16/03/2024
পবিত্র রমজান মাস এসেছে তার অসীম পুণ্যের বার্তা নিয়ে। সংযম সাধনার এ মাসে সবারই জীবনযাপন খাওয়া দাওয়ায় বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। মাহে রমজান বছরের বাকি মাসগুলো থেকে আলাদা। এবারও গ্রীষ্মকালে রোজা শুরু হয়েছে। তাই প্রায় ১৪-১৫ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। আর এই রোজার সময়ে সুস্থ থাকতে খাবার গ্রহণে সচেতন থাকতে হবে। শরীরে সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। পবিত্র রমজানে ইফতারীতে কী খাবেন চলুন জেনে নেই।
ইফতারে অবশ্যই খেজুর বা খোরমা খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও ক্লোরিন ফাইবার। যা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খুবই দরকারি। প্রতিটি খেঁজুরে থাকে ৬৬ ক্যালরি শক্তি। এতে করে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে।
ইফতারে সহজলভ্যতা অনুযায়ী ৩ থেকে ৪ রকমের ফল যেমন পেয়ারা, আপেল, তরমুজ ইত্যাদি রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে- ইফতারিতে খেজুর, মৌসুমি ফল বেশি থাকা উচিত। দই চিড়া কলা খেতে পারেন। পরিমাণ হবে ১০০-১২০ গ্রাম চিড়ার সঙ্গে মাঝারি কাপের হাফ কাপ দই আর মাঝারি সাইজের একটি কলা।
ইফতারে খাবেন সহজপাচ্য ও কম তেল–মসলাযুক্ত খাবার। সারাদিন খালিপেটে থাকার পর ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবার এসিডিটি বাড়ায়। এ কারণে ভাজাপোড়া ইফতার গ্রহণের ফলে অনেক রোজাদার ইফতারের পর পেট ফাপা, বদহজম, বমি বমি ভাব ইত্যাদি শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তাই ইফতারিতে যতদূর সম্ভব ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। একটি খেজুর মুখে দিয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন। এরপর বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করুন অল্প অল্প করে। পানি একবারে গ্রহণ না করে বারে বারে পান করুন। ডাবের পানি, লেবুপানি, মৌসুমি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে এসিডিটির সমস্যা বেশি থাকলে লেবুর শরবত না খাওয়াই ভালো। অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এসব পানীয়র সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন তোকমাদানা, চিয়া সিড, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি। ভাজাভুজি এড়িয়ে যান। অনেকে ইফতারে ছোলা ভুনা খেতে ভালোবাসেন। তবে এই গরমে ভুনা ছোলার পরিবর্তে অঙ্কুরিত ছোলার সঙ্গে শসা, টমেটো, লেবু ও দু-তিন কোষ কাঁচা রসুন কুচি করে মিশিয়ে খেতে পারেন। দুই–তিন রকম ডালের সঙ্গে মুরগির মাংস মিশিয়ে কম মসলা দিয়ে হালিম তৈরি করে খেতে পারেন। টক দই দিয়ে লাল চিড়া, ওটস, বার্লি খেতে পারেন। এ ছাড়া টক দই, লাল চিড়া, যেকোনো মৌসুমি ফল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে খেলেও উপকার পাবেন। বিভিন্ন মৌসুমি সবজির সঙ্গে মুরগির মাংস মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করেও খেতে পারেন। দুধের সঙ্গে ফল, সাবুদানা ও সুজি দিয়ে ফালুদা বানিয়ে নিতে পারেন এক দিনের ইফতারে। দুধ ও ডিম দিয়ে পুডিং তৈরি করেও খেতে পারেন। ইফতারিতে ঘরে তৈরি ফ্রুটস সালাদ, মিক্সড শরবত, জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
সুস্থ জীবন-যাপন করতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ঔষধ সেবন করুন। হোমিও ঔষধে আস্থা রাখুন। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:
ডা: আয়শা হুমায়রা
আসান হোমিও চেম্বার
১৮/৫ (ক) মিস্ত্রিপাড়া খালপাড় রোড, খুলনা।