আলোর দিশা হোমিও হল

আলোর দিশা হোমিও হল "আলোর দিশা হোমিও হল – সুস্থ জীবনের সাথী। ডাঃ বিকাশ কুমার মাখালের তত্ত্বাবধানে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হোমিও চিকিৎসালয়।"

আলোর দিশা হোমিও হল:

( আপনার সুস্থ্য জীবনের সাথী )



আমাদের জীবনে স্বাস্থ্যই সবচেয়ে বড় সম্পদ। সুস্থ এবং সুখী জীবন লাভের জন্য সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে, বহু মানুষ প্রথাগত চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, কারণ এটি ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা রাখে। সেই দিক থেকে আলোর দিশা হোমিও হল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যা আপনাকে প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ চিকিৎসা প্রদান করে।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য
আলোর দিশা হোমিও হল একটি প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক, যা মানুষের অসুস্থতার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এটির মূল উদ্দেশ্য হল রোগীর সুস্থতার জন্য প্রাকৃতিক ও নিরাপদ চিকিৎসা প্রদান করা, যাতে তারা কোনও প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথদের তত্ত্বাবধানে এখানে ব্যক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যালোচনার মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা হয়।

সেবাসমূহ
আলোর দিশা হোমিও হলে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা করা হয়, যেমন:

পেটের রোগ: গ্যাস, এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, ইত্যাদি।

ত্বকের সমস্যা: একজিমা, সোরিয়াসিস, ব্রণ, চামড়ার অ্যালার্জি।

মানসিক সমস্যা: দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, স্ট্রেস, ইত্যাদি।

শিশুদের রোগ: কাশি, সর্দি, জ্বর, অ্যালার্জি, ইত্যাদি।

অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীর সমস্যা: অস্টিওআর্থাইটিস, কাঁধ বা পিঠে ব্যথা।

নারী স্বাস্থ্য: পিরিয়ডের সমস্যা, পেনক্রিয়াসের সমস্যাসহ বিভিন্ন গাইনিকোলজিক্যাল সমস্যা।

কেন আলোর দিশা হোমিও হল?

বিশ্বস্ত চিকিৎসা: আমাদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অনেক বছর ধরে এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ, যিনি আপনার রোগের সঠিক সমাধান প্রদান করতে সক্ষম।

নিরাপদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা: এখানে ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।

ব্যক্তিগত যত্ন: রোগীদের প্রতি ব্যক্তিগত মনোযোগ এবং যত্ন প্রদান করা হয়, যাতে প্রতিটি রোগী তার চিকিৎসায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারে।

পর্যাপ্ত পরামর্শ ও সহায়তা: রোগীর সমস্যার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

আমাদের মিশন
আলোর দিশা হোমিও হলের মিশন হলো মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা এবং তাদের দেহ ও মনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা। এখানে আমরা বিশ্বাস করি যে, হোমিওপ্যাথি প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি আশীর্বাদ, যা তাদের সুস্থ থাকার পথ প্রদর্শন করে।

সর্বশেষ কথা
আলোর দিশা হোমিও হল শুধুমাত্র একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি মানুষের জন্য একটি ভরসার নাম। যদি আপনি প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা খুঁজছেন, তাহলে আমাদের এখানে আসুন এবং আপনার সুস্থ জীবনের দিকে একটি নতুন দিশা পাবেন।

Yellow Spot বা Macula Lutea হলো চোখের রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ, যা দৃষ্টি প্রখর ও স্পষ্ট রাখতে সাহায্য করে। এটি fovea cent...
29/11/2025

Yellow Spot বা Macula Lutea হলো চোখের রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ, যা দৃষ্টি প্রখর ও স্পষ্ট রাখতে সাহায্য করে। এটি fovea centralis নামের ছোট গভীর খাঁজের চারপাশে থাকে।
বৈজ্ঞানিকভাবে:
Macula Lutea = ‘ম্যাকুলা’ (spot) + ‘লুটিয়া’ (yellow, হলুদ রঙ)
চোখের পিছনের অংশে, রেটিনার মধ্যে কেন্দ্রীয়, প্রায় ৫ মিমি ব্যাসের একটি হলুদ আবরণ।
২. অবস্থান (Location)
চোখের পেছনের দিকে Retina তে।
Optic disc (nerve exit point) থেকে temporal side এ অবস্থিত।
Fovea centralis এর চারপাশে রয়েছে, যা সবচেয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি প্রদান করে।
৩. গঠন (Structure)
Macula প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্ত:
Fovea – দৃষ্টিশক্তির সবচেয়ে স্পষ্ট কেন্দ্র।
Parafovea – Fovea এর চারপাশের অংশ, যেখানে cones (রঙ শনাক্তকারী কোষ) বেশি।
Perifovea – Macula এর বাহ্যিক অংশ।
রঙ:
হলুদ বর্ণের মূল কারণ হলো এখানে থাকা xanthophyll pigments এবং carotenoids।
এই পিগমেন্ট UV এবং blue light থেকে চোখকে রক্ষা করে।
৪. কার্যকারিতা (Functions)
কেন্দ্রীয় দৃষ্টি (Central Vision):
মুখ চিনতে, পড়তে, লিখতে সাহায্য করে।
রঙ শনাক্তকরণ (Color Vision):
Cones কোষের মাধ্যমে রঙের স্বচ্ছ ধারণা দেয়।
স্পষ্টতা (Visual Acuity):
ছোট ছোট বস্তুর বিস্তারিত দেখা যায়।
সুরক্ষা:
UV এবং নীল আলো থেকে রেটিনাকে রক্ষা করে।
৫. রোগ-সংক্রান্ত গুরুত্ব (Clinical Significance)
Yellow Spot ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা রোগে আক্রান্ত হলে নিম্নলিখিত সমস্যা হতে পারে:
Macular Degeneration (বয়সজনিত হলুদ বিন্দু ক্ষয়) – ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি হারানো।
Diabetic Retinopathy – শর্করা রোগে রেটিনার ক্ষতি।
Macular Edema – রেটিনার ফোলা ও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
লক্ষণসমূহ:
পড়তে অসুবিধা
মুখের চেহারা বা বস্তুর আকার বিকৃত দেখা
কেন্দ্রীয় দৃষ্টিতে ব্লার বা ডার্ক স্পট
#হলুদ_দাগ #চোখের_স্বাস্থ্য #চোখের_দাগ #চোখের_রোগ #চোখ_সংক্রান্ত_সচেতনতা #চোখের_যন্ত্রণা #চোখের_যত্ন

29/11/2025

Anuria (অ্যানিউরিয়া)

📌 Anuria হলো এক ধরনের জরুরি চিকিৎসাজনিত অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির মূত্রের উৎপাদন অত্যন্ত কমে যায় বা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

➤ সংজ্ঞা

২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিলিটারের কম মূত্র নির্গমন হলে তাকে Anuria বলা হয়।

➡ স্বাভাবিক মূত্র উৎপাদন: দিনে প্রায় ১–২ লিটার
➡ Oliguria: দিনে ৪০০ ml এর কম
➡ Anuria: দিনে ১০০ ml এর কম (বা সম্পূর্ণ বন্ধ)

🩺 কারণ (Causes)

Anuria সাধারণত ৩ গ্রুপের সমস্যার কারণে হয়:

1️⃣ Pre-renal causes (রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া)

শক (Shock)

গুরুতর রক্তক্ষরণ

পানিশূন্যতা (Dehydration)

হার্ট ফেইলিউর

2️⃣ Renal causes (কিডনির নিজস্ব রোগ)

Acute Kidney Injury (AKI)

Glomerulonephritis

Nephrotoxic drugs (যেমন: NSAIDs, জেন্টামাইসিন)

Sepsis (দুরারোগ্য সংক্রমণ)

3️⃣ Post-renal causes (মূত্রনালীর প্রতিবন্ধকতা)

Prostate enlargement

Kidney stone / bladder stone

Tumor blockage

Urethral stricture

🚨 লক্ষণ (Symptoms)

মূত্র না হওয়া বা খুব কম হওয়া

চোখ-মুখ-হাত-পা ফুলে যাওয়া (Edema)

বমিভাব, বমি

শ্বাসকষ্ট

মাথা ঝিমঝিম

রক্তচাপ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া

🧪 পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Investigations)

Urine output monitoring

Blood urea, serum creatinine

Electrolytes

Ultrasound of KUB (Block আছে কিনা দেখতে)

ECG (Electrolyte imbalance এর কারণে)

💊 চিকিৎসা (Management)

➡ মূল কারণ চিকিৎসা জরুরি

IV fluids — পানিশূন্যতায়

Antibiotics — সংক্রমণে

Remove obstruction — পাথর/প্রোস্টেট বড় হলে

Dialysis — কিডনি কাজ না করলে

Avoid nephrotoxic drugs

➡ এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি—অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

Send a message to learn more

29/11/2025

Send a message to learn more

"অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস অবহেলা করলে জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ে। সচেতন হোন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিন – সুস্থ থাকুন।"অ্যাকিউ...
18/09/2025

"অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস অবহেলা করলে জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ে। সচেতন হোন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিন – সুস্থ থাকুন।"
অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কী?
অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস হলো অগ্ন্যাশয়ে হঠাৎ তৈরি হওয়া প্রদাহ। এটি কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। গুরুতর অবস্থায় এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
প্রধান কারণসমূহ :
1. গলস্টোন (Gallstone) – প্যানক্রিয়াটিক নালী ব্লক হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
2. অতিরিক্ত মদ্যপান (Alcohol) – দীর্ঘদিন অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণে ঝুঁকি বাড়ে।
3. রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি।
4. পেটের আঘাত বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী জটিলতা।
5. কিছু ওষুধ বা সংক্রমণ।
উপসর্গ :
তীব্র পেটব্যথা (বিশেষ করে উপরের পেট বা পিঠে ছড়িয়ে পড়ে)
বমি ও বমি বমি ভাব
জ্বর
পেট ফাঁপা বা টান টান অনুভব
দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট
রোগ নির্ণয় :
রক্ত পরীক্ষা → Serum Amylase ও Lipase মাত্রা বৃদ্ধি
ইমেজিং টেস্ট → Ultrasound, CT scan.
প্রতিরোধ:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পরিহার করুন।
ফ্যাটি খাবার ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার কমান।
গলস্টোন থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
মনে রাখবেন: অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস হঠাৎ শুরু হলেও, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে অবহেলা করলে এটি জীবনহানিকর হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস জীবনহানিকর হতে পারে, তাই প্রথমে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জরুরি চিকিৎসা নিতে হবে।
হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করা যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শে, বিশেষত দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্টিভ কেয়ারে।
স্ব-চিকিৎসা (self-medication) এই রোগে ঝুঁকিপূর্ণ।
#অ্যাকিউটপ্যানক্রিয়াটাইটিস

#অগ্ন্যাশয়স্বাস্থ্য

#স্বাস্থ্যসচেতনতা

#পেটেরস্বাস্থ্য


🧩 থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid Gland)📍 অবস্থানথাইরয়েড হলো একটি অন্তঃস্রাবী (Endocrine) গ্রন্থি, যা গলার সামনের দিকে, কণ্ঠনাল...
17/09/2025

🧩 থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid Gland)
📍 অবস্থান

থাইরয়েড হলো একটি অন্তঃস্রাবী (Endocrine) গ্রন্থি, যা গলার সামনের দিকে, কণ্ঠনালীর (Trachea) দু’পাশে ও তার উপরিভাগে অবস্থিত। আকারে এটি প্রজাপতির মতো দেখতে—দুটি লোব (ডান ও বাম) এবং মাঝখানে একটি ইস্থমাস (Isthmus) থাকে।

⚡ উৎপন্ন হরমোন

থাইরয়েড গ্রন্থি প্রধানত তিনটি হরমোন নিঃসরণ করে—

থাইরোক্সিন (T4 – Thyroxine)

ট্রাই-আয়োডো-থাইরোনিন (T3 – Tri-iodothyronine)

ক্যালসিটোনিন (Calcitonin)

🛠️ কাজ

শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ – খাদ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের হার নিয়ন্ত্রণ করে।

শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা।

বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করা – বিশেষ করে শিশুদের মস্তিষ্ক ও হাড়ের স্বাভাবিক বিকাশে।

প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের বিপাক নিয়ন্ত্রণ।

রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমানো (Calcitonin দ্বারা, যা হাড়ে ক্যালসিয়াম জমাতে সাহায্য করে)।

⚠️ অসুখ

থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বিভিন্ন রোগ হয়—

হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): হরমোন কম হলে অলসতা, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা সহ্য না হওয়া, শুকনো ত্বক, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হয়।

হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism): হরমোন বেশি হলে ওজন কমা, অতিরিক্ত ঘাম, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ ইত্যাদি হয়।

গয়টার (Goitre): থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সাধারণত আয়োডিন ঘাটতির কারণে।

থাইরয়েড ক্যানসার (Thyroid Cancer)।

👉 সংক্ষেপে, থাইরয়েড গ্রন্থি হলো আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের প্রধান নিয়ন্ত্রক গ্রন্থি, যা স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

16/09/2025

মানসিক রোগ ও তার প্রকারভেদ:

আমরা যদি আজকে থেকে দুই বা তিন দশক আগের কথা ভাবি তাহলে মানসিক রোগী বলতে বুঝাতো যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো বদ্ধ উন্মাদ। যাদের রাখা হতো পাগলা গারদে। সময়ের সাথে বদল হয়েছে মানসিক রোগের প্রকৃতি। তবে একদম শুরু থেকেই মানসিক রোগকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমটা Psychotic Illness এবং neurotic Illness।

মানসিক রোগের প্রকারভেদ নিয়ে বলতে গেলে যেটা সবার আগে আসে insight. Insight means awareness of the illness। অর্থাৎ রোগী কি মনে করেন তিনি অসুস্থ নাকি তিনি মনে করেন তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক । যেসকল রোগীর insight থাকে তাদের বলা হয় neurotic পেশেন্ট এবং যাদের insight থাকে না তাদের বলা হয় psychotic পেশেন্ট।

উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে একজন রোগী যিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন এবং মনে করেন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ তিনি একজন neurotic রোগী, আবার একজন রোগী যিনি মনে করেন তার আশে পাশের বাড়ির সবাই তার ক্ষতি করতে চায় এবং মনে করেন যে তিনি ঠিক ভাবছেন যদিও তার বাড়ির লোক এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন না তিনি হলেন একজন psychotic রোগী। সাধারণত neurotic রোগীরা ডাক্তারের কাছে নিজেরা আসতে চান এবং ওষুধ নিজে থেকে খান কিন্তু psychotic রোগীরা নিজেরা ডাক্তার দেখাতে চান না এবং ওষুধ খেতে চান না।

Neurotic Illness এর মধ্যে আসে ডিপ্রেশন বা হতাশা, অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগজনিত রোগ, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা শুচিবাই ।

Psychotic Illness এর মধ্যে আসে সিজোফ্রেনিয়া এবং ডিলিউশনাল ডিজঅর্ডার।

Neurotic Illness

Depression
ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ এই রোগটির বৈশিষ্ট্য গুলো হল প্রধানত:
১) মন খারাপ বা মন ভালো না লাগা।
২) আত্মবিশ্বাস বা মনের জোরের অভাব।
৩) হঠাৎ হঠাৎ কান্না পাওয়া বা একা একা বসে থাকলে চোখে জল আসা।
৪) Energy কমে যাওয়া।
৫) ঘুম হঠাৎ করে কমে বা বেড়ে যাওয়া।
৬) Irritable বা বিরক্তি ভাব বেড়ে যাওয়া।

Anxiety উদ্বেগজনিত রোগের বৈশিষ্ট্য গুলো হল প্রধানত:
১) অতিরিক্ত অযৌক্তিক চিন্তা।
২) শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা।
৩) অতিরিক্ত ক্লান্তি।
৪) ঘুম কমে যাওয়া।
৫) বুক ধড়ফড় করা, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা হাত পা কাঁপা।

Obsessive compulsive disorder বা শুচিবাই লোকটির সাথে আমরা সকলেই অল্পবিস্তর পরিচিত। বারবার হাত ধোয়া, বাতিকগ্রস্ততা, কোন কিছু বারবার পরীক্ষা ( check) করা হলো এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

এছাড়াও আর একটি অসুখ hysteria ও neurotic Illness এর মধ্যে পড়ে। গ্রামেগঞ্জে যার সাধারণ কলকালে ভুতে ধরা ভর হওয়া নামে খ্যাত।

Psychotic Illness এর মধ্যে প্রধানত আসে সিজোফ্রেনিয়া। যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সন্দেহপ্রবণতা, অতিরিক্ত রাগ ,একা একা কথা বলা বা বিড়বিড় করা, অস্বাভাবিক ব্যবহার, বিভিন্ন রকমের অঙ্গভঙ্গি করা, রাতে ঘুম না হওয়া ইত্যাদি।

এছাড়া বয়স্কদের মধ্যে প্রধানত দেখা যায় ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতার সমস্যা। ভুলে যাওয়া, লোকজনকে চিনতে না পারা, মনে রাখতে না পারা, রেগে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি হল ডিমেনশিয়া প্রধান বৈশিষ্ট্য।

এছাড়াও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিছু মানসিক সমস্যা দেখা যায় যেমন অতিরিক্ত চঞ্চলতা, পড়াশোনায় অনীহা, অতিরিক্ত রাগ, Internet বা game addiction। বর্তমানের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ওষুধের দ্বারা উপরোক্ত সকল রোগ গুলোর ক্ষেত্রে চিকিৎসা করলে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মানসিক রোগে খুবই কার্যকর।

#মানসিক_স্বাস্থ্য #হোমিওপ্যাথি #উদ্বেগ_কমানো #মনোরোগ ান্তি #সুখী_জীবন #প্রাকৃতিক_চিকিৎসা #হালকা_উপশম #মানসিক_শান্তি #স্বাস্থ্যকর_জীবন

Send a message to learn more

04/09/2025

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের সময়সীমা এবং ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।

কানে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন কানের সংক্রমণ, কানের অতিরিক্ত ময়লা জমা, বা সর্দি-কাশির কারণে কানে চাপ পড়া। এছাড...
03/09/2025

কানে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন কানের সংক্রমণ, কানের অতিরিক্ত ময়লা জমা, বা সর্দি-কাশির কারণে কানে চাপ পড়া। এছাড়াও দাঁত বা চোয়ালের সমস্যা, কানে পানি আটকে যাওয়া বা কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াও কানে ব্যথার কারণ হতে পারে। যদি কানে ব্যথা হয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি ব্যথার সাথে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা বা কান থেকে পুঁজ বের হওয়ার মতো লক্ষণ থাকে।
কানে ব্যথার সাধারণ কারণসমূহ:
কানের সংক্রমণ:
এটি কানে ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ।
কানের ময়লা জমা:
কানের ভেতরে অতিরিক্ত ময়লা বা কান মোম জমে গেলে ব্যথা হতে পারে।
সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জি:
সর্দি-কাশির কারণে কানের ভেতরে চাপ তৈরি হয়ে ব্যথা হতে পারে।
কানের পর্দা ফেটে যাওয়া:
কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা, কান থেকে স্রাব এবং শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
দাঁত ও চোয়ালের সমস্যা:
কান ও চোয়ালের স্নায়ুগুলো সংযুক্ত থাকার কারণে দাঁত বা চোয়ালের সমস্যা থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে।
গলা ব্যথা:
টনসিলাইটিস বা গলার অন্য কোনো প্রদাহ থেকে ব্যথা কানের দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে।
বায়ুচাপের পরিবর্তন:
দ্রুত বায়ুচাপের পরিবর্তন বা উপরে উঠলে কানে চাপ লেগে ব্যথা হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:
যদি আপনার কানে ব্যথা হয় এবং নিচের লক্ষণগুলো থাকে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: কান থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হওয়া, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া.
প্রাথমিক চিকিৎসা:
গরম সেঁক:
একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন এবং আক্রান্ত কানের ওপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন।
কান পরিষ্কার:
কানের ভেতরে কোনো কিছু, যেমন ইয়ারবাড বা কটন বাড ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে ক্ষতি হতে পারে।
মনে রাখবেন, নিজে নিজে চিকিৎসা না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি ব্যথা তীব্র হয় বা অন্য কোনো উপসর্গ থাকে।

#কানের_ব্যথা #স্বাস্থ্যসচেতনতা #স্বাস্থ্য_পরামর্শ #কানের_যত্ন #চিকিৎসকের_পরামর্শ #হেলথটিপস #হেলথকেয়ার #স্বাস্থ্য_টিপস

আঘাত, কাটাছেঁড়া, অপারেশন কিংবা পুরোনো ব্রণের দাগ—এসব অনেক সময় আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। অনেকে...
27/08/2025

আঘাত, কাটাছেঁড়া, অপারেশন কিংবা পুরোনো ব্রণের দাগ—এসব অনেক সময় আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। অনেকে প্রসাধনী ব্যবহার করে দাগ ঢাকার চেষ্টা করেন, কিন্তু ভেতরের সমস্যার সমাধান হয় না।

👉 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় দাগ শুধু ফিকে হয় না, বরং ত্বকের ভেতর থেকে প্রাকৃতিক নিরাময় শুরু হয়।
হোমিও চিকিৎসায়—
🔹 দাগের গাঢ় রঙ হালকা হতে থাকে
🔹 ত্বক ধীরে ধীরে মসৃণ হয়
🔹 পুরোনো ক্ষত ও প্রদাহের প্রভাব কমে আসে
🔹 ত্বক ফিরে পায় তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা

✨ আলোরদিশা হোমিও হল ✨
📍 সানারপাড়, নারায়ণগঞ্জ

Address

Nitypur, Fatullah, Narayanganj
Narayanganj
1420

Opening Hours

Monday 17:30 - 22:00
Tuesday 17:30 - 22:00
Wednesday 17:30 - 22:00
Thursday 17:30 - 22:00
Friday 10:00 - 22:00
Saturday 17:30 - 22:00
Sunday 17:30 - 22:00

Telephone

+8801922365686

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোর দিশা হোমিও হল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to আলোর দিশা হোমিও হল:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram