুশাররাত, আমি বুঝতে পারি না রে… আমি নামাজ পড়ি, কুরআন তিলাওয়াত করি, দোয়াও করি, তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ আমাকে বিরক্ত করছে, অদৃশ্যভাবে টেনে নিচ্ছে, যেন জিন বা শয়তান আমাকে ঘিরে ফেলছে।”

আমি মন দিয়ে শুনলাম। বান্ধবী আবার বলল,
আর দেখো, যারা আমল করে না, নামাজ পড়ে না, পর্দাও মানে না, তারা তো দিব্যি মজা করছে! ওদের কোনো জিন-শয়তানের সমস্যা হয় না কেন?

আমি হেসে নরম গলায় বললাম; জানিস, এর উত্তরটা একেবারে সহজ কিন্তু গভীর। এটা সত্যি, অনেক সময় এমনও হয় যে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে, আমল করে, তারা-ই বেশি জ্বিন বা শয়তানের কুমন্ত্রণা, দুঃস্বপ্ন, অস্বস্তি বা নানা ধরণের মানসিক আক্রমণের শিকার হয়। এটা আসলে একধরনের পরীক্ষা (পরীক্ষা বা ইমতিহান)। শয়তানের যুদ্ধ তো তাদের সাথে নয়, যারা তারই দলে আছে! যারা ইতিমধ্যেই গাফিল, তাদের নিয়ে ওর চিন্তা কম; ওরা তো শয়তানের কথাতেই চলে, তাই শয়তানের আর বাড়তি কষ্ট করার দরকার হয় না। বরং, শয়তান লড়াই করে তাদের সঙ্গে, যারা আল্লাহর পথে আছে, ইবাদতে সচেতন, তারাই শয়তানের আসল টার্গেট। কারণ, সে চায় না যেন কোনো বান্দা আল্লাহর স্মরণে অটল থাকে।

একটু থেমে আমি আবার বললাম, তুই নামাজ পড়িস, আমল করিস, এইজন্যই তো তুই তার নজরে! এটা আসলে পরীক্ষা, ভয় না; এটা প্রমাণ যে আল্লাহ তোকে ভালোবাসেন, তাই তোর ঈমানকে আরও মজবুত করতে চান। তাই তো আল্লাহ বলেছেন:
‘নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু; তাকে শত্রুই গণ্য করো।’ (সূরা ফাতির, ৩৫:৬)”

অর্থাৎ, শয়তান কখনো চায় না যেন নামাজি বা আল্লাহভীরু মানুষ দৃঢ় থাকে। তাই আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর সে বেশি আক্রমণ করে, কখনো চিন্তা, দুঃস্বপ্ন, মানসিক ভয়, বা এমনকি জিনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে।

অন্যদিকে, যারা আল্লাহকে ভুলে আছে, পাপাচারে নিমগ্ন, তাদের দিকে শয়তান অনেক সময় “শান্ত” থাকে, কারণ তারা তো ইতিমধ্যেই তার পথে হাঁটছে।

তবে এটাও মনে রাখা দরকার, সবকিছু জিন বা শয়তানের প্রভাব নয়; কখনো কখনো মানসিক বা শারীরিক কারণে এমন অনুভূতিও হতে পারে। তাই নিজের আমল, দোয়া, জিকির বজায় রেখে, চিকিৎসার দিকটাও দেখা জরুরি।

বান্ধবী আমার চুপ করে শুনছিল। চোখের কোণে যেন একটু পানি জমল, কিন্তু মনে হচ্ছিল মুখে একটুখানি শান্তির হাসিও ফুটে উঠেছে। আর বলল, তুই ঠিকই বলেছিস মুশাররাত, আমি ভয় না পেয়ে, বরং আরও বেশি করে আল্লাহর দিকে ফিরব। আমি বললাম, ঠিক তাই। মনে রাখিস, যে আল্লাহর পথে চলে, তাকেই শয়তান বেশি বাধা দেয়। কারণ, শয়তান কখনো তার পুরনো বন্ধুরে বিরক্ত করে না, সে কষ্ট দেয় তাদেরকেই, যারা আল্লাহর দিকে ফিরে যাচ্ছে। তারপর কথা শেষ করে ফোন কেটে দিলাম।

আসলে, যদি কোনো মুমিন মানুষ কখনো অজানা ভয়, অস্থিরতা বা বিভ্রান্তিতে পড়ে, মনে রাখতে হবে, এটি হয়তো একধরনের পরীক্ষা। ভয় না পেয়ে আল্লাহর স্মরণে দৃঢ় হতে হবে। কারণ আল্লাহর জিকিরেই সব শান্তি।

“নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।” — (সূরা রা‘দ, ১৩:২৮)
Jabin






🗓️অক্টোবর'২০২৫ (রবিউস সানী'১৪৪৭) মাসের হিজামা/কাপিং করানোর সুন্নাহ তারিখসমূহঃ🕛 ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মাগরীব হবার পর থে...
08/10/2025

🗓️অক্টোবর'২০২৫ (রবিউস সানী'১৪৪৭) মাসের হিজামা/কাপিং করানোর সুন্নাহ তারিখসমূহঃ
🕛 ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (১৭ রবিউস সানী)
🕛 ১১ অক্টোবর (শনিবার) মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১২ অক্টোবর (রবিবার) মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (১৯ রবিউস সানী)
🕛 ১৩ অক্টোবর (সোমবার) মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (২১ রবিউস সানী)

👉আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি মাসের ১৭, ১৯ বা ২১ তারিখে হিজামা (রক্তমোক্ষণ) করাবে, তা হবে সকল রোগের জন্য আরোগ্যের কারণ।”

— সুনান আবু দাউদ: ৩৮৬১

আজকার বা মাসনূন আমল আত্মার এক অদৃশ্য বর্ম। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) এক অনন্য কথা বলেছেন, "একজন মুমিনের আজকার আসলে তার আত্মার...
05/10/2025

আজকার বা মাসনূন আমল আত্মার এক অদৃশ্য বর্ম। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) এক অনন্য কথা বলেছেন, "একজন মুমিনের আজকার আসলে তার আত্মার বর্ম।" যেমন সৈনিক যুদ্ধের আগে তার দেহে বর্ম পরে নেয়, তেমনি একজন বিশ্বাসী মানুষের আত্মাকেও রক্ষা করতে হয় আর সেই সুরক্ষার নাম হলো আল্লাহর স্মরণ।

বর্ম যত শক্ত, সুরক্ষা তত দৃঢ়। মানুষ যখন নিয়মিত আল্লাহকে স্মরণ করে, তার অন্তর ধীরে ধীরে এক অদৃশ্য শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। চিন্তা-উদ্বেগ, প্রলোভন, বা জীবনের পরীক্ষাগুলো তাকে সহজে নাড়া দিতে পারে না। সে স্থির থাকে, কারণ তার আত্মা ঢাকা থাকে আল্লাহর সুরক্ষার বর্মে।

এই বর্ম দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়, মন শান্ত থাকে, পাপের দিক থেকে মন ফিরে আসে, কঠিন সময়েও আশা জেগে থাকে।

আর বর্ম দুর্বল হলে কী হয়?
যখন মানুষ আজকার অবহেলা করে, তার বর্ম পাতলা হয়ে যায়। মন তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে, অপ্রয়োজনীয় চিন্তা, ভয়, সন্দেহ, ও শয়তানের কুমন্ত্রণা তাকে দুর্বল করে তোলে। যেমন কোনো সৈনিক দুর্বল বর্ম পরে যুদ্ধক্ষেত্রে নামলে তলোয়ারের এক আঘাতেই আহত হয়, তেমনি এক অসচেতন আত্মা দুনিয়ার আঘাতে ভেঙে পড়ে।

আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত, জীবনের যুদ্ধক্ষেত্রে আজকারের প্রয়োজন, কোনো বিকল্প নেই। এই দুনিয়া এক অদৃশ্য যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে প্রতিদিন মানুষ লড়ছে, নিজের দুর্বলতার সঙ্গে,
শয়তানের ফিসফিসের সঙ্গে, প্রলোভনের আহ্বানের সঙ্গে। আর এই লড়াইয়ে জিততে হলে আল্লাহর স্মরণই একমাত্র ঢাল।

আজকার হলো সেই আত্মিক শক্তি, যা মানুষকে অন্ধকারে আলো খুঁজে নিতে সাহায্য করে। যে ব্যক্তি প্রতিদিন আল্লাহকে স্মরণ করে, সে প্রতিদিন নিজের বর্ম মজবুত করে নেয়। তার মনকে হার মানাতে পারে না কোনো ভয়, তার আশা নিভিয়ে দিতে পারে না কোনো কষ্ট।

আজকারের অভ্যাস ও আত্মাকে রক্ষা করার সহজ উপায়:
১। সকাল ও সন্ধ্যার আজকার করা। সূর্য ওঠা ও ডোবার পর কয়েক মিনিট আল্লাহর স্মরণে ডুবে যাওয়া।
২। নামাজের পর তাসবিহ পড়া। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, এই তিনটি শব্দে আছে প্রশান্তির সাগর।
৩। ঘুমের আগে দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াত, দিনের শেষ মুহূর্তে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা।
৪। কষ্টের সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ, এটি মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনে, আত্মাকে জাগিয়ে তোলে।
৫।ধীরে ধীরে অভ্যাস গঠন। একদিনে নয়, কিন্তু প্রতিদিন সামান্য করে বাড়াতে হবে এই আমল।

আজকারের ফল হলো হৃদয়ের প্রশান্তি। শুধু পুণ্যের কাজ নয়, এটি আত্মার ওষুধ, চিন্তার থেরাপি, আর শান্ত জীবনের ভিত্তি। যে ব্যক্তি নিয়মিত আল্লাহকে স্মরণ করে, সে জীবনের অশান্তিতে হারিয়ে যায় না, বরং প্রতিটি ঝড়ে খুঁজে নেয় আল্লাহর রহমত।

আজকার মানুষকে পরিবর্তন করে, তার অন্তরকে করে স্থির, তার জীবনকে করে অর্থপূর্ণ। যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকিরে মন ভরিয়ে রাখে, সে কখনো একা থাকে না, কারণ তার পাশে থাকে সেই মহান সত্তা, যিনি সকল ভয়, দুঃখ ও বিপদের ঊর্ধ্বে।

আমরা যেন সবাই দোয়া করি সেই মহান সত্তার কাছে:
“হে আল্লাহ, আমাদের অন্তরকে তোমার স্মরণে জীবিত রাখো, আমাদের জবানকে তোমার জিকিরে ভেজানো রাখো, এবং আমাদের আত্মাকে তোমার রহমতের বর্মে সুরক্ষিত রাখো।
আমীন।”
Jabin

#আজকার #জিকির #ইবনুলকাইয়্যিম #ইসলামিকচিন্তা #আত্মারবর্ম #আল্লাহরস্মরণ #আত্মিকশক্তি #ইমানেরআলো #মুসলিমলাইফ #ইসলামিকপোস্ট #দোয়া #আল্লাহ #ধর্মীয়চিন্তা

দুর্গা পূজার সময় জ্বীন-শয়তানের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়া আর আমাদের মুসলমানদের করণীয়:ইসলামী আকিদা অনুযায়ী, জ্বীনরা মানুষের...
29/09/2025

দুর্গা পূজার সময় জ্বীন-শয়তানের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়া আর আমাদের মুসলমানদের করণীয়:

ইসলামী আকিদা অনুযায়ী, জ্বীনরা মানুষের মতই আল্লাহর সৃষ্ট এক প্রজাতি। তাদের মধ্যে মুসলিমও আছে, কাফেরও আছে। কাফের জ্বীনরা শয়তানের অনুসারী এবং মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর সাথে শরিক করা (শিরক) সবচেয়ে বড় গুনাহ। দুর্গা পূজা ও অন্যান্য মূর্তি-পূজা মূলত শিরকভিত্তিক কাজ। এই সময়ে চারদিকে গান-বাজনা, অপচয়, শিরক ও বিদআতের সমাহার হয়। ঠিক এই পরিবেশেই জ্বীন-শয়তান সক্রিয় হয়ে ওঠে, আর যাদুকররা (সাহির) ব্ল্যাক ম্যাজিকের মাধ্যমে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।

রাসূল ﷺ সতর্ক করে বলেছেন:
“যে ব্যক্তি জাদু করে অথবা জাদুকরের কাছে যায়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
(সহীহ হাদীস, আহমদ)

শয়তানের কাজই হলো মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা ঢোকানো। পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ লাগানো।শিশুদের ভয় দেখানো বা অসুস্থ করে তোলা। মানুষকে গুনাহে প্রলুব্ধ করা। যাদুকরদের সহযোগী হয়ে মানুষের ক্ষতি করা।এই সময়ে মানুষ যদি গাফেল হয়, তবে তারা সহজেই শয়তানের শিকার হতে পারে।

এসব কাজের মাধ্যমে তারা মানুষকে অশান্তিতে রাখে। আর উৎসব, মেলা, গান-বাজনা, শিরক এইসব পরিবেশে শয়তানরা আরও জোরদারভাবে কাজ করে।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:
“নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”(সূরা ইয়াসীন: ৬০)

তাই আমাদের করণীয় শিরক ও যাদুর ক্ষতি থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। কুরআন ও হাদিসে অনেক মাসনুন আমল বর্ণিত আছে যা মানুষকে জ্বীন-শয়তান ও ব্ল্যাক ম্যাজিক থেকে সুরক্ষা দেয়। আল্লাহর থেকে protection পাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো তাঁর কাছে দোয়া করা। সূরা ফালাক ও সূরা নাসকে এজন্য আল-মু‘আউইযাতাইন বলা হয়। সকাল-সন্ধ্যার আজকার করতে ভুলে না যাওয়া।

ঘরে কুরআন তিলাওয়াত বেশী বেশী করা। ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করলে শয়তান পালিয়ে যায়। নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত ঘরকে বরকতময় করে ও যাদুর প্রভাব ভেঙে যায়।

একজন মুসলমানের কর্তব্য হলো এ ধরনের কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা, নিজের ঈমান রক্ষা করা এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা। এই সময়ে পরিবেশে নানা রকম শিরক ও কুফরী কাজকর্ম হয়, তাই দুর্গা পূজা ও অশুভ শক্তির সক্রিয়তা বেড়ে যায়। মূর্তি পূজা, দেবদেবীর আরাধনা, এসবই ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। আল্লাহ তা’আলা স্পষ্টভাবে বলেছেন,“নিশ্চয়ই আল্লাহ শিরককে ক্ষমা করবেন না, তিনি যাকে ইচ্ছা অন্য সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।”
(সূরা আন-নিসা: ৪৮)

আমাদের মনে রাখতে হবে, একমাত্র আল্লাহই প্রকৃত রক্ষাকারী। মাসনুন আমল, নিয়মিত দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমেই জ্বীন-শয়তান ও ব্ল্যাক ম্যাজিক থেকে নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব।

তাই আমাদের মুসলিমদের উচিত:
• এসমস্ত উৎসব থেকে দূরে থাকা
• আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া
• প্রতিদিন মাসনুন দোয়া ও আজকার পড়া
• সন্তান ও পরিবারকে আমল করানো

কারণ একমাত্র আল্লাহই প্রকৃত রক্ষাকারী।
Jabin

কারিন জিন বা গোপন জিন ও ভণ্ড কবিরাজদের নিয়ে কিছু কথা ও আমাদের সচেতনতা।মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক ভণ্ড কবিরাজ মানু...
21/09/2025

কারিন জিন বা গোপন জিন ও ভণ্ড কবিরাজদের নিয়ে কিছু কথা ও আমাদের সচেতনতা।

মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক ভণ্ড কবিরাজ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তারা দাবি করে, তারা অদৃশ্য জগতের খবর জানে, জিনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বলতে পারে, কিংবা রোগ-বালাই সারাতে পারে। অনেকে আবার বলে, “কারিন জিন” তাদের হাতে আছে, তারা সব গোপন বিষয় বলে দিতে পারে। আবার অনেক ভণ্ড কবিরাজ সরাসরি স্বীকার করে না যে তাদের কাজে জিন জড়িত। তারা বলে, “আমি ঠিক করে দেব”, “তুমি চিন্তা করো না” কিন্তু আসলে তারা কিছু জিন-তন্ত্র বা অন্য কোনো অশুদ্ধ পদ্ধতি গোপন করে রাখে। এতে মানুষের ঈমান ও জীবনে বড় ক্ষতি হয়।

কিন্তু সত্য হলো, আল্লাহ ছাড়া আর কেউই গায়েব জানে না। আল-কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন, আসমান-যমীনের গায়েবের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছেই সীমাবদ্ধ। (সূরা আন-নামল: ৬৫)

ভণ্ড কবিরাজরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে জিনের নাম নেয়, কখনো কখনো তারা জিনের উপস্থিতি গোপন রাখে; ফলে ভুক্তভোগী বুঝতেই পারে না কীভাবে তাদের ওপর প্রভাব পড়ছে।
রোগ সারানোর অজুহাতে তাবিজ-কবচ, ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র-তন্ত্র দেয়। আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে অন্য শক্তির কাছে সাহায্য চাইতে শেখায়। শিরক ও কুফরির কাজ করিয়ে মানুষকে মহাগুনাহের মধ্যে ফেলে দেয়।

ভন্ড কবিরাজ খুবই ভীতিকর। মানুষ ভরসা করে তাদের উপর আর সেই সুযোগে টাকা ও আবেগিক বন্ধন তৈরি করে নেয়, পরে শিরক/কুফরী কাজগুলোতে জড়ানো হয়ে যায়।

এদের কাছে যাওয়া বিপজ্জনক, কারণ বিশ্বাস নষ্ট হয়। মানুষ ভাবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে। ঈমান দুর্বল হয়। শিরক করলে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।দুনিয়ায় প্রতারণা, টাকা, সময়, শান্তি সব নষ্ট হয়। আখিরাতে আজাবে পতিত হতে হবে আল্লাহর সাথে শরিক করার কারণে, কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করে।

আমরা মুসলমান, আমাদের জন্য করণীয়, যেকোনো বিপদে শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করা। কুরআন-সুন্নাহ অনুসারে রুকইয়াহ (দোয়া দিয়ে চিকিৎসা) করা। কুরআন তেলাওয়াত, নামায, যিকিরের মাধ্যমে নিজের সুরক্ষা করা।
ভণ্ড কবিরাজ ও শিরকি কাজ থেকে দূরে থাকা।

মনে রাখবেন: কারিন জিন বা ভণ্ড কবিরাজ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। প্রকৃত সাহায্যকারী একমাত্র আল্লাহ। তাই সমস্যায় পড়লে কেবল তাঁর কাছেই সাহায্য চান।

যা দেখলে সতর্ক হতে হবে: “আমি সব ঠিক করে দেব” কিন্তু কীভাবে করবে তা স্পষ্ট করে বলে না। এইধরনের কবিরাজ থেকে। এরা ধর্মীয় রাহনুমা বা কুরআনিক চিকিৎসার বদলে শুধুমাত্র তাবিজ, জপ, অজানা অনুশীলন করার জন্য উৎসাহ দেয়। নিজে বা পরিবারের সদস্যদের নাম বা বস্তুর উপর অতিরিক্ত বহু বার কৃত কাজ (গোপনীয়তা বজায় রেখে) নির্দেশ করে। কাজ শেষ হওয়ার পরে ফলাফল ব্যাখ্যা করতে অস্বচ্ছ বা অযৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়।

আমাদের জন্য সঠিক পথ হলো: যে কোনো সমস্যায় প্রথমেই আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে রুকইয়াহ (প্রমাণিত দোয়া ও আয়াত) গ্রহণ করা; যেখানে প্রয়োজন, যোগ্য ইসলামী চিকিৎসকের (রাক্বী) সঙ্গে পরামর্শ বেওয়া।

ভণ্ডদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকুন। পরিচিত ধর্মীয় শিক্ষিত ব্যক্তির কাছে যাচাই করে নিন; অজানা ও অপ্রমাণিত কৌশল অবলম্বন করবেন না। শিরক ও কুফরের কাজ থেকে দূরে থাকুন।কারও বলা কথা শুনে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো শক্তিকে ইবাদত বা সাহায্য করছেন কিনা দেখুন। আর্থিক ও মানসিক নিরাপত্তা। ভণ্ডদের হাতে বড় অঙ্কের টাকা বা গোপন তথ্য দেবেন না; প্রয়োজনে পরিবার/কমিউনিটিতে শেয়ার করুন।
Jabin

"Narcissist" শব্দটি নিশ্চয় শুনে থাকবেন অনেকেই, আবার অনেকের কাছেই অচেনা।  "Narcissist" নিয়ে কিছু কথা বলি।আত্মকেন্দ্রিক ব্...
19/09/2025

"Narcissist" শব্দটি নিশ্চয় শুনে থাকবেন অনেকেই, আবার অনেকের কাছেই অচেনা। "Narcissist" নিয়ে কিছু কথা বলি।আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তিত্বকেই বলা হয় "Narcissist"।

আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের মনে হয় সবকিছু যেন তাদের নিয়েই ঘোরে। তারা নিজেদের সবার চেয়ে বড়, শ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। অন্যের অনুভূতি, কষ্ট বা প্রয়োজন নিয়ে খুব একটা ভাবেন না। এই মানসিক প্রবণতাকেই বলা হয় Narcissism আর যিনি এতে ভোগেন তাকে বলা হয় Narcissist (নার্সিসিস্ট)।

“Narcissist” শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক পুরাণের এক চরিত্র Narcissus থেকে। তিনি ছিলেন এমন একজন যুবক, যিনি পানিতে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, অন্য কারো দিকে আর তাকাতেই পারতেন না। সেখান থেকেই “নিজের প্রতি অতি আসক্তি” বোঝাতে এই শব্দটি এসেছে।

Narcissist মানুষের বৈশিষ্ট্য কেমন:
1. অতিরিক্ত আত্মমুগ্ধতা – সবসময় নিজের প্রশংসা শুনতে চায়।
2. সহানুভূতির অভাব – অন্যের অনুভূতি, দুঃখ-কষ্ট বোঝার ক্ষমতা কম।
3. নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবা – নিজেকে সবকিছুতে সেরা মনে করে।
4. সমালোচনা সহ্য না করা – সামান্য সমালোচনাতেই রেগে যায় বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
5. ব্যবহারিক সম্পর্কের সমস্যা – অন্যদের ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।

Narcissism এর কারণে কি কি ক্ষতি হতে পারে:
• পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলে।
• দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে।
• বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়।
• মানসিকভাবে অন্যকে আঘাত দেয়, অনেক সময় নির্যাতনও করে।

ইসলামের দৃষ্টিতে Narcissism কতটা ভয়াবহ : ইসলামে আত্মকেন্দ্রিকতা, অহংকার (কিবর) ও আত্মঅহংবোধ স্পষ্টভাবে নিন্দিত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যার অন্তরে সরিষার দানার সমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
(সহিহ মুসলিম)
অতএব, Narcissist ব্যক্তিত্ব শুধু মানসিক সমস্যাই নয়, বরং আধ্যাত্মিক দিক থেকেও বিপজ্জনক।

এর প্রতিকার ও করণীয় কি হতে পারে:
1. আত্মসমালোচনা করা – নিজেকে নিয়ে ভাবা, আমি কি সত্যিই অন্যের অনুভূতিকে মূল্য দিচ্ছি?
2. সহানুভূতি চর্চা করা – অন্যের কষ্ট ও আনন্দে শরিক হওয়া।
3. আল্লাহর কাছে দোয়া করা – অহংকার থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত দোয়া করা।
4. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ – সবকিছু নিজের যোগ্যতার কারণে নয়, আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা।
5. কাউন্সেলিং ও চিকিৎসা – প্রয়োজনে মনোবিদ বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

Narcissist হওয়া একদিকে যেমন সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করে, তেমনি আত্মার শান্তিও কেড়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত, অহংকার ও আত্মমুগ্ধতা থেকে নিজেকে বাঁচানো এবং অন্যের অনুভূতিকে মূল্য দেওয়া। এতে সমাজে ভালোবাসা ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, ইন শা আল্লাহ।

আচ্ছা, Narcissist কেন হয়? এটা নিয়ে একটু জানি।
১. শৈশবকালীন অভিজ্ঞতা
• অনেক সময় বাবা-মা বা অভিভাবকরা অতিরিক্ত প্রশংসা করতে করতে শিশুর মনে একটা অনুভুতি তৈরি করে দেন নিজের অজান্তে, যে সে-ই সবার সেরা।
• আবার উল্টোভাবে অবহেলা, অপমান বা ভালোবাসার ঘাটতি থেকেও Narcissism তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ, কেউ শৈশবে অতিরিক্ত প্রশ্রয় পেলে, আর কেউ অতিরিক্ত বঞ্চনা পেলে, উভয় অবস্থাই পরবর্তীতে এই প্রবণতার জন্ম দিতে পারে।

২. পারিবারিক পরিবেশ
• পরিবারে যদি ভালোবাসা, সহানুভূতি ও পারস্পরিক সম্মান না থাকে, তবে শিশুর মধ্যে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কৃত্রিম অহংকার গড়ে উঠতে পারে।
• অনেক সময় বাবা-মায়ের অবাস্তব প্রত্যাশা, যেমন সব সময় সেরা হতে হবে, এটাও কারণ।

৩. মানসিক আঘাত (Trauma)
• যারা শৈশবে বারবার প্রত্যাখ্যাত, হেয় বা অবমূল্যায়িত হয়েছে, তারা অনেক সময় বড় হয়ে নিজের ভেতরের আঘাত লুকাতে অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়।

৪. সামাজিক প্রভাব
• প্রতিযোগিতামূলক সমাজ, যেখানে সবার লক্ষ্য কেবল “আমি কিভাবে এগোবো” সেই পরিবেশও Narcissism বাড়িয়ে দেয়।
• সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নিজের ছবি, অর্জন, জীবনযাপন অতিরিক্তভাবে প্রদর্শন করার সংস্কৃতিও এর অন্যতম কারণ।

৫. জেনেটিক ও মানসিক কারণ
• কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে কিছু বংশগতও হতে পারে।
• মস্তিষ্কের কিছু কার্যপ্রণালীর অস্বাভাবিকতা Narcissistic Personality Disorder (NPD) তৈরি করতে পারে।

সংক্ষেপে বললে, একজন Narcissist সাধারণত এই কারণে গড়ে ওঠে:
• অতিরিক্ত প্রশংসা বা বঞ্চনা
• পরিবারে ভালোবাসার ঘাটতি
• মানসিক আঘাত
• সামাজিক প্রতিযোগিতা
• ব্যক্তিগত/জেনেটিক কারণ

ইসলামের আলোকে যদি বলি: কুরআনে ও হাদীসে অহংকার ও আত্মঅহংবোধকে শয়তানের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে। ইবলিসও অহংকারের কারণে আদম (আঃ)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। সুতরাং, Narcissism শুধু মানসিক রোগ নয়, বরং একপ্রকার আধ্যাত্মিক রোগও বটে।

Note: Narcissism প্রতিরোধের ইসলামী দিকনির্দেশনা নিয়ে পরবর্তী লেখাতে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ।
Jabin

আমাদের সম্মানিত গ্রাহকের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজের মানকে আরও দৃঢ় করে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা চেষ্টা করি সর্বোচ্চ যত্ন ও পেশাদা...
12/09/2025

আমাদের সম্মানিত গ্রাহকের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজের মানকে আরও দৃঢ় করে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা চেষ্টা করি সর্বোচ্চ যত্ন ও পেশাদারিত্বের সাথে হিজামা সেবা দিতে।

👉 আপনারও যদি স্বাস্থ্যকর পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করতে ইচ্ছে হয়, আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

🗓️সেপ্টেম্বর'২০২৫ (রবিউল আউয়াল'১৪৪৭) মাসের হিজামা/কাপিং করানোর সুন্নাহ তারিখসমূহঃ🕛১০ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার পর থেকে শুরু...
09/09/2025

🗓️সেপ্টেম্বর'২০২৫ (রবিউল আউয়াল'১৪৪৭) মাসের হিজামা/কাপিং করানোর সুন্নাহ তারিখসমূহঃ
🕛১০ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১১ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (১৭ রবিউল আউয়াল)
🕛১২ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১৩ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (১৯ রবিউল আউয়াল)
🕛১৪ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার পর থেকে শুরু করে ১৫ সেপ্টেম্বর মাগরীব হবার আগ পর্যন্ত। (২১ রবিউল আউয়াল)

👉আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি মাসের ১৭, ১৯ বা ২১ তারিখে হিজামা (রক্তমোক্ষণ) করাবে, তা হবে সকল রোগের জন্য আরোগ্যের কারণ।”

— সুনান আবু দাউদ: ৩৮৬১

🚗 যেমন গাড়ির নিয়মিত অয়েল চেঞ্জ না করলে ইঞ্জিন ভারী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমে যায়, তেমনি আমাদের শরীরও জমে থাকা টক্সিন...
04/09/2025

🚗 যেমন গাড়ির নিয়মিত অয়েল চেঞ্জ না করলে ইঞ্জিন ভারী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমে যায়, তেমনি আমাদের শরীরও জমে থাকা টক্সিনে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

🩸 হিজামা থেরাপি শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে। এটি রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়, ব্যথা কমায় এবং শরীরকে এনে দেয় এক নতুন সজীবতা।

💡 মনে রাখবেন,
👉 গাড়ি যেমন যত্ন পেলে দীর্ঘদিন চলে,
👉 তেমনি শরীরের যত্ন নিলে জীবন হয় সুস্থ ও সুন্দর।

👉 আজই নিজের শরীরকে উপহার দিন হিজামার যত্ন।
আপনার সুস্থতা–ই আপনার আসল সম্পদ। ❤️

👉 এক মাস চিনি বাদ দিলেই শরীরে কী পরিবর্তন আসতে পারে –এখানে ক্লিনিকাল স্টাডি ভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হলো:🔷লিভার ও কিডনির কা...
03/09/2025

👉 এক মাস চিনি বাদ দিলেই শরীরে কী পরিবর্তন আসতে পারে –

এখানে ক্লিনিকাল স্টাডি ভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হলো:

🔷লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নতি – ৩০ দিন চিনিমুক্ত ডায়েট ফ্যাটি লিভারের ফ্যাট কমায় এবং কিডনির কর্মক্ষমতা উন্নত করে (সূত্র: Healthline)

🔷প্রদাহে উল্লেখযোগ্য হ্রাস – চিনি অতিরিক্ত হলে প্রদাহ বাড়ে, যা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও আভ্যন্তরীন প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়ায়; চিনির পরিমাণ কমানো সেই ঝুঁকি কমায় (সূত্র: EatThis)

🔷রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নতি – মাত্র ১০ দিন চিনিমুক্ত ডায়েটে গুলি পরিমাপযোগ্য উন্নতি দেখা যায় (সূত্র: NewsHealthWatch)

🔷ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি – চিনি ব্রণ, ছাপ ও ত্বকের বয়স্কতা বাড়ায়; বাদ দিলে ত্বক পরিষ্কার, তরতাজা হয় (সূত্র: EatingWell, TheHealthy)

🔷ওজন ও পেটের মেদ কমে – চিনিদূষিত খাদ্য বাদ দিলে অতিরিক্ত ক্যালরি হ্রাস পায়, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমে যায় (সূত্র: Wellness52)

🔷মানসিক স্পষ্টতা ও ঘুমের গুণগত মান উন্নত হয় (সূত্র: ScienceNewsToday, Medical-News)

🔷রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে (সূত্র: Economic Times, Times of India)

👉পরামর্শ:

ফুড লেবেল পরীক্ষা করুন, লুকানো চিনি খাবেন না,
প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।

ধাপে ধাপে চিনির পরিমাণ কমান, যাতে ক্রেভিং নিয়ন্ত্রণে থাকে

👉 ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় হিজামা (Wet Cupping Therapy)-এর ভূমিকা

✅একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে দেখা গেছে: NAFLD (Non-Alcoholic Fatty Liver Disease) রোগীদের ক্ষেত্রে হিজামা (wet cupping) থেরাপি প্রদাহ নির্দেশক সি-রিয়্যাকটিভ প্রোটিন (CRP) প্রায় ৫০% কমিয়েছে, IL-1β ২৯%, এবং TNF‑α ১৬% হ্রাস পেয়েছে (৬ সপ্তাহে ৩ সেশন)

✅র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়ালে: NAFLD রোগী যারা শুধুমাত্র লাইফস্টাইল চেঞ্জ পেয়েছেন তার তুলনায় যারা হিজামা সহ পেয়েছেন—তাদের HOMA-IR (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স), ALT ও AST লিভার এনজাইমে উন্নতি পেয়েছে। ইউএসজি-তে লিভার স্টেটাস ২৩.৩% রোগীর ক্ষেত্রে উন্নত হয়েছে, আর কন্ট্রোল গ্রুপে ১০%–এর তুলনায়

✅আরেক ট্রায়ালে: স্থুল নারীদের NAFLD‑তে লিভার এনজাইম (ALT, AST, GGT, ALP, BILI) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে হিজামা গ্রুপে—উদাহরণস্বরূপ ALT কমেছে প্রায় ২০%, AST ১৩%

✅চীনা ট্রায়াল (2017): হিজামা+চীনা উদ্যোগ + ডায়েট+ব্যায়াম গ্রুপে BMI, পেটের পরিধি, AST/ALT লিভার এনজাইম, ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি বেশিরভাগ প্যারামিটার উন্নতি করেছে, যা কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় দ্রুত (৬ মাসে)

✅মেকানিজম: হিজামা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, প্রদাহ কমায়, টক্সিন বের করতে সহায়তা করে, লিভারের রিজেনারেশন ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়

🩺 এক মাস চিনি না খান—আপনার শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়, দেখে নিন❤️

👉রেফারেন্স: https://biomedpharmajournal.org/vol15no1/evaluating-the-therapeutic-effects-of-wet-cupping-al-hijamah-on-hematological-parameters-kidney-function-tests-and-lipid-profile-in-adult-women/?

https://journals.tubitak.gov.tr/medical/vol50/iss2/11/?

https://ejpt.journals.ekb.eg/article_331161_53ad53fb26259cb94a88010c1a121a82.pdf?

https://pesquisa.bvsalud.org/portal/resource/pt/wpr-664161?

https://ichgcp.net/clinical-trials-registry/nct05623930?

https://hijamanaturalhealing.com/fatty-liver-home-remedies-hijama-wet-cupping-therapy/?

https://www.lybrate.com/topic/cupping-therapy-in-liver-disorders/93322cdb3feec9f741a8abe8586280a7?

https://www.worldofcupping.com/post/how-hijama-cupping-therapy-can-help-you-with-liver-disease?

https://en.wikipedia.org/wiki/Cupping_therapy?

#লিভারস্বাস্থ্য #ফ্যাটি_লিভার #লিভারডিটক্স
#চিনি_না #চিনিমুক্তজীবন
#স্বাস্থ্যকরখাদ্য #সুস্থজীবন
#সুস্থমস্তিষ্ক #মানসিকস্বাস্থ্য
#হিজামা

বুকজ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আর অম্লতা – শুধু ওষুধেই সমাধান নয়!আমাদের অনেকেরই অভ্যাস—পেটে অস্বস্তি, বুকজ্বালা বা গ্যাস্ট্রিক ...
28/08/2025

বুকজ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আর অম্লতা – শুধু ওষুধেই সমাধান নয়!

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস—
পেটে অস্বস্তি, বুকজ্বালা বা গ্যাস্ট্রিক হলেই দ্রুত PPI (Proton Pump Inhibitors) গ্রুপের ওষুধ খেয়ে ফেলা।
👉 যেমন: Omeprazole, Esomeprazole, Lansoprazole ইত্যাদি।

🔬 বৈজ্ঞানিকভাবে যা জানা গেছে
👉 BMJ-তে প্রকাশিত গবেষণা (2012) বলছে—

যারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত PPI ব্যবহার করেন, তাদের হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি প্রায় 35% বেশি।

বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ৫০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

👉অন্য একটি BMJ গবেষণা (2008) অনুসারে,

৫ বছর ব্যবহারের পর হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি ১.৬ গুণ,

আর ৭ বছরের বেশি ব্যবহারে ঝুঁকি ৪.৫ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

👉দীর্ঘমেয়াদি PPI ব্যবহারকারীদের হিপ ফ্র্যাকচারের সামগ্রিক ঝুঁকি ২৬% বেশি।

⚠️ অন্যান্য ঝুঁকি

Vitamin B12 ঘাটতি → স্নায়বিক দুর্বলতা ও স্মৃতিভ্রংশ

কিডনি সমস্যা ও সংক্রমণ

ক্যালসিয়াম শোষণে ব্যাঘাত → হাড় দুর্বল হওয়া

🚫চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে PPI খাবেন না।

✅অল্প অল্প করে খাবার, অতিরিক্ত ঝাল-চর্বি, ধূমপান ও অতিরিক্ত কফি এড়িয়ে চলুন।

✅নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম নিন।

✅প্রয়োজনে সীমিত সময়ের জন্য ওষুধ ব্যবহার করুন, কিন্তু ডাক্তারের তত্ত্বাবধান ছাড়া নয়।

👉PPI ওষুধ স্বল্পমেয়াদে নিরাপদ, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে হাড় ভাঙা, ভিটামিনের ঘাটতি ও কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে—এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
তাই বুকজ্বালা বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান শুধু ওষুধে নয়, বরং সুস্থ জীবনধারা + চিকিৎসকের পরামর্শেই নিরাপদ।
©️ Tibb Hidaya

Address

House-1002, Road-07, Avenue-03, Mirpur DOHS
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 08:00 - 22:00
Tuesday 08:00 - 22:00
Wednesday 08:00 - 22:00
Thursday 08:00 - 22:00
Friday 08:00 - 22:00
Saturday 08:00 - 22:00
Sunday 08:00 - 22:00

Telephone

+8801621131341

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tibb Hidaya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram