ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary

ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary ডাক্তারদের জীবনের গল্প... অভিজ্ঞতার ঝুড়ি আর ভালো লেখার প্রচার- এই নিয়েই আমরা "ডক্টরস ডায়েরী"

মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বহু চড়াই- উতরাই পেরিয়ে আপনি নামের আগে ডাক্তার কথাটি লিখতে পারবেন । সেখানে আইটেম, কার্ড, টার্ম, প্রফ এর মত হাজার হাজার পরীক্ষা এর চাপে অতিষ্ঠ জীবনের মাঝেও ঘটে মজার কিছু ঘটনা । ইন্টার্নি বা ডাক্তারি জীবনেও ঘটে মজার মজার অনেক ঘটনা । সেসব নিয়েই আমাদের এ আয়োজন...

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য....

04/10/2025

বউ আর আমি রাতে ভাত খাচ্ছিলাম। খাওয়া শেষে হাত ধুচ্ছিলাম। বউ ফ্রিজে ডালের বাটি রাখতে গিয়ে ধপাস করে সব ফেলে দিলো।

কি করবে বুঝতে না পেরে শেষে প্যান প্যান শুরু করে দিলো এই বলে, “সব ডাল খেতে পারে না, হুদাই রান্না করায়, এখন এতগুলো ডাল পরে গেলো”

বিয়ের পর এই জীবনে অদ্ভুত অদ্ভুত অনেক কিছুই হবে আপনার সাথে যেটা কোন সাইন্স-ক্যালকুলেশন- লজিক কোন কিছুর সাথেই রিলেট করতে পারবেন না।

© জনৈক

ডা. অর্ণব হাসান বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডক্টর। বাবা-মা দুজনই নিরক্ষর। তার বাবা রিকশাচালক।তিনি ৪...
04/10/2025

ডা. অর্ণব হাসান বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডক্টর। বাবা-মা দুজনই নিরক্ষর। তার বাবা রিকশাচালক।

তিনি ৪৮ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ভাইভা যেদিন দিয়েছেন, সেদিন পিএসসিতে দাঁড়িয়েই তার বাবাকে ফোন করে বলেছেন, আব্বা, তোমার আর রিকশা চালাতে হবে না। সেদিনও রিকশা চালাচ্ছিলেন আব্বা। ছেলের ফোন পেয়ে আব্বা ব্যাগ গুছিয়ে বাসে উঠে গেলেন বাড়িতে যাবার জন্য।

ছোটোবেলায় খেলতে গিয়ে তার বাঁ কনুই ডিজলোকেটেড হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত হসপিটালে নিতে হবে। মা ছাড়া বাড়িতে কেউ নেই। তার বাবা গেছেন পদ্মার চরে কাজ করতে। অনেক খুঁজেও কাউকে পাওয়া গেলো না। তেমন কিছু না বোঝা মা-ই হন্তদন্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেন।

হাসপাতালে গিয়ে একে-ওকে অনেকবার জিজ্ঞেস করে চিকিৎসক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেন। মা-ছেলের খুব অসহায় লাগছিল। সেদিনই অর্ণব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি বড়ো হয়ে ডাক্তার হবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষার আগে মডেল টেস্ট দিতে উপজেলার অন্য স্কুলে যেতে হয়েছিল। পরীক্ষা উপলক্ষে সব বন্ধুরা নতুন জামা বানিয়েছে। অর্ণবের শুধু নতুন জামা নেই। সে জেদ ধরল নতুন জামা ছাড়া পরীক্ষাই দিতে যাবে না। পরে তার ভাই জোর করে তাকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যায়। পরীক্ষা শুরু হবার ৪০ মিনিট পর তিনি গিয়ে হলে পৌঁছান। বড়ো হতে হতে অর্ণব বুঝতে শেখে নতুন জামা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।

অর্থের অভাবে বহুদিন তাকে না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। মেডিকেলে হোস্টেলের মিলের সামান্য টাকা তার দেবার সামর্থ্য ছিল না। হোস্টেলে খাবার খরচ বাঁচানোর জন্য তিনি মিল কাটার দায়িত্ব নেন, সপ্তাহে তিন দিন বাজার করে দিতেন।.....
অভিবাদন, ডা. অর্ণব হাসান। আপনি জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে গেছেন।

(ছবিটি তুলেছেন সোহেল রানা।)

-ডা. মারুফ রায়হান খান
ডিপ্লোমা ইন কার্ডিওলজি,
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
৩৯ তম বিসিএস
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

প্রেম-ভালোবাসা, বিয়ে  এর ক্ষেত্রে বংশ/ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর তুমি বদরুল। পড়ছ প্রাইমারী স...
02/10/2025

প্রেম-ভালোবাসা, বিয়ে এর ক্ষেত্রে বংশ/ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ধর তুমি বদরুল। পড়ছ প্রাইমারী স্কুলে, পাব্লিক ভার্সিটিতে। ছোটবেলায় শখ আহলাদ বলে কিছুই তোমার ছিল না। সারাজীবন বাবা-মা র কাছে ফিজিকালি আর মেন্টালি এবিউসড হইছ।

আগের জন্মে কোন এক পূণ্যের কারণে ধনীর দুলালী আফসানার সাথে তোমার বিয়ে হল।

আফসানার বাবা-মা আফসানার জন্য কোন কিছু করা বাকি রাখে নাই। সে যা চাইছে পাইছে।

এখন আফসানা তার বন্ধুদের সাথে হ্যাংআউটে গেলে তোমার খারাপ লাগে। কারণ তোমার ফ্যামিলিতে মেয়েদের এত খুশী দেখে তুমি অভ্যস্ত না।

সারাজীবন নিজের মা কে রান্নাঘরে পচতে দেখে তুমি অভ্যস্ত। তুমি বা তোমার মা কেউ ই চাবে না আফসানা রান্না না করে ঘুরে বেড়াক।

আফসানা যে নিজের মত থাকতে চায় এটাও তোমার ভাল লাগে না। কারণ, একে অন্যের পিছে আঙুল দেওয়াই তোমাদের পারিবারিক রীতি।

আফসানার ভাল থাকাটাকে তোমার মনে হবে স্বার্থপরতা। কেননা, নিজের ভালো চাওয়াটাকে তোমার ফ্যামিলিতে এভাবেই দেখা হয়।

আসলে তোমার ও দোষ নাই। যে পাখি উড়তে পারে না সে উড়াটাকে পাপ না ভাবলে মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হবে।

এইকারণে বিসিএস ক্যাডার, ইউএস সিটিজেন, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার এসব দেখে বিয়ে দেওয়ার আগে, পরিবারটাও দেখবেন। পরিবার যদি ফকিন্নী মার্কা হয়, পাত্র/পাত্রী নিজ গুণে বিলগেটস হলেও কোথাও না কোথাও রিস্ক থেকে যায়।

হুট করে দুইটা পয়সা বেশি কামানো যতটা কঠিন
জাতে ওঠা তার চাইতে শত গুণে কঠিন।

©আশিকুর রহমান রুপম

02/10/2025

ভদ্র মহিলা আমার চেম্বারে ঢুকেই হকচকিয়ে গেলেন। সম্ভবত আমাকে এখানে আশা করেননি। চেয়ার টেনে বসতে বসতে খুব অবাক হয়ে বললেন, " আপনিই বিখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মুনিরা ম্যাডাম ?!! আমি হেসে দিয়ে বললাম, " বিখ্যাত নই, তবে আমিই ডাক্তার মুনিরা, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। " ভদ্র মহিলা খুব লজ্জা পেয়ে বললেন, " কি যে বলেন। এই শহরে সবাই আপনার নাম জানে। আমার কখনো ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পড়েনি, তাই আমিই আপনাকে চিনতে পারিনি। "
এতক্ষণে তার লজ্জা পাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারলাম। গত মাসেই আমরা নতুন ফ্ল্যাট এ উঠেছি। ফ্ল্যাট বাসা একটু বেশি নিরাপদ মনে হয়। তাই শহরের নামকরা টাওয়ার এ একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেললাম। নিজেদের বাড়িটা ভাড়া দিয়ে গতমাসেই ফ্ল্যাট এ উঠেছি। আমার স্বামী ডা. রাশেদ বললো, " মুনি, তুমি কিন্তু খুব অসামাজিক। সারাক্ষণ হাসপাতাল আর চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকো। আশেপাশের মানুষজনের সাথে একদমই মিশতে পারো না। ফ্ল্যাট বাসাতে আশেপাশের সবার সাথে একটু পরিচিত হতে হয়। "

কথা সত্যি। আমি মানুষজনের সাথে নিজ থেকে তেমন মিশতে পারি না। সত্যি কথা বলতে কি, মেশার তেমন সময়ও পাই না। অফিস, চেম্বার, ছেলে মেয়ে, সংসার এসব নিয়ে সময় কোনদিক দিয়ে চলে যায়, টেরই পাই না। তাই কারো বাসায় যাওয়ার বা কারো সাথে বসে গল্প করার সময় পাই না। কিন্তু রাশেদ এটা ঠিক পছন্দ করে না। সে সবার সাথে গল্পগুজব, আড্ডা দেওয়া বেশ পছন্দ করে। রাশেদের পরামর্শ মতোই একদিন পাশের ফ্ল্যাটে পরিচিত হতে গেলাম। কলিং বেল বাজিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরে কাজের মহিলা দরজা খুললো। তাকে বললাম, " আমরা পাশের ফ্ল্যাটে নতুন এসেছি। ভাবিকে বলেন, তার সাথে দেখা করতে চাই। " কাজের মহিলা আমাকে দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বললো, " ম্যাডাম ঘুমাচ্ছেন, এখন দেখা করা যাবে না। "

আমি বেশ অবাক হয়ে চলে এসেছিলাম। ভাবলাম, সত্যি সত্যিই হয়তো ঘুমাচ্ছেন। তাই দুই তিনদিন পরেই আবার একবার গেলাম। মুল উদ্দেশ্য ছিল, রাশেদকে বোঝানো যে, আমি অসামাজিক নই। এবার আসলেই অবাক হলাম। এবার কাজের মহিলা ভিতর থেকে এসে বলে দিল, উনি ব্যস্ত আছেন, দেখা করতে পারবেন না। রাগ না হয়ে মনে মনে খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে, এরপর রাশেদ আর কখনো আমাকে কারো সাথে মিশতে পারিনা বলে টিজ করতে পারবে না।

এরপর ভদ্র মহিলার সাথে মাঝে মাঝেই লিফট এ দেখা হয়েছে। বেশ গর্জিয়াস চেহারা মহিলার। সব সময় দারুণ ফিটফাট থাকেন। মেয়েকে যখন স্কুলে দিতে যান, তখনও দেখে মনে হয়, কোন পার্টিতে যাচ্ছেন। জমকালো শাড়ি, মেকাপ সব সময়। দামী পারফিউম এর গন্ধে লিফটা মৌ মৌ করে। মহিলা জব করেন কিনা জানি না। তবে টাকা পয়সা যে ভালোই আছে, সেটা শাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। খুবই দামী দামী শাড়ি, অর্নামেন্টস পরেন।

সেদিন ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে দেখা করে নাই। তাই আমিও আর লিফট এ হাই, হ্যালো করে পরিচিত হই না। সেও করে না। কিন্তু যেটা বিরক্তকর লাগে, সেটা হলো তার দৃষ্টি, তার ভাবসাব। মনে হয়, সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী অথবা ভিন গ্রহের কোন এলিয়ন আর আমরা পৃথিবীর ঘৃন্য মানবজাতি। হতে পারে, তার মত সব সময় খুব দামী ড্রেস পরে থাকি না বা তারমত সাজগোজ করে থাকি না বা তারমত চামড়া ফর্সা নয় আমার। ডক্টরস ডায়েরী। কিন্তু তাই বলে মানুষের দৃষ্টি এমন হবে কেন, যেখানে আর একজনকে মানুষ বলেই মনে হবে না ? আমি ইগনোর করি। এটা তার ব্যর্থতা, সে তার দৃষ্টিকে সুন্দর করে নাই। এটাতে আমার রাগ করার কিছু নেই। এজন্যই আজ সে আমাকে এখানে দেখে অবাক এবং লজ্জিত হয়েছে।

আমি তার প্রতি আমার মনোভাব বুঝতে না দিয়ে, অন্য রোগীদের যেমন হাসিমুখে দেখি, তাকেও তেমনি দেখে দিলাম। ফিস যখন দিতে গেল, বললাম, ফিস বাইরে আমার এসিস্ট্যান্ট এর কাছে দিবেন। কিছুক্ষণ পরেই সে আবার আমার রুমে ঢুকলো। আমি হাসি মুখে বললাম,
- কিছু বলবেন ?
- আপনার এসিস্ট্যান্ট আমার কাছে এক হাজার টাকা চাচ্ছে।
- জ্বি, আমার ফিসতো এক হাজার টাকাই। বাইরে লেখা আছে, নতুন রোগী এক হাজার টাকা।
- না, মানে, আমি তো আপনার প্রতিবেশী। আমাদের তো ফ্রি ই হওয়া উচিত। সেখানে কিছু কনসিডার তো করবেন।

আমি মনে মনে হাসলাম। আমি জানি, সেদিন যদি সে ভদ্রতা করে অন্তত দরজার সামনে এসে হলেও আমার সাথে কথা বলতো, তাহলে শুধু তাকে কেন, তার চৌদ্দ গোষ্ঠীকে আমার ফ্রি দেখতে হতো। এবং দিনে বা রাত একটা দুইটায়, বাসায় এসে বা মোবাইলে - ছোলার ডাল খাবো না মসুরের ডাল খাবো ? পায়খানা নরম হলো কেন বা কষা হলো কেন ? চিনি দিয়ে চা খাব না চিনি ছাড়া চা খাব ? এইসব হাবিজাবি বিষয়ে পরামর্শ দিতে হতো।
আমি হাসি মুখে বললাম, " আপনি বোধ হয় খেয়াল করেননি, দরজার সামনে লেখা আছে। আমি ফ্রি রোগী দেখি শুধু মাত্র শুক্রবারে। গরীব রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। কিন্তু তার জন্য আগে থেকে টিকিট কালেক্ট করতে হয় আমার এসিস্ট্যান্ট এর কাছ থেকে। কিন্তু আপনি এই পোশাকে আসলে তো সে ঐ টিকিটও আপনাকে দেবে না। ড্রেস চেন্জ করে আসতে হবে। "

ভদ্র মহিলা এবার আমার দিকে এমন অবাক হয়ে তাকালেন, যেন উনি নন, আমিই এলিয়ন।

( ছোট গল্প )

©ডা. সুমনা তনু শিলা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।

01/10/2025

পি আর পদ্ধতি নিয়ে যে যা জানেন, বলে যান।

জ্ঞান আহরনের কোনো বয়স নেই...

01/10/2025

কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না....

30/09/2025

বাড়ি কিনছেন? — মুখ বন্ধ রাখুন।
একটি নতুন গাড়ি নিচ্ছেন? — মুখ বন্ধ রাখুন।
নতুন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন? — মুখ বন্ধ রাখুন।
ছুটিতে যাচ্ছেন? — মুখ বন্ধ রাখুন।
নতুন কোর্স শুরু করছেন? — মুখ বন্ধ রাখুন।
চাকরিতে পদোন্নতি হবে? — মুখ বন্ধ রাখুন।

জীবনের বড় বড় মুহূর্তে আমাদের মনে হয়, প্রিয়জন বা বন্ধুদের জানালে খুশি হবে। মনে হয়, সুখ ভাগ করলে দ্বিগুণ হয়। কিন্তু সত্যি বলতে কী, সব সময় তা হয় না। বরং অতি তাড়াতাড়ি মুখ খোলাই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় ভুল।

আমাদের স্বপ্ন আসলে একেকটা বীজ। এই বীজকে মাটিতে রোপণ করার পর যত্ন চাই, সুরক্ষা চাই। কিন্তু যদি খুব তাড়াতাড়ি সবাইকে দেখাতে ব্যস্ত হই, তখন সেটি শেকড় গজানোর আগেই শুকিয়ে যায়। বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে—যত বেশি স্বপ্ন শেয়ার করবেন, তত বেশি হিংসা, ঈর্ষা আর বদনজরের চোখ আপনার দিকে পড়বে। আর এটাই অনেক সময় আপনার সাফল্যের পথে অদৃশ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা যাদের "বন্ধু" বলে বিশ্বাস করি, তাদের সবাই আন্তরিক নয়। কেউ কেউ চায় আপনি ভালো থাকুন, কিন্তু কখনোই তাদের চেয়ে ভালো না। তাই তারা হাসিমুখে অভিনন্দন জানালেও মনে মনে আপনার ব্যর্থতা কামনা করতে পারে। এটা তিক্ত হলেও সত্যি।

আমরা ভেবে নিই, অন্তত পরিবার তো আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিবারের ভেতরেও সূক্ষ্ম হিংসা থাকতে পারে। ভাই, বোন, আত্মীয় কেউ কেউ চাইতে পারে যে আপনি তাদের ছাড়িয়ে না যান। এই গোপন প্রতিযোগিতা অনেক সময় আপনার আনন্দকে নিঃশব্দে বিষিয়ে দিতে পারে।

অনেকে বলে বদনজর শুধু কুসংস্কার। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে অন্য কথা। মানুষ যখন আপনার উন্নতি দেখে ঈর্ষায় পুড়ে যায়, তখন সেই নেতিবাচক এনার্জি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সনাতন হিন্দু ধর্ম , ইসলাম ধর্ম ও অন্য প্রায় সব ধর্মেই বদনজরের উল্লেখ আছে। অর্থাৎ, এটা কোনো কাল্পনিক ভয় নয়।

নীরবতা দুর্বলতা নয়, বরং শক্তি। চুপ থাকা মানে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত হওয়া। কৃষক যেমন বীজ রোপণের পর প্রতিদিন হাটে গিয়ে ঘোষণা করে না, তেমনি বুদ্ধিমান মানুষও নিজের স্বপ্ন গোপন রাখে। সময় এলে ফলাফল নিজেই কথা বলে। তখন আর কাউকে বোঝানোর প্রয়োজন হয় না।

আপনার ভাগ্যে যা আছে, ঈশ্বরের লিখে রাখা পরিকল্পনা কেউ মুছে দিতে পারবে না। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে বেশি মুখ খোলার কারণে আপনি নিজের জন্য অযথা বাধা তৈরি করতে পারেন।তাই বিশ্বাস রাখুন, ধৈর্য ধরুন, পরিশ্রম করুন এবং যতটা সম্ভব মুখ বন্ধ রাখুন।

মনে রাখবেন, স্বপ্নকে আগেভাগে প্রকাশ করা মানে তাকে দুর্বল করে ফেলা। হিংসা, ঈর্ষা আর বদনজর সত্যিই আপনার সাফল্যকে ধ্বংস করতে পারে। তাই যখনই জীবন আপনাকে কোনো বড় সুখবর দেবে—নতুন বাড়ি, গাড়ি, বিয়ে বা পদোন্নতি—তখন আনন্দে চিৎকার না করে নীরবে উপভোগ করুন। সময় এলে আপনার সাফল্যই পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে দেবে আপনি কী করেছেন।

কাগজের স্টিকারও গলায় আটকে যেতে পারেঃআজ ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগে ১১ মাসের একটা বাচ্চা আসে। বাচ্চাটি ৭ দিন আগে একটা কাগজ...
27/09/2025

কাগজের স্টিকারও গলায় আটকে যেতে পারেঃ

আজ ঢাকা মেডিকেলের শিশু বিভাগে ১১ মাসের একটা বাচ্চা আসে। বাচ্চাটি ৭ দিন আগে একটা কাগজের স্টিকার গিলে ফেলে। এর পর থেকে বাচ্চাটি কিছু খাচ্ছে না ও বমি করতে ছিল। সাথে সাথে আমরা আমাদের ঢাকা মেডিকেলের শিশু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগে এন্ডোসকপি করে দেখি স্টিকারটি esophagus (বুকের ভিতরের খাদ্য নালী) এর মাঝখানে আটকে আছে।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা সাথে সাথে ফরেনবডি ফরছেপ এর মাধ্যমে স্টিকারটি বের করি। এর ১ ঘন্টা পর বাচ্চাটি খাবার খেতে দেই। আলহামদুলিল্লাহ কোনো বমি বা কোনো ধরনের সমস্যা হয় নাই।
ধন্যবাদ ডাঃ সুভা ও ডাঃ মুনমুন আপাসহ এই প্রসিডিওর অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যকে।
-------
ডাঃ কামাল হোসেন
ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট
কনসালটেন্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিআরবি হসপিটাল

20/09/2025

[১[
বুড়ো শাশুড়ি র হাত ধরে ছেলের বউ ঘরে ঢোকে।
দুইমাস ধরে শাশুড়ি র জরায়ু বের হয়ে আসছে। সাথে রক্ত ভাঙছে।

পরীক্ষা করে দেখি ইউটেরাইন প্রোলাপস ইউথ ডিকিউবিটাস আলসার (Second degree uterine prolapse with decubitus ulcer)।

সিদ্ধান্ত হয় ভ‍্যাজাইনাল প‍্যাকিং করে করে আলসার সারলে অপারেশন হবে।
অনেক রোগীই আর ফেরত আসেনা।

বুড়ো মানুষের জন‍্য টাকা খরচ করা অর্থহীন অনেক পরিবারেই।

একথা বলতেই ছেলের বউ বলে উঠে

-যত টাকাই লাগুক আমার শাশুড়ি কে অপারেশন করাব। আমার টুইন বাচ্চা র সময় যেভাবে আমার শাশুড়ি দেখেছে আমি কোনদিন ভুলব না। আমাকে উনি মেয়ের মত ই ভালোবাসেন। ডক্টরস ডায়েরি।

ওদিকে শাশুড়ি - বউমা দুজনের চোখেই জল।

মাঝখানে আমি অন‍্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে বসে থাকি। পাছে ওদের ভালোবাসা র অশ্রু আমাকে ভাসিয়ে নেয় এই ভয়ে।

বিদ্র: এটা আমার দেখা ভ‍্যালেনটাইন মাসের অন‍্যতম ভালোবাসা র গল্প।

[২]

রোগীর অবিরত কান্না।
দশ বছরের বিবাহিত জীবনে আটবার বাচ্চা নষ্ঠ হইছে।
শেষের বাচ্চা টা নয় মাসে পড়ে মারা গেছে।

আমার কাজ হাই রিস্ক প্রেগনেন্সী ডিল করা।
কিছু পরীক্ষা - নিরীক্ষা র রিপোর্ট লাগবে।

এখনো আশায় আছি।
চিকিৎসা পেলে হয়ত ওর কোল জুড়ে ফুটফুটে বাচ্চা হাসবে।

ওর স্বামী সহ দেখা করতে বলি।

কিন্তু স্বামী -শ্বশুড় বাড়ির সিদ্ধান্ত এই বউকে তারা রাখবে না। আমি বলি তার স্বামী সহ যেন আমার সাথে দেখা করে। আশা ফুরিয়ে যায়নি অন্তত এই কথাটা আমি তাকে বোঝাতে চাই। ডক্টরস ডায়েরি।

পরের বার স্বামী সাথে আসে ঠিকই।
আমার চেম্বারে ঢোকে না। শুকনো অশ্রু নিয়ে মেয়েটা একাই ঢোকে।
তার স্বামী তাকে নামিয়ে চলে গেছে। রাস্তা থেকে আমার চেম্বারের দরজার দূরত্ব বড়ই বেশী।

হয়ত আমার কথা শুনলে ওর সংসার টা টিকে যেত।

বিদ্র: দশ বছর পাশাপাশি থাকলেও ভালোবাসা যায় না। ভ‍্যালেনটাইন মাসে দেখা সবচাইতে দূরত্বে র গল্প এটা।

[৩]

রোগীনীর চোখে অপার শূন্যতা।
ছয় সপ্তাহে র প্রেগনেন্ট। অথচ একফোটা আনন্দ নেই।
কারন
ছয় মাস আগেই তার ছেলেটা মারা যায় দুই বছর বারো দিন বয়সে।

নরমাল ডেলিভারী র জন‍্য বাসায় চেষ্টা করে করে ব্রেনে আঘাত লাগার পর সিজার করে সে সেরিব্রাল পালসি ( Cerebral palsy) র বাচ্চা জন্ম দেয়। ডক্টরস ডায়েরি।

তার প‍্রথম বাচ্চা মাত্র সতের দিন বেচে ছিল।

দশ বছরের বিবাহিত জীবনে একটাও জীবিত বাচ্চা নেই।
মেয়েটা বাড়ি বাড়ি কাজ করে।
তার স্বামী এখন কাজ করতে দিচ্ছে না। পেয়ারা, আপেল কিনে কিনে বউকে খাওয়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ঝা চকচকে ক্লিনিকের দেয়ালে রোগীর মলিন মুখ আর ওর স্বামী র মায়াভরা চোখ আমাকে অকারন আদ্র্র করে দেয়।

বিদ্র: এবারের ভ‍্যালেনটাইন মাসের এটাই আমার কাছে স্নিগ্ধ ভালোবাসার গল্প।

(চিকিৎসক হিসাবে চিকিৎসা র দায়িত্ব আমার। কিন্তু রোগীর মানবিক গল্পগুলো ই আমাকে কেন জানিনা নাড়া দেয় বেশী।)

© ডা. সুলতানা স্মৃতি

20/09/2025

আট দশ পদের রান্না করেছিলাম সেদিন, সব গুলো রান্না অমৃত হলেও একটাতে লবণ কম হওয়াতে শ্বাশুড়ী যখন মুখ বেকিয়ে বলল,
- লবণ দেওয়ার সময় মন কোথায় থাকে?

আমি বলেছিলাম, এত গুলো রান্নার মধ্যে একটা তো এদিক ওদিক হবে৷ আমি তো আর রোবট না।

উনি পাত থেকে সে তরকারি ফেলে দিতে দিতে বলেছিলেন, বউ হতে গেলে রোবটের চেয়ে বেশি হতে হয়।

ঘর ভর্তি গেস্টের সামনে আমি পানি দিয়ে ভাত আর রাগ দুইটায় গিলে খেয়েছিলাম।সবাই চুপ ছিলো কেউ কোন উত্তর দেয় নি আমার হয়ে।
রাতের বেলা, শুধু সে তরকারির লবণ ঠিক রেখে অন্য সব তরকারির লবণ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।

সবাই বুঝে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছিলো, যেন আমি একটা আতংক। আমি নির্বিকারে যে তরকারির জন্য সকালে কথা শুনানো হয়েছিলো সেটা দিয়ে খেয়ে নিলাম।

পরে সবাই বলেছিলো,
-সকালে সব ভালোই ছিলো৷ শুধু শুধু রাগালে মেয়েটাকে, কষ্ট করে রান্না করেছিলো।

কিন্তু সকালে কেউ আমার হয়ে একটা কথা বলে নি।

এরপর থেকে কেউ আমাকে এইভাবে বলার সাহস পেত না৷
এমন না যে আমি সমালোচনা শুনতে ভয় পাই। ব্যাপার টা হলো মূল্যায়নের। আমি যে এত কষ্ট করে এত রান্না করেছি, সেটার মূল্যায়ন তারা করে নি৷ নয় টা রান্নার গুন যখন একটাকে ছাপিয়ে যায় নি, সেখানে আমার মূল্যায়ন হয় নি। আমার কষ্টের মূল্যায়ন হয় নি।

পরবর্তীতে এইরকম কিছু বলার আগে তারা ভেবেছে। এবং ভাববে৷
প্রতিদিন বিকালে নানা রকম নাস্তা বানাই আমি, ঘরের এক সদস্য বলেছিলো, তার খেতে ইচ্ছে না। তবে সে খেত সব। তার যে ইচ্ছে করে না তা সে বাড়িয়ে চড়িয়ে বলত।

পরবর্তীতে আমি তার জন্য ছাড়া সবার জন্য নাস্তা বানিয়েছে৷ বেশ ভালো পদের৷ শুধু তাকেই দেওয়া হলো না।

এক গাল হেসে বলেছিলাম,
- ভালো লাগে না যখন, কষ্ট করে কেন খাবেন রোজ? আপনার ও কষ্ট কমল। আমার ও।

সে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো, যেন কোন শব্দেই খুঁজে পাচ্ছে না। তার বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য।

এমন না যে আমি তাকে অপছন্দ করি বা খাওয়াতে চাই না। কিন্তু সে আমার যত্ন টা দেখতো না। আমি রোজ নাস্তা বানাচ্ছি যত্ন করে নানা বাহারী সাজে, সেটার মূল্য দিতো না। আমার মূল্যায়ন সে করে নি। তাই আমি তাকে বুঝিয়েছি, কেউ যখন আপনার জন্য করছে তার মূল্যায়ন অবশ্যই দরকার৷

ভোর বেলা কেউ বের হচ্ছে, আমি রাতের র্নিঘুমতার শর্তেও ঘুম ঘুম চোখে উঠে কারো জন্য রুটি বানালাম, সে দেখল আমি বানাচ্ছি, নিষেধ করল না৷ সময় সুযোগ থাকার শর্তেও সে না খেয়ে চলে গেল৷

এরপরের বার থেকে আমি ঘুম থেকেই উঠি নি। যতই আমাকে ডাকা হোক।

এমন না যে আমি উঠতে পারব না কারো জন্য। কিন্তু তার জন্য আমার উঠাটা তাকে মূল্যায়ন করতে হবে।

আমার স্বামীর জন্য রাত অবধি ভাত নিয়ে বসে থাকার পর সে যখন আমি রান্না ঘর থেকে আসার আগেই খাওয়া শুরু দিতো, আমি খেয়েছি কিনা দেখতো ও না।

পরের বার থেকে আমি আগেই ভালো পিস টা দিয়ে খেয়ে বসে থাকতাম।
এমন না আমার অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে, কিন্তু যে আমার অপেক্ষার মূল্যায়ন করবে না। তার জন্য আমি কেন বসে থাকবো?

তার হাজার দোষ থাকার শর্তেও সে যখন আত্মীয় স্বজনের সামনে আমার ছোট্ট ভুলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।

আমি তার হাজার খানিক দোষ রসিয়ে রসিয়ে শুনিয়েছি সবাইকে।
এমন না যে আমি প্রতিশোধ প্রবণ। কিন্তু তাকে বুঝিয়েছি, প্রিয় মানুষ টার সম্মান রাখা নিজেরেই দায়িত্ব।

আমাকেও মূল্যায়ন করতে হবে, সে আমার একটা দোষ জানলে আমি তার হাজার টা জানি, আমি যখন কাউকে বলছি না সে কেন তা নিয়ে অন্য দের সাথে হাসাহাসি করবে?

এক আত্মীয়ের জন্য স্বেচ্চায় নিজেকে ছোট করেছিলাম, কিন্তু সে আড়ালেও আমাকে একটা ধন্যবাদ দেয় নি, এরপর থেকে আমি তার হাজার ডাকেও ফিরে তাকাই নি।

কারণ সে আমার সম্মানের মূল্যায়ন করে নি। আমার ছোট হওয়াটা তার কাছে কিছুই ছিল না।

যে বন্ধুটার মন খারাপে আমি রাত জেগে ছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততার অজুহাতে যখন সে আমার মেসেজ সিন করে ফেলে রেখেছিলো, যখন আমার কাউকে দরকার ছিলো, আমি আবার তার মন খারাপের রাতে অনলাইন থেকেও তার কল রিসিভ করি নি৷

কারণ সে আমাকে ব্যবহার করেছে, মূল্যায়ন না৷
ঘরে হোক বা বাইরে যেকোন কাজে মূল্যায়ন দরকার। সেটা সংসার হোক বা কর্মক্ষেত্র।

আপনি যখন অফিসের র্নিদিষ্ট কাজের বাইরে অন্য কাজ করবেন। যার জন্য আর্থিক মূল্য দেওয়া হবে না। তখন আপনার মূল্যায়ন দরকার।
ঘরে সবাইকে খুশি আপনি করতে পারবেন না৷ কিন্তু যখন আপনি চেষ্টা করছেন তখন থেকেই যদি আপনার মূল্যায়ন না হয় মনে রাখবেন আপনার মূল্যায়ন কখনো হবে না। কোন দিনেই না।

সংসার এইটা এমন একটা জায়গা যেখানে অন্যদের জন্য যখন করবেন তখন চাহিদা, প্রত্যাশা শুধু বাড়বেই। কখনো কমবে না।

আপনি সব ঠিকঠাক করতে করতে সবাই এমন ভাব করবে যেন আপনি মানুষেই নয়, হয় ঈশ্বর নয় কোন যন্ত্র। ডক্টরস ডায়েরি। কিন্তু ঈশ্বরের মূল্য ও আপনাকে দেওয়া হবে না।

অকথ্য ভাষা বলতে দুইবার ভাববে না। সত্যি ভাববে না। বিশ্বাস করুন।
তাই নিজেকে অত টা বিলিয়ে দেবেন না প্লিজ যেখানে সবাই মাড়িয়ে যাবে আর একটা শব্দ ও করবেন না।

এতে যদি আপনি ঝগড়াটে বা বেয়াদব আখ্যা পান, মেনে নেবেন। বিশ্বাস করুন অনেক ফ্রেশ মাইন্ডে থাকবেন। এইসব মানসিক যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকবেন৷

বেশি করে কথা শোনার চাইতে, কম করে দেখবেন বেশি সুনাম পাবেন যদি মূল্যায়ন টা দাঁড় করাতে পারেন।

অনেক পরিবারে দেখবেন কিছু মানুষ কে যা ইচ্ছে শোনানো যায়, কারণ তারা আবার ঠিক তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে। আবার কিছু মানুষ কে অন্যরা ভয় পায় কারণ তার মুখে কিছু আটকায় না। বললে রাগ করে ফেলে। ভুলেও কিছু বলে ফেললে রেশ থাকে অনেক দিন।

এরা কিন্তু কম পরিশ্রমে বেশি সুনাম পায়।
মূল্যায়ন চাওয়া মানে আপনাকে ঝামেলা করতে হবে না এমন না৷ স্রেফ নিজেও যে একটা আলাদা মানুষ। ভুল হবে, দোষ থাকবে, আবার ভালোও হবে সেটা বুঝাবেন হেসে৷ সড়ে গিয়ে, চুপ থেকে৷ কিংবা আমার মতো লবণ ঢেলে দিয়ে।

কারণ মূল্যায়ন ব্যাপার টা কেউ এসে এইটা আপনাকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে যাবে না। নিজেকেই করতে হবে সে জায়গা। সে মূল্যায়নের মনোভাব।
তাই নিজেকে মাঝেমধ্যে স্বার্থপর ও বানান যাতে আপনি যে স্বার্থপর না সেটা অন্যরা বুঝে।

#মূল্যায়ন
©️দোলনা বড়ুয়া তৃষা

20/09/2025

হাসপাতালের একজন স্টাফ এসে মধুর সুরে বললো,
-একটা কথা আছলো ম্যাডাম।

-বলো।
-হামার একটা রুগী আছলো ম্যাডাম। ওরা ডাইরেক সিজার করব্যার চায়। কিন্তু সমিস্যা,একটু মোটাসোটা। আপনি কি এঠি কর‍্যে দিবেন?
-রোগীর ওজন কত?
-ওজন? কত ব্যান হবি! কিন্তু মোটা মেলাই। মেলাই ওজন হবি।
-মেলা বলে তো কোন কথা নাই। ওজন কত সেটা বলো। ১০০ হবে?
-১০০ হবি না হয়তো! কাছাকাছিই হবি।
-তাও কত?
-তা তো কওয়া পারিচ্চি না ম্যাডাম। এই মুনে করেন আপনার মুতোনই মোটা।

🙄🙄🙄🙄🥵🥵🥵🥵🥵👹👹👹👹👹

---------------
©ফাহমিদা নীলা

গুলিস্থান ফ্লাইওভারের নিচে পুরাতন জুতার মার্কেট বসে। প্রথম যখন দেখেছিলাম তখন অবাক না হয়ে পারি নি। বিস্ময়কর বিষয় সেখানে...
18/09/2025

গুলিস্থান ফ্লাইওভারের নিচে পুরাতন জুতার মার্কেট বসে। প্রথম যখন দেখেছিলাম তখন অবাক না হয়ে পারি নি। বিস্ময়কর বিষয় সেখানে মেয়ে বা বাচ্চাদেরদের পুরাতন জুতা নাই/বিক্রয়ও হয় না।

এক দোকানীর সাথে এই ব্যাপারে কথা বললাম, দোকানী বললো " মামা মেয়েদের বা বাচ্চাদের পুরাতন জুতা বিক্রি করলে কে কিনবে.?
আপনিকি কিনবেন কখনো? কোন স্বামী বা বাবা নিজে পুরাতন জুতা কিনে পরলেও নিজের স্ত্রী-সন্তানের জন্য কোন দিন পুরাতন জুতা কিনবে না, কেনা পছন্দ করবে না। অনেক স্বামী ও বাবাকে নিজের জন্য পুরাতন জামা-কাপড় কিনতে দেখেছি কিন্তু স্ত্রী-সন্তানদের জন্য পুরাতন জামা-কাপড় ও জুতা কিনতে দেখিনি কখনো।

ভেবে দেখলাম কথা সত্য, স্ত্রী ও সন্তানরা হয়তো এভাবে কোনোদিন ভাববেও না🙂
পুরুষ পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে রাতদিন খেটে যায়, সেই পুরুষই দিনশেষে কি পায়?

©

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডক্টরস ডায়েরী - Doctors' Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram