09/01/2022
আসসালামু ওয়ালাইকুম, বর্তমান সময়ের চিকিৎসা ব্যবস্তাটাকে আমার
সাপ লুডুর মত মনে হয়। এটা এমনিতেই বলছি না। প্রায় ১০,১১ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
যখন এই ব্যাপার গুলো জানতাম না,
তখন নিজেরা এই চক্রে পড়েছি,
এখন অন্যকে পড়তে দেখছি।
কিচ্ছু করার নেই।
মানুষ এটাকেই নিয়ম বলেই মেনে নিচ্ছে।
আসলে সে এবিষয়ে জানেই না।
একটা মানুষ যখন ঘর থেকে বের হচ্ছে
চিকিৎসা সেবার জন্য।
সে অবশ্যই কাউকে না কাউকে ভরসা করে বের হচ্ছে।
যে তাকে নিয়ে আসলো সে কি ?
কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ডাঃ এর সাথে যুক্ত আছে ?
আর যদি যুক্ত নাও থাকে তাহলেও সমস্যা নেই,
যানবাহন থেকে নামলেই দেখবেন,
আপনাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত দালাল নামক সাপ গুলো।
যার সাথে আসলেন সেও কিন্তু,,,,,
আবার সবাই কিন্তু এক না।
এখন কোন ডাঃ দেখাবেন ?????
জানেন না ????
তাই না ????
সমস্যা নেই।
ডাঃ দেখালেন,,, বাহ !!!!!!
দুনিয়ার টেস্ট !!!!
যত বেশি টেস্ট ততোই লাভ।
লাভ টা কার ?????
বলতেসি,,,,
টেস্টের ৪০-৫০%,,, যে আপনাকে আনলো তার।
আবার বলছি এটা কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানের জন্য না।
বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলোতে মানুষ এমনিতেই যায়,,
ওরা আবার পুরোটাই খাবে,
কাউকে ভাগ দিবেনা।
আচ্ছা বাকি যে ৫০-৬০% থাকলো,, তার কি হবে ????
তারও গতি হবে।
যিনি পাটাইলেন আপনার প্রতিষ্ঠানে তার সালামি কই ????
আপনি রক্ত, আল্ট্রাসোনগ্রাফি, ই সি জি, ইকো, এক্সে, এন্ডোস্কপি ইত্যাদি করলেন ???
যে ডাঃ গণ রিপোর্ট করলেন,
উনারাকি ডায়াগনস্টিক এর মালিকের,,,,,,
যেখানে বাপের কাছ থেকেও বিল্ডিং ভাড়া নিতে হয়।
পরে ল্যাব টেকনিশিয়ান,
২০-৩০ টা পোলাপাইন,
যারা আপনারে নিয়া দৌড় পারবে,
৪-৫ টা খালা,
বিদ্যুৎ বিল।
১০-১৫ জন ডাঃ যে বসে তাদেরকে তো রাজার হালে রাখতে হয়।
বাবারে বাবা !!!!!!!!!
তাদের যে চাহিদা ???
ও আচ্ছা,,,,,
তারা যে ২-৩ কোটি টাকার মেসিন পত্র কিনল,,
এগুলোর কি কোন ভাড়া নেই ???
আছে।
আর এটাই একজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকের মুনাফা।
এটা কিন্তু আমি একটা ছোটখাট ডায়াগনস্টিক এর গল্প বললাম।
বড় গুলোর ব্যাপারি অন্যরকম।
এখন আসি ক্লিনিকে,,,,
যেখানে সব ধরনের অপারেশন হয়।
গ্রাম থেকে দালাল একটা সিজার করানোর জন্য রোগী আনে,
রোগীকে বলে, "৩০ হাজারের নিচে কোন সিজার হয়না,,
আমার পরিচিত দেখে ২৫ হাজারে করানো যাবে,
"""আহারে !!!!!"
গ্রামের গরিব মানুষ,,
কতইনা কষ্টের টাকা।
কি ভাবছেন ????
ক্লিনিক মালিকের কত লাভ ?
আমিও এইটাই ভাবতাম।
কচু লাভ।
ওই ব্যাটা দালাল তো ক্লিনিককে দিবো ১০-১২ হাজার।
এটা দিয়েই, সার্জন এর চার্জ, তার সহকারীর চার্জ,
শিশু ডাঃ'র চার্জ, সকল মেডিসিন, কেবিন ভাড়া,
অপারেশন থিয়েটারের চার্জ, নার্স, ওটি বয়,
আয়া এদের বেতন, দালান ভাড়া ইত্যাদি।
বাকি সকল অপারেশনের জন্য কাহিনী এটাই।
আর ডাঃ'দের দিনকে দিন চাহিদা বেরেই চলেছে।
২ দিন পর পর চার্জ বাড়াচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের জন্য তাদের যে চাহিদা,
এখন বলি সরকারি হাসপাতালের কথা,,,
সাপের খেলা,,,
যারা কিছু না চিনে তারা যদি কাউরে বলে,
"ভাই,, রক্ত পরীক্ষার ঘরটা কই"""
সাপ গুলো বলে, ""১৫০০ টাকা দেন,
বলছি আমার এক কাছের লোকের কাছ থেকে নিসে।
বেশি বুঝলে যা হয়,
কাজের কাজ কিছুনা করে
সব টাকা পয়সা দালালরে দিয়া
পরে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে।
আচ্ছা যায় হোক,
সাপ লুডুতে সাপ থাকবেই,,,
তার জন্য তো মই আছেই।
সবাই ভাল থাকবেন।
কেউ রাগ কইবেন না।