Home Care Physiotherapy

Home Care Physiotherapy Physiotherapy is treatment to restore maintain and make the most of a patient, mobility, function and well-being.

13/07/2023

আসসালামুয়ালাইকুম,কেমন আছেন সবাই।
#ফিজিওথেরাপি,,,
ফিজিওথেরাপি নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করবো যা হয়তো আমার হয়তো অনেকেই জানিনা ফিজিওথেরাপি কি? তাই একটি ছোটখাটো সারাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি ।
#ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অন্যতম আধুনিক শাখা। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা টা কখন নিব তানিয়া আমরা একটু ছোট্ট আলোচনা করবো।
#ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সাধারণত পেশেন্টের কন্ডিশন এর উপর ডিপেন্ড করে দেন আমরা চিকিৎসা করে থাকি।কি কি ইন্টারভেনশন এর মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি
১)ম্যানুয়াল থেরাপি
২)এক্সারসাইজ থেরাপি
৩)ইলেক্ট্রো থেরাপি এবং
৪)লাইফ স্টাইল এক্টিভিটিস।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় আমরা প্রথমত পেশেন্টের সমস্যাটাকে ডায়াগনোসিস করে তারপর একটা treatment planতৈরি করি।তারপর পেশেন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী ম্যানুয়েল টেকনিক অ্যাড করে থাকি। ম্যানুয়েল টেকনিক বলতে সফট টিস্যু মোবিলাইজেশন, মেনিপুলেশন,ডি.টি.এফ.আরো অনেক কিছুই এর সাথে আরো থাকে ইলেক্ট্রো থেরাপি
#যেমন:swd,ust,high intensity leaser therapy
#ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেসব ডিপার্টমেন্ট এ প্রয়োজন
১)অর্থোপেডিক :নেক পেইন ঘাড় ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, নি-পেইন, ব্যাক পেইন, পায়ের গোড়ালি ব্যথা ইত্যাদি।
২)নিউরোলজিক্যাল :স্ট্রোক, জি বি এস, ফেসিয়াল পালস, বেলস পালসি।
৩)স্পোর্টস ইনজুরি :লিগামেন্ট ইনজুরি জয়েন্ট ডিজ লোকেশন টেনডন রাপচার ইত্যাদি
৪)এইজ ফ্যাক্ট :ব্যালেন্সিং প্রবলেম, মাসলস উইক নেস,অস্টিওপোরোসিস।
৫)পেডিয়াট্রিক :সেরিবাল পলসি, অটিজম ডিসঅর্ডার, ক্লাব ফুট বা ডাউন সিনড্রোম।
৬)পালমোনারি :COPD/এজমা,ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া
৭)গাইনোকোলজি ও ইউরোলজি :প্রেগনেন্সি ওমেন, লোয়ার ব্যাক পেইন, কার্পাল টানেল সিনড্রোম, ইউরওনীল কনট্রেনস।

#ফিজিও :সাবরিনার সাদিক
প্রাক্তন ফিজিওথেরাপিস্ট (অনারারি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল

চেম্বার :সিটি ফিজিওথেরাপি সেন্টার নারায়ণগঞ্জ
ঠিকানা :নারায়ণগঞ্জ প্লেস ক্লাব( ৪ তলা)
ফোন:০১৬৭৫৭৫৯০৫৭
রোগী দেখার সময় :বিকাল০৪.০০_রাত ৮.০০

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ফিজিও সাবরিনা সাদিক। দীর্ঘদিন যাবত নারায়নগন্জ।সিটি বাসিকে ফিজিওথেরাপির সেবা ...
11/07/2023

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ফিজিও সাবরিনা সাদিক। দীর্ঘদিন যাবত নারায়নগন্জ।সিটি বাসিকে ফিজিওথেরাপির সেবা দিতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে জীবনকে গতিশীল রাখার জন্য এবং রোগমুক্ত থাকার জন্য ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অপারিসীম।
সুস্বাস্থ্য ও কর্মক্ষম জীবন নিশ্চিত করতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম । নানারকম শারীরিক জটিলতার শিকার অনেকেই ওষুধে আরোগ্য হন না, সেসব রোগীর জন্য ফিজিওথেরাপি অত্যাবশ্যক।এরকম একটি জাতীয় ইস্যুকে সহজে সবার দোর গোড়ায় পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব মনে করি ।
আপনি কেন আমাদের সেবা নিবেন ?
✅ আমরা আছি নারায়ণগঞ্জ শহরের সব এরিয়াতে,বাসায় গিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছি ।
✅ আমাদের সকল ফিজিওথেরাপিস্ট মিনিমাম ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী ।
✅ আমাদের সকল ফিজিওথেরাপিস্ট নূন্যতম ২ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
✅ অভিজ্ঞ ফিজিও থেকে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ মানের সেবা ।
✅ আছে মহিলা রোগীদের জন্য মহিলা ফিজিওথেরাপিস্ট এবং পুরুষ রোগীদের জন্য পুরুষ ফিজিওথেরাপিস্ট।
✅ ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে বা সিরিয়ালের ঝামেলায় আর সময় নষ্ট হবে না।
✅ফিজিওথেরাপি অত্যাবশকীয় হওয়া সত্যেও ঝুঁকি নিয়ে যারা হাসপাতালে বা ফিজিওথেরাপি সেন্টারে যেতে চাচ্ছেন না বাসায় থেকেই নিরাপদেই সেবা পেতে পারবেন।
আমাদের আছে অত্যাধুনিক সব ইকুইপমেন্ট সমূহঃ
★আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি
★ইনফ্রা রেড রে
★ইন্টার ফেরেন্সিয়াল থেরাপি
★মাসেল স্টিমুলেটর
★এবং অন্যান্য থেরাপিউটিক ইকুইপমেন্ট
ফিজিওথেরাপি সেবা নিন আপনার নিজ বাসায়!

ফিজিওথেরাপি_সেবাসমূহ :
★স্ট্রোক জনিত প্যারালাইসিস
★মুখ বেঁকে যাওয়া বা ফেসিয়াল পালসি
★অটিজম ফিজিওথেরাপী
★স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি
★প্লাস্টার বা অপারেশন পরবর্তী জয়েন্ট স্টিফনেস।
★ মাংশপেশী ব্যথা ও শুকিয়ে যাওয়া
★ফ্রোজেন সোল্ডার
★ হাত পা অবশ ও ঝিনঝিন করা
★যে কোন জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া
★ডিস্ক প্রলেপস জনিত ব্যথা
★ টিস্যু ইনজুরি
★ মাসেল ইনজুরি
★ PLID
★ব্যাক পেইন বা পিঠে ব্যথা
★GBS
★মুখ বেকে যাওয়া বা বেলস পালসি
★বার্ধক্যজনিত সমস্যা চিকিৎসার ক্ষেএে ও বাত, ব্যথা
★হাঁটু ও গোড়ালীর ব্যথা
★ সায়াটিকা,
ফিজিওথেরাপি সেবা নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন।
01675759057

বিঃদ্রঃ আমাদের এখানে আছে, মহিলাদের জন্য মহিলা এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ।

19/12/2022
13/04/2021

***********বৃদ্ধ বয়সে স্বাস্থ্য সমস্যা*********

বার্ধক্য জীবনের শেষ পর্যায়ের স্বাভাবিক পালাবদল। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়স থেকে শরীরের ক্ষতিপূরণের ক্ষমতা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে যথেষ্ট ক্ষতিপূরণের অভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে স্থায়ী পরিবর্তন চলে আসে। এ পরিবর্তনের নাম বার্ধক্য। আমাদের দেশে প্রবীণদের বয়সসীমা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ৬০ বা তার ঊর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিকে সাধারণত প্রবীণ হিসেবে গণ্য করা হয়। আমাদের দেশে অবশ্য ৬০ বছর বয়সের আগেই বৃদ্ধ হয়ে যান বেশিরভাগ মানুষ। তাই এই বয়সের কিছু রোগ যা থেকে সতর্ক থাকা উচিত-

* হাঁপানি*

হাঁপানি কোনো নির্দিষ্ট বয়সের রোগ নয়। এই রোগে যে কোনো বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে হাঁপানি ভিন্নভাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটার কারণ হলো ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও এমপিসিমা। যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা দুটি হাঁপানির আক্রমণের মধ্যবর্তী সময়ে স্বাভাবিক থাকে সেখানে বৃদ্ধরা হাঁপানি আক্রমণ ছাড়াও অধিকাংশ সময়েই শ্বাসকষ্টের হাত থেকে রেহাই পান না। যেসব রোগীর অল্প বয়সে হাঁপানি দেখা দেয় তাদের চেয়ে বৃদ্ধ বয়সে হাঁপানি দেখা দিলে কষ্ট হয় বহুগুণ বেশি। আর এই সময় তাদের পাশে থেকে তাদের সেবা করাটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

*ডায়াবেটিস*

এ সময় তাদের হাইপোগ্লাইসেমিক অ্যাটাক (হঠাত্ সুগারের মাত্রা কমে যাওয়া) হতে পারে। এ সময় বুক ধড়ফড় করা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিনির শরবত বা গ্লুকোজ পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। হঠাৎ করে সুগার কমে যাওয়া কিন্তু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন খুবই জরুরি। খেয়াল করুন, তাঁরা যেন কখনোই খালি পায়ে বাইরে বের না হন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত পায়ে কোনো ক্ষত, আঘাত বা ছত্রাক (ফাঙ্গাল) ইনফেকশন আছে কিনা তা খেয়াল করা দরকার। কারণ অতি সামান্য আঁচড় থেকেও হয়ে যেতে পারে ডায়াবেটিক গ্যাংগ্রিন। নিয়মিত ব্লাড সুগার দেখার জন্য গ্লুকোমিটার বাসায় রাখা উচিত।

*অস্টিওআর্থ্রাইটিস*

বয়স্ক রোগীদের হাড়ের ব্যথা বা অস্থিমজ্জার ব্যথা খুব হয়। প্রথমেই চিকিত্সকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যথার স্থান ও কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। বয়স্ক রোগীদের প্রায়ই কিডনির সমস্যা থাকে। তাই আর্থ্রাইটিস বা এ রকম ব্যথার জন্য তাদের বেশি ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো। বরং ওষুধের পরিবর্তে ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি বেশি কার্যকর। আর তাতে করে তাদের ফিজিকাল ফিটনেসও ঠিক থাকবে।

* শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া*

সাধারণত ৬৫-৭৫ বছর বয়সের ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ বার্ধক্যজনিত শ্রবণশক্তি হারানোর সমস্যায় ভোগে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রবীণদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অপারগ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। শ্রবণশক্তির মাত্রা অনুযায়ী হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান হিয়ারিং এইড সরবরাহ করে। আমাদের সবাই কে সাধ্য অনুযায়ী তাদের শ্রদ্ধার পিতামাতার পাশে তাকা উচিত।

* প্রস্রাবের সমস্যা*

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, পুরো প্রস্রাব একবারে না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা বয়স্কদের খুব হয়। ৫০ বছর বয়সের পর ৫০ শতাংশ মানুষেরই প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হয়ে সমস্যা তৈরি করতে থাকে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্ল্যান্ড বড় হলেও কোনো সমস্যা হয় না, কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে। প্রস্রাবের সমস্যা হলে অবশ্যই সার্জারি অথবা ইউরোলজির কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

* পাইলস বা হিমোরয়েড*

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পায়ুপথে রক্তক্ষরণ হলে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হোন। মাংস কম খান, সবজি বেশি খান, ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। একান্ত প্রয়োজন না হলে মল নরম করার ওষুধ সেবন না করাই ভালো। অনেকের মলত্যাগের সময় পায়ুপথে রক্তক্ষরণ হয়, তবে দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ রক্তক্ষরণ পাইলস ছাড়াও ডাইভারটিকুলাইটিস, পায়ুপথের ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হোন ও চিকিত্সা নিন।

* ক্যান্সার*

বয়স্ক মানুষের কিছু ক্যান্সার বেশি হয়। যেমন : মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার। এ ক্ষেত্রে নিজেরাই হাত দিয়ে দেখতে হবে স্তনে কোনো চাকা পাওয়া যায় কি না অথবা স্তনবৃন্ত দিয়ে কোনোরূপ ডিসচার্জ বা তরল বের হয় কি না। আবার পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার হয় সাধারণত পঁয়ষট্টি বছরের পর। তাই কোনো সমস্যা হচ্ছে মনে হওয়ামাত্র সঙ্কোচ পরিহার করে অতিসত্বর চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে।

*ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স*

প্রবীণদের খুব সহজে পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি (ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স) তৈরি হয়। এর ফলে হাত-পা অবশ, অস্থিরতা, এমনকি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘটতে পারে। বয়স্ক মানুষের বমি ও পাতলা পায়খানা থেকে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই দু-তিনবার পাতলা পায়খানা ও বমি হলেই মনোযোগ দিন। প্রচুর পানি, স্যালাইন ও ডাবের পানি খাওয়ান। প্রয়োজনে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

*চোখের অসুখ*

বয়স্কদের চোখের অনেক সমস্যা হয় তার মধ্যে ছানি পড়া সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি হয়। এখন ছানি সহজেই সার্জারি করে বা লেজার চিকিত্সা করে সারানো যায়।
বেশি বয়সে অবসাদ
বৃদ্ধ বয়সে মনের জোর হারাতে থাকে। শরীরের তো বটেই একইসঙ্গে মনে বাসা বাঁধতে থাকে বহুবিধ অসুখ-বিসুখ। বৃদ্ধ বয়সের মানসিক সমস্যার মধ্যে অবসাদ অন্যতম। যেসব বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা নিজ বাড়িতেই থাকেন তাদের ১০% থেকে ১৫% অবসাদগ্রস্ত। তাদের এ সমস্যাটির প্রকাশ ঘটে প্রবল দুঃখ বোধ, উত্সাহহীনতা, নিজের প্রতি আস্থাহীনতা ও নিজেকে নগণ্য ভাবার মাধ্যমে।

*শ্বাসকষ্ট*

শ্বাসকষ্টের কারণে যে রোগ হয়, সাধারণত তাকেই আমরা হাঁপানি বা অ্যাজমা বলে থাকি। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধরাও যে কোনো সময় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা এক জরিপে দেখেছেন, বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে।

*আলঝেইমার*

কোন রোগটা নিয়ে মানুষের সবচেয়ে বেশি ভয়? একবাক্যেই বলতে হবে, ক্যান্সার। তার পরের স্থানে রয়েছে যে-ব্যাধি তার নাম আলঝেইমার। এটা এক অদ্ভুত রোগ যা মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দেয়, ভুলিয়ে দেয় চারপাশের পরিবেশ। স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যায় মানুষ। সাধারণত বুড়ো বয়সে এটা বেশি হয়। বিভিন্ন সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, লক্ষণগুলো স্পষ্ট হওয়ার অন্তত এক দশক আগে এ রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। বিজ্ঞানীদের অনেকেই তাই মনে করেন, আগেভাগে পরীক্ষা করিয়ে নিলে তা পরবর্তী সময়ে চিকিত্সার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সামনের গুরুতর চাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে পরিবারের লোকজন।

*হাঁপানি*COPD

হাঁপানির সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জিক হয় তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়, এ রোগ হতে পারে। হাঁপানি সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য এখনও কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সঠিক চিকিত্সার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পুরো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হাঁপানি হার্ট-অ্যাটাকের মতোই ভয়াবহ। এতে মৃত্যুও হতে পারে।

*ডিমেনসিয়া*

এক্ষেত্রে রোগীর স্মরণ ক্ষমতা ক্রমেই কমে যায়। সে কোনো কিছু মনে রাখতে পারে। নাস্তা করার পরেও হয়তো আবার নাস্তা খেতে চায়। ক্রমে ক্রমে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এক সময় কাছের অতি-পরিচিত লোকজনদেরও চিনতে পারে না। নিজের ছেলেমেয়েদের নাম পর্যন্ত ভুলে যায়, চিনতে পারে না। রোগীর অস্থিরতা ক্রমশ বাড়তে থাকে, ঘুম কমে যায়। রোগীকে নজর না রাখলে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারে। সাধারণত শেষ বয়সে/ বুড়ো বয়সে এই সমস্যা দেখা দেয়। কারও এ রোগ থাকলে অবহেলা না করে কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সায়কিয়াট্রিস্ট দেখান।

*বাত*

বিভিন্ন ধরনের বাত যেমন ফাইব্রোসাইটিস, মাইওসাইটিস, নিউরাইটিস, গাউট, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, সপনডাইলোসিস সাধারণত একটু বেশি বয়সেরই রোগ। এই ধরনের অসুখ বার্ধক্যের সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক, স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে একেবারে ব্যাহত করে দেয়। তাই আমাদের উচিত বৃদ্ধ বয়সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে লাইফ স্টাইল পরিচালনা করা।

*মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা*

মানসিক পরিবর্তন-যেমন দুর্বল স্মৃতিশক্তি, অনমনীয় ও কঠোর নিয়মানুবর্তিতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, কোনো ধরনের কোনো পরিবর্তনে অনীহা এই জাতীয় ধ্যান-ধারণা দেখা দেয় বার্ধক্যে। অবসর গ্রহণের পর আয়ও কমে যায়, তাতে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার মান খানিকটা পড়ে যেতে বাধ্য, সেই কারণে মানসিক ও সামাজিকভাবে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা অবশ্যম্ভাবী।

*আবেগজনিত অসুবিধা*

সহজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া এই বয়সে এক বিশেষ সমস্যা। এর কারণ আর কিছুই না, সমাজের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব। বয়স হয়ে যাচ্ছে এটা মন থেকে মেনে নেয়া খুবই শক্ত ব্যাপার। সর্বদা মনে এই পাষাণভার থাকলে জীবনে আর কোনো আনন্দ থাকে না, সাধ-আহ্লাদও চলে যায়। ক্রমে তিক্ততা ও অবসাদ এসে গ্রাস করে, আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

*হাড়ের ক্ষয়*

হাড়ের ক্ষয়রোগ একটি নীরব ঘাতক, যা মানুষকে আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্ত ও পঙ্গু করে এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তীব্র ব্যথা, বেঁকে যাওয়া এবং হাড় না ভাঙা পর্যন্ত বোঝা যায় হাড়ে মরণব্যাধি ক্ষয়রোগ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট চিহ্ন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে নীরবে এ রোগ শরীরে থাকে। তাই উপযুক্ত সময়ে প্রবীণদের উপযুক্ত সিকিৎসক অর্থোপেডিক্স ও ফিজিওথেরাপিস্টের সরনাপূর্ন হওয়া।

*দাঁতের সমস্যা*

বার্ধক্যে দাঁত নড়বড়ে হয়ে ঘুমের সময় গলায় বা ট্রাকিয়াতে আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে এমনকি রোগী মারাও যেতে পারে। দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন থেকে সেপ্টিসেমিয়া বা হার্টেরও সংক্রমণ হতে পারে।

*উচ্চ রক্তচাপ*

উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত কোনো লক্ষণ সৃষ্টি করে না কিন্তু তা থেকে তৈরি জটিলতা সৃষ্টি করে তাই আশ্চর্য হবেন না যদি আপনার ডাক্তার বলেন, আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু আপনি নিজে বুঝতে না পারেন। এই অসুখ এতটাই স্বাভাবিক যে, প্রত্যেক ব্যক্তিই ৬ মাস অন্তর রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা সারাজীবন চলে যদিও ওষুধের মাত্রা কম করা যেতে পারে কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে রক্তচাপ একবার কমালে চিকিসার প্রয়োজন নেই। হয়তো অসুস্থ বোধ করবেন না কিন্তু হাইপারটেনশন খুব গুরুতর শারীরিক সমস্যা এবং তার চিকিত্সা দরকার। রক্তচাপ ওষুধের মাধ্যমে কমানো যায় এবং ওষুধ না খেলে আবার বেড়ে যেতে পারে।

*স্ট্রোক*

স্ট্রোক হলো ভ্যাস্কুলার কারণে দ্রুত বিকাশ হওয়া মস্তিষ্কের অসুখ, যার লক্ষণ ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে থাকে এবং মৃত্যু হতে পারে। সাধারণ স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো জ্ঞান হারানো এবং পেশির পক্ষাঘাত ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ধরে থাকা ঘটনা। বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি স্নায়ুগত বৈষম্য স্ট্রোকই হয় এটি মৃত্যুর প্রথম তিনটি কারণের মধ্যে পড়ে। স্ট্রোক হওয়া ব্যক্তি বেঁচে গেলে থেকে যাই হাত-পা ও মুখের অসারতা। দেহের এই অংশ গুলো ঠিকমত কাজ করে না। আক্রান্ত ব্যক্তি নড়াচড়া করতে অক্ষম হয়ে যায়। তার দৈনন্দিন জবন দূর্বিষহ হয়ে ওঠে। কিন্তু সঠিক ফিজিওথেরাপি নিলে এই কঠিন রোগ ও সেরে ওঠে। আক্রান্ত ব্যক্তি আবার নিজে নিজে চলতে পারে। তাই অবহেলা না করে বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে আমাদের থাকাটা অনেক জরুরি।

*থাইরয়েড ফাংশন*

আমাদের শরীরে গলার কাছে থাইরয়েড নামে যে গ্রন্থি থাকে সেখান থেকে থাইরক্সিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোন শরীরের স্নায়ু ও মাংসপেশির কার্যক্রমকে সজীব ও সচল রাখে। এটা কমে গেলে শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, কাজকর্মে অনীহা, বেশি শীত লাগা, ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা, ওজন বাড়া, ক্ষুধামান্দা ও কনস্টিপেশন দেখা দিতে পারে। রক্তে চর্বি বেড়ে যেতে পারে। প্রতি দুই বছরে একবার এ হরমোন পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কমে গেলে হরমোন খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।

*গ্রন্থি বড় হওয়া*

মূত্রনালির উপরের অংশ ঘিরে যে মাংসপিণ্ড থাকে তাকে প্রোস্টেট গ্রন্থি বলে। বুড়ো বয়সে এটা বড় হয়ে মূত্র নির্গমনে বাধার সৃষ্টি করে। অনেক সময় ক্যান্সারের কারণেও এ মাংসপেশি বড় হতে পারে। তাই মূত্র নির্গমনে সমস্যা হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্তের পিএসএ পরীক্ষা বা পিআর করে রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। এ ব্যাপারে সার্জন বা ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

*মাথাব্যথা*

পঁয়ষট্টি ঊর্ধ্ব বৃদ্ধদের মাথাব্যথা কম হয়। এটা প্রধানত যৌবন ও প্রৌঢ়ত্বের অসুখ। বুড়োদের মাথাব্যথা হলে সেটা মাইগ্রেন, টেনশনের কারণে না হয়ে সাধারণত জটিল রোগের কারণেই হয়ে থাকে।

*বার্ধক্যে হার্ট অ্যাটাক*

হার্ট অ্যাটাক হলে বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিক লক্ষণ হিসেবে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নাও হতে পারে। হৃিপণ্ডে বয়সজনিত পরিবর্তনের কারণে বেশিরভাগ রোগীরই বুকে ব্যথা না হয়ে শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা বা হার্ট ফেইলুরের উপসর্গ দেখা দেয়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এ সমস্যা আরও প্রকট। রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব হয়ে গেলে পরিণতি হয় করুণ।
তাছাড়াও আছে

*Chronic kideny Disease (CKD)
*High Cholesterol
*Deep Vein Thrombosis
*Parkinson's diseases
*Osteoporosis
*Fatigue
*Difficult Walking
*Blance problem
*Motor Neuron Disease
*Epilepsy
*peripheral Neuropathy
এই বৃদ্ধ বয়সে Degenerative change বলে একটা কথা আছে। এই বয়সে শরীরের সব কিছুই ক্ষয় হতে থাকে।
তারা ত আমাদেরই মা-বাবা,দাদা-দাদী,নানা-নানি। যখন ছোট ছিলাম তখন কিন্তু ওনারাই আদের সেবা করেছিল ও
দায়িত্ব নিয়েছিল। আজ আমরা তাদের দায়িত্ব নিব কাল আমাদের ছেলে+মেয়ে আমাদের দায়িত্ব নিবে।

আসুন জেনে নেই বাত আসলে কি ? ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়ামের চিকিৎসার গুরুত্ববাত (আর্থ্রাইটিস) কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহুদূর পর্...
22/02/2021

আসুন জেনে নেই বাত আসলে কি ? ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়ামের চিকিৎসার গুরুত্ব
বাত (আর্থ্রাইটিস) কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি একটিমাত্র রোগ নয় বরং একই পরিবারভুক্ত অনেকগুলো রোগের সমষ্টি। প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে হয় বাতরোগ। এই রোগে প্রধানত অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হলেও হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা,মেরুদণ্ডের প্রদাহ, ক্ষয়, আড়ষ্ঠতা এগুলোও বাত রোগের পর্যায়ে পরে।
প্রকারভেদ নিম্নোলিখিত রোগ গুলোই সাধারণত একত্রিত হয়ে বাতরোগ গঠিত হয়ঃ
1. সন্ধিবাত / গাঁট - ফোলানো বাত (Rheumatoid Arthritis)
2. অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)/অস্থিসংযোগ গ্রন্থি প্রদাহ
3. গেঁটে বাত (Gout)
4. কটিবাত বা কোমর প্রদাহ (Lumbago)
5. মেরুদণ্ড প্রদাহ বা স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis)
6. সায়াটিকা/কোটি স্নায়ুশূল(Sciatica)
7. আম বাত /আর্টিকেরিয়া/ অ্যালার্জি
(Urticaria)
8. বাতজ্বর (Rheumatic Fever)
9. সংক্রামক বাত/সেপটিক আর্থ্রাইটিস
এছাড়াও ঘাড়ের বাত(Stiff Neck), স্কন্ধবাত (Omalgia), পার্শ্ববাত (Pleurodynia) এগুলোও বাত রোগের আওতার মধ্যে পরে। [২]
বাতব্যাধির কারণ ও ঝুকিসমূহ
বাতব্যাধির প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কষ্টসাধ্য। কেননা অনেকগুলো কারণে এই রোগসমূহের উদ্ভব হতে পারে। তবে নিম্নোক্ত কারণসমূহ বাত রোগের ঝুকি বাড়ায়ঃ
1. আঘাত (Trauma or Injury): পূর্ববর্তী বড় ধরনের কোন আঘাত বাতের কারণেরর অংশ হতে পারে।
2. অপুষ্টি (Malnutrition): প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব বিশেষতঃ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি।
3. বয়সঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণাস্থি ভঙ্গুর হয়ে পরে এবং এর পুনর্গঠনের ক্ষমতাও কমে যায়। তাই বয়স বাড়ার সাথে বাত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়ে।
4. অতিরিক্ত ওজনঃ অস্থিসন্ধি ক্ষয় খানিকটা শরীরের বাড়তি ওজনের সম্পর্কিত। অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ স্থাপন করে। তাই স্থূলকায় ব্যাক্তিরা সাধারনত বাতরোগে বেশি ভুগে থাকেন।
5. ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণঃ কতিপয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেমন ক্লিবসেলা (klebsiella) ও এলার্জি স্বল্পমেয়াদী বাতব্যথার উদ্ভব ঘটাতে পারে। সংক্রমণের কারণে সংঘটিত বাতরোগকে রিএকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis) বলে।
6. বংশগতি (Genetics): বাতরোগে বংশগতির প্রকৃত ভূমিকা কি তা এখন জানা সম্ভব হয় নি। তবে এতে বংশগতির যে সুস্পষ্ট প্রভাব আছে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত।

আপনি কি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী, তর্জনী, মদ্ধঙ্গুলী এবং আংটি আঙ্গুলের অর্ধেক অংশে ব্যথা, ঝিনঝিন, অবশ অবশ এবং কোনো কিছু ধরতে গ...
07/01/2021

আপনি কি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী, তর্জনী, মদ্ধঙ্গুলী এবং আংটি আঙ্গুলের অর্ধেক অংশে ব্যথা, ঝিনঝিন, অবশ অবশ এবং কোনো কিছু ধরতে গিয়ে বা পিনচিং করতে গিয়ে দুর্বলতা অনূভব করছেন? মাঝরাতে ব্যথা, ঝিনঝিন এবং অবশ অবশ হওয়ার কারনে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে??

তাহলে, হয়তো আপনি "কার্পাল টানেল সিনড্রোম" নামক অসুখে ভুগছেন!!
কার্পাল টানেলের মধ্য দিয়ে মিডিয়ান নার্ভ যায়। কোন কারনে যদি কার্পাল টানেলের পরিধি/সাইজ কমে যায়, তখন সেটা মিডিয়ান নার্ভের উপর প্রেসার দেয় এবং উপরোক্ত লক্ষনগুলো দেখা দেয়।
যারা অতিরিক্ত হাত এবং কব্জির ব্যবহার, বিশেষ করে কব্জি বাইরের দিকে রেখে (Wrist Extension), দীর্ঘসময় কাজ করেন যেমনঃ ইলেকট্রিশিয়ান, কমপিউটার অপারেটর ইত্যাদির মানুষের বেশি হয়। এছাড়া বংশগত, প্রেগনেন্সি, বিভিন্ন ধরনের বাত, আঘাত ইত্যাদির কারনে হতে পারে।

চিকিৎসা:
***মনে রাখবেন, Protection (from repetitive microtrauma) is the FIRST treatment. অর্থাৎ, বারবার ছোট ছোট আঘাত থেকে কার্পাল টানেলকে রক্ষা করায় প্রথম এবং প্রধান চিকিৎসা। সেটা না হলে, কোন চিকিৎসায় কাজ করবে না করুন চিকিৎসা নিয়ে হয়তো ১০% উপকার পাচ্ছেন কিন্তু আঘাতের কারনে ২০% নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!! এজন্য, সঠিকভাবে (কব্জি বাইরের দিকে "না" রেখে) কাজ করতে হবে এবং রাতে ঘুমানোর সময় "স্প্লিন্ট/ব্রেস" ব্যবহার করতে হবে।

***ব্যথা এবং অন্যান্য লক্ষন কমানোর জন্য যথাযথ ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসাউন্ড, লেজার, ইলেক্ট্রিক্যাল স্টিমুলেশন,ওয়াক্সথেরাপি ইত্যাদি নিতে পারেন, ব্যথানাশক ঔষূধ এবং ইনজেকশন নিতে পারেন। কোনকিছু কাজ না করলে সার্জারি করতে পারেন।

***হাত/কবজির শক্তি, ফ্লেক্সিবিলিটি এবং কো-অর্ডিনেশন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করতে পারেন।

How Physiotherapists can change your life ? Answer is here 👇Movements Matter, Chose Physical Therapy(Collected)
05/01/2021

How Physiotherapists can change your life ?
Answer is here 👇

Movements Matter, Chose Physical Therapy

(Collected)

01/01/2021

হেলথ কেয়ার ফিজিওথেরাপির পক্ষ থেকে সকল বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন হেপি নিউ ইয়ার ২০২১।

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস এ প্রবলেম নিয়ে অনেক আপুরা আমাকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করেছে তো সবার প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি আবারো চলে ...
26/12/2020

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস এ প্রবলেম নিয়ে অনেক আপুরা আমাকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করেছে তো সবার প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমি আবারো চলে এসেছি

#প্ল্যান্টার_ফ্যাসিটিস_কী?
পায়ের নিচে একটি তুলতুলে (পেশি তন্তু) টিসু থাকে, যেটির নাম প্ল্যান্টার ফাসা। এই পেশি তন্তুগুলো গোড়ালির সঙ্গে পায়ের আঙুলগুলির সংযোগ স্থাপন করে রাখে। প্ল্যান্টার ফাসা কোনো কারণে আক্রান্ত হলে বা কোন কারনে প্রদাহের সৃষ্টি হলে যে সমস্যা তৈরি হয় তাকে প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস বলা হয়।
#গোড়ালির হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা হলে প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস হতে পারে। প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিসে আক্রান্ত হলে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে। তবে দীর্ঘ ক্ষণ পর তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
#কেন_হয়_গোড়ালি_ব্যথা?
গোড়ালির মোটা পর্দা বা ব্যান্ড আকৃতির কলায় নানা কারণেই প্রদাহ হতে পারে। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের বেশি হয় এই সমস্যা। এ ছাড়া কিছু বিষয় এর ঝুঁকি বাড়ায়।
#যেমন:
১)দীর্ঘ সময় ধরে গোড়ালিতে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ এর ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন ব্যালে নাচ, ম্যারাথন দৌড় বা অ্যারোবিক নাচ।
২)অতি ওজন বা স্থূলতা পায়ের ওপর অতিরিক্ত ভরের সৃষ্টি করে। এই চাপ গিয়ে পড়ে পায়ের পাতার কলাসমূহের ওপর। ফলে শুরু হতে পারে ব্যথা।
৩)কারও কারও পায়ের বাঁক অস্বাভাবিক থাকে, তাঁরাও এই ঝুঁকির মধ্যে পড়েন।
৪)যাঁরা দিনের বেশির ভাগ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন, যেমন কারখানার শ্রমিক, শিক্ষক—তাঁদেরও দীর্ঘ সময় গোড়ালিতে ওজন নেওয়ার কারণে প্রদাহ হতে পারে। খালি পায়ে শক্ত কাজ করাও ভালো নয়।
#প্ল্যান্টার_ফ্যাসিটিসের_সমস্যা_থেকে_মুক্তি_পেতে_করণীয়:
#সঠিক_মাপের_জুতো_পরুন:
সামান্য হিল বা ফিতে বাঁধা জুতো পরুন। হাই হিল বা একেবারে ফ্ল্যাট জুতো বা চটি পরবেন না। স্বাভাবিকভাবে পা পেতে হাঁটতে সমস্যা হয়, এমন কোনো জুতোই পরবেন না।
্যাক:
দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকুন। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চেষ্টা করুন। প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস-এর যন্ত্রণা শুরু হলে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম করার পর, পায়ের তলায় আইস প্যাক দিয়ে মালিশ করুন অন্তত ১৫ মিনিট। উপকার পাবেন।
#আয়ুর্বেদিক_প্রতিকার:
আদা, রসুন, হলুদ বা সবুজ শাক-সবজি প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

আমরা জানবো,,,, প্লান্টার ফ্যাসাইটিস নিয়ে। প্লান্টার ফ্যাসাইটিস মানে কি? এটা কেন হয় কোথায় হয়,আর কোন বয়সের লোকদের হয় স...
26/12/2020

আমরা জানবো,,,, প্লান্টার ফ্যাসাইটিস নিয়ে। প্লান্টার ফ্যাসাইটিস মানে কি? এটা কেন হয় কোথায় হয়,আর কোন বয়সের লোকদের হয় সেটা নিয়ে আমরা একটু আলোচনা করবো।প্লান্টার ফ্যাসাইটিস মানে হচ্ছে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা এবং গোড়ালির কোন অংশ থেকে ব্যথা শুরু হয় তা আমরা বিস্তারিত জানবো।
পা মানব শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার পা নেই সেই বুঝে পায়ের মর্মকথা। পায়ের গোড়ালিতে যেসব কারণে ব্যথা হয় তার মধ্যে প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বেশি দায়ী। পায়ের পাতার নিচে যে প্লান্টার ফাসা নামে মোটা পর্দা রয়েছে, তাতে প্রদাহ হলে এই সমস্যা হয়।
দৌড়োনো, চলাফেরা, যেকোনো ধরনের নৃত্য বা ফুটবলের মতো খেলাধুলোর সময় এই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়।
গোড়ালির মোটা পর্দা বা ব্যান্ড আকৃতির কলায় নানা কারণেই প্রদাহ হতে পারে। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের বেশি হয় এই সমস্যা।পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে, বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা ফেলতে সমস্যা হলে চিকিৎসকেরা তখন একে প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বলে থাকেন।
এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস হতে পারে। প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস-এর ফলে পায়ের গোড়ালিতে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। যাদের পায়ের তলা সমতল বা ওজন বেশি, তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। বয়ষ্ক মহিলাদের মধ্যেও প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস লক্ষ্য করা যায়।দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে পায়ের তলায় স্পার বা কাঁটার মতো হাড় বৃদ্ধি হয়। তাকে ডাক্তারি ভাষায় ক্যালকেনিয়াল স্পার বলা হয়।
(to be continue)

Address

Narayanganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Home Care Physiotherapy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram