ডাঃমোঃ রেজাউল করিম অপু

ডাঃমোঃ রেজাউল করিম অপু সকলের সেবার ব্যবস্থা করা

25/11/2025

অতি চঞ্চল (হাইপার) বাচ্চাদের জন্য খাবারের তালিকা থেকে নিচের কিছু খাবার সম্পূর্ণ বাদ বা খুব কম দেওয়া উচিত—কারণ এগুলো চঞ্চলতা, অস্থিরতা, মনোযোগ কমিয়ে দেয়।

❌ যে খাবারগুলো বাদ দেওয়া উচিত (বা যতটা সম্ভব কম)

১) অতিরিক্ত চিনি–যুক্ত খাবার
চকোলেট
কেক, পেস্ট্রি
মিষ্টি, রসমালাই
প্যাকেট জুস
আইসক্রিম
♦️ চিনি হঠাৎ এনার্জি বাড়িয়ে বাচ্চাকে আরও অস্থির করে।

২) রং–যুক্ত খাবার (Artificial Colors)
লাল/হলুদ রঙের টফি, ললিপপ
রঙিন পানীয়
বাচ্চাদের রঙিন জেলি
♦️ রঙিন খাবারে থাকা কেমিক্যাল বহু শিশুকে অতিরিক্ত চঞ্চল করে তোলে।

৩) প্যাকেটজাত স্ন্যাকস
চিপস
চানাচুর
নুডলস (ইনস্ট্যান্ট নুডলস)
বিস্কুট (চিনি বেশি)
♦️ এগুলোতে সোডিয়াম, ফ্লেভার, মনোযোগ কমানোর মতো উপাদান থাকে।

৪) ফাস্টফুড
বার্গার
পিজ্জা
ফ্রাইড চিকেন
♦️অতিরিক্ত ফ্যাট + MSG → হাইপারঅ্যাকটিভিটি বাড়ায়।

৫) সফট ড্রিঙ্ক / এনার্জি ড্রিঙ্ক
কোক/স্প্রাইট/ফান্টা
এনার্জি ড্রিঙ্ক
♦️ ক্যাফেইন + প্রচুর চিনি → আচরণ আরও অস্থির।

৬) অতিরিক্ত চকলেট (বিশেষ করে ডার্ক চকলেট)
♦️এতে ক্যাফেইন থাকে → ঘুম কমায় → চঞ্চলতা বাড়ে।

৭) অতিরিক্ত ভাজাপোড়া
পকোড়া, সিঙ্গারা, সমুচা
♦️ হজমে সমস্যা করে, irritability বাড়ায়।

✅✅যে খাবারগুলো বেশি দেওয়া উচিত (Balanced Alternative)
মাছ (ওমেগা–৩)
ডিম
দই
ফল
শাকসবজি
ওটস/সীম/ডাল
বাদাম/চানা
পানি

✅দিনে চিনি ২০–২৫% কমানোর সাথে সাথেই অনেক বাচ্চার চঞ্চলতা কমে যায়।
খাবার রুটিন ঠিক রাখলে আচরণও স্থির হয়।

©️

08/11/2025

শীতকালীন যে ৪ টি সবজি খেলেই বিপদে পড়বেন থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্তরা :

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন হরেক রকম সবজি। মৌসুমি এসব সবজি খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলো অনেকের জন্য হতে পারে বিপদের কারণ। যারা থাইরয়েড রোগী তাদের শীতকালীন সবজি খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
থাইরয়েড রোগীদের শীতকালীন ৪ সবজি এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
শীতকালীন কিছু সবজি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই থাইরয়েড রোগীদের শীতকালীন ৪টি সবজি এড়িয়ে চলা উচিত।

আজ শীতকালীন ৪ সবজি সম্পর্কে আপনাদের জন্য থাকছে তথ্য -

১. বাঁধাকপি: বাঁধাকপি গোইট্রোজেনিক উপাদান সমৃদ্ধ, যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা বাঁধাকপি বেশি ক্ষতিকর হতে পারে, তাই থাইরয়েড রোগীদের জন্য এটি খাওয়া পরিহার করা উচিত।

২. ব্রোকলি: ব্রোকলিতেও গোইট্রোজেনিক উপাদান থাকে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে এবং হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

৩. ফুলকপি: ফুলকপিও একই ধরনের গোইট্রোজেনিক প্রভাব তৈরি করতে পারে। কাঁচা ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো, কারণ এতে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৪. মূলা: মূলা খাওয়ার অভ্যাসেও শরীর থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে আয়োডিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। যে কারণে থাইরয়েডের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

তাই থাইরয়েড রোগীরা বাঁধাকপি, ব্রোকলি, ফুলকপি ও মূলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি খেতে ইচ্ছা হয় উচ্চতাপে রান্না করে খান। কখনই এসব সবজি রান্না না করে সালাদ হিসেবে খাবেন না।

ডা. মো. রেজাউল করিম অপু

20/10/2025

কোন ব্যথায় ঠান্ডা স্যাক আর কোনটাতে গরম স্যাক দেবেন জানেন? 🤔🌡️

অনেকেই ভুল স্যাক ব্যবহার করে ব্যথা আরও বাড়িয়ে ফেলেন!
চলুন সহজভাবে জেনে নেই 👇

❄️ ঠান্ডা স্যাক (Cold Compress / Ice Pack)

🩹 যখন ব্যবহার করবেন:
✅ নতুন আঘাত, চোট বা ফোলা
✅ হঠাৎ মচকানো বা টান লেগে ব্যথা
✅ রক্ত জমে ফোলা (bruise)
✅ দাঁতের ব্যথা বা ইনফ্লামেশনের জন্য মাথাব্যথা

🕒 সময়: আঘাতের পর প্রথম ২৪–৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, প্রতি বার ১০–১৫ মিনিট করে দিন।

💡 কাজ করার নিয়ম:
ঠান্ডা স্যাক রক্তনালী সংকুচিত করে (vasoconstriction), ফলে ফোলা, ব্যথা ও প্রদাহ কমে যায়।

🔥 গরম স্যাক (Hot Compress / Warm Pack)

🩺 যখন ব্যবহার করবেন:

✅ পেশির টান, ঘাড় বা পিঠের ব্যথা
✅ জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস
✅ পিরিয়ডের ব্যথা (menstrual pain)
✅ পুরনো বা দীর্ঘদিনের ব্যথা, যেখানে ফোলা নেই

🕒 সময়: আঘাতের ৪৮ ঘণ্টা পর বা পুরনো ব্যথায়, প্রতি বার ১৫–২০ মিনিট করে দিন।

💡 কাজ করার নিয়ম:
গরম স্যাক রক্তনালী প্রসারিত করে (vasodilation), ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে, টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছায়, আর পেশি শিথিল হয়ে ব্যথা কমে যায়!

⚠️ সতর্কতা:
🚫 খোলা ক্ষতে গরম স্যাক দেবেন না
🚫 বরফ সরাসরি ত্বকে নয় – কাপড়ের ওপর দিন
🚫 ডায়াবেটিস বা স্নায়ু অসাড়তা থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

📍Dr. Md Rezaul Karim Apu

18/10/2025

🤔 আপনার ডায়াবেটিসের আসল কালপ্রিট(Culprit) কে⁉️ মিষ্টি বা ভাত নয়, আপনার পেটই পর্দার পেছনের আসল খেলোয়াড়!

"পেটের সাথে -ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স" এর সম্পর্ক— এ এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্র, যা আপনার সুগার ও ওজনের আসল নিয়ন্ত্রক! 🚦⚖️

🔺 পেটের চর্বি কি চুম্বকের মতো আটকে আছে, কিছুতেই যাচ্ছে না?
🔺 ভাত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর কি প্রচন্ত ঘুম পায়? 😴
🔺 ঘাড়ে, গলায় বা বগলে কি কালো ছোপ পড়ছে?
🔺 ছোট ছোট আঁচিল ও Skin Tag কি বাড়ছে?
🔺 মিষ্টি বা ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য কি মন সারাক্ষণ ছটফট করে? 🍩
🔺 খাওয়ার একটু পরেই কি আবার ক্ষুধা লাগে?
🔺 খান কিন্তু সারাদিন শরীরে শক্তি পান না, ক্লান্ত লাগে?
🔺 ওজন কমাতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন?
🔺 কাজে মন দিতে পারছেন না, মনোযোগ হারিয়ে ফেলছেন (Brain Fog)?
🔺মাসের পর মাস ডাক্তার দেখাচ্ছেন, ওষুধ খাচ্ছেন, কিন্তু সমাধান মিলছে না?

আপনি হয়তো ভাবছেন—"সব দোষ আমার খাদ্যাভ্যাসের আর অলসতার!" 😔

কিন্তু সত্যিটা হলো, আপনার খাদ্যাভ্যাস বা শরীরচর্চার চেয়েও বড় একজন খেলোয়াড় আছে, যে আপনার পুরো শরীরকে ভেতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে!
আর সেই মাস্টারমাইন্ড কে জানেন?
👉 আপনারই অন্ত্র বা Gut—আপনার শরীরের সবচেয়ে ক্ষমতাধর "সুগার কন্ট্রোল সিস্টেম"!

🏙️ চলুন, আবার আমাদের "শরীর নামক শহরে" ফিরে যাই!
আগের লেখায় আমরা জেনেছিলাম, অন্ত্র হলো এই শহরের প্রধান গেট।
এবার ভাবুন—
শহরের প্রতিটি ফ্যাক্টরির (কোষ) জন্য শক্তির প্রয়োজন, যার কাঁচামাল হলো গ্লুকোজ (চিনি)। আর এই কাঁচামাল ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একজন ট্রাফিক পুলিশ (ইনসুলিন) আছে, যে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা ক্লিয়ার করে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি শহরের প্রধান গেটই (অন্ত্র) ভেঙে যায়, তখন কী হবে?
👉 শহরের নিরাপত্তা, ট্রাফিক সিস্টেম—সবকিছুর চাবি আসলে ঐ গেটের হাতেই!

💥 Gut–Insulin Axis: পর্দার আড়ালের যুদ্ধ ⚔️
আপনার অন্ত্রে বাস করে কোটি কোটি জীবাণুর এক বিশাল সমাজ—Gut Microbiome।
এই সমাজে যখন ভালো নাগরিক (উপকারী ব্যাকটেরিয়া) বেশি থাকে, তখন শহরের ট্রাফিক সিস্টেম (ইনসুলিন সেনসিটিভিটি) একদম নিখুঁত চলে।
কিন্তু যখন দুর্নীতিবাজ সদস্য (খারাপ ব্যাকটেরিয়া) বেড়ে যায়, তখনই শুরু হয় আসল বিশৃঙ্খলা!
🔹 খারাপ খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস বা অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে অন্ত্রের ভালো জীবাণুরা মারা যায়।
🔹 এর ফলে অন্ত্রের ভেতরের দেয়ালে ছিদ্র তৈরি হয়, যাকে বলে "লিকি গাট" (Leaky Gut)।
🔹 এই ভাঙা গেট দিয়ে ক্ষতিকর টক্সিন (বিষ), হজম না হওয়া খাবার ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া সরাসরি রক্তে ঢুকে পড়ে!
এটাকে বলা হয় “Inflammatory Cascade” বা প্রদাহের বন্যা—
একবার এই বন্যা শুরু হলে, আপনার ইনসুলিন সিস্টেম নড়বড়ে হয়ে যায়!

🚨 Gut নষ্ট হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কীভাবে হয়?👇

১️⃣ লিকি গাট (Leaky Gut):
ভাঙা গেট দিয়ে LPS (Lipopolysaccharide) নামক টক্সিন রক্তে প্রবেশ করে। শরীর এই টক্সিনকে শত্রু ভেবে এক জরুরি অবস্থা জারি করে, যাকে বলে Inflammation (প্রদাহ)। এই প্রদাহের আগুনে কোষগুলো এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে, তারা ইনসুলিনের সিগন্যাল আর শুনতে পায় না। ফলাফল—ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স!

২️⃣ Dysbiosis (খারাপ ব্যাকটেরিয়ার রাজত্ব):
খারাপ ব্যাকটেরিয়ারা চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে আরও শক্তিশালী হয় এবং এমন কিছু রাসায়নিক তৈরি করে যা সরাসরি ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয়। অন্যদিকে, ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাবে হজমশক্তি কমে যায়, ফলে রক্তে হঠাৎ করে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।

৩️⃣ বিপাকীয় বিপর্যয় (Metabolic Chaos):
আপনার অন্ত্রের জীবাণু নির্ধারণ করে আপনার শরীর চর্বি জমাবে নাকি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করবে। খারাপ গাট মানে ধীরগতির মেটাবলিজম, যা পেটের জেদি চর্বি ও ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ।

🌿 🧩শহরটাকে এই বিপর্যয় থেকে কীভাবে বাঁচাবেন?

আপনার ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের চিকিৎসা শুরু হোক শহরের গেট (Gut) মেরামত দিয়ে!

🧩 ধাপ ১: ভাঙা গেট মেরামত করুন 👇
লিকি গাট সারানোর জন্য সেরা "সিমেন্ট" হলো:
Bone Broth (হাড়ের স্যুপ): এটি কোলাজেন ও গ্লুটামিনে ভরপুর।
ফার্মেন্টেড খাবার: প্রোবায়োটিকের প্রাকৃতিক উৎস।
কলা ও ফাইবার: ভালো ব্যাকটেরিয়ার খাবার।

🧩 ধাপ ২: দুর্নীতিবাজদের শহরে ঢোকা বন্ধ করুন 👇
🚫 বাদ দিন:
প্রসেসড চিনি ও মিষ্টি পানীয়
গ্লুটেন (আটা, ময়দা, পাউরুটি, বিস্কুট)
ডেইরি (প্যাকেটজাত দুধ, চিজ)
সয়াবিন ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত তেল
ফাস্টফুড ও ভাজাভুজি

🧩 ধাপ ৩: শহরে ভালো নাগরিকের সংখ্যা বাড়ান 👇
🌱 অন্ত্রের ভালো জীবাণু বাড়াতে খান:
প্রচুর ফাইবার: সব ধরনের শাক, সবজি, ইত্যাদি।
প্রিবায়োটিকস: পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচাকলা, ওটস।
ফার্মেন্টেড ফুড: ঘরে পাতা টক দই, পান্তা ভাত, কিমচি, আচার।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: দেশি ঘি, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম, অ্যাভোকাডো।

🧩 ধাপ ৪: শহরে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন 👇
মানসিক চাপ কমান: মেডিটেশন, প্রার্থনা, যোগব্যায়াম করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমান: রাতে ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম অপরিহার্য।
হালকা ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন।
প্রকৃতির কাছে যান: সবুজ পরিবেশে সময় কাটান।

🧩 ধাপ ৫: শরীরের বিপদ সংকেত শুনুন
যখন অন্ত্র অসুস্থ হয়, শরীর আপনাকে ছোট ছোট সিগন্যাল পাঠায়—
পেটে গ্যাস, হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, ক্লান্তি, মিষ্টির লোভ, ওজন বৃদ্ধি—এগুলো হলো "গাটের SOS (Save Our Souls) অ্যালার্ম" 🚨

🚩🚠📣 শুধু ওষুধ দিয়ে ব্লাড সুগার কমানোটা হলো উপসর্গকে চেপে রাখা। শহরের গেট মেরামত না করে শুধু ট্রাফিক পুলিশ বাড়িয়ে দিলে যেমন জ্যাম কমে না, তেমনি অন্ত্রকে সুস্থ না করে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

💚 Asad Holistic Health Center-এর বার্তা:
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কোনো হরমোনের রোগ নয়, এটি মূলত অন্ত্রের অসুস্থতার একটি বিপাকীয় প্রকাশ। আপনার অন্ত্র যখন সুস্থ থাকবে, তখন আপনার কোষগুলো ইনসুলিনের কথা আবার শুনতে শুরু করবে।
তাই শুরু হোক “Gut First Revolution”—যেখান থেকে আপনার শক্তি, ওজন, মেটাবলিজম ও সার্বিক স্বাস্থ্য—সব ফিরে আসবে নিজের প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণে।

✨🌿 শেষ কথা
পরেরবার যখন ব্লাড সুগার বা পেটের চর্বি নিয়ে চিন্তা করবেন, তখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পেটে হাত রাখুন—
কারণ সেখানেই লুকিয়ে আছে আপনার সুস্থতার আসল চাবিকাঠি—আপনার গাট! 👑

আপনার অন্ত্রকে ভালোবাসুন, আপনার শরীর আপনাকে আজীবন ধন্যবাদ জানাবে! ☘️💚

©️ তথ্য গবেষণা ও সংকলনে—
DR MD REZAUL KARIM APU
MBBS

মাসিক চক্র কেন তার সিডিউল মিস করে?জেনে রাখুন কাজে লাগবে --মাসিক চক্র নারীদেহের এক অত্যাশ্চর্য ঘড়ির মতো, যা নিয়ন্ত্রিত ...
14/10/2025

মাসিক চক্র কেন তার সিডিউল মিস করে?
জেনে রাখুন কাজে লাগবে --

মাসিক চক্র নারীদেহের এক অত্যাশ্চর্য ঘড়ির মতো, যা নিয়ন্ত্রিত হয় হাইপোথ্যালামিক-পিটুইটারি-ওভারিয়ান অ্যাক্সিস (HPO Axis) নামে একটি জটিল মস্তিষ্কের-হরমোনের সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে। যখন এই ঘড়ি তার সিডিউল মিস করে, বুঝতে হবে এই সূক্ষ্ম ভারসাম্যে কোথাও বড় ধরনের গোলযোগ ঘটেছে।
আসুন, সংক্ষেপে জেনে নেই কেন এই গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া তার সময়সূচি থেকে সরে যায়—কারণগুলো কিন্তু শুধু 'স্ট্রেস' নয়, বরং অনেক বেশি গভীর!

মূল কারণগুলো সংক্ষেপে:

১. হরমোনের 'ব্রেন ড্যামেজ' (হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া):
তীব্র মানসিক চাপ, ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশকে প্রভাবিত করে। এর ফলে GnRH (গোনাডোট্রপিন-রিলিজিং হরমোন)-এর নিঃসরণ কমে যায়। GnRH কম নিঃসৃত হলে ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় না, ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) হয় না এবং মাসিক বন্ধ থাকে। একেই বলে 'হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া'।

২. PCOS: হরমোনের যুদ্ধে পরাজয়:
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) হলো ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স জনিত একটি সমস্যা, যা অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন ডিম্বাশয়কে নিয়মিতভাবে ডিম্বাণু মুক্ত করতে বাধা দেয়। ডিম্বস্ফোটন না হলে পর্যাপ্ত প্রোজেস্টেরন তৈরি হয় না, যার ফলস্বরূপ মাসিক অনিয়মিত হয় বা মিস হয়।

৩. প্রোজেস্টেরন উইথড্রয়ালের অভাব:
সাধারণত ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা হঠাৎ কমে যায় এবং মাসিক শুরু হয়। একে বলে "প্রোজেস্টেরন উইথড্রয়াল ব্লিডিং"। যখন ডিম্বস্ফোটনই হয় না, তখন পর্যাপ্ত প্রোজেস্টেরন তৈরিই হতে পারে না। ফলে হরমোনের এই 'উইথড্রয়াল ট্রিগার' তৈরি হয় না, এবং মাসিক হয় না।

৪. থাইরয়েড গণ্ডগোল:
থাইরয়েড হরমোন (T3, T4) প্রজনন হরমোনগুলোকেও প্রভাবিত করে। থাইরয়েডের সমস্যায় প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা সরাসরি GnRH নিঃসরণকে দমন করে এবং ডিম্বস্ফোটনে বাধা দেয়।

কি পদক্ষেপ নিবেন?

১. জীবনধারা পরিবর্তন (Scientific Lifestyle Adjustments)
* স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: দৈনিক মেডিটেশন, যোগা বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) এর মাত্রা কমিয়ে GnRH (মাসিক সংকেত) নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখুন।
* ওজন ভারসাম্য: আপনার উচ্চতা অনুসারে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। অতিরিক্ত বা কম ওজন উভয়ই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
* পরিমিত ব্যায়াম: উচ্চ-তীব্রতার বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের ব্যায়ামের পরিবর্তে হালকা কার্ডিও, স্ট্রেংথ ট্রেনিং বা সাঁতার বেছে নিন।
* ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ: খাদ্যতালিকায় কম শর্করা এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় (বিশেষ করে PCOS-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ)।

২. প্রাকৃতিক ও খাদ্যভিত্তিক সমর্থন (Natural & Nutritional Support)
* দারুচিনি (Cinnamon): প্রতিদিন ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো সেবন করুন, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
* ভিটামিন D: পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন D গ্রহণ করুন (রোদ পোহানো বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে), যা ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন উৎপাদনে সহায়ক।
* ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স বীজ, আখরোট বা ফিশ অয়েল সেবন করুন। এটি শরীরের প্রদাহ কমিয়ে হরমোনের কাজে সহায়তা করে।
* B-ভিটামিন (বিশেষত B6): ডিম, মাছ, দুধ ও সবুজ সবজি খান, যা প্রোজেস্টেরন হরমোনকে সহায়তা করে।
* আদা (Ginger): নিয়মিত আদা চা পান করুন, যা জরায়ু অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে।

৩. গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
যদি গর্ভবতী না হওয়া সত্ত্বেও মাসিক তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে, সেক্ষেত্রে আমাকে জানাবেন অথবা নিকটস্থ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডাঃ মো. রেজাউল করিম অপু
এম বি বি এস

28/09/2025

👉ভালো আয় শুরু হলে এই ৭টি বুদ্ধিমানের কাজ করুন
আমরা প্রায়ই ভাবি বেশি আয় মানেই বেশি খরচ, বেশি বিলাসিতা। কিন্তু আসল জাদু ঘটে যখন আপনি টাকাকে খরচ করার সঠিক জায়গা বেছে নিতে শেখেন। ছোট ছোট সিদ্ধান্তই আপনার জীবনকে দীর্ঘমেয়াদে বদলে দেয়।
👉 এখানে ৭টি স্মার্ট শিফট, যা আপনার অর্থকে শুধু খরচ নয়—একটি বিনিয়োগে পরিণত করবে:
১. কম কিনুন, কিন্তু সেরা কিনুন।
অসংখ্য জামাকাপড় নয়, বরং কয়েকটি উচ্চমানের পোশাক রাখুন। এগুলো টেকসই হবে, আর আপনার ব্যক্তিত্বকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
২. প্রিমিয়াম খাবার খান, জাঙ্ক নয়।
ভালো আয় মানে শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি ভালো বিনিয়োগ। আপনার প্লেটে যেন থাকে পুষ্টি, শুধু ভরাট করার খাবার নয়।
৩. সময় কিনে নিন।
গৃহস্থালির কাজের জন্য একজন হেল্পার রাখুন। টাকা দিয়ে সময় কিনে নেওয়া আসলে সবচেয়ে বড় স্মার্ট বিনিয়োগ।
৪. ভালো ঘুমে বিনিয়োগ করুন।
একটি উন্নত মানের ম্যাট্রেসে আপগ্রেড করুন। কারণ ঘুমের মান পাল্টে দিলে আপনার কাজের মানও পাল্টে যাবে।
৫. অভিজ্ঞতায় বিনিয়োগ করুন, শুধু জিনিসে নয়।
টাকা দিয়ে জিনিস কিনলে সেগুলো পুরোনো হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা? তা আজীবন আপনার স্মৃতির ভান্ডারে থেকে যায়।
৬. ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার আপগ্রেড করুন
যিনি আপনাকে এখানে এনেছেন, তিনি সবসময়ই পরবর্তী ধাপে নিতে পারবেন না। নতুন স্তরের জন্য নতুন গাইড দরকার।
৭. উচ্চ-মূল্যের মানুষদের সাথে থাকুন।
আপনার চারপাশের মানুষই আপনাকে গড়ে তোলে। সঠিক পরিবেশে থাকলে আপনার চিন্তা, লক্ষ্য ও সাফল্য নতুন মাত্রা পাবে।
🌱 ছোট ছোট পরিবর্তন। বিশাল প্রভাব।

25/09/2025

📌📌 কোন প্রাণী কামড়ালে কোন ভ্যাকসিন দিতে হয় দেখুন,,,,
🐕 কুকুর / 🐈 বিড়াল
ঝুঁকি ➝ জলাতঙ্ক (Rabies), টিটেনাস
ভ্যাকসিন ➝ Rabies Vaccine ☑️ + TT Injection ☑️
---
🐒 বানর
ঝুঁকি ➝ জলাতঙ্ক, Herpes B virus
ভ্যাকসিন ➝ Rabies Vaccine ☑️ + TT Injection☑️
---
🐀 ইঁদুর / 🐿️ কাঠবিড়ালি / 🐇 খরগোশ / 🦨 বেজি
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, লেপ্টোস্পাইরোসিস
ভ্যাকসিন ➝ TT Injection ☑️
---
🐍 সাপ
ঝুঁকি ➝ বিষ (Neurotoxic / Hemotoxic)
চিকিৎসা ➝ Anti Snake Venom (ASV) ☑️ + TT ☑️
---
🐄 গরু / 🐂 মহিষ / 🐖 শুকর / 🐐 ছাগল / 🐑 ভেড়া
ঝুঁকি ➝ জলাতঙ্ক (সন্দেহজনক প্রাণী হলে), টিটেনাস
ভ্যাকসিন ➝ Rabies Vaccine ☑️ + TT ☑️
---
🐦 পাখি (মুরগি, কবুতর, হাঁস, কাক, টিয়া, ঈগল)
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
ভ্যাকসিন ➝ TT ☑️
---
🐴 ঘোড়া / 🐫 উট / 🦌 হরিণ
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, কখনও কখনও জলাতঙ্ক
ভ্যাকসিন ➝ TT ✅ + প্রয়োজনে Rabies Vaccine ✅
---
🦊 শিয়াল / 🐺 নেকড়ে / 🐻 ভালুক / 🐯 বাঘ / 🐆 চিতা / 🦁 সিংহ
ঝুঁকি ➝ জলাতঙ্ক, গভীর ক্ষত
ভ্যাকসিন ➝ Rabies Vaccine ☑️ + TT ☑️
---
🐘 হাতি / 🦏 গণ্ডার / 🐗 বন শূকর
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, সংক্রমণ
ভ্যাকসিন ➝ TT ☑️
---
🦇 বাদুড়
ঝুঁকি ➝ জলাতঙ্ক (বিশেষ করে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়)
ভ্যাকসিন ➝ Rabies Vaccine ☑️ + TT ☑️
---
🐊 কুমির / 🐢 কাছিম
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
ভ্যাকসিন ➝ TT ☑️
---
🦎 গুইসাপ / 🦖 টিকটিকি জাতীয় প্রাণী
ঝুঁকি ➝ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, টিটেনাস
ভ্যাকসিন ➝ TT ☑️
---
🦀 কাঁকড়া / 🦞 লবস্টার / 🐙 অক্টোপাস
ঝুঁকি ➝ টিটেনাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
ভ্যাকসিন ➝ TT ☑️
---
🗝️🗝️ সারাংশ
Rabies👉🙏 Vaccine ➝ কুকুর, বিড়াল, বানর, গরু, ছাগল, শুকর, শিয়াল, নেকড়ে, বাদুড়, বন্যপ্রাণী ইত্যাদির কামড়ে।
Anti👉 Snake Venom (ASV) ➝ শুধু সাপের কামড়ে।
TT Injection (টিটেনাস টিকা) ➝ প্রায় সব প্রাণীর কামড়ে/আঘাতে।
#প্রাণী
#কামড়
#ভ্যাকসিন

NEED TO KNOW
07/09/2025

NEED TO KNOW

🌻 সানফ্লাওয়ার ব্যাজ (Sunflower Badge) কী?সানফ্লাওয়ার ব্যাজ হলো একটি বিশেষ প্রতীক (সাধারণত সূর্যমুখীর ছবি বা চিহ্নযুক্ত...
03/09/2025

🌻 সানফ্লাওয়ার ব্যাজ (Sunflower Badge) কী?

সানফ্লাওয়ার ব্যাজ হলো একটি বিশেষ প্রতীক (সাধারণত সূর্যমুখীর ছবি বা চিহ্নযুক্ত ল্যানইয়ার্ড/কার্ড/ব্যাজ), যা বিশ্বজুড়ে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা বা নিউরোডাইভারসিটি (যেমন: অটিজম, ADHD, Dyslexia, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ইত্যাদি) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা মানে হলো – যেগুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিন্তু একজন ব্যক্তির জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে।

🌻 কে এই ব্যাজ ব্যবহার করে?
• নিউরোডাইভার্জেন্ট ব্যক্তি – যেমন অটিজম, ADHD, Dyslexia ইত্যাদি যাদের আছে।
• অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতায় ভোগা মানুষ – যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শ্রবণ/দৃষ্টি সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়।
• তাদের অভিভাবক বা সহায়করা – যাতে অন্যরা সহজে চিনতে পারে যে ওই ব্যক্তি অতিরিক্ত সহায়তা বা সময় প্রয়োজন হতে পারে।

🌻 কেন এই ব্যাজ ব্যবহার করবেন?
• অন্যদের জানানোর জন্য যে আপনার অতিরিক্ত সহায়তা, ধৈর্য বা বোঝাপড়া দরকার।
• ভিড়, হাসপাতাল, বিমানবন্দর, সুপারশপ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে কর্মীরা চিনে ফেলবে এবং বিশেষভাবে সহযোগিতা করবে।
• নিজেকে ব্যাখ্যা না করেও বোঝানো যায় যে আপনার কোনো অদৃশ্য চাহিদা আছে।

🌻 এর গুরুত্ব কী?
1. সচেতনতা তৈরি করে – মানুষ বুঝতে শেখে যে সব প্রতিবন্ধকতা চোখে দেখা যায় না।
2. সহানুভূতি বাড়ায় – অন্যরা ধৈর্য ধরবে এবং বোঝার চেষ্টা করবে।
3. সহজ সহায়তা পাওয়া যায় – হাসপাতাল, বিমানবন্দর, স্কুল, অফিসসহ নানা জায়গায় বাড়তি সহায়তা দেওয়া হয়।
4. আত্মবিশ্বাস বাড়ায় – ব্যবহারকারী জানেন যে তিনি একা নন এবং সমাজ তাঁকে বোঝার চেষ্টা করছে।

👉 সংক্ষেপে, সানফ্লাওয়ার ব্যাজ হলো একটি অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা চেনার প্রতীক, যা নিউরোডাইভার্জেন্ট বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য সমাজে সহায়তা, সহানুভূতি ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করে।

👉যে কোন বাবা মার জন্য তার বাচ্চার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এ বিষয়টা এক্সপ্লেইন করা খুবই কষ্টজনক। কিন্তু আমাদের সমাজের অনেক মানুষই এ বাচ্চাদেরকে দেখে বুঝতে পারে না তাই বাবা-মাকে বিভিন্ন ধরনের হেয় প্রতিপন্ন করে এবং নানা ধরনের পরিস্থিতিতে মধ্যে এ পরিবারকে প্রতিনিয়ত যেতে হয়। কিন্তু এই ব্যাচটি দূর থেকে দেখে যে কোন মানুষ ধারণা করতে পারবে এই বাচ্চাকে বিশেষ চাহিদা রয়েছে।

👉আমি আমার সন্তানকে পাবলিক প্লেসে এর রেগুলার এটি পড়াই এবং এর সুফল বর্ণনা করে আমি শেষ করতে পারবো না। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা পরিবর্তন হয় আমার সন্তানের প্রতি এটা আমি প্রতিদিন দেখে আসছি। এই ব্যাচটি আমার বাচ্চাকে পাবলিক প্লেসে স্বাধীনতা দেয় যে, সে একজন অটিস্টিক তার কিছু নিড আছে।

👉আমাদের দেশের মানুষ একদিনই পরিবর্তন হবে না। কিন্তু পরিবর্তনের সূচনা করাটা খুবই প্রয়োজন।

👉আমাদের সন্তানদের একটি সুন্দর পরিবেশ দিতে হলে মানুষগুলোর চিন্তা পরিবর্তন করা খুবই জরুরী এবং আমার বিশ্বাস একদিন আস্তে আস্তে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বাংলাদেশর পরিবেশ পরিবর্তন হবে। ইনসাআল্লাহ।

02/09/2025

অবহেলা করবেন না .......

বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন টিকার আলাদা আলাদা সময়সূচী রয়েছে। সাধারণত, জন্মের পর থেকে শুরু করে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত এই টিকাগু...
13/08/2025

বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন টিকার আলাদা আলাদা সময়সূচী রয়েছে।

সাধারণত, জন্মের পর থেকে শুরু করে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত এই টিকাগুলো দেওয়া হয়। বাংলাদেশে সরকারি টিকাদান কর্মসূচির (EPI) অধীনে যেসব টিকা দেওয়া হয়, সেগুলোর একটি সাধারণ সময়সূচী নিচে দেওয়া হলো:
জন্মের পর
* BCG (বিসিজি): এটি যক্ষ্মা রোগের জন্য দেওয়া হয়। জন্মের পরপরই ১৫ দিনের মধ্যে এটি দেওয়া হয়।তবে কোন কারণে বাদ গেলে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া যায় যেহেতু এটা সরকারি টিকা দিয়ে দেওয়া ভালো, দিয়ে দিবেন।
* Oral Polio Vaccine (OPV) (পোলিও টিকা): জন্মের পর প্রথম ডোজ দেওয়া যেতে পারে।

৬ সপ্তাহ বয়স:
* Pentavalent (পেন্টাভ্যালেন্ট): এটি ৫টি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়: ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি এবং হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি। এটি প্রথম ডোজ।
* PCV (পিসিভি): এটি নিউমোনিয়া রোগের জন্য দেওয়া হয়। এটিও প্রথম ডোজ।
* OPV (ওপিভি): এটি পোলিও রোগের জন্য দেওয়া হয়। এটিও প্রথম ডোজ।
*IPV (আইপিভি):এটি পলিওর ইঞ্জেকশন টিকার প্রথম ডোজ।।
১০ সপ্তাহ বয়স:
* Pentavalent (পেন্টাভ্যালেন্ট): এটি দ্বিতীয় ডোজ।
* PCV (পিসিভি): এটি দ্বিতীয় ডোজ।
* OPV (ওপিভি): এটি দ্বিতীয় ডোজ।

১৪ সপ্তাহ বয়স:
* Pentavalent (পেন্টাভ্যালেন্ট): এটি তৃতীয় এবং শেষ ডোজ।
* PCV (পিসিভি): এটি তৃতীয় এবং শেষ ডোজ।
* OPV (ওপিভি): এটি তৃতীয় ডোজ।
* IPV (আইপিভি): এটি পোলিওর ইনজেকশন টিকা। এটি ২য় ডোজ।

৯ মাস বয়স:
* Measles & Rubella (MR) (হাম-রুবেলা): এই টিকাটি হাম এবং রুবেলা রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

১৫ মাস বয়স:
* Measles (হাম): এটি হাম রোগের জন্য দেওয়া হয়।

এই সময়সূচীটি বাংলাদেশের সরকারি টিকাদান কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

কিছু বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে এর বাইরেও কিছু টিকা দেওয়া হতে পারে, যেমন: রোটাভাইরাস, চিকেন পক্স, হেপাটাইটিস এ, ইত্যাদি।।।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
* টিকা দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো নির্দিষ্ট বয়স বা সপ্তাহের মধ্যে।
* নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে টিকা দিলে তা অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে, যতটা সম্ভব দ্রুত টিকা দিয়ে দেওয়া উচিত।
* টিকা দেওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আপনার নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভালো।

07/08/2025

নবজাতক জন্মের কত সময় পরে প্রসাব করে?

সাধারণত নবজাতক শিশু জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব করে। তবে অধিকাংশ শিশু জন্মের ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম প্রস্রাব করে ফেলে।

বিস্তারিত:

৬–১২ ঘণ্টা: বেশিরভাগ নবজাতক এই সময়ের মধ্যে প্রস্রাব করে।

২৪ ঘণ্টা: যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও প্রস্রাব না করে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটা হতে পারে প্রস্রাবনালী বা কিডনির কোনো সমস্যা।

মেকোনিয়াম (প্রথম পায়খানা) সাধারণত জন্মের প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যায়, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।

সতর্কতা:

যদি শিশুর জন্মের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে যায় এবং সে একবারও প্রস্রাব না করে:

জন্মকালীন জটিলতা,

কিডনি বা ইউরিনারি ট্র্যাক্টের গঠনগত সমস্যা,

পানি কম খাওয়া বা বুকের দুধ না পাওয়া—এসব বিষয় বিবেচনা করতে হয়।

🔔 পরামর্শ: নবজাতকের প্রস্রাব ও পায়খানার সময় পর্যবেক্ষণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অসংগতি দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

Address

Bhaluka
Mymensingh
2240

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃমোঃ রেজাউল করিম অপু posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram