18/11/2025
ঠোট আমাদের মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান অংশ। কিন্তু আমরা অনেকেই ঠোট ফাটা সমস্যায় ভুগে থাকি। যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রত পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেক কে।
ঠোট ড্রাই হয়ে যাওয়া বা ফাটার পেছনে আমাদের খাদ্যতালিকা বা লাইফস্টাইল এবং ভিটামিনের ঘাটতি অনেকটাই জড়িত।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের ঘাটতি ঠোট ফাটা বা ড্রাই লিপসের জন্য দায়ী-
✨ ভিটামিন এ,ভিটামিন B2 & B12 , B9(ফোলেট), ভিটামিন E, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ,ভিটামিন সি, জিংক এবং আয়রন এর অভাব,পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস না থাকা ,অতিরিক্ত ক্যাফেইন ইন্টেক ঠোট শুকানো বা ফাটা র জন্য দায়ী। ফ্যামিলিগত বা কোন রোগের কারণেও এমন হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী মেডিসিন সেবনেও ইম্পেক্ট পড়তে পারে।
✨সমাধান,
-ভিটামিন এ রিচ খাবার গাজর,মিষ্টি কুমড়া,কলিজা ,ডিম খাদ্যতালিকায় রাখবেন।
- ডিম,দুধ,মাছ,বাদাম,মাংস,সবুজ শাক সবজি এগুলো ভিটামিন B12 ,B2 সমৃদ্ধ।
- কাঠবাদাম,সূর্যমূখী বীজ, অ্যাভোকেডো ,অলিভ অয়েলে থাকে ভিটামিন এ। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ১-২ দিন এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার খাদ্যাতালিকায় রাখুন -সামুদ্রিক মাছ,স্যালমন টুনা,আইড় মাছ,চিয়া সীড,ফ্ল্যাক্স সীড,ডিমের কুসুম ,বিভিন্ন বিচী জাতীয় খাবারে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার- লেবু,কমলা,মাল্টা,আমলকি,স্ট্রবেরী,ক্যাপসিকাম,স্ট্রবেরি।
- জিংক ও আয়রন: লাল মাংস,সামুদ্রিক মাছ,ডাল,পালং শাক ,কিশমিশ।
- পর্যাপ্ত পানি পান বাধ্যতামূলক।। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। শীতকালে পানি পিপাসা কম পেলেও ৮-১০ + গ্লাস পানি পান করতে হবে। এছাড়া ফল-মূল খাবারে রাখতে হবে ,প্রতিদিন পানিজাতীয় ফল ,টক ফল,সিজনাল ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি এটি আমাদের ঠোটকে ফাটা বা ভিটামিনের অভাবে কোন রোগ হলে তা থেকে রক্ষা করবে।
-এছাড়া ঠোটের সঠিক যত্ন নিতে হবে,
- ঠোট ভিজ দিয়ে ভেজানোর অভ্যাস পরিহার করুন।
- ভালো ব্র্যান্ডের লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
- সম্ভব হলে SPF যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করবেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে ঠোটে নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল /ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন।
- এক্সোলিয়েট করার জন্য সপ্তাহে ১-২ দিন চিনি ও মধু দিয়ে ঠোটের চামড়া ক্লিন করে নিতে পারেন।
ঠোটের কোনায় ঘা,ভিটামিনের অভাব পূরণে পুষ্টিকর খাবার,লিপস কেয়ারের পাশাপাশি ডক্টর পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ভিটামিনের ঘাটতি,খাদ্যাভ্যাস ,পানি পানের অভ্যাস,স্মোকিং এগুলোর কারণে বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ঠোট হারাতে পারে সৌন্দর্য ,কোমলতা। কাজেই সচেতন হোন, পুষ্টিবিদের পরামর্শে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন । প্রয়োজনে ডক্টর পরামর্শ নিন।
Nutritionist Sadiya Smreety