মেহরাব হেলথ কেয়ার,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ।

  • Home
  • Bangladesh
  • Kishoreganj
  • মেহরাব হেলথ কেয়ার,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ।

মেহরাব হেলথ কেয়ার,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ। Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মেহরাব হেলথ কেয়ার,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ।, Hospital, রাইজা ভবন, পুরাতন ডাকবাংলা (থানার পশ্চিম পার্শ্বে), অষ্টগ্রাম, Kishoreganj.

জনগনের আস্থা মেহরাব হেলথ্ কেয়ার।
যেকোনো চিকিৎসা তথ্য ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন রাইজা ভবন পুরাতন ডাকবাংলা থানার পশ্চিম পাশে অষ্টগ্রাম কিশোরগঞ্জ,মোবাইল:01715-125694

19/09/2025

💥 হাঁটুর ব্যথার জন্য যে কারনগুলো রয়েছে তার মধ্যে বয়স্ক রোগীদের হাঁটু ফুলে যাওয়া একটি কমন সমস্যা আমরা প্রায়সময়ই পাই।
👉 বয়সের সাথে সাথে হাঁটুর হাড় ক্ষয় হওয়া, মেনিস্কাস ইনজুরি, গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, বার্সাইটিস বা আঘাত জনিক কারনে হাঁটুর জয়েন্ট ফুলে যেতে পারে।
👉 X ray তে জয়েন্ট ফুলে গেলে খুব কম ক্ষেএেই তা বুজতে পারা যায়।
👉 Musculoskeletal USG এর মাধ্যমে খুবই কম খরচে এই ধরনের ফুলে যাবার কারন বের করা যায় এবং ডায়াগনসিস বেজড চিকিৎসা করা যায় খুব সহযেই।

💥 ব্যথার জন্য শুধু ব্যথার চিকিৎসা না করে ব্যথার কারনের চিকিৎসা করলে ব্যথার ভোগান্তি কমে আসে অল্প সময়ে।

Pain Medicine specialist
Dr.Nazmul Hasan Sohel
Consultant - 250 Bed general hospital, Kishorganj

📌PLID রোগের কারণ, লক্ষণ, কাদের হয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি!🧑‍⚕️ ব্যথা বিশেষজ্ঞডাঃ নাজমুল হাসান সোহেল এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য...
18/09/2025

📌PLID রোগের কারণ, লক্ষণ, কাদের হয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি!
🧑‍⚕️ ব্যথা বিশেষজ্ঞ
ডাঃ নাজমুল হাসান সোহেল
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএ (বিএমইউ)
এফআইপিএম
ফেলো- ঢাকা পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার
ফেলো- দরদিয়া পেইন ক্লিনিক, কলকাতা
কনসালট্যান্টঃ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল,কিশোরগঞ্জ
বিএমডিসি নংঃ এ ৪৯৬৫২

📲 সিরিয়াল পেতে: 01716030316
-
✅ যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়
🤕 কোমর ব্যথা
🦵 হাটু ব্যথা
🦵💧 হাটু ফোলা
🏃‍♂️ হাটুর লিগামেন্ট ইনজুরি
👣 পায়ের গোড়ালি ব্যথা
👣💧 পায়ের গোড়ালি ফোলা
⚡ পায়ে ঝিমঝিম বা অবশ হয়ে যাওয়া
🖐️ হাত বা পায়ের আংগুলের ব্যথা
🎯 পিঠে ব্যথা
🦴 ঘাড় ব্যথা
🤯 মাথা ব্যথা
💪 কনুই ব্যথা
✋ কব্জি ব্যথা
🔄 যে কোনো বাত ব্যথার চিকিৎসা
🚑 আঘাত জনিত ব্যথা
🧍‍♂️ মাংসপেশীর ব্যথা
🏋️‍♂️ খেলাধুলা জনিত ব্যথা

🐣ডিম খেলে কি হার্টের সমস্যা হয়? প্রেসার বাড়ে?……………………………………………………………….ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু এতে উচ্চমাত্রা ...
13/09/2025

🐣ডিম খেলে কি হার্টের সমস্যা হয়? প্রেসার বাড়ে?
……………………………………………………………….
ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু এতে উচ্চমাত্রা প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান আছে। তবে, অনেকেই মনে করেন, ডিম খাওয়া হার্টের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ এতে কোলেস্টেরল রয়েছে।

আসুন, বিজ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বুঝি।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক ড. রুডি স্যানচেজ বলেন, ‘দিনে একটি পুরো ডিম খাওয়া অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে যারা উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিমের পুষ্টিগুণ, যেমন প্রোটিন, ভিটামিন ডি, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তবে ডিমের পাশাপাশি অন্যান্য সুষম খাদ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।’
ডিমে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল থাকে, বিশেষ করে ডিমের কুসুমে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আগে এই ব্যাপারটাকে হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ডায়েটারি কোলেস্টেরল (যা আমরা খাবার থেকে গ্রহণ করি) রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলে না।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক ড. ফ্রাংক হু। তিনি পুষ্টি ও মহামারি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর মতে, ‘ডিম খেলে সরাসরি হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের প্রতিদিন একটির কিছুটাঝুঁকিপূর্ণ।তাই, পরিমিত ডিম খাওয়াই উত্তম।’
অন্যদিকে চিনের পিকিং ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষক ড. লি কুইং এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে এক বা দুইটি ডিম খান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। ডিমে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি হার্টের জন্য উপকারী। তবে অবশ্যই সেটাস্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হতে হবে।’

🐣কীভাবে নিরাপদে ডিম খাওয়া যায়?
……………………………………………
দিনে একটি ডিম খাওয়াই অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ। একাধিক ডিম না খাওয়াই ভালো। ডিমের পাশাপাশি শাকসবজি, ফলমূল, এবং শস্যজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষ ক্যারোলিন স্মিথ বলেন, ‘ডিম খাওয়া এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সুষম ডায়েটের অংশ হিসেবে ডিম খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডিমে থাকা লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন চোখ এবং মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী।’ডিম ভাজা না করে সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত তেল বা মাখন দিয়ে রান্না করলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সূত্র: অক্সফোর্ড হার্ট অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রোগ্রাম, যুক্তরাজ্য

 কেন আপনি আমাদের  চিকিৎসা ( পেইন ইন্টারভেনসন ) সেবা নিবেন ?         উওর-     দীঘদিন  ব্যাথার ঔষধ খেলে অনেক সমস্যা হতে  ...
12/09/2025

 কেন আপনি আমাদের চিকিৎসা ( পেইন ইন্টারভেনসন ) সেবা নিবেন ?
উওর- দীঘদিন ব্যাথার ঔষধ খেলে অনেক সমস্যা হতে পারে
• পেটে গ্যাসত্রিক সমস্যা, আলসার হতে পারে,
• কোষটকাঠিন্য হতে পারে
• কিডনির সমস্যা হতে পারে , এম্ন কি কিডনি বিকল হতে পারে।
• দীঘদিন ব্যাথা থাকলে মানসিক সমস্যার তৈরী হতে পারে,যার চিকিৎসা বড় জটিল।
কিন্তু আমরা চিকন সুইয়ের মাধ্যমে শুধু ব্যাধার জায়গায় ঔষধ দিয়ে থাকি।
তাতে তার পাসপ্রতিক্রিয়া হয় না ।
 অনেকে প্রশ্ন করেন,একবার ইঞ্জেকসন দিলে বার বার দিতে হয় ?
উওর- পুরোপুরি সঠিক নয়। কারন অনেক ব্যাথার কারন রয়েছে ,
• যেখানে পি আর পি, ওজন, স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করলে একে বারে ভাল হয়ে যায়,
• আবার যেখানে রোগের কারন দূ্র করা সম্ভব হয় না , সেখানে ১১/২ থেকে ২ বছর পর পর ইঞ্জেকসন দিতে হতে পারে। কিন্তু এই ১১/২ থেকে ২ বছর উনাকে ব্যাথার ঔষধ খেতে হয়না । ফলে রোগীর আথিক ক্ষতি হয়না ও শারীরিক সমস্যা হয়না ।
তাহলে কি দীঘদিন ব্যাথার ঔষধ খাওয়ার চেয়ে পেইন ইন্তারভেনসন প্রসিডিওর ভাল নয় ?
প্রশ্ন আপনার কাছে রইল।

Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Consultant
250 Bed general hospital, Kishorganj

Osteophytes & Calcium Supplement.Traditional Wrong Thinking.অস্টিওফাইটস (Osteophytes) কী ও কেন হয়?অস্টিওফাইটস অর্থ হলো “...
05/09/2025

Osteophytes & Calcium Supplement.
Traditional Wrong Thinking.

অস্টিওফাইটস (Osteophytes) কী ও কেন হয়?

অস্টিওফাইটস অর্থ হলো “বোন স্পার” – অর্থাৎ হাড়ের অতিরিক্ত গ্রোথ যা সাধারণত হাড় ও জয়েন্টের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠে। এটি মূলত দেহের একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া (Normal Physiology ) বিশেষ করে যখন জয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে Inflammation বা OA র মতো ডিজেনারেটিভ পরিবর্তন হয়।

অস্টিওফাইটস তৈরি হয় মূলত জয়েন্টের ক্ষয় রোধ করতে গিয়ে, কিন্তু তা অনেক সময় ব্যথা, চলাচলে অসুবিধা বা নার্ভে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

এটি কোনো "অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের জমাট" নয়, বরং বোন রিমডেলিংয়ে(Remodeling)র অংশ। সুতরাং,এটিকে শুধুমাত্র ‘ক্যালসিয়াম বেশি খাওয়ার ফল’ হিসেবে দেখা ভুল হবে.


একজন পেইন ফিজিশিয়ানের পরামর্শ-
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাবেন -কি খাবেন না?

অনেকেই মনে করেন অস্টিওফাইট থাকলে ক্যালসিয়াম খাওয়া একদম নিষিদ্ধ — যা পুরোপুরি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়।

ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে।

তবে যাদের অস্টিওফাইট আছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টের দরকার নির্ভর করে তাদের হাড়ের ঘনত্ব (Bone Mineral Density), রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা এবং কিডনি ফাংশনের ওপর।

অতএব, অস্টিওফাইট মানেই ক্যালসিয়াম খাওয়া যাবে না — এই ধারনা ভুল। বরং প্রয়োজন অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D গ্রহণ করলে উপকারই হয়, ক্ষতি নয়।

Pain medicine specialist
Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Consultant
250 Bed general Hospital Kishorganj

Causes and management of low back pain in Bangla.কোমরের ব্যথা বা 'লো ব্যাক পেইন' (Low Back Pain) একটি খুব সাধারণ সমস্যা,...
04/09/2025

Causes and management of low back pain in Bangla.
কোমরের ব্যথা বা 'লো ব্যাক পেইন' (Low Back Pain) একটি খুব সাধারণ সমস্যা, যা পৃথিবীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় অনুভব করে। সাধারণত ৯০% ক্ষেত্রে এই ব্যথা যান্ত্রিক কারণে হয় এবং সহজে নিরাময়যোগ্য।
​কারণসমূহ:
​কোমরের ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:
​পেশী এবং লিগামেন্টে আঘাত (Muscle and Ligament Strain): ভারী জিনিস তোলা বা ভুল ভঙ্গিতে কাজ করার কারণে পেশী ও লিগামেন্টে টান বা মোচড় লাগতে পারে, যা ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
​ভুল অঙ্গবিন্যাস (Poor Posture): দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিতে বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করা, ঝুঁকে বসা, বা ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানোর কারণে মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ব্যথা সৃষ্টি হয়।
​ডিস্কের সমস্যা (Disk Problems): মেরুদণ্ডের হাড়গুলোর মধ্যে নরম কুশন বা ডিস্ক থাকে, যা স্পাইনাল কর্ডকে রক্ষা করে। এই ডিস্কগুলো স্থানচ্যুত হতে পারে (Herniated disk), ফুলে যেতে পারে, বা বয়সের কারণে ক্ষয় হয়ে যেতে পারে, যা স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তীব্র ব্যথা ঘটায়।
​মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিকতা (Structural Issues): মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিক বক্রতা (Scoliosis), মেরুদণ্ডের নালিকা সরু হয়ে যাওয়া (Spinal Stenosis), বা হাড় সরে যাওয়া (Spondylolisthesis) ইত্যাদি কারণেও কোমর ব্যথা হতে পারে।
​ব্যায়ামের অভাব এবং স্থূলতা (Lack of Exercise and Obesity): দুর্বল পেশী, বিশেষ করে পিঠ ও পেটের পেশীর দুর্বলতা কোমরের ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
​অন্যান্য কারণ: কঙ্কালের অনিয়ম, সাইটিকা (Sciatica), আর্থ্রাইটিস (Arthritis), এবং কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও কোমর ব্যথা হতে পারে।
​ব্যবস্থাপনা ও প্রতিকার:
​কোমরের ব্যথা হলে শুরুতেই আতঙ্কিত না হয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক ব্যথার কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কিছু সহজ পদক্ষেপ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
​বিশ্রাম ও কার্যকলাপের পরিবর্তন: স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম সহায়ক হতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা ভালো, এতে পেশী দুর্বল হয় না।
​তাপ বা বরফ থেরাপি (Heat or Ice Therapy): আঘাতের পরপরই বরফ প্রয়োগ করলে প্রদাহ কমে এবং ব্যথা কমে যায়। তাপ প্রয়োগ করলে পেশী শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
​ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপি (Exercise and Physiotherapy): সঠিক ব্যায়াম, যেমন সাঁতার, হাঁটা, পাইলেটস বা যোগব্যায়াম, পিঠ ও পেটের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে কিছু নির্দিষ্ট থেরাপি ও ব্যায়াম ব্যথা কমাতে এবং মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়াতে খুব কার্যকর হতে পারে।
​সঠিক অঙ্গবিন্যাস (Good Posture): বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। ভারী জিনিস তোলার সময় ঝুঁকে না থেকে হাঁটু বাঁকিয়ে জিনিস তুলুন।
​ওষুধ (Medication): চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ বা মাসল রিল্যাক্সান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
​অন্যান্য চিকিৎসা: যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং উপরের পদ্ধতিগুলোতে কাজ না করে, তবে চিকিৎসক ইনজেকশন, আকুপাংচার বা অন্যান্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পরামর্শ দিতে পারেন। খুব গুরুতর ক্ষেত্রে সার্জারিরও প্রয়োজন হতে পারে।
​গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
​ব্যথা নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ। তাই ব্যথার কারণ জানা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা জরুরি।
​কোনো প্রকার ব্যায়াম বা চিকিৎসার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
​যদি ব্যথার সাথে জ্বর, দুর্বলতা বা মূত্রত্যাগের সমস্যা দেখা দেয়, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Pain medicine specialist
Consultant
250 Bed general Hospital, Kishorganj

প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস (Plantar Fasciitis) একটি সাধারণ এবং বেদনাদায়ক অবস্থা যা পায়ের গোড়ালির নিচের অংশে তীব্র ব্যথা সৃষ...
04/09/2025

প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস (Plantar Fasciitis) একটি সাধারণ এবং বেদনাদায়ক অবস্থা যা পায়ের গোড়ালির নিচের অংশে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। বাংলায় এটিকে "প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস" বা "পায়ের গোড়ালির ব্যথা" বলা হয়।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস কী?
​আমাদের পায়ের গোড়ালির হাড় থেকে আঙুলের গোড়া পর্যন্ত বিস্তৃত একটি মোটা ব্যান্ড বা ঝিল্লি রয়েছে, যা 'প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া' নামে পরিচিত। এই টিস্যুটি পায়ের খিলানকে (arch) সমর্থন করে এবং হাঁটা ও দৌড়ানোর সময় শক অ্যাবসরবার (ঝাঁকুনি প্রতিরোধক) হিসেবে কাজ করে। যখন এই প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া টিস্যুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে বা আঘাত লাগে, তখন এতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যার ফলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এই অবস্থাকেই প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস বলা হয়।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের কারণ
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ নেই, তবে কিছু বিষয় এই অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়:
​অতিরিক্ত ওজন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন পায়ের উপর, বিশেষ করে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়াতে, অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
​অত্যধিক হাঁটা বা দাঁড়ানো: যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন বা বেশি হাঁটাচলা করেন (যেমন শিক্ষক, শ্রমিক), তাদের প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়াতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
​ব্যায়াম: দৌড়ানো, লাফানো বা অন্যান্য উচ্চ-প্রভাবের ব্যায়ামের কারণে প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়াতে আঘাত লাগতে পারে।
​বয়স: সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
​পায়ের গঠনগত সমস্যা: যাদের পায়ের পাতা খুব বেশি ফ্ল্যাট (সমতল) বা খুব উঁচু খিলানযুক্ত, তাদের প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়াতে বেশি টান পড়তে পারে।
​অপ্রতুল জুতা: যে জুতাগুলো পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেয় না, পুরনো বা জীর্ণ হয়ে গেছে, কিংবা উঁচু হিলের জুতা, সেগুলো এই সমস্যার কারণ হতে পারে।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের লক্ষণ
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত:
​সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কয়েক কদম হাঁটার সময় তীব্র হয়।
​দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ানোর সময় ব্যথা বেড়ে যায়।
​হাঁটাচলা, দৌড়ানো বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় ব্যথা বাড়তে পারে।
​ব্যথার সাথে পায়ের নিচে জ্বালাপোড়া বা ঝিনঝিন অনুভূতি হতে পারে।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করা সম্ভব। নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো ব্যথা কমাতে এবং সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে:
​১. বিশ্রাম ও জীবনধারার পরিবর্তন:
​ব্যথা বাড়ায় এমন কার্যকলাপ (যেমন দৌড়ানো) এড়িয়ে চলুন।
​পায়ের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
​শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
​২. ঘরোয়া প্রতিকার:
​আইস প্যাক থেরাপি: আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার ১৫-২০ মিনিটের জন্য বরফের প্যাক লাগালে প্রদাহ এবং ব্যথা কমবে। একটি তোয়ালেতে বরফ মুড়িয়ে ব্যবহার করুন।
​ম্যাসাজ: একটি টেনিস বল বা ঠান্ডা জলের বোতল পায়ের নিচে রেখে হালকা চাপ দিয়ে সামনে-পিছনে ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়।
​ইপসম লবণ: হালকা গরম পানিতে ইপসম লবণ মিশিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখলে পেশী শিথিল হয় এবং ব্যথা কমে।
​হলুদের পেস্ট: হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জল বা মধুর সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
​৩. সঠিক জুতা ও সাপোর্ট:
​যথাযথ কুশন ও আর্চ সাপোর্টযুক্ত আরামদায়ক জুতা পরিধান করুন।
​উঁচু হিলের জুতা এবং সমতল জুতা (যেমন স্যান্ডেল) এড়িয়ে চলুন।
​জুতার ভেতর বিশেষ ইনসোল (orthotic) ব্যবহার করতে পারেন, যা পায়ের খিলানকে সঠিক সমর্থন দেবে।
​৪. ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং:
​কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া এবং পায়ের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
​কাফ স্ট্রেচিং: দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়ান। এক পা সামনে এবং অন্য পা পেছনে রাখুন। পেছনের পা হাঁটু সোজা রেখে গোড়ালি মেঝেতে রেখে সামনে ঝুঁকে পড়ুন। ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া স্ট্রেচিং: মেঝেতে বসে তোয়ালে দিয়ে পায়ের সামনের অংশ জড়িয়ে ধরুন এবং আস্তে আস্তে নিজের দিকে টানুন।
​৫. ফিজিওথেরাপি:
​একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে সঠিক ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করলে ব্যথা দ্রুত কমে আসে। ফিজিওথেরাপিস্ট ইলেকট্রোথেরাপি বা অন্যান্য থেরাপিও ব্যবহার করতে পারেন।
​৬. ওষুধ:
​চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) যেমন ibuprofen বা naproxen গ্রহণ করা যেতে পারে।
​৭. অন্যান্য চিকিৎসা:
​উপরের পদ্ধতিগুলোতে কাজ না হলে চিকিৎসক নাইট স্প্লিন্ট, কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন বা বিরল ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারেন।
​প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তাই সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। যদি ব্যথা গুরুতর হয় বা উপরের ঘরোয়া প্রতিকারগুলো কাজ না করে, তবে অবশ্যই একজন পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রয়োজনে
01716030316
Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Pain medicine specialist
Consultant
250 Bed general Hospital Kishorganj.

যেকোন অপারেশনের পূর্বে যে বিষয়গুলো মনে রাখা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ :আপনার কিংবা আপনার পরিবারের যেকোনো মানুষের অপারেশনের ...
01/09/2025

যেকোন অপারেশনের পূর্বে যে বিষয়গুলো মনে রাখা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ :
আপনার কিংবা আপনার পরিবারের যেকোনো মানুষের অপারেশনের জন্য যে কোন হাসপাতালকে বেছে নিবেন না। সাধারণত বড় হাসপাতাল কিংবা ভালো কোন হাসপাতালগুলো তাদের অজ্ঞানের মেশিনপত্র আধুনিকীকরণ করা সম্পর্কে বদ্ধপরিকর থাকে।

একটা অপারেশনে একজন সার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আমি মনে করি তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অজ্ঞানের ডাক্তার বা anesthesiologist. এছাড়াও অজ্ঞানের মেশিনপত্রও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন অজ্ঞানের ডাক্তারের কাজ হচ্ছে রোগীকে অজ্ঞান করা এবং অজ্ঞান অবস্থায় রুগীর শ্বাস প্রশ্বাস নিশ্চিত করা। সার্জনের কাজ হচ্ছে অপারেশন নিশ্চিত করা ও সম্ভাব্য জটিলতা পরিহার করার চেষ্টা করা।

ছোট ছোট হাসপাতালগুলো কম দামি যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে অভ্যস্ত থাকে। কারণ তাদের সেখানে অল্প টাকায় অপারেশন করাতে হয়, কিংবা হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের খরচপত্র যথেষ্ট কমিয়ে রাখতে হয়।

এ সকল কারণে ছোট হাসপাতালে অপারেশনে খরচ কম হয় এটা সত্যি, কিন্তু জীবনের ঝুঁকি কিংবা ইনফেকশনের ঝুঁকি বড় হাসপাতালগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি থাকে।

যাদের আর্থিক সমস্যা আছে তারা চাইলে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোতে অপারেশন করাতে পারেন। সেখানে বড় বড় অপারেশনগুলো সাধারণত সিনিয়র কেউ করে থাকেন, ছোট অপারেশনগুলো যদি জুনিয়র কেউ করেও থাকেন সেটা সিনিয়র কারো তত্ত্বাবধানেই হয়ে থাকে। অজ্ঞানের ডাক্তার কোনো কারণে যদি জুনিয়র কেউ অজ্ঞান করেও তাও সেটা সিনিয়র কারো তত্ত্বাবধানেই হয়ে থাকে।

অপারেশন জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেটার পরে একটা রোগী যেমন ভালো হতে পারে তেমনি একটা রোগী খারাপও হয়ে যেতে পারে। যেকোন অপারেশনেই ইনফেকশন হবার ঝুঁকি থাকে, কিছু কিছু অপারেশনে জীবনেরও ঝুঁকি থাকে।

যে কোন অপারেশনে যাবার আগে আপনার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো হয়েছে কিনা কিংবা সেটাতে কোন অপ্রাসঙ্গিক কিংবা অসঙ্গতিপূর্ণ বা অস্বাভাবিক রিপোর্ট আছে কিনা সেটা ডাক্তারকে দেখিয়ে অবশ্যই আগে কনফার্ম হয়ে নেবেন। সম্ভব হলে যে অজ্ঞানের ডাক্তার অজ্ঞান করবেন প্রয়োজনীয় রিপোর্টগুলো তাঁকে একবার দেখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই বিষয়টা অবশ্য আপনার সার্জনকে বললে উনিই ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।

অপারেশনে কি ধরনের সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকতে পারে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগেই জেনে নেবেন। অপারেশন কতটা প্রয়োজনীয় বা অপারেশনে আপনি কি কি উপকার পেতে পারেন বা অপারেশন না করলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেটা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা রাখবেন।

এ সম্পর্কে আপনি আপনার সার্জনের সাথে কথা বলে নিতে পারেন। যে সার্জন কথা বলবে না সে সার্জনকে দিয়ে অপারেশন করাবেন না প্রয়োজন অন্য কারো পরামর্শ নিবেন।

দিন শেষে এটা সত্যি যে আমরা চাইলেও কাউকে বাঁচাতে পারবোনা কিন্তু নিজেদের চেষ্টার ত্রুটির কারণে যদি কেউ মারা যায় তাহলে নিজেকে কখনো ক্ষমা করাও সম্ভব না। আমাদের প্রত্যেকেরই পরিবার আছে। প্রত্যেকের কাছেই তার পরিবারের প্রতিটা মানুষ অনেক বেশি দামী এবং গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি আরেকটু যত্নবান হই।

সচেতনায় =
ডাঃনাজমুল হাসান সোহেল
কনসালটেন্ট
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল,কিশোর গঞ্জ

PRP প্রস্তুত হওয়ার পর কখন দিতে হবে?   PRP (Platelet-Rich Plasma) হলো পেশেন্টের নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট-সমৃদ্ধ অংশ আলাদ...
01/09/2025

PRP প্রস্তুত হওয়ার পর কখন দিতে হবে?

PRP (Platelet-Rich Plasma) হলো পেশেন্টের নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট-সমৃদ্ধ অংশ আলাদা করে নেওয়া এক ধরনের থেরাপি যেটা Sports Injury, OA Knee & Shoulder Joints & Others Conditions ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

প্রথমে রক্ত নেওয়া হয়, তারপর সেটা PRP কিটে রেখে সেন্ট্রিফিউজ মেশিনে নির্দিষ্ট গতি ও সময় ধরে ঘোরানো হয়। এতে রক্তের বিভিন্ন অংশ আলাদা হয়ে যায় এবং আমরা উপরের স্তর থেকে PRP সংগ্রহ করি।

এই PRP যখন সিরিঞ্জে তোলা হয়, তখন এটি খুব দ্রুত — সাধারণত ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রয়োগ করে দেওয়া উচিত। কারণ, রক্ত থেকে আলাদা হওয়ার পর প্লেটলেটগুলো ধীরে ধীরে অ্যাকটিভ হতে শুরু করে। বেশি দেরি করলে এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা কার্যকারিতা কমে যায়।

বেশি দেরি করলে কী সমস্যা হয়?

PRP-এর মধ্যে থাকা প্লেটলেটগুলো সময়ের সাথে সাথে নিজে থেকেই "activate" হয়ে যায় — অর্থাৎ তারা তাদের growth factor ছাড়তে শুরু করে। যদি সিরিঞ্জে তুলে রেখে বেশি সময় (৩০ মিনিট বা তার বেশি) বসে থাকেন, তাহলে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো শরীরের ভেতরে ঢোকার আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর ফলে PRP ইনজেকশন দিলে পেশেন্ট সেই পরিমাণ উপকার পাবে না, যতটা পাওয়ার কথা ছিল।

My Advice

PRP তৈরি হওয়ার ১০–২০ মিনিটের মধ্যে ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। ৩০ মিনিটের বেশি দেরি করা উচিত নয়। চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, কিন্তু গুছিয়ে এবং পরিষ্কারভাবে ইনজেকশন দিয়ে ফেলতে। এতে ফলাফল অনেক ভালো হয়।

Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Pain medicine specialist
Consultant :250 Bed general Hospital, Kishorganj

Osteoarthritis Knee-এ PRP: এটি কি আদৌ কার্যকর? একজন ব্যথা চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গি-PRP (Platelet-Rich Plasma) আসলে কী?     ...
27/08/2025

Osteoarthritis Knee-এ PRP: এটি কি আদৌ কার্যকর? একজন ব্যথা চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গি-

PRP (Platelet-Rich Plasma) আসলে কী?
PRP থেরাপি হল রোগীর নিজের রক্ত থেকে প্রস্তুতকৃত একটি বিশেষ ইনজেকশন, যেখানে প্লেটলেটের(Platelets)ঘনত্ব বেশি থাকে। এতে থাকা গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলো জয়েন্টের ক্ষতিগ্রস্ত কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনে রিপেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করে।
Knee Osteoarthritis-এ, বিশেষ করে মাইল্ড থেকে মডারেট পর্যায়ে (Grade I – III), PRP অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথা কমানো ও হাঁটার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
এটি কোনো ম্যাজিক নয়, তবে সঠিক রোগী নির্বাচনে এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক গবেষণায়।

PRP দেওয়ার আগে কি কার্টিলেজের thickness দেখে নেওয়া দরকার?
অবশ্যই। PRP দেওয়ার আগে শুধুমাত্র X-ray দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল। X-ray শুধু জয়েন্ট স্পেস narrowing দেখায়, কিন্তু কার্টিলেজের প্রকৃত thickness বা কোয়ালিটি বলে না।
তাই USG বা MRI এর মাধ্যমে কার্টিলেজের thickness ও ইনফ্লেমেশন আছে কিনা তা যাচাই করা জরুরি। সাধারণত অন্তত 2mm বা তার বেশি কার্টিলেজ থাকলে PRP এর ভালো রেসপন্স পাওয়া যায়। পুরোপুরি bone-on-bone অবস্থায় PRP তেমন কার্যকর হয় না।

PRP কতোবার দিতে হয়? কতদিন পরপর দিতে হয়?
সাধারণত ১ থেকে ৩টি PRP সেশন দেওয়া হয়, যা রোগীর অবস্থা ও প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। প্রতি ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর একবার করে দেওয়া হয়।
অনেক সময় ৬ মাস বা ১ বছর পর booster dose প্রয়োজন হতে পারে। তবে কেবল ইনজেকশনেই থেমে থাকলে চলবে না – সঙ্গে চাই লাইফস্টাইল মডিফিকেশন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, উপযুক্ত ব্যায়াম ও শারীরিক থেরাপি।

My Advice:
PRP ইনজেকশন একটি সাইন্স-বেইজড চিকিৎসা, তবে এটি সবার জন্য নয়। যেকোনো থেরাপির আগে রোগীর অবস্থা যাচাই করা জরুরি।
X-ray এর উপর নির্ভর না করে USG/MRI করে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করুন। কার্টিলেজ একেবারে শেষ হয়ে গেলে বা হাড়ে হাড় ঘষা খাচ্ছে এমন ক্ষেত্রে PRP এর পরিবর্তে অন্য বিকল্প ভাবা উচিত।

মনে রাখুন: সঠিক রোগী নির্বাচনে PRP অনেক ভালো কাজ করে, আর ভুল রোগীর ক্ষেত্রে এটি সময় ও টাকার অপচয় হতে পারে।

Dr.Nazmul Hasan Bhuiyan
Pain medicine specialist
Consultant ঃ250 Bed general hospital, Kishorganj

নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা অনেক সময়ই অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দেয়।🔹 নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা একটি স্ব...
27/08/2025

নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা অনেক সময়ই অভিভাবকদের চিন্তায় ফেলে দেয়।

🔹 নবজাতকের বারবার দুধ তোলা বা বমি করা একটি স্বাভাবিক অবস্থা, যা চিন্তার নয়। কেন হয়?

👉 নবজাতকের পাকস্থলী খুব ছোট এবং ফিডিং টিউব (esophagus) পুরোপুরি মজবুত নয়।
👉 তাই দুধ খাওয়ানোর পর হালকা চাপ পড়লে (কাঁদলে, কাশি দিলে, ডায়াপার পরিবর্তন বা শোয়ানোর ভঙ্গিতে) দুধ উঠে আসতে পারে।
👉 এটাকে বলে “Posseting” বা “Spitting up” – যা সাধারণত স্বাভাবিক।

📌 বৈশিষ্ট্য:

• বমিতে অল্প পরিমাণ দুধ উঠে আসে (ঝর্ণার মতো তীব্র গতিতে বমি হয় না)
• বাচ্চা খাওয়ার পর স্বাভাবিক থাকে, কাঁদে না তাছাড়া শিশুর ওজনও বাড়ছে
• দুধ তোলার সময় নবজাতকের কষ্ট হয় না

এগুলো চিন্তার কিছু নয়।

🔴 কখন চিন্তার বিষয়?

যদি নিচের লক্ষণগুলো থাকে তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:

১. বমি জোরে ঝর্ণার মতো তীব্র বেগে বের হয় (Projectile vomiting)
২. সব খাবারই বের হয়ে যায় বা খুব বেশি বের হয়ে যায়
৩. বমিতে সবুজ/হলুদ রঙ, রক্ত বা কফ মেশানো থাকে
৪. খাওয়ার পরপরই অতিরিক্ত কান্না, অস্বস্তি বা শ্বাসকষ্ট হয়
৫. বাচ্চার ওজন বাড়ছে না বা কমে যাচ্ছে
৬. বাচ্চা খেতে চাইছে না বা খুব দুর্বল দেখাচ্ছে

👉 এগুলো হলে পাইলোরিক স্টেনোসিস, গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), সংক্রমণ বা অন্য কোনো জন্মগত সমস্যা হতে পারে।

✅ অভিভাবকদের করণীয় (স্বাভাবিক দুধ তোলা কমাতে)

• প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পর ১০–১৫ মিনিট কাঁধে তুলে ডেকানো (burping) করতে হবে
• খাওয়ানোর সময় ও পরে বাচ্চাকে হালকা সোজা ভঙ্গিতে (৩০° কোণে) রাখতে হবে
• খাওয়ানোর সময় খুব দ্রুত বা অতিরিক্ত খেতে না দেওয়া
• শোয়ানোর সময় মাথা সামান্য উঁচু করে দেওয়া যেতে পারে
• আঁটসাঁট জামা না পরানো।

📌 মনে রাখবেন:
👉 নবজাতকের হালকা দুধ তোলা বা বমি করা সাধারণত স্বাভাবিক বিষয় এবং ভয় পাওয়ার বিষয় নয়। তবে উপরে উল্লেখিত অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিন্তার লক্ষণগুলো দেখা দিলে বা থাকলে শিশুকে অবশ্যই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী।

ধন্যবাদ

Address

রাইজা ভবন, পুরাতন ডাকবাংলা (থানার পশ্চিম পার্শ্বে), অষ্টগ্রাম
Kishoreganj
2380

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মেহরাব হেলথ কেয়ার,অষ্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category