AB Doctor's Homoeo

AB Doctor's Homoeo যাবতীয় জটিল-কঠিন রোগের চিকিৎসা ও শ্বেতি (Vitiligo)‘র ট্রিটমেন্ট এন্ড কেয়ার।

06/11/2025

"নেট্রাম মিউর" এর সিমটম

_ন্যাট্রাম মিউর ব্যবহার করার আগে মাঝে মাঝে ইগ্নেশিয়া ব্যবহার করা হয়।
_ ন্যাট্রাম মিউর মানসিক কষ্টের জন্য সবচেয়ে ভালো ঔষধ।
_ধাতুগত বৈশিষ্ট্য:- ঠোঁটের উপর মোঁচ দেখা দেয়, মুখমণ্ডল অত্যন্ত তেলতেলে, দেখতে ঘাড় সরু, লম্বা, চিকনা টাইপের।
_অপাত্রে প্রেম নিবেদন করে(যেমন বসের বউয়ের সাথে প্রেম)!
_তিতা এবং অত্যধিক লবণ পছন্দ করে(++++++)
_মরনিং এগ্ৰাভেশন(১১/১২টা) ++++++
_এবরশন টু ব্রেড(অর্থাৎ রুটি অপছন্দ)
_কনিস্টিপেশন(কোষ্ঠকাঠিন্য)
_এবরশন টু কোয়েশন( যৌনমিলনে অনিহা) ++++++
_ঠোঁটের মাঝ বরাবর ফাঁটা+++
_কাশিতে কাশিতে অসাড়ে প্রস্রাব(+++++++++++)
_ডিজায়ার ফর ফিস(মাছ পছন্দ)
_ডিজায়ার ফর সুইটস(++++)
_ফেয়ার অফ ঠান্ডা স্ট্রম(বিদ্যুৎ চমকালে ভয়) ++++++
_এবরশন টু কম্পানি(অনেক মানুষ কাছে থাকুক পছন্দ করে না, একা থাকতে পছন্দ)++++++++++++
_ঘাম হলে সকল কষ্ট রিলিফ হয়(++++++++++)
_ঘাম বেশি, পিপাসা বেশি(++++++++)
_রাগ বেশি
_ ডিজায়ার ফর বাথ(গোসল করতে ভালোবাসে)

26/10/2025
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃএনাল ফিসার , পাইলস , ফিস্টুলা মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্...
25/09/2025

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
এনাল ফিসার , পাইলস , ফিস্টুলা
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সার্জারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়।

★এনাল ফিসারঃ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে, এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পরবছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে। আবার কখনও কখনও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। আমার ব্যক্তিগত মতে মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। আমি দেড় মাসের বাচ্চাকে এ রোগ হতে দেখেছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।


★পাইলস বা অর্শ্বঃ
পাইলস বা গেজ হলো মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণতঃ যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাতপায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথাপায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগাপায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগাতবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইলসের রোগীদের কোনো লক্ষণ থাকে না।

★ফেস্টুলা/ভগন্দরঃ
ফেস্টুলা একটি নালী যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়েও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের স্কিনে। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফেস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলেমুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে, ভাবে ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং রোগটি জটিলতর হতে থাকে।

★রোগের কারণ এবং কি করে ঘটেঃ
এটি হওয়ার জন্য সাধারণতঃ দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিসারহওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে ফিসার এর সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথ এর সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পরে ফিসার হয়।= পায়ুপথে যৌনমিলনে অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।

★উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তক্ষরণ। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোন সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংসপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হয়ে ফোড়া হলে, ফিষ্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সাধারণতঃ কম। তবে আমি অনেক রোগী দেখেছি যারা বলেন মুরগী জবাই করলে যেরূপ রক্ত পড়ে তেমন রক্ত যায়। কিছুদিন পূর্বে অল্প বয়সী এক অফিসারকে চিকিত্সা করেছি যার তীব্র রক্ত শূন্যতা হয়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) মলদ্বারের ফিসারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে থাকে মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি ইত্যাদি। এসব উপসর্গ একত্রে অথবা আলাদা আলাদাভাবে হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।ব্যথা সাধারণতঃ তীব্র হয় না, আবার অনেক সময় ব্যথা একেবারেই থাকে না।ফিসারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবেরসমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিণ্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোন কোন রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান।

★তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা বা একিউট এনাল ফিসারঃ
এ অবস্থায় রোগীরা ভীষণ ব্যথায় ভোগেন। কয়েক ঘন্টা থেকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন। এসময় মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, সেটি খুবই সংকুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে ভিতরের ঘা দেখা দু:সাধ্য। কোন যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অনেক রোগী তীব্র ব্যথার জন্য মলদ্বার স্পর্শ করতে দিতে চান না।দীর্ঘস্থায়ী মলদ্বারের ঘা বা ক্রনিকএনাল ফিসারঃ ক্রনিক ফিসার বলা হয় যখন একটি সঠিক ভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটি বাড়ন্ত মাংশপিন্ড বা গেজ দেখা যায়। এটিকে বলা হয় ‘সেন্টিনেল পাইলস’।

★প্রতিরোধঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎ্সা করতে হবে।

★কি কি খাবেন!!!
যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।

★কি কি খাবেন না!!!
পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে কিন্তু আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটে
র সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চীজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইস্ক্রীম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

★ব্যায়ামঃ
যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়েরপাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একি ব্যায়াম করুন।

★মলদ্বার এর যত্নঃ
মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিন, এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

★সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
এ রোগের জন্য অপারেশন করতে হতে পারে একথা শুনলেই রোগীদের আত্মা শুকিয়ে যায়। এমনকি বায়ু বের করতেও কষ্ট হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশনই এই ঘা শুকাবার একমাত্র পথ মনে করলেও তা কিন্তু নয়। এটা বারবার ফিরে আসে।

★হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক র্সাজারি ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক.দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায় তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ দিন যাবত।

এ ধরনের সমস্যায় লক্ষন অনুযায়ী কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যেমনঃ
১.(Acid nitric)
২. (Nux vom)
৩ (calcaria phos)
৪. (silicea)
৫. (calcaria flour)
৬. (Acid mur)
৭. (Hepar sulphur)
৮. (Sulphur)
৯. (Aesculus hip)
১০. (thuja)

প্রভৃতি।

➤স্থূলতা কমানোর জন্য শীর্ষে -৫টি (CLANN)হোমিওপ্যাথিক ওষুধ১. Calcarea Carbonica – ওজন কমানোর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এট...
24/09/2025

➤স্থূলতা কমানোর জন্য শীর্ষে -
৫টি (CLANN)হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

১. Calcarea Carbonica – ওজন কমানোর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এটি শীর্ষে রাখা হয়। মূলত যখন রোগীর মেটাবলিজম খুব ধীরে কাজ করে এবং পেটে অতিরিক্ত মেদ জমে যায়, তখন এই ওষুধ প্রযোজ্য হয়। এই ধরণের রোগীরা সাধারণত মোটা ও নরম (fatty and flabby) শরীরের অধিকারী হয়। এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—মাথায় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, ঠাণ্ডা হাওয়া সহ্য না করতে পারা, এবং খাবারের ক্ষেত্রে অদ্ভুত প্রবণতা—যেমন সেদ্ধ ডিম, চক, মাটি, পেন্সিল, চুন ইত্যাদির প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা। মেটাবলিজম ধীর গতির হওয়ার কারণে এরা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। থাইরয়েড সমস্যাজনিত স্থূলতার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর।

২. Natrum Mur – এই ওষুধ মূলত তখন ব্যবহার করা হয়, যখন শরীরের উরু ও নিতম্বে (thighs and buttocks) অতিরিক্ত মেদ জমে যায়। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতার কারণে ওজন বেড়ে গেলে এটি বিশেষভাবে উপকারী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—শরীরে অতিরিক্ত গরমভাব, রোদ সহ্য করতে না পারা, রক্তশূন্যতা (anemia), এবং খাবারে অতিরিক্ত লবণের প্রতি ঝোঁক। মানসিকভাবে এরা সংবেদনশীল, একা একা কাঁদতে থাকেন এবং কেউ সান্ত্বনা দিলে আরও খারাপ বোধ করেন।

৩. Lycopodium – Natrum Mur-এর মতোই এ ওষুধও উরু ও নিতম্বে অতিরিক্ত মেদ জমলে কার্যকর, তবে এর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। এরা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, যেমন—অতিরিক্ত গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। মিষ্টি খাবারের প্রতি প্রবল আসক্তি থাকে। গরম খাবার ও গরম পানীয় পছন্দ করেন। অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেট ফুলে যায়। মানসিকভাবে খুব বিরক্তিকর প্রকৃতির হয় এবং সামান্য বিরোধিতা হলেই রেগে যান।

৪. Nux Vomica – অলস জীবনযাপনের কারণে যাদের ওজন বেড়েছে, তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। এদের প্রধান সমস্যা হলো—অবাধ্য কোষ্ঠকাঠিন্য। বারবার মলত্যাগের চাপ অনুভব করেন, কিন্তু সামান্যই বের হয় এবং তা অসম্পূর্ণ লাগে। ঠাণ্ডা হাওয়া সহ্য করতে পারেন না। খাবারে মসলাদার, তেলেভাজা, কফি ও মদ জাতীয় জিনিস পছন্দ করেন। মানসিকভাবে খুব সংবেদনশীল এবং সামান্য ব্যাপারেও প্রচণ্ড রেগে যান।

৫. Antimonium Crudum – মূলত শিশুদের স্থূলতার জন্য ব্যবহৃত হয়। উপযুক্ত শিশুর বৈশিষ্ট্য হলো—খুব খিটখিটে, স্পর্শ বা কারও তাকানো সহ্য করতে পারে না, ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের প্রতি প্রচণ্ড বিরাগ থাকে। টক জাতীয় জিনিস, যেমন আচার খাওয়ার প্রবণতা থাকে। জিহ্বা সাদা আবরণে ঢাকা থাকে এবং পেট খারাপের প্রবণতা (কখনও ডায়রিয়া, কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য) দেখা যায়।

✪✪ অন্যান্য বিশেষ পরিস্থিতিতে ওষুধের ব্যবহার

1.Ignatia ও Natrum Mur – বিষণ্ণতা থেকে স্থূলতা বেড়ে গেলে। Ignatia তাদের জন্য যাদের দুঃখে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস থাকে। Natrum Mur তাদের জন্য যাদের বিষণ্ণতায় কান্না বাড়ে ও লবণ খাওয়ার প্রবণতা থাকে।

2.Calcarea Carb ও Lycopodium – হাইপোথাইরয়েডিজমজনিত স্থূলতায়। Calcarea Carb-এ রোগী ঠাণ্ডা সংবেদনশীল, মাথায় অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং মোটা, নরম শরীর থাকে। Lycopodium-এ রোগীর গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য), মিষ্টি ও গরম খাবারের প্রতি ঝোঁক থাকে।

3.Alumina ও Nux Vomica – অন্ত্রের কার্যকারিতা ধীর হয়ে ওজন বাড়লে। Alumina-এ রোগীর বহুদিন ধরে মলত্যাগ হয় না কারণ মলত্যাগের চাপই আসে না। Nux Vomica-য় মলত্যাগের চাপ ঘন ঘন হয় কিন্তু খুব সামান্য বের হয় এবং তা অসম্পূর্ণ লাগে।

4.Graphites ও Sepia – মেনোপজে নারীদের ওজন বৃদ্ধিতে। Graphites তাদের জন্য যাদের দুঃখ প্রবণতা আছে, ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারেন না ও দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। Sepia তাদের জন্য যাদের স্বভাব পরিবার থেকে বিমুখ ও বিরক্তিকর, হট ফ্ল্যাশ হয় এবং পেলভিক অঙ্গে ভারী টান অনুভূত হয়।

5.Calcarea Carb, Natrum Mur, Pulsatilla ও Sepia – PCOD-এ ভোগা নারীদের ওজন বৃদ্ধিতে। রোগীর সম্পূর্ণ কনস্টিটিউশন দেখে ওষুধ নির্বাচন হয়।

6.Natrum Mur ও Lycopodium – উরু ও নিতম্বে অতিরিক্ত মেদ জমলে। Natrum Mur-এ রোগীর শরীরে গরমভাব, লবণ খাওয়ার ঝোঁক ও সংরক্ষিত স্বভাব থাকে। Lycopodium-এ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, মিষ্টি ও গরম খাবারের আকাঙ্ক্ষা ও বিরক্তিকর মানসিকতা থাকে।

7.Ammonium Carb ও Antimonium Crudum – শরীরের উপরের অংশে মেদ জমে ও পা চিকন থাকে। Ammonium Carb-এ রোগী অলস, দুর্বল, সহজে ঠাণ্ডা লাগে। Antimonium Crudum-এ রোগী অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাসম্পন্ন, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকে, জিহ্বা সাদা আস্তরণে ঢাকা থাকে।
Antimonium Crudum, Baryta Carb ও Calcarea Carb – শিশুদের স্থূলতায়।

Antimonium Crudum – খিটখিটে, আচার খেতে ভালোবাসে।

Baryta Carb – ভীতু, দুর্বল, সহজে সর্দি হয় ও গলা ব্যথা হয়।

Calcarea Carb – মোটা, ঠাণ্ডা সংবেদনশীল, মাথায় অতিরিক্ত ঘাম, সেদ্ধ ডিম ও অদ্ভুত জিনিস (চক, মাটি, পেন্সিল) খাওয়ার ঝোঁক।

গর্ভধারণ-পরবর্তী স্থূলতায় Calcarea Carb – গর্ভাবস্থায় বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে কার্যকর। এরা ঠাণ্ডা সংবেদনশীল, কোমরের চারপাশে বেশি মোটা হয়, চলাফেরায় ধীর, এবং মানসিকভাবে সংবেদনশীল।

হাইপোথাইরয়েডিজমজনিত স্থূলতায় Calcarea Carb – থাইরয়েডের কার্যকারিতা কমে যাওয়া থেকে ওজন বেড়ে গেলে এটি কার্যকর। এটি থাইরয়েডের কার্যকারিতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। # #

20/09/2025

স্বপ্ন দেখা( Dreams / Sleep symptoms)
☞স্বপ্ন দেখার লক্ষণকে (Dreams / Sleep symptoms) হোমিওপ্যাথিতে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়।
রোগীর সামগ্রিক মানসিক-শারীরিক অবস্থা, স্বপ্নের প্রকৃতি ও অন্যান্য লক্ষণ অনুযায়ী হোমিও ঔষধগুলোর নির্বাচন করতে হয়।
হোমিওপ্যাথিতে স্বপ্ন দেখার লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা
সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধ ও তাদের স্বপ্নের বৈশিষ্ট্য :

1. Sulphur – নানা রঙের, ভয়ানক ও দুঃস্বপ্ন, আগুনের স্বপ্ন।

2. Calcarea Carb – ভীতিকর স্বপ্ন, ভূত বা উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন।

3. Lachesis – সাপের স্বপ্ন, ভয় ও আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যাওয়া।

4. Phosphorus – অগ্নিকাণ্ড, বজ্রপাত, আতঙ্ককর স্বপ্ন।

5. Nux Vomica – ব্যবসা, কাজকর্ম, টেনশন ও ঝগড়ার স্বপ্ন।

6. O***m – ভুতুড়ে, ভয়ংকর স্বপ্ন, অস্বাভাবিক গভীর ঘুম।

7. Stramonium – ভয়, দানব, কালো ছায়া, আলো অন্ধকার নিয়ে স্বপ্ন।

8. Belladonna – জ্বরে বিভ্রান্ত স্বপ্ন, লাল-আগুনের দৃশ্য।

9. Arsenicum Album – মৃত্যু, রোগ, দারিদ্র্য বা ভয়ংকর স্বপ্ন।

10. Pulsatilla – স্বপ্নে কাঁদা, পরিত্যক্ত হওয়ার স্বপ্ন।

11. Ignatia – প্রিয়জন হারানো বা মানসিক আঘাতজনিত স্বপ্ন।

12. Kali Carb – ডাকাতি, হত্যার ভয়, ভীতিকর স্বপ্ন।

13. Rhus Tox – চুরি, দুর্ঘটনা, কষ্টকর স্বপ্ন।

14. Silicea – আত্মবিশ্বাসহীনতা, পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার স্বপ্ন।

15. Sepia – ঝগড়া, ঘর-সংসার নিয়ে দুঃস্বপ্ন।

16. Natrum Muriaticum – অতীত স্মৃতি, হারানো ভালোবাসা নিয়ে স্বপ্ন।

17. China (Cinchona) – নানা অদ্ভুত, রঙিন কিন্তু অবাস্তব স্বপ্ন।

18. Hyoscyamus – অশ্লীল, হাস্যকর বা ভয়াবহ যৌন স্বপ্ন।

19. Coffea Cruda – অত্যধিক স্বপ্ন, ঘুম না হওয়া, মাথা সচল।

20. Thuja Occidentalis – রহস্যময়, ভৌতিক, ধ্বংসাত্মক স্বপ্ন।

In transit-3
30/05/2024

In transit-3

24/06/2022

আগামীকাল শনিবার শুভ ------- উদ্বোধন -------
স্বনির্ভর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন পদ্মা সেতু, শুভ বাংলাদেশ।।

শীতার্তদের পাশে আপনিও থাকুন।
18/01/2022

শীতার্তদের পাশে আপনিও থাকুন।

শ্বেতী ট্রিটমেন্ট এন্ড কেয়ার।01754401926
10/01/2022

শ্বেতী ট্রিটমেন্ট এন্ড কেয়ার।
01754401926

লকডাউনে এবি ডক্টরস হোমিও চেম্বার সারা দিনের ব্যস্ত সময়ের পর একটু বিশ্রাম। সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ্য থাকুন,স্বাস্থ্যবিধি মে...
09/07/2021

লকডাউনে এবি ডক্টরস হোমিও চেম্বার সারা দিনের ব্যস্ত সময়ের পর একটু বিশ্রাম।
সবাই ভালো থাকুন,
সুস্থ্য থাকুন,
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

COVID-19 বৈশ্বিক এ মহামারিতে হোমিও চিকিৎসায়  আলোচিত মেডিসিন Arsenic Album. ছটফটানি, গাত্রদাহ ও পিপাসা এ তিন বৈশিষ্ট্য লক...
11/10/2020

COVID-19 বৈশ্বিক এ মহামারিতে হোমিও চিকিৎসায় আলোচিত মেডিসিন Arsenic Album.
ছটফটানি, গাত্রদাহ ও পিপাসা এ তিন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে রুগির জন্য নির্বাচিত হবে এ মেডিসিন।
এ তিনটি বৈশিষ্ট্য ছাড়াও Arsenic Album নামের এ মেডিসিনটির ৭টি চরিত্রগত লক্ষণ আছে। যেমন-
1. Periodicity - কোনও এক নির্দিষ্ট সময়ে রোগ লক্ষণ প্রকাশিত হওয়া।
2.Irritability - উত্তেজনা। মাথায় একটু ঠান্ডা লেগেছে তাতেই সর্দি, নাকে পানি পড়া, হাঁচি শুরু হওয়া। কিছু খেলেই বমি হয়ে উঠে আসা।
3. Anguish and fear of death - মানসিক উদ্বেগ ও মৃত্যুর ভয়।
4. Prostration and restlessness - অত্যন্ত অবসাদ, দর্বলতা ও অস্থিরতা।
5.Thirst - অদম্য পিপাসা
6.Burning pain - জ্বালাময় বেদনা ।
7.Be On the Increase of midday or midnight - দিন বা রাতে দ্বিপ্রহরের পর থেকে রোগের বৃদ্ধি পাওয়া।

Address

208, Parbati School Market-1 (2nd Floor), Chattogram
Hathazari

Telephone

+8801754401926

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AB Doctor's Homoeo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to AB Doctor's Homoeo:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category