14/09/2025
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বোঝাপড়া না হওয়ার কারণ হচ্ছে পরস্পরের প্রতিযোগিতার মনোভাব। যে যার জায়গায় নিজেকে জাহির করতে চায়, বড়ো ভাবতে চায়। একজন আরেকজনকে বুঝবে তো দূরের কথা, উল্টো একে-অপরকে নিয়ে অভিযোগ করতে থাকে।
দাম্পত্য জীবনে প্রতিযোগীতার মনোভাব স্বামী-স্ত্রী কাউকেই সুখী করে না। একজন যতটুকু ছাড় দিয়ে চলে, অপরজন বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী কেউ কোনো প্রতিযোগিতা দেখায় না। বরং নিজের কর্তৃত্ব বিস্তারে সঙ্গীকে মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
সঙ্গীর সবচাইতে কাছের মানুষ হয়েও যখন তাকে বিন্দুমাত্র বোঝার চেষ্টাটুকুও করা হয় না, তখন সেই দাম্পত্য জীবন অশান্তিতে পরিপূর্ণ হতে থাকে! একজনের জন্য অপরজন যখন স্যাক্রিফাইস করে, যখন মানিয়ে চলে এবং ভরসা দেয়, তখনই কেবল একজন মানুষ দাম্পত্য জীবনে নিজেকে সুখী ভাবতে পারে।
দাম্পত্য জীবন সবার জন্যই সুখের হয় না! তবে যারা পরস্পরের দিক থেকে সঙ্গীর প্রতি যত্নবান, এবং সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করে, ঠিক তারাই কেবল দাম্পত্য জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে।
পরস্পরকে দোষারোপ করে, একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখন সংসারে অশান্তি আর ঝামেলা লেগেই থাকে! স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার ব্যাপারটা আসেই মূলত দুজন দুজনের দিক থেকে মানিয়ে চলার মাধ্যমে৷ যখনই সংসারে খবরদারি এবং কর্তৃত্ব বিস্তারে সঙ্গীর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়, তখনই সংসারে অশান্তি নেমে আসে!
পাত্র পাত্রী চাই (নড়াইল জেলা) Marriage Media Narail