02/05/2025
হার্ট এটার্কের পরীক্ষা নিরীক্ষা :
বুকেরব্যথা- বাঁ হাত ও পিঠে ছড়িয়ে পড়লে সেই সাথে চোয়ালে ব্যথা, বুকে ভারী ভাব, প্রচন্ড ঘাম বমিবমি ভাব ইত্যাদি থাকলে এবং বুকের ব্যাাথা ৩০ মিনিটের বেশি সময় স্থায়ী হলে রোগীর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ শুরু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে অতিসত্বর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
★প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেলে, তৎক্ষণাৎ ইসিজি (ECG) করে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করা হয়। অনেক সময় ইসিজিতে ৫০ শতাংশ রোগীর সঠিক রিপোর্ট আসে না। কোন রোগীর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ আছে অথচ ইসিজি রিপোর্টে যদি কোন পরিবর্তন না পাওয়া যায় তবে আধঘণ্টা অন্তর ইসিজির পুনরাবৃত্তি করে রিপোর্টে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা দেখা হয়।
★হার্টের পেশি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা দেখার জন্য বুকে ব্যথা বা অস্বস্তির তিনঘণ্টা পর কার্ডিয়াক ট্রপনিন-আই ( C.Ttoponin-I) নামক পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া CK-MB টেষ্টও করা হয়। যদি এই পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে তবে নিশ্চিতভাবে রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
★ইকো কার্ডিওগ্রাফি (Echocardiography) করে ওয়াল মোশন অ্যাবনর্ম্যালিটিজ বা হার্টের মাংস পেশী দুর্বল হয়েছে কিনা দেখে নেওয়া জরুরী।
★করোনারি অ্যানজিওগ্রামের (CAG) মাধ্যমে হার্টের ব্লক আছে কিনা, কয়টি ব্লক, কত পারসেন্ট( %), ব্লকের ধরণ ইত্যাদি নিশ্চিত ভাবে শনাক্ত করা যায়।
★ করোনারি সিটি অ্যানজিওগ্রামের (Coronary CT Angiogram) মাধ্যমে ক্যালসিয়াম স্কোরিং করেও ব্লকের মাত্রা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
★এছাড়া হার্ট এটার্কের কারন নির্ধারণে এবং হার্ট এটার্কের ঝুঁকি নির্ণয়ে র্অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। যেমন :CBC, X-ray Chest, S.Creatinine,ALT, Lipid Profile, RBS, S. Uric acid, Vit- D ইত্যাদি। এছাড়া Emerging risk factor নির্ধারণে কিছু Biomarker পরীক্ষা করা হয়।
আসুন, সচেতন হই। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাই।
নিয়মিত হৃদরোগীদের সেবা দিচ্ছেন:
ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান।
কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি)
রোগী দেখার সময়: প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।