02/10/2025
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত নতুন “Atypical diabetic neuropathies” নামে BMJ–র Review article (BMJ 2025; থেকে মূল পয়েন্টগুলো ব্যাখ্যা করছি।
Atypical diabetic neuropathies
New Education article: Atypical diabetic neuropathies.
Diabetes is associated with the development of several peripheral nerve manifestations. This review presents in-depth discussions of these
https://www.bmj.com/content/390/bmj-2024-081109?utm_campaign=usage&utm_content=tbmj_sprout&utm_id=BMJ005&utm_medium=social&utm_source=facebook
ভূমিকা ও প্রেক্ষাপট
সাধারণত আমরা বুঝি যে ডায়াবেটিসে সবচেয়ে বেশি হয় classical / typical diabetic peripheral neuropathy (distal symmetric polyneuropathy) — পায়ের আটকে যাওয়া, শূন্যতা বা জ্বালা–জ্বালা অনুভূতি, দুই পায়ের মধ্যে সমমিতভাবে ঘটে।
কিন্তু এই রিভিউটি “atypical” ধরনের নিউরোপ্যাথি নিয়ে আলোকপাত করেছে — অর্থাৎ ক্লাসিক প্যাটার্নের বাইরে এমন ধরনের presentation, যার কারণ, রূপ, ও ব্যবস্থাপনায় কিছু বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দরকার।
এটি emphasise করে যে, “atypical” neuropathies কম পরিচিত, কম অধ্যয়ন করা হয়েছে, এবং অনেক সময় ভুলভাবে বা দেরিতে শনাক্ত হয়।
“Atypical diabetic neuropathies”
অর্থ ও উদাহরণ
“অ্যাটিপিকাল” বলতে এমন ধরন বোঝায় যা ক্লাসিক presentation থেকে ভিন্ন। কিছু উদাহরণ হতে পারে:
1. Mononeuropathy / mononeuritis multiplex
— একটি নির্দিষ্ট স্নায়ু (nerve) বা কয়েকটি স্নায়ু আক্রান্ত হতে পারে (যেমন median, ulnar, peroneal)।
— আকস্মিক শুরু, ন্যূন বা মাঝারি মাত্রার দুর্বলতা বা সংবেদন ঘাটতি হতে পারে।
2. Radiculoplexopathy / diabetic amyotrophy / proximal diabetic neuropathy
— পায়ের বা বাহুর প্রবেশদ্বার (root) ও পালসাস (plexus) জড়িত হতে পারে।
— সাধারণত উপরের লিম্ব বা proximal অংশে দুর্বলতা, ব্যথা, মাসল ও ওজন হ্রাস ইত্যাদি হতে পারে।
3. Focal entrapment neuropathies
— ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কমন সংযোগস্থল (nerve entrapment sites) যেমন carpal tunnel syndrome (median nerve) বা ulnar entrapment বেশি হতে পারে।
— ডায়াবেটিস ছাড়া সাধারণ মানুষের একই রকম entrapment হয়, কিন্তু ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে তা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
4. Small fiber neuropathy (SFN), autonomic neuropathy (বিভিন্ন অস্বাভাবিক presentations)
— এখানে মিথ্যা presentation হতে পারে — যেমন শুধু তাপ বা ব্যথা অনুভূতির পরিবর্তন, autonomic features (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল গতি পরিবর্তন, হৃদ–রক্তবাহী সিস্টেমে অস্বাভাবিকতা) ইত্যাদি।
— Autonomic dysfunction কখনো একমাত্র, কখনো অংশ হতে পারে।
এই রিভিউ পেপারে এসব “অ্যাটিপিকাল” ধরন দৃষ্টান্তমূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে।
কারণ এবং প্যাথোফিজিওলজি (Pathophysiology)
Review পেপারে বলা হয়েছে যে যখন neuropathy “অ্যাটিপিকাল” হয়, তখন এটি অনেক ক্ষেত্রে মাল্টিফ্যাক্টোরিয়াল কারণের সমন্বয়ে ঘটে। মূল কিছু দিক:
মাইক্রোওয়াস্কুলার ইনজুরি (microvascular injury)
— স্নায়ুর রক্ত–পরিবহন ঠিক না হলে ischemia হতে পারে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, ইনফ্লামেশন, স্নায়ু ও গ্লিয়াল কোষ-ড্যামেজ
— সুগার, লিপিড অক্সিডেশন, ফ্রি র্যাডিক্যাল, স্নায়ু আগ্রাসন এসব ভূমিকা পালন করে।
শোয়ান সেল (Schwann cell) এবং নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর ঘাটতি / signaling pathway অপেক্ষাকৃত অস্বাভাবিকতা
— ইনসুলিন রিসপন্স, growth factor pathways ভেঙে পড়লে স্নায়ুর রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে।
মেটাবলিক এবং ওবেসিটি / মেটাবলিক সিন্ড্রোমের অংশ
— ডায়াবেটিস ছাড়াও ওজন, রুচিবিধর্ম, লিপিড অ্যাবনর্মালিটি হতে পারে contributing factor।
এই রিভিউ পেপারে এগুলোর বিশ্লেষণ ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
নির্ণয় (Diagnosis)
“অ্যাটিপিকাল” নিউরোপ্যাথি চিনতে হলে আমাদেরকে একটু বেশি সতর্ক হতে হবে:
রোগীর ঐতিহাসিক (history) — presentation, সময়, দ্রুততা, কোন নির্দিষ্ট স্নায়ুর involvement আছে কিনা, অন্য কারণ (যেমন সর্দি, দুর্বলতা, কীভাবে শুরু) — সব কিছু খতিয়ে দেখতে হবে।
নিউরোলজিক পরীক্ষা (neurological exam) — সংবেদন, রিফ্লেক্স, মাসল শক্তি ও প্যাথওয়েস চেক করতে হবে।
নিউরোফিজিওলজি (nerve conduction studies, electromyography, quantitative sensory testing) — বিশেষভাবে যেসব স্নায়ু involvement সঙ্কেত দিচ্ছে, সেগুলোর জন্য NCS / EMG করতে হবে।
ছোট ফাইবার পরীক্ষা (small fiber testing) বা intraepidermal nerve fiber density — small fiber damage হলে NCS অনেক সময় নেগেটিভ হতে পারে, তখন এই পরীক্ষাগুলো সহায়ক।
Autonomic testing — যদি autonomic symptoms পাওয়া যায় ( যেমন orthostatic hypotension, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্লো মটিলিটি, ইউরিনারি dysfunction )।
MRI / imaging / অন্যান্য স্নায়ু ইমেজিং — যদি suspect করা হয় যে স্নায়ুর root বা plexus অংশে involvement রয়েছে।
অন্যান্য কারণ বাদ দেয়া (differential diagnosis) — থাইরয়েড, B12 ঘাটতি, ইনফেকশন, ক্রিয়া রোগ (autoimmune neuropathy), কিডনি রোগ প্রভৃতি।
Review পেপার এই ধাপগুলির গুরুত্ব তুলে ধরে।
ব্যবস্থাপনা (Management)
“অ্যাটিপিকাল” নিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে; কারণ এটি সাধারণ DPN-এর মতো “one-size-fits-all” নয়। কিছু মূল দিক:
মূল রোগ নিয়ন্ত্রণ
— গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ অত্যাবশ্যক।
— অন্য মেটাবলিক ফ্যাক্টর (ডিসলিপিডেমিয়া, রক্তচাপ, ওবেসিটি) ঠিক রাখতে হবে।
লক্ষণ নিরাময় (Symptomatic treatment of neuropathic pain / deficit)
— সাধারণ neuropathic pain drugs (Gabapentin, Pregabalin, Duloxetine, tricyclic antidepressants) ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে রোগভেদে ডোজ ও নিরাপত্তা বিবেচনা করতে হবে।
— যদি স্নায়ু specific involvement থাকে, তখন স্থানীয় থেরাপি, physiotherapy, orthotic devices ইত্যাদির ভূমিকা থাকতে পারে।
নিউরোপ্রোটেকটিভ / disease-modifying থেরাপি (যদি থাকে)
— anti-oxidants (যেমন α-lipoic acid), neurotrophic agents, agents improving microcirculation — যদিও evidence সবার ক্ষেত্রেই নিশ্চিত নয়।
রিহ্যাবিলিটেশন ও শারীরিক থেরাপি
— শারীরিক ব্যায়াম, ফিজিওথেরাপি, মাসল স্ট্রেন্থেনিং, ময়ন পোষ্টার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
নিয়মিত মনিটরিং ও ফলো আপ
— রোগের প্রগতি, নতুন স্নায়ু involvement, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Review পেপার এই থেরাপি পন্থাগুলি আলোচনা করেছে, তবে “অ্যাটিপিকাল” শিরোনামের জন্য নির্দিষ্ট প্রোটোকল এখনও সীমিত পরিসরে রয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
Review পেপার কিছু চ্যালেঞ্জ ও research gap তুলে ধরেছে:
“অ্যাটিপিকাল” ধরনের neuropathies সম্পর্কে পর্যাপ্ত large-scale epidemiologic data এখনো নেই।
রোগের natural history, প্রগতিপথ, এবং উপযুক্ত biomarkers নির্বাচন কাজ শুরু পর্যায়ে।
থেরাপির ক্ষেত্রে disease-modifying (reverse বা রিমডেলিং) ও নিরাপদ, কার্যকর নতুন ওষুধের প্রয়োজন।
বিশেষভাবে small fiber / autonomic involvement ক্ষেত্রে নতুন tools ও imaging modalities উন্নয়ন দরকার।
Personalized therapy approach দরকার — প্রতিটা রোগীর “phenotype” বা presentation অনুযায়ী থেরাপি নির্বাচন করা।
আমার মন্তব্য (ক্লিনিকাল দৃষ্টিভঙ্গি)
ক্লিনিকাল পর্যায়ে, যদি কোনো রোগী ডায়াবেটিস থাকে এবং non-typical neuropathic symptoms (যেমন হঠাৎ একপক্ষীয় উদ্যোগে দুর্বলতা, এক পায়ের নির্ধারিত nerve distribution এ সমস্যা, autonomic features আগে উঠে আসা) দেখায়, তাহলে অবশ্যই “অ্যাটিপিকাল” নিউরোপ্যাথি ভাবতে হবে।
অনেক সময় diagnosis দেরি হয় কারণ রোগীদের presentation সাধারণ DPN এর মতো নয়— তাই suspicion ধরে রাখতে হবে।
Electrophysiologic tests ও small fiber studiesকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে “নরমাল NCS” থাকতে পারে।
থেরাপি পরিকল্পনায় রোগীর co-morbidities, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঝুঁকি, এবং রোগের subtype বিবেচনা করতে হবে।
গবেষণা ও trials–এ “অ্যাটিপিকাল” ধরণের রোগীদের আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার, যাতে আমরা subtype ভিত্তিক evidence পেতে পারি।
ভবিষ্যতে molecular biomarkers, উত্তেজন রূপান্তর (neuroregenerative) থেরাপি, gene-based বা targeted therapies এই ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে পারে।