26/07/2020
যৌন অক্ষমতায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন চিকিৎসা ছাড়ুন, প্রাকৃতিক উপায় গ্রহণ করুন
---------------------------------------------------------------------------
যৌনশক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স¤পন্ন চিকিৎসা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা একমাত্র ভুক্তভোগীই জানেন। যৌনশক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক বা যৌনশক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে এখন বিবেচিত।
প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনু তে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না।
ডিম : যৌন দুর্বলতা দূর করতে ও যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার দুধ। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।
দুধ : যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
মধু: যৌন দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
কফি : কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে।
চকলেট : ভালোবাসা ও যৌনতার সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা স¤পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো যৌন উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএর সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল: যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
তবে যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে চকলেট, মিষ্টিযুক্ত ফল, গরুর মাংস মধুসহ চিনিযুক্ত সকল খাবার থেকে বিরত থাকুন। এ অবস্থায় যে কোন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম। কারণ প্রকৃতিতে আমাদের অগোচরে কত গাছ গাছড়াই তো ছড়িয়ে আছে, এর কটাকেই বা আমরা চিনি।
যেমন থানকুনি গাছ বা থানকুনি পাতা তেমনই এক ধরণের উদ্ভিদ। ভেষজগুণে সমৃদ্ধ থানকুনির রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ। এই পাতা অনেকে ভর্তা করে খায়। অঞ্চলভেদে পাতাটিকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়। এই হলো থানকুনি পাতার প্রাথমিক পরিচিতি।
পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না। শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে। থানকুনি পাতায় মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়। থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে। আত্নবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
সৌজন্যে- মেথি ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম।
জীবন সুস্থ রাখতে চান, রোগ নিরাময়ে ভেষজ ওষুধ খান।
(সুুপ্রিয় ভিজিটর, পোষ্টগুলো বুঝতে বা এ সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আর নিয়মিত স্বাস্থ্যতথ্য পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ)