চিরিরবন্দর ডায়াবেটিক সেন্টার

চিরিরবন্দর ডায়াবেটিক সেন্টার ''No diabetic shall die untreated, unfed and unemployed even if poor'' An enterprise of Bangladesh Diabetic Somity

21/08/2025
13/08/2025
কখন আপনি একজন ইউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?
23/05/2024

কখন আপনি একজন ইউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?

18/12/2017

চিরিরবন্দরের সেই শারীরিক প্রতিবন্ধী
ছেলেটি আজ বড় ডাক্তার
------
চিরিরবন্দর থানা থেকে ৩ মাইল দক্ষিণে ৬ নং অমরপুর ইউনিয়নের জগ্ননাথপুরে নামের এক গ্রামে বাবা - মা কোলে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে ছেলে শিশু, সালটি ছিল তখন ১৯৬২। শৌশবে শিশুটির দুরন্তপনার শেষ ছিল না,কিন্তু ভাগ্যের পরিশাষ প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি না পেরুতেই আক্রান্ত হয় দূরোগ্য পোলিওতে,একটা পায়ের সাভাবিক চলন শক্তি লোপ পায়। কি আর করা কষ্ট করে খুড়িয়ে চলা ফেরা করলেও মেধা আর মনোবল ছিল অটুট।
---
এভাবে কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ছেলেটি চিরিরবন্দর পাইলট স্কুল থেকে এস এস সি পাস করে ১৯৭৯, এইস এস সি রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে।
--
এম বি বি এস পাস করেন ১৯৮৮ সালে রংপুর মেডিকেল থেকে।কমজীবন শুরু করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ঢাকায়,কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল এ প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন, এরপর ২০০১ সাল থেকে দীঘ ১৬ বছর ধরে আমাদের দিনাজপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে আছেন, বতমানে একটি ডিসিপ্লিনের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
----
শুধু কি তাই! চাকরির পাশাপাশি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিষ্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি থেকে এম এস এবং বারডেম ও হাজী দানেশ থেকে যৌথভাবে ডায়াবেটিস উপর উচ্চ বিষয় গবেষণার পর পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন।
পারিবারিক জীবনে এক সন্তানের বাবা, ছেলে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেলে কলেজে এম বি বি এস ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। এছাড়া উনি চিরিরবন্দর ডায়াবেটিক সেন্টার এর প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা উনার সামগ্রিক জীবনের সফলতা কামনা করি।
----
সংক্ষেপে
নাম :- ডাঃ আলতাফ হোসেন
পিতা- মরহুম তমিজ উদ্দিন
গ্রাম - জগন্নাথপুর, ৬ নং অমরপুর ইউনিয়ন
--
ডিগ্রী -এম বি বি এস,এম এস, পি এইচ ডি।
বিভাগীয় প্রধান দিনাজপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল
--
তিনি ১২ ই জানুয়ারি অনুষ্টিতব্য চিরিরবন্দর বাতা ক্যারিয়ার ডেভেলপমেণ্ট প্রোগ্রামে উনার জীবনের গল্প শুনাবেন।

12/09/2016
22/08/2016

স্কিন ট্যাগ বলতে গেলে প্রায় সবারই রয়েছে। কারও বেশি, কারও কম। ত্বকের তুলনামূলক পুরু অংশে শিরা ও কোলাজেন একীভূত হয়ে তৈরি হয় স্কিন ট্যাগ। ত্বকের উপর ছোট মাংসল আঁচিলের মতো পিণ্ড বের হয়। গোলাপি, বাদামি বা লালচে রঙের এ মাংসল পিণ্ডগুলোই স্কিন ট্যাগ। এর বৈজ্ঞনিক নাম অ্যাক্রোকোর্ডন।

21/08/2016

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের জন্য জান্নাত সম্পর্কে ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন। আসুন জেনে নেই জান্নাত সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণীগুলিঃ

১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)]

২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)]

৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। [মুসলিম- আনাস রা.)]

৪) জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। [তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)]

৫) জান্নাত সমস্ত পৃথিবী থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)

৬) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। [বুখারী- আনাস (রা.)]

৭) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। [মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)]

৮) জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]

৯) জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার। [বুখারী, মুসলিম আবু মুসা (রা.)]

১০) পূর্ণিমা চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ক) তাদের অন্তরে কোন্দল ও হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। (খ) তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। (গ) তাদের পেশাব পায়খানা হবে না। (ঘ) তারা থুথু ফেলবে না। (ঙ) তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝরবে না। (চ) তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী। (ছ) তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের। (জ) তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। (ঝ) তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়। (ঞ) তাদের শাররীক গঠন হবে (আদী পিতা) আদম (আ:) এর ন্যয়। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]

১১) জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নি:শেষ হয়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিমযাবির (রা.)]

১২) জান্নাতীরা সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাসা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]

১৩) জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব সময় যুবক থাকবে বৃদ্ধ হবে না। [মুসলিম আবু সাঈদ (রা.)]

১৪) জান্নাতে (এমন) এক দল প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখিদের অন্তরের মতো। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]

১৫) জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্টি দান করেছি, তোমাদের উপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবো না। [বুখারী, মুসলিমআবু সাঈদ (রা.)]

১৬) জান্নাতের নহরে পরিণত হবে- সায়হান, জায়হান, ফোরাত ও নীল নদী। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]

১৭) জান্নাতে বান্দার আশা আকাঙ্খার দ্বিগুণ দেয়া হবে। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]

১৮) জান্নাতের দরওয়াজা ৪০ বছরের দুরত্বে সমান, এমন এক দিন আসবে যে তাও ভরপুর হয়ে যাবে। [মুসলিম-উতবা ইবনে খাজওয়ান (রা.)]

১৯) জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রোপ্য দ্বারা তৈরী। কঙ্কর হলো মনি মুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]

২০) জান্নাতের সকল গাছের কা- হবে সোনার। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]

২১) জান্নাতের ১০০ টি স্তর আছে, দু’স্তরের মধ্যে ব্যবধান শত বছরের। [(তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]

২২) জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কোন এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল লোক একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]

২৩) জান্নাতের উচ্চ বিছানা (সুরুরুম মারফুআ) আসমান জমীনর মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ- ৫০০ শত বছরের পথ। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]

২৪) জান্নাত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ পুরুষের শক্তি দান করা হবে। [(তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]

২৫) জান্নাতবাসীগণ কেশবিহীন দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। [তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]

২৬) জান্নাতবাসীগণ ৩০ বা ৩৩ বছর বয়সীর মতো জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজী, ময়াজ ইবনে জাবাল (রা.)

২৭) জান্নাতে অবস্থিত কাওসার এর পানি দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। [তিরমিজীআসান (রা.)]

২৮) জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দুটোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে তুমি সে সব জিনিস পাবে যা কিছু তোমার মন চাইবে এবং তোমার নয়ন জুড়াবে। [তিরমিজী-আবু বুরাইদা (রা.)]

২৯) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)]

৩০) জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃতি রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)]

৩১) জান্নাতবাসীদের উপর এক খণ্ড মেঘ আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাদের উপর এমন সুগন্ধি বর্ষণ করবে যে, অনুরূপ সুগন্ধি তারা আর কখনো পায়নি। জান্নাতের বাজারে একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করবে এবং তার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আশ্চার্যান্নিত হবে। কিন্তু তার কথা শেষ হতে না হতেই সে অনুভব করবে যে, তার পোশাক তার চেয়ে আরো উত্তম হয়ে গেছে। এটা এ জন্য যে, জান্নাতে দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই। তাদের স্ত্রীদের কাছে ফিরে আসলে তারা বলবে তুমি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছ। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- সাইধ ইবনে মুসায়েব (রা.)]

৩২) নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্যে ৮০ হাজার খাদেম ও ৭২ জন স্ত্রী হবে। ছোট্ট বয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী লোক মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বয়স কখনো বৃদ্ধি হবে না। জান্নাতবাসীগণ যখন সন্তান কামনা করবে, তখন গর্ভ, প্রসব ও তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাবে। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ- আবু সাঈদ (রা.)]

৩৩) জান্নাতে হুরদের সমবেত সংগীত শুনা যাবে। এমন সুরে যা আগে কখনো শুনা যায় নি। তারা বলবে-
আমরা চিরদিন থাকবো, কখনো ধ্বংস হবো না।
আমরা সুখে আনন্দে থাকবো, কখনো দুঃখ দুশ্চিন্তা হবে না।
আমরা সব সময় সন্তুষ্ট থাকবো, কখনো নাখোশ হবো না।
সুতরাং তাকে ধন্যবাদ যার জন্যে আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি। [তিরমিজী- আলী (রা.]

৩৪) জান্নাতে রয়েছে, ১. পানির সমূদ্র ২. মধুর সমুদ্র ৩. দুধের সমুদ্র ৪. শরাবের সমুদ্র। তার পর তা থেকে আরো বহু নদী প্রবাহিত হবে।- [তিরমিজী- হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা.)]

৩৫) জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তার পর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অংকুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমন কি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয়না। [বুখারী – আবু হুরায়রা (রা.)]

৩৬) জান্নাতে এক ব্যক্তি ৭০টি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসবে। এ শুধু তারই স্থান নির্ধারিত থাকবে। একজন মহিলা এসে সালাম দিয়ে বলবে, “আমি অতিরিক্তের অন্তর্ভুক্ত” তার পরনে রং বেরং এর ৭০ খানা শাড়ী পরিহিত থাকবে এবং তার ভিতর দিয়েই তার পায়ের নলার মজা দেখা যাবে। তার মাথার মুকুটের আলো পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থান রৌশনী করে দিবে। [আহমদ- আবু সাঈদ (রা.)]

৩৭) জান্নাতবাসীগণ নিদ্রা যাবে না। নিদ্রাতো মৃত্যুর সহোদর আর জান্নাতবাসী মরবে না। [বায়হাকী- যাবের (রা.)]

৩৮) আল্লাহ তায়ালা হিজাব বা পর্দা তোলে ফেলবেন, তখন জান্নাতবাসীরা আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ করবে। আল্লাহর দর্শন লাভ ও তার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এযাবত তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। [মুসলিম- সুহায়ব (রা.)]

৩৯) বারা বিন আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: কবরে মুমিন বান্দার কাছে দু‘জন ফেরেশতা আসে তাকে উঠিয়ে বসাবেন। তার পর তাকে জিজ্ঞেস করবেন: তোমার রব কে? সে উত্তর দেয় আমার রব ‘আল্লাহ’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার দ্বীন কি? সে উত্তর দেয়, আমার দ্বীন ‘ইসলাম’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে উত্তর দেয়, তারা উত্তর দেয়, তিনি হলেন ‘আল্লাহর রাসূল’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এসব কিভাবে জানলে? সে উত্তর দেয়, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন- আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও। তখন তা খুলে দেয়া হয়। রাসূল (সা.) বলেন: ফলে তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস এবং সুগন্ধি আসতে থাকে। তার জন্য কবরের স্থানকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। (আহমদ আবু দাউদ)

৪০) যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, তাকে (সমাজে কুরআনের বিধান) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কুরআনে বর্ণিত হালালসমূহকে হালাল জেনে মেনেছে, হারামগুলোকে হারাম মনে করেছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের জাহান্নামযোগ্য ১০ জনে বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। (তিরমিযী হযরত আলী হতে)

11/08/2016

একবার একটি যাত্রীবাহী জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। ঝড়ের তোড়ে সবাই হারিয়ে গেলেও মাত্র একজন লোক বেঁচে গেলো। জ্ঞান ফিরে পাবার পর লোকটি নিজেকে একটি নির্জন দ্বীপের আবিস্কার করলো। প্রতিটা মূহুর্ত সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে লাগলো যেন কেউ এসে তাকে উদ্ধার করে। তার প্রার্থনা এক সময় হতাশায় পরিণত হলো; কেউ এলো না তাকে উদ্ধার করতে। সে উদ্ধার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে শেষতক নিজেকে দ্বীপটির সাথে মানিয়ে নিলো।

এভাবে কয়েক মাস পেরিয়ে গেলো। লোকটি এর মধ্যে নির্জন দ্বীপটিতে যুদ্ধ করে টিকে থাকা শিখে গেছে। খিদে লাগলে সে মাছ ধরে, ছোট প্রানী শিকার করে কিংবা ফলমূল দিয়ে আহার করে। শক্ত লতাপাতা, খড়কুটো এবং বড় গাছের গুড়ি দিয়ে সে একটি কুড়েঘর ও বানিয়ে ফেললো।

একদিন লোকটি খাবারের সন্ধানে বের হলো। সন্ধ্যার দিকে কিছু পাখি ধরে আনার পর সেগুলো আগুনে ঝলসাতে বসলো কিন্তু অসাবধানতাবশতঃ কুঁড়েঘরে আগুন লেগে গেলো। কুঁড়েঘরটি সমুদ্র তীর থেকে কিছুটা দূরে ছিলো, তাই সে পানি ব্যবহার করতে পারলো না এবং অন্য কোনোভাবেই আগুন নেভাতে পারলো না। মোটা কাঠের গুড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো। লোকটির এতদিনকার সব পরিশ্রম চোখের সামনে ভস্মীভূত হতে দেখে লোক টি প্রচন্ড রাগ এবং ক্ষোভে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে দুই হাত উচু করে চিৎকার করতে লাগলো-

"হে খোদা, আমার সাথে এমন কেন করলে? আমি দিনের পর দিন তোমার কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমাকে কেউ উদ্ধার করে নিয়ে যায়, কিন্তু কেউ আসেনি। এখন তুমি আমার শেষ সম্বলটাও আগুনে জ্বালিয়ে দিলে। কেন এমন করলে আমার সাথে?"

এরপর লোকটি বালুতে হাঁটু গেড়ে কাঁদতে শুরু করলো। এভাবে কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর লোকটি জাহাজের ভেঁপু শুনে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো একটি জাহাজ এদিকেই আসছে। জাহাজ থেকে লোক নেমে এসে লোকটিকে উদ্ধার করার পর লোকটি ক্যাপ্টেনের কাছে তাকে কিভাবে খুঁজে পেলো জানতে চাইলো।
ক্যাপ্টেন উত্তর দিলেন, আমরা দ্বীপের অপর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাত এদিকে আগুনের শিখা দেখে ভাবলাম কেউ উদ্ধার পাবার জন্য আগুন জ্বালিয়েছে। তাই জাহাজ ঘুরিয়ে এদিকে আসতেই আপনাকে পেয়ে গেলাম।
...............

আমাদের জীবনেও এমন একের পর এক সমস্যা আর বিপদ এসে আমাদেরকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। কিন্তু আল্লাহ এই খারাপ সময় এবং সমস্যাগুলোতে যে পরবর্তীতে আমাদের কল্যাণ সাধন করার জন্যই দেন এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারিনা।

তাই বিপদে বা সমস্যায় পড়লে আল্লাহকে ভুলে না গিয়ে তার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। বিশ্বাস রাখুন, যা কিছু হয়েছে তা কল্যাণকর হয়েছে। ইনশাআল্লাহ যা কিছু হবে, তা ভালো হবে। নিশ্চয়ই মু'মিনদের জীবনের বিপদ-আপদ ও কষ্ট-যন্ত্রণা সবই কল্যাণকর।

[গল্পটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত]

11/08/2016

মা সন্তানের ওপর বিরক্ত হয়ে অভিশাপ দিলে কী হয়?


অনেক মা সন্তানের ওপর বিরক্ত হয়ে তাকে অবলীলায় অভিশাপ দিয়ে দিয়ে বসেন। স্নেহময়ী জননী হয়তো তার জীবনের বিনিময়ে হলেও সন্তানের যে কোনো অনিষ্ট রোধ করতে চাইবেন। কিন্তু তিনিই আবার রাগের মাথায় অবচেতনে আদরের সন্তানটির অনিষ্ট কামনা করে বসেন।
গ্রাম-বাংলায় প্রায়ই দেখা যায় সন্তানদের দুরন্তপনা বা দুষ্টুমিতে নাকাল হয়ে অনেক মা সরাসরি বাচ্চার মৃত্যু কামনা করে বসেন। ‘তুই মরিস না’, ‘তুই মরলে ফকিররে একবেলা ভরপেট খাওয়াতাম’, ‘আল্লাহ, আমি আর পারিনে’, ‘এর জ্বালা থেকে আমাকে নিস্তার দাও’- এ জাতীয় বাক্য আমরা অহরহই শুনতে পাই।
বিশেষত কৈশোরে এসে গ্রাম-বাংলার শিশুদের দুরন্তপনা কখনো সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে কিশোর সন্তানকে উদ্দেশ করেই সাধারণত মায়েরা এমন অসহিষ্ণু বাক্যোচ্চারণ করে থাকেন।
এ ব্যাপারেও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখনো কারো বিরুদ্ধে অভিশাপ দেয়া বা বদদু‘আ করাকে সমর্থন করে না। আপন সন্তানকে তো দূরের কথা জীবজন্তু এমনকি জড় পদার্থকে অভিশাপ দেয়াও সমর্থন করে না। জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى غَزْوَةِ بَطْنِ بُوَاطٍ وَهُوَ يَطْلُبُ الْمَجْدِىَّ بْنَ عَمْرٍو الْجُهَنِىَّ وَكَانَ النَّاضِحُ يَعْتَقِبُهُ مِنَّا الْخَمْسَةُ وَالسِّتَّةُ وَالسَّبْعَةُ فَدَارَتْ عُقْبَةُ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ عَلَى نَاضِحٍ لَهُ فَأَنَاخَهُ فَرَكِبَهُ ثُمَّ بَعَثَهُ فَتَلَدَّنَ عَلَيْهِ بَعْضَ التَّلَدُّنِ فَقَالَ لَهُ شَأْ لَعَنَكَ اللَّهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ هَذَا اللاَّعِنُ بَعِيرَهُ ». قَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ « انْزِلْ عَنْهُ فَلاَ تَصْحَبْنَا بِمَلْعُونٍ لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى
أَمْوَالِكُمْ لاَ تُوَافِقُوا مِنَ اللَّهِ سَاعَةً يُسْأَلُ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبُ لَكُمْ ».
বাতনে বুওয়াত যুদ্ধের সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে পথ চলছিলাম। তিনি মাজদী ইবন ‘আমর জুহানীকে খুঁজছিলেন। পানি বহনকারী উটগুলোর পেছনে আমাদের মধ্য থেকে পাঁচজন, ছয়জন ও সাতজন করে পথ চলছিল। উকবা নামক এক আনসারী ব্যক্তি তাঁর উটের পাশ দিয়ে চক্কর দিল এবং তাকে থামাল। তারপর তার পিঠে উঠে আবার তাকে চলতে নির্দেশ দিল। উটটি তখন একেবারে নিশ্চয় হয়ে গেল। তিনি তখন বললেন ধুত্তুরি। তোর ওপর আল্লাহর অভিশাপ। এ শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজের উটকে অভিশাপদাতা এই ব্যক্তিটা কে? তিনি বললেন, আমি হে আল্লাহর রাসূল। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তুমি এর পিঠ থেকে নামো। তুমি আমাদের কোনো অভিশপ্তের সঙ্গী করো না। তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্তুতির এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে দু‘আ করো না। তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন মুহূর্তের জ্ঞানপ্রাপ্ত নও, যখন যা কিছুই চাওয়া হয় তিনি তোমাদের তা দিয়ে দেবেন।’ [মুসলিম : ৭৭০৫]
হাদীসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন, অর্থাৎ তোমরা কোনো মুহূর্তেই নিজের বিরুদ্ধে, নিজের সন্তান বা সম্পদের বিরুদ্ধে বদদু‘আ করো না। কারণ, হতে পারে যে সময় তুমি দু‘আ করছো, তা দিনের মধ্যে ওই সময় যখন যা-ই দু‘আ করা হোক না কেন তা কবুল করা হয়। তোমরা তো এ সময় সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত নও। (মুবারকপুরী, মিরআতুল মাফাতীহ : ৭/৭০৩)
হাদীসটি বর্ণনা করে আরেক ব্যাখ্যাকার বলেন,
فالحديث يدل على النهي عن كون الإنسان يدعو على أهله وماله، وذلك عندما يحصل له غضب فيحصل منه الدعاء، وهو مشتمل أيضاً على بيان العلة والحكمة في ذلك، وأنه قد يكون هذا الدعاء يوافق ساعة إجابة فيستجاب للإنسان فيما سأل من الشر أو من الشيء الذي لا ينبغي لأهله وماله.
‘হাদীসটি রাগের মাথায় মানুষের তার পরিবার ও সম্পদের বিরুদ্ধে দু‘আ করার নিষিদ্ধতা প্রমাণ করে। হাদীসটি এর কারণও তুলে ধরে। আর তা হলো, এ দু‘আটি কবুলের বিশেষ মুহূর্তে পড়ে যেতে পারে। ফলে মানুষের সবই কবুল হয়ে যায় চাই তা ভালো হোক বা মন্দ, যা সে তার পরিবার বা সম্পদের ক্ষেত্রে প্রত্যাশা করে না।’ [আবদুল মুহসিন, শারহু সুনান আবী দাউদ : ৮/২৮৮]
নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে দু‘আ করার অর্থ তো নিজেই নিজেকে হত্যার তথা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। আর এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ
‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৯৫}
অতএব প্রতিটি মাকে ভেবে দেখতে হবে, আমার রাগের মাথায় উচ্চারণ করা বাক্য যদি সত্যে পরিণত তাহলে কেমন লাগবে? আমি কি তা সহ্য করতে পারব? এ জন্য রাগের মাথায়ও কখনো সন্তানের অমঙ্গল কামনা করা যাবে না। প্রসঙ্গত বলা দরকার যে শুধু মায়েদেরই নয়, আমাদের সবারই উচিত নিজের, নিজের সন্তান ও সম্পদের বিরুদ্ধে বদদু‘আ করা থেকে সংযত হওয়া। রাগের সময় সংযম ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেওয়া।

09/08/2016

এরকম যদি সবাই হত তাহলে দুঃখ কষ্ট নামে শব্দটা পৃথিবী থেকে মুছে যেতো।
শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ দিন।

প্রেসার মাপা শেখার চমৎকার ভিডিও।
09/08/2016

প্রেসার মাপা শেখার চমৎকার ভিডিও।

A guide to the best technique for measuring blood pressure, part of a global movement to promote blood pressure screening. The World Hypertension League (WHL...

Address

Ghughuratoli, Parbatipur Road, Chirirbandar
Dinajpur
5240

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চিরিরবন্দর ডায়াবেটিক সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to চিরিরবন্দর ডায়াবেটিক সেন্টার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category