Homoeopathy Maskura's

Homoeopathy Maskura's Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Homoeopathy Maskura's, Doctor, Shawrapara, Kafrul, mirpur, Dhaka.

30/06/2023

"মানুষের জন্য বাঁচবেন না, কারণ মানুষ বদলে যায়। আল্লাহর জন্য বাঁচুন, তিনি অপরিবর্তনশীল"

-আলহামদুলিল্লাহ্

25/08/2022

🔴 নবজাতকের সব সমস্যাই কি চিন্তার বিষয়??

একটা শিশু জন্মের শিশুর শরীরে অনেক অনেক নতুন নতুন রোগের লক্ষণ দেখা যায়, যা নতুন মায়েদের জন্য বেশ উদ্বেগের। তবে নবজাতকের সব লক্ষণই কি উদ্বেগের? না, তেমনটি নয়। এমন অনেকগুলো অবস্থা আছে, যেগুলো শিশু বড় হতে হতে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আজ আমরা নবজাতকের এমন কিছু অবস্থা নিয়েই জানবো, ইনশাআল্লাহ—

▪️ জন্মের পর প্রথম ১/২ রাত বাচ্চা প্রচুর কান্নাকাটি করা- সেকেন্ড নাইট সিন্ড্রোম।

▪️মাথায় খুশকির মত স্তর বা ছোপ ছোপ- ক্র‍্যাডল ক্যাপ।

▪️নর্মাল ডেলিভারিতে জন্ম হওয়া বাচ্চার মাথায় উচু ঢিবির মত হওয়া- ক্যাপুট মেডুসা বা কেফাল হেমাটোমা।

▪️মাথার আকার সামান্য অস্বাভাবিক, যেমন- কিছুটা লম্বাটে হওয়া।

▪️বাচ্চার ফেনা ফেনা পায়খানা বা বার বার পায়খানা হওয়া।

▪️প্রতিবার দুধ খাওয়ার সাথে সাথে পায়খানা করা- গ্যাস্ট্রোকোলিক রিফ্লেক্স।

▪️বাচ্চা পেশাব করার আগে কান্নাকাটি করা বা ঘুম ভেঙে যাওয়া।

▪️বাচ্চা পায়খানা করার আগে কান্নাকাটি করা বা ঘুম ভেঙে যাওয়া- ইনফ্যান্ট ডিস্কেজিয়া।

▪️বাচ্চার পা জন্ম থেকে কিছুটা বাকা হওয়া- ফিজিওলজিক্যাল বোউইং। (বেশি বাকা হলে সেটা ক্লাব ফুট বা মুগুর পা হতে পারে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে)।

▪️নবজাতকের স্তন কিছুটা উঁচু হওয়া- বেবি বুবেজ।

▪️নবজাতকের স্তন থেকে দুধ নিঃসৃত হওয়া, ২ মাসের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়- নিওন্যাটাল গ্যালাক্টোরিয়া (Witch's Milk)।

▪️শিশুর গলা দিয়ে ঘড়ঘড় শব্দ হওয়া- ল্যারিঙ্গোম্যালেশিয়া।

▪️মাঝে মাঝে হাচি দেয়া বা হেচকি ওঠা।

▪️হঠাৎ ঝাকি খাওয়া বা শরীর কেপে ওঠা।

▪️ছেলেবাচ্চার অণ্ডকোষের আকৃতি কিছুটা বড় বা মেয়েবাচ্চার যৌনাঙ্গ কিছুটা ফোলা থাকা।

▪️মেয়েশিশুর যোণীপথ দিয়ে কিছুটা রক্তক্ষরণ হওয়া।

▪️চোখ সামান্য ট্যারা মনে হওয়া- নাকের অতিরিক্ত পেশীর কারণে এমন হয়ে থাকে।

▪️জন্মের ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বাচ্চার চোখ, মুখ হলদেটে হয়ে যাওয়া- ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস।

▪️নবজাতকের দেহ, মুখ, হাত-পায় সাদা সাদা ফুসকুড়ি (চারপাশে লাল বর্ডার) মত বের হওয়া- মাসিপিসি/ ইরাইথেমা টক্সিকাম নিওন্যাটেরাম।

▪️নবজাতকের কোমর ও পশ্চাদ্দেশের পেছনে বা হাতে পায়ে নীল-বেগুনি ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাওয়া- মঙ্গোলিয়ান ব্লু স্পটস।

▪️নবজাতকের নাকে-মুখে সাদা সাদা গুড়ি গুড়ি ঘামাচির মত বের হওয়া- সিবেসিয়াস হাইপারপ্লাশিয়া।

▪️ঘামাচি বা হিট র‍্যাশ হওয়া।

▪️হাতে বা পায়ে লাল রক্তের ঢিবি বা চাকার মত থাকা- ইনফ্যান্টাইল হেমাঞ্জিওমা। সাধারণত ৫-৯ বছরের মধ্যে ৯০-৯৫% ভালো হয়ে যায়।

▪️ গ্যাস বা কনস্টিপেশনের কারণে শিশুর পেট কিছুটা শক্ত ও ফাপা হওয়া।

▪️খাওয়ার পর কিছুটা বমি তুলে ফেলা। এজন্য বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর বার্পিং (ঢেকুর তোলা) করানো উচিত।

এ সমস্ত সমস্যায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একা একাই ভালো হয়ে যায়৷ কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সামান্য কিছু ঔষধ সেবন প্রয়োজন হতে পারে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

22/08/2022

🔹 মহিলাদের লোয়ার ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে করণীয় 🔹

ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথা মধ্যবয়সী মহিলাদের খুব পরিচিত একটি রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই রোগীদের জন্য জীবন চলা আরেকটু সহজ হয়-

১। ওজন কমানো। অতিরিক্ত ওজন বাত ব্যথা বা যেকোনো লো ব্যাক পেইনের প্রধান কারণ।

২। কাঠের চেয়ারে বসার অভ্যাস করা, আরামদায়ক চেয়ার পরিহার করা। চেয়ারে বসার সময় সংবাদ পাঠকদের মতো ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসা।

৩। ঝুঁকে কাজ না করা। ভারী কাজ পরিহার করা। বেশি ওজনের থলে, বোতল বহন করা থেকে বিরত থাকুন।

৪। কোমর এবং অন্যান্য জয়েন্টকে সচল রাখা। টানা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না বা বসে থাকবেন না।

৫। সিড়ি দিয়ে উঠার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠবেন এবং নামবেন।

৬। মাটি বা মেঝে থেকে কিছু তোলার সময় কোমর বাকাবেন না, বরং সোজা হয়ে বসে তুলুন।

৭। শক্ত বিছানায় ঘুমানো, মাথার নিচে একটা পাতলা বালিশ ব্যবহার করবেন। নরম ফোমের বিছানা, অসমান বিছানা বা সোফায় ঘুমাবেন না।

৮। মেঝেতে বা পিড়িতে বসে সবজি বা মাছ কাটা পরিহার করা। দাঁড়িয়ে বা টেবিলে বসে এই কাজগুলো করার অভ্যাস করুন।

৯। বাথরুম করার সময় হাই কমোড ব্যবহার করা। নিচু বা বাংলা কমোড পরিহার করুন। বাসায় হাই কমোড না থাকলে চেয়ার কমোড ব্যবহার করুন।

১০। ব্যথার জায়গায় কুসুম গরম পানির সেক দিবেন। দিনে ১৫ মিনিট করে দুই থেকে তিনবার সেক দিলে অনেকটাই ব্যথা কমে যায়।

১১। হাঁটা বা চলাফেরার সময় কিছু দিন কোমরের করসেট ব্যবহার করতে পারেন।

১২। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু ব্যয়াম করতে পারেন।

21/08/2022

❝আমার বাচ্চা কিছুই খেতে চায়না❞.....

এ যুগের প্রায় প্রত্যেকটি মায়েরই একটা কমন অভিযোগ এটি। আসুন আমরা বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা করে দেখি। আপনার বাচ্চাটি যদি আসলেই খেতে না চায়, তাহলে নিজেকেই নিচের প্রশ্নগুলো করুন:

🔻ডাক্তার কি আপনার শিশুর দৈহিক বিকাশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন?
🔻আপনার শিশুর ওজন কি গড়ের চেয়ে খুব বেশি কম? ক্রমে কি তার ওজন কমে যাচ্ছে?
🔻বয়স অনুযায়ী তার উচ্চতা কি ঠিক আছে?
🔻দিনে দিনে কি তার শক্তি কমে যাচ্ছে?
🔻আপনার শিশু কি স্বাভাবিকভাবে ঘুমাচ্ছে না?
🔻সে আগে যেমন ছিল এখন কি তেমন সক্রিয়, খেলাপ্রিয় বা প্রফুল্ল নয়?
🔻আপনার শিশুর কি জ্বর, ঠাণ্ডার সমস্যা, শ্বাসনালীর সংক্রমণ বা পাকস্থলীর সমস্যা আছে?

👉 উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর বেশিরভাগের উত্তর যদি "না" হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে খাবার নিয়ে আপনার শিশুর মনোভাব নয় বরং তার খাবারের প্রতি আপনার মনোভাবই এজন্য দায়ী। পুষ্টিবিদদের মতে, সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুর খাবারের চাহিদা খুব কম আর তারা তার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার খেয়েই থাকে। শিশু কিন্তু তার ক্ষুধা সামাল দিতে পারে না। ক্ষুধা লাগলে শিশু খাবেই- অল্প খেতে পারে বা একটি নির্দিষ্ট খাবার খেতে পারে, তবে নিশ্চিত সে খাবেই। যদি নাও খায়, পান করবেই। সবচেয়ে বড় কথা হলে শরীরের ক্যালোরি চাহিদা রয়েছে, আর শক্ত খাবার যে সবসময় নিখুঁতভাবে কাজ করবে তাও নয়।

শিশু যদি শক্ত খাবার না খায় তাহলে শুধু ফলের রস আর দুধ থেকেই তার শরীরের জ্বালানির চাহিদা মিটতে পারে। মা হিসেবে ক্যালোরির উৎস নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট নাও হতে পারেন, তবে লাগাতার এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করা অনর্থক, কারণ এ ব্যাপারে আপনার করার তেমন কিছু নেই। সদ্য হাঁটতে শেখা শিশু আপনার এই উদ্বেগ বোঝে না আর খাবার ব্যাপারে তার ওপর জোরাজুরি করলে সে যে আরও বিরক্ত করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

👉 কিছু টিপস এমন পরিস্থিতি সামলাতে আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারে-

🔻পাঁচ থেকে আট মাস বয়সী শিশুরা যথেষ্ট পরিমাণ মায়ের দুধ খেলে, বাড়তি খাবার খুব অল্প পরিমাণ খেলেও চলে। বাচ্চার খাবারের বাটিতে উচ্ছিষ্ট থাকলে সেটি শেষ করার জন্য খুব বেশি চাপ না নেয়াই ভাল। এতে পরবর্তীতে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে।

🔻বাচ্চার জন্য তৈরি প্রথম খাবার নরম এবং সহজ-পাচ্য হওয়া দরকার। তারপর আস্তে আস্তে খাবারে এবং খাবারের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে হয়। কোনো বাচ্চা কোনো বিশেষ খাবার পছন্দ না করলে তাকে তা জোর করে কিংবা প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে খাওয়ানো খুবই অনুচিত, এমনকি খাবারটি যদি খুবই পুষ্টিকর হয়-তাহলেও। এসব ক্ষেত্রে কয়েদিন সেই খাবারটি দেয়া বন্ধ করে দিন, এবং কয়েকদিন পর নতুন কোনভাবে পরিবেশন করতে পারেন, এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ হয়।

🔻খাওয়ানোর সময় বিভিন্ন ডিভাইসে গান, ছড়া কিংবা টিভি ইত্যাদি চালু করে বাচ্চাকে খাওয়ানো অনেকটা বাধ্যতা-মূলক হয়ে গেছে আজকাল। যে কারনে বাচ্চারা অন্যমনস্ক ভাবে খেয়ে নেয়, এবং খাবার গ্রহন করা যে এক ধরণের উপভোগ করার বিষয় তা তারা কখনো উপলব্ধি করতেই পারে না।এতে খাবার পরিপাকক্রিয়াও ব্যাহত হয়।

🔻বাচ্চার খাবারে নির্ধারিত বিরতি দিন। একমাত্র মায়ের দুধ হল ‘অন ডিম্যান্ড’ একটি খাবার যা ১৮ মাস পর্যন্ত যত বার সম্ভব, যেকোনো সময়ে দেয়া যায়। কিন্তু অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে খিদে অনুভব করার সময় দিন। অন্ততপক্ষে full-meal /snacks এর ক্ষেত্রে ইন্টারভ্যাল কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মতো হওয়া দরকার। এর মাঝে শিশু দুধ এবং অন্যান্য তরল খাবে।

🔻টিনের / প্যাকেটজাত খাবার সম্পুর্নভাবে পরিহার করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রিযারভেটিভ এবং সোডিয়ামের আধিক্য থাকে, যা বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং রুচি- উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলে। তাই শিশুকে ফাস্ট ফুড, চিপস, ক্যান্ডি, আইসক্রিম এসব নিয়মিত খেতে দেবেন না।

🔻খাবার সময় ৩০ মিনিটের বেশি দীর্ঘায়িত করবে না।

🔻বিভিন্ন ধরনের খাবার দিন, সম্ভব হলে আঙ্গুল দিয়ে ধরে খাওয়া যায় এমন বিভিন্ন আকারের খাবার রঙিন আকর্ষণীয় প্লেটে করে খেতে দিন।

🔻বাচ্চাকে সবসময় উৎসাহ দিন, তাকে নিজে থেকে খেতে দিন, তবে অবশ্যই বড়দের উপস্থিতিতে। সে কিছু না খেলে বিরক্ত না হয়ে বরং যেটুকু খেয়েছে তার জন্য এপ্রেশিয়েট করুন। বাচ্চারা উৎসাহ পেলে সবচে বেশি খুশি হয়।

🔻অসুস্থতা পরবর্তী সময়ে বাচ্চারা খাবারের প্রতি বেশ কয়েকদিন অনীহা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটি এক সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, এবং বাচ্চার ওজন কমে যেতে পারে এই সময়। তবে, বাবা-মা কে এসময় বিশেষভাবে ধৈর্য রাখতে হবে।

শেষ কথা, রাসুলুল্লাহ সা. এর সুন্নাহর কথা মনে রাখুন, ❝পাকস্থলীর এক তৃতীয়াংশ শক্ত খাবার, এক তৃতীয়াংশ পানিতে আর বাকিটা বাতাসে দিয়ে ভরতে হবে।❞ আপনার শিশুর পেটের আকার কতটা বড়? তাতে যে শুধু পাকস্থলী আছে তাই নয়, অন্ত্র, কিডনি আর অন্যান্য অঙ্গও থাকে। সেই ছোট পাকস্থলীটির এক তৃতীয়াংশ শক্ত খাবারে ভার থাকলেই আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।

19/08/2022

কিডনির পাথর দূর করার ৫ উপায়

কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। যদিও এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা; তবুও এটি কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর জমে কীভাবে? আর এই পাথরগুলো আসলে কী?

কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। যদিও এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা; তবুও এটি কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর জমে কীভাবে? আর এই পাথরগুলো আসলে কী?

কিডনিতে যে পাথরগুলো জমে; সেগুলেকে রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস বলা হয়। কঠিন বর্জ্য পদার্থ দিয়ে গঠিত হয় এই পাথরগুলো। ক্যালসিয়াম অক্সালেট, স্ট্রুভাইট, ইউরিক অ্যাসিড এবং সিস্টাইন মিলে কিডনির পাথরগুলো তৈরি হয়।

যদিও কিডনিতে ছোট ছোট পাথর জমা খুব জটিল সমস্যা নয়, তবে বড় পাথরগুলো মূত্রনালীতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। কিডনিতে অত্যাধিক পাথর জমলে রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। যেমন- পেটে ব্যথা, বমিসহ রক্তপাতও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১২ শতাংশ পুরুষ এবং ৫ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় ভুগে থাকেন। গবেষণায় আরও জানা যায়, একবার কিডনিতে পাথর জমলে ৫-১০ বছরের মধ্যে আরও পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের মাধ্যমে জটিলতা কমানো যায়। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক কয়েকটি উপায় অনুসরণ করলে কিডনিতে পাথর তৈরির অশঙ্কা অনেকটা কমানো যায়।

যদি কারও কিডনিতে পাথর থাকে তবে এ উপায় অনুসরণ করলে প্রস্রাবের সঙ্গে পাথর বের হয়ে যায়। জেনে নিন ৫টি প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে-

হাইড্রেটেড থাকুন

কিডনি ভালো রাখতে প্রচুর পানি পান করার বিকল্প নেই। ঠিক তেমনই, পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনিতে জমা পাথর প্রস্রাবের মাধমে বের হয়ে যায়। তবে কফি, চা, বিয়ার, ওয়াইন, কমলার রস, কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মিষ্টিজাতীয় কোমল পানীয়তে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা ক্যালসিয়াম, অক্সালেট এবং ইউরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

সাইট্রিক অ্যাসিড গ্রহণ করুন

সাইট্রিক অ্যাসিড একটি জৈব অ্যাসিড। যা অনেক ফল এবং সবজিতে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সাইট্রাস ফলে। লেবুতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সাইট্রিক অ্যাসিড। সাইট্রিক অ্যাসিড দুটি উপায়ে কিডনি পাথর প্রতিরোধ করতে পারে-

এক, প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে, নতুন পাথর গঠনের ঝুঁকি কমাতে পারে। দুই, পাথর বড় হওয়া রোধে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্ফটিকগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ থাকে। এজন্য আপনার ডায়েটে বেশি সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায় এমন ফল যেমন- আঙ্গুর, কমলা, আমলকি, লেবু ইত্যাদি যোগ করুন।

অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কম খান

অক্সালেট (অক্সালিক অ্যাসিড) একটি অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট, যা উদ্ভিদজাতীয় অনেক খাবারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে শাক, ফল, সবজি এবং কোকো। এ ছাড়াও শরীর অনেকটাই অক্সালেট নিজেই উত্পাদন করে।

শরীরে যখন অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যায়; তখন প্রস্রাবে অক্সালেট নির্গমন বৃদ্ধি পায়। যা ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্ফটিক গঠনের প্রবণতা বাড়ায়।

অক্সালেট ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজগুলো একসঙ্গে হয়ে তখন কিডনিতে পাথর জমাতে সাহায্য করে। এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে, চিকিৎসকরা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কমাতে বলেন।

ভিটামিন সি বেশি খাওয়া যাবে না

গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) সম্পূরকগুলো কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে প্রস্রাবে অক্সালেটের নিঃসরণ বাড়তে পারে। কারণ কিছু ভিটামিন সি শরীরে অক্সালেটে রূপান্তরিত হতে পারে।

মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক পুরুষদের নিয়ে করা সুইডিশ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভিটামিন সি বেশি খান; তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হতে পারে। তবে সব ধরনের ভিটামিন সি ঝুঁকির কারণ নয়। যেমন- লেবু খাওয়া যেতে পারে।

পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন

কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম দ্বারা তৈরি হয় বলে অনেকেই মনে করেন, ক্যালসিয়াম গ্রহণ কমাতে হবে। এই ধারণা ভুল। বরং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন- দুধ, পনির এবং টকদই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস ।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা হলো ১০০০ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে ৫০-৭০ বয়সীদের জন্য ১২০০ মিলিগ্রাম। তাই দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে সবাইকে।

প্রাণীজ প্রোটিন কম খান

প্রাণীজ প্রোটিন উৎস যেমন- মাছ-মাংস ও দুগ্ধজাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়তে পারে এবং সাইট্রেটের মাত্রা কমতে থাকে।

সেইসঙ্গে পশুর প্রোটিনের উৎসগুলো পিউরিনে সমৃদ্ধ। এই যৌগগুলো ইউরিক এসিডে ভেঙে যায় এবং ইউরিক এসিড পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে পশুর কিডনি, লিভার এবং অন্যান্য অংশের মাংসে পিউরিনের পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

অন্যদিকে উদ্ভিদজাতীয় খাদ্যে এই পদার্থ কম থাকে। তাই কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করলে প্রাণীজ প্রোটিন কম খেতে হবে। তাহলে শরীরও সুস্থ থাকবে আর কিডনিও ভালো থাকবে।

আপনাদের কিডনি জনিত যে কোনো জটিলতায় আমরা আছি আপনাদের সেবায় . হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন সুস্থ থাকুন

17/08/2022

▪️পুরো বাংলাদেশে এখন বাচ্চাদের সর্দি-জ্বর এ কাহিল অবস্থা।
জ্বর নিয়ে কিছু কমন বিষয়ে ধারনা রাখা প্রয়োজন। সাথে সুন্নাহ সম্মত একটি আমল করুন।

১. যেকোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫দিন টানা* ১০২/১০৩°f আসতে পারে এবং কমলে, ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিন জ্বর কেনো কমছে না, অস্থির হওয়া যাবে না।

২. একদিনে জ্বর কমিয়ে দেয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায় যা অনেক সময় প্রকাশ পেতে ৩দিনও লেগে যায়। জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক শুরু করে দিন, খবরদার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি করবেন না।

৩. জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিবে, বড়রাও দেয়। এই অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি তরল জাউ স্যুপ শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় ( এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি, পাতলা পায়খানা ঘটায়) তাই খাওয়াবেন। পেশাব যেন অন্তত ৪ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, পেশাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিচুনি হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন*।

৪. হালকা জ্বরে ( ১০০ থেকে ১০২°) গা মুছে দিবেন, মুখে ঔষধ খাওয়াবেন। একবার ঔষধ খাওয়ানোর পর আবার সিরাপ দিতে অন্তত ৪/৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর সাপোজিটারী দিতে হলে অন্তত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

৫. বেশী জ্বরে ( ১০২° F এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে সাপোসিটার ব্যবহার করতে পারেন, যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর, কিন্তু মুখে খেতে না পারলে এর বিকল্প নেই। শিশুদের ডোজ বয়স ওজন জানিয়ে ডাক্তার থেকে জেনে নিবেন। এতে জ্বর সাময়িকভাবে হয়তো *১০২ এর নিচে নামতে পারে তবে পুরোপুরি যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিনদিনে। একটা সাপোজিটারী দেয়ার ৬/৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটারী দিতে পারবেন না। তবে ৪/৬ ঘন্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

৫. জ্বরের ঔষধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে, এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন না। ভাইরাসের পরিমানের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

৬. জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

৭. থার্মোমিটার দিয়ে মেপে জ্বর *১০০ বা বেশী পেলেই জ্বরের ঔষধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা, জ্বর ৯৮, ৯৯° ; জ্বরের আগে শীত শীতভাব, অস্থির করা জ্বরের ঔষধ খাওয়ানোর কোন কারণ হতে পারে না।

৮. বাচ্চাদের এসিডিটি কম হয়, তাই একদম সম্ভব না হলে, খালিপেটেও জ্বরের ঔষধ দিতে পারবেন।

৯. জ্বর হলে বাচ্চা এক আধটু বমি হতে পারে, কিছু জ্বরের ঔষধেও বাচ্চাদের বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ঔষধ লাগে না, প্রয়োজনে জ্বরের ঔষধ পাল্টান। ঔষধ খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫/২০ মিনিট পর আবার ঔষধটটুকু খাওয়াতে হবে।

ডেঙ্গু সিজন এখন। পাশাপাশি করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে।কাজেই সন্দেহ হলেই আশেপাশে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে টেস্ট করে নিবেন।
▪️
নিজের বা অন্য কারও জ্বর হলে এ দোয়া পড়বেন।

‎بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি ইরকিন না’আর ওয়া মিন শাররি হাররিন নার।’

অর্থ: মহান আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি; প্রবল প্রবাহমান রগ থেকে এবং জাহান্নামের আগুনের অনিষ্ট থেকে।’ (নাসায়ি; মকবুল দোয়া : ১৬৩)

▪️ভেজা কাপড় দিয়ে গা মাথা মুছতে মুছতে এই দুয়া পড়ে ফুঁ দিবেন। সাথে সাতবার সূরা ফাতিহা পড়ে পানিতে দম করে পানি পান করাবেন, গা মুছে দিবেন।

আপনার শিশুকে সাবধানে রাখুন ,আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন।

Collected

12/08/2022

#স্বামী_স্ত্রীর_রক্তের_গ্রুপ_এক_হলে_যা_হয়

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে যা হয়
বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সব চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপারটি। আসলে স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা হয় কি?

বেশির ভাগ দম্পতিই তা জানতে চান স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে বাচ্চার জন্মগত কোনো সমস্যা হয় কিনা। এ ধরনের প্রশ্নটা অহরহ শুনেন চিকিৎসকরা। উভয়ের রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে কিছু বিষয় রয়েই যায়।

রক্তের গ্রুপ
প্রথমেই রক্তের গ্রুপগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। রক্তের গ্রুপের প্রধানত দুটি ভাগ। একটা হলো এবিও পদ্ধতি (এ, বি, এবি এবং ও) অন্যটা আরএইচ ফ্যাক্টর (আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ)। এ রেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।

ব্লাড গ্রুপগুলো হলো
এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ।

রক্ত গ্রহণে সচেতনতা
যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে পজেটিভ গ্রুপের রক্ত দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হয় না। তবে এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে একটি এন্টিবডি তৈরি করে। যার ফলে রোগী আবার কখনও যদি পজেটিভ গ্রুপের রক্ত নেয়, তবে তার রক্তের কোষগুলো ভাঙতে শুরু করে। এ কারণে কাঁপুনি, জ্বর কিংবা কিডনি অকেজো থেকে শুরু করে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। এ সমস্যাকে চিকিৎসাবিদ্যায় বলা হয় এবিও ইনকমপ্যাটিবিলিটি।

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ
স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর রক্তের নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে।

স্বামীর রক্তের গ্রুপ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সন্তানের অবস্থান
পজিটিভ(+) পজেটিভ(+) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) নেগেটিভ (-) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) পজেটিভ (+) সুস্থ সন্তান
পজিটিভ (+) নেগেটিভ (-) প্রথম সন্তান সুস্থ, দ্বিতীয় থেকে সমস্যা

স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর নেগেটিভ হলে কী হতে পারে তা জেনে নিন:

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজেটিভ হয় তাহলে ‘লিথান জিন’ বা ‘মারণ জিন’ নাকে একটি জিন তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সেক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হতে পারে। বাচ্চা হতে পারে জন্মান্ধ। এছাড়া যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের মা পজেটিভ ফিটাস (ভ্রুণ) ধারণ করে তখন সাধারণত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ ভ্রুণের রক্ত, প্লাসেন্টারের (গর্ভফুল) বাধা ভেদ করে মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরেও প্রসবের সময় যে রক্ত প্রবেশ করবে, তা প্রসবের কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে আরএইচ এন্টিবডি তৈরি করবে।

যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবেন, তখন যদি তার ভ্রণের ব্লাডগ্রুপ আবার পজেটিভ হয়, তাহলে মায়ের শরীরে আগে যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছিল সেটা প্লাসেন্টার বাধা ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন এটি ভ্রূণের শরীরে ঢুকবে তখন ভ্রূণের লোহিত রক্ত কনিকার সেল ভেঙে যাবে। এ সমস্যাকে চিকিৎসা বিদ্যায় বলা হয় আরএইচ ইনকমপ্যাটিবিলিটি।

আগে কখনো অপারেশন না হয়ে থাকলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে। শুধু সচেতন থাকতে হবে। স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হলে, বাচ্চা জন্মের পরপরই বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে। যদি নেগেটিভ হয় মায়ের মতো, তবে কিছু করার দরকার হয় না। আর পজেটিভ হলে এন্টি ডি ইনজেকশন নিতে হবে ডেলিভারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আরও বিস্তারিত জানতে এবং বাচ্চা ধারণের আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

02/05/2022

Address

Shawrapara, Kafrul, Mirpur
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 12:00
16:00 - 20:00

Telephone

+8801715583745

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Homoeopathy Maskura's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Homoeopathy Maskura's:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category