11/11/2025
ডায়েট করা অনেকের কাছে কঠিন মনে হয়, আবার কেউ ভাবে এক্সারসাইজ করাই সবচেয়ে কঠিন। আসলে এই দুটোই আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ, আর একসাথে করলে শরীর ও মনের জন্য সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে দেখা গেছে, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের মেটাবলিক স্বাস্থ্যের জন্য ৭০-৮০% ভূমিকা রাখে খাদ্যাভ্যাস, আর বাকি ২০-৩০% আসে শারীরিক কার্যকলাপ থেকে। তবে এর মানে এই নয় যে শুধু ডায়েট করলেই হবে। এক্সারসাইজ শরীরের ভেতরের সিস্টেমগুলোকে এমনভাবে সক্রিয় রাখে যা ডায়েট একা পারে না।
যখন কেউ ডায়েট করে, তখন ক্যালোরি কমে গিয়ে শরীর শক্তির জন্য ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। কিন্তু খুব বেশি ক্যালোরি কমালে পেশি কমে যেতে পারে, মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়, আর তখন ওজন কমার হারও থেমে যায়। এই জায়গাতেই এক্সারসাইজের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং বা ওয়েট ট্রেনিং, শরীরে পেশি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং মেটাবলিজমকে সক্রিয় রাখে। এর ফলে শরীর বিশ্রাম অবস্থাতেও বেশি ক্যালোরি বার্ন করে।
অন্যদিকে, ডায়েটের মাধ্যমে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি কীভাবে শরীরে শক্তি প্রবেশ করছে, আর এক্সারসাইজের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করি সেই শক্তি কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সঠিক পুষ্টি না থাকলে ব্যায়ামের ফলও কমে যায়, আর ব্যায়াম ছাড়া শুধু ডায়েট করলে শরীর দুর্বল ও স্কিন ঝুলে যেতে পারে। তাই দুটো একসাথে করলে শরীর শুধু স্লিম হয় না, শক্তিশালী ও ফিটও থাকে।
সবশেষে বলা যায়, ডায়েট ও এক্সারসাইজ একে অপরের পরিপূরক। ডায়েট শেখায় নিয়ন্ত্রণ, আর এক্সারসাইজ শেখায় স্থিতিশীলতা ও শক্তি। টেকসই ওজন কমানো বা স্বাস্থ্যবান থাকা সম্ভব তখনই, যখন এই দুইটি বিষয়কে জীবনধারার অংশ করা যায়, কোনো অস্থায়ী কাজ হিসেবে নয়।
✍️ মিম সাওদা - হেলথ ও ফিটনেস কোচ, Women’s Fitness