16/09/2022
সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় "চোখ ওঠা" কিংবা
"ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস" ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।
যেভাবে সর্তক থাকবেন এবং পরিচিত বন্ধু বান্ধবী পরিবার এর সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন করবেন।
দ্রুত বিষয়টি সবাইকে জানাতে শেয়ার এবং মেনশন করে সর্তক করুন।
চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ।
চোখ ওঠাকে কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই বলে। অর্থাৎ কনজাংটিভা নামক চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা রোগ বলা হয়। চোখ ওঠার মূল কারণ ভাইরাসজনিত এবং এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে।
চোখ ওঠায় আক্রান্ত কারও চোখের দিকে তাকালে কারোর চোখ ওঠে না। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায় ঠিক, কিন্তু আশপাশে অনেককেই আক্রান্ত করে বা করতে পারে। তবে চোখ ওঠা রোগী মূলত সে তার নিজের জন্য সমস্যা নয়, বরং অন্যের জন্য সমস্যা।
কারও চোখ ওঠা হয়তো তিন দিনে ভালো হয়ে যায়, কারোর আবার ৩ সপ্তাহ লাগতে পারে। সেটা নির্ভর করে কার কী ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করেছে এবং সেই রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন তার ওপর।
""" যেভাবে ছড়াচ্ছে এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে সবাই সচেতন হলে এটি থেকে রক্ষ্যা পাওয়া সম্ভব। """
চোখে ভাইরাস দিয়ে প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। যখন এই অশ্রু মুছতে যাই, তখনই এটি আমাদের হাতে এসে যায়।
এরপর থেকেই সেই হাত দিয়েই আমরা যা কিছুই ছুঁই না কেন, সেখানে ভাইরাস চলে আসে। যেমন কারোর সঙ্গে করমর্দন, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদিতে চলে আসতে পারে।
এ জন্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময়ে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত জিনিসপত্রও কিছুটা আলাদা রাখা ভালো।
এটি হলে ভয় পাওয়ার একদমই কোন কারণ নেই তবে সচেতন থাকতে হবে যাতে কারো মাধ্যমে এটি না ছড়ায়।
জনসচেতনতায়ঃ সাইবার ৭১
বিঃদ্রঃ স্বাস্থ্য বিষয়ক আপনার যে কোন পরামর্শ সহ মেডিসিন সংক্রান্ত আপনার যে কোন প্রয়োজনে লাইক কমেন্টস করে যুক্ত থাকুন। ধন্যবাদ