রোমান ভাই

রোমান ভাই পেইজ লাইক করুন,
আপনার সমস্যা কথা বলুন,
?
(1)

30/08/2025

রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প/র/কীয়া করতে এসে ধ'রা খেলো এক যুবক
#পরকীয়া

30/08/2025

ভাইয়া গুলা আপু দেখে দূর থেকে মজা নিতাছে। 😁

৪৮টি শূক*রের র*ক্ত দিয়ে যে কা*লোজাদু সম্পূর্ণ হয়, তার ৪৮ দিন পরেই সপরিবারের মৃ*ত্যু ঘটে। কিন্তু কেন?একদিন ভোরে, শহরের এক...
30/08/2025

৪৮টি শূক*রের র*ক্ত দিয়ে যে কা*লোজাদু সম্পূর্ণ হয়, তার ৪৮ দিন পরেই সপরিবারের মৃ*ত্যু ঘটে। কিন্তু কেন?

একদিন ভোরে, শহরের এক ফ্ল্যাটের নিচে র*ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল এক তরুণী মেয়ের মৃ*তদেহ। তার দৃশ্য এতটাই ভয়ংকর ছিল যে, লোকজন একবার দেখে আর চোখ ফেরাতে পারছিল না।

মেয়েটির বুক দু’ভাগ করে চামড়ার সাথে সমান করে সেলাই করা। পেট ক'রাত দিয়ে টেনে টেনে চি'রে ফেলা হয়েছে। ভেতরের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এসেছে। উরুতে অসংখ্য ছু/রির আঘাত। আর ভয়*ঙ্করতম দৃশ্য— তার শরীরের ভেতর অর্ধেকের বেশি ঢুকানো আছে দুই ফিট লম্বা কাঠের লাঠি। দেখে মনে হচ্ছিল, মেয়েটিকে শেষ করার আগে অকথ্য যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ এসে লা*শ নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। ডোম লা*শ কা'টতে বসে— নেশায় গলা ভিজে আছে তার। হঠাৎ ছু/রির ব্লে*ড আটকে যায়। সে খেয়াল করে, মেয়েটির গলার ভেতরে একটা ঝকঝকে ডায়মন্ড আটকে আছে।

ডোম সেটি হাতে নিয়েই খুশিতে আ*ত্মহারা হয়ে যায়। এত দামী জিনিস সে বহুদিন ধরে দেখেনি। কিন্তু খেয়াল করেনি সেই ডায়মন্ডই তার জীবনে নামাবে অন্ধকার।

ডায়মন্ড হাতে নিয়েই হঠাৎ কানে ভেসে আসে চিকচিক এক নারীকণ্ঠ— “যেখান থেকে নিলে… সেখানে রেখে দাও…যেখান থেকে নিলে…সেখানে রেখে দাও…”

প্রথমে সে ভাবে নে*শার ঘোরে হ্যা*লুসিনেশন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পাশের ঘর থেকে ভেসে আসে মায়াবী কান্নার আওয়াজ। সেই কান্নায় যেন বুক হিম হয়ে যায়।

পোস্টমর্টেম শেষে ডাক্তার নির্দেশ দেয় লা*শ গ্রামে পাঠাতে। কিন্তু কেউ রাজি হয় না। কারণ, প্রথমত— লা*শের ভয়*ঙ্কর চেহারা। দ্বিতীয়ত— ডোমের অদ্ভুত অভি*শপ্ত বয়ান। তৃতীয়ত— গ্রাম শহর থেকে অনেক দূরে।

অবশেষে একজন ভ্যানগাড়ি চালক রাজি হয়। সঙ্গে যায় এক ওয়ার্ডবয়। রাত গভীর হয়, এম্বুলেন্স গ্রামের পথে চলতে থাকে। হঠাৎই ভেতর থেকে শোনা যায় মেয়েটির অশ্রুসিক্ত কণ্ঠ— “যে যাই বলুক, গাড়ি থামিও না… যে যাই বলুক, গাড়ি থামিও না…”

প্রথমে ড্রাইভার শোনে, পরে ওয়ার্ডবয়ও স্পষ্ট শুনতে পায়। দু’জনেই স্তম্ভিত। মৃ*ত লা*শের কন্ঠস্বর মনে হয়!

হঠাৎই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন ভদ্রলোক হাত তুলে গাড়ি থামায়। তাদের একজন এগিয়ে এসে অনুনয় ভরা কণ্ঠে বলে—

“ভাই, আমার শাশুড়ি মা*রা গেছেন। খুব জরুরি ভিত্তিতে স্ত্রীকে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছিনা। প্লিজ, যদি আমার স্ত্রীকে সামনে একটু এগিয়ে দেন, তাহলে খুবই উপকৃত হবো।”

ড্রাইভার কিছুটা দ্বিধায় পড়লেও শেষে সম্মতি দেয়— পেছনে বসুন। তবে জায়গা নেই, লা*শের সাথেই বসতে হবে।

ভদ্রলোক মাথা নেড়ে সায় দেয়। তার স্ত্রী উঠে বসে লা*শের পাশে।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো— ওই মহিলার সাজগোজ। নীল শাড়ি, কানে দুল, ঠোঁটে মুচকি হাসি। এমন কারো মাকে হারানো মানুষ কি এভাবে সাজতে পারে? ড্রাইভারের মনে সন্দেহ হয়। ঠিক তখনই আবার লা*শের কান্না শোনা যায়— তোমাদের না বলেছিলাম, গাড়ি না থামাতে…কেন থামালে?

কিছুক্ষণ পর এম্বুলেন্সের ভেতর ধুপধাপ শব্দ হয়। যেন ভেতরে কেউ মারামারি করছে। ড্রাইভার আঁতকে ওঠে। হঠাৎ নীল শাড়ি পড়া মহিলার চোখ লাল হয়ে যায়। রাগান্বিত স্বরে বলে— “গাড়ি থামাও!”

এরপর নেমে ধানক্ষেতের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যায়।

অবশেষে তারা গ্রামে পৌঁছে। লা*শ নামাতে গিয়ে সবাই অবাক হয়ে যায়, লা*শের শরীর থেকে তখনও রক্ত গড়িয়ে মাটিতে পড়ছে। সাদা কাপড়ের ভেতর থেকে মাঝখানের একটি আঙুল কে যেন কে/টে নিয়ে গেছে!

ড্রাইভার কেঁপে ওঠে। বুঝতে দেরি হয় না— এই কাজ সেই নীল শাড়ি পড়া মহিলারই।

লা*শ দা*ফন শেষে সবাই যখন ফিরে আসে, তাদের চোখে ভেসে ওঠে মেয়েটির প্রতিচ্ছবি। মনে হয় সে কাঁদছে, কিছু বলতে চাইছে— কিন্তু কেউ সেই ভাষা বুঝতে পারে না।

মেয়েটির নাম ছিল সুমাইয়া। কলেজ পড়ুয়া, সুন্দরী আর মেধাবী। হঠাৎ একদিন এক অচেনা বড়ভাই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে সুমাইয়া ছেলেটির এসব আচরণ ইগনোর করার চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল, হয়তো সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টা জটিল হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনই নতুন করে ভয় আর হুমকিতে ঘিরে ধরে তাকে। লজ্জায়, অপমানে কারো কাছে কিছুই বলতে পারেনি সুমাইয়া। মনে মনে নিজেকে সান্ত্বনা দিত— আমি তো গ্রাম থেকে শহরে এসেছি স্বপ্ন নিয়ে, বড় কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো কি কেবল স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে?

বাস্তবায়নের পথ যেন বন্ধ হয়ে গেল তার সামনে। এমন সময় ছেলেটি কুটিল হাসি দিয়ে বলে উঠল— “আমি চাইলে তোমার জীবন ন*ষ্ট করে দিতে পারি। তবে একটা শর্ত মানলে তোমাকে ছেড়ে দেব।”

সুমাইয়া ভ্রূ কুঁচকে বলে— “বলুন, কি শর্ত?”

ছেলেটি ঠোঁটে শয়*তানি হাসি মেখে বলে—
আমার সাথে এক রাত থাকতে হবে। বিনিময়ে টাকা পাবে।

কথাটা শুনেই সুমাইয়া ফুঁসে ওঠে—
কখনোই সম্ভব নয়! দরকার হলে আমি আত্মহত্যা করব, কিন্তু এ রকম নোংরা কাজ আমাকে দিয়ে হবে না।

ছেলেটির চোখ লা*ল হয়ে ওঠে। গর্জে বলে— তুমি চাইলে বা না চাইলে, এটা ঘটবেই। তুমি জানো না আমি কে, আর আমি চাইলে কি করতে পারি।

পরবর্তীতে ছেলেটি সুমাইয়ার বান্ধবীর কাছ থেকে নাম্বার জোগাড় করে নেয়। এরপর শুরু হয় বাজে বাজে মেসেজ আর হুমকি। বিরক্ত হয়ে সুমাইয়া রাগান্বিত কণ্ঠে সরাসরি অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়। কিন্তু অধ্যক্ষ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিলেন না।

তবে ব্যাপারটা এখানেই থেমে থাকেনি। অবশেষে বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছায়। তদন্তে দেখা যায়, ছেলেটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং সমস্ত প্রমাণ মিলিয়ে তাকে সাত মাসের কা*রাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায় শুনে সুমাইয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মনে হলো, অবশেষে মুক্তি পেলো সে। কিন্তু সুমাইয়া বুঝতেই পারেনি, এরপর আরও অন্ধকারময় অধ্যায় তার জীবনে অপেক্ষা করছে…।

প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার পর সুমাইয়া কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। আসার পর থেকেই সে লক্ষ্য করে, শরীরটা যেন ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

প্রথমে হালকা ব্যথা, তারপর ধীরে ধীরে পিঠের বেশিরভাগ জায়গায় অসহ্য যন্ত্রণা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চমকে ওঠে সে— গলার পিছনে লালচে দাগ, যেন খামচি বা কামড়ের মতো স্পষ্ট চিহ্ন!

তার ভেতরে ভেতরে এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম নেয়। মনে হতে থাকে, আশেপাশে কেউ যেন অদৃশ্যভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে।

রাতগুলো তার কাছে পরিণত হয় ভয়ের ঘরে। ঘুমানোর চেষ্টা করলেও ভয়ে কাটাতে হয় প্রায় জাগ্রত অবস্থায়। তবুও ভোর হওয়ার আগেই কিছু না কিছু ঘটেই যায়।

কখনো বুকের ভেতর তীব্র জ্বালাপোড়া,
কখনো বিছানার পাশে নীল শাড়ি পরা এক রহ*স্যময়ী নারীকে শুয়ে থাকতে দেখা,
আবার কখনো গভীর রাতে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এক কালো কাপড়ে ঢাকা অপরিচিত মহিলা।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো— সাধারণত প্রতিমাসে একবার মা*সিক হওয়ার কথা থাকলেও, সুমাইয়ার ক্ষেত্রে তা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। মাসে তিন থেকে চারবার পর্যন্ত হতে শুরু করে!

এতকিছুর পর সুমাইয়া বুঝতে পারলো—এর পেছনে কোনো ভয়ংকর রহস্য আছে। না হলে এমন হওয়া সম্ভব নয়…।

___________________°_______________

ওদিকে ডোম মদের নেশায় তৃপ্ত হয়ে মূল্যবান ডায়মন্ডটি সাড়ে সতেরো হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পরই সে ভয়ঙ্কর স্বপ্নের সম্মুখীন হয়। স্বপ্নে এক ড্রাইভার এসে কণ্ঠ কম্পমান করে বলে— “তুমি ডায়মন্ডটি যেখান থেকে নিলে, সেখানে ফিরিয়ে রাখো।”

এরপর উপস্থিত হয় নীল শাড়ি পরা এক রহস্যময়ী মেয়ে, হুমকির স্বরে বলে— তুমি ডায়মন্ডটি আমাকে দাও, না হলে আমি তোমার পরিবারের ওপর কালোজাদু করবো।

ডোম সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। বুঝতেই পারছে না, এগুলো কী ঘটছে। আমার কাছে যে ডায়মন্ড আছে, তারা কিভাবে জানল? সে নিজেকে প্রশ্ন করছে। সেই সঙ্গে তার মনে একটি আতঙ্ক জাগে— এই ড্রাইভার কে? আর নীল শাড়ি পরা রহ*স্যময়ী নারীটা কে?

সকালে ঘুম থেকে ওঠে, দেখলো ডায়মন্ডটি তার পাশে পড়ে আছে। দারুণ বিস্ময়ে সে বললো, আমি তো এটি দোকানদারের কাছে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখানে কীভাবে এসে পৌঁছালো?

এই ঘটনা ডোমের সঙ্গে তিনবার ঘটে। প্রতিবারই ডায়মন্ড বিক্রি করা সত্ত্বেও, ড্রাইভার ভয়ং*কর রূপ নিয়ে আসে, দোকানদারকে মারধর করে এবং ডায়মন্ডটি ডোমের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

একদিন, দোকানদার ক্ষিপ্ত হয়ে ডোমকে তীব্রভাবে মারধর করে বলে— তুমি বাটপার আর চো*র। এই জিনিসটি তোমার কাছে রাখো, আমি আর নিতে পারবো না।

তার এক সপ্তাহ পরে, ভয়*ঙ্কর এক ঘটনা ঘটে— ডোমের স্ত্রী ভয়াবহ রোড এক্সি*ডেন্টে মারা যায়।

চলবে...??

গল্প_কা*লোজাদু [সিজন_২]
পর্ব_০১

এটি একটি হরর ফিকশন গল্প। বাস্তবের সাথে মিলে গেলে তা নিছক কাকতালীয়।

Arman Hossain Stories৪৮টি শূক*রের র*ক্ত দিয়ে যে কা*লোজাদু সম্পূর্ণ হয়, তার ৪৮ দিন পরেই সপরিবারের মৃ*ত্যু ঘটে। কিন্তু কেন?

একদিন ভোরে, শহরের এক ফ্ল্যাটের নিচে র*ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল এক তরুণী মেয়ের মৃ*তদেহ। তার দৃশ্য এতটাই ভয়ংকর ছিল যে, লোকজন একবার দেখে আর চোখ ফেরাতে পারছিল না।

মেয়েটির বুক দু’ভাগ করে চামড়ার সাথে সমান করে সেলাই করা। পেট ক'রাত দিয়ে টেনে টেনে চি'রে ফেলা হয়েছে। ভেতরের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এসেছে। উরুতে অসংখ্য ছু/রির আঘাত। আর ভয়*ঙ্করতম দৃশ্য— তার শরীরের ভেতর অর্ধেকের বেশি ঢুকানো আছে দুই ফিট লম্বা কাঠের লাঠি। দেখে মনে হচ্ছিল, মেয়েটিকে শেষ করার আগে অকথ্য যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ এসে লা*শ নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। ডোম লা*শ কা'টতে বসে— নেশায় গলা ভিজে আছে তার। হঠাৎ ছু/রির ব্লে*ড আটকে যায়। সে খেয়াল করে, মেয়েটির গলার ভেতরে একটা ঝকঝকে ডায়মন্ড আটকে আছে।

ডোম সেটি হাতে নিয়েই খুশিতে আ*ত্মহারা হয়ে যায়। এত দামী জিনিস সে বহুদিন ধরে দেখেনি। কিন্তু খেয়াল করেনি সেই ডায়মন্ডই তার জীবনে নামাবে অন্ধকার।

ডায়মন্ড হাতে নিয়েই হঠাৎ কানে ভেসে আসে চিকচিক এক নারীকণ্ঠ— “যেখান থেকে নিলে… সেখানে রেখে দাও…যেখান থেকে নিলে…সেখানে রেখে দাও…”

প্রথমে সে ভাবে নে*শার ঘোরে হ্যা*লুসিনেশন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পাশের ঘর থেকে ভেসে আসে মায়াবী কান্নার আওয়াজ। সেই কান্নায় যেন বুক হিম হয়ে যায়।

পোস্টমর্টেম শেষে ডাক্তার নির্দেশ দেয় লা*শ গ্রামে পাঠাতে। কিন্তু কেউ রাজি হয় না। কারণ, প্রথমত— লা*শের ভয়*ঙ্কর চেহারা। দ্বিতীয়ত— ডোমের অদ্ভুত অভি*শপ্ত বয়ান। তৃতীয়ত— গ্রাম শহর থেকে অনেক দূরে।

অবশেষে একজন ভ্যানগাড়ি চালক রাজি হয়। সঙ্গে যায় এক ওয়ার্ডবয়। রাত গভীর হয়, এম্বুলেন্স গ্রামের পথে চলতে থাকে। হঠাৎই ভেতর থেকে শোনা যায় মেয়েটির অশ্রুসিক্ত কণ্ঠ— “যে যাই বলুক, গাড়ি থামিও না… যে যাই বলুক, গাড়ি থামিও না…”

প্রথমে ড্রাইভার শোনে, পরে ওয়ার্ডবয়ও স্পষ্ট শুনতে পায়। দু’জনেই স্তম্ভিত। মৃ*ত লা*শের কন্ঠস্বর মনে হয়!

হঠাৎই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন ভদ্রলোক হাত তুলে গাড়ি থামায়। তাদের একজন এগিয়ে এসে অনুনয় ভরা কণ্ঠে বলে—

“ভাই, আমার শাশুড়ি মা*রা গেছেন। খুব জরুরি ভিত্তিতে স্ত্রীকে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছিনা। প্লিজ, যদি আমার স্ত্রীকে সামনে একটু এগিয়ে দেন, তাহলে খুবই উপকৃত হবো।”

ড্রাইভার কিছুটা দ্বিধায় পড়লেও শেষে সম্মতি দেয়— পেছনে বসুন। তবে জায়গা নেই, লা*শের সাথেই বসতে হবে।

ভদ্রলোক মাথা নেড়ে সায় দেয়। তার স্ত্রী উঠে বসে লা*শের পাশে।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো— ওই মহিলার সাজগোজ। নীল শাড়ি, কানে দুল, ঠোঁটে মুচকি হাসি। এমন কারো মাকে হারানো মানুষ কি এভাবে সাজতে পারে? ড্রাইভারের মনে সন্দেহ হয়। ঠিক তখনই আবার লা*শের কান্না শোনা যায়— তোমাদের না বলেছিলাম, গাড়ি না থামাতে…কেন থামালে?

কিছুক্ষণ পর এম্বুলেন্সের ভেতর ধুপধাপ শব্দ হয়। যেন ভেতরে কেউ মারামারি করছে। ড্রাইভার আঁতকে ওঠে। হঠাৎ নীল শাড়ি পড়া মহিলার চোখ লাল হয়ে যায়। রাগান্বিত স্বরে বলে— “গাড়ি থামাও!”

এরপর নেমে ধানক্ষেতের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যায়।

অবশেষে তারা গ্রামে পৌঁছে। লা*শ নামাতে গিয়ে সবাই অবাক হয়ে যায়, লা*শের শরীর থেকে তখনও রক্ত গড়িয়ে মাটিতে পড়ছে। সাদা কাপড়ের ভেতর থেকে মাঝখানের একটি আঙুল কে যেন কে/টে নিয়ে গেছে!

ড্রাইভার কেঁপে ওঠে। বুঝতে দেরি হয় না— এই কাজ সেই নীল শাড়ি পড়া মহিলারই।

লা*শ দা*ফন শেষে সবাই যখন ফিরে আসে, তাদের চোখে ভেসে ওঠে মেয়েটির প্রতিচ্ছবি। মনে হয় সে কাঁদছে, কিছু বলতে চাইছে— কিন্তু কেউ সেই ভাষা বুঝতে পারে না।

মেয়েটির নাম ছিল সুমাইয়া। কলেজ পড়ুয়া, সুন্দরী আর মেধাবী। হঠাৎ একদিন এক অচেনা বড়ভাই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে সুমাইয়া ছেলেটির এসব আচরণ ইগনোর করার চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল, হয়তো সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টা জটিল হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনই নতুন করে ভয় আর হুমকিতে ঘিরে ধরে তাকে। লজ্জায়, অপমানে কারো কাছে কিছুই বলতে পারেনি সুমাইয়া। মনে মনে নিজেকে সান্ত্বনা দিত— আমি তো গ্রাম থেকে শহরে এসেছি স্বপ্ন নিয়ে, বড় কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো কি কেবল স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে?

বাস্তবায়নের পথ যেন বন্ধ হয়ে গেল তার সামনে। এমন সময় ছেলেটি কুটিল হাসি দিয়ে বলে উঠল— “আমি চাইলে তোমার জীবন ন*ষ্ট করে দিতে পারি। তবে একটা শর্ত মানলে তোমাকে ছেড়ে দেব।”

সুমাইয়া ভ্রূ কুঁচকে বলে— “বলুন, কি শর্ত?”

ছেলেটি ঠোঁটে শয়*তানি হাসি মেখে বলে—
আমার সাথে এক রাত থাকতে হবে। বিনিময়ে টাকা পাবে।

কথাটা শুনেই সুমাইয়া ফুঁসে ওঠে—
কখনোই সম্ভব নয়! দরকার হলে আমি আত্মহত্যা করব, কিন্তু এ রকম নোংরা কাজ আমাকে দিয়ে হবে না।

ছেলেটির চোখ লা*ল হয়ে ওঠে। গর্জে বলে— তুমি চাইলে বা না চাইলে, এটা ঘটবেই। তুমি জানো না আমি কে, আর আমি চাইলে কি করতে পারি।

পরবর্তীতে ছেলেটি সুমাইয়ার বান্ধবীর কাছ থেকে নাম্বার জোগাড় করে নেয়। এরপর শুরু হয় বাজে বাজে মেসেজ আর হুমকি। বিরক্ত হয়ে সুমাইয়া রাগান্বিত কণ্ঠে সরাসরি অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়। কিন্তু অধ্যক্ষ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিলেন না।

তবে ব্যাপারটা এখানেই থেমে থাকেনি। অবশেষে বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছায়। তদন্তে দেখা যায়, ছেলেটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং সমস্ত প্রমাণ মিলিয়ে তাকে সাত মাসের কা*রাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায় শুনে সুমাইয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মনে হলো, অবশেষে মুক্তি পেলো সে। কিন্তু সুমাইয়া বুঝতেই পারেনি, এরপর আরও অন্ধকারময় অধ্যায় তার জীবনে অপেক্ষা করছে…।

প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার পর সুমাইয়া কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। আসার পর থেকেই সে লক্ষ্য করে, শরীরটা যেন ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

প্রথমে হালকা ব্যথা, তারপর ধীরে ধীরে পিঠের বেশিরভাগ জায়গায় অসহ্য যন্ত্রণা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চমকে ওঠে সে— গলার পিছনে লালচে দাগ, যেন খামচি বা কামড়ের মতো স্পষ্ট চিহ্ন!

তার ভেতরে ভেতরে এক অদৃশ্য আতঙ্ক জন্ম নেয়। মনে হতে থাকে, আশেপাশে কেউ যেন অদৃশ্যভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে।

রাতগুলো তার কাছে পরিণত হয় ভয়ের ঘরে। ঘুমানোর চেষ্টা করলেও ভয়ে কাটাতে হয় প্রায় জাগ্রত অবস্থায়। তবুও ভোর হওয়ার আগেই কিছু না কিছু ঘটেই যায়।

কখনো বুকের ভেতর তীব্র জ্বালাপোড়া,
কখনো বিছানার পাশে নীল শাড়ি পরা এক রহ*স্যময়ী নারীকে শুয়ে থাকতে দেখা,
আবার কখনো গভীর রাতে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এক কালো কাপড়ে ঢাকা অপরিচিত মহিলা।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো— সাধারণত প্রতিমাসে একবার মা*সিক হওয়ার কথা থাকলেও, সুমাইয়ার ক্ষেত্রে তা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। মাসে তিন থেকে চারবার পর্যন্ত হতে শুরু করে!

এতকিছুর পর সুমাইয়া বুঝতে পারলো—এর পেছনে কোনো ভয়ংকর রহস্য আছে। না হলে এমন হওয়া সম্ভব নয়…।

___________________°_______________

ওদিকে ডোম মদের নেশায় তৃপ্ত হয়ে মূল্যবান ডায়মন্ডটি সাড়ে সতেরো হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পরই সে ভয়ঙ্কর স্বপ্নের সম্মুখীন হয়। স্বপ্নে এক ড্রাইভার এসে কণ্ঠ কম্পমান করে বলে— “তুমি ডায়মন্ডটি যেখান থেকে নিলে, সেখানে ফিরিয়ে রাখো।”

এরপর উপস্থিত হয় নীল শাড়ি পরা এক রহস্যময়ী মেয়ে, হুমকির স্বরে বলে— তুমি ডায়মন্ডটি আমাকে দাও, না হলে আমি তোমার পরিবারের ওপর কালোজাদু করবো।

ডোম সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। বুঝতেই পারছে না, এগুলো কী ঘটছে। আমার কাছে যে ডায়মন্ড আছে, তারা কিভাবে জানল? সে নিজেকে প্রশ্ন করছে। সেই সঙ্গে তার মনে একটি আতঙ্ক জাগে— এই ড্রাইভার কে? আর নীল শাড়ি পরা রহ*স্যময়ী নারীটা কে?

সকালে ঘুম থেকে ওঠে, দেখলো ডায়মন্ডটি তার পাশে পড়ে আছে। দারুণ বিস্ময়ে সে বললো, আমি তো এটি দোকানদারের কাছে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখানে কীভাবে এসে পৌঁছালো?

এই ঘটনা ডোমের সঙ্গে তিনবার ঘটে। প্রতিবারই ডায়মন্ড বিক্রি করা সত্ত্বেও, ড্রাইভার ভয়ং*কর রূপ নিয়ে আসে, দোকানদারকে মারধর করে এবং ডায়মন্ডটি ডোমের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

একদিন, দোকানদার ক্ষিপ্ত হয়ে ডোমকে তীব্রভাবে মারধর করে বলে— তুমি বাটপার আর চো*র। এই জিনিসটি তোমার কাছে রাখো, আমি আর নিতে পারবো না।

তার এক সপ্তাহ পরে, ভয়*ঙ্কর এক ঘটনা ঘটে— ডোমের স্ত্রী ভয়াবহ রোড এক্সি*ডেন্টে মারা যায়।

চলবে...??

গল্প_কা*লোজাদু [সিজন_২]
পর্ব_০১

এটি একটি হরর ফিকশন গল্প। বাস্তবের সাথে মিলে গেলে তা নিছক কাকতালীয়।

Arman Hossain Stories

29/08/2025

স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে গিয়ে ক"ট

আজ আমার বাসর রাত। বউ-টউ আমি এখনো দেখিনি, দেখার দরকার ও নেইআমি বাসর ঘরে ঢুকেই লুঙ্গি পড়ে হাত-পা চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে বেডে শ...
29/08/2025

আজ আমার বাসর রাত। বউ-টউ আমি এখনো দেখিনি, দেখার দরকার ও নেই
আমি বাসর ঘরে ঢুকেই লুঙ্গি পড়ে হাত-পা চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে বেডে শুয়ে পড়লাম ।
বউ দাঁড়িয়ে আছে।
আমি বললাম; “এই মেয়ে আমার হেডফোনটা এদিকে একটু দেন তো”।
আর রুমের বাতিটা অফ করেন ।
হেডফোন হাতে নিয়ে বললাম; “চার্জারটা এদিকে দেন” ।
মোবাইল চার্জে লাগিয়ে আমি হেডফোন দিয়ে মনের সুখে গান শুনতেছি আর ফেসবুকিং করছি।
মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে, কিছুক্ষণ পর আমার পায়ে সালাম করলো।
আমি চমকে উঠে বললাম; “এই মেয়ে এই, সালাম করবা ভালো কথা আপনি আমার পা স্পর্ষ করলা কেন ??
-দেখেন, আমি “এই মেয়ে” না, আমার নাম “নয়না” ।তাই নাম ধরেই ডাকবেন।

আপনার নাম দিয়ে আমার কোনো কাম নেই,
আমাকে কখনো স্পর্ষ করবেনা বলে দিচ্ছি।
-আমি কি খুব গরম, যে স্পর্ষ করলেই আপনার গা জ্ব*লে যাবে ??
আরে আপনি তো আচ্ছা বিয়াদাব মেয়ে আপনার সাহস তো কম না, এতো প্যাচাল পারবেন না আমার সাথে।
-হুম টিক আছে, কিন্তু আমি তো আপনার পাশের বালিশটায় শুতে পারি, নাকি ??
-অবশ্যই না, ফ্লোরে ঘুমাবেন ।
-ওকে সমস্যা নেই।
আমি গান শুনছি, রাত ঘনিয়ে আসছে, হটাৎ ফ্লোরে খেয়াল করে দেখলাম মেয়েটা এতক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে, মোবাইলের ডিসপ্লের হালকা আলো ওর মুখে গিয়ে পড়ছে, এতক্ষণে আমার খেয়াল হলো

আম্মুর কথাটাই টিক, মেয়েটা আসলেই খুব সুন্দরী ।মা আরো বলেছিল জেনারেল লাইনে লেখাপড়া করেলেও নাকি মেয়েটা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং সঠিক ভাবে পর্দা করে।

সে যাই হোক
তাতে আমার কি, আমি ও ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, কেন জানি আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, শ*রীরটা যেনো কে চেপে ধরেছে।
ওমা কি সাহস মেয়েটার, আমার বুকের উপর ঘুমিয়ে আছে।
হটাৎ খেয়াল করে দেখলাম আমার পরনে লুঙ্গীটা ও আর নেই।
কি সর্বনাশ রে বাবা, কে আমার এই সর্বনাশ করলো, এই মেয়ে এই, উঠেন বলছি উঠেন ।
-চোখ কচলাতে কচলাতে বললো “কি হইছে ?? সাতসাকালে চেচামেচি করছেন কেন” ??
-আরে চেচামেচি কি আর স্বাদে করছি, আমার লুঙ্গী কই ??
-মুচকি হাসি দিয়ে ও বাতরুমে চলে গেলো গোসল করতে।
-আমি অবাক, ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটা গোসল করতে গেলো কেন, আমিতো কিছু টের পেলাম না। লুঙ্গীটা খাটের নিচে পড়ে আছে।
ঘটনা কি !!

এসব ভাবতে ভাবতে মেজাজটা খুব গরম হয়ে আসছে, আব্বু-আম্মুর কথায় বিয়ে করাটাই ভুল হইছে। আমার ডিসিশনই ঠিক ছিলো।
-তিশাকে যখন আব্বু-আম্মু মেনে নেয়নি, তখন থেকে রাগে-ক্ষোভে দুঃখে-কষ্টে গভীর রাতে তিশাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্র*ণায় ধীরে ধীরে আমি একজন পাথর মানুষে পরিণত হয়েছিলাম,
মাথায় একটা জিনিস খুব অ*শ্লীলভাবেই ঢুকিয়ে নিয়েছিলাম; বিয়েসাদী আর করবোই না । তিশা ছিলো বড়লোকের মেয়ে, এখানেই আম্মুর যত্তসব সমস্যা,

আম্মুর একটাই কথা, “আমার একটা মাত্র ছেলে, ছেলেটাকে আমাদের থেকে কোনো বড়লোকের মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো না”।

আম্মুর কথাবার্তার ধরনে মনে হতো; বড়লোকের মেয়েরা বর পিটায়, অথবা বড়লোকের মেয়েরা মাদকের মতো ধীরে ধীরে উনার একমাত্র ছেলেকে শেষ করে ফেলবে।

এদিকে

প্রেম আর লাভ ম্যারেজ নিয়ে ছিল আব্বুর যত্তসব সমস্যা;
বাবা মাঝেমধ্যে কোরআন থেকে বলতেন
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫) এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে। ৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।

তাই বাবা সব সময় আমাকে শাসন করতেন
তবে
আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন সিনেমা দেখে সবেমাত্র চোখমা*রা শিখেছি, স্কুলে যেয়ে সহপাঠী তমাকে বার বার চোখ মারছিলাম, তমা সেদিন বাড়িতে এসে আব্বুর কাছে দিয়ে দিলো বিচার ; সেদিন রাত্রে ধপায় ধপায় আব্বুর হাতে মা*ইর খেলাম, সেকি য*ন্ত্রণা, পা*ছা ফ্যানের দিকে দিয়ে উল্টো হয়ে ঘুমোতে হয়েছে রাত্রে ।

পি*টান খেয়ে আর তমার পিছনে লাগিনি প্রায় দুবছর , ক্লাস নাইনে যখন উঠলাম তখন আবার তমাকে চিটি দিলাম, সেদিন কে জানি বিচার দিয়ে দিলো হেডস্যারের কাছে, হাতেনাতে চিটি ধরা পড়ায় হেডস্যার আব্বুকে ফোন দিয়ে স্কুলে নিলেন, আব্বু আমাকে বাসায় এনে স্যান্ডেল দিয়ে পা*ছায় দুচা পি*টান দিলেন । সেদিন টেবিল ফ্যানের সামনে পা*ছা রেখে জ্বা*লা য*ন্ত্রণা সামাল দিতে হয়েছিল। এসব মনে হলে শ*রীর এখনো ভয়ে ঘেমে যায়।

ধীরে ধীরে বড় হলাম, প্রেম করলাম তিশার সাথে, বিয়ের বয়স হয়েছে, ভয়-ডর ভেঙে তিশার কথা জানালাম আব্বু-আম্মুকে, কিন্তু তারা কিছুতেই তিশাকে মেনে নেয়নি, সবটিক থাকলে ও আব্বু লাভ ম্যারেজে রাজি নয়, সবটিক থাকলে ও বড়লোকের মেয়ে আম্মুর পছন্দ নয় ।

আব্বু-আম্মুর খামখেয়ালে যখন আমি আমার ভালোবাসা তিশাকে প্রায় হারিয়ে ফেলতে বসলাম, তখন পালিয়ে বিয়ে ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না, তিশাকে বললাম চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করি, এদিকে আবার তিশা কল্পণাই করতে পারেনা পালিয়ে বিয়ে করবে, তিশার ডিসিশন ফাইনাল; ওর মা-বাবাকে কাদিয়ে সে বিয়ে করবেনা, মা-বাবার ইজ্জতের বারোটা বাজিয়ে ও সুখে থাকবেনা।
যদি আমার পরিবারকে রাজি করতে পারি তাহলে তিশাকে পাবো।

-তিশাকে আমি পাইনি, আজ তিনবছর হলো অন্যকারো সাথে তিশার বিয়ে হয়ে গেছে , আমি এখনো ওরে পুরোপুরি ভুলতে পারিনি।
হয়তো এখন তিশার বাচ্চা আমাকে মামা ডাকার জন্য রেডি হচ্ছে,

আব্বু-আম্মু খুব জোরাজোরি করতেছে বিয়ে করার জন্য, আম্মুর ও বেশ বয়স হয়েছে, আমার বিয়েটা যেনো এখন সময়ের দাবী, বান্ধুবান্ধবরা ও খুব বুঝায় বিয়ে করার জন্য, আম্মু মাঝেমধ্যে বিয়ের জন্য খুব ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে।

আমিও বুঝতাম, বাসার রান্নাবান্নার জন্য হলেও একটা বউ দরকার।
শেষমেশ আব্বু-আম্মুর জোরাজোরিতে, সাময়ের দাবী মেনে নিতে বিয়ে করলাম; ভাবলাম আব্বু-আম্মুর কাছে যে বউমা, আমার কাছে না হয় সে কাজের মেয়ে হয়ে থাকবে; সমস্যা কি ??

কিন্তু এখন বুঝতে পারলাম এই মেয়েটা আসলেই সমস্যা।
এতক্ষণে গোসল করে মনের সুখে গুনগুন গান গেয়ে বাতরুম থেকে বের হচ্ছে।

আমি খুব কটিনভাবে চোখ রাঙানি দিয়ে বললাম; “এই মেয়ে এই, আপনি সাতসকালে গোসল করলেন কেন ??
-মেয়েটা আমার চোখ রাঙানিকে পাত্তা না দিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই বললো; “আরে বোকা গোসল করতে হয়, তুমিও গোসল করে এসো আমার টুনটুনি, যাও”।

চলবে???
#অ্যারেঞ্জ_ম্যারেজ (১)
#স্বপ্নীল_আজিম

মাঝরাতে ভাবীর ঘরে গিয়ে ভাবীর কোমরে স্পর্শ করতে ভাবীর শরীর শিরশির করে উঠতে ঘুম ভেঙ্গে যায়ভাবী চোখ মেলে চিৎকার করতে যাবে ঠ...
29/08/2025

মাঝরাতে ভাবীর ঘরে গিয়ে ভাবীর কোমরে স্পর্শ করতে ভাবীর শরীর শিরশির করে উঠতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
ভাবী চোখ মেলে চিৎকার করতে যাবে ঠিক তখন-ই আমি ওর মুখ চেপে ধরি আর বলি
আমি, ভাবি আমি ধ্রুব চিৎকার করবেনা
ভাবি/ ধ্রুব তুই আমার ঘরে তাও এতরাতে বলে ভাবি শোয়া থেকে উঠে কাপড়টা ঠিক করে নেয়
আমি/ ভাবি আমি আর পারছিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে জানি আমিও যা চাই তুমিও তা চাও
তোমারও কষ্ট হয় একা একা থাকতে
ভাবি/ ছিঃ ধ্রুব এসব কি বলছিস তুই কি পাগল হয়ে গেলি
যা এখন-ই এ ঘর থেকে বের হ
আমি/ এমন কেন করছো কেউ জানবেনা কেউ বুঝবেনা সবাই ঘুমিয়ে আছে
দাওনা একটা সুযোগ তোমাকে আদর করার
বলতে ভাবি ঠাস করে একটা চড় মেরে আমায় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়
নিজের ঘরে এসে ভাবতে লাগলাম জোর করে কিছু হবেনা যা করার সময় করে সুযোগ বুঝে করতে হবে
ঘুমিয়ে পড়লাম কিন্তু ভাবির চড়টা বার বার যন্ত্রণা দিচ্ছে
তাই এর প্রতিশোধ আমাকে নিতে হবে
চোখটা কখন যে লেগে এলো বুঝতে পারিনি
সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি সবাই টেবিলে নাস্তা করছে মা বাবা আর ভাবি
আমি ব্রাশ করতে করতে ভাবির দিকে তাকিয়ে আছি
দেখে মনে হয় এখনও রাগ কমেনি
বাবা হঠাৎ আমায় দেখে বলে
বাবা/ ধ্রুব শোন
আমি/ হুম বলো
বাবা/ আমি আর তোর মা আজ নিলার স্বামীর বাড়ি যাবো ফিরতে দেরি হবে দুপুরে ওখানে খাওয়া দাওয়া করবো
তুই বাড়ি থাকিস বৌমাকে একা রেখে যেতে মন চায়না
আমিতো খুশিতে আত্মহারা
আমি/ ও নিয়ে তোমায় ভাবতে হবেনা আমার আজ কোন কাজ সারাদিন বাড়িতে কাটিয়ে দেব
আম্মু/ তাহলে হয়ে গেলো
নিশ্চিন্তে যাওয়া যাবে
আমি হাতমুখ ধুতে গেলাম
মনটাও বড্ড খুশি আজকের সুযোগটা আর হাত ছাড়া করা যাবেনা
সকাল ১০টা বাজতে মা বাবা বেরিয়ে গেলো এখন বাসায় শুধু আমি আর ভাবি
মা বাবাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে এক বন্ধুর সাথে দেখা করে একটা গোপন ক্যামেরা নিলাম
বাসায় এসে দেখি ভাবি তার ঘরে
তারপর আমি মোবাইলে বসে বসে গেম খেলতে লাগলাম
গেম খেলাটা রেখে উঁকি মেরে দেখি ভাবি রান্নাঘরে রান্না নিয়ে ব্যস্ত এখন
এই সুযোগে আমি গোপন ক্যামেরাটা ভাবির গোসলখানায় লাগিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে এসে শুয়ে রইলাম
মন মানেনা তাই রান্না ঘরে গিয়ে ভাবির সাথে ভাব জমাতে চাইলাম কিন্তু হলোনা
রান্না ঘরে যেতে ভাবি বলে
ভাবি/ আরে ধ্রুব তুই এখানে কেন আসলি তোকে না বলছি একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবিনা
আমি/ না ভাবি একটু পানি নিতে আসলাম
ভাবি/ ফ্রিজে আছে নিয়ে এখান থেকে চলে যা
আমি পানির বোতলটা নিয়ে চলে আসলাম
আর মনে মনে ঠিক করলাম তোমার সব দেমাগ আমি আজকে শেষ করে দিব
অপেক্ষার পর অপেক্ষা বড্ড আফসোস ভাবিকে একা পেয়েও তার কাছে যেতে না পারা
দুপুর হতে ভাবি দরজা এসে ঠকঠক করে
আমি/ কে
ভাবি/ আমি
আমি/ দরজাটা খুলে ওহহহহ ভাবি তুমি কি ব্যপার
ভাবি/ টেবিলে খাবার রাখা আছে খেয়ে নিও
আমি/ তুমি খাবেনা
ভাবি/ তুমি খেয়ে নাও আমি পরে খাবো বলে ভাবি নিজের ঘরে চলে গেলো
আমি খাবার খেয়ে ছাদে গিয়ে সিগারেট টানতে লাগলাম
সিগারেট টানতে টানতে দেখি ভাবি আসলো তার কাপড় গুলো শুকাতে
চলবে...

গল্পঃভ্রান্তি
পর্বঃ০১
বেলা শেষের কাব্য

( যারা গল্প পড়েন তারা একটু রেসপন্স করবেন।কারণ আইডির রিচ নেই বললেই চলে। )👇👇👇
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ

 #দূর_আকাশে ৫(প্রথম অংশ) কথা গুলো শেষ হলে ওপাশ থেকে ফোন কেটে দেয়।যাক এবার এর মতো বাঁচা গেল।হাপ ছেড়ে বাঁচলো মায়া।সবকিছু ...
29/08/2025

#দূর_আকাশে ৫(প্রথম অংশ)

কথা গুলো শেষ হলে ওপাশ থেকে ফোন কেটে দেয়।

যাক এবার এর মতো বাঁচা গেল।হাপ ছেড়ে বাঁচলো মায়া।সবকিছু শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল তো গেল! এরপর থেকে আমি কেয়ারফুলি চলতে হবে।কোন কাজে ভুল করা যাবেনা।আবার একটা ভুল থেকেও সে অনেক বড় একটা বিষয় জানতে পারলো। এ পুরো বাসার হিডেন ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।বড় কোন ভুল করার আগে সাবধান হয়ে গেল মায়া । ধীরপায়ে এসে বসলো আরিফের বিছানার উপর। কিছু কথা মাথায় আসলো তার 'এই পুরো বাসায় হিডেন ক্যামেরা আছে এছাড়াও এই বাসার সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক অত্যাধুনিক।তার মানে এগুলো কন্ট্রোল করার জন্য কন্ট্রোল রুম অবশ্যই আছে... কিন্তু কন্ট্রোল রুম টা কোথায় হতে পারে? এই বাসায়? না অন্য কোথাও?'

তন্মধ্যেই শাওয়ার নিয়ে বের হয় আরিফ।নিজের ভেজা চুলগুলো মুছতে মুছতে। পড়ানো শুধু টাউজার।আর কিছু নেই খালি গায়ে । সাদা টাওয়াল ছুড়ে ফেলে দেয়। যা গিয়ে পড়ে ফ্লোরে। আরিফ এসে দাড়ায় মায়া সামনে।মায়া বোকা বোকা চেখে তাকিয়ে থাকে আরিফের দিকে। 'লোকটা কত লম্বা!যে বডি! আমাকে একটা ঘুষি মারলেই তো আমি নাই হয়ে যাবো 'ভাবলো মায়া।আরিফ দাড়িয়ে ঘার নিচে করে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে। নিঃসন্দেহে আরিফ সুদর্শন পুরুষ। গায়ের রং উজ্জ্বল। উচ্চতার ছয় ফিটের কাছাকাছি। দেহের আকৃতি সুগঠন। মাথা ভর্তি এক ঝাক সিল্কি চুল।তার হেয়ার স্টাইল কিছুটা ফ্রান্স কার্টের মত। কিন্তু আসলে কেমন তা বলা মুশকিল। আরিফ মায়ার চোখে চোখ রেখে গম্ভীর স্বরে বলল.. "এখানে কি করে আসলি? "

মায়া চমকায়। এই লোকের কি মাথার তার ছিড়া নাকি? নিজেই না নিয়ে আসলো আমাকে। মায়া নরম স্বরে বলে.. "আপনিই তো নিয়ে আসলেন"

"আমি আমার বাসায় আসার কথা বলছি না আমি আমেরিকার কথা বলছি। তুই আমেরিকায় কিভাবে আসলি? "

মায়া অনেকটা সময় ভাবে। কিছুক্ষণ বাদে চট করে জবাব দেয় "প্লেনে করে "

"মানুষ প্লেনে করে আমেরিকা আসে ঘোড়ার গাড়িতে না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি তোকে আমেরিকা আসতে সাহায্য করল কে ? "

মায়া আমারও চট করে জবাব দেয় "পড়াশোনা "

মায়ার এমন এহেন জবাবে বিরক্ত হয় আরিফ।মায়াকে আর এ প্রশ্ন করে লাভ নেই। তাকেই খুঁজে বের করতে হবে। এবার অন্য প্রশ্নে যাওয়া যাক। আরিফ.. "তুই আমাকে চিনতে পারলি কিভাবে? "

"আপনার চেহারা দেখে "

মায়ার এসব উল্টোপাল্টা উত্তরে এবার মেজাজ বিগড়ে গেল আরিফের। একটা প্রশ্নেরও ঠিকঠাক উত্তর দিচ্ছে না। আরিফ মুখ খিচে বলল.."আমার চেহারায় কোথাও লেখা আছে আমার নাম আরিফ খান? কিভাবে চিনতে পারলি সেটা বল? "

মায়া কিছুটা লাগামহীন ভাবে বললো..."ওমা আমার জামায়কে আমি চিনতে পারবো না? আমাদের বিয়ের বয়স ১৫ বলে কথা।"

আরিফ নিজেকে শান্ত করে বাকা হেসে ভ্রু নাচিয়ে বলে.."ও তাই বুঝি। তাহলে তুই মানিস আমি তোর হাসবেন্ড "

"শতাধিক মানুষের সামনে আপনাকে কবুল বলেছি মানতে তো হবেই।"

মায়ার কথা শেষ হলে আরিফ মায়ার দিকে কিছুটা ঝুকে আসে। এতটাই কাছে আসে আরিফের নিঃশ্বাসের শব্দ মায়া শুনতে পায়। আরিফ শয়তানি হাসি হেসে বলে... "বউ তাহলে চলেন বাসর টা সেরে ফেলি?"

আরিফ এতটা কাছে আসায় দূরে সরে যায় মায়া।বলে..

"আস্তাগফিরুল্লাহ! ছি! ছি! দূরে যান অসভ্য লোক "

আরিফ সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলে...

"ছি!স্বামীকে কেউ অসভ্য লোক বলে?বাসার করবে না বললেই তো হয়। "

আরিফের এমন কথায় কড়া চোখে তাকায় তার দিকে মায়া। চোখ দিয়ে যেন গিলে খাবে। এমন নয় যে আরিফ ও মায়া একে অপরের খুব পরিচিত। তাদের সাথে তেমন কথাবার্তা হয়নি তেমন এই কবছরে। আবার তারা একে অপরকে খুব ভালোভাবেই চিনে। তবে বিষয়টা দুজনের কাছেই গোপন।মায়া রাগে বিছানা ছেড়ে উঠো গিয়ে বলে..."আপনার বাসায় আর এক মুহূর্ত থাকবো না আমি। আমি চললাম আমার হোস্টেলে "

বলেই সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে আরিফ এক টানে মায়াকে বিছানার উপর বসায়।টান সামলাতে না পেরে মায়া বিছানার সাথে কিছুটা হেলান দিয়ে বসে। আরিফে মায়ার দিকে ঝুকে বিছানায় নিজের দুই হাত ঠেকনা দিয়ে দাড়ায়। মায়া আরিফের দু হাতের মাঝের জায়গা টুকুতে কাচু মাচু হয়ে বসে।আরিফ মায়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে গম্ভীরমুখে বলে...

"সত্য করে বল আমাকে কিভাবে চিনলি?"

মায়া উত্তর দেয় না। এতে আরিফ চেচিয়ে উঠে"answer me! "

আরিফের ধমকে মায়া আরো কাচু মাচু হয়ে বসে। ভয়ে ভয়ে বলে "আমি আপনার সম্পর্ক গত পাঁচ বছর যাবত খুব ভালো ভাবে যানি। আপনার ছবি বিডিও আমি অনেক দেখিছি।আপনি আমেরিকায় থাকেন তা আমি জানতাম অনেক আগে থেকেই। আপনি কোন একটা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এটাও জানতাম । "

"আমার ছবি কে দেখাইছে তোকে? আর আমার সম্পর্কে কে বলছে তোকে?

মায়া কিছু টা দ্বিধা নিয়ে বলে "বলবো কিন্তু যায় কথা বললো তাকে কিছু বলতে পারবেন না "

"আচ্ছা বল "

"সত্যি কিছু বলবেন না তো? "

আরিফ চেঁচিয়ে উঠে বলে "বললাম তো কিছু বলবো না। এখন বল"

মায়া উত্তর দেয় না মাথা নিচে করে থাকে। হয়তো বলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।আরিফ তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে। কিছুক্ষণ বাদে মায়া ভিতু গলায় বলে "আমি লাবিব ভাইয়ার কাছ থেকে সব জেনেছি। "

আরিফ দূরে সরে গিয়ে কপালে হাত রাখে।মেজাজটাও হাই হয়ে গিয়েছে। আরিফ দাঁতে দাঁত পিষে বলে ...

"এই লাবিব mother f***** এই অকামটা করেছে।ওকে যদি এখন সামনে পায়.."

মায়া হুট করে বলে উঠে.. "ভাইয়াকে কিছু বইলেন না। আমি ভাইয়ায় কাছ থেকে জোর করে জেনেছি। "

আরিফ মায়ার দিকে তাকিয়ে বল.."ওরে তাই নাকি। ঠিক আছে তোর লাবিব ভাইয়াকে কি কিছু করলাম না। দোষ যেহেতু তোর শাস্তিটাও তুই পা"

"শাস্তি! কি?"

"দুই পা উপরে তুলে দাড়িয়ে থাক "

"কি?দুই পা উপরে তুলে দাঁড়াবো কিভাবে?

" দাড়া তাহলেই বুঝতে পারবি "

চলবে....

পর্ব সংখ্যা ৫(প্রথম অংশ)

#দূর_আকাশে
#তেজরিন_মালিহা

আজকে তো ভেবেছিলাম এত ছোট পর্ব দিতে হবে না। পরে ভাবলাম একেবারেই না দিয়া থেকে ছোট পর্ব দিয়া ভালো
বড় পর্ব দিতে চেয়েও দিতে পারলাম না। হঠাৎ করে নানু বাড়ির আশায় চাইলেও গল্প লিখতে পারছি না। ফোনটা একটু হাতে নিলেই কিছু কুটনি মহিলারা এমন ভাবে তাকায় যে ফোন আর হাতের রাখার সাহসই থাকে না। না জানি কি আবার বদনাম করে বসে 😒🤧

বিশেষ দ্রষ্টব্য :-বানানে ভুল থাকলে মেনশন দিবেন।

✴️নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ ✴️পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?👉জানেন, স...
29/08/2025

✴️নারীর শরীর ভোগ করার মারাত্মক কয়েকটি মিস্টি টোপ
✴️পরপুরুষের জিভের ডগায় লেগে থাকা প্রশংসার স্বাদ কেমন, জানেন?

👉জানেন, সেই স্বাদ যখন শিরা-উপশিরা বেয়ে আপনার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কেমন নেশা হয়? এটা এমন এক নেশা, যার কাছে পৃথিবীর দামী ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলও ফিকে হয়ে যায়। এই নেশা আপনাকে মুহূর্তে মেঘের উপরে ভাসাতে পারে, আবার পরমুহূর্তেই টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারে বাস্তবতার কঠিন মাটিতে, যেখানে আপনার সাজানো সংসার, বিশ্বাস আর ভালোবাসা টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকে।

👉কি? চমকে গেলেন? ভাবছেন, আমি ফারহানা, এসব কী বলছি! ভাবছেন, একটা নির্দোষ প্রশংসা নিয়ে এত নোংরা কথা বলার কী আছে?

👉আসুন, আজ সেই নোংরামির গভীরতাটাই একটু মেপে দেখি। আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেই, আপাতদৃষ্টিতে "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" মনে হওয়া কথাগুলোর আড়ালে কতটা ভয়ংকর লাম্পট্য আর calculado শিকারের ছক লুকিয়ে থাকে।

⚛️প্রশংসার মিষ্টি টোপ

নিচের কথাগুলো আপনার জীবনে কি কখনো শুনেছেন? বা আপনার আশেপাশের কেউ কি প্রায়ই শোনে?

👉১. "ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!"

⚛️বিশ্লেষণ: এটা শুধু আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা নয়। এটা একটা সূক্ষ্ম চাল। এই কথার মাধ্যমে আপনাকে আপনার বর্তমান পরিচয়—একজন স্ত্রী এবং মা—থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আপনি এখনো একজন কাঙ্ক্ষিত নারী, যাকে দেখলে সদ্য তরুণী বলে ভ্রম হয়। আপনার স্বামী হয়তো আপনাকে "বাচ্চার মা" হিসেবেই দেখে, কিন্তু এই 'অন্য' পুরুষটি আপনার ভেতরের সেই হারিয়ে যাওয়া 'আমি'-কে খুঁজে বের করেছে। কী অসাধারণ অনুভূতি, তাই না? ফাঁদটা এখানেই।

👉২. "ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? ... নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!"

⚛️বিশ্লেষণ: আপনার স্বামী হয়তো আপনার পুরো মুখটাকেই ভালোবাসে। কিন্তু এই পুরুষটি আপনার সৌন্দর্যের এমন এক ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত অংশকে বিশেষভাবে প্রশংসা করছে, যা হয়তো আপনার স্বামী গত পাঁচ বছরেও খেয়াল করেনি। এই নির্দিষ্ট প্রশংসা আপনার মনে স্বামীর বিরুদ্ধে একটা চাপা অভিমান তৈরি করবে। মনে হবে, "এই মানুষটা আমাকে কতটা গভীরভাবে দেখে! আর আমার নিজের মানুষটা তো..."। এই 'গভীরভাবে দেখা'র বিভ্রমই হলো ধ্বংসের প্রথম ধাপ।

👉৩. "মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!"

⚛️বিশ্লেষণ: নিখুঁত চাল! আপনার এবং আপনার স্বামীর মধ্যকার সামান্য মনোমালিন্যের মুহূর্তে তৃতীয় কেউ এসে যখন আপনাকে 'নির্দোষ' এবং 'ফেরেস্তা'র সার্টিফিকেট দেয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর প্রতি আপনার ক্ষোভ বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনি ভাবতে শুরু করেন, "আমি তো আসলেই ভালো, সমস্যাটা তাহলে ওরই"। এই পুরুষটি তখন আপনার কাছে সহানুভূতিশীল বন্ধু বা 'soulmate' হয়ে ওঠে, যে আপনাকে 'বোঝে'। অথচ এর আড়ালে সে আপনার দাম্পত্যের ফাটলটাকে আরও বড় করার কাজেই ব্যস্ত।

👉৪. "একটা কথা বলি আপু! ... আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! ... টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!"

⚛️বিশ্লেষণ: শারীরিক সৌন্দর্যের বাইরে গিয়ে যখন কেউ আপনার কণ্ঠ বা ব্যক্তিত্বের এমন প্রশংসা করে, তখন সেটা আরও গভীরে গিয়ে আঘাত করে। আপনার মনে হতে পারে, এই মানুষটা কেবল আমার শরীর নয়, আমার আত্মাকেও সম্মান করছে। কিন্তু সত্য হলো, এটাও ফাঁদে ফেলার একটি অত্যাধুনিক কৌশল। সে আপনাকে বোঝাতে চাইছে, সে আপনার সবকিছুরই পূজারী। এই পূজা পাওয়ার লোভ সামলানো খুব কঠিন, তাই না? আমি ফারহানা, একজন নারী হিসেবে জানি, এই শব্দগুলোর টান কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।

👉৫. "আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না... দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!"

⚛️বিশ্লেষণ: মারাত্মক অস্ত্র! আপনাকে 'আন্টি' বা বয়স্কের খোলস থেকে বের করে এনে সরাসরি 'বিয়ের যোগ্য' তরুণীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হলো। আপনার অবচেতন মন মুহূর্তেই দশ বছর পেছনে চলে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন করে দেখবেন। আর যে পুরুষটি এই भ्रम তৈরি করলো, তাকে আপনার জীবনের 'মূল্যায়নকারী' বলে মনে হবে।

👉এই তালিকা আরও লম্বা হতে পারতো। "নীল শাড়ীতে আপনাকে কোয়েল মল্লিকের মতো লাগছে", "আমি আপনার মতো বউ পেলে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম" – এ সবই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

👉এবার আসল কথায় আসি। যে পুরুষেরা বিবাহিত নারীদের এভাবে প্রশংসার জালে জড়াতে চায়, তাদের ৯৯.৯৯% এর উদ্দেশ্য কী? আপনাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করা?

না। একদমই না।

👉তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, আপনার শরীর ও সঙ্গ ভোগ করা। তারা কুকুরের মতোই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা জানে, একজন বিবাহিত নারী মানসিক বা শারীরিকভাবে অতৃপ্ত থাকলে, কিংবা স্বামীর কাছে সামান্য অবহেলিত বোধ করলেই প্রশংসার কাঙাল হয়ে ওঠে। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ।

👉তারা আপনাকে বিয়ে করবে না, কারণ তারা কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের লক্ষ্য হলো 'রেডিমেড' ফল খাওয়া। আপনার সাজানো সংসার আছে, আপনার সামাজিক পরিচয় আছে। আপনার সাথে একটা গোপন সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই সবটুকু নিংড়ে নেওয়া যায়। যতদিন ভালো লাগবে, ততদিন চলবে। তারপর? তারপর আপনি আপনার ভাঙা সংসার আর কলঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকবেন, আর সে নতুন কোনো 'ভাবী' বা 'ম্যাডাম'-এর নাকের তিলের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সোজা কথায়, যতদিন 'খাওয়া' যায়, ততদিনই আপনার কদর।

👉যে নারী তার স্বামীকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো, যার জীবনে স্বামীর বিকল্প কেউ ছিলো না, সেই নারীও যখন দিনের পর দিন বাইরের কোনো পুরুষের মুখে নিজের এমন খুঁটিনাটি প্রশংসা শোনে, তখন তার ভাবনার জগতে ঝড় ওঠে।

👉সে ভাবতে শুরু করে:
"আমার স্বামী তো আমাকে এত্ত ভালোবাসে, কিন্তু ও তো কোনোদিন আমার কপালের টিপটা নিয়ে এমন করে কিছু বলেনি!"
"আমি সংসারে সবার জন্য খেটে মরছি, আর ও আমাকে শুধু 'দরকার' হিসেবেই দেখে। অথচ বাইরের ওই লোকটি আমার ভেতরের সৌন্দর্যকে সম্মান করে।"
"আমার স্বামী হয়তো আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে আমাকে 'desire' করে না। এই লোকটি আমাকে বুঝিয়ে দিলো, আমি এখনো কতটা আকর্ষণীয়।"

👉এই ভাবনাগুলোই হলো বিষ। এই বিষাক্ত ভাবনা থেকে জন্ম নেয় দাম্পত্য কলহ। স্বামীর ছোটখাটো ভুলও তখন অসহ্য মনে হয়। আপনি অকারণে খিটখিট করবেন, সামান্য কথায় ঝগড়া করবেন। কারণ আপনার মনে তখন একটা তুলনামূলক বিচার চলছে, যেখানে আপনার স্বামী প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে সেই 'প্রশংসাকারী' পুরুষের কাছে।

👉সুখের সংসারে থাকা একজন নারীও তখন নিজের মধ্যে 'অভাব' খুঁজে পায়। যে অভাবটা আসলে ছিলোই না, সেটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বাইরে থেকে। এরপর শুরু হয় গোপন চ্যাটিং, লুকিয়ে দেখা করা, এবং অবশেষে পরকীয়া—যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

👉একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা" আপনার আত্মসম্মানকে এমনভাবে বাড়িয়ে দেবে যে আপনি আপনার বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে শুরু করবেন। আর এভাবেই একটা জলজ্যান্ত মানুষকে মানসিক এবং সামাজিকভাবে খুন করে ফেলা হয়।

👉আমি জানি, প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা নির্দোষ প্রশংসা আর কোনটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত 'টোপ'। যে পুরুষ আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়, আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সহানুভূতি দেখানোর নামে নাক গলায়, আপনার দাম্পত্যের খুঁটিনাটি জানতে চায়—সে কখনোই আপনার বন্ধু হতে পারে না। সে একজন শিকারি।

👉এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই, অবশ্যই, এবং অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!

👉একই কথা পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিছু নারীও সুদর্শন পুরুষ বা অফিসের বসকে ফ্লার্ট করে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে চায়। ফাঁদ দুই দিক থেকেই হতে পারে।

👉তাই, যদি জীবনে সুখী হতে চান, নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন, তাহলে এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারো মিষ্টি কথায় গলে যাবেন না। যে আপনার রূপের বা গুণের প্রশংসা করে আপনাকে আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়, তাকে সরাসরি ব্লক করুন। কারণ, এই প্রশংসার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত সাপটি ছোবল দেওয়ার আগেই তাকে চিনে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

👉মনে রাখবেন, আপনার স্বামী হয়তো কবি নয়, সে হয়তো প্রতিদিন আপনার নাকের তিলের প্রশংসা করে না। কিন্তু দিনশেষে অসুস্থ হলে মানুষটা সেই-ই আপনার পাশে নির্ঘুম রাত কাটায়। আপনার সন্তানের দায়িত্ব নেয়। আপনার সংসারের ভার বয়। ক্ষণিকের নেশার জন্য এই চিরস্থায়ী আশ্রয়টাকে নষ্ট করবেন না।

👉👉কুকুর হইতে সাবধান।
👉👉কথাগুলো আপনার কাছে কেমন লাগলো জানিনা তবে কথাগুলো কিন্তু একদম সত্যি

Address

Mirpur
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রোমান ভাই posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram