Medicine & Care Home

  • Home
  • Medicine & Care Home

Medicine & Care Home আমাদের সকল প্রডাক্ট গ্যারান্টি দিয়ে ?

আসুন আমরা করোনাকে ভয় না করে সচেতন হই,আল্লাহর উপর ভরসা রাখি,আর একমাত্র সচেতনতাই সহজেই রুখতে পারি এই মহামারিকে।
03/08/2020

আসুন আমরা করোনাকে ভয় না করে সচেতন হই,আল্লাহর উপর ভরসা রাখি,আর একমাত্র সচেতনতাই সহজেই রুখতে পারি এই মহামারিকে।

29/07/2020

সুবাহানআল্লাহ।
মাতৃগর্ভে যে থলিতে বাচ্চা সুরক্ষিত থাকে।

👉জীবনকে সুখময় করতে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

যে সকল দম্পতি দীর্ঘদিন দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত  করার পরও কোন সন্তান হয়নি এবং পুরুষের শারীরিক সমস্যা আছে,বিবাহিত জীবনে হতা...
26/07/2020

যে সকল দম্পতি দীর্ঘদিন দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পরও কোন সন্তান হয়নি এবং পুরুষের শারীরিক সমস্যা আছে,বিবাহিত জীবনে হতাশ বা অসুখী তাদের জন্য হোমিও প্যাথির জনক স্যার "স্যামুয়েল হ্যানিম্যান"এর দেশ সুদুর জার্মান জয় করে হোমিও মেডিসিন >GOLDEN- R30 সগৌরবে আমাদের হাতে এসে পৌছেচে।যারা এই সকল সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। এক ফাইল খাইলেই বুঝতে পারবেন আপনার শারীরিক পরিবর্তন, ভিতর থেকে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই স্থায়ী ভাবে সামাধান হয়ে নবযৌবনে পদার্পণ করবেন ম্যাজিকের মত।আমাদেরকে খুঁজে নিতে হবে। এটি একটি পরিক্ষিত মেডিসিন। একজনের জন্য ফুল কোর্স তিন ফাইল।

যাদের প্রয়োজন অর্ডার করতে সরাসরি কল করুন বা আপনার শারীরিক সমস্যা জানিয়ে ইনবক্স করুন।

Hot line >01586-075236

বিঃদ্র যে সকল দম্পতির বাচ্চা হয়না এই ঔষধ সেবনে বাচ্চা হবে ইনশাল্লাহ গ্যারান্টি।মনে রাখবেন সততাই আমাদের মুলধন। আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি কোয়ানটিটিতে নয়।

24/07/2020

যুবক এবং বিবাহিত দম্পতিদের জন্য বিশাল সুখবরঃ
একটি জরিপ অনুসারে দেখা যায় প্রায় ৯৫ ভাগ পুরুষ গোপন সমস্যায় আক্রান্ত। অবিবাহিত এবং মহিলাদেরও এই সমস্যা ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। ফলে অনেক সাধনা,পরিশ্রম এবং ত্যাগের পর সফল হলেও পারিবারিক ভাবে অসুখী জীবন অতিবাহিত করতে হয়।অনেক টাকা বা সফল ক্যারিয়ার গড়ার পরও পুরো জীবনের পরিশ্রম, সাধনা সবই ব্যর্থ হয়ে যায়।কিন্তু এই সমস্যা অবশ্যই সমাধানযোগ্য কারন আগেকার রাজা বাদশাহরা বিশ,ত্রিশটা বউ বা সাথি মেইনটেইন করত।এখন সৌদি আরবের শেখরা অনেক বউ মেইনটেইন করে,এমনকি ইউরোপিয়ানরা সত্তর আশি বছর বয়সেও ইনজয় করে।সৃষ্টি কর্তা যে শুধু তাদেরকেই এক্সট্রাপাওয়ার দিয়েছেন বিষয়টি ঠিক তা নয়।এ সমস্যা অবশ্যই সমাধান যোগ্য।গোপন সমস্যার স্থায়ী সামাধান এবং যে সকল দম্পতির দীর্ঘদিন দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পরও কোন বাচ্চার মুখ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন নি,তাদের জন্য হোমিও প্যাথির জনক স্যার "স্যামুয়েল হ্যানিম্যান" এর দেশ সুদুর জার্মান থেকে আগত বিশ্ব জয় করা Homio Medicine >GOLDEN R 30 এখন বাংলাদেশে আমাদের হাতে।আপনাদের সাড়া পেলে এই ঔষধটি আপনাদের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন,মনে রাখবেন রোগ যে কোন কারনে হতে পারে কিন্তু কোন উছিলায় আপনি মুক্তি পাবেন সেটা একমাত্র আল্লাহ পাকই ভালো জানেন।আপনি শেষ সামাধান মনে করে আমাদের এই ঔষধটি সেবন করুন আপনি সুস্থ হবেন ইনশাল্লাহ। এই ঔষধটি সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।সততাই আমাদের মুলধন, আমরা কাউকে ঠকাতে আসিনি। অনলাইনে অনেকেই ব্যাবসা করছে ভালো,মন্দ দুটোই আছে এবং থাকবে আমরা ভালোদের দলে। আমাদের উপর ১০০% আস্থা রাখতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আমরা এখান থেকে ব্যাবসা করে আমাদের পরিবারের হারাম খাওয়াবোনা এইটুকু জেনে রাখুন।আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি কোয়ানটিটিতে নয়।যারা এই সমস্যায় ভুগছেন আশা করি এক ফাইল খায়লেই পুনরায় অর্ডার করবেন বা আমাদের খোঁজ করবেন। যাদের প্রয়োজন তারা অর্ডার করতে সরাসরি কল করুন অথবা আপনার সমস্যা জানিয়ে ইনবক্স করুন আমরা সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। একজনের জন্য ফুল কোর্স তিন ফাইল যাবে প্রায় তিন মাস।এক ফাইলের মূল্যঃ ৬০০ টাকা মাত্র। এক ফাইল খাওয়ার পরে কাজ নাহলে টাকা ফেরত পাবেন।


অর্ডার করতে সরাসরি কল করুনঃ
Hot line>01586-075236,01918-417216

23/07/2020

জীবন কে সুখের করতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।লাইক দিয়ে জীবনের সমস্যা কে সমাধান করুন।

23/07/2020
পর্ব-৩পেটে বাচ্চা না আসলে কি করবো কিভাবে গর্ভধারণ করে মা হওয়া যায় ?কতটুকু খাবেন – গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকে এবং গর্ভধারণ অব...
23/07/2020

পর্ব-৩
পেটে বাচ্চা না আসলে কি করবো কিভাবে গর্ভধারণ করে মা হওয়া যায় ?

কতটুকু খাবেন – গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকে এবং গর্ভধারণ অবস্থায় প্রতিদিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম করে Folate বা Folic Acid সম্মৃদ্ধ খাবার খাবেন।কোথায় পাবেন – দানাদার শস্যজাতীয় তৈরী খাবার, সবুজ শাক-সবজী, লেবু ও লেবু জাতীয় ফল, শীম, মটরশুঁটি এগুলো Folate সম্মৃদ্ধ খাবারের প্রাকৃতিক উৎস।বলা হয়ে থাকে সুস্থ গর্ভধারনের প্রয়োজনে এবং বাচ্চার কোন জন্মত্রুটি রোধে গর্ভধারনের প্রায় তিন মাস আগে থেকেই এসব খাবার গ্রহন করা উচিত।ক্যালসিয়াম – হাড়কে করে শক্তিশালী আপনার এবং আপনার অনাগত বাচ্চার হাড় ও দাঁতের শক্ত গড়নের জন্য ক্যালসিয়াম দরকার। এছাড়া রক্ত চলাচল, পেশিগঠন ও স্নায়ুবিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্যও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। কতটুকু খাবেন – প্রতিদিন ১,০০০ মিলিগ্রাম আর গর্ভবতী মা যদি কিশোরী হন তবে ১,৩০০ মিলিগ্রাম/প্রতিদিন।কোথায় পাবেন – দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস। আরো আছে কিছু কিছু ফল ও ফলের রস এবং সকালের নাস্তার শস্যজাতীয় খাবার।



ভিটামিন ডি অনাগত বাচ্চার দাঁত, হাড়ের শক্তি ও পরিপূর্নতার জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন প্রায় ৬০০IU করে প্রয়োজন। চর্বিযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি’র অন্যতম উৎস। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার ও কমলার রসে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আমিষ বাচ্চার বেড়ে ওঠার সহায়ক অতি প্রয়োজনীয় এ উপাদানটি গর্ভধারণ অবস্থায় বিশেষ করে গর্ভের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বাচ্চার সঠিক বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অত্যাবশকীয়। প্রতিদিন প্রায় ৭১ গ্রাম প্রয়োজন। আর পাবেন লাল মাংস, পোল্ট্রি, মাছ, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি প্রানিজ খাবারে এবং শিম, মটরশুঁটি, উদ্ভিজ মাখন ইত্যাদিতে। আয়রন বা লৌহ – রক্তশুন্যতা রোধ করেরক্তের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ লোহিত রক্ত কনিকার হিমোগ্লোবি্ন। এটি একধরনের প্রোটিন যা অক্সিজেন বহন করে কোষে কোষে পৌঁছে দেয়। এটি তৈরীর অপরিহার্য উপাদান আয়রন। গর্ভধারণ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারনে রক্তের পরিমান বাড়ে। বাচ্চার পুষ্টির সরবরাহের সম্পূর্ন চাহিদা পূরন হয় মায়ের রক্তের মাধ্যমে। কাজেই ওই সময়ে আয়রনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুন বেড়ে যায়। প্রয়োজনীয় আয়রন না পেলে ক্লান্তি-অবসাদ বেড়ে যায়, ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে অকাল প্রসব, বাচ্চার কম ওজন, এমনকি আরো কোন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কতটুকু খাবেন – প্রতিদিন প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম।





কোথায় পাবেন – চর্বিবিহিন লাল মাংস, পোল্ট্রি, মাছ ইত্যাদি আয়রনের ভালো উৎস। অন্যান্যের মধ্যে আছে দানাদার খাদ্য, বাদাম এবং শুকনো ফল। আর জরুরী প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতে আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করা যেতে পারে। পানিমায়ের দেহ থেকে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি বহন করে বাচ্চার দেহে পৌঁছে দেয় পানি। পানি কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তপড়া, অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া, মুত্রনালী বা মুত্রথলির সংক্রমন ইত্যাদি রোধে পানি অনন্য ও অপরিহার্য। কতটুকু পান করবেন – বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগন গর্ভবতি মায়ের জন্য প্রতিদিন ১০ কাপ বা প্রায় ২.৩ লিটার তরল পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আছে পানি, ফলের রস, কফি, চা, কোমল পানীয় ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে কিছু পানীয়তে বেশি পরিমানে চিনি থাকতে পারে যা মুটিয়ে যাবার প্রবনতাকে বাড়িয়ে দেয়। আবার অতিরিক্ত ক্যাফেইন বাচ্চার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই কফি-চা ইত্যাদি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ২০০ গ্রামের বেশি পান করা উচিত নয়।তেল, চর্বি, মিষ্টি – তেল, চর্বি, মিষ্টির কোন নির্দিষ্ট পরিমান নেই তবে চাহিদামত খেতে হবে যদি ওজন বাড়ানোর লক্ষ্য না থাকে। স্বাভাবিকভাবে এমন খাবার খেতে হবে যাতে তেল, চর্বি, মিষ্টি কম পরিমানে থাকে।




জেনে নিন গর্ভধারনের খুঁটিনাটি – পর্ব ৪: গর্ভধারণ অবস্থায় ওজন বৃদ্ধিঃ কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত আপনি চান কিংবা না চান গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি প্রত্যাশিত। আপনার বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি-উন্নতি নির্ভর করে এই ওজন বৃদ্ধির উপর। দুইজনের জন্য খাওয়া মানে এই নয় যে আপনাকে যা খুশি, যত খুশি, যতবার ইচ্ছা খেতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন আর খাবারের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে যাতে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভাল থাকে আর আপনিও প্রসব পরবর্তি অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন ছেঁটে ফেলতে পারেন।




ওজন বৃদ্ধির গাইডলাইন: গর্ভধারণ অবস্থায় ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একই সাইজ, একই পরিমান সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনার জন্য কতটুকু ওজন বাড়া দরকার তা’ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর যেমন গর্ভপূর্ব ওজন, Body Mass Index (BMI) এর উপর। সেই সাথে আপনার ও আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যও আপনার ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এগুলো বিবেচনা করে আপনার জন্য কতটুকু ওজন বৃদ্ধি প্রয়োজন তা বলে দিবে আপনার ডাক্তার। তবে এখানে একটি সাধারন গাইডলাইন দেয়া হলঃ গর্ভপূর্ব ওজন অনুমোদিত ওজন বৃদ্ধি কম ওজন (বিএমআই ১৮.৫ এর নীচে) ২৮-৪০ পাউন্ড (প্রায় ১৩-১৮ কেজি) স্বাভাবিক (বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯) ২৫-৩৫ পাউন্ড (প্রায় ১১-১৬ কেজি) বেশি ওজন(বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯) ১৫-২৫ পাউন্ড (প্রায় ৭-১১ কেজি) স্থুলকায় (বিএমআই ৩০ এর উপর) ১১-২০ পাউন্ড (প্রায় ৫-৯ কেজি) যদি আপনি জমজ বা একাধিক বাচ্চা গর্ভধারন করেন সেক্ষেত্রেঃ গর্ভপূর্ব ওজন অনুমোদিত ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক (বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯) ৩৭-৫৪ পাউন্ড (প্রায় ১৭-২৫ কেজি) বেশি ওজন(বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯) ৩১-৫০ পাউন্ড (প্রায় ১৪-২৩ কেজি) স্থুলকায় (বিএমআই ৩০ এর উপর) ২৫-৪২ পাউন্ড (প্রায় ১১-১৯ কেজি) যখন আপনি স্থুলকায় গর্ভপূর্ব অবস্থায় যদি আপনি স্থুলকায় কিংবা বেশি ওজনের হয়ে থাকেন তবে গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে যার মধ্যে আছে গ্যাস্টেশনাল ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ। যদিও গবেষকরা গর্ভধারণ অবস্থায় কিছু ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয় বলে মত দেন তা হোন আপনি বেশি ওজনের কিংবা স্থুলকায়। তবে নিরাপদ ওজন বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রনে আপনাকে অবশ্যই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরামর্শই চূড়ান্ত।





কারন আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ঘটে আর সেটা যদি প্রসব পরবর্তি সময়ে কমে না যায়, তাহলে সেটা আপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি হয়ে দেখা দিতে পারে। আবার গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ন হতে পারে, ডেলিভারি হতে সমস্যা হতে পারে। যারা কম ওজন সম্পন্ন তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় অতি অবশ্যই গ্রহনযোগ্য মাত্রা পর্যন্ত ওজন বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় ওজন বৃদ্ধি না হলে আপনার বাচ্চাও কম ওজনের হতে পারে, নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নিতে পারে। গর্ভধারণ অবস্থায় ওজন বৃদ্ধি কোথায় যায় গাইডলাইন অনুযায়ী যে ওজন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে বাচ্চার ওজন ৭ থেকে ৮ পাউন্ড বা ৩ থেকে ৩.৫ কেজি বাদ দিলে বাকিটা কোথায় যায়। বিশ্লেষকরা বলছেনঃ বাচ্চাঃ ৭-৮ পাউন্ড বা প্রায় ৩-৩.৫ কেজি স্তন বৃদ্ধিঃ ২ পাউন্ড বা প্রায় ১ কেজি জরায়ুর বৃদ্ধিঃ ২ পাউন্ড বা প্রায় ১ কেজি প্লাসেন্টাঃ ১.৫ পাউন্ড বা প্রায় ০.৭ কেজি এমনিওটিক ফ্লুইডঃ ২ পাউন্ড বা প্রায় ১ কেজি রক্ত বৃদ্ধিঃ ৩-৪ পাউন্ড বা প্রায় ১.৪-১.৮ কেজি অন্যান্য ফ্লুইড বৃদ্ধিঃ ৩-৪ পাউন্ড বা প্রায় ১.৪-১.৮ কেজি চর্বি জমেঃ ৬-৮ পাউন্ড বা প্রায় ২.৭-৩.৬ কেজি কোন পর্যায়ে কতটুকুগর্ভের প্রথম তিনমাস বেশিরভাগ মহিলাদের বেশি ওজন বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যদি ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী হন তবে প্রথম কয়েক মাস কয়েক পাউন্ড বা ২ কেজি’র কম ওজন বাড়লেই যথেষ্ট। আপনাকে স্বাভাবিক খাবার থেকে ১৫০-২০০ ক্যালরী সম্পন্ন খাবার বেশি খেতে হবে।তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। তার মানে এই পর্যায়ে প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩-৪ পাউন্ড বা প্রায় ১.৪-১.৮ কেজি করে বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ ক্যালরী সম্পন্ন খাবার প্রয়োজন কাংখিত ওজন বৃদ্ধির জন্য।

জেনে নিন গর্ভধারনের খুঁটিনাটি পর্ব – ৮:  গর্ভধারন এবং ধুমপান:  ধুমপান সবসময়ের জন্য একটি বদ অভ্যাস। গর্ভধারণ অবস্থায় আর ধ...
23/07/2020

জেনে নিন গর্ভধারনের খুঁটিনাটি পর্ব – ৮:

গর্ভধারন এবং ধুমপান: ধুমপান সবসময়ের জন্য একটি বদ অভ্যাস। গর্ভধারণ অবস্থায় আর ধুমপান কখনো খাপ খায় না। তবে ধুমপান ছাড়ার জন্য গর্ভধারনকালীন সময়টাকে একটু সচেতনভাবে আপনি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত। ধুমপান সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে: ধুমপানের ঝুঁকিসমূহ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অবগত – দূর্গন্ধযুক্ত পোষাক আর ত্বকের ভাঁজ থেকে শুরু করে হৃদরোগ আর ফুসফুসের ক্যানসার পর্যন্ত। আপনি যদি ধুমপায়ী হন আর গর্ভবতী হয়ে থাকেন অথবা গর্ভধারন করতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে ধুমপান ছাড়ার ব্যাপারে মনযোগী হতে হবে। কারন ধুমপান গর্ভধারনকে জটিল করে তুলতে পারে। ধুমপান অনেক সময় জরায়ুর বাইরে গর্ভধারনের মত জটিল অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। সাধারনত ফ্যালোপিয়ান টিউবে এটি হয়ে থাকে। আর এটাকে Ectopic Pregnancy বলে।



গর্ভধারণ অবস্থায় ধুমপান গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে গর্ভাবস্থায় ধুমপানে গর্ভস্থ বাচ্চা বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যা বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করে। তামাকের নিকোটিন বাচ্চার হৃদকম্প বা হার্টবিট বাড়িয়ে দিতে পারে এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়া ধুমপান আরো যেসব ক্ষতি করতে পারে তার মধ্যে আছেঃ যোনীপথে রক্তপাত: যোনীপথ প্লাসেন্টা দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ন ঢেকে যাওয়া, প্রসবের পূর্বেই জরায়ু থেকে প্লাসেন্টার আলাদা হয়ে যাওয়া কম ওজনসম্পন্ন বাচ্চার জন্ম বাচ্চার থলি বা ‘এমনিওটিক স্যাক’ এর প্রসবপূর্ব অকাল ছিদ্র যা দিয়ে এমনিওটিক ফ্লুইড বেরিয়ে যেতে পারে। এটি প্রসবের পূর্বে এমনকি গর্ভধারনের ৩৭ সপ্তাহের মাথায় ঘটতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই প্রসব বেদনা শুরু অকাল প্রসব জন্মকালীন সমস্যা নিয়ে বাচ্চার জন্ম যেমন হৃদযন্ত্রের সমস্যা, হাত-পা, মাথার খুলি, পেশি ও অন্যান্য অংগের সমস্যা ইত্যাদি। গর্ভধারন সমস্যা ও বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা গর্ভকালীন ধুমপান গর্ভস্থ বাচ্চার আরো যেসব ক্ষতি করে যেগুলো জন্মের পর লক্ষন দেখা দেয় তার মধ্যে আছেঃ – বাচ্চার হঠাৎ মৃত্যু – পেটের শুলবেদনা – এজমা – শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহ – শৈশবকালীন স্থুলতা ইত্যাদি।





কোন কোন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেন যে গর্ভধারণ অবস্থায় ধুমপান বাচ্চার পরবর্তি জীবনে আবেগ-আচরন উন্নয়ন, ও শেখার আগ্রহকে প্রভাবিত করতে পারে। এমনকি বাচ্চার পরবর্তি জীবনে তার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।গর্ভাবস্থায় পরোক্ষ ধুমপানের ক্ষতি গর্ভধারণ অবস্থায় পরোক্ষ ধুমপানেও গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। ঐসব মহিলা যারা নিজেরা ধুমপান করেন না কিন্তু প্রতিনিয়ত ধুমপান দ্বারা আক্রান্ত হন যা পরোক্ষ ধুমপান হিসাবে বিবেচিত, তাতে তাদের গর্ভধারনে সমস্যা হতে পারে, বাচ্চা নষ্ট হতে পারে। আবার গর্ভবতী হলেও বাচ্চা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে বা কম ওজনের হতে পারে।গর্ভাবস্থায় ধুমপান ত্যাগে বাচ্চার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমেআপনি যদি ধুমপায়ী হন অন্যদিকে সুস্থ-সবল বাচ্চার জন্ম দিতে চান, তা’হলে গর্ভধারণ অবস্থায় ধুমপান ছেড়ে দেয়া হবে উত্তম কাজ। আপনি যদি গর্ভের প্রথম চার মাসের মধ্যে ধুমপান ছেড়ে দেন তবে তা কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দেয়ার আশংকাকে কমিয়ে দেয়। গর্ভাবস্থায় ধুমপান ছেড়ে দিলে তা অকাল প্রসবের ঝুঁকি কমায়, বাচ্চা নষ্ট হবার ঝুঁকি কমায়, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় এবং অন্যান্য জটিলতা কমাতে সহায়তা করে।




গর্ভাবস্থায় ধুমপান ছাড়ার নিরাপদ কৌশল: কোন ঔষধ গ্রহন ছাড়াই গর্ভধারণ অবস্থায় ধুমপান ছাড়া সম্ভব। এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনাকে ভাল পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। তবে সাধারনভাবে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরন করা যেতে পারেঃ – আপনি কেন ধুমপান ছাড়বেন তার একটা তালিকা প্রস্তুত করুন। যেমন ধরুন আপনার গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট হতে পারে। – ধুমপানের উপকরনসমূহ হাতের নাগালের বাইরে রাখুন-কি ঘরে, কি কর্মস্থলে বা ব্যাগে কিংবা গাড়ীতে। – এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন যা আপনাকে ধুমপানে উদ্দিপ্ত করতে পারে। – এমন লোকের সংগ নিন যিনি বা যারা ধুমপান করেন না বা এমন স্থানে ভ্রমন করুন যেখানে ধুমপান নিষিদ্ধ। – কোন কিছু পাওয়ার জন্য বা খাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন। – ধুমপান ছাড়ার পর উইথড্রাল সিম্পটম্প দূর করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শমত ব্যায়াম করতে পারেন। – এমন কাউকে বেছে নিন যার কাছ থেকে প্রয়োজনে সহায়তা নিতে পারেন।




গর্ভাবস্থায় ধুমপান নিরোধক দ্রব্য ব্যবহার কি নিরাপদ: আপনি যদি গর্ভধারণ অবস্থায় ধুমপান ছাড়তে খুব সমস্যায় পড়েন তাহলে ধুমপান নিরোধক দ্রব্য সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে জানতে পারেন। যেমন নিকোটিন প্যাচ, নিকোটিন ইনহ্যালার, নিকোয়িন গাম, লজেন্স কিংবা নাকের স্প্রে ইত্যাদি। এগুলোর যেকোনটির ব্যবহার আপনার শিশুকে সিগারেটের ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পারে। তবে এগুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনার ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সংগে আলোচনা করুন কিভাবে এর থেকে উপকৃত হওয়া যায় এবং ঝুঁকি কমানো যায়।ধুমপান ছেড়ে দেয়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই সহজসাধ্য নয়। একবারের চেষ্টায় তো নয়ই, অনেকবারের চেষ্টায় ভাল ফল আশা করা যায়। মনে রাখবেন, একবার যদি আপনি এটা করতে পারেন তবে তার সুফল ভোগ করবে আপনার পুরো পরিবার।

পুত্র সন্তান লাভে ভারতীয় পত্রিকার কিছু টিপসপুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে পত্রিকাটি ৬টি টিপস দিয়েছেপুত্র সন্তান জন...
23/07/2020

পুত্র সন্তান লাভে ভারতীয় পত্রিকার কিছু টিপস

পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে পত্রিকাটি ৬টি টিপস দিয়েছে

পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে পত্রিকাটি ৬টি টিপস দিয়েছে

ভারতীয় একটি সংবাদপত্র পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে তার পাঠকদের কিছু বুদ্ধি-পরামর্শ বা টিপস দিয়েছে।

পত্রিকাটি বলছে, এসব মানা হলে কন্যা সন্তানের পরিবর্তে পুত্র সন্তানের জন্ম হতে পারে।

পত্রিকাটি যেসব টিপস দিয়েছে সেগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।

এসব টিপসের মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্য মা-কে প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে এবং পশ্চিম দিকে মুখ দিয়ে ঘুমাতে হবে।

সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটা নির্ভর করে পিতার শুক্রাণুতে থাকা ক্রোমোজোমের ওপর।

দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্য থেকে এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। নাম মঙ্গালাম।

যারা পুত্র সন্তান লাভ করতে চান তাদের জন্যে এই পত্রিকাটি ৬টি টিপস দিয়েছে।

ভারতে কন্যার চাইতে পুত্র সন্তানের ব্যাপারেই সমাজের আগ্রহ বেশি।

লন্ডনে পোর্টল্যান্ড হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ড. সাজিয়া মালিক পত্রিকাটির দেওয়া এসব টিপসের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "ছেলে নাকি মেয়ে জন্ম হবে সেটা আগে থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।"

"পত্রিকাটিতে যেসব টিপস দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। যখন প্রাকৃতিকভাবে কেউ গর্ভধারণ করেন তখন এটা সম্ভব নয় ছেলে বা মেয়ে নির্ধারণ করে দেওয়া," বলেন তিনি।

পত্রিকাটিতে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- প্রতিদিন সকালে হবু মায়ের নাস্তা করা, সপ্তাহের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে সেক্স করা, বিশেষ করে যখন পুরুষের শুক্রাণু শক্তিশালী থাকে তখন।

পত্রিকাটি বলছে, এসিডিক খাবার পরিহারের মাধ্যমে পুরুষ তাদের শুক্রাণুর শক্তি ধরে রাখতে পারে।

তবে শুক্রাণুর শক্তি নবজাতকের লিঙ্গ নির্ধারণ করে না।

শুক্রাণুর শক্তির ওপরে শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে হবে সেটা নির্ভর করে না

ছেলে শিশু জন্মানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে- ওয়াই ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়া।

ভারতে লিঙ্গ নির্ধারণ করে সন্তানের জন্মদান অবৈধ।

কোন লিঙ্গ জানতে ভারতে ভ্রূণের পরীক্ষা আইনত নিষিদ্ধ। তবে সংবাদদাতারা বলছেন, এই আইন ভঙ্গ করে এধরনের পরীক্ষা গোপনে চলছে। এবং কন্যা সন্তান হলে গর্ভপাত ঘটানো হচ্ছে।

১৯৬১ সালের সমীক্ষায় দেখা যায় প্রতি এক হাজার ছেলে শিশুর বিপরীতে ছিলো ৯৭৬ জন কন্যা শিশু। কিন্তু ২০১১ সালের সমীক্ষায় কন্যা শিশুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৪।

ভারতে সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গালাম পত্রিকার এই নিবন্ধ বড় ধরনের কোন প্রভাব ফেলবে না। এর ফলে যে কন্যা ভ্রূণ হত্যা কমবে সেটাও বলা যাবে না। কারণ এটি সংখ্যালঘুদের এক ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

এধরনের টিপস দেওয়ায় অনেকে পত্রিকাটির সমালোচনাও করেছেন।

সহজে কনসিভ করতে চান? তাহলে এই ১০টি বিষয় এড়িয়ে চলুনগাইনি ডাক্তারদের কাছে প্রায়ই এমন কিছু দম্পতি আসেন যারা পরিবারে নতুন সদ...
23/07/2020

সহজে কনসিভ করতে চান? তাহলে এই ১০টি বিষয় এড়িয়ে চলুন

গাইনি ডাক্তারদের কাছে প্রায়ই এমন কিছু দম্পতি আসেন যারা পরিবারে নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কিন্তু কেন যেন গর্ভধারণ হচ্ছে না। ভয়ের কথাই বটে। যদি কোনো রকম পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি ব্যবহার না করলেও গর্ভধারণ না হয় তাহলে সেই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেই পারেন। ভাবতে পারেন আমার কি তবে বাচ্চা হবে না? এই টেস্ট সেই টেস্ট করে অনেক ক্ষেত্রেই জানা যায় যে তাদের কারো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তাহলে কেন গর্ভধারণ হচ্ছে না? অনেক সময় এমনটা ঘটে। কিছু ব্যাপারে সচেতন থাকলে সহজেই গর্ভধারণ করা যায়। বাচ্চা পেটে আসলে চারপাশ থেকে সবাই পরামর্শ দিতে শুরু করে। আর সেটাই স্বাভাবিক! কারন নতুন শিশুর আগমনের কথা শুনে সবাই খুব প্রফুল্ল হয়ে ওঠে এবং ভালো পরামর্শগুলো দিয়ে থাকে। কিন্তু সহজে গর্ভধারণ করার জন্য কি কি বিষয় এড়াতে হবে সেটা খুব কম মানুষই জানে। চলুন দেখে নিই কি কি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া উচিত গর্ভধারণ করতে চাইলে।

অতিরিক্ত শারীরিক মিলন

সাধারণত মনে করা হয় বেশী বেশী শারীরিক মিলন গর্ভধারণে সাহায্য করবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন অন্য কথা। বেশী শারীরিক মিলন অনেক সময় গর্ভধারণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণটা খুব সিম্পল। প্রতিদিন একবার বা দিনে কয়েকবার শারীরিক মিলন ধীরে ধীরে মিলনের চাহিদা কমিয়ে দেয়, আবার অন্যদিকে পুরুষের বীর্যের পরিমাণ কমে আসে। মাঝে মাঝে এমন হয় যে নারীর ডিম্বাণু প্রস্তুত হয় সময় অবসাদের কারণে আর তারা শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন না। যার ফলে গর্ভধারণও ঘটে না। গর্ভধারণের চেষ্টা করতে চাইলে শারীরিক মিলন করতে হবে একদিন পর পর, এর ফলে দুজনেরই মিলনে চাহিদা থাকবে এবং ডিম্বাণু যখন প্রস্তুত হয় সেই সময়টাও ফস্কে যাবে না। তাই অতিরিক্ত শারীরিক মিলন বা বেহিসেবি শারীরিক মিলন পরিহার করতে হবে।

কম শারীরিক মিলন



নারীদের ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার একটা সময় থাকে, একেক নারী সেটা একেকদিন ঘটে। ধরা হয়, পিরিয়ড সাইকেল শুরুর সাত দিন পর থেকে যে কোনো দিন ডিম্বাণু প্রস্তুত হয়। আর পিরিয়ড শুরু হওয়ার সাত দিন আগেই সেই সম্ভাবণা শেষ হয়ে যায়। তার মানে পিরিয়ডের মাঝের ১৪ দিনের ভিতরে যেকোনো দিন ডিম্বাণু প্রস্তুত হতে পারে। শুধুমাত্র সেই ১৪ দিন শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলেই গর্ভধারণ হয়ে যাবে এমন নাও হতে পারে। একেকজনের শরীর একেক রকম, আর যেকোনো কারনেই ডিম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার সময় পাল্টে যেতে পারে। তাই শুধুমাত্র সেই সময়টায় সেক্স না করে, একদিন পর পর সেক্স করাই গর্ভধারণে উত্তম পন্থা।

লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা



বাজারে যেসব লুব্রিকেন্ট কিনতে পাওয়া যায় তার অধিকাংশই পুরুষের বীর্যের জন্য ক্ষতিকারক। কোনোভাবেই এসব লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। বীর্যপাতের পর শুক্রানুগুলো নারীর ডিম্বাণুর দিকে ধেয়ে যায়। এই যাওয়াটাকে বাধাগ্রস্থ করে লুব্রিকেন্ট। লুব্রিকেন্টের প্রয়োজন পড়লে অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল বা ডিমের সাদা অংশও ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই বাজারের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যাবে না।

ধূমপান

ধূমপান বিষপান। শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। গর্ভধারণের জন্য ধূমপান প্রতিকূল অবস্থা তৈরি করে, এমনকি এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির জন্য ধূমপান দায়ী অনেক ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুর দিকে না আসতে পারার ফলে অনেক সময় ডিম্বাশয় বা ডিম্বনালীতেই ভ্রূণ বেড়ে উঠতে থাকে এবং এর যথাযথ চিকিৎসা না হলে সেই নারীর ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। এ ধরণের প্রেগন্যান্সি টেকানো যায় না। সিগারেটের ক্ষতিকারক উপাদান ডিম্বনালীকে অমসৃণ করে দেয় যার ফলে ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে আসতে পারে না, সেখানে আটকে যায়। গর্ভধারণ করার পরিকল্পনা করার সময়ই ধূমপান পরিহার করতে হবে।

জাঙ্কফুড



জাঙ্কফুড সব সময়ই এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কিন্তু অনেক সময় মুভি দেখা বা অবসর সময় কাটানোর সময় জাঙ্কফুড খাওয়া হয়ে যায়। এটা সচেতন ভাবে বাদ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে গর্ভধারণে বিলম্ব হতে পারে। জাঙ্কফুডে খুব বেশী চিনি আর ফ্যাট থাকে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই এটা জাঙ্কফুডকে ‘না’ বলে দিয়ে একটু ফল বা দুধ খেতে হবে।

ক্র্যাশ ডায়েট

যদি টেলিভিশনে বা বিলবোর্ডে দেখা স্লিম ফিট শরীর এর স্বপ্ন মাথায় থাকে তাহলে অনেকে হুট করে ডায়েট করে ওজন কমান। নানা ওষুধও সেবন করেন। গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় এ ধরণের চেষ্টা করা যাবে না। হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে গেলে শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রভাবিত হয় নারীর জন্মদানের ক্ষমতাও। বরং গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় সুষম খাবার খেতে হবে। শর্করা, আমিষ, স্নেহ জাতীয়, সব ধরণের খাবার খেয়ে শরীরকে তৃপ্তি দিতে হবে যেন শরীর প্রস্তুত হয়।



লং জার্নি

গর্ভধারণের প্রক্রিয়ার ভিতরে লং জার্নি না করাই ভালো। জার্নিতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এতে শারীরিক মিলনের ধারাবাহিকতা নষ্ট হতে পারে। দৌড়ঝাঁপের কারণে যদি গর্ভধারণ হয়ে থাকে সেটাও মিসক্যারেজের সম্ভাবণা তৈরি হয়। একেক জন নারীর শরীর একেক রকম, তাই সাবধানতাই প্রেসক্রাইব করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।



অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম

এই সময়টায় যথা সম্ভব নিয়মকানুন মেনে জীবন যাপন করতে হবে। অর্থাৎ খাওয়ার সময় খাওয়া, গোসলের সময় গোসল এসবে গাফিলতি করা যাবে না। যদি প্রতিদিন অতিরিক ব্যায়াম করা বা ভারি কাজ করার অভ্যাস থাকে কারো সেটা পরিহার করতে হবে। গর্ভধারণ করে ফেললে কিন্তু এ ধরণের কাজ করা যাবে না, তাই সেটা আগে থেকেই শুরু করুন। নতুবা গর্ভধারণ হলেও গর্ভপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

ইচ্ছামতো ওষুধ সেবন

কারো নিয়মিত কোনো ওষুধ খেতে হলে তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেই খেতে হবে। আর মাথা ব্যথা, বা হালকা জ্বরের জন্য আমরা যে নিজেই একটা প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলি এটা করা যাবে না। ক্যাফেইন আছে এমন ওষুধ খেলে গর্ভধারণ যেমন পিছাতে পারে তেমনি গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। সুতরাং ওষুধ সেবনে সাবধান।

গর্ভধারণ করা একটা অনেক বড় দায়িত্বের বিষয়। অনেক বাঁধা নিষেধের ভিতরে থেকেই একজন নারী সুন্দর সুস্থ্য একটি শিশু পেটে পারেন। আর নিয়ম কানুন না মানলে নানা ধরণের জটিলতা তৈরি হবে সেটা আমরা সবাই জানি। গর্ভধারণের সময় এই নিয়মগুলো মানলে নারীর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় বহুগুণ। সামনে তার আরো অনেক দায়িত্ব, সেটার বোধ জাগ্রত হয় এই গর্ভধারণের সময়ই। তাই এ বিষয়গুলো এড়াতে পারলে সহজেই গর্ভধারণ করা তো যাবেই সেই সাথে একটা ট্রেনিং হবে হবু মায়ের!

আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে।

Address

DHAKA

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Medicine & Care Home posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram