20/07/2020
শিরোনামে লাজফার্মা।
সম্প্রতি লাজফার্মার কাকরাইল ফ্রান্সাইজি শাখা থেকে একযোগে টিভিতে সম্প্রচারিত সরাসরি ও পরে খবরে দেখা গেছে মেয়াদউত্তীর্ণ, অননুমোদিত, নকল-ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করছে যথাযথ উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ।খবর দেখে বহু মানুষ আমার কাছে বিষয়টা বিস্তারিত জানতে ফোন করেন।
বিষয়টা হচ্ছে-ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশমতো মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ ‘বিক্রয়ের জন্য নহে’ লিখে কার্টনজাত করে রাখার কথা। সেটাই করা ছিল! দর্শকরাও সম্প্রচারে তাইই দেখেছেন- কার্টনগুলো খোলা হচ্ছে আর বলা হচ্ছে এগুলো সব মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ।
কোথাও ভুল নেই। ভুলটা হচ্ছে- কেউ কেউ বিষয়টাকে পুঁজি করে প্রচার করছে লাজফার্মা মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় করে।
অন্যদিকে এরও দিন তিনেক আগে উত্তরার ঘটনা।গত পাঁচ দশকে যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই,ঔষধের নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে নিরন্তর যার যুদ্ধ, সেই প্রতিষ্ঠানকে খবরে এনে মূলত: এস বি কর্পোরেশন নামের নকল কারখানার ছবি প্রদর্শন বড়ই দু:খজনক।
অননুমোদিত বিদেশী ঔষধ।যা নকল ঔষধ নয়।অনুমোদন নেই এমন ওষুধ দেশের ডাক্তাররা লেখেন।আবার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসা রোগীরা ঔষধ ফুরিয়ে গেলে দ্বারস্থ হন লাজফার্মার।মানবতার সেবায় রোগাক্রান্ত মানুষকে উপকার করতে এইসব ঔষধ জোগাড়ে রাখার কারণ।আর সেজন্যই এতবড় অর্থদন্ড? আপনাদের আস্থাও প্রশ্নবিদ্ধ।আস্থা ফেরাতে বলবো-
অতীতে যে বিশ্বাস ও আস্থা লাজফার্মা অর্জন করেছে, সেই সুবাদেই তো লাজফার্মা দেশের প্রথম মডেল ফার্মেসির গৌরব অর্জন করেছে।ঔষধ বিপণন ব্যবস্থায় বর্তমান সরকারের নেয়া যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ‘মডেল ফার্মেসি’ বিনির্মাণে লাজফার্মা তার সততা,মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে মূলত: সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে ‘মডেল ফার্মেসি’ কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে ফ্রান্সাইজি ব্যবস্থার মাধ্যমে সৎ,শিক্ষিত,সাদামনের মানুষ খুঁজে দেশব্যাপী শাখা স্থাপন করে চলেছে।এই মুহূর্তে এমন সংবাদ প্রচারে আমরা মর্মাহত।আপনাদের মনে লাজের আস্থার জায়গাটা সমুন্নত রাখতে আমরা সদা সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ।