20/10/2025
মহিলাদের কোমরের ব্যথার আসল কারণ: এনেস্থেশিয়া না কি অন্য কিছু? 🤔
কম-বেশি সব মহিলাই জীবনে কোনো না কোনো সময় কোমরের ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে সিজারিয়ান সেকশন (C-Section)-এর পর এই ব্যথা অনেকের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
অনেকের ধারণা, সিজারের সময় দেওয়া এনেস্থেশিয়া (ইনজেকশন) এর কারণেই মূলত এই কোমর ব্যথা হয়। ছবিটিও এই ধারণার দিকে ইঙ্গিত করছে, কিন্তু বাস্তব সত্যটা কী? 🤫
আসল কারণগুলো জানুন: এনেস্থেশিয়া নাকি ঘাটতি?
আধুনিক গবেষণা ও চিকিৎসকদের মতে, সিজারের সময় Spinal/Epidural এনেস্থেশিয়া-র কারণে কোমরের যে সামান্য ব্যথা হয়, তা সাধারণত অস্থায়ী এবং কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথার জন্য নিচের কারণগুলো অনেক বেশি দায়ী:
• ক্যালসিয়াম (Calcium) এবং ভিটামিন ডি (Vitamin D) এর ঘাটতি: এটিই হলো মূল কারণ! গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পর শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দিতে গিয়ে মায়ের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর বিশাল ঘাটতি হতে পারে। এই ঘাটতি হাড় ও পেশিকে দুর্বল করে দেয়, যার ফলস্বরূপ কোমর ব্যথা আরও বাড়ে।
• হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় Relaxin নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা প্রসবের সুবিধার জন্য জয়েন্ট ও লিগামেন্টগুলোকে শিথিল করে দেয়। প্রসবের পরেও এই প্রভাব কিছুকাল থেকে যায়, যা কোমর ব্যথার সৃষ্টি করে।
• দুর্বল পেটের (Core) পেশি: গর্ভাবস্থায় পেটের পেশিগুলো প্রসারিত ও দুর্বল হয়ে যায়। এই দুর্বল পেশি মেরুদণ্ডকে সঠিকভাবে সমর্থন দিতে পারে না, ফলে কোমরের উপর চাপ বাড়ে।
• সন্তানের যত্ন ও ভঙ্গি (Posture): শিশুকে কোলে নেওয়া, স্তন্যপান করানো বা ডায়াপার পরিবর্তনের সময় ভুল ভঙ্গিতে থাকার কারণেও কোমর ব্যথা বাড়ে।
________________________________________
আপনার জন্য করণীয় কী?
১. ☀️ পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি: নিয়মিত সকালে হালকা রোদে থাকুন। ২. 🥛 সঠিক খাবার: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, ডিম, মাছ, পনির) খাদ্য তালিকায় রাখুন। ৩. 💪 হালকা ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হালকা স্ট্রেচিং এবং কোর মাসলের শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করুন। ৪. 🤱 সঠিক ভঙ্গি: শিশুকে খাওয়ানো বা কোলে নেওয়ার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন এবং পিঠের নিচে সাপোর্ট (বালিশ) ব্যবহার করুন।
কোমর ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। তাই যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা সৃষ্টি করে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি সকলের জানা প্রয়োজন।
আপনার একটি শেয়ার হয়তো অনেক মায়ের উপকার করতে পারে! 🙏