31/08/2025
পিকিউলিয়ার সিম্পটম:-
▶️ রোগ যাই হোক না কেন__জিভটা যদি
পরিষ্কার এবং লাল টকটকে থাকে, সাথে non stopping বমি বমি ভাব, জল পিপাসা নেই,চোখ বন্ধ করে ইপিকাক দেওয়া যায়।
▶️ডায়েরিয়া, ডিসেন্ট্রি, পেটের গন্ডগোল, ঘা পাঁচড়া, শুকাচ্ছে না__জিভ ভিজা, মোটা, থলথলে, পাশে দাঁতের দাগ, মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে পড়ছে, পিপাসা বেশি___ মার্কসল দেওয়া যায় নিশ্চিন্তে।
▶️ ব্লাড ডিসেন্ট্রী, যার আসল নাম/ ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রী___মার্ক সলের মতন সব সিমপটমস আছে , কিন্তু মলে রক্তের পরিমান খু্ব বেশী__মার্ক কর!
▶️ বাচ্চাদের বা বড়দের__পাতলা পায়খানা, বা ডায়েরিয়া বা ডিসেন্ট্রি বা সামান্য জ্বরেও পায়খানাতে অসম্ভব পচা গন্ধ, মুখে অসম্ভব পচা গন্ধ, জিভে ঘা, জিভ বের করলে মুখের গন্ধে পাশে থাকা যাচ্ছে না__ চোখ বন্ধ করে ব্যাপটিসিয়া।
▶️ যেখানেই আঘাত লাগুক না কেন, সর্বপ্রথমেই আর্নিকা ৬, বা ৩০, বা ২০০___
▶️ আর্নিকা দেওয়ার কয়েকদিন পরে মাংসপেশীর ব্যথা কমে গেল, কিন্তু তারপরে হাড়ের মধ্যে ব্যথা অনুভব করলে__রুটা ৬ বা ৩০, আর তাতেও পুরোপুরি না গেলে কিছুদিন পরে সিমফাইটম ৬ বা ৩০___
▶️ চোখের মধ্যে যে কোন আঘাতে যদি খোঁচা লেগে হয়___লিডাম, আর যদি খোঁচা না লেগে অন্যভাবে আঘাত লাগে, তাহলে__সিমফাইটাম।
▶️ জ্বরে, বা মাথাব্যথায় চোখ মুখ লাল থমথম করছে, হাসিখুশি বাচ্চা ছিল, কিন্তু এখন কি রকম ভীত/সন্ত্রস্ত, ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছে___বেলেডোনা।
▶️ হঠাৎ ফিটের রোগে বা অন্য যে কোন কারনে অজ্ঞান হয়ে গেলে অর্থাৎ সেন্সলেস হয়ে পড়ে গেলে সেই অচৈতন্য রোগীকে দুই ভ্রুর উপরে কপালে বাইরে থেকে ভিতরের দিকে দুটো বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে জোরে চেপে দেখতে হবে___রোগী সাথে সাথে লাফিয়ে উঠবে, এবং তার জ্ঞান ফিরে আসবে। আর যদি সম্ভব হয় এমিল নাইট্রেট মাদার হ্যাপকো বা জার্মান কোম্পানিীর কিনে রাখতে হবে৷ দাম বেশী। আলোতে নষ্ট হয়। কোম্পানি থেকে যখন ওষুধটা কিনবেন ভালো করে লাইট না লাগে সেইরকম কাগজে মুড়িয়ে দেবে। ১০ মিলি কিনে রাখলেই হবে। একটু তুলাতে ২/৩ ফোঁটা লাগিয়ে নাকে ধরতে হবে। রোগী লাফিয়ে উঠে পড়বে পরিক্ষিত ইনশাআল্লাহ।
▶️ যে কোন এ্যাপেনডিক্সের ব্যথা মনে হলে , অর্থাৎ নীচ পেটের ডান দিকে বা নাভি বরাবর মাঝখানে ব্যথা হলে, প্রথম ঔষধ__আর্নিকা অর্থাৎ সর্বপ্রথম আর্নিকা প্রেসক্রিপশন করতে হবে। কারন মনে করতে হবে , বাচ্চা লাফালাফি বা খেলাধুলা করতে গিয়ে বা দুই বাচ্চাতে মারামারি করতে গিয়ে তলপেটে আঘাত লেগে থেকে হতে পারে। নরেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা লেখা আছে__অ্যাপেন্ডিসাইটিসের তরুণ অবস্থায় আর্নিকা খুবই ভালো, তারপর রোগীর চরিত্র মিলাইয়া ধাতুগত দোষের চিকিৎসা করাই সমুচিত।
▶️ যে কোন খিঁচুনি বা তড়কায়, হাত পায়ের আঙুলগুলি যদি ভিতরের দিকে ঢুকে যায়___কুপ্রাম মেট।
▶️ যে কোনো খিঁচুনি, বা তড়কায় রোগী যদি একবার এদিক, একবার ওদিক, একবার মাথাটা সামনে, একবার মাথাটা পিছনদিকে নিয়ে যাচ্ছে, শরীর একেবারে বাঁকিয়ে চুরিয়ে ফেলছে__ সিকুটা ভিরসা।
▶️ পেট ব্যাথা পিছনে হেলে বসলে বা শুয়ে থাকলে যদি কমে___ডায়োস্কোরিয়া।
▶️ পেটব্যথা সামনে ঝুঁকে বসলে কমলে কলোসিন্থ__ 30, 200 তে কমবে না, হাই পোটেনসি দিতে হবে 10 M, 50 M, C M.
▶️ পেট ব্যথায় কি করবে বুঝে পাচ্ছে না, পাগলের মতন একবার এদিক, একবার ওদিক, একবার হাত তুলছে, একবার পা তুলছে, একবার একটা পা ভাঁজ করছে, অন্য পা ছড়িয়ে দিচ্ছে, ইত্যাদি& ইংরেজিতে বলা হয় বিজার পোশচার__প্লাম্বাম মেটালিকাম।
▶️ অন্য সময় হয় না, কিনতু খিঁচুনি বা তড়কার সময় মুখ দিয়ে খুব লালা বের হলে__ওনেন্থা ক্রোকেটা,
▶️ রাতের পর রাত জাগার পর থেকে যে কোন রোগ হলে___ককুলাস ইন্ডিকা, অন্য ২/১ টি সিমপটমস দেখতে হবে, কারন নাক্সভমিকা ভালো কাজ করে।
▶️ ছেলেদের অন্ডকোষে কোনরকম আঘাত লাগলে প্রথম ঔষধ___কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম।
▶️ মেয়েদের ব্রেস্টে কোন রকম আঘাত লাগলে প্রথম ওষুধ___বেলিস পেরেনিস, পরে জায়গাটা যদি শক্ত হয়ে যায় তাহলে___কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম,
▶️ বাচ্চার তড়কা, জ্বর, খিঁচুনি, পেট খারাপ, ইত্যাদি হলে__ জানতে হবে এসব আরম্ভ হওয়ার আগে তার মা কারুর সাথে খুব ঝগড়া গন্ডগোল করেছিল কি না, আর সেরকম কিছু করার পরে তাকে বুকের দুধ দিয়েছিল কি না, আর তারপর থেকে এইসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে কি না, যদি তাই হয়, তাহলে বাচ্চার মাকে দিতে হবে___ক্যামোমিলা। বহু ক্ষেত্রে ছোট নবজাতককে ঔষধ দেওয়া লাগে না, বাচ্চার সিমপটম নিয়ে যে ঔষধ আসবে, সেই ঔষধ তার মাকে দিতে হবে। কারন, মায়ের বুকের দুধের মধ্য দিয়ে বাচ্চার কাজ হবে
cp