Nazat medical & diagnostic center

Nazat medical & diagnostic center Nazatmedical

নাজাত মেডিকেল এর পক্ষ থেকে বক্স নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের  BLOOD GROUPING কার্যক্রম,,,,,,,,👨‍⚕️👩‍⚕️
27/09/2021

নাজাত মেডিকেল এর পক্ষ থেকে বক্স নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের BLOOD GROUPING কার্যক্রম,,,,,,,,👨‍⚕️👩‍⚕️

02/09/2021

কোলেস্টরল এর ঝুঁকি বাড়ায় ডিম

ডিম পছন্দ করেন এমন লোকদের কাছে খবরটি মোটেও সুখের নয়। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েটারি কোলেস্টেরলের একটি বড় উৎস ডিম। ফলে এটি হৃদরোগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত তিন দশক ধরে ৩০ হাজার মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্ত পৌঁছেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র তিন থেকে চারটি ডিম খেলে হৃদরোগের উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি বাড়ে ছয় শতাংশ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে চার শতাংশ।

গবেষকরা বলেছেন, বার্তাটি আসলে কলেস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর ডিমে রয়েছে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল বিশেষ করে ডিমের কুসুমে। স্বাস্থ্যকর খাবারের অংশ হিসেবে সবাইকে কম পরিমাণ কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে হবে। যারা কম কোলেস্টেরল গ্রহণ করে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম।

ডিম বিষয়ে এ ধরনের বার্তা এই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে পুষ্টি, কৃষি এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডিম খাওয়ার পরিমাণ সপ্তাহে চারটিরও কমের ভেতর সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল। পরিবর্তে তাঁরা শস্য, বাদাম এবং ফল খাওয়ার কথা বলেছিলেন।

29/08/2021

যেসব কারণে বন্ধ হতে পারে ফাস্টফুড খাওয়া

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ‌ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণে সচেতনতা সত্ত্বেও ‌এখনো মানুষের স্থূলতার একটি প্রধান কারণ ফাস্টফুড গ্রহণ। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৩০ বছর আগে ফার্স্টফুড যতটা অস্বাস্থ্যকর ছিল এখন তার চেয়ে বেশি অস্বাস্থ্যকর এবং এটি ক্রমবর্ধমানভাবে মানুষের স্থূলতা বাড়িয়ে চলেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ফার্স্টফুডের আকার, এতে ব্যবহৃত ক্যালোরি এবং সোডিয়াম কনটেন্ট গত তিন দশক ধরে বেড়েছে। এই স্থূলতা ও সংশ্লিষ্ট রোগ বৃদ্ধির জন্য আমাদের খাদ্য পরিবেশের পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে অস্বাস্থ্যকর ফার্স্টফুড বৃদ্ধির ঘটনা এর ফলে স্থূলতায় মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

গবেষণার ফল ‘জার্নাল অব দ্য একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ফার্স্টফুড রেস্তোরাঁগুলোর ১০টিতে পরিবর্তনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, ফার্স্টফুডের ক্যাটাগরির সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে স্থূলতার জন্য দায়ী উপাদানের ব্যবহারও।

গবেষণা বলছে, ফার্স্টফুডে ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ হলো মূল খাবার আইটেম ও ডেজার্টের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি। ১০টি মেনুর পুরো ক্যাটাগরিজুড়ে দেখা গেছে তাতে ব্যবহৃত সোডিয়ামের পরিমাণও বেশি। এদিকে, ডেজার্টে দেখা গেছে আয়রণ ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি যা হাঁড়ের স্বাস্থ্যের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি।

22/08/2021

বৈশাখের খাবার দাবার

এসে গেল বৈশাখ। বৈশাখ মানেই গ্রীষ্মের শুরু। আর নববর্ষ মানে ভোর থেকে ঘোরাফেরা, সাজগোজ, আনন্দ। কিন্তু এই গরমে খাবারদাবারের বেলায় একটু সতর্কতা তো লাগবেই। নয়তো অসুস্থ বোধ করতে পারেন।

গরমে বাইরে রোদে ঘোরাঘুরি করলে দ্রুত শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। সে জন্য সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি রাখুন। বাড়িতে এদিন কেউ বেড়াতে এলে আপ্যায়ন করুন তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত দিয়ে। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবুর শরবত বা আখের রস মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খুব বেশি ঘেমে গেলে বা মাথা ঝিমঝিম করলে ওরস্যালাইনও খেতে পারেন।

পান্তা-ইলিশ বা ভর্তা-ভাজি খেয়ে অনেকেরই পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা, বমি ভাব এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই বুঝেশুনে খান। ভর্তায় অতিরিক্ত ঝাল না দেওয়াই ভালো। বেশি মসলাযুক্ত খাবারে গরম বেশি লাগে। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। ধীরে ধীরে খান। খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না। অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি নিন।

শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে বাইরের পান্তা, ইলিশ, চটপটি, ফুচকা, আচার, শরবত ইত্যাদি দেবেন না। এগুলো অনিরাপদ। শিশুদের যেন পানিশূন্যতা বা হিট স্ট্রোক না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। ছোট শিশুকে নিয়ে সারা দিনের জন্য বের হলে সঙ্গে টিফিন বাটিতে নুডলস, খিচুড়ি, পায়েস-জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই ফ্ল্যাস্কে পানি বা ফলের রস নিন।

গরমে চা, কফি বেশি খেলে গরম বেশি লাগে, ঘামও হয়। ক্যাফেইন আরও পানিশূন্য করে দিতে পারে। এবার জেনে নিন বৈশাখের ঘোরাঘুরিতে কী ভালো।

■ ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক স্যালাইন, কেননা এতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে।

■ লেবুপানি: লেবুর পানি গরমে দ্রুত স্বস্তি এনে দেয়। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আছে এতে।

■ কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা গরমে আরাম দেয়। সামান্য জিরার গুঁড়া লবণ মিশিয়ে খেলে প্রশা‌ন্তি পাবেন।

■ তরমুজের রস: তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ। এটি পানিশূন্যতা দ্রুত রোধ করে। হজমেও সাহায্য করে।

■ দই বা দইয়ের শরবত: গরমকালে দই খুব উপকারী। দইয়ের মধ্যে জিরা, আদা, পুদিনাপাতা ও পছন্দমতো চিনি দিয়ে ফেটিয়ে খেলে আরাম পাবেন।

■ বেলের শরবত: গরমে পেট ঠান্ডা রাখে বেলের শরবত। পেট পরিষ্কার ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

■ আখের রস: বাড়িতে তৈরি আখের রসে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, গ্লুকোজ ও ম্যাগনেশিয়াম পাবেন। আখের রস হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

এ ছাড়া এই বৈশাখে অতিথি আপ্যায়নে বা বাড়িতে রাখুন ফলের সমাহার। শসা, টমেটো, কাঁচা সালাদ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদিতে জলীয় অংশ অনেক বেশি তাই এই গরমে এগুলো খাওয়া ভালো।

14/08/2021

করোনা যা খাবেন আর কি খাবেন না

ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৬ লাখ, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ ।

এই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা খাদ্য তৈরি, সংরক্ষণ ও পরিবেশন বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি যা আমরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করতে পারি। এ সময়ে আমাদের কিছু বিষয় জানতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

যেসব খাবার খাবেনঃ
১। আমিষ সমৃদ্ধ খাবারঃ পরিমিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বা ডাল এর যেকোন একটি আমিষ সমৃদ্ধ খাবার খান এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

২। স্যুপ বা তরল জাতীয় খাবারঃ ভেজিটেবল বা চিকেন স্যুপ, ডাবের পানি, হালকা গরম পানির সাথে মধু, লেবু বা আদা রস করে খান। সেই সাথে সকাল-বিকাল হালকা গরম চা পান করুন।

৩। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফল খান। সবুজ শাক-সবজি ও হলুদ ফলমূল যেমন আমলকি, পেয়ারা, কলা, লেবু, কমলা ইত্যাদি ফল খান। ফল ভালভাবে ধুয়ে খেতে হবে, অনেক আগের রান্না সবজি বা কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ ব্যায়াম আপনার শরীরের মাংসপেশীকে অ্যাকটিভ করে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই প্রতিদিন ঘরে বসে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেনঃ
১। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবারঃ শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

২। প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার বা প্রসেস ফুডসঃ অতিরিক্ত সুগার ও সল্ট জাতীয় প্রসেস ফুডস এড়িয়ে চলুন কারন এ জাতীয় খাবার পুরোপুরি হজম না হওয়ায় আপনার শরীরে টক্সিক উপাদান জমা হতে থাকে যা ক্রমশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

৩। কাচা সবজি বা অর্ধসিদ্ধ খাবারঃ কাচা সবজি, সালাত ও অর্ধসিদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । ফ্রিজে রাখা খাবার অবশ্যই গরম করে খেতে হবে।

৪। ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবারঃ ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার রোগ ক্ষমতা কমাতে পারে তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে পরিহার করা ভালো।

বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন। এখন বাসায় বসেই ভিডিও কলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন mDoctor অ্যাপের মাধ্যমে

10/08/2021

সর্দি কাশিতে ভিটামিন সি কতটা উপকারী

মৌসুম বদলের সময় সর্দি-কাশি খুবই পরিচিত সমস্যা। সচরাচর আমরা একে ঠান্ডা লাগা বলে থাকি। এর জন্য প্রায় ২০০ রকমের ভাইরাসকে দায়ী করা হয়। সর্দি-কাশি হলে জ্বর থাকতেও পারে, আবার না-ও পারে। তবে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এর সঙ্গে প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয়, শরীর ম্যাজম্যাজ করে; হাঁচি, সর্দি, মাথাব্যথা, গলাব্যথাসহ নানা রকম লক্ষণ-উপসর্গ প্রকাশ পায়। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রচুর ভোগান্তি হয়।

ভাইরাসজনিত ব্যাধি হওয়ায় এমন সর্দি-কাশিতে অ্যান্টিবায়োটিকও কোনো কাজ করে না। কথায় বলে, ওষুধ খেলে সর্দি-কাশি গড়ে ১৮ দিনে সারে, না খেলেও একই। এসব জানা সত্ত্বেও আমরা সর্দি-কাশির ওষুধের জন্য হন্যে হয়ে পড়ি। সচরাচর প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহৃত হয় এই সমস্যায়। কখনো কফের জন্য সিরাপজাতীয় ওষুধ খান অনেকে, যা আসলে তেমন কোনো উপকার করে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকেরও কোনো ভূমিকা নেই। অনেকে এই সময় ভিটামিন সি বড়ি চুষে খান।

সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে ভিটামিন সি কোনো কাজ করে কি না, তা নিয়ে বিগত সাত দশকের ওপর বিতর্ক চলছে। ভিটামিন সি-এর ব্যবহার সম্পর্কে ৭২টি গবেষণার ফলাফল আবার নতুন করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ২০টি গবেষণায় ১১ হাজার রোগীর সর্দি-কাশি প্রতিরোধে ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এতে কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। মাত্র ৩ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু উপকার করেছে। তবে যাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন (যেমন: ম্যারাথন দৌড়বিদ, মরু এলাকায় কর্মরত সৈনিক), তাঁদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে সর্দি-কাশির হার প্রায় অর্ধেক কমানো সম্ভব হয়েছে। ৩১টি গবেষণায় ১০ হাজার রোগীর সর্দি-কাশির স্থায়িত্বকাল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রোগের সময়কাল কমানোর ক্ষেত্রেও ভিটামিন সি-এর তেমন কোনো ভূমিকা নেই। সবশেষে বিচার করা হয়েছে উপসর্গের তীব্রতা কমানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন সি-এর ভূমিকা। সেখানেও কোনো ভালো ফল পাওয়া যায়নি। দেখা যাচ্ছে, শিশুদের দৈনিক ১ থেকে ২ গ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ালে তাদের সর্দি-কাশির তীব্রতা কিছু কমে। কিন্তু এত উচ্চমাত্রায় ভিটামিন শিশুদের খাওয়ানো আবার কতটুকু নিরাপদ, সে প্রশ্ন রয়েই যায়।

তাহলে কী দাঁড়াল? সর্দি-কাশির আসলে তেমন জুতসই কোনো দাওয়াই নেই। এ রকম প্রচণ্ড গরমে ও মৌসুম বদলের সময় পরিবেশে ফ্লু জাতীয় ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আক্রান্ত হলে উপসর্গ কমানোর জন্য কিছু ওষুধ ছাড়া তেমন কিছু করার নেই। প্রচুর পানি পান করুন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, বিশ্রাম নিন। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে চেষ্টা করুন। এ রোগ নিজে নিজেই সারে, তাই অধৈর্য হবেন না।

27/07/2021

খাবার খাওয়ার পর কেন ১০ মিনিট হাঁটা উচিত? উপকারিতা জানালেন বিশেষজ্ঞরা

ভাতঘুমকে জন্মগত অধিকার হিসেবেই ধরে নেন অনেকে। অফিসে থাকলেও দুপুরের খাবারের পর একটু জিরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। “খাবার খেলেই যেন শরীরটা ছেড়ে দেয়” – এই কথাটি বাঙালির কাছে খুবই পরিচিত। কিন্তু আলস্যের এই শব্দেই শরীর ক্ষতি হতে পারে। শরীরকে যতো সচল রাখবেন, ততোই সুস্থ থাকবেন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মর্নিং কিংবা ইভনিং ওয়াক করেন।
কিন্তু খাবার খাওয়ার পর? পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর অনেকেই বিশ্রামের উপায় খোঁজেন। তাতেই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটা খুবই প্রয়োজন। কী লাভ তাতে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,

১) খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে হজম শক্তি বাড়ে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক কম হয়।

২) খাওয়ার পরই বিশ্রাম নিলে শরীরে মেদ জমতে পারে। একটু হাঁটাচলা করে নিয়ে সেই সমস্যা খুব একটা হয় না।
৩) ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেটের মতো খাবার বার্ন করার জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। এই মোক্ষম হাতিয়ারেই আপনার শরীরের মধ্যপ্রদেশ স্লিম থাকবে।

৪) সুগারের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পর হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ খাবারের পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেঁটে নিলে তা অনেকটাই কমে যায়।
তবে হ্যাঁ, খাবার পরই খুব জোরে হাঁটবেন না। এই সময়ের হাঁটা হবে অল্প গতিতে। রিল্যাক্স করে হাঁটবেন তাতেই উপকার পাবেন। অযথা বেশি পরিশ্রম শরীরের পক্ষে ভাল নয়। প্রথমেই ১০ মিনিট হাঁটার প্রয়োজন নেই। ৫ থেকে ৬ মিনিট হাঁটতে শুরু করুন। তারপর সময় বাড়াবেন। সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।

11/05/2021

লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় থাকে প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম, ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার। ফলে চিকিৎসকরা লেবুর খোসা খেতে উৎসাহিত করে থাকেন।

★ হার্টের উন্নতি

লেবুর খোসার পলিফেনল উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

★ রক্ত সরবরাহের উন্নতি

লেবুর খোসা খেলে সারা শরীরে রক্ত সরবারহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের রোগই দূর হয়।

★ লিভার ফাংশনে উন্নতি

নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে, লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে।

★ স্ট্রেস কমে

লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

★ হাড় শক্ত হয়

প্রচুর ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

★ ওজন কমে

পেকটিন প্রচুর মাত্রায় থাকায় ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এ উপাদান শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

★ ত্বকের সৌন্দর্য

লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।

28/04/2021

COVID রোগীরা কীভাবে রান্নাঘর ও বাথরুম ব্যবহার করবেন? বাড়িতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করবেন কীভাবে, জানুন...

সংক্রমণ এখন জল-ভাতের মতো হয়ে গেছে। কখন হবে, কার হবে কেউ জানে না। নিয়ম মেনে ঘরে বসে থাকলেই যে পার পাওয়া যাবে, এমনও নয়।

চিকিৎসা নিয়েও প্রচুর বিভ্রান্তি। সরকারি হাসপাতালে সহজে জায়গা পাওয়া যায় না। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ বেলাগাম, স্থানও অকুলান। ফলে যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ তেমন নেই বা হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে তাঁদের ঘরেই আর সবার থেকে আলাদা করে আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। সঙ্গে চলছে চিকিৎসা ও নজরদারি।

বিছানা, ওষুধ এমনকি থার্মোমিটার এবং অক্সিজেন মিটারের মতো বেসিক সরঞ্জামগুলির জন্য লোকেরা লড়াই করছে। চিকিৎসকদের মতে, সংক্রামিত বেশিরভাগ লোকের হয় হালকা লক্ষণ থাকে বা তাদের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। যদি কোনও বিশেষ সমস্যা না হয় তবে লোকেরা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বসে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁদের আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তাঁদের মধ্যে জীবাণু থাকার আশঙ্কা আছে তাঁদেরই কোয়রান্টিনে রাখার কথা। কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত না হলে বেশিরভাগকেই থাকতে বলা হচ্ছে। আপনার যদি খুব বেশি সমস্যা না হয় তবে ঘরে বসে নিজেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ করার চেষ্টা করুন।

লক্ষণগুলি শনাক্ত করুন
সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য, প্রথমে লক্ষণগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কোভিড -১৯ এ সংক্রামিত হয়েছেন কিনা কীভাবে জানবেন? আপনার যদি জ্বর হয়, ক্রমাগত কাশি হয়, খাবারে স্বাদ না লাগে, গন্ধ চলে যায়, শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, মাথা ব্যথা হয়, ক্লান্তি হয়, শরীরে ব্যথা হয় এবং গলা ব্যথা হয়, তবে নিজেকেই বাড়িতে আলাদা করে নিন। কারণ, এগুলি সমস্ত করোনার লক্ষণ। এর পরে পরীক্ষা করে যদি পজিটিভ আসে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কীভাবে নিজেকে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখবেন?
কোভিড পজিটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে নিজেকে একটি ঘরে লক করুন। বাড়িতে থাকুন এবং চিকিত্সা জরুরী অবস্থা না থাকলে বাড়ি ছেড়ে বেরবেন না। এমনকি যদি আপনি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন তবে ১৪ দিনের জন্য নিজেকে আলাদা করে দিন। এই সময়ে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

আইসোলেশনে থাকার সময় ঘরটির বায়ুচলাচল যেন পর্যাপ্ত থাকে
স্ব-বিচ্ছিন্ন হতে, এমন একটি ঘর চয়ন করুন যেখাতে ভালো বায়ুচলাচল করে। মনে রাখবেন, যে আপনাকে এই ঘরে ১৪ দিন থাকতে হবে, তাই ঘরটি বায়ুচলাচল করা উচিত। যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ওষুধ এবং খাবার গ্রহণের সময় পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসবেন না।

আপনার ব্যবাহার করে পাত্র, তোয়ালে এবং বিছানাকে আলাদা রাখুন। কারোর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। ঘরের ভিতরে মাস্ক পরুন। বারবার, হাত, নাক এবং মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রান্নাঘরে যাবেন না
সংক্রামিত ব্যক্তিকে রান্নাঘরে যেতে দেওয়া হয় না। তবে সেই ব্যক্তি যদি ঘরে একা থাকে বা তিনি নিজে রান্নাঘরের দায়িত্ব নিতে হয় সে ক্ষেত্রে রান্না করে খেতে হবে নিজেকে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য রোগীর ঘরে খাবার দিতেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ব্যবহার করা বাসন গরম জলে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

বাথরুম ব্যবহার কেমন করে করবেন?
করোনা রোগীর সবসময় আলাদা বাথরুম ব্যবহার করা উচিত। ঘরে যদি অন্য কোনও ওয়াশরুম না থাকে তবে রোগীর ব্যবহারের পরে ওয়াশরুমটি ভালো করে পরিষ্কার করুন। সবার ব্যবহারের পর তাঁকে ব্যবহার করতে দিন।

প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
এখন আপনি আলাদা ঘরে রয়েছেন, আপনার নিজের যত্নও নিতে হবে। এই কঠিন সময়ে নিজেকে হাইড্রেট করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং তরল খান। যতটা সম্ভব গরম জল পান করুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

কখন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
যদি রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে যেমন জ্বর বেড়ে যায় বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

20/04/2021

ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৬ লাখ, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ ।

এই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা খাদ্য তৈরি, সংরক্ষণ ও পরিবেশন বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি যা আমরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করতে পারি। এ সময়ে আমাদের কিছু বিষয় জানতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

যেসব খাবার খাবেনঃ
১। আমিষ সমৃদ্ধ খাবারঃ পরিমিত মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বা ডাল এর যেকোন একটি আমিষ সমৃদ্ধ খাবার খান এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

২। স্যুপ বা তরল জাতীয় খাবারঃ ভেজিটেবল বা চিকেন স্যুপ, ডাবের পানি, হালকা গরম পানির সাথে মধু, লেবু বা আদা রস করে খান। সেই সাথে সকাল-বিকাল হালকা গরম চা পান করুন।

৩। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফল খান। সবুজ শাক-সবজি ও হলুদ ফলমূল যেমন আমলকি, পেয়ারা, কলা, লেবু, কমলা ইত্যাদি ফল খান। ফল ভালভাবে ধুয়ে খেতে হবে, অনেক আগের রান্না সবজি বা কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ ব্যায়াম আপনার শরীরের মাংসপেশীকে অ্যাকটিভ করে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই প্রতিদিন ঘরে বসে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেনঃ
১। শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবারঃ শর্করা জাতীয় খাবার যেমন- ভাত, রুটি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

২। প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার বা প্রসেস ফুডসঃ অতিরিক্ত সুগার ও সল্ট জাতীয় প্রসেস ফুডস এড়িয়ে চলুন কারন এ জাতীয় খাবার পুরোপুরি হজম না হওয়ায় আপনার শরীরে টক্সিক উপাদান জমা হতে থাকে যা ক্রমশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

৩। কাচা সবজি বা অর্ধসিদ্ধ খাবারঃ কাচা সবজি, সালাত ও অর্ধসিদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । ফ্রিজে রাখা খাবার অবশ্যই গরম করে খেতে হবে।

৪। ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবারঃ ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার রোগ ক্ষমতা কমাতে পারে তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে পরিহার করা ভালো।

16/04/2021

আদা খাওয়ার উপকারিতা কী কী?
আদার উপকারিতা ও অপকারিতা:

আদা প্রকৃতির এক আশীর্বাদ স্বরুপ। আদার গুণাগুণে চিকিৎসকরা মুখরিত। আবার আদা শরীরের জন্য খুবই বেশি উপকারী এবং কোনো কোনো সময় আদা আমাদের শরীরে অপকারী বা ক্ষতি করে।

আদা (দক্ষিণ-পূর্ব) এশিয়ার স্থানীয় এক প্রজাতি এবং আদার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গুণাগুণ ও উপকারিতা। শুকনো আদা বা ভেজা আদা দুভাবেই খাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে আদাকে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করি। আবার আদা খাদ্যশিল্পে বিভিন্ন রকম পানীয়, আচার, ঔষুধ, আতর ও সুগন্ধি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।(ginger beer)

আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল(Anti-bacterial) এজেন্ট, ফলে শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস বা নষ্ট করে। আরোও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম ও জিঙ্ক, লবণ, পটাশিয়াম, ভোলাটাইল, অয়েল ইত্যাদি। দৈনন্দিন জীবনে আদাকে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করি। আবার আদা খাদ্যশিল্পের বিভিন্ন পানীয়, আচার, ঔষুধ ও সুগন্ধি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১০০ গ্রাম(gram) আদাতে যা যা আছে:

1. এনার্জি: ৮০ ক্যালরি
2. কার্বোহাইড্রেট: ১৭ গ্রাম
3. ফ্যাট: ০.৭৫ গ্রাম
4. পটাশিয়াম: ৪১৫ মিলিগ্রাম ও
5. ফসফরাস।

আদা খাওয়ার উপকারিতা :

আদা খাওয়ার উপকারিতা

১. জ্বর, সর্দি, কাশি,শরীরের যেকোন ব্যথা বা বেদনা ইত্যাদিতে হলে আদা খাবেন। আদা খেলে শরীরের প্রায় সব রোগ দূর হয়ে যায়। কারণ আদা মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যতা রক্ষা করে। তাই শীত সময়ে আদার চা খুবই বেশি উপকারী।

২. আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা রস খুবই উপকারী।

৩. গা গোলানো ও বমিভাব হলে কয়েক কুচি আদা খেলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৪. আদার রস রক্তশূন্যতা বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

৫. অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে বা কমাতে আদা সাহায্য বা সহযোগিতা করে। কারণ-আদার টিস্যু বেশি পরিমানে এনার্জি ব্যবহার করে। যার ফলে বেশি ক্যালরি বার্ন বা নষ্ট হয়।

11/04/2021

কাঁচা রসুন খেলে কী কী উপকার হয়:

ব্রেনের অসুখ দূরে থাকে : রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে নানাবিধ নিউরোডিজেনারেটিভ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত অ্যালঝাইমার্স মতো রোগ দূরে থাকে।
===================
(১)হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে :
=================== রসুনে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে।
=========================
(২)জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে :
========================= ওয়েদার চেঞ্জের সময় যারা সর্দি-কাশিতে খুব ভুগে থাকেন। তারা আজ থেকেই দু কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন আর কোনও দিন এমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসদের আক্রমণে শরীরের কাহিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
====================
(৩)সংক্রমণ সব দূরে থাকে :
====================রসুনে থাকা একাধিক কার্যকরি উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে যে কোনও আধুনিক মেডিসিনের থেকে তাড়াতাড়ি কাজে আসে। প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেলে এমন ধরনের সব রোগের খপ্পরে পরার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
======================
(৪)ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে থাকে :
====================== রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো দেহের সালফারের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
=================
(৫)ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে :
================= শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেই সঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্য়ে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন যদি থেঁতো করা রসুন চুলে লাগানো যায়, তাহল দারুন উপকার মেলে।
===============
(৬)রক্ত বিষমুক্ত হয় :
=============== প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে দুটি রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
===============
(৭)ইমিউনিটি বাড়ে :
===============রসুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহের আনাচে-কানাচে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। আর একবার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠলে একদিকে যেমন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
=========================
(৮)ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসে :
========================= কেটে গেলে এবার থেকে ক্ষতস্থানে এক টুকরো রসুন রেখে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। তাহলেই দেখবেন জ্বালা-যন্ত্রণা কমে যাবে। সেই সঙ্গে ক্ষতও সারতে শুরু করবে। রসুনে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো যন্ত্রণা কমাতে এটি এতটা কাজে লাগে।
==============================
(৯)ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে :
==============================প্রতিদিন রসুন খেলে পাকস্থলী এবং কলোরেকটাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই যাদের পরিবারে এই ধরনের ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে তারা রসুন খাওয়া কোনও দিন বন্ধ করবেন না। দেখবেন উপকার পাবেন।
=====================
(১০)হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে :
=====================নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে দেহের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
======================
(১১)হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে :
======================রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে। এই উপাদানটি একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না। রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে ডায়াবেটিসের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
======================
(১২)উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে :
======================অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
=========≠=============
(১৩)শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে :
=======================অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
=======================
(১৪)প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক :
=======================গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।
=================
(১৫)যক্ষ্মা প্রতিরোধক :
=================আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।
================
(১৬)অন্ত্রের জন্য ভাল :
================খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
========
(১৭)শ্বসন :
========রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

সতর্কতা🔐

যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল।

যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে। বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন।

Address

Narayanganj

Telephone

+8801817507421

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nazat medical & diagnostic center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nazat medical & diagnostic center:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram