ডা.আশিক আহমেদ সিদ্দিকী

ডা.আশিক আহমেদ সিদ্দিকী একজন গর্বিত চিকিৎসক, গণমানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করি, আর্ত-মানবতার সেবায় মানুষের পাশে থাকতে চাই।

আধুনিকতার প্রতীক  #মেট্রোরেলের একটি ভারী বিয়ারিং প‍্যাড মাথায় পড়ে যে মানুষটি মা*রা গেলেন, তিনি কি সামান্যতম আভাসও পেয়েছ...
26/10/2025

আধুনিকতার প্রতীক #মেট্রোরেলের একটি ভারী বিয়ারিং প‍্যাড মাথায় পড়ে যে মানুষটি মা*রা গেলেন, তিনি কি সামান্যতম আভাসও পেয়েছিলেন যে তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তটি এভাবেই আসবে? তিনি তো রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন, আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতো। তাঁর ব্যক্তিগত কোনো ভুল ছিল না, কারও প্রতি বিদ্বেষ ছিল না। তাঁর একমাত্র অপরাধ, তিনি এমন একটি রাষ্ট্রে জন্মেছিলেন, যেখানে নাগরিকের জীবনের চেয়ে উন্নয়নের কাঠামো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তিনি জানলেনই না, কী ভুলের মাশুল তাঁকে দিতে হলো! একটি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের নির্মাণ ত্রুটি, সামান্য রক্ষণাবেক্ষণের অভাব অথবা ডিজাইনের দুর্বলতা ; এসবের সম্মিলিত ফল কেন একজন নিরপরাধ পথচারীর মৃত্যু হবে? আজ সে চলে গেল, কাল হয়তো আমি বা আপনি!

​এই মৃত্যু নিছক একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি রাষ্ট্রের চরম উদাসীনতা ও দায়হীনতার এক জ্বলন্ত প্রমাণ। যেখানে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হয়, সেখানে একজন সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছিটকে পড়া একটি ধাতব টুকরোকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকে না। এই ট্র্যাজেডি দেখিয়ে দিল, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর।

​কখনো রাষ্ট্রের বিরাট ভুলের বলি হতে হয়, আবার কখনো অন্যের সামান্য অবহেলার শিকার হতে হয় দেশের নাগরিকদের। আমরা কেবল শুনি - 'তদন্ত কমিটি হবে', 'দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে', কিন্তু ততদিনে একটি পরিবার তাদের প্রিয়জন হারায়, একটি জীবন নিভে যায়। যে ক্ষণস্থায়ী ভুলে মানুষটি মা*রা গেল, তার কাছে এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?

​আফসোস হয়, এই দেশে পশুপাখিরও যেন সামান্য নিরাপত্তা নেই, সেখানে মানুষের জীবন অরক্ষিত। এই মাটিতে জন্ম নেওয়াটা যেন সত্যিই এক 'আজন্ম পাপ'। কারণ এখানে আপনার জীবনের মালিক আপনি নন, আপনার জীবনের ভাগ্য নির্ভর করে রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত নিরাপত্তার ওপর, যা চরমভাবে ব্যর্থ।

​দায়িত্বশীলরা কি এই মৃত্যুর জবাবদিহি করবেন? নাকি আরও কিছু মানুষের জীবন ঝরে গেলে তবেই টনক নড়বে? যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন নাগরিকের পথ চলার স্বাধীনতা, নিরাপদে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র দিতে পারছে, ততক্ষণ এই প্রশ্ন বারবার উঠবে ; আমরা কি সত্যিই নিরাপদ?

12/10/2025

৯৯ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক ঘটে মাত্র ৪ কারণে!

একটি বৃহৎ গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, প্রায় ৯৯ শতাংশ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট ফেইলারের ক্ষেত্রে চারটি মূল ঝুঁকি যুক্ত থাকে। খুব সম্প্রতি এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা।

#চারটি_ঝুঁকি

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথমবারের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলারের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কিত চারটি ঝুঁকি হলো—

উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ কোলেস্টেরল
রক্তের শর্করার (গ্লুকোজ) উচ্চমাত্রা
এবং ধূমপান

গবেষকরা স্পষ্ট করেছেন, এই চারটি ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য, অর্থাৎ জীবনধারার পরিবর্তন ও চিকিৎসার মাধ্যমে কমানো সম্ভব।
আসুন আমরা সবাই সচেতন হয়।

07/10/2025
04/10/2025

আম ও খেজুর খেলে শিশুর ওজন দ্রুত বাড়ে।
আনারস ও কমলা খেলে শিশুর মুখে রুচি বাড়ে।
আপেল ও পেপেঁ খেলে শিশুর শরীরের শক্তি বাড়ে।

09/09/2025

'নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব' -
'আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী। '

🤲 ২২🥇০৪ 💐 ১৪

05/09/2025

ফরহাদরা অসুস্থ হলে মেঘমল্লাররা জীবনেও দেখতে যেত না। বামদের মধ্যে সুশীলতা প্রদর্শনের মাত্রা খুবই কম। তারা শত্রুকে শত্রুর মতোই ট্রিট করে এবং এটাই হওয়া উচিত।

04/09/2025

নারীবাদীদের অদ্ভুত সমস্যা হল,,, তারা হিজাবধারী পর্দানশীন মা-বোনদের নারীই মনে করেনা৷ কোনোদিনও করতনা। না হাসিনার আমলে, না মুজিবের আমলে, না জিয়ার আমলে।

31/08/2025
গতকালকে দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ইউটার্ণ নেওয়ার সময় অপজিট...
23/08/2025

গতকালকে দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ইউটার্ণ নেওয়ার সময় অপজিট থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান উপরে আঁচড়ে পড়লে একই পরিবারের ৪ জন মারা যায়।

খবরটি শোনার পর ধারণা করছিলাম সম্ভবত কাভার্ড ভ্যান চালক গতি নিয়ন্ত্রণ না-করতে পেরে চাপা দেয় কারটিকে।

সব মিডিয়াতেও দেখলাম এরকম ধারণা দিয়ে নিউজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে দূর্ঘটনাটির কয়েক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় বুঝলাম এই দূর্ঘটনায় মূল দায়টা রং সাইড দিয়ে আসা একটা হানিফ বাসের। অথচ বাসটির কথা সারাদিনে নিউজে আলোচনার বাইরে ছিল।

কারটি খুব দ্রুতগতিতে ইউটার্ণ নিচ্ছিলো চট্টগ্রামমুখী রাস্তা থেকে ঢাকামুখী রাস্তায়, ঠিক একই সময়ে মুহূর্তের মধ্যেই রং সাইড দিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস হাজির হয়ে যায়। কাভার্ড ভ্যান তখনো অনেক দূরে ছিল, কারটি পার হয়ে যেতে পারতো। বাট হানিফের সঙ্গে দূর্ঘটনা এড়াতে কারটি ইউটার্ণ নিতে গিয়ে ব্রেক করে ফেলে, একইসময়ে দ্রুতগতিতে চট্টগ্রাম দিক থেকে ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানটি সংঘর্ষ এড়াতে ব্রেক কষে সাইড কেটে যেতে যাইতে চাইলে প্রথমে কারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে, বাট গতি বেশি প্লাস ব্রেক চেপে অল্প জায়গায় ঘুরতে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি উল্টে পড়ে যায় কারের উপর। কার চালকের এত দ্রুত ইউটার্ণ নেওয়া ঠিক ছিল না বাট কাভার্ড ভ্যান আসতে আসতে হয়ত পার হয়ে যেত। রং সাইডে হানিফ বাসটি চলে আসায় ব্রেক করে থেমে যাওয়ার ফলে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।

ভেতর থাকা যাত্রীরা কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে পিষ্ট হয়ে যায়। আশেপাশে কারো পক্ষে সম্ভবও ছিল না কাভার্ড ভ্যানটিকে সরিয়ে কারের ভেতরে থাকা মানুষগুলোকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা। কাভার্ড ভ্যানটি পুরো লোড ছিল।

যখনি কাভার্ড ভ্যান উপরে গিয়ে পড়ে কারের, তখন সাইড কেটে দ্রুত চলে যায় হানিফ বাসটি।

এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা হয়ত ঘটতো না, যদি না হানিফ বাসটি রং সাইড দিয়ে যাত্রা করতো।

এদেশে যত দূর্ঘটনা ঘটে তার যতখানি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে, তারচেয়ে বেশি ঘটে আমাদের খামখেয়ালির কারণে।

অনুমোদন নিবে ৫ তলার বিল্ডিংয়ের, করবে ৮ তলা; ড্রয়িং করাবে অফিস স্পেসের কথা বলে, ভাড়া দেবে রেস্টুরেন্টে; তারপর আগুন লেগে মানুষের মৃত্যু ঘটলে আলোচনা হবে অনুমোদন ছিল এত তলার, করছে এত তলা। কথা ছিল অফিস স্পেস করার, ভাড়া দিয়েছে রেস্টুরেন্ট হিসেবে!

আগে যাওয়ার জন্য ট্রাফিক সিগনাল মানবে না, রাস্তার নিয়মকানুন অনুসরণ করে গাড়ি চালাবে না, তারপর দূর্ঘটনা ঘটলে হায় হায় করতে হবে।

গতকালকের ঘটনাটি স্রেফ হত্যাকাণ্ড। কার চালক দ্রতগতিতে ইউটার্ণ নেওয়াটা ঠিক ছিল না, একইসঙ্গে রং সাইড দিয়ে চালিয়ে যাওয়া হানিফ বাসের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর দায়ভার হানিফ পরিবহনকে নিতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই হানিফ বাসের চালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেন।

একটি পরিবারের ৪ জন মানুষের জীবন চলে গেল, আরও ৩ জন মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে,
কাঁদার জন্যও লোক নাই পরিবারে -- এমন বেদনার মৃত্যুর কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায়???

ধরা যাক মৃত্যু একটা ট্রেন। আমরা তো জানি এই ট্রেনে আমাদের সবাইকে অবশ্যই চড়তে হবে। সেই ট্রেনে উঠার আগে সকলে নানান ধরণের সদ...
15/08/2025

ধরা যাক মৃত্যু একটা ট্রেন। আমরা তো জানি এই ট্রেনে আমাদের সবাইকে অবশ্যই চড়তে হবে। সেই ট্রেনে উঠার আগে সকলে নানান ধরণের সদাইপাতি গুছিয়ে নিচ্ছে। কারো ঝুলিতে ভরপুর ঈমান আর তাওয়াক্কুল পরিবেষ্টিত আমল। কারো ঝুলিতে আমলের পরিমাণ কম হলেও তা একেবারে খাঁটি। আর কারো কারো ঝুলি একেবারে খালি—তাতে না আমল আছে আর না আছে ঈমান।
সত্যি করে বলুন তো—উপরের তিন দলের মাঝে কোন দলে আপনি নিজেকে দেখতে চান?

আমরা সকলে অবশ্যই প্রথম দলটাতে থাকতে চাইবো যারা দুনিয়া থেকে বোঝাই করে আমল নিয়ে ফিরবে। মৃত্যুর সেই ট্রেনে যদি আমরা প্রথমদলের যাত্রী হতে চাই, আমাদেরকে ভীষণভাবে কাজে লাগাতে হবে হায়াতের সময়গুলোকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দ্বীনকে জানতে হবে এবং সে মোতাবেক গুছিয়ে নিতে হবে নিজেদের জীবন।

‘বয়স বাড়লে আমল-ইবাদাত শুরু করবো’—এমন একটা প্রবণতা দেখা যায় মানুষের মাঝে। এটা শয়তানের ধূর্তামি বৈ কিছু নয়। ভবিষ্যতের যে সময়ে আমল ইবাদাত করার কথা আপনি চিন্তা করছেন, সেই সময়টার দেখা যে আপনি পাবেন তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কতো সুন্দর বলেছেন হাসান আল বসরী রাহিমাহুল্লাহ:

‘আদম সন্তান! তুমি তো কতিপয় দিনের সমষ্টি কেবল। যখন একটা দিন পার হয়, আদতে তোমার একটা অংশও সাথে সাথে হারিয়ে যায়’।

~ আরিফ আজাদ

Address

Maheshpur
6000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডা.আশিক আহমেদ সিদ্দিকী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডা.আশিক আহমেদ সিদ্দিকী:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram