Dr.Salim Ahmed

Dr.Salim Ahmed এলার্জি,চুলকানি,একজিমা,একশিরা,হার্নিয়া,চর্মরোগ যৌন দুর্বলতা,দ্রুত বীর্যপাত, স্বপ্নদোষ,আঁচিল,চিকিৎসা দেওয়া হয়।

🧄 Allium sativum Q 🔹 উৎস:এটি তৈরি হয় Garlic (রসুন) থেকে।পরিবার: Liliaceaeপ্রমাণিত করেছেন: Dr. Hering ও Dr. Teste⚕️ সাধার...
24/10/2025

🧄 Allium sativum Q
🔹 উৎস:
এটি তৈরি হয় Garlic (রসুন) থেকে।
পরিবার: Liliaceae
প্রমাণিত করেছেন: Dr. Hering ও Dr. Teste

⚕️ সাধারণ ক্রিয়া (General Action):
Allium sativum মানুষের শরীরে একদিকে পাচনতন্ত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, আবার অন্যদিকে রক্ত ও হৃদ্‌যন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
এটি রক্ত পরিশোধক, কোলেস্টেরল কমায়, এবং লিভার ও গলব্লাডারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

⚙️ প্রধান ক্রিয়াস্থান (Sphere of Action):
পেট ও অন্ত্র
লিভার ও গলব্লাডার
রক্তনালী ও হৃদ্‌যন্ত্র
জয়েন্ট (গাঁট)
ত্বক ও কিডনি

প্রধান উপসর্গ (Characteristic Symptoms):
1. পাচনতন্ত্রে (Digestive System):
ভারী খাবার খেলে হজম হয় না।
ঢেঁকুরে রসুনের গন্ধ পাওয়া যায়।
পেটে গ্যাস জমে, ফাঁপে ও চাপ লাগে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা অনিয়মিত পায়খানা হতে পারে।
পিত্ত বেশি হলে জ্বালাপোড়া ও অম্বল হয়।

2. লিভার ও গলব্লাডারে (Liver & Gall Bladder):
জন্ডিস বা লিভারের দুর্বলতায় উপকারী।
পিত্ত জমে থাকলে ও মুখে তেতো ভাব হলে এটি কার্যকর।
লিভার বড় ও ভারী অনুভূত হয়।

3. রক্ত ও হৃদ্‌যন্ত্রে (Blood & Heart):
রক্তে কোলেস্টেরল বেশি হলে কাজ করে।
রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে।
উচ্চ রক্তচাপে উপকারী।
হার্টের দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় বা ক্লান্তি দূর করে।

4. গাঁটের ব্যথা (Rheumatic Affections):
শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি ও জড়তা অনুভব হয়।
হাঁটু, কোমর ও কাঁধে ব্যথা, বিশেষ করে ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায়।

5. ত্বক ও মূত্রতন্ত্রে (Skin & Urinary System):
শরীরে ফোঁড়া বা রক্তদূষণ জাতীয় সমস্যা হলে উপকারী।
প্রস্রাব কমে যাওয়া বা জ্বালাপোড়া হলে সাহায্য করে।

💧 ডোজ ও প্রয়োগ:
Allium sativum Q – 10 থেকে 15 ফোঁটা, আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে ২–৩ বার।
খাবারের পর খাওয়া ভালো।
দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে রক্তচর্বি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

⚠️ সতর্কতা:
অতিরিক্ত ব্যবহার করলে মুখে বা শরীরে রসুনের গন্ধ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বা বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত।

Tribulus terrestris Q (ট্রিবুলাস টেরেস্ট্রিস Q)–এর কাজ শুধু যৌন ও মূত্রনালী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয় — এটি পুরো শরীরের টনিক ও...
21/10/2025

Tribulus terrestris Q (ট্রিবুলাস টেরেস্ট্রিস Q)–এর কাজ শুধু যৌন ও মূত্রনালী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয় — এটি পুরো শরীরের টনিক ও শক্তিবর্ধক হিসেবে বহুমুখীভাবে কাজ করে। নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম 👇
🌿 Tribulus terrestris Q-এর আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ.

✅ কিডনি ও মূত্রনালী সিস্টেমে
প্রস্রাব কম বা বন্ধ হলে মূত্র প্রবাহ বাড়ায়।
প্রস্রাবে জ্বালা, ব্যথা, ঘোলা বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবে উপকার করে।
কিডনি স্টোন বা ইউরিনারি ইনফেকশন (UTI)-এ সহায়ক।
মূত্রে প্রোটিন বা পুঁজ থাকলে তা কমায়।
✅ পুরুষদের প্রজনন শক্তি ও হরমোন ব্যালান্সে
শুক্রাণুর পরিমাণ ও গুণমান (s***m count & motility) উন্নত করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রাকৃতিক উৎপাদন উদ্দীপিত করে।
যৌন ক্লান্তি, নপুংসকতা (impotency) ও যৌন উদাসীনতা দূর করে।
যৌনাঙ্গের নার্ভে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে প্রাকৃতিক শক্তি ফিরিয়ে আনে।
✅ নার্ভ ও মানসিক টনিক হিসেবে
স্নায়ুর দুর্বলতা ও মানসিক ক্লান্তি কমায়।
অতিরিক্ত চিন্তা, দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ থেকে সৃষ্ট দুর্বলতা দূর করে।
ঘুমের মান উন্নত করে ও মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
✅ হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপের ক্ষেত্রে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক (বিশেষত হাই ব্লাড প্রেসারে)।
হৃদপিণ্ডের পেশি শক্তিশালী করে।
রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
✅শারীরিক শক্তিবর্ধক হিসেবে
দীর্ঘ রোগের পর দুর্বলতা দূর করে।
বয়স্ক ও দুর্বল রোগীদের শক্তি ও প্রাণশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
শরীরের প্রাকৃতিক স্ট্যামিনা ও সহনশক্তি বাড়ায়।
💧 ডোজ (Dosage):
👉 10–15 ফোঁটা Tribulus terrestris Q আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে 2–3 বার খাবেন।
👉 দীর্ঘমেয়াদি দুর্বলতার ক্ষেত্রে ১–২ মাস নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

Alserum 7X শুধু কিডনি বা প্রস্রাবের সমস্যায় নয় — এটি শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য...
19/10/2025

Alserum 7X শুধু কিডনি বা প্রস্রাবের সমস্যায় নয় — এটি শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
চলুন বিস্তারিতভাবে দেখি👇
⚕️ Alserum 7X-এর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো

🩸 1. রক্ত পরিষ্কার ও পরিশোধনকারী
রক্তে ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে তা কমাতে সাহায্য করে
“রক্ত নোংরা” হলে — ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, ঘা বা দানা উঠলে ভালো কাজ দেয়।
💧 2. কিডনি ডিটক্সিফায়ার (Kidney Detox)
কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে
প্রস্রাব কম হওয়া, ভারি প্রস্রাব, বা ফেনাযুক্ত প্রস্রাব
কিডনি ফেইলিউরের শুরুতে supportive medicine হিসেবে ব্যবহার হয়
🧠 3. মস্তিষ্কে টক্সিন জমে যাওয়া (Uremic Encephalopathy)
রোগী ঘুমঘুম, অলস, বিভ্রান্ত থাকে
মাথা ভারী লাগে, চোখ ফুলে যায়
👉 এই অবস্থায় Alserum 7X অত্যন্ত উপকারী
❤️ 4. হার্ট-জনিত পানি জমা (Cardiac Dropsy)
হার্ট দুর্বল হলে শরীরে পানি জমে
মুখ, পা, পেট ফুলে যায়
Alserum 7X রক্ত পরিশোধন ও পানি নিষ্কাশনে সহায়তা করে
🧍‍♂️ 5. সারা শরীরের বিষক্রিয়া (Toxaemia / Septic condition)
শরীরে সংক্রমণ বা বিষক্রিয়া হলে
রক্তে টক্সিন বেড়ে যায়
👉 এটি anti-toxic action হিসেবে কাজ করে
🦠 6. লিভার-কিডনি যৌথ সমস্যা
লিভার বড়, পিত্ত নিঃসরণ কম
প্রস্রাবের রঙ গাঢ় বা বাদামী
Alserum 7X লিভার ও কিডনির যৌথ সমন্বয় করে কাজর।

🌿 Iris versicolor Q – প্রধান কার্যকারিতা১. অম্লতা (Acidity) ও বদহজম👉মুখে ও গলায় জ্বালাপোড়া অনুভব হয়।👉পেটের ভিতর ও বুকের ...
17/10/2025

🌿 Iris versicolor Q – প্রধান কার্যকারিতা

১. অম্লতা (Acidity) ও বদহজম
👉মুখে ও গলায় জ্বালাপোড়া অনুভব হয়।
👉পেটের ভিতর ও বুকের দিকে আগুনের মতো জ্বালায়।
👉টক ঢেঁকুর, বমি, বা অম্ল বমি হয়।
👉অতিরিক্ত খেলে, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবারে সমস্যা বাড়ে।
২. মাইগ্রেন বা অম্লতা-জনিত মাথাব্যথা
👉মাথাব্যথা শুরু হয় চোখের পাশে বা কপাল থেকে এবং সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকে।
👉সাধারণত খাবার হজম না হলে বা গ্যাসের কারণে এই মাথাব্যথা হয়।
👉ব্যথা সাধারণত একদিক থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে।
৩. লিভার ও গলব্লাডারের সমস্যা
👉জন্ডিস বা লিভার ইনফ্লামেশন হলে সাহায্য করে।
👉গলব্লাডার থেকে বাইল নিঃসরণে গড়মড় হলে তা ঠিক করে।
👉খাবারে অনীহা, মুখে তিতা ভাব, জিহ্বা ভারী হওয়া—এসব লক্ষণে উপকারী।
৪. ত্বকের সমস্যা
👉রুক্ষ, খসখসে, চুলকানি বা ছোট ছোট ফোস্কা জাতীয় র‍্যাশে কার্যকর।
👉বিশেষ করে অম্লতা বা লিভারের সমস্যা থেকে সৃষ্ট ত্বকের রোগে ভালো কাজ করে।
💧 ডোজ
সাধারণত Iris versicolor Q (mother tincture) ১০–১৫ ফোঁটা ½ কাপ পানিতে মিশিয়ে
দিনে ২–৩ বার খাবারের আগে খাওয়া হয়।

ডা: সেলিম আহমেদ
01317247815

Sabal serruleta প্রস্টেটের ক্ষেত্রেএর ইন্ডিকেশন কি? প্রোস্টেট অনেক কারনে বৃদ্ধি পায়।যেমন  ১. বয়সজনিত হরমোন পরিবর্তনবয়স ব...
29/07/2025

Sabal serruleta
প্রস্টেটের ক্ষেত্রে
এর ইন্ডিকেশন কি?
প্রোস্টেট অনেক কারনে বৃদ্ধি পায়।

যেমন

১. বয়সজনিত হরমোন পরিবর্তন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমতে থাকে, কিন্তু ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্ড্রোজেন প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে জমা হতে থাকে।

এই DHT প্রোস্টেট কোষকে বারবার বিভাজিত হতে বাধ্য করে, ফলে প্রোস্টেট ধীরে ধীরে বড় হয়ে যায়।

২. ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা
বয়সের সঙ্গে টেস্টোস্টেরন কমে গেলেও ইস্ট্রোজেন (পুরুষদের শরীরেও সামান্য পরিমাণে থাকে) তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।

ইস্ট্রোজেন এবং DHT এর এই ভারসাম্যহীনতা প্রোস্টেট বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

৩. জেনেটিক ফ্যাক্টর (বংশগত প্রবণতা)
পরিবারে যদি কারো BPH থাকে, তাহলে অন্য পুরুষ সদস্যদের মধ্যেও তা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

৪. ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন (দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ)
প্রোস্টেট টিস্যুতে দীর্ঘদিনের ইনফ্ল্যামেশন কোষ বিভাজনের হার বাড়িয়ে দেয়, যা প্রোস্টেট বাড়ার কারণ হতে পারে।

৫. মেটাবলিক সিনড্রোম ও জীবনযাত্রা
স্থূলতা, হাইপারটেনশন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ইত্যাদি মেটাবলিক সমস্যাগুলো প্রোস্টেট বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।

কম চলাফেরা, ফ্যাটযুক্ত খাবার, ধূমপান, মদ্যপান এগুলো ঝুঁকি বাড়ায়।

৬. টেস্টোস্টেরনের স্থায়িত্ব এবং ৫-আলফা রিডাক্টেজ এনজাইম
শরীরে থাকা ৫-আলফা রিডাক্টেজ নামক এনজাইম, টেস্টোস্টেরনকে DHT-তে রূপান্তর করে।

এই DHT হল সেই মূল হরমোন যা প্রোস্টেট বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

সেবাল সার প্লান্টে থাকে Phytosterols (β-sitosterol) যা
5-alpha-reductase enzyme কে inhibit করে, ফলে DHT (Dihydrotestosterone) কমে, যা প্রোস্টেট এনলার্জমেন্ট ঘটায়।

অর্থাৎ বয়স জনিত কারনে যদি দেহে DHT বাড়ে এবং এর জন্য যদি প্রোস্টেট বড় হয় তাহলে
সেবাল সার একটি চমৎকার ড্রাগস,
অন্য কারনে প্রোস্টেট বড় হলে সেবালের কোন ভুমিকাই নাই বললেই চলে।

সেবাল সেরু দেওয়ার আগে
Serum DHT (Dihydrotestosterone) পরিক্ষা করে নিলে সহজেই এর ইন্ডিকেশন বুঝা যাবে।
(C)

24/04/2025

🍀পালসেটিলা
🍁Pulsatilla pratensis
গুরুপাক খাবার অর্থাৎ তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা হলে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। গর্ভধারণের কারণে পেট ব্যথা হলেও ইহা প্রযোজ্য।পালসের রোগীরা অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র হয়। এ জন্য শান্ত শ্লিষ্ট নম্র ভদ্র কাউকে দেখলেই আমরা পালস কে মনে করি। কিন্তু পালস ছাড়া আর কোন কোন ঔষধের রোগী শান্ত নম্র ভদ্র?চেম্বারে অনেক রোগী পাবেন -যারা রোগের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদে , তারা সবাই পালসেটিলার রোগী । পালসের রোগী অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির, ক্রন্দলশীল, অত্যন্ত অভিমানী, রোগী যেমন চুপচাপ ঠান্ডা থাকতে পছন্দ করেন, তেমনি ঠান্ডা খেতে ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে । মুক্তহাওয়া তার বড়ই পছন্দ । যারা খুব চন্ছল ,তারা পালসের রোগী হতে পারেনা এ কথা সবার মনে রাখা দরকার ।

🍁Pulsatilla – পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস/ ঠান্ডা খাবার/ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।
রোগী গরম কাতর তবে গোছল পছন্দ করেনা । এ লক্ষন টি সালফারের ও চমৎকার লক্ষন । পালসের রোগীর একপাশে ঘাম, এক পাশে শুষ্ক থাকে । এটি একটি আনকমন লক্ষন তাই মনে রাখা দরকার ।পালসের সমস্ত রোগ ধিরে ধিরে বৃদ্ধি হয় । এ কথাটি মুক্তাসম - যখনি কোন রোগীর রোগ আক্রমণ ধীরে বৃদ্ধি দেখবেন তখন শত শত ঔষধ বাদ দিয়ে অল্প কয়েক টি ঔষধের মধ্যে চলে আসা যায় । রোগ আক্রমণের গতি ধীর ও মৃদু প্রকৃতির প্রথম শ্রেনির ঔষধ হল- ব্রায়েনিয়া , জেলস, কোনিয়াম, ককিউলাস , এলুমিনা, সাইলেসিয়া , এন্টিমটার্ট , আইওডিয়াম, লাইকো ইত্যাদি I খাওয়ার পর লাইকো কাপড় ঢিলা করে দেয় , নতুবা অস্থিরতা শুরু হয়, পালসেটিলা তার বিপরীত । পালসেটিলা কাপড় জোরে কষে বাঁধলে আরাম পান ।

🍁Pulsatilla pratensis – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে
তরুন রোগের সহিত শীতবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । যতব্যথা ততশীত । ঋতু বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত গেলে পালস কে স্মরন করবেন । পালসের রোগী বামপাশে শুইতে পারেনা, মার্কসলের রোগী ডান পাশে শুইতে পারেনা ।
পালসের রোগী তার বিছানার চাদরের মাঝে উলঙ্গ মানুষের ছবি দেখতে পায় । ঋতু আবদ্ধ হওয়ার পর তার এই মনোলক্ষন্য দেখা দেয় । কখনো কখনো সে দেখে শয়তান তাকে নিতে আসছে, তার মন এই ভাল এই খারাপ,এই হাসে, এই কাঁদে । পালসের রোগী লোভী ও হিংসুক হয়, নাক্স ও লাইকোর রোগী অনেকটাই হিংসুক । মাথার ভিতরে পিছনের দিকে , একপাশে অতি তীব্র যন্তনা অনুভুত হয়।মনে হয় একটা পেরেক সজোরে মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে । এই লক্ষন টা পালসের খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । অনেক রোগী এসে বলে " মাথা ব্যাথার সময় আমার মাথার মধ্যে যেন কেউ পেরেক মারতেছে । এটা শুনলেই পালস কে চিন্তা করবেন । রোগী সাধারনত কানে শুনেনা কিন্তু গাড়ী বা ট্রেনের শব্দে সব কিছু শুনতে পায় এটি পালসের আনকমন লক্ষন । পালসের উদরাময়ের মল একবার এক রকম হয়, কখনো সাদা, কখনো পানির মত, কখনো আম মিশ্রিত । ঘৃত, দুধ, মাখন,ইলিশ মাছ পোলাও খাইয়া পেটে সমস্যা হলে পালস তাদের জন্য ধন্বস্তরী । কেবল গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে । বয়স হওয়া শর্তে ও স্ত্রী যন্ত্রের ঠিকমত উন্নতি না বলে লক্ষন থাকলে পালসেটিলা ভাল ফল দেয় । পালসের লক্ষন না থাকলে হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ক্যালকেরিয়া ফস কে ভুলবেন না । দাঁতের ব্যথা সাধারনত গরম জ্বলে উপশম , কিন্তু পালসের ঠান্ডা জলে উপশম । ঠান্ডা জলে উপশম অন্যান্য ঔষধ হল ব্রায়োনিয়া , কফিয়া, নেট্টাম সালফ, ও বিসমাথ ।

🍁Pulsatilla – পালসেটিলা ঔষধটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। ঠান্ডা মেজাজী এবং কথায় কথায় চোখ দিয়ে পানি ঝরে এমন মেয়েদের ওপর এটি বেশী কাজ করে।
ইগ্নেসিয়াতেও সর্বদা বিষণ্ন ও দুঃখিতভাব আছে,কিন্তু পালসেটিলার রোগীণীর মত সান্ত্বনা প্রাপ্তির আশায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া নিজ দুঃখের বিষয় অপরকে জানাইতে চাই না, সে শোকদুঃখ নীরবে সহ্য করে।।ষ্ট্যানাম মোটেও পালসেটিলার মত সামন্য কারণে কান্না করা আছে।ষ্ট্যানাম মেটের রোগী শীর্ণ এবং বক্ষঃস্থলে সাতিশয় দুর্বলতা অনুভব করে।ফুসফুসের অসুখ হইলে ভাবিয়া আকুল হয় এবং নিরাশায় কান্না করে,সে মনে তার মৃত্য হইবে। লাইকোর রোগী ধন্যবাদ দিলে কান্না করে।রোগী পিপাসাহীনতা দেখলে শত ঔষধ ফেলে গুটি কয়েক ঔষধ কে স্মরন করতে হয়। পালস তন্মধ্যে অন্যতম । এই পিপাসাহীনতার সব ঔষধ গুলোকে মনে রাখার জন্য আমি একটা সেন্টেন্স তৈরী করেছি। আপনারাও ইচ্ছে করলে মুখস্ত করে রাখতে পারেন। "পানির পিপাসা না থাকলে ইথু""পাল" কে পাঠিয়ে "জেল"এপি" কিনে "ইপিকে" দিয়ে নাইট্রিক এসিডকে দিও। অত্র লাইনে পিপাসাহীনতা ঔষধ - ইথু= ইথুজা, পাল= পালসেটিলা, জেল= জেলসিমিয়াম , এপি= এপিস,ইপি= ইপিকাক, এবং এসিড নাইট।

🍁Pulsatilla pratensis – যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং নানানভাবে সান্ত্বনা দিলে ভালো থাকে, তাদের টেনশানে পালসেটিলা প্রযোজ্য।
কারন কষ্ট বারে । কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুইতে পছন্দ করে । এ লক্ষন টি লাইকো ও কষ্টিকাম মেডোরিনামেও আছে
যে সব মহিলারা অতিরিক্ত বাচাল তাদের কে ল্যাকেসিস, যারা ঝগডাটে তারা লিডাম, আর শান্তরা পালস। আমাদের একটিভ নারীরা বেশীর ভাগ পালস। তবে আমার মনে হয় এ ভাবে চিন্তা করা ঠিক হচ্ছেনা। আরো কয়েকটি ঔষধের রোগী শান্ত ও বাচাল হয়। আমার মনে বয় পার্সেন্টিজ একটু চেন্জ করতে হবে। পালসেটিলার স্থান এক নম্বরে। এটি স্নেহপরায়ন, কথায় কথায় কেদে ফেলে, খুব সহজেই মোটা হয়ে যায়….এই ধরণের মেয়েদের বেলায় ভালো কাজ করে। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।বর্তমানে সবকিছুর দাম যেভাবে বেডেছে তাতে প্রকৃত আয় দ্বারা সংসার চালানো কঠিন। তাই অধিকাংশ মানুষ অবৈধ ভাবে উপরি ইনকাম করছে। অথবা অন্যথেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। যা হারাম।
আর হারাম ইনকামের আয়ের টাকা খেলে মানুষের লজ্জা উঠে যাবে। তার প্রমান আদম ও হাওয়া( আ)।সবাই সুস্হ্য থাকবেন, ভাল
থাকবেন শুভকামনা সবসময়।
📗হোমিওপ্যাথিক টিপস

Cholecystitis ( পিত্তথলীর প্রদাহ)কোলেসিস্টাইটিস হল পিত্তথলির প্রদাহ, সাধারণত পিত্তথলির পাথর সিস্টিক নালীকে ব্লক করার কার...
22/03/2025

Cholecystitis ( পিত্তথলীর প্রদাহ)
কোলেসিস্টাইটিস হল পিত্তথলির প্রদাহ, সাধারণত পিত্তথলির পাথর সিস্টিক নালীকে ব্লক করার কারণে ঘটে। এই অবস্থাটি যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে তবে মহিলাদের, বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের এবং স্থূলত্ব বা দ্রুত ওজন হ্রাসের মতো নির্দিষ্ট ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে এটি বেশি সাধারণ। কোলেসিস্টাইটিস প্রায়ই তীব্র পেটে ব্যথা, জ্বর এবং বমি বমি ভাবের সাথে উপস্থাপন করে।
যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যেমন পিত্তকোষ ফেটে যাওয়া বা সেপসিস, অবিলম্বে চিকিত্সার যত্নকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। চিকিত্সা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা ব্যবস্থাপনা, এবং প্রায়ই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলি অপসারণ জড়িত। নিয়মিত চেক-আপ এবং আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্রীনিং প্রাথমিকভাবে পিত্তথলির পাথর শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্ভাব্য কোলেসিস্টাইটিসের বিকাশকে এড়াতে পারে

♦️ কোলেসিস্টাইটিস এর প্রকার:-
কোলেসিস্টাইটিস দুটি প্রধান প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে: তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী।

👉তীব্র কোলেসিস্টাইটিস
তীব্র কোলেসিস্টাইটিস গলব্লাডারের আকস্মিক প্রদাহ। এটি প্রায়শই পিত্তথলি দ্বারা সিস্টিক নালীতে বাধার ফলে হয়। এই বাধার ফলে পিত্ত জমা হতে পারে, যার ফলে প্রদাহ এবং সংক্রমণ হতে পারে। তীব্র কোলেসিস্টাইটিস একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি হতে পারে যার জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন

👉দীর্ঘস্থায়ী কোলেসিস্টাইটিস
দীর্ঘস্থায়ী কোলেসিস্টাইটিস হল গলব্লাডারের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ। এটি সাধারণত তীব্র cholecystitis এর পুনরাবৃত্তি পর্বের ফলে হয়, যা পিত্তথলির প্রাচীর ঘন হয়ে যেতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত দাগ পড়তে পারে। এই ধরনের cholecystitis সময়ের সাথে ধীরে ধীরে বিকাশ করে।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস লক্ষন :-
★ উপরের ডানদিকে বা মাঝখানে তীব্র, অবিরাম ব্যথা উদর, যা পিছনে বা ডান কাঁধে বিকিরণ করতে পারে।
★ খাওয়ার পরে ব্যথা তীব্র হয়, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার।

★ উপরের ডানদিকে পেটে কোমলতা বা ফোলাভাব।
★ বমি বমি ভাব এবং বমি বমি ভাব।
★ নিম্ন-গ্রেডের জ্বর এবং সর্দি।
★ ত্বকের হলুদ আভা এবং চোখের সাদা অংশ (জন্ডিস)।
★ ক্ষুধামান্দ্য এবং ওজন হ্রাস ।
★ পেট পূর্ণতা বা ফোলা অনুভূতি।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস কারন :-
বিভিন্ন কারণের কারণে কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে, যার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল পিত্তথলির পাথর।

★ গাল্স্তন
পিত্তথলি হল পাচক তরলের শক্ত জমা যা গলব্লাডারে তৈরি হতে পারে। তারা সিস্টিক নালী ব্লক করতে পারে, যা প্রদাহ এবং সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করে।

★ টিউমার
পিত্তথলিতে টিউমার পিত্ত নালীকে ব্লক করতে পারে, যার ফলে পিত্ত জমা হয় এবং কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে।

★ পিত্ত নালীর সমস্যা
পিত্ত নালীগুলির সমস্যা, যেমন দাগ বা সরু হয়ে যাওয়া, পিত্ত প্রবাহকে ব্যাহত করতে পারে এবং প্রদাহ হতে পারে

★ সংক্রমণ
কিছু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ cholecystitis হতে পারে। এই সংক্রমণগুলি অন্ত্র থেকে গলব্লাডারে যেতে পারে।

★ রক্তনালীর সমস্যা
যে অবস্থাগুলি পিত্তথলিতে রক্ত ​​​​প্রবাহকে প্রভাবিত করে সেগুলিও কোলেসিস্টাইটিস হতে পারে। রক্তের প্রবাহ কমে গেলে অঙ্গের প্রদাহ এবং ক্ষতি হতে পারে।

♦️ কোলেসিস্টাইটিস পরিক্ষা :-
★ রক্ত পরীক্ষা।
★ আল্ট্রাসাউন্ড।
★ গলব্লাডার স্ক্যান।
★ পারমাণবিক স্ক্যানিং পরীক্ষা।

✅ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহন করলে আল্লাহর রহমতে সমস্যা সমাধান হয়

16/03/2025

আজ দ্বীর্ঘ ১২ বছর আইনী লড়াই শেষে ( রাষ্ট বনাম মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট)
বি এম ডি সি আইন অনুযায়ী MBBS এবং BDS বাদে কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

বি এম ডি সি ( বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) মূলতো দুই ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেন
১) রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ( MBBS)
২) মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (MATS)
BMDS আইন অনুযায়ী শুধু মাত্র MBBS এবং BDS চিকিৎসকরা নামের পূর্বে ডাক্তার প্রিফেক্স ব্যবহার করতে পারবে।

মেডিকেল এসিস্ট্যান্টগন নামের পূর্বে ডাক্তার প্রিফেক্স ইউজ করতে পারবে না ( BMDC চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০১০)
সেই আইনের পরিপেক্ষিতে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গন একটি রীট করেন যা দ্বীর্ঘ ১২ বছর আজকে খারিজ করে দেওয়া হলো এবং মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গন নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

আইনটি শুধুমাত্র মেডিকেল এবং ডেন্টাল চিকিৎসকদের জন্য প্রযোর্জ্য।
অর্থা কেউ মেডিকেল অথবা দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে হলে অবশ্যই MBBS অথবা BDS হতে হবে।

এই আইন হোমিওপ্যাথির জন্য প্রযোজ্য না।
হোমিওপ্যাথি স্বায়ত্তশাসিত আইন আছে, যা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন নামে পরিচিত,
এবং BMDC বা বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল এর মত পূর্ন ক্ষমতাবান একটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও শিক্ষা কাউন্সিল রয়েছে।
যেখানে বলা আছে BHMS এবং DHMS ব্যতিত কেউ নামের পূর্ব ডাক্তার লিখে হোমিওপ্যাথি সেবা দিতে পারবে না।

অর্থাৎ কেউ যদি এই দুটো ডিগ্রী ব্যতি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ডাক্তারী করেন বা নামের পূর্বে ডাক্তার লিখেন তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

আজকের রায়টি হবার পর মিডিয়া যেভাবে কাভার করছে, MBBS এবং BDS ব্যতিত কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

উক্ত নিউজে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে।
আসলে নিউজটি এমন হতে পারতো, MBBS এবং BDS বাদে কেউ মেডিকেল এবং দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না। যেহেতু আইনটি শুধু মাত্র BMDC নিবন্ধিত চিকিৎসকদের।

আমাদের হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল এর উচিৎ একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া যেখানে বলা থাকবে হোমিওপ্যাথি তার স্বতন্ত্র আইনে চলে BMDC র আইনের সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কোন সম্পর্ক নাই।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগন নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিতে পারবেন।

তবে কেউ যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হয়ে মেডিকেল অথবা ডেন্টাল প্রাক্টিস করেন তাহলে সে BMDC আইনে দন্ডিত হবেন।
কপি

14/03/2025

Gallstone (পিত্তপাথুরী)
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, পিত্তথলি হলো লিভার বা যকৃতের নিচে অবস্থিত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গ। এটি হজমে সহায়তা করার জন্য পিত্ত সংরক্ষণ ও নিঃসরণ করে। এই পিত্তথলিতে পিত্ত থাকে যেটি সাধারণত তরলে পূর্ণ থাকে, পানির চেয়ে একটু ঘন থাকে। কোনো কারণে তরল পিত্ত বা পিত্তরস ধীরে ধীরে ঘন হয়ে যেতে পারে, ঘন হয়ে শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং পাথর হয়ে যেতে পারে। তখন সেটিকে গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলির পাথর বলে। স্বাভাবিকভাবে পিত্ত তরল থাকে এই তরল পিত্ত কোনো কারণে যখন জমে শক্ত হয়ে যায় তখন তাকে পিত্ত পাথর বলে।পিত্তে অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা নিজেদের মধ্যে একটি সুষম অবস্থা বা ভারসাম্য বজায় রাখে। এই ভারসাম্য যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তখন তরল পিত্ত শক্ত হয়ে পাথর হয়ে যেতে পারে। রাসায়নিক উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন- পিত্তথলিতে যেকোনো ধরনের রোগ হলে, টিউমার, কোনো ধরনের সংক্রমণ। এছাড়া রক্তের রোগ থ্যালাসেমিয়া, হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পিত্তথলিতে পাথর কেনো হয় তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। পিত্তে পাথর যেকোনো বয়সে যে কারোরই হতে পারে।

♦️ Gallstone লক্ষন :-

★ হঠাৎ করে পেটে তীব্র ব্যথা, যা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
★ চোখ ও চামড়া হলুদ বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত পিত্তনালির কোনো সমস্যা দেখা দিলেই জন্ডিস হয়ে থাকে।
★ জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
★ উপরের পেটে ব্যথা
★ বমি বমি ভাব এবং বমি
★ মাথা ঘোরা
★ ডায়রিয়া
★ স্ফীত হত্তয়া
★ অতিরিক্ত গ্যাস
★ ডান দিকে পাঁজরের খাঁচার নীচে ব্যথা বা কোমলতা
★ কাঁধের ব্লেডের মধ্যে ব্যথা
★ গাঢ় রঙের প্রস্রাব এবং হালকা রঙের মলত্যাগ।
★ ফ্যাটি মল
★ বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজম হয়
★ Burping বা belching
★ পূর্ণতা বা খাবার হজম না হওয়ার অনুভূতি
★ কোষ্ঠকাঠিন্য বা ঘন ঘন জোলাপ ব্যবহার
★ চোখের উপর মাথাব্যথা, বিশেষ করে ডানদিকে
★ খাওয়ার পর তেতো তরল উঠে আসে

♦️ Gallstone কারন :-

যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা যাদের মেদবাহুল্য রয়েছে।

👉নারী ও পুরুষ
👉বয়স ৪০ বা এর বেশি।
👉চর্বিজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে।
👉শাকসবজি কম খেলে।
👉ইস্ট্রোজেনসম্পন্ন ওষুধ খেলে।
👉অতি দ্রুত ওজন হ্রাস করলে।
👉 বিশেষ ধরনের রক্তরোগ হলে।
👉 লিভার বা যকৃতের রোগ হল।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য
13/03/2025

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য

04/03/2025

ডায়াবেটিস রোগ কেন হয়?

কার্বোহাইড্রেট (শ্বেতসার) জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ শক্তি যোগান দেয়। এই খাদ্যগুলো খাওয়ার পর আমাদের দেহস্থিত Stomach বা পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে (Small Intestine) হজম শেষে Glucose- এ রূপান্তরিত হয়ে রক্তের সাথে মিশে যায়। এজন্য খাদ্য খাওয়ার আধ ঘন্টাপর দেহ রক্তে Glucose- এর অংশ বৃদ্ধি পায় এবং দুই ঘন্টার মধ্যে রক্তে Glucose এর স্তর সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছায়। খাদ্য গ্রহণের তিন ঘন্টা পর আমাদের দেহ রক্তে Glucose বা শর্করার স্তর স্বাভাবিক লেভেলে আসে।

ডায়াবেটিস রোগ প্রধানত আমাদের Pancreas থেকে শ্রাবিত ইনসুলিনের অভাবের জন্য হয়। ইনসুলিনের
সাহায্য ছাড়া গ্লুকোজের অনুগুলো দেহকোষে ঢুকতে পারে না। কোষে অবস্থিত Mitochondria গ্লুকোজের।
অনুগুলিকে দাহনের মাধ্যমে শক্তিতে রূপান্তর করে। কিন্তু ইনসুলিনের
অভাবে বা স্বল্পতার কারণে গ্লুকোজের কণাগুলো রক্তে ভাসতে থাকে। আমাদের রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর খালিপেটে ১০০ ml. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকে ৭০-১০০ mg. আর খাদ্য গ্রহণের ২ ঘন্টা পর রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক স্তর হলো ১২০-১৪০ মিলিগ্রাম। এই স্তর পুনরায় ধীরে ধীরে খালি পেটে স্বাভাবিক অবস্থার স্তরে চলে আসে। কোন মানুষের দেহ রক্তে গ্লুকোজের প্রত্যাশিত বা স্বাভাবিক স্তর থেকে বেশী পরিমান শর্করা অনেক দিন যাবৎ চলতে থাকলে তখন তাকে Diabetic Patient হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বেপরোয়া অনাচারী ব্যক্তির বেলায় রক্তে গ্লুকোজের স্তর ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত উঠতে পারে।

বুক জ্বালা,অম্লত্ব,বদহজ এবং পেট ফাপায় কার্যকর।
03/03/2025

বুক জ্বালা,অম্লত্ব,বদহজ এবং পেট ফাপায় কার্যকর।

Address

Dhaka

Telephone

+8801681909195

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Salim Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category