ডা. জিয়া হোমিও মেডিকেল

ডা. জিয়া হোমিও মেডিকেল শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ জানবো, নিজকে সুস্থ রাখবো, সুখী জীবন গড়বো।

 #ডান_দিকে_কাত_হয়ে_ঘুমানোর_বৈজ্ঞানিক_উপকাররিতা- ১. হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কমায়হৃদপিণ্ড মূলত শরীরের বাম পাশে থাকে। ডান দিকে ক...
20/09/2025

#ডান_দিকে_কাত_হয়ে_ঘুমানোর_বৈজ্ঞানিক_উপকাররিতা-

১. হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কমায়
হৃদপিণ্ড মূলত শরীরের বাম পাশে থাকে। ডান দিকে কাত হয়ে শুলে হৃদপিণ্ড তুলনামূলক স্বাভাবিকভাবে কাজ করে এবং অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।

২. লিভারের উপর চাপ কমে
লিভার শরীরের ডান দিকে অবস্থান করে। ডান দিকে শুলে লিভার নিচে নেমে যায়, ফলে শরীরের উপরিভাগে চাপ কমে। এতে হজম প্রক্রিয়াও অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলতে সাহায্য করে।

৩. অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও বুক জ্বালাপোড়া কমায়
বাম দিকে শুলে পাকস্থলীর অ্যাসিড অনেক সময় উপরের দিকে উঠে বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। ডান দিকে কাত হয়ে শুলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে, ফলে আরামদায়ক ঘুম হয়।

৪. লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে সহায়তা করে
লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম শরীরের বর্জ্য অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডান দিকে কাত হয়ে শুলে অনেক ক্ষেত্রেই লিম্ফ নিষ্কাশন ভালোভাবে হয়, ফলে শরীর থাকে হালকা ও সুস্থ।

৫. গর্ভবতী নারীদের জন্য সতর্কতা
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডান পাশের পরিবর্তে বাম দিকে শোওয়া উত্তম। এতে জরায়ুতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং ভ্রূণের জন্য বেশি উপকারী হয়।

৬. শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি
যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য ডান পাশে শোওয়া অনেক সময় আরামদায়ক প্রমাণিত হয়। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।

প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই আমাদের সুস্থ জীবন গড়ে তোলে। ডান দিকে কাত হয়ে শোওয়ার এই উপকারিতা জেনে আজ থেকেই চেষ্টা কhealthcare ©

ডা. জিয়াউল হক
মাহিন হোমিও মেডিকেল
৮৮ কাঞ্চন টাওয়ার
কাঁঠাল বাগান বাজার
কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫
01707-956015


FOR CHANNEL HASHTEG ⬇️⬇️




পিত্তথলির পাথর ও হোমিওপ্যাথি-পিত্তথলির পাথর (Gall Stone) হঠাৎ তীব্র ব্যথা, অম্বল, বমি, গ্যাস, এমনকি জন্ডিসের কারণ হতে পা...
20/09/2025

পিত্তথলির পাথর ও হোমিওপ্যাথি-

পিত্তথলির পাথর (Gall Stone) হঠাৎ তীব্র ব্যথা, অম্বল, বমি, গ্যাস, এমনকি জন্ডিসের কারণ হতে পারে। হোমিওপ্যাথি এখানে শুধু ব্যথা কমানোর জন্য নয়, বরং রোগীর সম্পূর্ণ শরীর-মন অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়। নিচে কয়েকটি প্রধান ওষুধের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো-

১. Chelidonium-
▪️এটি পিত্তথলির পাথরের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধগুলোর একটি।
▪️ডান কাঁধের নিচে ব্যথা ছড়িয়ে যায়।
▪️জন্ডিস হলে ত্বক হলদেটে হয়, প্রস্রাব গাঢ় ও মল মাটির মতো রঙের হয়।
▪️জিহ্বা হলুদ ও ঢিলা হয়।
▪️বমি বমি ভাব, বমি হয়।
▪️রোগীর গরম পানীয়ের প্রতি প্রবল টান থাকে।
▪️গর্ভাবস্থায় পিত্তথলির সমস্যায়ও উপকারী।

২. Lycopodium-
▪️যাদের পিত্তথলির পাথরের সাথে গ্যাস ও অম্বল থাকে, তাদের জন্য দারুণ উপকারী।
▪️অল্প খাবার খেলেই পেট ফুলে যায়, ভারী লাগে।
▪️পেটে গ্যাস ঘুরে কিন্তু বের হতে কষ্ট হয়।
▪️স্টার্চ ও বাঁধাকপি জাতীয় খাবারে সমস্যা বাড়ে।
▪️মিষ্টি ও গরম পানীয় খাওয়ার অদ্ভুত ইচ্ছে থাকে।
▪️খাওয়ার আগেই ক্ষুধা লাগে, কিন্তু অল্প খেলেই ভরপেট লাগে।

৩. Calcarea Carb-
▪️এই ওষুধ স্থূলকায়, ফ্যাটি রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।
▪️পেট ও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি থাকে।
▪️মাথায় প্রচুর ঘাম হয়, বিশেষ করে ঘুমের সময়।
▪️ঠাণ্ডা বাতাসে সহ্যশক্তি কম।
▪️অদ্ভুত খাওয়ার ইচ্ছা—যেমন সেদ্ধ ডিম, চক, মাটি, পেন্সিল বা চুন।
▪️গরম খাবার অপছন্দ, ঠাণ্ডা পানীয় ভালো লাগে।
▪️টক ঢেঁকুর ও টক বমি হয়।

৪. Carduus Marianus-
▪️পিত্তথলিতে প্রদাহ হলে এই ওষুধ সবচেয়ে কার্যকর।
▪️ডান দিকের পেট (লিভার ও গলব্লাডার অঞ্চলে) তীব্র ব্যথা।
▪️বমি বমি ভাব ও জ্বালাময়ী তরল বমি হয়।
▪️জন্ডিসে ভালো কাজ করে।

৫. Phosphorus-
▪️যাদের হজমশক্তি দুর্বল ও বমি-অম্বল বেশি হয় তাদের জন্য।
▪️খাওয়ার পর টক ঢেঁকুর ও বমি হয়।
▪️রোগীর ঠাণ্ডা পানীয়, আইসক্রিম, মুরগি ও মাছ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ থাকে।
▪️মল দুর্গন্ধযুক্ত হয়।
▪️প্রচণ্ড দুর্বলতা দেখা দেয়।

৬. China (Cinchona)-
▪️তীব্র ব্যথা ও অতিরিক্ত গ্যাসে উপকারী।
▪️সারা পেট ফেঁপে যায়, গ্যাসে ভারী হয়ে ওঠে।
▪️সামান্য খাবার খেলেই বমি হয়।
▪️হাঁটাহাঁটি করলে কিছুটা আরাম হয়।
▪️অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

৭. Berberis Vulgaris-
▪️পিত্তথলির পাথরের ব্যথায় অন্যতম পরিচিত ওষুধ।
▪️তীক্ষ্ণ, সুঁচ ফোটার মতো বা ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা হয়।
▪️ব্যথা অনেক সময় শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
চাপ দিলে ব্যথা বেড়ে যায়।

প্রতিটি ওষুধই রোগীর ব্যক্তিগত গঠন, মানসিক প্রবণতা ও শারীরিক লক্ষণ দেখে বেছে নিতে হয়। তাই সঠিক ওষুধ নির্ধারণে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের পরামর্শ প্রয়োজন।

Dr. Ziaul Haque
Register Homoeopathy Doctor
01707956015


#

মিলিয়াম (Milium)/ত্বকের ছোট সাদা বা হলুদ রঙের গুটি -মিলিয়াম হলো ত্বকের ছোট ছোট সাদা বা হলুদ রঙের গুটি, যা সাধারণত মুখম...
20/09/2025

মিলিয়াম (Milium)/ত্বকের ছোট সাদা বা হলুদ রঙের গুটি -
মিলিয়াম হলো ত্বকের ছোট ছোট সাদা বা হলুদ রঙের গুটি, যা সাধারণত মুখমণ্ডল, বিশেষত চোখের আশপাশে এবং গালে দেখা যায়। এটি একটি ক্ষতিকারক এবং অ-সংক্রমণীয় সমস্যা, যা মূলত কেরাটিন আটকে থাকার কারণে সৃষ্টি হয়।

কে এই রোগে ভুগে (Who Suffers from It):-

1. নবজাতক শিশু।
2. যাদের ত্বক তৈলাক্ত।
3. হরমোনজনিত পরিবর্তনে ভুগছেন।
4. ত্বকের অযত্ন বা অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে।
5. দীর্ঘদিন ধরে সূর্যালোকে কাজ করা ব্যক্তিরা।

মিলিয়াম আবিষ্কার (Milium Invented It):

মিলিয়ামের উল্লেখ প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যার মধ্যে পাওয়া যায়। আধুনিক ত্বকবিদ্যায় এটি বিশদভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে।

মিলিয়াম পরীক্ষা (Milium Test):

1. ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ: ত্বকের গুটি পর্যবেক্ষণ।
2. ত্বকের বায়োপসি (যদি প্রয়োজন হয়): নিশ্চিতকরণের জন্য।
3. অন্য কোনো ত্বকের সমস্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে ডার্মাটোস্কোপি।

অবস্থান (Location):

মুখমণ্ডল (বিশেষত চোখের চারপাশ, গাল এবং কপাল)।
শরীরের অন্যান্য অংশ, যেমন গলা বা বুকে দেখা যেতে পারে।

মিলিয়াম ক্লিনিকাল বৈশিষ্ট্য (Clinical Features):

1. ছোট, সাদা বা হলুদ রঙের গুটি।
2. গুটিগুলি সাধারণত ব্যথাহীন।
3. ত্বকের নিচে শক্ত অনুভূত হয়।

মিলিয়াম উপসর্গ (Symptoms):

1. ত্বকে ক্ষুদ্র গুটি।
2. গুটির কারণে অস্বস্তি বা শারীরিক সৌন্দর্যের সমস্যা।
3. ত্বকের উপরিভাগ মসৃণ।

মিলিয়াম কারণ (Etiology):

1. কেরাটিন জমে থাকা: মৃত ত্বক এবং কেরাটিন আটকে যাওয়া।
2. ত্বকের আঘাত বা পোড়া ক্ষত।
3. হরমোনজনিত পরিবর্তন।
4. অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার বা ত্বক পরিষ্কার না রাখা।
5. সূর্যালোকজনিত ক্ষতি।

মিলিয়াম লক্ষণ (Signs):-

1. ত্বকের নিচে ক্ষুদ্র, শক্ত গুটি।
2. গুটিগুলি গুচ্ছাকারে বা একক দেখা যায়।
3. ত্বকের স্বাভাবিক রঙ পরিবর্তন না হওয়া।

মিলিয়াম জটিলতা (Complications):-

1. অঙ্গসৌষ্ঠব নষ্ট হওয়া।
2. যদি সংক্রমণ হয়, তবে ত্বকে লালচে বা ব্যথা হতে পারে।
3. দীর্ঘস্থায়ী হলে ত্বকে দাগ পড়তে পারে।

মিলিয়াম প্রগনোসিস (Prognosis):-

মিলিয়াম সাধারণত ক্ষতিকারক নয় এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব।

মায়াজম্যাটিক ক্লিভেজ (Miasmatic Cleavage):

1. সোরিক মায়াজম: ত্বকের সামান্য অস্বাভাবিকতা।
2. সাইকোটিক মায়াজম: দীর্ঘস্থায়ী এবং পুনরাবৃত্ত সমস্যাগুলি।

মিলিয়াম সাধারণ ব্যবস্থাপনা (General Management):

1. ত্বক পরিষ্কার রাখা।
2. অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এড়ানো।
3. সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
4. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গুটি খোঁচানোর চেষ্টা না করা।
5. সুষম খাদ্য এবং প্রচুর পানি পান।

মিলিয়াম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (Homeopathic Treatment):

গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ:-

1. Antimonium crudum (Ant c): গুটি বড় হয়ে গেলে এবং ত্বক শুষ্ক থাকলে।

2. Causticum: ত্বকে পুরুত্ব বা দাগ পড়লে।

3. Graphites: তৈলাক্ত ত্বক এবং পুনরাবৃত্ত মিলিয়ামের ক্ষেত্রে।

4. Kalium bromatum: তৈলাক্ত ত্বকে ক্ষুদ্র গুটি এবং চুলকানি।

5. Natrum muriaticum (Nat mur): গরম আবহাওয়ায় উপসর্গ বৃদ্ধি।

6. Pulsatilla: তৈলাক্ত ত্বক এবং হরমোনজনিত কারণে সৃষ্ট গুটি।

7. Sepia: হরমোনজনিত পরিবর্তন এবং গুটির স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে কার্যকর।

8. Thuja occidentalis: গুটি জমাট বাঁধা এবং পুনরাবৃত্তির প্রবণতা।

রেজিস্টার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন উচিৎ না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ বিবেচনা করে, ঔষধ, শক্তি ও মাত্রা এবং প্রয়োগনীতি নির্ধারণ করা হয়।

ডা. জিয়াউল হক
গর্ভ. রেজি. হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক
01707-956015

 #হোমিওপ্যাথিক_ঔষধের_কয়েকটি_উৎস (Doctrine of Signature) #উদ্ভিদ_উৎস (Plant Kingdom)-1. Belladonna-   এই গাছ জন্মায় এমন ম...
20/09/2025

#হোমিওপ্যাথিক_ঔষধের_কয়েকটি_উৎস (Doctrine of Signature)

#উদ্ভিদ_উৎস (Plant Kingdom)-

1. Belladonna-
এই গাছ জন্মায় এমন মাটিতে যা ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে (CaCO₃) সমৃদ্ধ। এখান থেকে বোঝা যায় যে **Calcarea carbonica** খুব ভালোভাবে Belladonna-র ক্রিয়াকে সম্পূরক করে।

2. Bryonia-
এটি মূল থেকে প্রস্তুত হয়। মূলটি মোটা, হলদে-সাদা, খসখসে, অম্লীয় ও তিক্ত স্বাদের। গন্ধ বমি বমি লাগে। একইভাবে Bryonia-র রোগীও কিছুটা মোটা, জিহ্বা হলদে-সাদা আবৃত, স্বভাবে খসখসে ও রূক্ষ। মুখে তিক্ত স্বাদ থাকে। ফলে দেখা যায় যে, গাছের গুণাগুণ Materia Medica বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

3. Digitalis-
এর ফুলে রক্তবর্ণ দাগ থাকে। তাই এটি রক্ত-সম্পর্কিত রোগে ব্যবহৃত হয়।

4. Euphrasia-
এর পাপড়িতে কালো দাগ থাকে যা চোখের মণির মতো দেখায়। তাই Euphrasia চোখের রোগে বিশেষ উপযোগী।

5. Hypericum-
এতে লাল রস থাকে। এজন্য এটি রক্ত-সম্পর্কিত রোগে উপকারী।

6. Lycopodium-
Club moss-এর স্পোর থেকে তৈরি হয়। বাইরে শক্ত হলেও ভেতরে নরম। একইভাবে রোগী প্রথমে চিকিৎসকের প্রতি অনীহা দেখায়, পরে বিশ্বাস জন্মালে খুব সহযোগিতা করে। বক্তৃতা শুরুর সময় অসংলগ্ন থাকলেও পরে সাবলীল হয়।

7. Sanguinaria canadensis-
Bloodroot গাছ থেকে প্রস্তুত হয়। মূল কাটলে লাল রস বের হয় যা রক্তের মতো। তাই রক্ত-সম্পর্কিত রোগে এ ওষুধ ব্যবহৃত হয়।

8. Gelsemium-
Yellow jasmine থেকে তৈরি হয়, ফুল হলুদ রঙের। তাই রোগীর শরীর হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের মতো অবস্থায় ব্যবহৃত হয়।

9. Thuja occidentalis-
Tree of Life থেকে প্রস্তুত হয়। গাছে ডাঁটার জংশনে ডাঁটার মতো আঁচিল দেখা যায়। তাই এটি pedunculated wart -এর জন্য অন্যতম সেরা ওষুধ।

10. Cactus (Night blooming cereus)
এ গাছ তার শিকড় মাটির ভেতরে অনেক গভীর পর্যন্ত পাঠায়, যাতে অল্প জল পেলেও বাঁচতে পারে। রোগীও গরমে ছোট ছোট করে জল খেতে চায়। আবার এই গাছ রাতের বেলায় ফুল ফোটায়, তাই এ রোগীর লক্ষণ রাতের বেলায় বেশি বেড়ে যায়।

11. Colchicum-
Meadow saffron নামক গাছ থেকে তৈরি হয়। লিলি পরিবারভুক্ত। সাধারণ লিলি বসন্তে ফুল ফোটায়, কিন্তু Meadow saffron শরতে ফুল ফোটায় যখন অন্য ফুল মরে যায়। একইভাবে Colchicum-রোগীর লক্ষণ শরতে বেড়ে যায়।

12. Pulsatilla-
একে *Wind flower* বলা হয়, কারণ বাতাসে দুলতে থাকে। তাই রোগীর স্বভাবেও পরিবর্তনশীলতা থাকে, মানসিক ও শারীরিক স্তরে। এটি শুষ্ক বালুময় মাটিতে জন্মায়, এজন্য **Silicea** এর পরিপূরক। গাছ খুব অল্প জলেই বাঁচে, রোগীও তৃষ্ণাহীন থাকে।

13. Rumex crispus (Burdock)-
এর কাণ্ড গভীর লাল ও পাতার শিরায় লাল ভাব থাকে। এতে লোহার পরিমাণ বেশি, আর লোহা লালের সঙ্গে সম্পর্কিত। এজন্য এটি রক্তাল্পতা, ক্লান্তি, রক্তজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।

14. Rhus toxicodendron-
এই গাছ রাতে ও বর্ষাকালে বেশি বিষাক্ত হয়। বিশেষ করে জুন-জুলাই মাসে যখন সূর্যের আলো নেই, তখন এটি বেশি ক্ষতিকর। তাই রোগীর লক্ষণও রাত ও ভেজা পরিবেশে বেড়ে যায়।

#প্রাণিজ_উৎস (Animal Kingdom)-

1. Apis-
মৌমাছির মতোই রোগী সবসময় ব্যস্ত, কর্মঠ, গৃহকেন্দ্রিক, খিটখিটে, দ্রুত রেগে যায় এবং হুল ফোটানোর মতো হঠাৎ ক্রোধে বিস্ফোরিত হয়। মৌমাছি যেমন ঠাণ্ডা এড়াতে ডানার ঝাপটায় তাপ উৎপন্ন করে, তেমনি রোগীর শরীরেও সঞ্চালনের মাধ্যমে উষ্ণতা বজায় রাখার প্রবণতা থাকে।

2. Sepia (Cuttle fish)-
কটলফিশ হঠাৎ পেছনে সরে যেতে পারে। রোগীরাও সেভাবে সামাজিক সম্পর্ক ও সান্নিধ্য এড়িয়ে চলে। মায়েদের মধ্যে সন্তানের প্রতি উদাসীনতা, যেমন কটলফিশ তার ডিমের প্রতি উদাসীন।

3. Lachesis-
দক্ষিণ আমেরিকার বিষধর সাপ Surukuku থেকে তৈরি। শীতে সাপ বাঁকা হয়ে থাকে, বসন্তে জেগে ওঠে, সবসময় জিভ কাঁপায় এবং দুর্গন্ধযুক্ত কালো মল ত্যাগ করে। এগুলো Lachesis-রোগীর লক্ষণেও পাওয়া যায়।

4. Tarentula hispanica-
দক্ষিণ ইউরোপের বিষাক্ত মাকড়সা থেকে তৈরি। ঢাক বাজালে যেমন মাকড়সা গর্ত থেকে বের হয়, তেমনি এই রোগীর সঙ্গীতে অতি সংবেদনশীলতা দেখা যায়।

#খনিজ_উৎস (Mineral Kingdom)

1. Mercury-
তাপমাত্রার চরমে অতি সংবেদনশীল। Mercurius-রোগীও গরম ও ঠাণ্ডা উভয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেন্ট এদের *মানব থার্মোমিটার* বলেছেন। এরা অস্থির, দ্রুত পরিবর্তনশীল।

2. Calcarea carbonica-
ঝিনুকের খোলের ভেতরের স্তর থেকে প্রস্তুত হয়, যা বাইরের ও ভেতরের পরিবেশ থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই রোগীও সবসময় সুরক্ষার প্রয়োজন বোধ করে।

3. Silicea-
পৃথিবীর ভূত্বকে থাকে, দ্রুত তাপ হারায়। তাই রোগীও গরম ধরে রাখতে পারে না। শরীরে অল্প পরিমাণে Silica কোলাজেন টিস্যুতে থাকে—যা দৃঢ়তা দেয়। রোগীও মেধাবী হলেও আত্মবিশ্বাস কম থাকে, যেন মানসিক কোলাজেনের অভাব।

4. Phosphorus-
ফসফরাস কম পেলে গাছ লম্বা ও দুর্বল হয়ে যায়। রোগীও লম্বা-চিকন হয়। ফসফরাস ঠাণ্ডা পানিতে রাখা হয়, রোগীরও ঠাণ্ডা পানীয়ের তীব্র চাহিদা থাকে।

5. Carbo vegetabilis-
উদ্ভিজ্জ কাঠকয়লা থেকে প্রস্তুত হয়। কয়লা জ্বাললে ধোঁয়া ওপরের দিকে ওঠে। রোগীর গ্যাস ঢেকুরের মাধ্যমে বের হলে আরাম হয়। দহন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন দরকার, রোগীরও থাকে *air hunger*।

(Copy From Textbook of Homeopathic Materia Medica By Dr J. D. PATIL )

(If you liked it, please share)

Dr. Ziaul Haque
Follow and stay with me


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা  বিজ্ঞানের সম্মানিত পথিকৃৎগণ-     #হোমিওপ্যাথিক
20/09/2025

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সম্মানিত পথিকৃৎগণ-

#হোমিওপ্যাথিক

 #টিউবারকুলিনামের অন্তর্ভুক্ত দুইটা মেডিসিন আছে।১.টিউবারকুলিনাম ব্যাসিলিনাম/ব্যাসিলিনাম বার্নেটি২.টিউবারকুলিনাম বভিনাম/ট...
18/09/2025

#টিউবারকুলিনামের অন্তর্ভুক্ত দুইটা মেডিসিন আছে।
১.টিউবারকুলিনাম ব্যাসিলিনাম/ব্যাসিলিনাম বার্নেটি
২.টিউবারকুলিনাম বভিনাম/টিউবারকুলিনাম

মেডিসিন দুইটা আলাদা করবো নিম্নে উপায়ে:-

💼 টিউবারকুলিনাম -শ্বাসযন্র উপরের অংশ যেমন ঘাড়, গলা,গ্ল্যান্ড আক্রমণ করে। ব্যাসিলিনাম -শ্বাসযন্র নিচের অংশ যেমন ফুসফুস আক্রমণ করে। এই কারনে শ্বাসকষ্ট, যক্ষা, নিউমোনিয়া লেগে থাকে।

টিউবারকুলিনাম-অস্থির প্রকৃতি ,আবেগ প্রবণ, বুদ্ধিমান হয়। বাচ্চারা ইঁচড়েপাকা হয়। ব্যাসিলিনাম- হাবাটে হয়।

♦️ ব্যাসিলিনাম-ভ্রু জোড়া লাগানো থাকে। অন্যদিকে
টিউবারকুলিনাম ঠোট লাল,চুল জট পাকানো, নখ পাখির মতো পাকানো থাকে।

💼 টিউবারকুলিনাম-চর্মরোগ চাপা পড়ার পর রোগ আসে। ব্যাসিলিনাম-ভ্যাক্সিনেশনের সাইড এফেক্ট থেকে রোগ আসে।

♦️ ব্যাসিলিনাম -স্কিন ডিজিজ দেখতে ring worm মতো। অপরদিকে টিউবারকুলিনাম -স্কিন সমস্যা স্কিনের ভাজে ভাজে হয়,লাল হয়,সোরার মতো।

💼 টিউবারকুলিনাম-নির্গমণ ক্ষতকর প্রকৃতি হয়।আর ব্যাসিলিনাম -নির্গমণ শুকনা হয়।

♦️ ব্যাসিলিনাম - সোরা মায়াজম সাথে সাইকোসিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। অন্যদিকে টিউবারকুলিনাম সিফিলিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। তাই এরা ধংসাত্নক হয়

💼 টিউবারকুলিনাম- শীতকাতর। আর ব্যাসিলিনাম -গরমকাতর

♦️ ব্যাসিলিনাম - সেক্সুয়ার ইচ্ছা স্বাভাবিক। অন্যদিকে টিউবারকুলিনাম সেক্সুয়ার ইচ্ছা অত্যাধিক। এটা কিশোর বয়সে দেখা যায় বেশি। যার জন্য তারা যেভাবেই হক তার ইচ্ছা পূরণ করে।

🛑 দুর্বল শিশু, বয়স্কদের ফুসফুস, হার্ট এর সমস্যা অত্যাধিক হলে ব্যাসিলিনাম দেওয়া নিরাপদ। এসব ক্ষেত্রে টিউবারকুলিনাম দেওয়া বিপদজনক।

উভয়ই মেডিসিনের ক্ষয়দোষ ইতিহাস পাব। রোগীর অল্পতেই ঠান্ডা লাগবে, রোগী জানেনা কেন তার বার বার ঠান্ডা লাগে।

বিদ্রষ্ট:কোন কিছু ভুল হলে, ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

#হোমিওপ্যাথিক

17/09/2025

100gm কচুশাকে 2.5ml থেকে 3.0ml আয়রণ থাকে।
1kg আনারে 2.0mg থেকে 2.5mg আয়রণ। আয়রণ মানব দেহের (হিমোগ্লোবিন)
রক্ত শূন্যতা পূরণ করে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ৫টি দৈনন্দিন করণীয়-1️⃣ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান2️⃣ নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন3️⃣ মিষ্টি ও অ...
17/09/2025

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ৫টি দৈনন্দিন করণীয়-
1️⃣ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান
2️⃣ নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন
3️⃣ মিষ্টি ও অতিরিক্ত ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন
4️⃣ পর্যাপ্ত পানি পান করুন
5️⃣ নিয়মিত চেকআপ করুন

⚠️ ডিসক্লেইমার: এটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া তথ্য। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
#ডায়বেটিস #হোমিওপ্যাথিক

বিলম্ভ ডেলিভারি ব্যথা বৃদ্ধি হলে। অনেক সময় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রসব শুরু হয় না। তখন কিছু হালকা ব্যায়াম ও দৈ...
15/09/2025

বিলম্ভ ডেলিভারি ব্যথা বৃদ্ধি হলে। অনেক সময় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রসব শুরু হয় না। তখন কিছু হালকা ব্যায়াম ও দৈনন্দিন কাজ শরীরকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে।

সহায়ক উপায়গুলো:
✅ ধীরে ধীরে সিঁড়ি ওঠা – পেলভিক মাংসপেশি সক্রিয় হয়
✅ হাঁটা – শিশুকে প্রসবপথের দিকে নামতে সাহায্য করে
✅ হালকা স্কোয়াট বা বসা–ওঠা অনুশীলন – শরীরকে প্রসবের জন্য প্রস্তুত করে
✅ কোমর দোলানো – চাপ কমায় ও শিশুর অবস্থান ঠিক করতে সহায়ক
✅ বড় বলের উপর হালকা ব্যায়াম – প্রসবপথ নরম করতে সহায়ক
✅ প্রজাপতি ভঙ্গি – পেলভিক অঞ্চল শিথিল করে
✅ দাম্পত্য সম্পর্ক – হরমোন নিঃসরণে প্রসব প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে

⚠️ সতর্কতা: সবার শরীর আলাদা। তাই এই ব্যায়াম বা উপায়গুলো চেষ্টা করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

15/09/2025
14/09/2025

Address

৮৮ Bagan Bazar, Green Road , Dhaka
Kalabaga
1205

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801707956015

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডা. জিয়া হোমিও মেডিকেল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডা. জিয়া হোমিও মেডিকেল:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram