Dr Jahir Lalat

Dr Jahir Lalat MBBS(DU)

“মাত্র কয়েকটি তুলসী পাতা বদলে দেবে আপনার শরীর, মন ও জীবন! 😍✨ জানুন তুলসী পাতার ৪০টি আশ্চর্যজনক গুণাগুণ ও ব্যবহার 🌱💚” 🔥🌿...
03/11/2025

“মাত্র কয়েকটি তুলসী পাতা বদলে দেবে আপনার শরীর, মন ও জীবন! 😍✨ জানুন তুলসী পাতার ৪০টি আশ্চর্যজনক গুণাগুণ ও ব্যবহার 🌱💚” 🔥🌿

তুলসী শুধু পবিত্র গাছ নয়, এটি প্রকৃতির এক মহা ওষুধি ভাণ্ডার! 🌸
চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসী পাতার অবিশ্বাস্য ৪০টি উপকারিতা, গুণাগুণ ও ব্যবহার বিধি👇👇

🌿 তুলসী পাতার ৪০টি গুণাগুণ ও উপকারিতা

1. 🌬️ ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর দূর করে।

2. ❤️ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

3. 🦠 ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।

4. 🌸 ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।

5. 😍 ত্বক উজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত রাখে।

6. 🦷 মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের সমস্যা দূর করে।

7. 💆‍♀️ মানসিক প্রশান্তি দেয়, স্ট্রেস কমায়।

8. 🧘‍♀️ ধ্যান বা যোগব্যায়ামের সময় মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

9. 🧠 স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়।

10. 🤒 সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী।

11. 💪 শরীরের টক্সিন দূর করে, ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

12. 💃 হজম শক্তি বাড়ায় ও গ্যাস-অম্বল দূর করে।

13. 🩸 রক্ত বিশুদ্ধ রাখে।

14. 🌿 ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।

15. 💧 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

16. 💨 হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট কমায়।

17. 🧴 ত্বকের ইনফেকশন ও অ্যালার্জি দূর করে।

18. 🩹 ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

19. 🌺 চুল পড়া রোধ করে ও চুল ঘন করে।

20. 🧴 স্ক্যাল্পের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করে।

21. 💅 নখের ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করে।

22. 🌞 শরীর ঠান্ডা রাখে ও হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

23. 🧘‍♂️ মানসিক উদ্বেগ কমিয়ে প্রশান্তি আনে।

24. 🧃 লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

25. 🩺 কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

26. 💫 পেটের ব্যথা ও হজমের সমস্যা দূর করে।

27. 💧 ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।

28. 🌿 মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করে।

29. 🤕 সাইনাসের সমস্যা কমায়।

30. 🍵 তুলসী চা ঠান্ডা লাগা ও ক্লান্তি দূর করে।

31. 🧬 রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়।

32. 🌾 ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ কমায়।

33. 😷 অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

34. 🤰 গর্ভবতী নারীর হরমোন ব্যালান্স রাখতে সাহায্য করে (চিকিৎসকের পরামর্শে)।

35. 💞 শরীরের শক্তি ও উদ্যম বাড়ায়।

36. 💦 ঘাম ও গায়ের দুর্গন্ধ কমায়।

37. 🍋 ত্বক ফর্সা ও দাগমুক্ত করে।

38. 🧠 মানসিক ক্লান্তি দূর করে ও মন প্রফুল্ল রাখে।

39. 💨 কফ জমে গেলে তুলসী রস উপকারী।

40. 🌿 প্রতিদিন তুলসী খেলে শরীর সার্বিকভাবে রোগমুক্ত ও চাঙ্গা থাকে।

---

🌼 তুলসী পাতার ব্যবহার বিধি

1. ☕ তুলসী চা: ৫–৬টি তুলসী পাতা ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করুন — ঠান্ডা, কাশি ও মানসিক প্রশান্তির জন্য অসাধারণ।

2. 🍯 মধু ও তুলসী: তুলসী পাতার রসের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে।

3. 🧴 ত্বকে: তুলসী পাতা বেটে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে ব্রণ ও দাগ কমে।

4. 💇‍♀️ চুলের যত্নে: তুলসী রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান — খুশকি ও চুল পড়া কমাবে।

5. 💧 ডিটক্স পানীয়: তুলসী, লেবু ও পুদিনা পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন — সারাদিন পান করুন, শরীর থাকবে ফ্রেশ ও টক্সিনমুক্ত।

6. 🧘‍♀️ মানসিক শান্তির জন্য: তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মন শান্ত হয়।

7. 🍵 গলা ব্যথায়: গরম পানিতে তুলসী ও লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন।

8. 💊 ডায়াবেটিসে: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবান।

9. 🌸 শরীরচর্চার পর: তুলসী চা ক্লান্তি দূর করে।

10. 🧂 ইনফেকশন প্রতিরোধে: তুলসী পাতার রসের কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে দিনে একবার পান করুন।

#যৌন_সকল_রোগ
#অশ্ব_গেজ_পাইলস_ফিস্টুলা
#আমাশয়
#এলার্জি
#বাত
#ডায়বেটিকস
#বন্ধাত্ব
#গ্যাষ্টিক
#সাদাস্রাব
#অনিয়মিত_মাসিক
#স্বাস্হ্যহীনতা
#হাঁফানি

চলুন জেনে নেই...    (ক্যাথেটার) কত প্রকার এবং কোন ক্যাথটার কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?  (ক্যাথেটার) হচ্ছে এক ধরনের সরু, নর...
02/11/2025

চলুন জেনে নেই...
(ক্যাথেটার) কত প্রকার এবং কোন ক্যাথটার কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?
(ক্যাথেটার) হচ্ছে এক ধরনের সরু, নরম নল যা শরীরের ভেতরে তরল পদার্থ বের করা, দেওয়া বা মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়।
👉 এর ব্যবহার ও গঠন অনুযায়ী ক্যাথেটারের বিভিন্ন প্রকার আছে।
চলো ধীরে ধীরে দেখে নিই 👇
🩺 ১️⃣ Urinary Catheter (প্রস্রাবের ক্যাথেটার)
👉 Urin বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এরও কয়েকটি ধরন আছে —
Foley’s Catheter: সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে; দীর্ঘসময় প্রস্রাব নিষ্কাশন করতে রাখা যায়।
Nelaton Catheter: অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয় (যেমন প্রস্রাব পরীক্ষা নেওয়ার সময়)।
Suprapubic Catheter: পেটের নিচ দিয়ে সরাসরি ব্লাডারে দেওয়া হয়।
💉 ২️⃣ Intravascular Catheter
👉 রক্তনালীতে প্রবেশ করানো হয় ওষুধ, স্যালাইন বা রক্ত দেওয়ার জন্য।
প্রধান ধরনগুলো হলো —
Peripheral IV Catheter (হাতে স্যালাইন দেওয়ার জন্য)
Central Venous Catheter (CVC)
Arterial Catheter (রক্তচাপ বা গ্যাস মাপার জন্য)
🫁 ৩️⃣ Cardiac Catheter
👉 হার্টের ভেতরে ঢুকিয়ে রক্তপ্রবাহ ও প্রেসার পরীক্ষা করা হয় (Cardiac catheterization এ ব্যবহৃত)।
🧠 ৪️⃣ Epidural বা Spinal Catheter
👉 মেরুদণ্ডের কাছে ওষুধ দেওয়ার জন্য (যেমন ডেলিভারির সময় পেইন রিলিফে)।
💧 ৫️⃣ Peritoneal বা Abdominal Catheter
👉 পেটের ভেতরের তরল (ascitic fluid বা dialysis fluid) বের করতে বা দিতে ব্যবহার হয়।
🧫 ৬️⃣ Feeding Catheter (Nasogastric Tube)
👉 নাক দিয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছায়; খাবার বা ওষুধ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
🧍‍♀️ সংক্ষেপে:
প্রস্রাবের জন্য Foley, Nelaton
রক্তনালীতে IV, CVC
হার্টে Cardiac
মেরুদণ্ডে Epidural
পেটে Peritoneal
খাবার দেওয়ার জন্য Feeding/Nasogastric

লিভারের ক্ষতি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, এবং অনেক সময় কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না যতক্ষণ না তা গুরুতর অবস্থায় পৌঁছায়। সাধারণত এটি শ...
31/10/2025

লিভারের ক্ষতি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, এবং অনেক সময় কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না যতক্ষণ না তা গুরুতর অবস্থায় পৌঁছায়। সাধারণত এটি শুরু হয় লিভারের কোষে চর্বি জমে যাওয়ার মাধ্যমে, যাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল সেবন বা বিপাকজনিত (metabolic) সমস্যার কারণে হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে স্থায়ী প্রদাহ (chronic inflammation) লিভারে ফাইব্রোসিস সৃষ্টি করে, যেখানে দাগযুক্ত টিস্যু (scar tissue) সুস্থ কোষগুলোর জায়গা নেয়। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি সিরোসিসে পরিণত হয় যে পর্যায়ে লিভারের কার্যক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ফলে জিনের পরিবর্তন (mutation) ঘটতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত লিভার ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

😱 বিশ্বাস করবেন না— মাত্র ৩ মাস ছোলা খেয়েই শরীরে এমন পরিবর্তন!তিন মাস একটানা সকালে ভেজানো ছোলা খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুল...
30/10/2025

😱 বিশ্বাস করবেন না— মাত্র ৩ মাস ছোলা খেয়েই শরীরে এমন পরিবর্তন!

তিন মাস একটানা সকালে ভেজানো ছোলা খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো আসবে, তা সত্যিই অবাক করার মতো

🥇 শক্তি বাড়ে: সারাদিন সতেজ লাগে, ক্লান্তি কমে যায়।
💪 মাংসপেশি মজবুত হয়: প্রোটিনে ভরপুর ছোলা পেশি গঠনে দারুণ কাজ করে।
🔥 ফ্যাট কমায়: নিয়মিত খেলে পেটের মেদ গলতে শুরু করে।
💖 হার্ট ভালো থাকে: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
🌟 ত্বক ও চুলে উজ্জ্বলতা আসে: ভেতর থেকে শরীর পরিষ্কার রাখে, ফলে ত্বক উজ্জ্বল আর চুল মজবুত হয়।
🧠 মনোযোগ বাড়ে: ছোলার আয়রন ও ভিটামিন বি মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।

মাত্র তিন মাসে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, ছোট এই অভ্যাসটা কত বড় পরিবর্তন আনতে পারে!
✨ সকাল শুরু হোক এক মুঠো ভেজানো ছোলা দিয়ে!

নিম পাতার উপকারিতা সমূহ....🔹চুল পড়া কমায় ও খুশকি দূর করে – নিম পাতার রস চুলে লাগালে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে ।🔹ডায়াবেটিস ...
28/10/2025

নিম পাতার উপকারিতা সমূহ....
🔹চুল পড়া কমায় ও খুশকি দূর করে – নিম পাতার রস চুলে লাগালে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে ।

🔹ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় ।

🔹ত্বকের রোগে কার্যকর – একজিমা, চুলকানি, ব্রণ ও ফোঁড়ায় খুব উপকারী ।

🔹পেটের কৃমি দূর করে – প্রাকৃতিকভাবে কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে ।

🔹দাঁত ও মাড়ির যত্নে সহায়ক – নিম পাতা বা নিমের ডাঁটা চিবালে মুখের ব্যাকটেরিয়া নাশ হয় ।

🔹ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।

🔹জ্বর ও ভাইরাস সংক্রমণ কমায় – অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে ।

🔹যকৃত (লিভার) পরিষ্কার রাখে – লিভারের টক্সিন দূর করে স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখে ।

🔹রক্ত পরিশোধক – রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করে ত্বক ও শরীরকে সুস্থ রাখে ।

🔹প্রদাহ কমায় – শরীরে ব্যথা, ফোলা বা প্রদাহে উপকারী ।

🔹অ্যালার্জি ও চুলকানি কমায়

🔹মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

🔹 মলদ্বার ও গোপনাঙ্গের ইনফেকশন প্রতিরোধ করে

🔹হাত-পায়ের ঘা শুকায়

🔹মশা ও কীটপতঙ্গ দূরে রাখে

---

🍵 নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

✅ কাঁচা পাতা খাওয়া : সকালে খালি পেটে ৫–৭টি কচি নিম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায় । পরে পানি খেতে হবে ।

✅ নিম পাতার রস : ১০–১৫টি নিম পাতা পানিতে বেটে ছেঁকে ১ চামচ রস সকালে খালি পেটে খেতে পারেন ।

একটু মধু মিশালে তিতকুটে ভাব কমে ।

✅ নিম চা : কিছু শুকনো নিম পাতা গরম পানিতে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে পান করুন । এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং রক্ত পরিষ্কার করে ।

✅ বাহ্যিক ব্যবহার : নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের চুলকানি, ফুসকুড়ি ও একজিমায় উপকার হয় ।

চুলে লাগানোর আগে নিম পাতা বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ।

⚠️ কারা নিম পাতা খেতে পারবে না ❓

🔸গর্ভবতী নারী – গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় ।

🔸দুধপান করানো মা – শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ।

🔸 অতিরিক্ত রক্তচাপ বা শর্করার রোগী – ওষুধ খেলে নিম রক্তচাপ বা শর্করা অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে ।

🔸 শিশুরা (১০ বছরের নিচে) – খুব অল্প পরিমাণ ছাড়া খাওয়া উচিত নয় ।

🔸 লিভার বা কিডনির রোগী – চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না ।

🔸অতিরিক্ত সেবন করলে – বমি, মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা হতে পারে ।

27/10/2025

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান!
মাদকসেবী, মাদকব্যবসায়ীদের এখনো অভয়ারণ্য!
কিছুদিন আগেও এখানে প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র!
এরপর উচ্ছেদ অভিযান হলো, নতুন ডাকসু হলো...অথচ ঢাবির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই উদ্যানে মাদকসেবীদের এতো বেশি আনাগোনা যে হেটে যেতেও অস্বস্তি লাগে!
এ ব্যাপারে ডাকসু, ঢাবি প্রশাসন বা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কি কোন উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ আছে?

27/10/2025

(নানির সিজার হয়েছে, সেখান থেকে আমার মায়ের সিজার হয়েছে, তাই আমারও সিজার হবে)
ডাক্তার তো শত্রু না — আমরা চাই মা ও বাচ্চা দুজনেই নিরাপদ থাকুক।
“নানী-মামীর চেইন” দেখে মন খারাপ হবেই — কিন্তু এটা থামানো সম্ভব। অনেক সময় আগের সিজার থাকলেই সবাই ভেবে ফেলে সিজারই হবে, অথচ অনেকে পুরোপুরি নিরাপদভাবে নরমাল ডেলিভারি করেন। আমরা তোমাকে সত্য খোলাসা করে বলব: কখন নরমাল ডেলিভারি করাটা নিরাপদ, কখন সিজার দরকার।
তুমি যদি ইচ্ছা করো—ঠিক সময়ে ভালো প্রিপারেশন, নিয়মিত প্রেগনেন্সি চেক, কিছু সহজ এক্সারসাইজ, এবং শক্ত একটা বার্থ-প্ল্যান থাকলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আমরা তা শেখাবো, দেখাবো, এবং তোমার পাশে থাকব।
বিরল নয়—তোমার মেয়ে, নাতি-নাতনী, সবাইকে বাঁচাতে এটা করার মত প্রয়াস। চল, একসাথে “সিজার চেইন” ভাঙি।

A. কাদের জন্য চেষ্টা করা যায় (সাদামাটা শর্ত)

* একেকটি ক্ষেত্রে আলাদা। সাধারণভাবে ১টি আগের নিম্ন-ট্রান্সভার্স লোয়ার সিজার (typical low transverse) থাকলে এবং বর্তমানে এক জন শিশুর প্রেগন্যান্সি হলে বহু রোগী VBAC/TOLAC-এর ভাল প্রার্থী হতে পারেন। তবে উচ্চ ভিটেল ইনসশন বা বহু সিজার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

B. গর্ভাবস্থায় করার মত কাজ (প্রায় ২য় থেকে শেষ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত)

1. **নিয়মিত ANC (antenatal care)** — ডেট নির্ধারণ, প্যাপার-ফেসিস্টয়াল অ্যাসেসমেন্ট, শিশু-পজিশন চেক, ডায়াবেট/হাই-বিপি মনিটরিং।
2. **বয়সি-সাইজ মূল্যায়ন ও এপিক্যাল প্লেসমেন্ট** — শিশু বড় হলে বা পজিশন অস্বাভাবিক হলে পরিকল্পনা আলাদা।
3. **পেলভিক ও পেরিনিয়াল প্রস্তুতি**

* কেগেল ও পিলভিক-স্ট্রেংথেনিং: প্রতিদিন কিছু সহজ কেগেল এক্সারসাইজ।
* অ্যামনি-পেরিনিয়াল মাসাজ (35 তম সপ্তাহ থেকে): পেরিনিয়ামের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়, পেরিনিয়াল চটটি/টিয়ার কমায়।
4. **সাধারণ শরীরচর্চা

* হাঁটা, প্যলভিক টিল্ট, সি-ব্রিজ, লাইট অ্যারোবিক—ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে। শারীরিক ফিটনেস লেবার-আকটিভেশনে সহায়ক।
5. **খাদ্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণ** — অতিরিক্ত ওজন বড় শিশুর ঝুঁকি বাড়ায়; প্রোটিন-ভিত্তিক, ফল, সবজি, পর্যাপ্ত আয়রন।

C. মানসিক প্রস্তুতি ও পার্টনার-সাপোর্ট

* *Birth plan* লিখে রাখো: কেউ রিপোর্টের আগে কি চান—ইপিডুরাল/নক, মুভমেন্ট, বার্থ-পজিশন, ডক্টরের কিভাবে জানানো হবে ইত্যাদি।

* এক জন সাপোর্টার (পার্টনার/মা) থাকলে লেবার ভাল হয়—কনসোলিং ও স্পষ্ট তথ্য দিলে পরিবারের আস্থা বাড়ে।

D. লেবার-এ কি হবে (ইনট্রাপার্টাম ম্যানেজমেন্ট) — রোগীকে কী বলা উচিত

1. **স্পন্টেনিয়াস লেবার অপেক্ষা**: যদি মেমব্রেন টুটে (পানি ছাড়ে) এবং কনট্রাকশন শুরু হয়, আমরা পর্যবেক্ষণ করব—ফিটনেস & ফিট-সিস্টেম।
2. **ফিট-মনিটরিং** (FHR): ব্যাবহার করে নিচ্ছি যাতে শিশুর অবস্থান দেখা যায়; অস্বাভাবিক হলে দ্রুত সিদ্ধান্ত।
3. **প্রবৃত্তি ও পুশিং-টেকনিক**: ডাক্তারের নির্দেশে ধৈর্য্য ধরে পুশ করা, বিভিন্ন পজিশন (সিটিং, স্কোয়াট, টোগলেড) চেষ্টা করা যায়।
4. **ইপিডুরাল বা অন্য পেইন ম্যানেজমেন্ট**: যদি প্রয়োজন, নিরাপদ পেইন-কন্ট্রোল দেয়া হবে।
5. **কোন সময়ে সিজার করা অপরিহার্য**: বাচ্চার টর্গেসন/ডিস্ট্রেস, উল্লেখযোগ্য ফিটচ্যান্জ, প্রসেসিং থেমে যাওয়া, প্লেসেন্টাল বা মায়ের গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে। আমরা আগে থেকেই বোঝাই দিই—কখন জরুরী অপারেশন হবে যাতে বাড়ির লোক বুঝে।

E. প্রচলিত ভুল ধারণা যা কিভাবে ভাঙবে (পরিবার ও রোগীকে বলার মত)

* “আগের সিজার হলে অবশ্যই সবসময় সিজার”—ভুল। অনেকেই সফল VBAC করেন; সফলতার হার ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে ৬০–৮০% পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ঝুঁকিও আছে (যেমন ইউটেরিন রাপচার), তাই চিকিৎসক-নিয়ন্ত্রণে ট্রায়াল করা জরুরি।

- শেষ কথাটা

তুমি নিজের জীবনে সিজার পেয়েছো—এটা লজ্জার কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু যে মনের দৃঢ়তা তোমার আছে, সেটি ব্যবহার করো—তোমার মেয়ে বা নাতিকে ভবিষ্যতে বারবার অপারেশন এড়াতে সাহায্য করার জন্য। ছোট-ছোট উদ্যোগ: সক্রিয় প্রেগনেন্সি কেয়ার, শেখানো-প্রশিক্ষণ, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা—এসবই “সিজার চেইন” ভাঙবে। আমরা ডাক্তার হিসেবে তোমার পাশে আছি: নিরাপদ হলে নরমাল, ঝুঁকি থাকলে সবার সম্মতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত।

27/10/2025

"জেনে নিন লবঙ্গের অবিশ্বাস্য ৪০টি উপকারিতা — ছোট্ট এই মশলা, কিন্তু গুণে ভরপুর!" ✨🌿

লবঙ্গ (Clove) শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, বরং এটি এক অনন্য প্রাকৃতিক ওষুধ 💊 — যা আমাদের শরীর, ত্বক, মুখগহ্বর এবং চুলের জন্য অসাধারণভাবে উপকারী 🌸

🌸 লবঙ্গের ৪০টি গুণাগুণ ও উপকারিতা 🌸

1️⃣ দাঁতের ব্যথা উপশম করে 🦷
2️⃣ মুখের দুর্গন্ধ দূর করে 😁
3️⃣ গলা ব্যথা ও কাশি কমায় 🤧
4️⃣ ঠান্ডা ও সর্দিতে আরাম দেয় 🌬️
5️⃣ হজম শক্তি বাড়ায় 🍽️
6️⃣ গ্যাস ও অম্বল কমায় 💨
7️⃣ ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে 🍛
8️⃣ মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর 🤕
9️⃣ মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমায় 🧘‍♀️
🔟 রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে ❤️

1️⃣1️⃣ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ✨
1️⃣2️⃣ ব্রণ ও পিম্পল কমায় 🌿
1️⃣3️⃣ চুল পড়া রোধ করে 💇‍♀️
1️⃣4️⃣ চুলে প্রাকৃতিক চকচকে ভাব আনে 🌟
1️⃣5️⃣ ক্ষত সারাতে সাহায্য করে 🩹
1️⃣6️⃣ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে 🧫
1️⃣7️⃣ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 💪
1️⃣8️⃣ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে 🍬
1️⃣9️⃣ লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে 🩺
2️⃣0️⃣ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে 🫀

2️⃣1️⃣ গলা শুকানো বা কণ্ঠ ভাঙা প্রতিরোধ করে 🎤
2️⃣2️⃣ ঠোঁট ফাটা রোধ করে 💋
2️⃣3️⃣ দাঁতের পোকা ধ্বংস করে 🪱
2️⃣4️⃣ শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার রাখে 🌬️
2️⃣5️⃣ হাঁচি ও নাক বন্ধে আরাম দেয় 🤧
2️⃣6️⃣ ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে 😴
2️⃣7️⃣ পেটব্যথা উপশমে কার্যকর 🫶
2️⃣8️⃣ সর্দিজ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে ❄️
2️⃣9️⃣ হজমে এনজাইম সক্রিয় করে 🧬
3️⃣0️⃣ রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় 🩸

3️⃣1️⃣ শরীর গরম রাখে 🧣
3️⃣2️⃣ বাত ও জয়েন্ট পেইনে আরাম দেয় 🦵
3️⃣3️⃣ মুখের আলসার সারাতে সাহায্য করে 👄
3️⃣4️⃣ কফ পরিষ্কার করে 🫁
3️⃣5️⃣ ত্বকের প্রদাহ কমায় 🌼
3️⃣6️⃣ জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে 🧴
3️⃣7️⃣ ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রায় উপকারী 🌙
3️⃣8️⃣ ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে সক্রিয় রাখে ☕
3️⃣9️⃣ রোগ প্রতিরোধে প্রতিদিন সামান্য খাওয়া উপকারী 🍃
4️⃣0️⃣ শরীরের উষ্ণতা ও শক্তি ধরে রাখে 🔥

🌿 লবঙ্গের ব্যবহার বিধি 🌿

👉 ১. মুখের যত্নে:
১–২টা লবঙ্গ মুখে রেখে ধীরে চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় 👄

👉 ২. দাঁতের ব্যথায়:
একটু লবঙ্গ তেল তুলোতে লাগিয়ে দাঁতের ব্যথার জায়গায় রাখুন 🦷

👉 ৩. ঠান্ডা ও কাশিতে:
এক কাপ গরম পানিতে ২–৩টা লবঙ্গ, আদা ও মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে ☕

👉 ৪. হজমে:
খাবারের পর ১টা লবঙ্গ চিবালে গ্যাস ও অম্বল দূর হয় 🍛

👉 ৫. ত্বকের যত্নে:
লবঙ্গ গুঁড়ো, মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন 🌸

👉 ৬. চুলের যত্নে:
লবঙ্গ তেল মাথায় ম্যাসাজ করুন, এতে চুল পড়া কমে ও চুল ঘন হয় 💆‍♀️

👉 ৭. ঘুমের জন্য:
রাতে ঘুমের আগে এক কাপ গরম দুধে ১ চিমটি লবঙ্গ গুঁড়ো দিন 😴

🌟 ছোট্ট মশলা লবঙ্গ, কিন্তু গুণে মহা ওষুধ!
প্রতিদিন সামান্য লবঙ্গ ব্যবহার করুন, আর নিজেই পার্থক্য টের পাবেন 💖

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও প্রাকৃতিক গাছগাছালির উপকারীতা জানতে আইডি ফলো করে সঙ্গেই থাকুন

27/10/2025

#আপনার_কিডনি_কি_দুর্বল_হয়ে_পড়ছে? ক্রিয়েটিনিন বাড়ছে? শুধু কি পানি কম খাওয়া বা প্রেশারকেই দোষ দিচ্ছেন?

আসল "খলনায়ক" হয়তো আপনার হাই প্রেশার বা ডায়াবেটিস নয়, বরং আপনার পেট (Gut)—যে নীরবে আপনার কিডনির "ফিল্টার" জ্যাম করে দিচ্ছে!

"পেটের সাথে - কিডনি"… এ এক মারাত্মক গোপন চক্র, যা আপনার কিডনির স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের আসল নিয়ন্ত্রক! 🚦⚠️

🔺 আপনার কি ক্রিয়েটিনিন লেভেল (Creatinine) বাড়তে শুরু করেছে? eGFR কম?
🔺 সকালে ঘুম থেকে উঠলে কি মুখ, চোখ বা পা ফোলা (Edema) লাগে?
🔺 প্রস্রাবে কি অতিরিক্ত ফেনা (Foamy Urine) হয় বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেছে?
🔺 সারাদিন কি অকারণে প্রচন্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব লাগে?
🔺 ত্বকে কি প্রায়ই চুলকানি, র‍্যাশ বা শুষ্ক ভাব দেখা দেয়?
🔺 পেটে কি প্রায়ই গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের গণ্ডগোল লেগেই থাকে?
🔺 প্রেশার, সুগারের ওষুধ খেয়েও কিডনিকে রক্ষা করতে পারছেন না?
🔺 ডাক্তার বলেছেন কিডনি দুর্বল, কিন্তু মূল কারণটাই ধরতে পারছেন না?

আপনি হয়তো ভাবছেন— "সব দোষ আমার কম পানি খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত প্রেশার আর ডায়াবেটিসের!" 😔

কিন্তু সত্যিটা হলো, এই সবকিছুর চেয়েও বড় একজন খেলোয়াড় আছে, যে আপনার কিডনির ফিল্টার সিস্টেমকে ভেতর থেকে নষ্ট করে দিচ্ছে!

🥺🤔আর সেই মাস্টারমাইন্ড কে জানেন⁉️
Answer হলো: আপনারই অন্ত্র বা Gut—আপনার শরীরের প্রধান "বিষ শোধনাগার" (Detox System) এর মাস্টার কন্ট্রোলার!

🏙️ চলুন, আবার আমাদের "শরীর নামক শহরে" ফিরে যাই!
আগের লেখায় আমরা জেনেছিলাম, অন্ত্র হলো এই শহরের প্রধান গেট।

এবার ভাবুন—
কিডনি হলো এই শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সূক্ষ্ম "সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট" (Sewerage Treatment Plant) বা "রক্ত শোধনাগার"। এর কাজ হলো শহরের সমস্ত রক্তকে ২৪/৭ ফিল্টার করা, বর্জ্য (Toxin) ছেঁকে বের করা এবং ভালো জিনিসগুলো শরীরে ফেরত পাঠানো।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি শহরের প্রধান গেটই (অন্ত্র) ভেঙে যায় এবং শহরে প্রতিদিন টনের পর টন "বিষাক্ত বর্জ্য" (Toxic Waste) ঢুকতে থাকে, তখন কী হবে⁉️

🗺️👉 শহরের এই প্রধান "ফিল্টার প্ল্যান্ট" (কিডনি) কি সেই চাপ নিতে পারবে? নাকি অতিরিক্ত বোঝায় তার ফিল্টারগুলো জ্যাম হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে?

💥 Gut–Kidney Axis: পর্দার আড়ালের যুদ্ধ ⚔️
আপনার অন্ত্রে বাস করে কোটি কোটি জীবাণুর এক বিশাল সমাজ—Gut Microbiome।
এই সমাজে যখন ভালো নাগরিক (উপকারী ব্যাকটেরিয়া) বেশি থাকে, তখন শহরে বর্জ্য তৈরি হয় কম, এবং কিডনির ফিল্টারগুলো থাকে একদম পরিষ্কার ও চাপমুক্ত।
কিন্তু যখন দুর্নীতিবাজ সদস্য (খারাপ ব্যাকটেরিয়া) বেড়ে যায়, তখনই শুরু হয় আসল বিপর্যয়!
🔹 খারাপ খাদ্যাভ্যাস (অতিরিক্ত চিনি, প্রসেসড ফুড, প্রাণীজ প্রোটিন), স্ট্রেস বা অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে অন্ত্রের ভালো জীবাণুরা মারা যায়।
🔹 এর ফলে অন্ত্রের দেয়ালে ছিদ্র তৈরি হয়, সেই কুখ্যাত "লিকি গাট" (Leaky Gut)।
🔹 এই ভাঙা গেট দিয়ে ক্ষতিকর টক্সিন (বিষ), হজম না হওয়া খাবার ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া সরাসরি রক্তে ঢুকে পড়ে!

শুরু হয় সেই “Inflammatory Cascade” বা প্রদাহের বন্যা—
এই বিষাক্ত রক্তের বন্যা সোজা গিয়ে আঘাত হানে আপনার কিডনির সূক্ষ্ম ফিল্টারগুলোতে!

🚨⁉️ Gut নষ্ট হলে কিডনি ফেইলিওর কীভাবে হয়?👇

১️⃣ ইউরেমিক টক্সিনের (Uremic Toxins) আক্রমণ:
খারাপ ব্যাকটেরিয়ারা (Dysbiosis) আপনার খাওয়া প্রোটিন হজম করতে না পেরে তাকে পচিয়ে ফেলে এবং "ইউরেমিক টক্সিন" (যেমন: Indoxyl Sulfate, p-Cresol) নামক মারাত্মক বিষ তৈরি করে। এই বিষ সরাসরি রক্তে মিশে কিডনির ফিল্টারগুলোকে (Nephrons) ক্ষতবিক্ষত করে দেয় এবং কিডনিকে শক্ত করে ফেলে (Fibrosis)।

২️⃣ লিকি গাট (Leaky Gut) ও প্রদাহ:
ভাঙা গেট দিয়ে LPS নামক টক্সিন রক্তে ঢুকে। শরীর এই টক্সিনকে শত্রু ভেবে যে প্রদাহ (Inflammation) তৈরি করে, সেই প্রদাহের আগুনে কিডনির ছাঁকনিগুলো ফুটো হয়ে যায়। ফলাফল—প্রস্রাব দিয়ে প্রোটিন লিক হওয়া (Proteinuria) এবং কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া।

৩️⃣ ভালো ব্যাকটেরিয়ার (SCFA) অভাব:
ভালো ব্যাকটেরিয়ারা ফাইবার খেয়ে "SCFA" (Short-Chain Fatty Acids) নামক যে কেমিক্যাল তৈরি করে, তা কিডনিকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ রাখে। অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া মরে গেলে কিডনির এই "প্রতিরক্ষা বর্ম" (Protective Shield) আর থাকে না।

🌿✅🧩শহরটাকে এই বিপর্যয় থেকে কীভাবে বাঁচাবেন?
আপনার কিডনি রোগের চিকিৎসা বা প্রতিরোধ শুরু হোক শহরের গেট (Gut) মেরামত দিয়ে!
🧩 ধাপ ১: ভাঙা "গেট" ও "ফিল্টার প্ল্যান্ট" মেরামত করুন 👇
লিকি গাট সারানোর জন্য সেরা "সিমেন্ট" হলো:
-Bone Broth (হাড়ের স্যুপ): কোলাজেন ও গ্লুটামিনে ভরা।
-ওমেগা-৩: (চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, ছোট মাছ) প্রদাহ কমায়।
-ফার্মেন্টেড খাবার: প্রোবায়োটিকের প্রাকৃতিক উৎস। ইত্যাদি ইত্যাদি।

🧩 ধাপ ২: শহরে "বিষাক্ত বর্জ্য" (Toxic Waste) ঢোকা বন্ধ করুন 👇
🚫 বাদ দিন:
-প্রসেসড চিনি ও মিষ্টি পানীয় (প্রদাহের মূল হোতা)
-প্রসেসড লবণ (প্যাকেটজাত খাবার, চিপস, ফাস্টফুড)
-গ্লুটেন (আটা, ময়দা, পাউরুটি, বিস্কুট)
ট্রান্স ফ্যাট ও সয়াবিন তেল (ভাজাভুজি)
-অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন (যা ইউরেমিক টক্সিন বাড়ায়)। ইত্যাদি ইত্যাদি....

🧩 ধাপ ৩: শহরে "পরিচ্ছন্ন কর্মী"র (Good Bacteria) সংখ্যা বাড়ান 👇
অন্ত্রের ভালো জীবাণু বাড়াতে খান:
-প্রচুর ফাইবার: সব ধরনের রঙিন শাকসবজি (বিশেষ করে কিডনি-বান্ধব লাউ, শসা, পেঁপে)।
-প্রিবায়োটিকস: পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচাকলা, ওটস।
-ফার্মেন্টেড ফুড: ঘরে পাতা টক দই, কেফির, পান্তা ভাত, কিমচি।
-স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো। ইত্যাদি ইত্যাদি।

🧩 ধাপ ৪: শহরে শান্তি ও শৃঙ্খলা (Nervous System) ফিরিয়ে আনুন 👇
-মানসিক চাপ কমান: মেডিটেশন, প্রার্থনা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Deep Breathing)।
-পর্যাপ্ত ঘুমান: রাতে ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম অপরিহার্য (ঘুমের সময় শরীর সব মেরামত করে)।
-হালকা ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন।
-রোদ পোহান: প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগান (ভিটামিন ডি)। ইত্যাদি ইত্যাদি

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও প্রাকৃতিক গাছগাছালির উপকারীতা জানতে আইডি ফলো করে সঙ্গেই থাকুন

এই ভদ্রলোক ব্রণের জন্য মুখে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে তার মুখের এই অবস্থা হয়েছে।ব্রণ: বয়ঃসন্ধিকালে...
27/10/2025

এই ভদ্রলোক ব্রণের জন্য মুখে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে তার মুখের এই অবস্থা হয়েছে।

ব্রণ: বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বৃদ্ধির ফলে ব্রণ হতে পারে। ত্বকের উপর তৈলাক্ত গ্রন্থির মাত্রার উপর ব্রণ হওয়া নির্ভর করে।

সাধারণত মুখ, বুকের উপরের অংশ, পিঠ, বাহুর উপরের অংশে ব্রণের তীব্রতা দেখা যায়।

ব্রণে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং মুখে রঙ ফর্সাকারী যেকোনো মলম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

ডা: সাকিব বিন মাহমুদ

এটাই টিটেনাসের ভয়ংকর চেহারা ছবিটিতে যে শিশুটিকে দেখা যাচ্ছে, সে “অপিসথোটোনাস” (Opisthotonos) নামের মারাত্মক খিঁচুনিতে ভু...
25/10/2025

এটাই টিটেনাসের ভয়ংকর চেহারা

ছবিটিতে যে শিশুটিকে দেখা যাচ্ছে, সে “অপিসথোটোনাস” (Opisthotonos) নামের মারাত্মক খিঁচুনিতে ভুগছে
এমন খিঁচুনি যেখানে পুরো শরীর পেছনের দিকে বাঁকিয়ে যায়,
কারণ শরীরের প্রতিটি পেশি একসাথে শক্ত হয়ে যায় অসহনীয় যন্ত্রণায়।

এই অবস্থার কারণ? টিটেনাস টক্সিন,
যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং সব পেশিকে এক ভয়াবহ সংকোচনে (spasm) আটকে ফেলে।

মাত্র একটা আঁচড়,
একটা খোলা ক্ষত,
অথবা একটা বাদ পড়া টিকা —
এটাই যথেষ্ট টিটেনাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য।

টিটেনাসের কোনো নিরাময় নেই —
শুধু প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।

একটি সাধারণ ভ্যাকসিন এই শিশুটিকে বাঁচাতে পারত —
অগণিত যন্ত্রণা, কষ্ট আর মৃত্যুর মুখ থেকে।

ছবিটা দেখা কঠিন,
কিন্তু ঠিক এই কারণেই আমাদের দেখা দরকার —
কারণ চিকিৎসা মানে শুধু রোগ সারানো নয়,
বরং স্মরণ করিয়ে দেওয়া কেন প্রতিরোধ এত গুরুত্বপূর্ণ।

টিকা জীবন বাঁচায়...

~সংগৃহীত

Address

Kunia , National University
Gazipur

Telephone

+8801976703636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Jahir Lalat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Jahir Lalat:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category