দৃষ্টি সেবা

দৃষ্টি সেবা দৃষ্টি সেবায় সর্বদা সচেতন থাকুন।

 #রোগের_গল্প_রোগীর_গল্প।মন্টু মিয়া (ছদ্ম নাম), ৪০ বছর বয়েসী গ্রিল মিস্ত্রি। নিজের দোকান আছে খালিশপুরে। মন্টু মিয়া পরিশ্র...
27/04/2025

#রোগের_গল্প_রোগীর_গল্প।

মন্টু মিয়া (ছদ্ম নাম), ৪০ বছর বয়েসী গ্রিল মিস্ত্রি। নিজের দোকান আছে খালিশপুরে। মন্টু মিয়া পরিশ্রমী মানুষ, আল্লাহর রহমতে আয় ইনকাম খারাপ হয় না। ২ বছর আগে নিজ দোকানে কাজ করতে গিয়ে লোহার একটা টুকরো হঠাৎ মন্টু মিয়ার চোখে আঘাত করে। মন্টু মিয়া তীব্র ব্যাথা আর চোখে ঝাপসা দেখা নিয়ে ছুটে যান বাংলাদেশের একটি বড় চোখের হাসপাতালে। তার চোখ পরীক্ষা করে দেখা যায় তার চোখ ফেটে গিয়েছে যেটাকে আমরা Open Globe Injury বলি। হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসকগণ দ্রুতই তার চোখটির অপারেশন করেন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে ছুটি প্রদান করেন। সাধারণত Open Globe Injury এর পর অধিকাংশ রোগীই চোখের দৃষ্টি একদম পূর্বের মতো ভালো না আসলেও অপারেশন পরবর্তী মন্টু মিয়া গত দুই বছর ভালোই দেখতে পাচ্ছিলেন, পূণরায় তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যেনো মন্টু মিয়ার পিছনে লেগে ছিলো। গত তিন মাস ধরে মন্টু মিয়া তার আঘাত প্রাপ্ত চোখের কর্ণিয়ার অংশে একটি ফোলা লক্ষ্য করছিলেন, যেটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিলো। এখন ফোলাটি এতটাই বড় যে মন্টু মিয়া বর্তমানে সানগ্লাস ছাড়া বাইরে বের হতে বিব্রত হন, চোখের পাতা বন্ধ করতেও সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় মন্টু মিয়া এবার আসলেন আমার চেম্বারে। তার চোখ পরীক্ষা করে যেটা দেখলাম তার চোখের দৃষ্টি হ্রাস পেয়েছে অনেক, তার চোখে একটি Cyst তৈরি হয়েছে, আঘাত জনিত কারণে ছানি পড়েছে এবং ইউভিয়া নামক পর্দার প্রদাহের কারণে তার চোখের প্রেশার বেড়ে গিয়েছে। মন্টু মিয়াকে বোঝালাম তার এমন একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন যেখানে চোখের সকল পরীক্ষা নিরিক্ষার সুযোগ রয়েছে এবং চোখের সকল বিশেষায়িত বিভাগ যেমন অকুলোপ্লাস্টি, রেটিনা, কর্নিয়া, গ্লুকোমা এই বিভাগ গুলো রয়েছে। গত তিন মাসে মন্টু মিয়া ফার্মেসির দোকানদার থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হলেও কেউ তাকে এইরকম একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দেন নাই। অবশেষে মন্টু মিয়া ফার্মগেট এর চোখের নামকরা বিশেষায়িত হাসপাতাল ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল এ যান এবং সেখানকার চিকিৎসকরা তার চোখে পুণরায় সার্জারী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মন্টু মিয়ার চোখের সার্জারীর সাফল্য কামনা করছি যেনো উনি সুস্থ হয়ে পুণরায় তার কর্মজীবন শুরু করতে পারেন।

মন্টু মিয়ার চোখের চিকিৎসায় আমি শুধুমাত্র তাকে একটি সুপরামর্শ দিয়েছি মাত্র, সেটা হলো তাকে একটি সঠিক জায়গায় পাঠানো। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় Referral System. তাতেই উনি আমার উপর ভীষণ সন্তুষ্ট, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন নিজের বাড়ি আছে কিনা। আমি হেসে বললাম "ভাড়া বাড়িতে থাকি ভাই আপাতত " মন্টু মিয়া জানালেন, " স্যার যেকোন গ্রীলের কাজ করতে হইলে আমাকে বলবেন, আমি ভালো মিস্ত্রি... দৌড় দিয়া চলে আসবো.." এই রকম একটা জবাব একজন চিকিৎসক এর জন্যে ভীষণ রকম দামী... ভীষণ রকম উৎসাহের...।।।

পাদটীকা : বিখ্যাত সাময়িকী ল্যান্সেটের এক গবেষণা বলছে, প্রতি বছর সারা দুনিয়ায় প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ আঘাত জনিত কারণে অন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত হ্রাস পায় ( Low vision). বাংলাদেশের চোখে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীর ৭১ শতাংশই তাদের কাজের সময় চোখে আঘাত পেয়ে থাকেন। যারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন তারা চোখে সামান্য একটা নিরাপদ চশমা বা সানগ্লাস পড়ে কিন্তু এই অন্ধত্বের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। আসুন চোখের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করি, অন্ধত্ব থেকে নিজেকে বাঁচাই।

ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
দৃষ্টি সেবা
দৌলতপুর, খুলনা।

18/10/2024

একটু সময় নিয়ে পুরোটা পড়ুন।

অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হয়?
অন্ধকারে মোবাইল টিপলে ৫টি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার সময় বালিশের পাশে মোবাইল ফোন রাখেন। আর ঘুম যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ হোয়াটস অ্যাপ অথবা ফেসবুকে চলতে থাকে দাপাদাপি। আর এই করতে করতে কখন যে ঘড়ির কাঁটা পরের দিনে ঢুকে যায়, সেদিকে খেয়ালই থাকে না বেশিরভাগের। আপনিও কি এমনটা করে থাকেন নাকি? তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন এই অভ্যাস। না হলে শরীরের যে কী কী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, তা জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি।

আসলে অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলো চোখের মারাত্মক ক্ষতি তো করেই। সেই সঙ্গে শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে চায় না। আর দিনের পর দিন রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে একে একে বাসা বাঁধতে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ। এছাড়াও দেখা দেয় আরও নানা রকমের সমস্যা। যেমন ধরুন-

মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়ঃ

ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। শুধু তাই নয় ব্রেণে রক্ত প্রবাহে নানা বাধা আসতে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্ক সম্পর্কিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।

ঘুম কমে যায়ঃ

মোবাইল ফোনের আলো নানাভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। কারণ আমাদের ঘুম কতটা ভাল হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের ওপর।

দৃষ্টিশক্তি কমে যায়ঃ

অন্ধকারে অনক সময় ধরে মোবাইল ঘাটলে তার নীল আলো সরাসরি চোখের ওপর পরতে থাকে। যে কারণে চোখে যন্ত্রণা হতে পারে। আর দীর্ঘদিন ধরে যদি এমনটা হতে থাকে, তাহলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে কিন্তু!

রেটিনা খারাপ হতে শুরু করেঃ

অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার নীল আলো রেটিনার কার্মক্ষমতা কমাতে শুরু করে। দীর্ঘ দিন ধরে যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই যদি কম বয়েসে অন্ধ হতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফোনটা নিজের থেকে দূরে রেখে শুতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। নাহলে কিন্তু বিপদ!

ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়ঃ

মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, সেই সঙ্গে আরও সব হরমোনের ক্ষরণে বাধা আসতে শুরু করে, ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে, যা ক্যান্সার রোগে, বিশেষত ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

তাহলে আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, সুস্থ ভাবে বাঁচতে চান না মোবাইলকে জীবনের আগে রাখতে চান।

অন্ধকারে মেবাইল/ কম্পিউটার / ল্যাপটপ/ টিভি ব্যবহার না করাই উচিতঃ

অন্ধকারে মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টিভি ব্যবহার করলে চোখের অনেক ক্ষতি হয়।আর চোখের ক্ষতি হলে সেটা আমাদের মস্তিষ্কের জন্যও অনেক ক্ষতি হয়।তাই অন্ধকারে মোবাইল চালানো ঠিক না।

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন- মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টির বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তারা। আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যাবহার করলে সেটা অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যার ফলে অনেক সময় ফোন বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটে।

মোবাইল যখন চার্জে থাকে তখন সেখানে ভোল্টেজ স্টেপ ডাউন করতে হয়। কারন মোবাইল এর ব্যাটারি থাকে সাধারণত ৫ ভোল্ট এর হয়। এই স্টেপ ডাউন প্রসেস এ কিছুটা পাওয়ার ব্রিক বা এডাপ্টার এ হয় আর বাকিটা ফোনে হয়। এই কাজে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। যার ফলে মোবাইল ফোন গরম হয়ে যায়। এখন তার উপর যদি আপনি সেটা ব্যাবহার করেন ঐ সময় এর প্রসেসর কাজ করা শুরু করবে। সেটা আরো গরম করে তুলবে আপনার ফোনকে। আর খলনায়ক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি হল অত্যন্ত দাহ্য ও বিস্ফোরক জিনিষ।

মোবাইল ফোন রাত্রে বালিশের পাশে রেখে ঘুমানো শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকর ?
কি দরকার মশাই মোবাইলটা বালিশের পাশে রাখার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এইসব। পরেরদিন হবে, রাতে কেন। নাকি দেড় জিবি ইন্টারনেটের মধ্য 500mb বাকি আছে😁। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো টা কি ঠিক। রাতে কাউকে মেসেজ করলেন i lo.. U । আপনি দেখতে পাচ্ছেন মেসেজটা দেখা হয়ে গেছে কিন্তু কোন রিপ্লাই আসছে না তাহলে কি আপনার সেই রাতে ঘুম হবে? মোবাইলটাকে বালিশের পাশে রেখে শুধু মনে হবে কখন মোবাইলে একটা বেল বেজে ওঠে। 😆😆

অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করেন না৷ অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বা পাশে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের৷ অনেকেই আবার ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান। এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর।
ধন্যবাদ 🙂
নিবন্ধ টি কেমন লাগলো মন্তব্য করুন।

সংগৃহিত।

27/05/2024

বাবা মায়ের যেকোনো একজনের Myopia থাকলে শিশুরও Myopia হবার চান্স ৩ গুণ বেড়ে যায়।

বাবা মা উভয়ের মায়োপিয়া থাকলে শিশুরও মায়োপিয়া হবার চান্স ৫ গুণ বেড়ে যায়।

We are aware of the term of high myopia, pathological myopia, but do not know much about progressive myopia.

যখন বছরে অন্তত মায়োপিয়া 0.5D এর বেশি বেড়ে যায় তখন তাকে progressive Myopia বলে।

There is a very unfamiliar term ' Premyopia'.
যখন সাত বছরের একটি শিশুর রিফ্রাসশন +. 75D থাকে..

অথবা
নয় থেকে এগারো বছরের শিশুর রিফ্রাসশন 0 D বা - 0.5 D থাকে তখন তাকে

সাথে

বাবা মা এর একজন বা উভয়ের মায়োপিয়া থাকে

অথবা /এবং

Outdoor activities is less than 2 hours and near work more than 2 hours.

এই শিশুদের premyopia আছে বলে ধরা হবে।

The best treatment of prevention of progressive myopia is to stop starting myopia.

If you can diagnose your child to be premyopic then you can be prepared.

করণীয় কি?

1.দিনে অন্তত দুই ঘন্টা ঘরের চার দেয়ালের বাইরে সময় দেওয়া
2.ডিভাইস টাইম কমানো
3.চোখের খুব নিকটে রেখে বই বা ফোন না দেখা।
4.একহাত দূরত্বে বই রেখে পড়া
5. নিয়মিত ফলোআপ করা

Progressive myopia prevention এ করণীয়?

1. Repeat 12345 of above.
2. Low dose atropine eye drop once daily for two to three years.
3. Spacial glasses (Multifocal, myopic defocus glass)
4. Otrho-k (Night time contact lens for day time glass free clear vision)

Before prescribing Atropine 0.01%

1. Give few follow up of the myopic child to document the progression.
2. It's the axial myopia we can treat. So try to accumulate data about axial lenth of the baby.
3. Not helpful in astigmatism.

In 2050 50% of world child are going to be myopic!
Prevention is better than cure!

সংগৃহিত।

17/05/2024
Love your eyes...Avoid being outdoors when UV index is highUse shades when outdoorsDrink lots of waterAvoid carbonated d...
25/04/2024

Love your eyes...

Avoid being outdoors when UV index is high
Use shades when outdoors
Drink lots of water
Avoid carbonated drinks

Be smart
Be safe

05/04/2024

চোখের স্ট্রোক বাড়ছে কেন? রেড এলার্ট!

ব্রেইনের স্ট্রোকের কথা আমরা শুনেছি কম বেশি সবাই। হার্ট এট্যাকের নামও শুনেছি। কিন্তু চোখের স্ট্রোক এর কথা আমরা কজন জানি। বিভিন্ন কারণে চোখের এই মারাত্মক ব্যাধি দিন দিন বাড়ছে। আজকে আমরা জানবো এর কারণ ও মুক্তির উপায়।

চোখের স্ট্রোক কি?

চোখের রেটিনায় দুই ধরনের রক্ত নালী আছে। রেটিনাল আর্টারী বা ধমনী এবং রেটিনাল ভেইন বা শিরা। চোখের স্ট্রোক সাধারণত রেটিনায় হয়। উক্ত ধমনী বা শিরা ব্লক হয়ে চোখের স্ট্রোক হয়।

দুই ধরনের :

১. রেটিনাল আর্টারী ওকুলোশন। এক্ষেত্রে রেটিনায় রক্ত সরবরাহ কারী আর্টারী বা ধমনী বন্ধ হয়ে যায়। কখনো সম্পূর্ণ ধমনী (CRAO) , কখনও বা শাখা ধমনী বন্ধ (BRAO) হতে পারে। এক্ষেত্রে রেটিনায় রক্ত হীনতা দেখা দিয়ে রেটিনা নষ্ট হয়ে যায়।

২. রেটিনাল ভেইন অকুলোশন। এক্ষেত্রে রেটিনার শিরা বা ভেইন বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কখনো সম্পূর্ণ শিরা (CRVO) বা কখনো শাখা শিরা(BRVO) ব্লক বা বন্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে রেটিনায় রক্ত ক্ষরণ হয় ।

উপসর্গ :
১. হঠাৎ দৃষ্টির অবনতি।
২. ব্যথা নেই, লাল হওয়া নেই, চোখ থেকে পানি পড়া নেই।
৩. ব্লকের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কতটুকু দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নির্ভর করে।

কারণ :
১. ডায়াবেটিস
২. উচ্চ রক্ত চাপ
৩. কোলেস্টেরল বেশি থাকা
৪. ধুমপান
৫. কখনও গ্লুকোমা রোগের কারণেও হতে পারে।

বৃদ্ধির কারণ :

১. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ।
২. দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার
৩. দিন দিন মানুষের শারীরিক পরিশ্রম বিহীন জীবন ইত্যাদি।

প্রতিরোধের উপায়

১. স্বাস্থ্য সচেতনতা
২. ধুমপান পরিহার
৩. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ
৪. রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

চিকিৎসা

১. কোনো চোখে হঠাৎ কম দেখা শুরু করলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে ।
২. দেরী করলে অন্ধত্ব হতে পারে
৩. দীর্ঘদিন ফলোআপ করতে হবে।
৪. চোখের ভেতরে এন্টি ভিজিইএফ ইনজেকশন দেওয়া।
৫. লেজার ব্যবহার করা।

রেড এলার্ট:

চোখে স্ট্রোক কেবল চোখের রোগ নয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর ব্রেইন এ স্ট্রোক ও হার্ট এটাকের শংকা বহুগুন বেড়ে যায়। তাই এই রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে স্ট্রোক স্পেশালিস্ট ও হার্ট বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে।

চক্ষু মানুষের অমুল্য সম্পদ। কিন্তু এর বিবিধ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা যথেষ্ট নয়। আসুন সচেতন হই। শেয়ার করে অন্যকে সচেতন করি।
Collected.

11/03/2024

যারা ডায়াবেটিস আছে অথবা বাসায় কারও ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য একেবারে সহজ ভাষায় এই নোটটি তৈরি করেছি। মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্যেও বেশ উপকারে আসবে। মহান দয়াময়ের অনন্য নিয়ামাত এই রমাদানে আপনাদের প্রতি এটি আমার সামান্য উপহার।

১. ডায়াবেটিসের রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে? কোন কোন ক্ষেত্রে পারবে না?

২. রোজা রাখলে কী কী উপকার হবে?

৩. কী কী ঝুঁকি থেকে যায়? কী করণীয় তখন?

৪. রোজা থাকা অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা যাবে কি?

৫. কোন অবস্থায় রোজা অবশ্যই ভেঙে ফেলতে হবে?

৬. রোজাতে খাবার-দাবার কেমন হবে?

৭. রোজাতে শরীরচর্চা করতে হবে কীভাবে?

৮. ওষুধ/ইনসুলিন কীভাবে, কখন, কতোটুকু নিতে হবে?

মুসলিমদের জন্যে ইবাদাতের এক ভরা মৌসুম রমাদান। কে না শরীক হতে চায় এই মহিমান্বিত মাসের রহমাতে-বারাকাহতে-মাগফিরাতে-নাজাতে! তবে কিছুটা বিপাকে পড়ে যান ডায়াবেটিসের রোগীরা। অনেকগুলো প্রশ্ন আর সংশয় তাদের মনে উঁকি দিতে থাকে।

এবার চলুন এক এক করে আমরা প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।

১. সারা বিশ্ব জুড়ে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ রোজা রাখেন। প্রচুর লিটারেচারে এসেছে যে, অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগীরাই রোজা রাখতে পারেন। তবে এটা নির্দিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে তার রোজা রাখতে পারা বা না পারা।

সেজন্যে প্রয়োজন রোজা শুরু হবার বেশ কিছুদিন আগেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে যাচাই-বাছাই (Pre-Ramadan Assessment) করিয়ে নেয়া যে তিনি রোজা রাখতে সক্ষম কিনা, রোজাতে কী কী নিয়মকানুন মেনে চলবেন, ওষুধ/ইনসুলিন কীভাবে নেবেন ইত্যাদি। রোগীর বিগত দিনগুলোতে ডায়াবেটিসের অবস্থা, জটিলতা, অন্যান্য রোগ, রক্তে চর্বির পরিমাণ, রক্তচাপ ইত্যাদি সবকিছু বিবেচনা করে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন রোগীটি রোজা রাখতে পারবে কি পারবে না।

তবে খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে যেসব ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়াবেটিস অনেক কমে গেলেও বুঝতে পারেন না, যাদের ডায়াবেটিস একেবারেই নিয়ন্ত্রণে থাকে না, সম্প্রতি ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস হয়েছে--তাদেরকে রোজা না রাখতে বলা হয়। তাছাড়া যেসব ডায়াবেটিক রোগীদের কোনো অর্গান ফেইলিওর (যেমন : হার্ট ফেইলিওর, কিডনি ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর) আছে তাদেরও রোজা না রাখাই শ্রেয়।

এছাড়াও যাদের মারাত্নক চোখের রেটিনায় সমস্যা, স্নায়ুতে সমস্যা, বড় ধরনের রক্তনালীতে সমস্যা, তীব্র পেপটিক আলসার, মারাত্নক ধরনের ফুসফুসে যক্ষ্ণা, মারাত্নক ইনফেকশান, মারাত্নক হাঁপানি, বারবার পাথর হওয়া, যেসব ক্যান্সার রোগীদের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ, সম্প্রতি হার্ট এটাক/স্ট্রোক হয়েছে, লিভারে সমস্যা রয়েছে, অতি দুর্বল স্বাস্থ্যের বৃদ্ধ, পূর্ববর্তী গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিসের ইতিহাস, অনিয়ন্ত্রিত মৃগীরোগ এবং মারাত্নক মানসিক সমস্যা যাদের রয়েছে--তাদেরও রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়। গর্ভবতী এবং শিশুকে যারা বুকের দুধ পান করান তাদেরও রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

২. ডায়াবেটিস রোগীদেরও রোজা রাখলে বেশ কিছু উপকার হয়ে থাকে। যেমন :

- রোজা শরীরের বিপাকীয় (Metabolic) কাজের উন্নতি ঘটায়।

- শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

- উচ্চ রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়।

- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।

- রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

- সর্বোপরি রোজাতে নিয়মানুবর্তিতার এক অনন্য চর্চা হয়। আর আমরা সবাই জানি নিয়মানুবর্তিতা ডায়াবেটিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা।

৩. ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখলে যেসব ঝুঁকি থাকে :

- রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অতিরিক্ত কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)।

- রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসেমিয়া)।

- পানিশূন্যতা।

- ওজনের তারতম্য ঘটা।

রোজাতে ডায়াবেটিক রোগীর যে সমস্যাটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন চিকিৎসকরা--তা হচ্ছে 'হাইপোগ্লাইসেমিয়া' (Hypoglycemia)। সহজ ভাষায় বলতে গেলে রক্তে গ্লুকোজ/সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া এতো মারাত্নক হতে পারে যে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে, মস্তিষ্কের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রতিজন ডায়াবেটিস রোগীর এবং তার পরিবার-পরিজনের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং করণীয় কী তা জানা অবশ্যই প্রয়োজন।

সচরাচর যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় :

- অতিরিক্ত ঘাম
- হাত-পা কাঁপা
- বুক ধড়ফড় করা
- বেশি ক্ষুধা লাগা
- উদ্বিগ্নতা
- ঝিমাতে থাকা
- কথা জড়িয়ে যাওয়া
- মনোযোগ প্রদানে বিঘ্ন ঘটা
- অল্পতে রেগে যাওয়া
- বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যথা/ মাথা ঘোরা ইত্যাদি।

রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে সাথে সাথে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। তা যদি ইফতারের ১০ মিনিট আগেও হয়। এক গ্লাস পানিতে ৪-৬ চামচ চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে অথবা অন্য কোনো শর্করাযুক্ত খাবার।

৪. শারীয়াহগত দিক থেকে রোজা রেখে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করতে কোনো বাধা নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা থাকা অবস্থায় নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সেহরির ঘণ্টা দুয়েক পর এবং ইফতারের ঘণ্টাখানেক আগে গ্লুকোজের মাত্রা দেখা উচিত। এছাড়া অন্যান্য সময়েও পরীক্ষা করা যেতে পারে।

৫. যেকোনো সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৩.৯ মিলিমোল/লিটারের নিচে নেমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। মনে রাখার সুবিধার্থে "৪" বলা হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১৬.৬ মিলিমোল/লিটারের বেশি বেড়ে গেলেও রোজা ত্যাগ করতে হবে।

৬. ক্যালোরি এবং খাবারের গঠনগত দিক থেকে রমাদানের আগে যেমন স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতেন, রমাদানেও তেমনটাই চলবে। সেহরির সময় অপেক্ষাকৃত জটিল শর্করা যেগুলো হজম ও শোষণ ধীরে ধীরে হয় তেমন খাবার খেতে হবে। সেহরির সময় ভাত, রুটি, নান, সবজি, ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে :

- অনেক বেশি পরিমাণ শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

- মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

- মিষ্টি পানীয় পরিহার করতে হবে। মিষ্টি শরবতের বদলে আল্লাহর দেওয়া 'প্রাকৃতিক শরবত' ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে।

- ইফতার থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে প্রচুর পানি খেতে হবে।

আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। সেহরি যতোটা সম্ভব দেরিতে খেতে হবে আর ইফতার যতোটা সম্ভব তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমাদের ধর্মীয় বিধানও তা-ই শিক্ষা দেয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে এটি একটি খুবই কার্যকরী উপায়।

৭. রোজাতে প্রাত্যহিক জীবনের স্বাভাবিক কাজগুলো করতে কোনো বাধা নেই। তবে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে পারে। তাই দিনের বেলায় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম না করাই ভালো। ইফতার এবং সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে ঘণ্টাখানেকের জন্যে শরীরচর্চা করা যেতে পারে। তারাবীহ, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি অতিরিক্ত নামাজও শরীরচর্চা হিসেবে বিবেচনায় রাখা উচিত।

৮. সবশেষে আসা যাক ওষুধ/ইনসুলিন কীভাবে নিতে হবে। প্রত্যেকটা রোগীকে চিকিৎসকই ঠিক করে দেবেন এটা। তবে খুব সাধারণভাবে সচরচার ব্যবহার হওয়া কিছু ওষুধ নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

যারা নিয়মিত Sulfonylureas (Glipizide, Gliclazide, Glimeperide --ওষুধের প্যাকেটের গায়ে ছোট্ট করে ওষুধের এই জেনেরিক নেইম লেখা থাকে) প্রতিদিন সকালে খেতেন, তারা একই ডোজে ইফতারের সময় সেটা খাবেন। আর যারা এ ওষুধটি দুবেলা খেতেন, সকালে ও রাতে--তারা সকালের ডোজের পুরোটা ইফতারের সময় খাবেন। তবে রাতের ডোজের কেবল 'অর্ধেকটা' সেহরির সময় খাবেন।

যারা Metformin (Oramet, Comet, Metfo, Met, Informet ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) দিনে ১ বেলা খেতেন সেটি ইফতারের পর খাবেন। যারা দিনে দুবেলা ওষুধটি খেতেন তারা একটি ইফতারের পর এবং একটি সেহরির পর খাবেন। আর যারা ৩ বেলা ৫০০ মিলিগ্রামের একটি করে ট্যাবলেট খেতেন, তারা ইফতারে একসাথে দুটো ট্যাবলেট অর্থাৎ মোট ১০০০ মিলিগ্রাম খাবেন। আর সেহরিতে ৫০০ মিলিগ্রামের ১টি ট্যাবলেট খাবেন।

যারা Linagliptin (যেমন : Lijenta/Linatab/Linita) জাতীয় ওষুধ খেতেন তাদের ডোজের পরিবর্তন হবে না। একই ওষুধটি একই ডোজে ইফতারে/সেহরিতে খাবেন।

যারা Empagliflozin (যেমন : Empa/Empatab/Jardiance) জাতীয় ওষুধ খান তারা একই ওষুধ একই ডোজে ইফতারে খাবেন৷ তবে এই ওষুধ যারা খান তারা অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করবেন।

যারা দুবেলা ইনসুলিন নিয়ে থাকেন, সকালের ডোজটা সমপরিমাণ ইফতারের আগে নেবেন। আর রাতের ডোজের 'অর্ধেক' পরিমাণ সেহরির সময় নেবেন।

ধরা যাক, কেউ সকালে ৩০ ইউনিট এবং রাতে ২০ ইউনিট ইনসুলিন পেতেন। রমাদানে তিনি ইফতারের আগে সকালের ডোজের পুরোটা অর্থাৎ ৩০ ইউনিট ইনসুলিনই নেবেন। আর সেহরির সময় রাতের ডোজের অর্ধেক (২০/২=১০) অর্থাৎ ১০ ইউনিট ইনসুলিন পাবেন।

আপনি ডায়াবেটিক হোন কিংবা নন-ডায়াবেটিক, সুস্থ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে যেন সবগুলো রোজা রাখতে পারেন সে দু'আ করি।

সংগৃহিত।

দৃষ্টি শক্তির নিরব ঘাতক: গ্লুকোমাউচ্চ রক্ত চাপ বা ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশী জানি। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময়...
09/03/2024

দৃষ্টি শক্তির নিরব ঘাতক: গ্লুকোমা

উচ্চ রক্ত চাপ বা ব্লাড প্রেসার সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশী জানি। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্ত রক্তনালীতে যে চাপ দেয় সেটাই রক্তের চাপ বা প্রেসার। ঠিক তেমনি চোখের মধ্যে যে জলীয় অংশ থাকে তা অক্ষি গোলকের ওপর যে চাপ দেয় তাই চোখের চাপ বা Intra Ocular Pressure(IOP)। এই প্রেসার যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে তখন তাকে গ্লুকোমা বলে। এটি বিশ্বব্যপী অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারন। প্রেসার বেশী থাকার জন্য স্নায়ু কোষ ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্নায়ু কোষ এক বার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরতে পারেনা।

কেন হয়:
চোখের প্রেসার একটি নিদিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকা চোখের স্বাভাবিক কাজ করার জন্য দরকার। চোখের ভিতরে যে পানি থাকে তাকে আমরা Aqueous humar বলি। এটি তৈরী হয় চোখের রক্তনালীর অংশ থেকে। এই জলীয় অংশ তার চলার পথে যদি বাঁধাগ্রস্হ হয় তখনই চোখের প্রেসার বেড়ে যায়।

প্রকারভেদ:
১। ওপেন এ্যাংগেল : এখানে তেমন কোন উপসর্গ থাকে না। ধীরে ধীরে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারায়। তাই একে দৃষ্টিশক্তির নিরব ঘাতক বলে।
২। ক্লোসড এ্যংগেল গ্লুকোমা: এখানে চোখে প্রচন্ড ব্যথা হয়। রোগী হঠাৎ দৃষ্টি শক্তি হারায়। এটি একটি জরুরী অবস্হা। দেরী হলে বা ভুল হলে অন্ধত্ব বরন করতে হবে।
৩। চোখের অন্য রোগের জটিলতা থেকে গ্লুকোমা হতে পারে।একে সেকেন্ডারি গ্লুকোমা বলে।
৪। জন্মগত গ্লুকোমা।

গ্লুকোমার জন্য কাদের চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি?...

১. যাদের পরিবারে নিকটাত্মীয়ের এ রোগ আছে।
২. চল্লিশোর্ধ্ব প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন চশমা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
৩. চোখে যারা মাঝে মাঝে ঝাপসা দেখেন বা ঘন ঘন চোখ ব্যথা বা লাল হওয়া অনুভব করেন।
৪. যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ আছে।
৫. যারা চোখে দূরের জন্য মাইনাস গ্লাস ব্যবহার করেন।

উপসর্গ:
ওপেন এ্যংগেল গ্লুকোমা:
১। প্রথম দিকে তেমন কোন উপসর্গ থাকে না।
২। চোখ ও মাথা ব্যাথা।
৩। সামনা সামনি ভাল দেখে। কিন্ত পাশে কম দেখে।
৪। টানেল ভিশন।একটি টিউবের মধ্য দিয়ে তাকালে যে রকম দেখায় সে রকম দৃষ্টি।
৫। ঝাপসা দেখা।

ক্লোসড এ্যংগেল গ্লুকোমা:
১। হঠাৎ প্রচন্ড চোখ ও মাথা ব্যাথা।
২। চোখ লাল হওয়া।
৩। পানি পড়া
৪। চোখের দৃষ্টি অনেক কমে যাওয়া।
৫। অন্ধকার রুমে অনেকক্ষন থাকলে চোখে ব্যথা ও রংধনু দেখা।

ঝুঁকি সমূহ:
ওপেন এ্যংগেল গ্লুকোমা:
১। এটি বংশ পরম্পরায় বিস্তার লাভ করে। অর্থাৎ পরিবারের কেউ আক্রান্ত অন্যদেরও হবার সম্ভাবনা থাকে।
২। যাদের বয়স ৪০ এর ওপর।
৩। যাদের দূরদৃষ্টির সমস্যা আছে।
৪। যারা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে।

ক্লোসড এ্যংগেল গ্লুকোমা:
১। মহিলা
২। বয়স ৪০ এর ওপর।
৩। যাদের ক্ষীনদৃষ্টির সমস্যা/ হাইপারমেট্রোপিয়া। অর্থাৎ যারা প্লাস পাওয়ার ব্যবহার করে।

রোগ নির্নয়ে পরীক্ষা:
১। চোখের প্রেসার মাপা।Tonometry.
২।কর্নিয়ার পুরুত্ব মাপা।Pachymetry
৩। কর্নিয়া ও আইরিশের মধ্যে এ্যংগেল মাপা।Gonioscopy.
৪। দৃষ্টিশক্তির বিস্তৃতি মাপা/ Visual Field Analysis.
৫। চোখের নার্ভ পরীক্ষা করা। Cup : Disc ratio.

চিকিৎসা:
১। এন্টি গ্লুকোমা ড্রাগস।
২। লেজার--জলীয় অংশ চলা চলের পথকে প্রশস্ত করা হয়।
৩। সার্জারী।

যেহেতু গ্লুকোমা নার্ভকে স্হায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এবং কখনো কখনো তেমন উপসর্গ করেনা। সুতরাং গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্ব থেকে বাচতে হলে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করতে হবে।

সংগৃহিত।

08/03/2024

Take care of your eyes this Ramadan...
Don't believe in Myths

Myth 1: Drops break the Fast.

According to majority of the Scholars this is not true. Eye drops don't break your fast. Please use your drops if needed and prescribed by a registered physician.

Myth 2: You can't undergo eye surgery in Ramadan.

Please undergo advised procedure. You can make up for your missed fasts later on. But you can't regain lost vision damaged from delayed surgery.

3. Drink lots of fluids in between your Iftar and Suhur. It not only hydrates your body but also keeps your eyes hydrated.

Break the Myths.
Be smart. Stay healthy.
Discuss with your physician.

Have a wonderful Ramadan.

Ramadan Kareem

02/02/2024

মাথা ব্যথার জন্য কিছু টিপসঃ

১.নিয়মিত চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করাবেন।
২.পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিবেন।প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা করে ঘুমাবেন।
৩.বাইরে গেলে সানগ্লাস বা ছাতা ব্যবহার করুন।যাতে রোদ চোখে না লাগে।
৪.সময়মত খাওয়া দাওয়া করবেন।খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার রাখবেন।যেমন-ডিম,মাছ,মাংস,সবুজ শাকসবজি, গাজর,পাঁকা কলা,মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি।
৫.অতিরিক্ত মানসিক টেনশন না করা।সবসময় পজিটিভ থাকা।
৬.অতিরিক্ত শব্দ থেকে দূরে থাকবেন।
৭.মাথা ব্যাথা করলে একটা অন্ধকার রুমে চলে যাবেন।
৮.মাথা ব্যাথা না কমলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।চোখের পাওয়ার,চোখের প্রেশার (iop) চেক করতে হবে।

ডা.মো: আবুল কালাম আজাদ।
কন্সলাটেন্ট
খুলনা চক্ষু হাসপাতাল।
দৌলতপুর,খুলনা।

Address

434, Jessore Road, Doulatpur
Khulna

Opening Hours

Monday 17:00 - 21:00
Tuesday 17:00 - 21:00
Wednesday 17:00 - 21:00
Thursday 17:00 - 21:00
Friday 17:00 - 21:00
Sunday 17:00 - 21:00

Telephone

+8801314695704

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৃষ্টি সেবা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category