03/09/2023
ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট কেন ?
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডি.এম.এফ ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক ও মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যুগের পর যুগ ধরে চলা বঞ্চনাই তাদেরকে আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট করতে বাধ্য করেছে। তাদের ন্যায্য ৪ দফার যৌক্তিক কারণ সমূহ নিচে আলোকপাত করা হলঃ
প্রথম দফা: বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক ম্যাটস্ ডিএমএফ ডিপ্লোমাত্তর উচ্চ শিক্ষা বাস্তবায়ন।
যদি ১৯৭৩-১৯৭৮ ইং বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিলের পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা স্নাতক এম.বি.বি.এস কনডেন্সড্ কোর্স পড়তে দেয়া হতো তবে উনাদের (ডিএমএফ'দের) পরবর্তীতে UK-ব্রিটেন থেকে MRCP, MRCS, FRCS করে আজ ন্যাশনাল মেডিকেল প্রফেসর হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকতো। যদি ১৯৭৬ সালের প্রোজেক্ট প্রোফর্মা দলিলের পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে ম্যাটস্ ডিপ্লোমাধারী ডিএমএফ চিকিৎসক-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের প্রথম শ্রেণির (৯ম গ্রেডের) মেডিকেল অফিসার পদে পদোন্নতি দেয়া হতো তবে ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীরা অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের ন্যায় আজ ৫ম গ্রেডের অফিসার হয়ে কর্মস্থল থেকে অবসর নিতেন। এই ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবি জাতিকে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। যার কোনো বিনিময় মূল্য হতে পারে না। এখানে সিরিয়াস ক্রাইম করা হয়েছে। যারা এই ক্রাইমের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সৃষ্টির পরে কোনো কর্তৃপক্ষই কোনো পেশাজীবির সাথে এতো এতো দলিলিক পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দেন নাই, যা ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবিদের সাথে দেয়া হয়েছে। সব রকমের উন্নত ও অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবার দলিলিক পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই ম্যাটস্ ডিএমএফ ডিপ্লোমা কোর্স কারিকুলাম বাংলাদেশে পরিচালনা করা হয়েছে যা অন্যান্য কোনো ডিপ্লোমাধারীদেরও দেয়া হয় নি।
উচ্চশিক্ষা ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিককে সমঅধিকার দেয়া। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীরা যা যা পেয়েছে তা পাওয়া ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের (যেমন; নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, মেডিকেল টেকনোলজী, ফার্মেসী, ফিজিওথেরাপী, কৃষি, ফরেস্ট্রি ইত্যাদি) উচ্চশিক্ষার ন্যায় ডিএমএফ পাস বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা চিকিৎসদের জন্যও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন। কারণ জ্ঞান বিজ্ঞানে বিশ্ব যখন উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছে গেছে, তখন কোন একশ্রেণীর ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কেবল ডিপ্লোমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা একটা রাষ্ট্রের জন্য শুধু কলঙ্কই নয় অকল্যাণকরও বটে। তাই ডিপ্লোমা চিকিৎসদের জন্য উচ্চতর শিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি সরকারি মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ কে স্বতন্ত্র বঙ্গবন্ধু সরকারী মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন জাতীয় ভাবে পরিচালিত এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষায় ডিপ্লোমা চিকিৎসদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা অবশ্যই উচিত। কেননা উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থ, রসায়ন, বায়োলজীসহ এইচএসসি পাস করে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি ‘এমবিবিএস’ কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারলে মাধ্যমিকে পদার্থ, রসায়ন, বায়োলজীসহ এসএসসি পাস করে ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা ম্যাটস্ সমূহে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী এন্ড অবসটেট্রিকস, কমিউনিটি মেডিসিন, এনাটমী, ফিজিওলজি, প্যাথলজী, মাইক্রোবায়োলজী, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, মেডিকেল জুরিসপ্রুডেন্স, কমিউনিটি হেলথ্, হেলথ্ ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল এথিক্স, বেসিক ইংলিশ ও কম্পিউটার সায়েন্সেরর মতো জটিল বিষয়ে এক বছর ইন্টার্নশিপ সহ মোট ৪ চার বছর পড়াশোনা করে অবশ্যই ‘এমবিবিএস’ কোর্সে অধ্যয়ন করার যোগ্যতা রাখেন। শুধু যোগ্যতা রাখেন এটা বললে ভুল হবে। মেডিকেল ডিপ্লোমাধারীরা স্নাতক এমবিবিএস কোর্স পড়তে আইনানুসারে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবার কথা। কেননা ১২ বছরের স্কুলিং ইয়ার শেষ করে অর্থাৎ এইচএসসি পাস করে সারাবিশ্বে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। অপরপক্ষে একজন মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী যখন পাস করেন তখন তার স্কুলিং ইয়ার হয় ১৪ বছর। অর্থাৎ একজন মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী প্রচলিত এইচএসসি সার্টিফিকেট পাসকারীর চেয়ে ২ বছরের অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতাধারী। ডিপ্লোমা চিকিৎসদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ প্রদান করা হলে উন্নত দেশের ন্যায় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশেও চিকিৎসা সেবা খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হবে। কাজেই সরকারের উচিত সারাবিশ্বের ন্যায় এই সম্ভাবনাকে বাংলাদেশে কাজে লাগানো।
দ্বিতীয় দফা: পূর্বলিখিত দলিলিক প্রতিশ্রুতি মোতাবেক 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' অব বাংলাদেশ বাস্তবায়ন।
'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড গঠন করা অনেক পূর্বেই দরকার ছিল। কারণ ডিপ্লোমা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য এবং অন্যান্য দেশের ডিপ্লোমা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বোর্ড গঠন ও আইন পাস ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সনদ আইন দ্বারা বলবৎকৃত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত হলে উক্ত সনদে সারাবিশ্বের ডিপ্লোমা চিকিৎসক সমমানদের সাথে দেশের বাইরেও এদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দেশের বাইরেও ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি- ডক্টর অব মেডিসিন এম.ডি করতে পারবেন। আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড ও আইন রয়েছে। অন্যান্য ডিপ্লোমা পেশাজীবিদের জন্যও স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড ও আইন রয়েছে।
২০০৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন বিডিএমএ'র সাথে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের নামকরণ ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ অব বাংলাদেশ করা হবে। 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ অব বাংলাদেশ নামে একটি আইন বলবৎ করা হবে। তা না করে এখন অসংগতিপূর্ণ ও উদ্ভট নামে অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড আইন গঠন করা হলে এটি নিয়ে ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনবিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। শেষমেশ বিষয়টি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড নামকরণের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি, মানববন্ধন ও রাস্তায় আন্দোলন করা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সিনিয়র আইনজীবির মাধ্যমে বার বার ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ প্রেরণ করেছেন ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ।
পক্ষ ও প্রতিপক্ষগণ প্রস্তাবিত বোর্ডের নাম নিয়ে যদি সমঝোতায় না আসেন তবে আমাদের পাশের দেশ ভারতের "পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ আইন" এর মতো বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ নাম হুবহু ঠিক রেখে "বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ আইন" তৈরি করা যেতে পারে। আইনই ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেবে। নাম যা রয়েছে তাই থাকবে। শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের আইনি ভিত্তি সৃষ্টি হবে। আইন হলে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এতে করে বোর্ডের নামকরণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান খুব সহজেই হয়ে যাবে।
তৃতীয় দফা: কর্মসংস্থান সৃজন ও দ্রুত নিয়োগ প্রদান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স, উপ-হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের মতো প্রতিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে অবিলম্বে বিএমডিসি নিবন্ধনকৃত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পদ সৃজন করে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করা দরকার। এছাড়া কমিউনিটিতে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড্ করার অন্য কোন উপায় নেই। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার ম্যাটস্ পাস ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার ও কর্মহীন হয়ে অভিশপ্ত জীবনযাপন করছেন। এদিকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তাদের কোন নিয়োগ নেই। তাছাড়াও বেসরকারি ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতালে ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রদানের কোন সরকারি নির্দেশনা না থাকায় তারা ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রদান করছে না। আবার অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সায়েন্সের অক্ষর জ্ঞানবিহীন অদক্ষ জনবল দ্বারা চিকিৎসা সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। যেটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। প্রত্যেকটি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের বেড সংখ্যা অনুযায়ী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রদান করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে দক্ষ এই চিকিৎসা জনবলকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।
চতুর্থ দফা: ইন্টার্নশিপ বহাল সহ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন।
পূর্বে ম্যাটস্ ডিএমএফ কোর্স এক বছর ইন্টার্নশিপসহ মোট ৪ বছর মেয়াদী ছিল। এ বছর থেকে অদৃশ্য কারণে ম্যাটস্ ডিএমএফ কোর্স থেকে ইন্টার্নশিপ বাতিল করে প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং যোগ করে কোর্সটিকে ৪ বছর মেয়াদী রাখা হয়। ইন্টার্নশিপ ছাড়া চিকিৎসা শিক্ষা অচল বিদায় ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়াদী কোর্সের সাথে অতিরিক্ত আরো ১২ মাস ইন্টার্নশিপ বহাল রাখার জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয় নি। হোমিও, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের ৪ বছর মেয়াদী কোর্সের সাথে অতিরিক্ত ৬ মাস ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এছাড়াও ডিএমএফ কোর্সটি সেই সত্তরের দশকের কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও আপগ্রেডের নামে কোর্সটিকে অবনমন করা হয়েছে বলে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সমন্বিত পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিএমএফ কোর্সটির ব্যাপক আপগ্রেড করা প্রয়োজন। অন্যথায় গত কয়েক বছরের ন্যায় ম্যাটস্ গুলোতে ডিপ্লোমা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী খোঁজে পাওয়া যাবে না।
এমতাবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপরোক্ত ন্যায্য ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক,
ডা. এম. মিজানুর রহমান
চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ, মেডিকোলিগ্যাল লইয়ার।