Dr. Imtiaz Hossain

Dr. Imtiaz Hossain ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন
এমবিবিএস(এসএসএমসি)

মালদ্বীপের মিনিস্ট্রি অব হেলথে জয়েন করার পর ৮০ দিনে রোগী দেখছি ৮০০ জন।এভারেজ দিনে দশ থেকে ১৫ জন রোগী দেখতে হয় আমাকে।একদি...
18/08/2025

মালদ্বীপের মিনিস্ট্রি অব হেলথে জয়েন করার পর ৮০ দিনে রোগী দেখছি ৮০০ জন।
এভারেজ দিনে দশ থেকে ১৫ জন রোগী দেখতে হয় আমাকে।একদিন সর্বোচ্চ ২৫ জন রোগী দেখা লাগছে আমার।

৮ ঘন্টার শিফটে এক ঘন্টা লাঞ্চ বা ডিনার ব্রেক,আধা ঘন্টা কফি/টি ব্রেক।তারমানে ৮ ঘন্টার শিফটে আমি কাজ করি সাড়ে ৬ ঘন্টা।

সাড়ে ৬ ঘন্টায় যদি দশ জন রোগী দেখা লাগে তাহলে প্রতি রোগীকে আমি ৩৯ মিনিট সময় দিতে পারি।
আধা ঘন্টা খুব ইজিলি দেওয়া যায়।

কোন রোগী দেখা নিয়ে আমার তাড়াহুড়া কর‍তে হয়না।
ধীরেসুস্থে রোগীর সব কথা শুনে,ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন সেরে তারপর চিকিৎসা দেওয়ার পর্যাপ্ত সময় মিলে।

আমি এখন যেই হেলথ সেন্টারে পারমানেন্ট পোস্টিং পেয়ে কাজ করছি,সেখানে আমরা দুইজন ডাক্তার পোস্টেড।

আজকের এই মুহুর্ত অব্দি দুইজনে রোগী দেখছি মোট ২৭ জন।আমি ১২ জন দেখছি পুরো ইভেনিং শিফটে,মর্নিং শিফটে আমার কলিগ ১৫ জন দেখে গেছে।

এখন বলুন কোন রোগী কিভাবে অভিযোগ দিবে যে,ডাক্তার সময় দেয়না?ডাক্তার কথা শুনেনা এটা বলার সুযোগ কি আছে?

আমি এখানে মাসে যেই স্যালারি পাই,সেটা বাংলাদেশের একজন ৯ম গ্রেডের বিসিএস চিকিৎসকের ৭ মাসের বেতনের সমান।
বাংলাদেশে উপজেলা গুলোতে একজন চিকিৎসককে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে একশো রোগী দেখা লাগে।

একশো রোগীর কথা শুনা, হিস্ট্রি নেওয়া,এক্সামিনেশন করা, টেস্ট রিপোর্ট ইভালুয়েট করা,চিকিৎসা দেওয়া,এডভাইজ দেওয়া, কাউন্সেলিং করা কিভাবে সম্ভব এই সময়ের মধ্যে?
একশো প্রেসক্রিপশন হাতে লিখতে কত সময় লাগা উচিত বলে মনে করেন আপনারা?
তাছাড়া সাপোর্টিভ কয়জন স্টাফ থাকে একজন ডাক্তারের জন্য?

আমার বাংলাদেশের একজন কলিগ আমার চেয়ে দশ গুন বেশি রোগী দেখে আমার বেতনের ৭ ভাগের এক ভাগ স্যালারি পায়, তখন সে আপনাকে কতটা সেবা দিতে সক্ষম হবে ভেবে দেখবেন প্লিজ।

আমি এই আইল্যান্ডে আসার পর একদিন ৭ জন রোগী এডমিট করেছি।
একটা বাচ্চা ছিলো এজমার,বাকি ৬জন ডেঙ্গু রোগী।
মিনিস্ট্রি দেখলো এই হেলথ সেন্টারের ৭টা বেড ফিলাপ।
তারা ডাইরেক্টরকে কল দিয়ে ব্যাখ্যা চাইলো আমার থেকে।
আমি প্রতিটি রোগী গাইড লাইন অনুযায়ী এডমিশন ক্রাইটেরিয়া মেনে এডমিট করেছি কিনা।

আমি ব্যাখ্যা দিলাম।তারা সন্তুষ্ট হলো।
তারা তখন আমাকে জানালো,যেহেতু এখানে আর বেড খালি নেই,নেক্সট এডমিশন দেওয়ার মতো পেশেন্ট আসলে এটল হসপিটালে রেফার করতে।

নীচের ছবিটা খেয়াল করুন।
কোন মানুষ এভাবে চিকিৎসা নিতে পারে?
ফ্লোরে শুয়ে একটা দেশের নাগরিক কেন চিকিৎসা নিবে?
কেন একশো বেডের হাসপাতালে ৫০০ রোগী থাকবে?
কিভাবে একশো বেডের হাসপাতালের ডাক্তার নার্স অন্যান্য স্টাফ দিয়ে আপনি ৫০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন?
এদেশের মানুষের জীবনের মূল্য এত সস্তা কারা করলো?
এদেশের মানুষকে পশুর মতো ট্রিট করছে কারা?

মালদ্বীপে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া কোন মানুষের একটা প্যারাসিটামল কিনে খাওয়ার সুযোগ নেই।
সেখানে আমার দেশের একজন ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীকে স্টেরয়েড ও ব্যথার মেডিসিন দিয়ে চিকিৎসা করছে LMAF নামক হাতুড়ে ডাক্তার।
একজন ডেঙ্গু রোগীকে ব্যথার মেডিসিন ও স্টেরয়েড দেওয়া কবীরা গুনাহ।
এই রোগীর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হয়ে মারা গেলে এর দায় কি সেই LMAF নিবে?

দায় নেওয়ার কথা পরে,কিভাবে একজন হাতুড়ে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন,অপচিকিৎসা ও মারাত্মক ভুল চিকিৎসা দিতে পারেন?

দুনিয়ার কোথাও মানুষের জীবন নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা সম্ভব?

ডাক্তার বেশি টেস্ট দেয়।
ডাক্তার কমিশন খায়।
ডাক্তার আজেবাজে কোম্পানির মেডিসিন লিখে।
ডাক্তার রোগীর কথা শুনেনা।

এসব অভিযোগ ঢালাওভাবে সত্য না।
কিন্তু এসব অভিযোগ ভিত্তিহীনও না।
কিন্তু কে নির্ধারণ করবে কোন রোগীর কয়টা টেস্ট লাগবে?
কোন রোগীর জন্য সঠিক চিকিৎসা কি?

সিস্টেমের গোড়ায় হাত দেন।
সিস্টেম টা ভুলে ভরা।
সিস্টেমটা আপনাকে মানুষ হিসেবে, দেশের মালিক হিসেবে ট্রিট করছেনা সেটা ভেবে দেখেছেন?

আপনি যেই নেতার পেছনে মিছিল দেন,যেই নেতার জন্য অন্য মানুষের মাথা ফাটান,সেই নেতা ও তার পরিবার সন্তানরা সবাই বিদেশে চিকিৎসা নেয়।

বাংলাদেশের কোন এমপি কোনদিন উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে?
বাংলাদেশের কোন মন্ত্রী কোনদিন জেলা সদর হসপিটালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছে?
এমপি মন্ত্রীদের স্ত্রী পুত্র কন্যা পরিজনরা কোনদিন উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে?

নেতারা চিকিৎসা নিবেন বিদেশে, নেতারা লুটপাট করবেন,আর আপনার সন্তানকে সরকারি হাসপাতালে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে, আপনি আবার সেই নেতার জন্য গলা ফাটান।

এজন্যই আপনাদের কপালে জুটে LMAF,আপনাদের সন্তানদের জন্য জুটে ফ্লোর।

সিস্টেমের গোড়ায় হাত না দিয়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে মনের জ্বালা মিটাতে পারবেন কিন্তু কোনদিন বাংলাদেশের হেলথ সিস্টেমে আপনি মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
এর দায় কোন ডাক্তারের না,আপনারা যাদের জন্য গলা ফাটান, ভোট বাক্স দখল করেন, দিনের ভোট রাতে দেন,সব দায় তাদের।সাথে অনেক দায় আমলাদের।

যাদের দায়, তাদের টুটি চেপে যেদিন ধরতে পারবেন,
যেদিন আপনাদের এমপি মন্ত্রীদেরকে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করতে পারবেন সেদিন বাংলাদেশের হেলথ সিস্টেমে আপনি মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন,তার আগে নয়।

©আহমেদ জোবায়ের

সকলেই পোস্টটি শেয়ার করে দিন এবং বাস্তব চিত্র মানুষকে জানতে দিন।

17/08/2025

"বাংলাদেশে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে ধর্মের লেবাস পরা অথবা ডাক্তারদেরকে গালি দেয়া।"

14/08/2025

🌸 Our little miracle has arrived.
A star has fallen from heaven and landed in our arms. Our daughter Shehzana Imtiaz Inayaa. ♥ born on 30.07.2025.Please keep her in your prayers and also pray for us in this beautiful journey.

06/08/2025
এই ভদ্রলোককে তোমরা সবাই চিনো কিন্তু ওনার ফেস দিয়ে চেনোনা। রক্ত সঞ্চালন অধ্যায়ে যে পড়ো, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম হার্টমেট-৩ না...
03/08/2025

এই ভদ্রলোককে তোমরা সবাই চিনো কিন্তু ওনার ফেস দিয়ে চেনোনা। রক্ত সঞ্চালন অধ্যায়ে যে পড়ো, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম হার্টমেট-৩ নামের মেকানিকাল হার্ট স্থাপন করেছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

উনিই সেই জাহাঙ্গীর কবির, আজ নতুনভাবে আলোচনায় এসেছেন জামাতের আমিরের ওপেন হার্ট/বাইপাস সার্জারী করে। ৪ টা বাইপাস লাগছে জামাতের আমিরের,যা আল্লাহর রহমতে ভালোভাবে সম্পন্ন করেছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

এই পর্যন্ত উনি ২৯০০০+ হার্ট সার্জারী করেছেন,চিন্তা করা যায়! ২৯ হাজার+। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর শুরু হয় তার ডাক্তারি জীবন।

এমন দক্ষ অনেক ডাক্টার আমাদের দেশে রয়েছেন নেই শুধু ভালো সিস্টেম/ম্যানেজমেন্ট কিংবা প্রোপার টেকনোলজি। দিনশেষে সেই সিস্টেম এর দোহাই দিয়ে দক্ষ ডাক্টাররাও হারিয়ে যায় কিংবা হয়ে যায় আনপ্রফেশনাল।এই সিস্টেমকে ঠিক করার প্রধান দায়িত্ব তো রাজনীতিবিদদের, তাহলে হয়তো এমন অসংখ্য জাহাঙ্গীর কবিরকে আমরা পাবো।

©️ Md. Mehfuz Ahmed

সম্প্রতি ভারতের মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার হঠাৎ মৃত্যুকে ঘিরে রং ফর্সাকারী/এন্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউরগুলো ন...
04/07/2025

সম্প্রতি ভারতের মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার হঠাৎ মৃত্যুকে ঘিরে রং ফর্সাকারী/এন্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউরগুলো নিরাপদ কি নিরাপদ নয় এই বিষয়টি আবার নতুন করে বেশ আলোচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে, গ্লুটাথায়ন এবং ভিটামিন সি IV Injection

যদিও গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে বা এন্টি এজিং এর উদ্দেশ্যে গ্লুটাথিওন+ভিটামিন সি এর ব্যবহার এস্থেটিক ইন্ডাস্ট্রি তে নতুন কিছু নয় বরং গত কয়েক বছর ধরেই রীতিমত ট্রেন্ডি।

পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, শেফালি উপবাসরত (ফাস্টিং) অবস্থায় তাঁর রেগুলার স্কিন থেরাপি হিসেবে IV vitamin C বা গ্লুটাথায়োন জাতীয় ইনজেকশন নিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ ব্লাড প্রেসার কমে যায় এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু ঘটে।

(এখনো ফরেনসিক রিপোর্ট নিশ্চিতভাবে জানায়নি ইনজেকশনটা এক্সাক্টলি কোনটি ছিল বা একমাত্র এটাই কারণ কিনা।)

এই মৃত্যু ঘটনার পর থেকে ইন্ডিভিজুয়ালি আমাকে অনেকে নক দিয়েছেন ফর্সা করার উপকরণ হিসেবে গ্লুটাথায়ন কত টা নিরাপদ সেটা নিয়ে জানতে।
বিশেষ করে যারা অলরেডি কোথাও না কোথাও চিকিৎসা করাচ্ছেন বা করাবার কথা চিন্তা করছেন।



ডার্মাটোলজিস্ট হিসেবে আমি আমার নিজের অবস্থানটা একটু পরেই লিখছি।

তার আগে প্রেক্ষাপট হিসেবে এখানে কতগুলো বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স আমি ছোট করে দিচ্ছি।

চলুন মিলিয়ে দেখি, কোথাও গ্লুটাথায়ন এর ব্যাপারে কনক্রিট কোন রেকমেন্ডেশন পাই কীনা-

WHO Advisory, 2011
➡️ Glutathione for skin lightening is “not recommended due to unknown safety profile”.

FDA Philippines, 2018
➡️ Warned against IV glutathione for cosmetic use; no approved indication.

J Dermatolog Treat, 2012
➡️ Oral glutathione gave only mild melanin reduction. IV not studied.

J Clin Aesthet Dermatol, 2017
➡️ No significant skin lightening after 8 weeks of oral glutathione.

Am J Clin Dermatol, 2019
➡️ “Evidence for IV glutathione is anecdotal and not supported by randomized trials.”

Clin Interv Aging, 2017
➡️ IV vitamin C in high doses may cause oxalate nephropathy (kidney damage).

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, Glutathione+Vit C সংক্রান্ত বেশিরভাগ রিসার্চগুলোই খুবই ছোট পরিসরে, বিশেষত Animal Trial এবং সেক্ষেত্রেও ওরাল মেডিসিন এর ট্রায়াল।

তাই এটুক বলাই যায়, Long term safety & efficacy প্রমাণ করে এমন যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ এই জায়গাটাতে এখনো হয়নি তার আগেই ট্রেন্ড এ এই জিনিস হাইপ তুলতে পেরেছে দুটো শব্দের কারনে -

তুমি ফর্সা হয়ে যাবা!
তোমাকে ইয়াং লাগবে!



✅ এবারে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে গ্লুটাথায়ন+ভিটামিন সি IV injection যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ভয়ংকর যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Reported Side Effects) ডকুমেন্ট করা হয়েছে চলুন সেগুলোতে চোখ বুলাই -

•Stevens-Johnson Syndrome (ভয়াবহ স্কিন রিঅ্যাকশন, জীবনঘাতী হতে পারে)

•Acute kidney injury (High-dose Vit C)→ কিডনিতে অক্সালেট জমে

• G6PD-deficient রোগীদের ক্ষেত্রে Hemolysis

•Anaphylaxis (হঠাৎ জীবনসংকটময় অ্যালার্জি)
•Liver enzyme elevation
•Thyroid dysfunction
•Skin depigmentation patches (spotty, অসম ফর্সাভাব)



তাই এরকম আরো অজস্র পেপার ঘেঁটে আমি আজ পর্যন্ত ডার্মাটোলজিস্ট হিসেবে গ্লুটাথায়ন এবং ভিটামিন সি IV injection কখনো পেশেন্ট দের রিকমেন্ড করিনি।

উপরন্তু বাংলাদেশে যত্রতত্র যেসব ইঞ্জেকশন ব্যবহার হচ্ছে এগুলোর সোর্স কি,মান কি, সর্বোতভাবে নিরাপদ বলে এদেশে টেস্টেড কিনা - এই প্রশ্নগুলো ভ্যালিড।কিন্তু উত্তর অস্পষ্ট।

স্পেসিফিক রেগুলেশন গাইডলাইন ও এদেশে নেই।

তাই Benefits outweighs the Risk - ডাক্তারদের এই ফ্লেক্সিবিলিটিটা কে প্রাধান্য দিয়ে যে মানুষের উপর এক্সপেরিমেন্ট করব সেটার ইচ্ছে কখনো হয়নি।

ভবিষ্যতে রেকমেন্ড করব কীনা?
এন্টি এজিং হিসেবে যদি পরবর্তীতে লাইসেন্সড হয় তবে কেন নয়? অবশ্যই রেকমেন্ড করব।

তবে রং ফর্সা করতে কখনো রেকমেন্ড করব না বা আমার সেন্টারে করাব না। লাইসেন্সড হলেও না। (এই ব্যাখ্যাটা অন্য কোন দিনের জন্যে তোলা থাক)
©Dr. Shusma Reza

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো৪৪তম বিসিএস (প্রশাসন)  পেয়েছেন উল্লাস পালতিনি ৪৩ তম থেকে  শিক্ষা  ক্যাডারে আছেন। শুভকামনা ও অ...
30/06/2025

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো
৪৪তম বিসিএস (প্রশাসন) পেয়েছেন উল্লাস পাল
তিনি ৪৩ তম থেকে শিক্ষা ক্যাডারে আছেন।
শুভকামনা ও অভিনন্দন!
সত্যি এক বিশাল অনুপ্রেরণা!

✍️ সরকারি হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিক, যেখানেই রোগী নিয়ে যান না কেন, নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণের চেষ্টা করেই দেখুন না...
27/05/2025

✍️ সরকারি হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিক, যেখানেই রোগী নিয়ে যান না কেন, নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণের চেষ্টা করেই দেখুন না, কী ফল পাওয়া যায় !

✅ ১. সরকারি হাসপাতালে অপরিচিত যে লোকটি উপযাজক হয়ে আপনার ঘনিষ্ট হিসাবে ডাক্তারকে পরিচয় দিবে বা আপনার জন্য এখানে সেখানে ছুটোছুটি করবে, বুঝে নেবেন সে একজন দালাল। শুরুতেই তাকে মার্ক করে রাখুন। এড়িয়ে চলুন। তাতে টাকা, সম্মান ও রোগী তিনটাই বাঁচবে।

✅ ২. জরুরী বিভাগ থেকে ভর্তির পর কাগজটি নিজ হাতে বহন করে নিজের ওয়ার্ডে যাবার অভ্যাস করুন। অথবা বহনকারী লোকটি আপনাকে বড়সড় খরচ করিয়ে শুইয়ে দিতে পারে।

✅ ৩. ইমার্জেন্সীর ইএমও বা ওয়ার্ডের ডিউটি ডাক্তাররা ( ইন্টার্ন বা ইউনিটের সিএ, রেজিস্টার, আইএমও ) উচ্চশিক্ষিত ও আপনার রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ কোয়ালিফাইড।

সেখানে গিয়ে নিজের ক্ষমতা, শিক্ষাগত যোগ্যাতা, স্মার্টনেসের প্রমাণ দিতে যাবেন না। আপনি যতটুকু ভদ্রলোক হবেন, তারা তার চাইতে বেশি ভদ্র লোকের মত আপনাকে চিকিৎসা দিবে।

✅ ৪. হাসপাতালের সব সিরিয়াস রোগীর চিকিৎসা শুরু হয় ইএমও/ ইন্টার্ন/সিএ/আইএমও / রেজিস্ট্রারের হাত দিয়েই। তারা জানে কীভাবে রোগীকে দ্রুত সময়ে প্রাণ রক্ষাকারী চিকিৎসা দিতে হয়। বড় স্যার কখন দেখবে, কেন এখনো প্রফেসর / কন্স্যালট্যান্ট/ বড় ডাক্তার আসছে না বলে অতি স্মার্টনেসের পরিচয় দিবেন না। এতে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসকের প্রতি আপনার অনাস্থা প্রকাশ পাবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ইমার্জেন্সী চিকিৎসা দেয়াটা তার পক্ষে বিব্রতকর হয়ে উঠলে আপনারই ক্ষতি।

✅ ৫. শুক্রবার সাধারণত হাসপাতালের কন্স্যালটেন্ট/প্রফেসর এর রাউন্ড বন্ধ থাকে। বন্ধের দিনে ইএমও/ আইএমও/ এইচএমও/ ইন্টার্নরা থাকেন। এসময় ডাক্তার নাই, ডাক্তার দেখে নাই বলে হুলস্থুল বা চেচামেচী করে কাউকে বিব্রত করবেন না বা অন্য রোগীর অসুবিধা সৃষ্টি করবেন না। ডাক্তাররাও মানুষ। মনে রাখবেন, সরকারের অন্য সব বিভাগ সপ্তাহে ২ দিন ছুটি পায়, আর হাসপাতালের ডাক্তারদের ছুটি ১ দিন।

✅ ৬. হাসপাতাল থেকে সাপ্লাইকৃত ঔষুধ ডাক্তাররা দিবে না। সংশ্লিষ্ট ঔষুধের জন্য নার্স বা ইনচার্জকে ভদ্র ভাষায় বলুন।

✅ ৭. রোগীর পাশ থেকে আপনার সমস্ত আত্মীয় স্বজনকে সরিয়ে ফেলুন। তারা রোগীর কোনো কল্যাণে আসবে না। তাদের জন্য চিকিৎসা প্রদানে দেরি হয়, এতে এমনকি রোগী মারাও যেতে পারে। রোগীর পাশে মানুষ যত কম থাকবে, তত রোগীর তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হবার সম্ভাবনা বাড়বে।

✅ ৮. সরকারী হাসপাতালে বেডের জন্য অযথা অনুযোগ / অনুরোধ করে করে চিকিৎসক বা নার্সদের অস্থির করে তুলবেন না। হাসপাতালে কেউ অযথা বেড দখল করে শুয়ে থাকেনা। সবাই অসুস্থ্য রোগী। সেখানে মুচি ডোম শুয়ে থাকলেও তাকে নামিয়ে আপনাকে উঠানো যাবেনা। বেড না থাকলে একজন ডাক্তারের মা নিজে অসুস্থ্য হয়ে আসলেও তাকে মেঝেতেই থাকতে হবে। সকল রোগী সমান। আর, রোগী বেড বা মেঝে যেখানেই থাকুক, সবাইকে সমান চিকিৎসাই দেওয়া হয়।

✅ ৯. কোন ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে অতিরিক্ত এটেনশন আদায়ের চেষ্টা করবেন না। যদি কোন রোগী বা তাদের আত্মীয় স্বজন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স বা ষ্টাফদের খুব বেশী বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, অতিরিক্ত ঝামেলা এড়ানোর জন্য তখন হয়তো তারা সবাই ঐ রোগীকে এড়িয়ে চলতে পারেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। এতে কিন্তু ক্ষতিটা আপনারই।

✅ ১০. রোগী কী খাবে… বলে বারবার বিরক্ত করবেন না। যদি স্যালাইন চলে তাহলে ভেবে নিন তাকে আলাদা করে খাওয়াতে হবেনা। খাবার বন্ধ রাখা হয় রোগীর ভালোর জন্যই। কিছুক্ষণ না খেলে আপনার রোগী মারা যাবেনা।

✅ ১১. ক্যানুলা খুলে গেছে, স্যালাইন অফ কেন, ঔষুধ কখন খাবে, কিভাবে খাবে, ঔষুধটা চেক করে দিন তো…. এই প্রশ্নগুলো নার্সকে ভদ্রভাষায় জিজ্ঞাসা করুন। সাধারণত এগুলো তাদের দায়িত্ব। তারা শিক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাদের সম্মান করুন। এগুলো ডাক্তারের কাজ নয়।

✅ ১২. চিকিৎসককে সুন্দর ও ভদ্র ভাষায় সম্বোধন করুন। একইভাবে মহিলা ও পুরুষ নার্সকে " নার্স'" সম্বোধন করুন। আয়া বা কর্মচারীদেরকেও সুন্দর ভাষায় সম্বোধন করবেন। এগুলো আপনাকে ছোট করবে না বরং সম্মানীয় বানাবে। ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরাও আপনাকে সাহায্য ও সম্মান করবে।

✅ ১৩. সরকারি হাসপাতাল কিন্তু আপনার ট্যাক্সের টাকায় তৈরী! এই হাসপাতালকে নিজের টাকায় বানানো বাড়ির মতই পরিষ্কার ও সুন্দর রাখতে চেষ্টা করুন। আপনি যেখানে থুথু বা নোংরা ফেলবেন, অন্যেরা সবাই আপনার ফেলা জায়গাতেই আরো থুথু বা ময়লা ফেলে ভাসিয়ে দেবে। অপরাধের শুরুটা কিন্তু আপনিই করলেন!

✅ ১৪. হাসপাতালের ডাক্তারদের উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনিই লাভবান হবেন। কারণ আপনাকে সেবা কম দিলে ডাক্তাররা লাভবান হবে না।

✅ ১৫. রোগী মারা গেলে ডাক্তারকে গালিগালাজ না করে স্ব-স্ব ধর্মের সৃষ্টিকর্তার কাছে অনুযোগ বা অভিযোগ করুন। ডাক্তার একজন মানুষ। তিনি চেষ্টা করেছেন কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আপনার রোগীর সুস্থ্যতা চাননি।

সংগৃহীত, সংযোজিত ও পরিমার্জিত।🙏

04/05/2025

দিল্লীর দাসত্ববিহীন নতুন প্রজন্ম ভয়ংকর সুন্দর..

29/12/2024

গত কয়েকদিন টানা কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটলো, প্রতিটি বিমান দুর্ঘটনার পর আমরা শোক প্রকাশ করি আর কিছুদিন পর ভুলে যাই।
বিমান দুর্ঘটনার পর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন ভাবে এ ঘটনা গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হয় এবং নিরাপদ বিমানের জন্যে আরো উন্নত প্রযুক্তির কথা বলা হয়।
কিন্তু যে জিনিসটা বলা হয় না সেটা হলো আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে যতই অগ্রসর হই না কেনো আমাদের এসব আবিষ্কার এবং এসব উন্নত প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে তুচ্ছ আমাদের স্রষ্টার কাছে।
বিজ্ঞান হয়তোবা আরো উন্নত হবে আরো নিত্য নতুন প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রা আরো সহজ হবে কিন্তু এটা ভুলা যাবে না আমরা দিনশেষে আমাদের স্রষ্টার কাছেই ফিরে যেতে হবে।
বিমান দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদেরকে সেটাই বারবার স্মরণ করায়।
ক্ষণস্থায়ী জীবনে এই সিগন্যাল গুলো আমলে নেয়া কি উচিত নয়?

Address

Dhaka

Telephone

01853140387

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Imtiaz Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Imtiaz Hossain:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category