বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন- বিডিএমপিএ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন- বিডিএমপিএ

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন- বিডিএমপিএ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্স

বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত Medical Assistant Training School থেকে পাসকৃত ও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল ...
23/02/2025

বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত Medical Assistant Training School থেকে পাসকৃত ও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডি.এম.এফ ডিগ্রিধারীদের নিয়ে যারা মিথ্যাচার করছেন তারা একটু কোর্স কারিকুলাম টা মিলিয়ে নেন।

(জনস্বার্থে প্রচার করা হলো)।

DMF Vs MBBS কারিকুলাম:

নিবন্ধিত ভেটেরিনারি ডাক্তার, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, ইউনানী ডাক্তার, আয়ুর্বেদিক ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী ডাক্তার সমীপে খোলা চ...
02/11/2024

নিবন্ধিত ভেটেরিনারি ডাক্তার, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, ইউনানী ডাক্তার, আয়ুর্বেদিক ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী ডাক্তার সমীপে খোলা চিঠি....

মহান পার্লামেন্ট কর্তৃক পাসকৃত দু'টি আইন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন'২০১৯ ধারা ২৩(২) মোতাবেক
'নিবন্ধিত ভেটেরিনারিয়ানগণ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল আইন' ২০২৪ ধারা ২(১৩), ২১(৩) মোতাবেক নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমাধারী, ব্যাচেলরধারী চিকিৎসকগণ নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন' বলা রয়েছে।

অপরপক্ষে, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি আইন'২০১০ ধারা ২৯(১) ধারা মোতাবেক 'এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তগণ ব্যতীত অন্য কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না' বলা হয়েছে। উক্ত ধারায় "অন্য কেউ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না" বলার কারণে সাধারণ জনগণ এটাই মনে করে থাকেন যে, বাংলাদেশে কেবল ব্যাচেলর অব মেডিসিন এন্ড ব্যাচেলর অব সার্জারী এমবিবিএস/ ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তগণই ডাক্তার। অন্য কেউ ডাক্তার নয়। ২৯(১) ধারায় উদ্ভট লাইনের কারণে অনেকে মনে করে থাকেন যে, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিভিএম, ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী ডিএইচএমএস, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বিএইচএমএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ডাক্তার নন কিংবা যে কেউ ভাবতে পারেন বিএমডিসি আইন'২০১০ অনুযায়ী ডিভিএম, বিএইচএমএস, ডিএইচএমএস ধারীরা নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে করে জাতির কাছে ভুল ম্যাসেজ যাচ্ছে যে, উনারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করার যোগ্য নন। একটি আইনে যখন "অন্য কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না" এরূপ বলা হয় তখন ধরেই নেয়া হয় বাকী পেশাজীবি চিকিৎসকরা কেউ পারবেন না ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে। আইনে এরূপ উদ্ভট বাক্য চয়ন অন্যান্য পেশাজীবি চিকিৎসকদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। ধারা ২৯(১) এ তাই ঘটেছে।

বিএমডিসি আইন'২০১০ ধারা ২৯(১) এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তগণ ব্যতীত নিবন্ধিত ভেটেরিনারি ডাক্তার, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারসহ অন্য সকল নিবন্ধিত ডাক্তারদের অডাক্তার কিংবা ভুয়া ডাক্তার হিসেবে নির্দেশ করেছে।

বিএমডিসি আইন'২০১০ এর ২৯(১) ধারাটি বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন'২০১৯ ধারা ২৩(২), বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল আইন' ২০২৪ ধারা ২(১৩), ২১(৩), অন্যান্য চিকিৎসকদের জন্য প্রযোজ্য প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান গুলোর সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে। মহামান্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে গেছে। যা মোটেও কাম্য নয়।

এমতাবস্থায়, বিএমডিসি আইন'২০১০ ধারা ২৯(১) সংশোধন করে লেখা উচিত "বিএমডিসি নিবন্ধিত চিকিৎসকগণ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন।" উপরোক্ত বাক্য চয়ন ব্যতীত অন্য কোন বাক্য চয়নের আইনানুগ সুযোগ বিএমডিসি আইন'২০১০ ধারা ২৯(১) এ নেই।

সবশেষে নিবন্ধিত ভেটেরিনারি ডাক্তার, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারসহ অন্য সকল নিবন্ধিত ডাক্তারদের বিএমডিসি আইন'২০১০ ধারা ২৯(১) এর বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা রিট পিটিশন মামলা করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ধারা ২৯(১) অবৈধ ঘোষণা করার আহবান জানাচ্ছি। যাতে করে সাধারণ জনগণ ভেটেরিনারি ডাক্তার, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারসহ অন্য সকল নিবন্ধিত চিকিৎসকদের ডাক্তার হিসেবেই সমীহ করেন।

উল্লেখ্য, বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকগণ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ মোতাবেক, ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন এন্ড সার্জারী বিইউএমএস, ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী বিএএমএস ডিগ্রিপ্রাপ্তগণ সরকারের যথাযথ আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে নামের পূর্বে ডা. উপাধি ব্যবহার করার অধিকার সংরক্ষণ করে থাকেন।

সকলকে ধন্যবাদ।

https://www.asiantvonline.com/Opinion/news/29358/5982-20240915
15/09/2024

https://www.asiantvonline.com/Opinion/news/29358/5982-20240915

ডা. এম. মিজানুর রহমান: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-৭৮ ইং মোতাবেক স্বাস্থ্....

https://lm.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.asiantvonline.com%2Fhealth%2Fnews%2F10109%2F6503-20231007%3Ffbclid%3DI...
07/10/2023

https://lm.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.asiantvonline.com%2Fhealth%2Fnews%2F10109%2F6503-20231007%3Ffbclid%3DIwAR08M7Ug_Ih9OajYmSKwzjf_TzbFbnt3H2dErjzMz-w6rand1EeCpDQ8gvA&h=AT0GQuIhZtq2eIwWtS3hbS9lc2022Om3_qiMTxjfHbW69lsdqkivOhRw7BASrYig3s8X_XxbPXG9XaXEtGNs3U965mdFpOd6Yh1vtRNeGtFXA0yb6P9iejfgnU7n8NkE3gjG

ডা. এম. মিজানুর রহমান: বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ড...

ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট কেন ?বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টা...
03/09/2023

ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট কেন ?

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডি.এম.এফ ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক ও মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যুগের পর যুগ ধরে চলা বঞ্চনাই তাদেরকে আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট করতে বাধ্য করেছে। তাদের ন্যায্য ৪ দফার যৌক্তিক কারণ সমূহ নিচে আলোকপাত করা হলঃ

প্রথম দফা: বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক ম্যাটস্ ডিএমএফ ডিপ্লোমাত্তর উচ্চ শিক্ষা বাস্তবায়ন।

যদি ১৯৭৩-১৯৭৮ ইং বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিলের পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা স্নাতক এম.বি.বি.এস কনডেন্সড্ কোর্স পড়তে দেয়া হতো তবে উনাদের (ডিএমএফ'দের) পরবর্তীতে UK-ব্রিটেন থেকে MRCP, MRCS, FRCS করে আজ ন্যাশনাল মেডিকেল প্রফেসর হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকতো। যদি ১৯৭৬ সালের প্রোজেক্ট প্রোফর্মা দলিলের পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে ম্যাটস্ ডিপ্লোমাধারী ডিএমএফ চিকিৎসক-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের প্রথম শ্রেণির (৯ম গ্রেডের) মেডিকেল অফিসার পদে পদোন্নতি দেয়া হতো তবে ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীরা অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের ন্যায় আজ ৫ম গ্রেডের অফিসার হয়ে কর্মস্থল থেকে অবসর নিতেন। এই ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবি জাতিকে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। যার কোনো বিনিময় মূল্য হতে পারে না। এখানে সিরিয়াস ক্রাইম করা হয়েছে। যারা এই ক্রাইমের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সৃষ্টির পরে কোনো কর্তৃপক্ষই কোনো পেশাজীবির সাথে এতো এতো দলিলিক পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দেন নাই, যা ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবিদের সাথে দেয়া হয়েছে। সব রকমের উন্নত ও অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবার দলিলিক পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই ম্যাটস্ ডিএমএফ ডিপ্লোমা কোর্স কারিকুলাম বাংলাদেশে পরিচালনা করা হয়েছে যা অন্যান্য কোনো ডিপ্লোমাধারীদেরও দেয়া হয় নি।

উচ্চশিক্ষা ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের সকল নাগরিককে সমঅধিকার দেয়া। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীরা যা যা পেয়েছে তা পাওয়া ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের (যেমন; নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, মেডিকেল টেকনোলজী, ফার্মেসী, ফিজিওথেরাপী, কৃষি, ফরেস্ট্রি ইত্যাদি) উচ্চশিক্ষার ন্যায় ডিএমএফ পাস বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা চিকিৎসদের জন্যও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন। কারণ জ্ঞান বিজ্ঞানে বিশ্ব যখন উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছে গেছে, তখন কোন একশ্রেণীর ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কেবল ডিপ্লোমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা একটা রাষ্ট্রের জন্য শুধু কলঙ্কই নয় অকল্যাণকরও বটে। তাই ডিপ্লোমা চিকিৎসদের জন্য উচ্চতর শিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি সরকারি মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ কে স্বতন্ত্র বঙ্গবন্ধু সরকারী মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন জাতীয় ভাবে পরিচালিত এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষায় ডিপ্লোমা চিকিৎসদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা অবশ্যই উচিত। কেননা উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থ, রসায়ন, বায়োলজীসহ এইচএসসি পাস করে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি ‘এমবিবিএস’ কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারলে মাধ্যমিকে পদার্থ, রসায়ন, বায়োলজীসহ এসএসসি পাস করে ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা ম্যাটস্ সমূহে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী এন্ড অবসটেট্রিকস, কমিউনিটি মেডিসিন, এনাটমী, ফিজিওলজি, প্যাথলজী, মাইক্রোবায়োলজী, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, মেডিকেল জুরিসপ্রুডেন্স, কমিউনিটি হেলথ্, হেলথ্ ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল এথিক্স, বেসিক ইংলিশ ও কম্পিউটার সায়েন্সেরর মতো জটিল বিষয়ে এক বছর ইন্টার্নশিপ সহ মোট ৪ চার বছর পড়াশোনা করে অবশ্যই ‘এমবিবিএস’ কোর্সে অধ্যয়ন করার যোগ্যতা রাখেন। শুধু যোগ্যতা রাখেন এটা বললে ভুল হবে। মেডিকেল ডিপ্লোমাধারীরা স্নাতক এমবিবিএস কোর্স পড়তে আইনানুসারে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবার কথা। কেননা ১২ বছরের স্কুলিং ইয়ার শেষ করে অর্থাৎ এইচএসসি পাস করে সারাবিশ্বে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। অপরপক্ষে একজন মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী যখন পাস করেন তখন তার স্কুলিং ইয়ার হয় ১৪ বছর। অর্থাৎ একজন মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী প্রচলিত এইচএসসি সার্টিফিকেট পাসকারীর চেয়ে ২ বছরের অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতাধারী। ডিপ্লোমা চিকিৎসদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ প্রদান করা হলে উন্নত দেশের ন্যায় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশেও চিকিৎসা সেবা খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হবে। কাজেই সরকারের উচিত সারাবিশ্বের ন্যায় এই সম্ভাবনাকে বাংলাদেশে কাজে লাগানো।

দ্বিতীয় দফা: পূর্বলিখিত দলিলিক প্রতিশ্রুতি মোতাবেক 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' অব বাংলাদেশ বাস্তবায়ন।

'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড' অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড গঠন করা অনেক পূর্বেই দরকার ছিল। কারণ ডিপ্লোমা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য এবং অন্যান্য দেশের ডিপ্লোমা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বোর্ড গঠন ও আইন পাস ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সনদ আইন দ্বারা বলবৎকৃত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত হলে উক্ত সনদে সারাবিশ্বের ডিপ্লোমা চিকিৎসক সমমানদের সাথে দেশের বাইরেও এদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দেশের বাইরেও ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি- ডক্টর অব মেডিসিন এম.ডি করতে পারবেন। আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড ও আইন রয়েছে। অন্যান্য ডিপ্লোমা পেশাজীবিদের জন্যও স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড ও আইন রয়েছে।

২০০৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন বিডিএমএ'র সাথে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের নামকরণ ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ অব বাংলাদেশ করা হবে। 'মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ অব বাংলাদেশ নামে একটি আইন বলবৎ করা হবে। তা না করে এখন অসংগতিপূর্ণ ও উদ্ভট নামে অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড আইন গঠন করা হলে এটি নিয়ে ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনবিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। শেষমেশ বিষয়টি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড নামকরণের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি, মানববন্ধন ও রাস্তায় আন্দোলন করা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সিনিয়র আইনজীবির মাধ্যমে বার বার ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ প্রেরণ করেছেন ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকগণ।

পক্ষ ও প্রতিপক্ষগণ প্রস্তাবিত বোর্ডের নাম নিয়ে যদি সমঝোতায় না আসেন তবে আমাদের পাশের দেশ ভারতের "পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ আইন" এর মতো বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ নাম হুবহু ঠিক রেখে "বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ আইন" তৈরি করা যেতে পারে। আইনই ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেবে। নাম যা রয়েছে তাই থাকবে। শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের আইনি ভিত্তি সৃষ্টি হবে। আইন হলে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এতে করে বোর্ডের নামকরণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান খুব সহজেই হয়ে যাবে।

তৃতীয় দফা: কর্মসংস্থান সৃজন ও দ্রুত নিয়োগ প্রদান।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স, উপ-হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের মতো প্রতিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে অবিলম্বে বিএমডিসি নিবন্ধনকৃত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পদ সৃজন করে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করা দরকার। এছাড়া কমিউনিটিতে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড্ করার অন্য কোন উপায় নেই। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার ম্যাটস্ পাস ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার ও কর্মহীন হয়ে অভিশপ্ত জীবনযাপন করছেন। এদিকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তাদের কোন নিয়োগ নেই। তাছাড়াও বেসরকারি ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতালে ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রদানের কোন সরকারি নির্দেশনা না থাকায় তারা ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রদান করছে না। আবার অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সায়েন্সের অক্ষর জ্ঞানবিহীন অদক্ষ জনবল দ্বারা চিকিৎসা সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। যেটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। প্রত্যেকটি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের বেড সংখ্যা অনুযায়ী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রদান করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে দক্ষ এই চিকিৎসা জনবলকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।

চতুর্থ দফা: ইন্টার্নশিপ বহাল সহ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন।

পূর্বে ম্যাটস্ ডিএমএফ কোর্স এক বছর ইন্টার্নশিপসহ মোট ৪ বছর মেয়াদী ছিল। এ বছর থেকে অদৃশ্য কারণে ম্যাটস্ ডিএমএফ কোর্স থেকে ইন্টার্নশিপ বাতিল করে প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং যোগ করে কোর্সটিকে ৪ বছর মেয়াদী রাখা হয়। ইন্টার্নশিপ ছাড়া চিকিৎসা শিক্ষা অচল বিদায় ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়াদী কোর্সের সাথে অতিরিক্ত আরো ১২ মাস ইন্টার্নশিপ বহাল রাখার জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয় নি। হোমিও, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের ৪ বছর মেয়াদী কোর্সের সাথে অতিরিক্ত ৬ মাস ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এছাড়াও ডিএমএফ কোর্সটি সেই সত্তরের দশকের কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও আপগ্রেডের নামে কোর্সটিকে অবনমন করা হয়েছে বলে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সমন্বিত পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিএমএফ কোর্সটির ব্যাপক আপগ্রেড করা প্রয়োজন। অন্যথায় গত কয়েক বছরের ন্যায় ম্যাটস্ গুলোতে ডিপ্লোমা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী খোঁজে পাওয়া যাবে না।

এমতাবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ম্যাটস্ ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপরোক্ত ন্যায্য ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক,
ডা. এম. মিজানুর রহমান
চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিদ, মেডিকোলিগ্যাল লইয়ার।

https://www.banglatribune.com/others/759247/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%...
23/08/2022

https://www.banglatribune.com/others/759247/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8-%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2

২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল- এই দশ বছরে অন্তত পাঁচবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ৪৪ জনের সম্পৃক্ততা পেয়ে...

দলিলিক লিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ডিএমএফ ডিপ্লোমাত্তর এমবিবিএস, ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতিতে মেডিকেল অফিসার বাস্তবায়...
10/06/2022

দলিলিক লিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ডিএমএফ ডিপ্লোমাত্তর এমবিবিএস, ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতিতে মেডিকেল অফিসার বাস্তবায়ন করতে হবে...

যদি ১৯৭৩-১৯৭৮ ইং বঙ্গবন্ধুর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিলের লিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা স্নাতক এমবিবিএস পড়তে দেয়া হতো তবে উনাদের পরবর্তীতে UK-ব্রিটেন থেকে MRCP, MRCS, FRCS করে আজ ন্যাশনাল মেডিকেল প্রফেসর হওয়ার সুযোগ থাকতো। যদি ১৯৭৬ সালের প্রোজেক্ট প্রোফর্মা দলিলের লিখিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তৎকালীন সময়ে ডিপ্লোমাধারী ডিএমএফ চিকিৎসক-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের প্রথম শ্রেণির (৯ম গ্রেডের) মেডিকেল অফিসার পদে পদোন্নতি দেয়া হতো তবে ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীরা অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের ন্যায় আজ ৫ম গ্রেডের অফিসার হয়ে কর্মস্থল থেকে অবসর নিতেন। এই ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবি জাতিকে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। যার কোনো বিনিময় মূল্য হতে পারে না। বাংলাদেশ সৃষ্টির পরে কোনো কর্তৃপক্ষই কোনো পেশাজীবির সাথে এতো এতো দলিলিক লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন নাই, যা ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক পেশাজীবিদের সাথে দেয়া হয়েছে। সব রকমের উন্নত ও অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবার দলিলিক পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েই ডিএমএফ ডিপ্লোমা কোর্স কারিকুলাম পরিচালনা করা হয়েছে যা অন্যান্য কোনো ডিপ্লোমাধারীদেরও দেয়া হয় নি।

বিডিএমএ, কেকাপের জাতিগত কমিটমেন্ট ঐতিহাসিক ঐসব দলিল বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, যে সকল ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসক বঞ্চনা নিয়ে, ব্যথাতুর আর্তনাদ নিয়ে সুদীর্ঘকাল জনসাধারণকে সেবা দিয়ে কেবল অবহেলা নিয়ে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, যারা সমগ্র চাকরি জীবনে ন্যায্য মাত্র একটা পদোন্নতির জন্য, ন্যায্য মাত্র একটু উচ্চশিক্ষার জন্য কেঁদে কেঁদে চিরদিনের জন্য কবরে ঘুমিয়ে গেছেন তাদের ক্ষতিপূরণ কি হবে ?

আমি অতোসতো বুঝিনা। আমার ফুল এন্ড ফাইনাল কথা, প্রত্যেকজন ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আসলের চক্রবৃদ্ধি হারে লাভ সমেত ক্ষতিপূরণ। যে সকল ডিএমএফ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দলিলে লিখিত প্রতিশ্রুতি যা যা রয়েছে সব ছিনিয়ে নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ্।

আমি যেভাবে আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ডিএমএফ জাতির জন্য কাজ করি, আপনারা সেভাবে আমাকে প্রতিশ্রুতি দেন, ডিএমএফ জাতির জন্য মন, প্রাণ দিয়ে কাজ করেন। দেখবেন একদিন ডিপ্লোমা ডিএমএফ চিকিৎসকদের কোনো বঞ্চনা থাকবে না। ডিপ্লোমা চিকিৎসকতা পেশায় একবিন্দু কলঙ্ক থাকবে না। কলঙ্কের প্রতিটা কণা নির্মুল করা হবে ইনশাআল্লাহ্। যারা ফাঁদ পেতেছে তাদের সেই পাতানো ফাঁদে সু‌কৌশ‌লে তাদেরকেই ফেলা হবে। ষড়যন্ত্রের সব শিকড় সমূলে উৎপাটন করা হবে ইনশাআল্লাহ্। মনে রাখবেন, আমাদের নতুন করে সৃষ্টি করার মতো কোন চাহিদা নাই। যা কিছু দলিলে পূর্বলিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে শুধু তাই বাস্তবায়ন করলেই ডিএমএফ জাতি উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ্। কারো উপর নির্ভর না করে, কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে কেবল নিজেদের দায়িত্ব টুকু নিজ নিজ অবস্থান থেকে পালন করুন। বিডিএমএ, কেকাপ সংগঠনকে সুসংগঠিত করুন। তবেই আপনাদের সকল চাওয়া, পাওয়া, ডিমান্ড, চাহিদা, প্রত্যাশা সব পূরণ সম্ভব। অন্যথায় নয়।

একজন পেশাজীবি হিসেবে আমি তামাম দুনিয়ার সকল পেশাজীবির কথা ভাবি। একজন ডিপ্লোমা চিকিৎসক পেশাজীবি হিসেবে যা কিছু ডিপ্লোমা চিকিৎসকতা সম্পর্কিত তা আমাকে গভীর ভাবে ভাবায়।

আগামীদিনের স্লোগান হোক, তারুণ্যের পক্ষ নিন, নতুন লিডার ও লিডারশিপ তৈরির কাজে হাত দিন, ডিএমএফ জাতির উন্নয়নে যোগ দিন।

সকলকে ধন্যবাদ।

লেখক : ডা. এম. মিজানুর রহমান (জনস্বাস্থ্যবিদ)
ডিপ্লোমা চিকিৎসক পেশাজীবি লিডার।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট জনস্বাস্থ্যবিদ পেশাজীবি লিডার।
এলএল.বি ফাইনাল পরীক্ষার্থী।

এই সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসার জন্য কোন সীমারেখা নির্ধারিত নাই...!অনেকেই উপরোক্ত লাইন টির বিষয়ে সঠিক কথা টা বুঝে উঠতে পারতে...
09/06/2022

এই সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসার জন্য কোন সীমারেখা নির্ধারিত নাই...!

অনেকেই উপরোক্ত লাইন টির বিষয়ে সঠিক কথা টা বুঝে উঠতে পারতেছেন না।

আজকের লেখনী কেবল তাদের জন্য।

"এমবিবিএস ধারীদের রোগী চিকিৎসার জন্য কোন সীমারেখা নির্ধারিত নাই" এই কথাটার আইনগত কোন ভিত্তি নাই। এমবিবিএস দের তাদের পঠিত কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে হবে। প্রত্যেক চিকিৎসকদের নিজ নিজ কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোর্স কারিকুলামের বাইরে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করলে আইনের দৃষ্টিতে সেটি ফৌজদারী অপরাধ বলে গণ্য হবে। এরূপ ফৌজদারী অপরাধের জন্য চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করা সহ জেল, জরিমানার বিধান প্রত্যেক দেশের প্রচলিত আইনে রয়েছে। ডিপ্লোমা চিকিৎসক, গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক প্রত্যেককে তার নিজ নিজ কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে হবে এজন্য তাদের আলাদা ভাবে কর্মপরিধি, পরিসীমা, সীমারেখা নির্ধারণ করার প্রয়োজন হয় না।

সকলকে ধন্যবাদ।

চিকিৎসকদের এক বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন- মাস্টার্স ডিগ্রি করে পাঁচ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ উপাধি ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ...একজন...
07/06/2022

চিকিৎসকদের এক বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন- মাস্টার্স ডিগ্রি করে পাঁচ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ উপাধি ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ...

একজন গ্র্যাজুয়ট চিকিৎসক একটি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করলে তিনি কেবল ঐ এক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ টাইটেল-উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন। কম্বাইন্ড বা ডবল বিষয়ে বা দুটি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করলে তিনি কেবল দুটো বিষয়ের বিশেষজ্ঞ টাইটেল-উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অনেক গ্র্যাজুয়ট চিকিৎসক একটি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করে ৫/৭ টা বিষয়ের বা সিস্টেমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টাইটেল-উপাধি ব্যবহার করেন। যা বিএমডিসি আইনের ২৯(১) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এমনকি অনেক গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন ছাড়াই নিজেদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দেন এটিও বিএমডিসি আইনের ২৯(১) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন, এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে, প্রত্যেকবার উহার পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থ দন্ডে, বর্ণিত দন্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দন্ডনীয় হইবেন।

অতএব, সাধু সাবধান!

CMU, DMU পাসকৃতদের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট প্রদানে আইনগত কোন জটিলতা নেই...বিএমডিসি নিবন্ধিত DMF, MBBS দের কোর্স কারিকুলা...
07/06/2022

CMU, DMU পাসকৃতদের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট প্রদানে আইনগত কোন জটিলতা নেই...

বিএমডিসি নিবন্ধিত DMF, MBBS দের কোর্স কারিকুলাম ও কর্মপরিধিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট প্রদান করার বিষয়ে কোন সুস্পষ্টতা নেই যে, উনারা আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে পারবেন কি পারবেন না। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ও রিপোর্ট প্রদান করার জন্য মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড বিদ্যায় তত্ত্বীয় কোর্স ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নেয়ার বাধ্যবাধকতা সারাবিশ্বে রয়েছে।

আমাদের দেশে সার্টিফিকেট ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড CMU, ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড DMU পাসকৃতদের কর্মপরিধিতে অবশ্যই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট প্রদান করার অনুমোদন রয়েছে। কেননা CMU, DMU কোর্স টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত আইন দ্বারা বলবৎকৃত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কতৃক স্বীকৃত সার্টিফিকেট/ ডিপ্লোমা কোর্স। আইন দ্বারা বলবৎকৃত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট/ ডিপ্লোমা অর্জনকারীদের তাদের পেশা সংশ্লিষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকার মৌখিক বা লিখিত নিষেধাজ্ঞা প্রদান প্রচলিত আইন বিরোধী কাজ একই সাথে তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয় নি যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সিএমইউ, ডিএমইউ করে আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করতে পারবেন না, রিপোর্ট প্রদান করতে পারবেন না। ভবিষ্যতে আইন দ্বারা বলবৎকৃত কোন সংবিধিবদ্ধ আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাউন্সিল দেশে তৈরি হলেও সেখানে কারিগরি বোর্ডের সিএমইউ, ডিএমইউ ধারীরা লাইসেন্স পাবার অধিকার রাখেন। যদি কোন ব্যক্তি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এমন কোন বিষয়ে নির্দেশনা বা বিবৃতি প্রদান করেন যার কোন আইনগত ভিত্তি নেই তবে সেই নির্দেশনা বা বিবৃতির বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট শরণাপন্ন হওয়ার ও সেই নির্দেশনা বা বিবৃতি বাতিলসহ যথাযথ আইনি প্রতিবিধানের সুযোগ প্রচলিত আইনে রয়েছে।

উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ, ক্লিনিশিয়ান, প্যারামেডিক্স, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, মেডিকেল সায়েন্টিস্টসহ অ্যালাইড মেডিকেল রিলেটেড পেশাজীবিরা মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড বিদ্যায় তত্ত্বীয় কোর্স ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত সনদ, ডিপ্লোমা, ডিগ্রি অর্জন করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন ও রিপোর্ট প্রদান করে থাকেন।

সকলকে ধন্যবাদ।

লেখক,
ডা. এম. মিজানুর রহমান (জনস্বাস্থ্যবিদ)
ডিপ্লোমা চিকিৎসক পেশাজীবি লিডার।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট জনস্বাস্থ্যবিদ পেশাজীবি লিডার।
এলএল.বি ফাইনাল পরীক্ষার্থী।

CMU, DMU করে BMDC নিবন্ধিত DMF চিকিৎসকদেরআল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করতে আইনানুগ কোনো জটিলতা নেই... বাংলাদেশ কারিগরি ...
31/05/2022

CMU, DMU করে BMDC নিবন্ধিত DMF চিকিৎসকদের
আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করতে আইনানুগ কোনো জটিলতা নেই...

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন ধারা বলবৎকৃত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা ডি.এম.এফ চিকিৎসকরা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড সিএমইউ, ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড ডিএমইউ করে আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিছু হেলথ এডমিনিস্ট্রেটর না জেনে বুঝে সমস্যা তৈরি করে যাচ্ছেন। এটা কাম্য হতে পারে না। আইন দ্বারা বলবৎকৃত প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটধারী, ডিপ্লোমাধারীদের তাদের পেশা সংশ্লিষ্ট কাজ করা থেকে বিরত রাখার মৌখিক বা লিখিত নিষেধাজ্ঞা প্রচলিত আইন বিরোধী কাজ।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয় নি যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সিএমইউ, ডিএমইউ করে আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করতে পারবেন না। ভবিষ্যতে আইন দ্বারা বলবৎকৃত কোন সংবিধিবদ্ধ আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাউন্সিল দেশে তৈরি হলেও সেখানে কারিগরি বোর্ডের সিএমইউ, ডিএমইউ ধারীরা লাইসেন্স পাবার অধিকার রাখেন।

কাজেই যদি বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের মধ্যে এরূপ কোনো ভিকটিম থেকে থাকেন যাকে আল্ট্রা সনোলজিক্যাল বিষয়ক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, আপনি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট হেলথ এডমিনিস্ট্রেটরের কাছ থেকে লিখিত নিষেধাজ্ঞার কপি নিবেন। এতে করে সংশ্লিষ্ট হেলথ এডমিনিস্ট্রেটরের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন বিরোধী কাজের জন্য মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট শরণাপন্ন হওয়ার এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ প্রচলিত আইনে রয়েছে।

সকলকে ধন্যবাদ।

লেখক,
ডা. এম. মিজানুর রহমান (জনস্বাস্থ্যবিদ)
ডিপ্লোমা চিকিৎসক পেশাজীবি লিডার।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট জনস্বাস্থ্যবিদ পেশাজীবি লিডার।
এলএল.বি ফাইনাল পরীক্ষার্থী।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন- বিডিএমপিএ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন- বিডিএমপিএ:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram