08/09/2024
লেইট ম্যারেজঃ-
যতো সময় যাচ্ছে মানুষের মধ্যে দেরী করে বিয়ে করার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা অনেকেই ফ্যাশন হিসাবে নিচ্ছে আবার অনেকে দেরিতে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে।
পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকুরি,বাড়ির কাজ,কিছু নগদ টাকা জমানো,অবিবাহিত বোনের বিয়ে ইত্যাদি করতে করতে বিয়ের বেলা পড়ে যায়। যৌবনের সেই জৌলুশ আর থাকেনা।
পুরুষ আর সংসারে মনযোগী হতে চায়,আবেগ কমতে থাকে,তারুণ্য বোধ হারিয়ে যায়,সোনালী দিন গুলো সব অতীতের খাতায় নাম লিখিয়ে কল্পনায় ভাসে আর বউয়ের বয়স কম হলে বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া হলে তার সাথে তাল মিলিয়ে খুনসুটি করতে মনথেকে অনেকেরই ভালো লাগেনা।যা কিছু হয় অনেকটাই অভিনয় আর ন্যাকামো।
মনমানসিকতার পার্থক্য, আচরনগত ভিন্নতা, সিনেমার জগৎ এর মতো কোন কিছু না পাওয়া বরং সংসার নামক কঠিন যুদ্ধে প্রতিনিয়ত স্বামী কিংবা স্ত্রীর দুপাশের মানুষগুলোর সন্তুষ্টি আর সামাজিকতা রক্ষা করতে করতে অনেক দম্পতি বেশ হাঁপিয়ে ওঠে।
অনেকের ই রঙিন চশমা খুলতে দেরি হয়ে যায়, বাস্তবতার দূর্বিঃসহ জীবন নিতে পারেনা।
স্বাধীন, একা ফেলে আসা জীবন মিস করে,কেউ পরিবারের দিকে চেয়ে, মান সম্মানের কথা ভেবে সংসার নামক জগৎ অভিনয় করে যায়,কেউ নফসের ধোঁকায় গোনাহে লিপ্ত হয়ে সুখ খুঁজে, সেও ব্যর্থ হয়,কেউ বিচ্ছেদ করে নতুন কারও কাছে ফিরে যায়।
করনীয় কি?
১.যৌবনের শুরুতে দোআ করুন
বালেগ হওয়ার পর পর ই বিয়ের সুযোগ থাকলে মিস করবেন না।
২. যেই পরিবার সন্তানদের সময়মতো বিয়ে দেয় সে পরিবারের সন্তানেরা সত্যিকার অর্থেই সৌভাগ্যবান।
৩.একদিন অনেক টাকা হবে,গাড়ি হবে,বাড়ি হবে তারপর বিয়ে এসব ধোঁকা আর বোকামি।
৪.চাহিদা কমিয়ে বিয়ে করলে সহজে বিয়ে হয়ে যাবে।
৫.দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান হতেও দেরি হবে,ঠিকমতো লালন পালন করা যায় না আবার অনেকেরই নাবালেগ সন্তান রেখেই মৃত্যুবরন করতে হয়।
৬.যৌবনকাল কে ফিরিয়ে আনা যায় না, ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
৭.সময়মতো বিয়ে করলে অনেক গোনাহ থেকে বেঁচে যাবেন।
৮.যারা বিয়ে না করে অবাধ মেলামেশা করছে তারা শতভাগ এর নেগেটিভ ফলাফল পাচ্ছে এবং পাবে।
আপনি যদি আল্লাহর ভয়ে এগুলো থেকে বিরত থাকতে পারেন দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াব বা সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।