কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj

কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj "নরমালে প্রসব করুন,
নরমাল ডেলিভারি মায়েদের অধিকার "
(2)

🦟 ডেঙ্গু জ্বরে সাবধানতা ও বিস্তারিত তথ্যডেঙ্গু কী:ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যা এডিস (Aedes) নামক মশার কামড়ে ছড়ায়। ...
01/11/2025

🦟 ডেঙ্গু জ্বরে সাবধানতা ও বিস্তারিত তথ্য

ডেঙ্গু কী:
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যা এডিস (Aedes) নামক মশার কামড়ে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় এবং পরিষ্কার স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে। ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ৪-৭ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ দেখা দেয়।

---

🩺 ডেঙ্গু হওয়ার কারণ:

1. এডিস মশার কামড়ে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে।

2. পরিষ্কার পানিতে মশার লার্ভা জন্মালে যেমন— ফুলের টব, পানির ট্যাংক, পুরনো টায়ার, বোতল বা খোলা পাত্রে জমে থাকা পানিতে মশা জন্মায়।

3. বৃষ্টির পরে স্থির পানি জমে থাকলে সেখানে ডেঙ্গু মশা দ্রুত বংশবিস্তার করে।

---

⚠️ ডেঙ্গুর লক্ষণসমূহ:

1. হঠাৎ করে উচ্চ জ্বর (১০৪°F পর্যন্ত)

2. মাথা, চোখ ও পেশিতে তীব্র ব্যথা

3. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

4. ত্বকে লালচে দাগ বা র‍্যাশ

5. শরীর দুর্বল হয়ে পড়া ও ক্ষুধামান্দ্য

6. গুরুতর ক্ষেত্রে নাক, মাড়ি বা শরীরের ভেতরে রক্তপাত হতে পারে (এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার)।

---

🛡️ ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়:

1. ✅ মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করুন:

ফুলের টব, পানির ট্যাংক, পুরনো টায়ার, ভাঙা বোতল বা ড্রামে পানি জমতে দেবেন না।

2. ✅ প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে মশা নিধন স্প্রে করুন।

3. ✅ ঘরের জানালা ও দরজায় মশারি বা জাল ব্যবহার করুন।

4. ✅ ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন।

5. ✅ হালকা রঙের ও পূর্ণ হাতা জামা পরুন।

6. ✅ বৃষ্টির পরে জমে থাকা পানি সাথে সাথে ফেলে দিন।

7. ✅ ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে নিজে ওষুধ না খেয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

---

💉 চিকিৎসা:

ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
তবে—

পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

বিশ্রাম নিতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়া যায়, কিন্তু অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন খাওয়া বিপজ্জনক।

---

🌿 সারাংশে:

ডেঙ্গু একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সতর্কতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, এবং মশা দমনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District

মানুষ কেন সহজে রাগ করে?রাগের সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে এবং তা নিয়ন্ত্রণের উপায়রাগ এটি আমাদের মনের এক স্বাভাবিক কিন্তু তীব্র আ...
18/10/2025

মানুষ কেন সহজে রাগ করে?
রাগের সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে এবং তা নিয়ন্ত্রণের উপায়

রাগ এটি আমাদের মনের এক স্বাভাবিক কিন্তু তীব্র আবেগ।
যখন কেউ আমাদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে কিছু করে, অথবা আমরা কোনো অবিচার, ব্যথা বা হতাশার সম্মুখীন হই,
ঠিক তখনই মস্তিষ্কে এমন কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে যা আমাদের শান্ত মনকে মুহূর্তেই অগ্নিমূর্তি বানিয়ে ফেলে।

রাগের সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে?
রাগ মূলত শুরু হয় মস্তিষ্কের একটি অংশ থেকে, যার নাম Amygdala।
এটি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং “বিপদ” বা “হুমকি” সনাক্ত করে।
যখন আমরা রাগ অনুভব করি, Amygdala দ্রুত কাজ শুরু করে।
তখন শরীরে Adrenaline ও Cortisol নামের হরমোন নিঃসৃত হয়।
এই হরমোন আমাদের হৃদস্পন্দন বাড়ায়, পেশি শক্ত করে এবং “লড়াই বা পালানোর” (fight or flight) প্রস্তুতি নেয়।
অর্থাৎ, রাগের মুহূর্তে আমাদের শরীর আসলে যুদ্ধের মতো অবস্থায় চলে যায়!

কেন আমরা সহজেই রেগে যাই?
১️ ঘুমের অভাব বা মানসিক ক্লান্তি
২️ অতিরিক্ত স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা
৩️ আত্মনিয়ন্ত্রণের ঘাটতি
৪️ অবচেতন ভয় বা হীনমন্যতা
৫️ পরিবেশ বা আশপাশের চাপ
এই সব কিছু মিলে রাগের ট্রিগার তৈরি করে।

রাগ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায়:
১️ গভীরভাবে শ্বাস নিন: রাগ উঠলে প্রথমে ৫ বার গভীর শ্বাস নিন, এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন বাড়ে এবং Amygdala শান্ত হয়।
২️ চিন্তা থামিয়ে ভাবুন: “আমি এখন যা বলতে যাচ্ছি, তা কি পরিস্থিতি ভালো করবে?” — একবার ভাবুন।
৩️ রাগের জায়গা থেকে সরে যান: কয়েক মিনিটের বিরতি মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করে।
৪️ নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শারীরিক কার্যকলাপ রাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৫️ কথা বলুন, চেঁচাবেন না: নিজের কষ্ট প্রকাশ করুন, কিন্তু আক্রমণাত্মকভাবে নয়।

মনোবিজ্ঞানের মতে:
রাগ দমন করা নয়, বরং রাগকে বোঝা ও নিয়ন্ত্রণ করা-ই আসল পরিপক্কতা।
কারণ রাগ আমাদের স্বাভাবিক আবেগ, কিন্তু এটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হলে তা ধ্বংস ডেকে আনে।

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District

#কিশোরগঞ্জ




গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক চিকিৎসক ডাঃ নুসরাত জাহান পর্ণা এম.বি.বি.এস (ঢাকা) পি.জি.টিশহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডি...
01/10/2025

গাইনি, প্রসূতি ও
বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক চিকিৎসক

ডাঃ নুসরাত জাহান পর্ণা

এম.বি.বি.এস (ঢাকা) পি.জি.টি
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ । মেডিকেল অফিসার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়।

রোগী দেখার সময়:
প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।

কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল
১২৬৮-খরমপট্টি, কিশোরগঞ্জ।

সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুনঃ
01715-758 669
01611-123 789

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District

#কিশোরগঞ্জ

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয় 🔹 জ্বর বা ইনফেক...
22/08/2025

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়

🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:
✅ CBC (Complete Blood Count)
✅ ESR
✅ Dengue, Malaria বা Typhoid Test (উপসর্গ অনুযায়ী)

🔹 ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে:
✅ Fasting Blood Sugar (খালি পেটে)
✅ 2 Hours After Breakfast (2HABF)
✅ HbA1c (গত ৩ মাসের গ্লুকোজের গড়)

🔹 থাইরয়েড সমস্যা হলে:
✅ TSH
✅ T3, T4

🔹 লিভারের সমস্যা বা হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে:
✅ LFT (Liver Function Test)
✅ HBsAg
✅ Anti-HCV

🔹 কিডনির সমস্যা হলে:
✅ Creatinine
✅ Urea
✅ Urine R/E (Urine Routine and Microscopy)

🔹 হার্টের সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করলে:
✅ ECG
✅ Troponin I
✅ Lipid Profile
✅ Echocardiogram (ডাক্তারের পরামর্শে)

🔹 পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা হলে:
✅ USG Whole Abdomen
✅ Endoscopy (প্রয়োজনে)
✅ H. Pylori Test

🔹 মেয়েদের PCOS বা অনিয়মিত পিরিয়ড হলে:
✅ USG Lower Abdomen
✅ LH, FSH
✅ Prolactin
✅ TSH
✅ AMH (বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে)।

🔹 প্রেগন্যান্সি টেস্ট:
✅ Urine β-hCG
✅ USG Pregnancy Profile

🔹 আর্থ্রাইটিস বা হাড়ের ব্যথা হলে:
✅ RA Factor
✅ CRP
✅ Uric Acid
✅ X-ray (প্রয়োজনে)।

🔹 রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) সন্দেহে:
✅ CBC
✅ Serum Iron
✅ Ferritin
✅ Vitamin B12

💡 মনে রাখবেন:
বিনা কারণে টেস্ট করানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি দেরি করাও বিপজ্জনক। আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না। ভালো চিকিৎসার শুরু হয় সঠিক টেস্টের মাধ্যমে। তাই উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট করান।

🩺 সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!..

🥰❤️🥰

কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District



শাসন নাকি আদর?নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনে...
08/08/2025

শাসন নাকি আদর?

নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, শিশুদের ব্রেইন চিৎকার (নেগেটিভ স্টিমুলাস) এবং আদর (পজিটিভ স্টিমুলাস) — এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে রেসপন্স করে।

যখন শিশুকে চিৎকার করা হয় বা ভয় দেখানো হয়, তখন তার ব্রেইনে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি শিশুর অ্যামিগডালা (ভয়ের প্রসেসিং এরিয়া) কে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। ফলে শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়, নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে এবং বারবার এমন অভিজ্ঞতা হলে ব্রেইনের এই অংশটি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিশুর মধ্যে উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসহীনতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া, ক্রমাগত নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিউরনগুলোর সংযোগ (synapse) গঠনে বিঘ্ন ঘটায়, যার ফলে শেখার সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

অন্যদিকে, যখন শিশুকে ভালোবাসা, আদর বা সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করা হয়, তখন ব্রেইনে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নামক “feel-good” হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি ব্রেইনের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (যেটি চিন্তা, বিচার, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিচালনা করে) কে সক্রিয় করে।

এতে শিশুর মধ্যে নিরাপত্তা, আত্মবিশ্বাস, শেখার আগ্রহ এবং ইতিবাচক সামাজিক আচরণ তৈরি হয়। এমন ভালোবাসাময় পরিবেশে নিউরনের মাঝে বেশি বেশি সংযোগ তৈরি হয়, যেটা ব্রেইনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিৎকার শিশুর ব্রেইনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা গেঁথে দেয়, আর আদর তাকে শেখে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা— যার ভিত্তি তৈরি হয় আজীবন মানসিক বিকাশের জন্য। এজন্য সচেতন, স্নেহভরা এবং সহানুভূতিশীল আচরণই শিশুর ব্রেইনের স্বাস্থ্যকর বিকাশের মূল চাবিকাঠি।

আমারা অনেকেই ওদের অনেক আচরনে খুব বিরক্ত হই, চিৎকার করে ফেলি যা ঠিকনা, এখন থেকে সচেতন হবেন, ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।

কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj
❤️❤️❤️



আপনি কি জানেন, আপনার শরীরে একটি দ্বিতীয় হৃদয় আছে?এটি আপনার পায়ের পেছনের পিণ্ডলিতে (ক্যালফে) অবস্থান করে।এই হৃদয়কে সক...
05/08/2025

আপনি কি জানেন, আপনার শরীরে একটি দ্বিতীয় হৃদয় আছে?
এটি আপনার পায়ের পেছনের পিণ্ডলিতে (ক্যালফে) অবস্থান করে।
এই হৃদয়কে সক্রিয় রাখা ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে এটি করবেন, চলুন জেনে নিই।
আপনার শরীরে একটি লুকানো সহায়ক রয়েছে, যা রক্ত চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—এবং এটি কেবলমাত্র তখনই কাজ করে যখন আপনি নড়াচড়া করেন।
এটি পরিচিত সোলিয়াস (soleus) নামে—একটি ক্যালফ মাংসপেশি, যা রক্তকে নিচ থেকে বুকের দিকে ফেরত পাঠায়, যাতে আপনার আসল হৃদয় মাধ্যাকর্ষণের টানকে অতিক্রম করে রক্ত পরিবহনে সাহায্য পায়।
এই পেশিচালিত পাম্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রক্ত পায়ে জমে যাওয়া রোধ করে—যা ফুলে যাওয়া, ভ্যারিকোস ভেইন, এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা (blood clot) ঘটাতে পারে।
কিন্তু একটা বিষয় আছে: এই ক্যালফ পাম্প কেবল তখনই কাজ করে যখন আপনি চলাফেরা করেন।
অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকা বা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকাও এই কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে শিরা-সংক্রান্ত সমস্যার কারণ হতে পারে—এই বিষয়ে Cleveland Clinic এবং Mayo Clinic‑এর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
এই দ্বিতীয় হৃদয়কে সক্রিয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় কী?
নিয়মিত হাঁটুন—প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একবার বা দুইবার।
আপনি যদি ডেস্কে বসে থাকেন বা দীর্ঘ ফ্লাইটে থাকেন, তাহলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে উঠানামা (toe raises) করলে ক্যালফ পাম্প সক্রিয় থাকে।
যাদের পায়ে প্রায়ই ফোলা থাকে, তারা পা হৃদয়ের চেয়ে উঁচু করে রাখতে পারেন বা কমপ্রেশন সক্স ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, আসল চাবিকাঠি হচ্ছে নড়াচড়া।
তা সেটা হোক জোরে হাঁটা বা অফিসে কয়েক পা চলাফেরা—আপনার পা নড়াচড়া করলেই আপনার দ্বিতীয় হৃদয় সচল থাকে, আর আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
সোর্সঃ Cleveland Clinic



একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক শুধু ক্লান্তই হয় না, বরং নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে।ইঁদুর নিয়ে করা গবেষণায় ...
25/07/2025

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক শুধু ক্লান্তই হয় না, বরং নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে।

ইঁদুর নিয়ে করা গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের গ্লিয়াল কোষগুলোকে অত্যন্ত সক্রিয় করে তোলে। এই গ্লিয়াল কোষগুলো সাধারণত মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার কাজ করে—পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সরিয়ে দেয়।

কিন্তু ঘুমের ঘাটতি হলে অ্যাস্ট্রোসাইট (astrocyte) নামক এক ধরনের গ্লিয়াল কোষ অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন তারা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নয়, সুস্থ ও প্রয়োজনীয় নিউরন সংযোগ (synapses)-ও কেটে ফেলতে শুরু করে।

গভীর ঘুম-অভাবগ্রস্ত ইঁদুরদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ১৩% পর্যন্ত সেল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে—একটি ভয়াবহ আত্ম-ধ্বংস প্রক্রিয়া।

এই তথাকথিত "জোম্বি-মস্তিষ্ক" অবস্থা নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, যেমন আলঝেইমার, বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়। কারণ এই ধরনের রোগে ঘুমের সমস্যা ও নিউরনের ক্ষতি একসাথে দেখা যায়।

গবেষকেরা মনে করছেন, এই অতিসক্রিয় পরিচ্ছন্নতা প্রক্রিয়া ঘুমের অভাবে স্মৃতিভ্রংশ ও মানসিক দুর্বলতার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে একটি বিষয় একেবারে স্পষ্ট—
👉 গভীর ও নিয়মিত ঘুম বিলাসিতা নয়, মস্তিষ্ক রক্ষার অপরিহার্য অংশ।



মেন্টালি সাপোর্ট পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা। অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্...
18/07/2025

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা। অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্তান কে অপরাধী বানায়। বাবা মায়ের বয়স হয়েছে মানে উনারা যেটা বলবেন বা করবেন সেটাই ১০০% সত্য। তারাও ভুল করেন বা করতে পারেন এটা মানতে চাইনা। সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট, ভার্বাল এ‍্যাবইউজমেন্ট বাজে ব‍্যবহার, ইমোশনালি হ‍্যারেজ হচ্ছেন, মাইন্ড গেইম এসব কিছুর মধ‍্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই আপনি খারাপ।
বাবা মা খুব ভাল করে জানেন কোন সন্তানের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায় আর কাকে তোষামোদ করে চলতে হয়। মানুষ ৬০ বছর বয়সে বুঝতে পারে জীবনে সত্যিকারে সম্পর্ক কোনটা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে অনেকেই যৌবন পেরুতেই সেই সম্পর্ক বুঝতে পারে। হাজারো সন্তান জীবনের সবটুকু সঞ্চয় বাবা মায়ের হাতে দিয়ে সার্টিফিকেট পায় কিছুই করোনা আবার অনেক সন্তান কিছু না করেও সেরা সন্তানের সার্টিফিকেট অর্জন করে। অনেক সময় এক সন্তান কে সামনে রেখে মানুষের কাছে গল্প বলবে আমার অমোক সন্তান এটা করে ওটা করে। এই সেই বহু সুনাম। আর যে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে তাকেও একটু ছোট করতে দ্বিধা করেনা। কিন্তু সেই মানুষটাই একটা সময় বট গাছের মতো সবাইকে আগলে রেখেছে। মানে তাকে অন্যের থেকে একটু হলেও ছোট করে রাখতে হবে।কেননা এখন তো সবাই উড়তে শিখে যায়। এখন আর অতীত মনে রাখে না। দেখা যায় সে মানুষটা নিরবে এগুলো সয্য করতে করতে একদিন দূরত্বের সীমান্ত পেরুতে থাকে।
যাদের সাথে এইগুলো হয় শুধু তারাই এটার ভুক্তভোগী।প্রতিবাদ করলেই তুমি খারাপ।তুমি কিছুই করো না। সবাই মিলে অতীতের উপকার হিসেবে তেড়ে মারতে আসে, সাথে তো অপমান ফ্রী।

আল্লাহাতালার পরেই পৃথিবীতে মা বাবার সার্পোট নিয়ে সন্তান পথচলে। বাবা মা যখন শত্রু হয় তখন পথচলা সহজ হলেও হৃদয় টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়ে পুরোপুরি শ্রদ্ধা আসেনা। দুনিয়ার সবার কাছে নির্বিশেষে যে ভালো সে পজেটিভ পারসন নয় , সে হিপোক্রেট।
আমার জীবন থেকে শিখেছি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী। বাকি সব মিথ্যা। যে একজন সঠিক মানুষ পাইনা তার কপাল পোড়া। যে সঠিক জীবন সঙ্গী পেয়েছে তার বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে আর কারোর প্রোয়জন হয়না🥰

✍️ মওদুদা জিন্নাত নিতু
কালেক্টড।

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি...
12/07/2025

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?

ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি বানিয়ে ফেলা, একটা ‘নকল মানুষ’ তৈরি করে ফেলা। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেই এতটা সহজ বা অলৌকিক কিছু না। এটা আসলে বিজ্ঞানের একটা জটিল আর গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে প্রাণী বা কোষের জেনেটিক কপি তৈরি করা হয়।
সবচেয়ে সহজভাবে বললে, ক্লোনিং মানে হচ্ছে কোনো প্রাণীর জেনেটিক তথ্য অবিকল রেখে আরেকটা নতুন কপি তৈরি করা। এই ‘নকল’ বললে আসলে ভুল হবে, কারণ ক্লোন জীবটা পুরোপুরি জীবন্ত, আর তারও নিজস্ব অস্তিত্ব থাকে।

ক্লোনিং কত রকম?
বিজ্ঞানীরা ক্লোনিংকে সাধারণভাবে তিন ভাগে ভাগ করে থাকেন:

১. জিন ক্লোনিং (Gene cloning) – এখানে শুধু কোনো নির্দিষ্ট জিন বা DNA অংশ কপি করা হয়। যেমন কোনো একটা ওষুধ তৈরি করতে হলে কোনো জীবাণুর জিন কপি করে কাজটা করা হয়।

২. প্রজনন ক্লোনিং (Reproductive cloning) – এতে গোটা একটা জীব তৈরি হয়। এটার সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে ভেড়া ‘ডলি’।

৩. থেরাপিউটিক ক্লোনিং (Therapeutic cloning) – এটা মূলত চিকিৎসার জন্য করা হয়। যেমন, স্টেম সেল বানিয়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা।

ডলি: ইতিহাসের প্রথম ক্লোনড স্তন্যপায়ী

১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয় ডলি নামে একটা ভেড়া। এটা ছিল বিজ্ঞানের এক বড় সাফল্য। ডলিকে বানাতে বিজ্ঞানীরা একটা প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার শরীরের কোষ থেকে নিউক্লিয়াস বের করে নিয়ে সেটা আরেকটা ডিম্বাণুতে ঢুকিয়ে দেন, যার নিজের নিউক্লিয়াস আগে থেকেই ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেটা মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করে জন্ম দেওয়া হয় ডলির।
তবে এটা করতে গিয়ে প্রায় ২৭৭ বার ব্যর্থতা আসে! এটা থেকেই বোঝা যায়, ক্লোনিং শুধু থিওরিতে নয়, বাস্তবেও অনেক কঠিন আর ঝুঁকিপূর্ণ।

মানুষ ক্লোন করা যাবে?

এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। টেকনিক্যালি, অর্থাৎ বিজ্ঞানগতভাবে এটা একেবারে অসম্ভব না। কিন্তু আসল সমস্যাটা হচ্ছে নৈতিকতা আর ঝুঁকি। এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণী ক্লোন করা হয়েছে, তাদের অনেকেই অল্প বয়সেই মারা গেছে, কারও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা ছিল, কারও আবার বার্ধক্যজনিত লক্ষণ দেখা দিয়েছে খুব অল্প বয়সেই।
ধরা যাক কোনোদিন মানুষ ক্লোন করা সম্ভব হলোও—তবুও কি সেই মানুষটা হুবহু মূল মানুষের মতো হবে? আসলে না। কারণ মানুষ গড়ে ওঠে তার স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, পরিবেশ আর বেড়ে ওঠার মাধ্যমে। জিন এক হলেও মনটা, চিন্তাভাবনা বা আচরণ কখনোই হুবহু কপি হয় না। ঠিক যেমন যমজ ভাইয়েরা দেখতে এক হলেও তারা আলাদা মানুষ।

ক্লোনিংয়ের ভালো দিকগুলো

সব দিকেই শুধু সমস্যা আছে, এমন না। ক্লোনিং প্রযুক্তি অনেক ভালো কাজেও ব্যবহার হতে পারে। যেমন—
কোনো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজের কোষ থেকে যদি অঙ্গ তৈরি করা যায়, তাহলে প্রতিস্থাপনে ঝুঁকি কমে যাবে।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। যেমন, ডাইনোসর নয়, কিন্তু ‘উলি ম্যামথ’ নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্টেম সেল ক্লোন করে হয়তো ভবিষ্যতে ক্যানসার, পারকিনসনসের মতো রোগের চিকিৎসা আরও উন্নত করা যাবে।

তাহলে নকল মানুষ?

না, ক্লোনিং মানেই নকল মানুষ নয়। মানুষ এমন একটা জটিল প্রাণী যার মধ্যে শুধু DNA না, মন-মানসিকতা, মূল্যবোধ, অনুভূতি—সবকিছু থাকে। এগুলো কোনো ল্যাবে বানানো যায় না। কেউ যদি কোনোদিন ক্লোনড হয়েও যায়, সে তার নিজের মতোই ভাববে, হাসবে-কাঁদবে।
অতএব, ক্লোনিং মানে রোবট বানানো না। এটা জীববিজ্ঞানের একটা চমৎকার অংশ, যেটা নিয়ে এখনো অনেক গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও বড় হবে, কিন্তু "নকল মানুষ" তৈরি করে দুনিয়া বদলে যাবে—এই চিন্তাটা এখনো কল্পবিজ্ঞানেই ভালো মানায়।

ক্লোনিং একটা মজার কিন্তু গভীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়। এটা যেমন আশার আলো হতে পারে, তেমনি ভুলভাবে ব্যবহার হলে হতে পারে ভয়ংকরও। আমরা যদি এটাকে শুধু “নকল মানুষ বানানো” বলে ফেলি, তাহলে আসল বিজ্ঞানটাই আমরা মিস করবো। বরং, বোঝা দরকার—এই প্রযুক্তি মানুষ বা জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত, যাতে ভবিষ্যত পৃথিবী হয় আরও ভালো, আরও মানবিক।




Address

Kharampatty
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to কিশোরগঞ্জের ডাক্তার - Doctors in Kishoreganj:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category