ইসলাম হোমিও হল - Islam Homeo Hall

ইসলাম হোমিও হল - Islam Homeo Hall সবার কাছে নির্ভরযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক হোমিও চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার।

07/07/2021

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ মানবদেহের জন্য কতটা #নিরাপদ_এবং_পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া_মুক্ত ❤ তা হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে উপলব্ধি করা যায় না।
জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী যার করনেই আজ হোমিওপ্যাথি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
সত্যি কথা বলতে হোমিওপ্যাথি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ স্বরূপ। এগিয়ে যাক হোমিওপ্যাথি এবং
জয় হোক হোমিওপ্যাথির । ❤

-Collected

17/04/2021
অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছেঃ১.৪ কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডার (মিটার,টিউব সবসহ) ক্রয়ঃ ২২,০০০ টাকাভাড়াঃ প্র...
07/04/2021

অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছেঃ
১.৪ কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডার (মিটার,টিউব সবসহ)
ক্রয়ঃ ২২,০০০ টাকা
ভাড়াঃ প্রতিদিন ৭০ টাকা (২০,০০০ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট,সিলিন্ডার ফেরতের সময় ১০,০০০ টাকা ফেরত)
যোগাযোগঃ ০১৯১১১১০১৫১

রোগমুক্তিতে হোমিওপ্যাথিঃ----------------------------বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করা সত্ত্বেও কোনো মানুষ যার বদ...
05/04/2021

রোগমুক্তিতে হোমিওপ্যাথিঃ
----------------------------

বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করা সত্ত্বেও কোনো মানুষ যার বদান্যতায় সুস্থ থাকে তার নাম Vital Force. অশরীরী,গতিশীল,স্বয়ংক্রিয় (Self-acting) এই সত্ত্বা দেহযন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখে এবং সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই Vital Force দেহযন্ত্রের প্রতিটি কোষে, প্রতিটি অণু-পরমাণুতে সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করে।এই গতিশীল সত্ত্বাই দেহযন্ত্রকে বিভিন্ন রোগযন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করে সদাসর্বদা প্রাণবন্ত রাখে। তার মানে Vital Force সুস্থ থাকলে মানবদেহ প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করতে সক্ষম হবে যার ফলে ঐ মানুষটি স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনোপভোগ করে।

আর Vital Force দূর্বল হলেই সবকিছু এলোমেলো,বিশৃংখল হয়ে যায় এবং আমরা রোগগ্রস্থ হই। অনাকাংখিত এই রোগগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই মাত্র উপায় আছে,সেটি হল “GO-BACK” Procedure of Real Homoeopathic Therapeutic System (Fruit-Tree-Earth) এর রীতিনীতি যথাযথভাবে মেনে চিকিৎসা নেওয়া বা দেওয়া। আধুনিক এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে রোগগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়,আর রোগগ্রস্থ অবস্থার কোনো রোগীকে চিকিৎসা করলে মানুষটি সার্বিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে যে কোনো নামের রোগেই সে আক্রান্ত হোক না কেনো- হোক না সেটি ক্যান্সার, Kidney disease, Heart complaint, Liver problem, Autism বা অন্য কিছু। কারণ সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক এই চিকিৎসা পদ্ধতি মানব শরীরে Immune System- কে বৃদ্ধি করে।

***Covid-19 প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির ভূমিকাঃ
---------------------------------------------------------------

বর্তমান বিশ্বে কোভিড-১৯ এক আতংকের নাম। এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া ও এর ছোবলে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হওয়া অতি স্বাভাবিক ঘটনা। এ ভাইরাসের ভয়াল আক্রমণ থেকে বাঁচতে বর্তমান বিশ্বজগতের বিজ্ঞানী গবেষকসহ সচেতনমহল আধুনিক বিশ্ব সকল উপায়-উপকরণ,কলাকৌশল ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছুই হচ্ছে না।প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী ও বহুরূপী এ ভাইরাস থেকে বাঁচার আসল রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের দেহের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সেই জীবনীশক্তি ও রোগশক্তির ক্রিয়াকলাপের মধ্যে। দৃশ্যতঃ শরীর সুস্থ রাখতে দেহে পর্যাপ্তমাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপস্থিতি অপরিহার্য। আর Immunity বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আধুনিক হোমিও চিকিৎসার অবদান অনস্বীকার্য। কোভিড-১৯ ভাইরাস যখন মানব জমিনকে আক্রমণ করার মত উপযুক্ত পরিবেশ পায়,কেবল তখনই আমরা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হই। ভয়ানক এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল মানব জমিনকে তার আক্রমণের জন্যে অনুর্বর বা অনুপযুক্ত রাখা। আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থায় Immune System- কে বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত এই পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব।

অনুরূপভাবে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির নিরাময়ে অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

27/03/2021
বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিস্ত্রী লোকের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতার অভাবকে বন্ধাত্ব বলে এবং দুই বৎসর বা তার থেকে বেশি স...
17/09/2020

বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

স্ত্রী লোকের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতার অভাবকে বন্ধাত্ব বলে এবং দুই বৎসর বা তার থেকে বেশি সময় চেষ্টা করার পড়েও গর্ভধারণে ব্যার্থ হলে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বন্ধ্যত্ব বলে।

৮% দম্পতি বন্ধ্যত্বের শিকার হন। বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কারণে হতে পারে।

বন্ধ্যত্ব দু ধরনের যথা:
প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব, বিবাহের পর সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কখনই গর্ভধারণ না হওয়াকে প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব বলে,পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব ( কোন মহিলা প্রথম বার গর্ভধারণের পর দ্বিতীয় বার আর যদি গর্ভধারণ করতে না পারে তবে তাকে পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব বলে।

কারণ: বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের কারণে হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে অন্যায় ভাবে শুধুমাত্র স্ত্রীদেরকে দোষারোপ করা হয় এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামীকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়েতে উৎসাহিত করা হয়।

১)স্বামীর কারণে বন্ধ্যত্ব:

* স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকলে।

*মৃত শুক্রাণু বা শুক্রাণু বিহীন বীর্যের কারণে একটি অণ্ডকোষ/লুপ্ত প্রায় অণ্ডকোষ/অণ্ডকোষ জন্মগত ভাবে না থাকলে।

* অণ্ডকোষের প্রদাহ, মাম্পস বা গলা ফুলা রোগের প্রদাহের কারণে।

* বিকৃত শুক্রাণু থাকলে।

*যৌন ক্রিয়ায় অক্ষম হলে।

* শুক্রাণু বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ ও পরিবেষ অণ্ড কোষে না থাকলে।

* যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগ থাকলে।

২)স্ত্রীর কারণে বন্ধ্যত্ব:

* যদি জরায়ুর আকার ছোট হয়। ডিম্বাশয় যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে। মাসিকের গণ্ডগোল থাকলে।

* বস্তি কোটরের প্রদাহ হলে। *বংশগত*জরায়ুতে টিউমার হলে।*যক্ষ্মা গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হলে.

উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও স্ত্রীর ডিম্ব ক্ষরণের সময় যৌনমিলন না হলে গর্ভধারণ হয় না।

রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা:

বন্ধ্যত্বের কারণ নির্ণয়ে প্রথমে স্বামীর বীর্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এবং স্বামীর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি কোন অসুবিধা ধরা না পড়ে তখন স্ত্রীকে পরীক্ষা করতে হবে। স্ত্রীর পরীক্ষাগুলো ব্যয়বহুল বিধায় প্রথমে স্বামীকে পরীক্ষা করা উচিত।

পরামর্শ:

যদি কোন দম্পতির একবারেই সন্তান না হয় অথবা সন্তান হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান কাঙ্ক্ষিত সময়ে না হয় তবে তাদেরকে নিন্মলিখিত পরামর্শ দেয়া উচিত:

স্বামী ও স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দুশ্চিন্তা কমাতে হবে (সব ঠিক থাকার পরেও শতকরা ২০ ভাগ দম্পতির ১ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে, শতকরা ১০ ভাগ দম্পতির ২ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে)।

স্ত্রীর ডিম্বক্ষরনের সময় অর্থাৎ মাসিক শুরুর ১১ তম দিন থেকে ১৮ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সম্ভব না হলে ১ দিন পরে পরে স্বামীর সাথে মিলনের পরামর্শ দিতে হবে।

স্বামীর বা স্ত্রীর কোন জটিল রোগ বা যৌন রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। স্বামী বা স্ত্রীর ধূমপান, মদ্যপান, যে কোন নেশা গ্রহণ, একনাগাড়ে দীর্ঘদিন এন্টিহিস্টামিন খাওয়া বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওজন থাকলে কমাতে হবে।

হোমিও প্রতিবিধান, রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়,এই জন্য অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসক রোগীর পুরা লক্ষণ মিলিয়ে বন্ধ্যত্বের রোগীর চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে আল্লাহর রহমতে হোমিও তে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

হোমিওচিকিৎসাঃপ্রাথমিক ভাবে লক্ষণের উপর যেই সব মেডিসিন আসতে পারে,অরাম- মিউর ন্যাট,বোরাক্স,হেলোনিয়াস,নেট্রাম মিউর, কোনিয়াম, থুজা, সালফার,নাক্স,পালছেটিলা,সিপিয়া,লাইকোপোডিয়াম,সিলিনিয়াম সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া মেডিসিন নিজে নিজে ব্যবহার করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌঁছতে পারে।

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিঃমানব দেহের ত্বকের উপরিভাগে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা বা চুলকানি ইত্যাদি নানান ধরনের চর্মরোগ...
08/09/2020

চর্মরোগে হোমিওপ্যাথিঃ

মানব দেহের ত্বকের উপরিভাগে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা বা চুলকানি ইত্যাদি নানান ধরনের চর্মরোগে হরহামেশাই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কখনো কখনো এটি দীর্ঘমেয়াদি আকার ধারণ করে। বছরের সবসময়ই এই রোগ হতে পারে। শীতকালে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এ সময় শুষ্ক ত্বক ফেটে যায়, আকান্ত স্থান পুরু হয়ে ওঠে, চুলকানির সৃষ্টি হয় এবং ফুসকুড়ি হতে পারে। শরীরের যে কোনো স্থানেই চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে। তবে হাত-পা মুখে বা পেটের ত্বকে এ রোগ বেশি দেখা যায়।
চর্মরোগ অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কম-বেশি ভুগতে হয় সবাইকে। আর অনেক সময়ই কী করতে হবে সেটা না জানার কারণে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগতে হয়।
মাঝে মাঝে ত্বকে মাকড়সার জালের মতো কৈশিক নালী ফুটে ওঠতে দেখা যায়। বিশেষ করে পা, মুখের ত্বক ইত্যাদি সংবেদনশীল ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়। মূলত ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে স্পাইডার ভেইনস বা অ্যাজমাজনিত চর্মরোগ সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও সবজি ও ফল-মূলজাতীয় খাবার খেলে ত্বকের এ সমস্যা কমানো যায়। ত্বক ফেটে গেলে হোমিও ওষুধ পেট্রোলিয়াম সেবন করবেন। আর যদি ফেটে পানি বের হয় তবে হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
যাদের লিভার বা যকৃতে সমস্যা থাকে তাদের ত্বকে এই ধরনের চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। তাই ত্বকে যদি অতিরিক্ত স্পাইডার ভেইনসের সমস্যা হয় তাহলে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আমাদের মুখের ত্বকে অনেক তৈল গ্রন্থি রয়েছে। আর বয়ঃসন্ধির সময়ে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেখান থেকে হয় ব্রণ। লোমক‚পে তেল বেড়ে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ত্বকে ছোট ছোট লালচে গোটা বা ব্রণ হয়। লোমক‚প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
অনেকে ব্রণ হলে সেটি নিয়ে বেশি চাপাচাপি করে থাকেন। ফলে ত্বকে বা চর্মে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে হাত না লাগানোই ভালো। তাছাড়া অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কারের জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
চর্মরোগ ব্রণের সমস্যা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও প্রয়োজন। বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার, ফলমূল, মাছ, সবজি ইত্যাদি খাবার ত্বকের জন্য উপকারি। তাছাড়া ত্বক সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করাও জরুরি।
চুলকানিও এক ধরনের চর্মরোগ। একজিমার কারণেও ত্বক লাল হয়ে যায় এবং চুলকানি হয়। শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলে মূলত একজিমা বেশি হতে পারে। একজিমা শরীরের ভেতরে ও বাইরে, দুই কারণে হতে পারে। পোকার কামড়, হেয়ার ডাই ব্যবহার বা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে একজিমা হতে পারে। আবার খুশকি বা এ ধরনের একজিমা হতে পারে অভ্যন্তরীণ কারণে।
শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মগতভাবেই একজিমা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে জন্মের সময়ই একজিমা দেখা যায়। এতে করে বাচ্চাদের গাল লাল হয়ে যায় এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এদের গোসল করানোর সময় সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। আর তাদের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
অনেক সময় পোকার কামড় বা একজিমার প্রদাহ হলে জীবাণুনাশক তরল বা ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি করা উচিত নয়। বরং লাল হয়ে যাওয়া স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ছত্রাকজনিত চর্মরোগে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাসকারীরাই বেশি ভোগেন। তবে ইদানীং অনেকইকে ভুগতে দেখা যায়। শুকনো চুলকানিতে হোমিও ওষুধ আর্সেনিক আয়োড সেবন করে উপকার পাবেন। আর যদি আক্রান্ত স্থান হতে পানি বের হয় তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, আক্রান্ত স্থানকে ধুলাবালি ও জীবাণুমুক্ত রাখা, গমর ও ধুলোবালি এড়িয়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা দ্রুত অরোগ্য লাভ করতে চান তারা চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করবেন। ইনশাল্লাহ চর্মরোগ সেরে যাবে। বেশি সমস্যা মনে হলে আজই অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। চর্মরোগ হোমিও চিকিৎসায় সহজেই নিরাময়যোগ্য।

করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড -১৯) একটি সংক্রামক রোগ যা সদ্য আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। বেশিরভাগ লোকেরা যারা কোভিড-১৯ এ...
06/09/2020

করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড -১৯) একটি সংক্রামক রোগ যা সদ্য আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। বেশিরভাগ লোকেরা যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তারা মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গগুলি অনুভব করেন এবং বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই আরোগ্যলাভ করেন।

কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়ে

আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি, কাশি বা শ্বাস ছাড়লে মূলত নি:সৃত বিন্দুগুলির মাধ্যমে সংক্রামিত হয় এই ভাইরাসটি। এই নি:সৃত বিন্দুগুলি খুব ভারী তাই দ্রুত মেঝে বা বস্তু উপরিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। কোনও ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ এর কাছাকাছি অবস্থানে থাকেন বা সংক্রমিত পৃষ্ঠের স্পর্শ করেন এবং তারপরে চোখ, নাক বা মুখে নিজের হাত স্পর্শ করেন, তখনই ভাইরাসটি আক্রমণ করে।

সমস্ত ভাইরাস অন্তঃকোষক পরজীবী। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো মানবকোষের প্রক্রিয়াগুলি নিজের কপি তৈরি করা। গবেষণায় প্রমাণিত যে এটি এসিই-২ নামে পরিচিত একটি ঝিল্লি প্রোটিন দ্বারা মানব দেহে প্রবেশ করে। অ্যাঞ্জিওটেনসিন কনভারটিং এনজাইম ২ বা সংক্ষেপে এসিই-২ রিসেপ্টর সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রের একটি অংশ। তাদের কাজ হলো এসিই-২ হরমোনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেহের স্ট্রেস প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া। এসিই-২ হরমোন রক্তনালীগুলি সঙ্কোচনে ভূমিকা রাখে যা দেহে রক্ত চাপ বাড়ায়। কোভিড -১৯ ভাইরাসটি এসিই-২ রিসেপ্টারের সঙ্গে আবদ্ধ হতে পারে, কারণ এটি প্রাণিজ থেকে উৎপত্তি। আবদ্ধ হওয়ার পর কোষটি বিনষ্ট হয়। সার্স-কোভ -২ কোষের জিনগত প্রজনন সরঞ্জামগুলির নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়, নিরলসভাবে নিজেকে প্রতিলিপি করে এবং পাশের কোষগুলিতে অনুপ্রবেশ করতে থাকে।

ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপযুক্ত লোকেরা- যারা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক, প্রায়শ এসিই ইনহিবিটারযুক্ত একশ্রেণির ওষুধ খান। এই ওষুধগুলি রক্তনালীগুলির সংকোচনকে সীমাবদ্ধ করে এবং এসিই ২ রিসেপ্টর সারা শরীর জুড়ে বিস্তার লাভ করে। কিছু বিজ্ঞানী অনুমান করেছেন যে, এই কারণেই এই সমস্ত লোকেরা কোভিড -১৯ আক্রমনে অনেক বেশি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে গেছেন।

জনস হপকিন্স বেভিউ মেডিকেল সেন্টারের একজন পালমোনোলজিস্ট পানাগিস গ্যালিয়াটসাতস বলেছেন, “এসিই-২ রিসেপ্টর আমাদের অঙ্গগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তারা জিহ্বা এবংআমাদের খাদ্যনালীর কোষে রয়েছে।এগুলি কিডনি, হার্ট এবং খাদ্যনালীর কোষেও পাওয়া যায়, যে কারণে পেটের লক্ষণগুলি, যেমন ক্ষুধাহ্রাস পাওয়া ও ডায়রিয়ার লক্ষণ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেখা দেয়। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হল, এসিই-ি২ রিসেপ্টরগুলি ফুসফুসের সবচেয়ে সূক্ষ্ণ অংশের কোষে উপস্থিত হয়, যার নাম আল্ভিওলি। এগুলি অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড মুক্ত করার মত অত্যাবশ্যক গ্যাস এক্সচেঞ্জের জন্য দায়বদ্ধ। এই কোষগুলির ক্ষতি হলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফুসফুস, সংক্রমণটি বহিষ্কার করার চেষ্টার ফলে কাশি শুরু হয়। প্রাথমিক গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়েছে, লক্ষণহীন লোকেরা সংক্রামক হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাইরাস বা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হার সার্স এবংমার্স এর তুলনায় অনেক কম। কারণ এর মৃত্যুর হার শতকরা ১ থেকে ৪ শতাংশ। মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, কারণ তারা জানেনা যে তারা এই ভাইরাস বহন করছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে যে, ৮০ শতাংশ কোভিড-১৯আক্রান্ত রুগীরা লক্ষণহীনভাবে ঘুরছে, আর ঠিক এই কারণেই এর ভয়াবহতা এত বেশি। যেহেতু আজ অবধি কোভিড -১৯ এর কোনো সফলতম চিকিৎসা বের হয়নি, তাই আপনার নিজের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাই এখন কোভিড -১৯ সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে বলার আগে বলি কীভাবে আপনি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন।

আপনার দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বৃদ্ধির উপায়

১. পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম। আসলে, অপর্যাপ্ত বা দুর্বল মানের ঘুম দ্রুত অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেবে। মনে রাখবেন ঘুম ও দেহের প্রতিরক্ষা খুব নিবিড়ভাবে যুক্ত ।

২. বেশি পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ এবং লেবুজাতীয় খাবার খাবেন যেগুলি পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ক্ষতিকারক রোগজীবাণুগুলির বিরুদ্ধে আপনাকে লড়তে সহায়তা করবে। এই খাবারের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি ফ্রি র‌্যাডিকাল নামক যৌগগুলির সাথে লড়াই করে প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে, যা উচ্চমাত্রায় আপনার দেহে তৈরি করলে তারা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

৩. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান, যা আপনি পাবেন অলিভঅয়েল এবং স্যামন মাছের স্বাস্থ্যকর চর্বিতে; যা প্রদাহ হ্রাস করে আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অলিভ অয়েল, যা অত্যন্ত প্রদাহ-বিরোধী, যা হৃদরোগ এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের হ্রাসের সাথে যুক্ত। এছাড়াও, এর প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার শরীরকে ক্ষতিকারক রোগজনিত ব্যাকটিরিয়া এবংভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।

৪. রোজ একটি প্রোবায়োটিক পরিপূরক খাবার খান। এই খাবারগুলির মধ্যে দই অন্তর্ভুক্ত।

৫. শর্করা যোগ করা খাবার সীমাবদ্ধ করুন।

৬. পরিমিত ব্যায়ামে নিযুক্ত হন।

৭. হাইড্রেটেড থাকুন বা পর্যাপ্ত পানি খান।

৮. আপনার মানসিক চাপ স্তর আপনার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৯. কিছু পরিপূরক খাবেন- যেমন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, রসুন, হলুদ, জিরার মতো মশলা রান্নার সাথে যোগ করুন।

এপর্যন্ত দেখা গেছে, কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীরা প্রধানত তিন রকম লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

মৃদুরোগ

বেশিরভাগ রোগী মৃদু লক্ষণই অনুভব করে। এটি প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনের একটি হালকা সংক্রমণ করে, যার মূল লক্ষণগুলি হচ্ছে জ্বর এবং কাশি। শরীরে ব্যথা, গলাব্যথা এবং মাথাব্যথা সবই সম্ভবত নাও থাকতে পারে। জ্বর হলো সংক্রমণটির প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। এটি ভাইরাসটিকে শনাক্ত করে শরীরের একটি আক্রমণকারী হিসাবে চিহ্নিত করে এবং সাইটোকাইনস নামক রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলিমুক্ত করে।

মারাত্মকরোগ

যদি রোগটি অগ্রসর হয় তবে এটি ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার কারণে হবে। ফুসফুসের প্রদাহকে নিউমোনিয়া বলা হয়। এই অবস্থায় ভাইরাসটি রোগীর মুখ দিয়ে বাতাসের পাইপ থেকে নিচে এবং ফুসফুসের ক্ষুদ্রনলগুলোর মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে অবশেষে ছোট্ট ছোট্ট বায়ুথলির মধ্যে পৌঁছে যায়। এইস্থানেই অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যায় এবং নিউমোনিয়ায় ক্ষুদ্রথলিতে জলজমা শুরু হয় এবং অবশেষে হাপানি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শ্বাসকষ্টের পরিমান যথেষ্ঠ হলে রোগীকে শ্বাস নিতে সহায়তা করার জন্য একটি ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হবে। মনে করা হছে, এই পর্যায়টি প্রায় ১৪ শতাংশ লোককে প্রভাবিত করে।

গুরুতররোগ

কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত প্রায় ৬শতাংশ রোগী অতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই পর্যায় রোগীর শরীরটি চিকিৎসায় ব্যর্থ হতে শুরু করে যেখানে মৃত্যুর প্রকৃত সম্ভাবনা থাকে। প্রতিরোধব্যবস্থা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং সারা শরীর সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যখন রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে নিচে নেমে যায় এবং অঙ্গগুলি সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় বা পুরোপুরি ব্যর্থ হয় তখন এটি সেপটিক শক করতে পারে। ফুসফুসে ব্যাপকভাবে প্রদাহজনিত কারণে তীব্র শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ শরীরকে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে বন্ধ করে দেয়। ভাইরাসটি এতবড় পরিমাণে প্রদাহ স্থাপন করে যে রোগীর বহু-অঙ্গ ব্যর্থ হয়ে যায় ফলস্বরূপ রোগীটি মারা যায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আয়ুষমন্ত্রকের নির্দেশনাগুলি মেনে চলার জন্যে বারবার বলেছেন। উল্লেখ্য যে, ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকারের প্রচলন আছে। ভারতের প্রায় সবকয়টি রাজ্য আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধপ্রয়োগ করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচলন শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে। হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ দিনে একবার করে তিনদিন খেতে বলা হয়েছে। একমাস পর এটি আবার এই নিয়মে খেতে হবে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগীর দেহে উপস্থিত উপসর্গগুলির ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট রোগের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ হয় না এবং এটি রোগের নামের সাথে সম্পর্কিত নয়। আর এটাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার একটি বড়ো সুবিধা। সেজন্য ক্যান্সার, জিনগতব্যাধি, ভাইরাসঘটিত রোগ অথবা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যাধিগুলিতে হোমিওপ্যাথির বিশেষ সাফল্য।

ভারতের গুজরাট রাজ্যে, কোভিড -১৯ এর প্রতিরোধক হিসাবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করেছেন প্রায় ১২ লাখের বেশি মানুষ। গুজরাট সরকারের স্বাস্থ্যসচিব ঘোষণা করেছেন, একটি পরীক্ষাতে দেখা গেছে, ১৭৯ টি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে, হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। ৬২১০ জনকে হোমিওপ্যাথি বড়ি সরবরাহ করেছিল যার মধ্যে ১১টি কোভিড পজিটিভ ছিল। ১০দিন পরে এগুলি নেগাটিভ হয়ে গেছে। কেরালা সরকার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পকে বড় এক মাত্রা দিয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪৫ লাখের বেশি মানুষকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিতরণ করেছে। হোমিওপ্যাথি বিভাগের জেলা মেডিকেল অফিসার বলেছেন, তিরুবনন্তপুরমে চারটি মোবাইল ইউনিট ও ঘরে ঘরে ওষুধ বিতরণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের অপর রাজ্য উত্তরাখণ্ড সরকার, কোভিড -১৯ যোদ্ধাদের অনাক্রম্যতা বাড়াতে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ গ্রহণের জন্য দুই কোটি ৪৮ লাখ ভারতীয় মুদ্রা, তহবিলকে অনুমোদন দিয়েছে। দেরাদুনে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াতের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কর্ণাটক রাজ্য আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিকাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সরকার ঘরে ঘরে অভিযান শুরু করেছে। রাজ্যের বিভাগীয় আধিকারিকরা অশ্বগন্ধা এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিক অ্যালবাম-৩০ বিতরণ করছেন।

দিল্লি আয়ুষ বিভাগের প্রধান আরকেমন চন্দা বলেছেন, মৃদু লক্ষণ নিয়ে যে সমস্ত রোগী আয়ুষ মেডিকেল সেন্টারে আসছেন, তাদের আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এও বলেছেন,সমসাময়িক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কীভাবে আমাদের প্রাচীন জ্ঞানকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে তাও লক্ষ্য রাখছেন। তেলেঙ্গানার আয়ুষ মেডিকেল অফিসার এনলিংগারু বলেছিলেন, “ইউনানী পাচন, চবনপ্রাস এবং আর্সেনিক অ্যালবাম-৩০ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সংক্রমণকারীদের দেওয়া হচ্ছে।”

আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথি কলেজ এবং প্রতিষ্ঠানগুলি বিচ্ছিন্নতা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ বিলি করা চলছে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যেমন ইতালি, ব্রাজিল, রোমানিয়া, ইরান, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশগুলিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ওপর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফলতা লাভ করেছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এর তরফ থেকে বিভিন্ন জেলার নাগরিকদের আর্সেনিকঅ্যালবাম ৩০ প্রতিষেধক হিসাবে, বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে এবং বহু মানুষকে করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত করা গেছে।

হোমিওপ্যাথি এখন করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করার ক্ষেত্রে নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছে। সম্প্রতি ভারতের আয়ুষ মন্ত্রক এবং ভারত সরকার অধীনত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) আগ্রার নইমিনাথ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ট্রায়ালে বড়সড় সাফল্য মিলেছে এবং অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী আরোগ্যলাভ করছে। পাঁচটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ- আর্সেনিক অ্যালবাম, ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা, এনটিম টার্ট, জেলসেমিয়াম এবং ক্রোটেলাস এইচ- করোনারোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখযোগ্য, এর মধ্যে তিনটি ওষুধ কার্যকরী, যার মধ্যে ব্র্যায়নিয়া অ্যালবা অন্যতম।

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, এটা খুব পরিষ্কার যে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের জীবন-যাপন করতে হবে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। সেজন্যে আমাদের সর্বপ্রথম মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। বাইরে বেরোলে সর্বদা মুখে মাস্ক পরতে হবে বা মুখ ঢেকে রাখতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর নিজের হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না এবং হাত দেবেন না। বিশেষ করে দরজার হাতলে খালি হাতে হাত দেবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁচি বা কাশি হলে মুখ ঢাকা দিতে হবে। সর্বোপরি নিজের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান এবং করোনাভাইরাসের সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই একজন সুচিকিৎসকের পরামর্শে হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করুন ও সুস্থ থাকুন।

৩ আগস্ট,২০২০
03/09/2020

৩ আগস্ট,২০২০

২ সেপ্টেম্বর,২০২০
02/09/2020

২ সেপ্টেম্বর,২০২০

Address

Jigatala
1209

Telephone

+8801911110151

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলাম হোমিও হল - Islam Homeo Hall posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category