08/11/2025
অনেক রোগীর কমোন একটা কথা থাকে যে আগের দিনের ডাক্তাররা রোগীর পালস,চোখ, জিহ্বা দেখে রোগ নির্ণয় করতে পারতো আর ওষুধ দিয়ে দিতো। কোনো টেস্ট করতে হতো না, আর এখনকার সব ডাক্তাররা ভুঁড়ি ভুঁড়ি টেস্ট করতে দেয় শুধু শুধু টাকা নষ্ট করায় রোগীর। আর নিজেরা কমিশনের টাকা নিয়ে পকেট ভারী করে। এই অভিযোগ শুধু বড় বড় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নয় আমরা যারা প্রাথমিক পর্যায়ের ডিপ্লোমা চিকিৎসক আছি আমাদের বিরুদ্ধে ও সমান।
আমরা যারা নিজেদের ফার্মেসীতে রোগী দেখি বা কোথাও রোগী দেখি তারা শতকরা ৮০ থেকে ৯০ জনই নিজেদের লিমিটেশন এর মধ্যে থেকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
এম,বি,বি,এস ডাঃ যারা আছেন তারা রোগীর কথা শুনে রোগের লক্ষণ দেখে বুঝতে পারে তারপরও সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দেয়। আর আমরা রোগীর সমস্যা শুনে বুঝতে পারলেও সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধার্থে রোগীকে টেস্ট করতে বলি।
একজন রোগী আসলো জ্বর তীব্র শরীর ব্যাথা র ্যাশ নিয়ে, স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় ডেঙ্গু পজেটিভ। তাকে নরমালি প্যারাসিটামল ৫০০ দেয়াই যায় কিন্তু তাকে যদি টেস্ট না করানো হয় তাহলে তার WBC RBC platelet কাউন্ট কতো আছে তা জানা সম্ভব না। শুধু মাত্র জিহ্বা চোখ আর নাড় চেক করে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব না।
আগের ডাক্তাররা টেস্ট না করে চিকিৎসা করতো তখন রোগী যেমন ভালো হতো আবার রোগীর মৃত্যু হারও বেশি ছিলো।
এখন যে ভুল চিকিৎসা হয় না তা নয় রোগীর মৃত্যু হারও ০ এর কোঠায় নেমে গেছে তাও না কিন্তু এখন আগের চেয়ে চিকিৎসক গন সতর্কতার সাথে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন আর রোগীও সুস্থ হয় দ্রুত।